Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • Indi Alliance: ইন্ডি জোট ‘ঘেঁটে ঘ’! কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চও খুলে দিল মমতার পুলিশ

    Indi Alliance: ইন্ডি জোট ‘ঘেঁটে ঘ’! কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চও খুলে দিল মমতার পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) এ কী হাল! জোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেসের হাইকমান্ড রাহুল গান্ধী বাংলা সফরে আসছেন। সেখানে জোটের আর এক শরিক তৃণমূল তাঁকে স্বাগত জানাবে, এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। তাঁর জন্য নানা ব্যবস্থা করে সৌজন্য দেখাবে, এমনটাও ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু, কোথায় কী! রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’-র আগেই হোঁচট। রাহুলকে স্বাগত জানাতে কংগ্রেস কর্মীরা যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, তাতে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    পুলিশ দিয়ে হেনস্থা! (Indi Alliance)

    বুধবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুলের রাজ্য সফর প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমাকে কি বলে বাংলায় আসছে?” এভাবেই রাহুলের আসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তারপরই পুলিশ দিয়ে হেনস্থার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে অসম সীমানায় রাহুলকে স্বাগত জানাতে কংগ্রেস যে মঞ্চ তৈরি করেছিল, তা পুলিশের আপত্তিতে খুলে অন্যত্র সরাতে বাধ্য হয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশের দাবি, জাতীয় সড়কের উপরে অনুমতি না নিয়ে মঞ্চ তৈরি করায় আপত্তি জানায় তারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কোচবিহারের বক্সিরহাট দিয়ে রাহুলের রাজ্যে আসার কথা ছিল। ২৮ জানুয়ারি ছিল তাঁর জলপাইগুড়ি শহরে পৌঁছনোর কথা। সূচি অনুযায়ী ঠিক ছিল, সেখানে এবিপিসি এবিপিসি মাঠে মধ্যাহ্নভোজ করবেন তিনি। কিন্তু, সেদিন পুলিশের একটি পরীক্ষা রয়েছে। তাই জেলা পুলিশের তরফে অনুরোধ করা হয়, রাহুল যেন দুপুর দু’টোর পরে শহরে ঢোকেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেই মতো সূচি বদলানোর প্রস্তুতি তাঁরা নিয়েছিলেন। মধ্যাহ্নভোজের জায়গাও বদলানোর তোড়জোড় করছিলেন।

    কংগ্রেস নেতৃত্ব কী বললেন?

    কোচবিহার জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা রাহুলকে স্বাগত জানাব বলে সভা মঞ্চ করেছিলাম। পুলিশ সভামঞ্চ খুলে দেয়। পরে, রাস্তার ঠিক উল্টো দিকে এক ব্যক্তির জমিতে আমরা মঞ্চ তৈরি করি। পুলিশ দিয়ে আমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।

     রাহুলের সভা নিয়ে তৃণমূল নেতারা চুপ!

    রাহুল আসার আগে প্রস্তুতি দেখতে কোচবিহারে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি, রাহুলের কর্মসূচিতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কী করবেন, তা নিয়ে চর্চা চলছিল। বেশিরভাগ তৃণমূলের জেলা নেতা এই নিয়ে অবশ্য চুপ ছিলেন। আলিপুরদুয়ারের সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছিল, তাঁরা যাত্রায় যোগ দেবেন। যদিও শেষ মুহূর্তে রাহুল গান্ধী এই কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে যাচ্ছেন বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়, মমতার মন্তব্যে ইন্ডি জোটের দফারফা

    Indi Alliance: লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়, মমতার মন্তব্যে ইন্ডি জোটের দফারফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোট (Indi Alliance) গঠন করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করার স্বপ্ন দেখছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেই জোট এখনও ফলপ্রসূ হয়নি। তবে, গুয়াহাটিতে রাহুলের বক্তব্যের পরে বাংলায় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট নিয়ে খানিকটা ‘ইতিবাচক’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল। কিন্তু, বুধবার মমতার বক্তব্যের পরে স্পষ্ট যে, পশ্চিমবঙ্গে কোনও জোট বা আসন সমঝোতা হচ্ছে না। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনেই প্রার্থী দিতে চলেছে তৃণমূল।

    তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে রাহুল ঠিক কী বলেছিলেন? (Indi Alliance)

    মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে রাহুল বলেছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে আসন বোঝাপড়ার প্রক্রিয়া রয়েছে, তা চলছে। তার ফলাফল আসবে। ওই বিষয়ে আমি এখানে কোনও মন্তব্য করব না। মমতাজির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ও দলের সম্পর্ক খুবই ভালো। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কেউ কিছু বলে দেন। ওঁদের কেউ কিছু বলেন। এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু, এতে আসন বোঝাপড়ায় কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

    রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে কী বললেন মমতা?

    দুদিন আগে পার্ক সার্কাসের মঞ্চ থেকে মমতা ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) সমালোচনা করেছিলেন। কংগ্রেসের নাম না করে বলেছিলেন, “আমি বলেছিলাম, যে রাজ্যে, যে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী, তারা সেই রাজ্যে লড়ুক। আর আপনারা ৩০০ আসনে একা লড়াই করুন। আমরা সাহায্য করব। বাকি আসনে আমরা লড়়াই করব। তারা বলছে, তাদের মর্জিমতো হবে।” বুধবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে যাওয়ার আগে মমতাকে ওই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ মমতা জানিয়ে দেন, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, “আমার কারও সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। আমার প্রস্তাব প্রথম দিনেই প্রত্যাখ্যান করেছে! আমার সঙ্গে কারও কোনও আলোচনা হয়নি। অ্যাবসলিউটলি মিথ্যা কথা!” তিনি আরও বলেন, “এই যে আমাদের রাজ্যে আসছে, আমাকে তো একবারও বলেনি!” মমতা বলতে চেয়েছেন রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র কথা। অসম থেকে রাহুল তাঁর যাত্রা নিয়ে বৃহস্পতিবারেই কোচবিহার দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করবেন। তার এক দিন আগে মমতার কথায় স্পষ্ট যে, ইন্ডিয়া’র শরিক হিসেবে তৃণমূল ওই যাত্রায় অংশ নেবে না। দুদিন আগে মুর্শিদাবাদ জেলায় সব আসনে লড়াই করার জন্য দলীয় নেতাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আর অধীর চৌধুরীকে তিনি গুরুত্ব দিতে নারাজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ‘‘রাম নয়, ওরা ভালোবাসে বাবরকে’’, কংগ্রেসকে তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    Ram Mandir: ‘‘রাম নয়, ওরা ভালোবাসে বাবরকে’’, কংগ্রেসকে তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। সেদিনের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস। এ নিয়েই কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। শনিবারই তিনি বলেন ‘‘ওরা বাবরকে ভালোবাসে, রামচন্দ্রকে নয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটাই ছিল আদর্শ সময়, যখন কংগ্রেস তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারত। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তাদেরকে একটা বড় সুযোগ দিয়েছিল, এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য। কিন্তু তারা সেটিকে গ্রহণ করল না। এছাড়া আমরা কংগ্রেসকে আর কীভাবে সাহায্য করতে পারি?’’

    রামলালার প্রতি কংগ্রেসের বিদ্বেষ

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ‘‘তারা (কংগ্রেস) দেশে এমন একটা ইকোসিস্টেম গড়ে তুলেছিল, যা সর্বদাই ভগবান রামের বিপক্ষে ছিল। কিন্তু তা সত্বেও তাদেরকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জওহরলাল নেহরু থেকে রাহুল গান্ধী, প্রত্যেকেই আফগানিস্তানে বাবরের সমাধিস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাই তাঁরা বাবরকে ভালোবাসেন, রামচন্দ্রকে (Ram Mandir) নয়। রামচন্দ্র এবং বাবরের মধ্যে যদি কাউকে বেছে নিতে বলা হয়, তাহলে গান্ধী পরিবার বাবরকেই বেছে নেবে।’’ প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালেই গান্ধী পরিবারের যুবরাজ বলে পরিচিত রাহুল গান্ধী আফগানিস্তানে বাবরের সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এদিন আরও প্রশ্ন তোলেন, ‘‘রামলালার (Ram Mandir) প্রতি এত বিদ্বেষ কেন এদের?’’

    কটাক্ষ ইন্ডি জোটকে

    হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এদিন ইন্ডি জোটকেও কটাক্ষ করেছেন। শনিবার কলকাতায় তিনি বলেন, ‘‘ইন্ডি জোটের কাছ থেকে সর্বদাই আমরা বিনোদনমূলক খবর পাচ্ছি।’’ প্রসঙ্গত, এদিনই ইন্ডি জোটের কনভেনর হওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন নীতিশ কুমার কনভেনার হতে চাইছিলেন, এখন তিনি বলছেন যে তিনি সেটা হতে চান না।’’ রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’কেও কটাক্ষ করেন তিনি এবং বলেন, ‘‘ভগবান রামকে (Ram Mandir) যারা এতদিন ধরে অবিচার করে এসেছে, মানুষকে তারা কী বিচার দেবে?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: অমিত শাহের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য, আদালতে হাজিরা দিলেন না রাহুল গান্ধী

    Rahul Gandhi: অমিত শাহের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য, আদালতে হাজিরা দিলেন না রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালে কর্নাটকের একটি জনসভায় তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে তিনি (অমিত শাহ) খুনে অভিযুক্ত। এর পাশাপাশি গুজরাট দাঙ্গায় অমিত শাহের জড়িত থাকার অভিযোগও তোলেন রাহুল। সে সময়ে রাহুল গান্ধীর এমন আপত্তিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে জনৈক বিজেপি কর্মী বিজয় মিশ্র কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসেই। সুলতানপুরের জেলা আদালত এবং বিধায়ক-সাংসদদের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: লোকসভাকাণ্ডে গ্রেফতার মহেশ, ললিতকে পালাতে সাহায্য করেছিল সে-ই?

    ৬ জানুয়ারি ফের হাজিরার নির্দেশ দিল কোর্ট

    সেই মামলাই বিগত পাঁচ বছর ধরে চলছে। গত ২৭ নভেম্বর বিধায়ক ও সাংসদ আদালতের বিচারক যোগেশ কুমার যাদব, ১৬ ডিসেম্বর শনিবার রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আদালতে এই মামলার হাজিরার নির্দেশ দেন। কিন্তু শনিবার হাজিরা দেননি কংগ্রেস নেতা। এর পরবর্তীকালে হাজিরার তারিখ ৬ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন দেখার ৬ জানুয়ারি রাহুল এই মামলায় হাজিরা দেন নাকি।

    সুরাট আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে অন্য একটি মামলায়

    প্রসঙ্গত, এর আগে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছিলেন যে সব চোরেদের পদবী মোদি কেন হয়? এই মর্মে গুজরাটেই মামলা দায়ের করেন পূর্ণেশ মোদি নামে জনৈক বিজেপি নেতা। সেই মামলায় চলতি বছরের মার্চ মাসে রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে সুরাট আদালত এবং দুই বছরের কারাবাসের সাজা ঘোষণা করে। এর ফলে লোকসভার সাংসদ পদও খারিজ হয়ে যায় রাহুল গান্ধীর। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্ট থেকে তাঁকে জামিন নিতে হয়। এবার সবার নজর রয়েছে অমিত শাহের বিরুদ্ধে করা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কী রায় দেয় আদালত!

    আরও পড়ুন: জাঁকিয়ে শীত পড়বে বড়দিন থেকে, হিমালয়ের কোলে চলবে তুষারপাত, জানাল হাওয়া অফিস

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “আপনার দল কি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে?” ধীরজ সাহু ইস্যুতে মমতাকে প্রশ্নবাণ সুকান্তর

    BJP: “আপনার দল কি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে?” ধীরজ সাহু ইস্যুতে মমতাকে প্রশ্নবাণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার কংগ্রেসের ধীরজপ্রসাদ সাহু। ঝাড়খণ্ডের এই সাংসদের ডিস্টিলারি সংস্থায় হানা দিয়ে আয়কর দফতর এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করেছে নগদ ২৫০ কোটি টাকা। এই ইস্যুতে এবার শুধু কংগ্রেস নয়, নতুন ‘ইন্ডি’ জোটকেই নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে নয়া ওই জোটের মুখ বলে প্রচারিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন সুকান্ত? (BJP)

    তিনি বলেন, “কংগ্রেস বলতে মনে রাখবেন কংগ্রেস কিন্তু একা নয়। মোদি বিরোধী যে একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে, যারা নিজেদেরকে I.N.D.I.A বলছে, তাদের লিডার হচ্ছে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতানেত্রী। এরা বাংলায় বিজেপির (BJP) বিরোধিতা করে বড় বড় কথা বলে, দেশ নাকি আম্বানি-আদানিদের বিক্রি করে দিয়েছে। আর ৬ই ডিসেম্বর থেকে যে কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে আইটি রেড চলছে, তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাঁর বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকার বেশি ক্যাশ উদ্ধার হয়েছে। আলমারির থাকে থাকে সাজানো টাকা। ৬ই ডিসেম্বর ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে রেড চলেছে। বিভিন্ন লোকেশনে তাঁর সম্পত্তি রাখা ছিল। ৪০ জনের আইটি অফিসারের টিম রেড করে এবং এই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এর আগে এই রকম রেড করে এত টাকা উদ্ধার খুব কম উদ্ধার হয়েছে। ২০০ কোটি টাকা পার হয়ে গেছে এখনও পর্যন্ত। আরও টাকা উদ্ধার হবে। তাহলে কি এই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই রাহুল গান্ধী-সোনিয়া গান্ধী মহুয়া মৈত্র মহুয়া মৈত্র করছেন?”

    নিশানায় মমতা

    সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, “এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে এনডিএ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজ তাঁর জোটের কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকারও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী ২০০ কোটি টাকাকে এক লক্ষ টাকার থেকে কম মনে করছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার সার্টিফিকেট দেবেন পার্থ চ্যাটার্জির মতো, উনি চুরি করেননি, সৎ মানুষ, ওনাকে ফাঁসানো হয়েছে। আজকে তাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বাংলা থেকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনি এক সময় বঙ্গারু লক্ষণের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে (যদিও সেটা প্রমাণও হয়নি) NDA ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজকে এই ২০০ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার হওয়া ধীরাজ সাহু সম্পর্কে আপনার মত কী? আপনার দল কি পাশে দাঁড়াবে, নাকি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে? এই প্রশ্নের জবাব আপনারা দেবেন। এই প্রশ্ন জনগণের সামনে বিরাট প্রশ্ন হয়ে রয়েছে। রাজনীতি মানেই কি টাকা নিজের ঘরে নিয়ে যাওয়া? পরিবার-পরিজন-আত্মীয়-স্বজনকে দিনকে দিন বড়লোক করা? এই যদি রাজনীতি হয়, তবে কংগ্রেস সহ তার বিভিন্ন সহযোগী রাজনৈতিক দলকে গোটা দেশের মানুষ যেভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, আগামী দিনে বাংলার জনগণও তৃণমূলের চোর সরকারকে প্রত্যাখ্যান করবে।”

    চাকরিপ্রার্থীদের ধরনার ১০০০ তম দিন

    এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) জানান, এসএলএসটি’র এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা যোগ্য। এঁদের চাকরি পাওয়া উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত তাঁরা চাকরি পাননি। এঁরা চাকরি পাবেনও না, কারণ এই সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নিজেই জানেন না ভ্যাকান্সি কত রয়েছে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কখনও বলছেন লক্ষাধিক, কখনও বলছেন ৭০০। যখন কোনও শিক্ষামন্ত্রী তাঁর মত ও অবস্থান বারবার কিছুদিন পরপর পরিবর্তন করেন, আমার মনে হয়, তাঁদের কোনও সমস্যার সমাধান হবে না। এসএসসির কথা মানুষকে ভুলে যেতে হবে। ৫০০ টাকা ও হাজার টাকার উপঢৌকন নিয়ে চুপ করে বসে থাকতে হবে।

    টেনে জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার ফরমান

    তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিজেপির নেতানেত্রী, সহকর্মীদের টেনে জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার ফরমান দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) জানান, তৃণমূল কংগ্রেস মানে ভাগাড়।তারা মুখ খুললে গন্ধ তো বেরোবে, এটাই স্বাভাবিক। এখানে তো চন্দনের গন্ধ আশা করা যায় না। জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছি, উনার বিরুদ্ধে এফআইআর করবার জন্য। কত মানুষকে স্তব্ধ করতে পারবেন, সেটাই দেখতে চাই। রহিম বক্সী সাহেবের দম দেখতে চাই, তিনি কত বিজেপি কর্মীদের লাঠিপেটা করতে পারেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘন! মোদিকে ‘অপয়া’ বলে আক্রমণ রাহুলের, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    Narendra Modi: শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘন! মোদিকে ‘অপয়া’ বলে আক্রমণ রাহুলের, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ‘পনৌতি’ বা ‘অপয়া’ বললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার গান্ধী নেহরু পরিবারের যুবরাজের দাবি করেন, গুজরাটের আহমেদাবাদের ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনালের দিন মাঠে নরেন্দ্র মোদির হাজির থাকার জন্যই ভারত ম্যাচ ছেড়েছে। মঙ্গলবার রাজস্থানের বারমেরে এক নির্বাচনী জনসভা থেকে এ কথা বলেন রাহুল গান্ধী। এবার তারই পাল্টা প্রতিক্রিয়া শোনা গেল বিজেপির কাছ থেকে। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমকে এই ইস্যুতে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

    রবিশঙ্কর প্রসাদের বিবৃতি 

    বিজেপির মুখপাত্র তথা সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘তোমার মা মোদিজিকে ‘মৌত কা সওদাগর’ বলার ফল সবাই দেখছে। এবার তুমি বলে চলেছ।’’ ঘটনা হল ২০০৭ সালে গুজরাটের বিধানসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ‘মৌত কা সওদাগর’ বলে তোপ দেগেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। সেই নির্বাচনে বিপুল ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। রবিশঙ্কর প্রসাদ রাহুল গান্ধীকে ১৬ বছর আগের সেই কথাই স্মরণ করালেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    বিজেপি নেতার ট্যুইট ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া 

    অন্যদিকে বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ করে তাঁর এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘তাহলে এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি’কে (Narendra Modi) পনৌতি বলছেন রাহুল। এখানে ভণ্ডামিরও বেশি কিছু আছে। ৫৫ বছরের যে ব্যক্তি নিজে জীবনে একটা দিনেও কাজ করেননি, যাঁর পরিবার দুর্নীতির মাধ্যমে পরজীবীর মতো দশকের পর দশক ধরে দেশকে শোষণ করেছে এবং যাঁদের সরকার আর্থিক দিক থেকে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিল, সেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে যে এরকম কথা বলছেন, সেটা হতাশা এবং মানসিক অস্থিরতার পরিচয় দিচ্ছে।’’

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘এটা খুবই জঘন্য মন্তব্য। ম্যাচ খেলা হয়। ম্যাচে কেউ জেতে, কেউ হারে। উনি কংগ্রেসের ঐতিহ্য বজায় রাখছেন।’’

    শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া

    এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমকে তুলোধনা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমাদের দেশে কিছু লোক আছেন যাঁরা এখানে খান, এখানে ঘুমোন, এখানেই দাদাগিরি, মাতব্বরি করেন আর রাষ্ট্রবিরোধী কথা লেখেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়, ফেসবুকে পোস্ট করেন। ভারত কাল হেরে যাওয়ার পর দেশের সরকারকে দায়ী করেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিম করেন। এটা অন্যায়। বিদেশি শক্তির সঙ্গে লড়াইয়ের আগে দেশের ভিতরে থাকা এই সমস্ত হামাসগুলিকে চিহ্নিত করে উৎখাত করার দরকার আছে। যা হয়েছে তা অত্যন্ত আপত্তিকর, ঘৃণ্য। এগুলি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্রয়ে। তিনি ভারতীয় দলের প্র্যাকটিস জার্সির গেরুয়া রং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ছাপ্পা মেরে ভোটে জেতা কলকাতার মেয়র বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে ফাইনাল না হলেই ভারত জিততো। এমনটা কোথাও হয় না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Herald case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    National Herald case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র মামলায় (National Herald case) ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র, এই সংবাদপত্রের প্রকাশনা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড, ন্যাশনাল হেরাল্ডের পরিচালক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়া। এর পাশাপাশি রয়েছে লখনউয়ের নেহরু ভবনও। জানা গিয়েছে, এই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক রাহুল ও সোনিয়া গান্ধী। ইডি তদন্তে উঠে এসেছে যে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের দখলে রয়েছে ৬৬১.৬৯ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি।

    সংবাদপত্র কংগ্রেস নেতাদের কাছে ঋণ নিয়েছিল

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে জানা যায়। মনমোহন সিং সরকারের আমলে ২০১৩ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald case) সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ঠিক তার পরেই ২০১৪ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। স্বামীর মতে, ‘‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড নামের সংস্থা হল ন্যাশনাল হেরাল্ডের (National Herald case) প্রকাশনা সংস্থা। এই সংস্থার বাজারে ৯০ কোটি টাকার দেনা ছিল। এই দেনার বেশির ভাগই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া।’’

    ২০১৫ সালেই তদন্তের নির্দেশ দেয় দিল্লির আদালত

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত সংবাদপত্রটি (National Herald case) ২০০৮ সালেই বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় এটি অধিগ্রহণ করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। যার মধ্যে ছিলেন সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীও। এর ফলে ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ার দখলে চলে আসে। স্বভাবতই ন্যাশনাল হেরাল্ডের কংগ্রেস নেতাদের কাছে নেওয়া ৯০ কোটি টাকা ঋণের সেই বোঝাও চাপে ইয়ং ইন্ডিয়ার ওপর। ঠিক এই সময়ের মধ্যেই দেনার টাকা আর উদ্ধার করা সম্ভব নয়, এই যুক্তি দেখিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ঋণের টাকা মকুব করে দেয়। এখানেই আপত্তি তোলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। স্বামীর যুক্তি ছিল, ‘‘কংগ্রেস রাজনৈতিক দল। কোনও রাজনৈতিক দলকে কর দিতে হয় না। আবার কোনও বাণিজ্যিক সংস্থাকে (National Herald case) কোনও রাজনৈতিক দলের ঋণ দেওয়াটা তাদের এক্তিয়ারের বাইরে।’’ ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের মালিকানা হস্তান্তরের সময় কোনও লেনদেন হয়েছিল কিনা, সেই তদন্তের জন্য ২০১৫ সালের শুরুর দিকেই নির্দেশ দেয় দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মোদির জন্মদিনে শুভেচ্ছা অভিষেক-রাহুলের, কেন চুপ মমতা-সোনিয়া?

    Narendra Modi: মোদির জন্মদিনে শুভেচ্ছা অভিষেক-রাহুলের, কেন চুপ মমতা-সোনিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) ৭৪তম জন্মদিনে নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলের শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মোদির জন্মদিনের চুপ থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া-মমতার এহেন আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশিন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে দেশের প্রধানমন্ত্রী তো সাংবাধিনাকি পদ, তাই বিজেপি নেতা নয় বরং প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে তো শুভেচ্ছা জানানোই যেত! বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতবর্ষের সাংবিধানিক পদ হল প্রধানমন্ত্রী, তাঁর জন্মদিনে ন্যূনতম রাজনৈতিক সৌজন্যতাটুকুও দেখালেন না তৃণমূল সুপ্রিমো কিংবা কংগ্রেসের অন্তরআত্মা। বিভিন্ন মহলে এনিয়ে নিন্দাও শোনা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘দেশের বিশ্বকর্মাদের খুঁজে বের করে, সাহায্য করতে হবে,’’ বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এক্স হ্যান্ডেলে কী লিখলেন রাহুল- অভিষেক?

     অন্যদিকে রাহুল গান্ধী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এক লাইনে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে (Narendra Modi) জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।

    অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর এক্স হ্যান্ডেলে ওই একই কথা লেখা রয়েছে।

    শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেজরিওয়াল এবং শরদ পাওয়ার

    বিরোধী নেতাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।

    অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারও নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: সোশ্যাল মিডিয়াতেও রাহুল গান্ধীকে জোর ধাক্কা মোদির, বলছে রিপোর্ট

    PM Modi: সোশ্যাল মিডিয়াতেও রাহুল গান্ধীকে জোর ধাক্কা মোদির, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়াতেও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুধুমাত্র ফলোয়ারের সংখ্যার ভিত্তিতেই নয়, উপরন্তু নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন পোস্টের এনগেজমেন্টও অনেকটাই বেশি রাহুল গান্ধীর পোস্টগুলির তুলনায়। বর্তমান এক্স, পূর্বতন ট্যুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এই সমস্ত কিছুতেই এগিয়ে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ট্যুইটারে এগিয়ে মোদি (PM Modi)

    বর্তমানে ট্য়ুইটারে মোদির ফলোয়ার রয়েছেন  প্রায় ১০ কোটি, অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর ট্যুইটারে ফলোয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৪০ লাখ। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট প্রায় ৮০ লাখ এনগেজমেন্ট পেয়েছে বিগত এক মাসে। যেখানে রাহুল গান্ধীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের এনগেজমেন্টের সংখ্যা ২৩.৪৩ লাখ ওই একই সময়ের মধ্যে। আরও দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বিগত তিন মাসে এনগেজমেন্ট পেয়েছে ৫৮ লাখ ২৩ হাজার।

    ফেসবুকেও মোদির (PM Modi) জয় জয়কার 

    অন্যদিকে, ফেসবুকে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ফলোয়ার সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৮০ লাখ। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর এই ফলোয়ার সংখ্যা ৬৭ লাখ। সূত্রের খবর, ফেসবুকে নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন পোস্টগুলির এনগেজমেন্ট হয়েছে ৫৭.৮৯ লাখ বিগত এক মাসে। ওই একই সময়ের মধ্যে রাহুল গান্ধীর পোস্টগুলির এনগেজমেন্ট হয়েছে ২৮.৩৮ লাখ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চলতি বছরে এনগেজমেন্ট পেয়েছে ৩.২৫ কোটি অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর এনগেজমেন্ট ১.৪৮ কোটি।

    ইউটিউবে মোদির (PM Modi) অনেক পিছনে রাহুল গান্ধী

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ইউটিউবের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বর্তমানে ৬৫ লাখ। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার ২৭ লাখের কিছু বেশি। বিগত এক মাসে নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন ভিডিও ২৫ কোটি ভিউ হয়েছে, অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৪ কোটি ৮২ লাখ। ইনস্টাগ্রামেও নরেন্দ্র মোদির বর্তমান ফলোয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে এই সংখ্যা মাত্র ৪০ লাখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ‘‘রাহুল গান্ধী চান মণিপুরে ভারতীয়দের ওপর গুলি চালাক সেনা’’ তোপ বিজেপি নেতা রবি শঙ্করের

    Manipur: ‘‘রাহুল গান্ধী চান মণিপুরে ভারতীয়দের ওপর গুলি চালাক সেনা’’ তোপ বিজেপি নেতা রবি শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) হিংসা ইস্যুতে রাহুল গান্ধীকে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ। সম্প্রতি রাহুল গান্ধী কেরলে দাঁড়িয়ে মণিপুর ইস্যু নিয়ে বলেন যে মণিপুরে সেনাদের সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাহুলকে পাল্টা দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী কি তার ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ১৯৬৬ সালে আইজলে বায়ু সেনাকে বোমা ফেলার নির্দেশ দিয়ে কী লাভ হয়েছিল? রাহুল গান্ধীকে তুলোধোনা করে রবি শঙ্কর প্রসাদ আরও বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী কি আশা করেন যে উত্তপ্ত মণিপুরের (Manipur) সেনাবাহিনী ভারতীয়দের উপর গুলি চালাবে? শান্তি সম্প্রীতি ফেরাবে?  

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের পাল্টা দিল বিজেপি

    প্রসঙ্গত, সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের সময় রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন যে মণিপুরে (Manipur) ভারত মাতাকে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে তখন লোকসভার ভিতরে প্রধানমন্ত্রী মোদিও সরব হন। এবং বলেন, ‘‘এক নেতা যে ভাষায় কথা বলছেন তাতে ভারতবর্ষের গরিমা নষ্ট হচ্ছে।’’  রবি শঙ্কর প্রসাদ এদিন বলেন, ‘‘সংসদে রাহুল গান্ধী বলেছেন যে মণিপুরে ভারত মাতা খুন হয়েছে, ও না বোঝে দেশ, না বোঝে রাজনীতি! এমনকি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ।

    মণিপুর (Manipur) ইস্যু 

    এদিন কংগ্রেসের নেতৃত্বে একের পর এক গণহত্যার উদাহরণও টেনে আনেন রবি শঙ্কর প্রসাদ। এবং তিনি বলেন, ‘‘ ১৯৮৪ সালে সাম্প্রদায়িক অশান্তির মধ্যে দিয়ে কীভাবে দিল্লিতে শিখ দাঙ্গা করা হয়েছিল। এটাই হল কংগ্রেস, যা সবসময় ভাগ করে ভারতকে। বিরোধীরা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছেন বলেও অভিযোগ করেন রবি শঙ্কর প্রসাদ। এবং এ প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনেন লোকসভায় সাসপেন্ড হওয়া কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কথা। রবি শঙ্কর প্রসাদ এদিন আরও বলেন, ‘‘মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে বক্তব্য রেখেছেন লোকসভায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ১ ঘণ্টার উপরে বক্তব্য রেখেছেন। মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে বিরোধীরা প্রথমে অভিযোগ জানিয়েছিল যে মোদির কিছু বলা উচিত! যখন নরেন্দ্র মোদি বলতে লাগলেন, তখন বিরোধী নেতারা তাঁর বক্তব্যের মাঝে বাধা দিতে থাকলো।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share