Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • Rahul Gandhi: স্বস্তি রাহুলের, ২ বছরের জেল হাজতের সাজার ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Rahul Gandhi: স্বস্তি রাহুলের, ২ বছরের জেল হাজতের সাজার ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি পদবী মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন কংগ্রেস নেতার রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সুপ্রিম কোর্টে এদিন বিচারপতি আরএস গাভাই এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চ তাঁর দু বছরে জেল হাজতের সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গুজরাটের সুরাট আদালতে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) মোদি পদবী অবমাননা মামলায় দু বছরের শাস্তি ঘোষণা করেছিল। 

    মামলার ঘটনাক্রম 

    চলতি বছরের মার্চ মাসের ২৩ তারিখে সুরাতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই সাজা ঘোষণা হয়। এই সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে  রাহুল গান্ধীর আবেদন গত ৭ জুলাই খারিজ করে দিয়েছিল গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের একক বেঞ্চ। গুজরাট হাইকোর্টের আগে সুরাতের দায়রা আদালতও একই সাজা বহাল রেখেছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৭ জুলাই রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। এদিন রাহুল গান্ধীর সাজার ওপর স্থগিতাদেশ জারি হল সুপ্রিম কোর্টে।

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্য

     ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট প্রচার চলছিল। সে সময়ে কর্নাটকে মোদি পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তিনি বলেছিলেন যে সব চোরদের পদবী মোদি কেন হয়!  এ নিয়ে সেইসময় মামলা দায়ের করেন গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। তাঁদের দাবি ছিল রাহুল গান্ধী এভাবে সব চোরেদের মোদি কেন হয়, মন্তব্যের মাধ্যমে গোটা তেলি সমাজকে অপমান করেছেন। প্রসঙ্গত, মোদি পদবী তেলি সমাজের অন্তর্ভুক্ত। তেলি সমাজের পক্ষ থেকে ব্যাপক আন্দোলনও শুরু হয় এই সময়।  সুরাতের ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাজা ঘোষণা করার পরেই, চলতি বছরের ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১) ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করেন।  আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২৪ সালে নির্বাচনে রাহুল গান্ধী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কারণ শুক্রবার রায়ের পরে তাঁর সে পথ অনেকটাই প্রশস্ত হয়ে গেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘উদ্ধব ঠাকরে বিজেপির সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন’, মহারাষ্ট্রের সভায় শাহি তোপ

    Amit Shah: ‘উদ্ধব ঠাকরে বিজেপির সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন’, মহারাষ্ট্রের সভায় শাহি তোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন বিজেপির (BJP) সঙ্গে। ভোটে লড়া হয়েছিল মোদিজি ও দেবেন্দ্রজির নামে, আর উনি (উদ্ধব ঠাকরে) কংগ্রেসের কোলে গিয়ে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য।” মহারাষ্ট্রের নান্দেদে বিজেপি আয়োজিত এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদ্ধবকেই নিশানা করেন অমিত শাহ (Amit Shah)।

    শাহের (Amit Shah) নিশানায় উদ্ধব

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজেপির তরফে দেশজুড়ে আয়োজন করা হচ্ছে জনসভার। নান্দেদেও এমনই একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন শাহ। সেই সভায় তিনি বলেন, “গত বছর মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের যে পতন হয়েছে, তার জন্য বিজেপি দায়ী নয়। শিব সৈনিকরা যাঁরা উদ্ধব ঠাকরের নীতিতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন এবং শরদ পাওয়ারের দল এনসিপিতে যেতে চাননি, তাঁরাই একনাথ শিন্ডের সঙ্গে দল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন।” উনিশে বিজেপি-শিবসেনা জোট প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “আমি সেই সময় বিজেপি সভাপতি ছিলাম। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশই শিবসেনার সঙ্গে জোটের আলোচনা করেছিলেন। সেই সময় ঠিক হয়েছিল, এনডিএ যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তবে দেবেন্দ্র মুখ্যমন্ত্রী হবেন। উদ্ধরও এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই ঠাকরে সেই প্রতিশ্রুতি ভাঙেন এবং কংগ্রেস-এনসিপির কোলে গিয়ে বসেন।”

    আরও পড়ুুন: পাহাড়়ে চাপে তৃণমূল! পঞ্চায়েতে মহাজোটের পথে বিজেপি

    শাহ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা তাদের প্রতীক তীর-ধনুক ফিরে পেয়েছে। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, আসল শিবসেনা কারা।” সংখ্যালঘু সম্পর্কে উদ্ধবের অবস্থান ঠিক কী, এদিন তাও স্পষ্ট করতে বলেন শাহ। বলেন, “তিন তালাক বিলোপ, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু, মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণ এবং অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে আপনার অবস্থান স্পষ্ট করুন।”

    শাহের নিশানায় রাহুল

    উদ্ধবের পাশাপাশি এদিন কংগ্রেসকেও একহাত নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। বলেন, “গত ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যা করেছেন, কংগ্রেস তা চার প্রজন্ম ধরেও করতে পারেনি।” এর পরেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেন শাহ। বলেন, “রাহুল বাবা যখন বিদেশে যান, তখন দেশের রাজনীতি নিয়ে কিছু বলেন না। আপনি যদি এ সম্পর্কে না জানেন, তাহলে প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের জিজ্ঞাসা করে নিন। রাহুল বাবা দেশে মুখ খোলেন না। বিদেশে গিয়ে বলেন। কারণ এদেশে তাঁর কথা শোনার মতো লোক খুব একটা নেই।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছেন মোদি। আর কংগ্রেসের যুবরাজ রাহুল বিদেশে গিয়ে দেশকে অপমান করছেন। মনে রাখবেন, মানুষ কিন্তু এটা দেখছেন”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Election 2023: কর্নাটকে হেরেও অক্ষত বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক, মমতা বলে দিলেন ‘শেষের শুরু’?

    Karnataka Election 2023: কর্নাটকে হেরেও অক্ষত বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক, মমতা বলে দিলেন ‘শেষের শুরু’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের (Karnataka Election 2023) ফলাফলে কংগ্রেস যত না উল্লসিত, তার থেকেও বেশি লম্ফ-ঝম্ফ করতে দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের। এ রাজ্যে অন্তত ছবিটা তেমনই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো এই একটি রাজ্যের ফলাফলের ভিত্তিতে বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলের ‘শেষের শুরু’ দেখতে শুরু করে দিয়েছেন। যা তিনি তৃণমূল সর্বভারতীয় দলের তকমা হারানোতেও দেখতে পাননি, দেখতে পাননি ত্রিপুরায় দলের শোচনীয় ফলাফলেও! তিনি একইসঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণীও করে দিয়েছেন, সামনে ছত্তিসগড়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনেও বিজেপির নাকি এমনই হাল হবে। কেমন হাল? আসুন একবার চোখ বোলানো যাক, কর্নাটকে বিজেপির ফলাফল এবার ঠিক কেমন হয়েছে। মমতার আশামতো কতখানি তারা ‘নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গেছে!

    কর্নাটকে হেরেও অক্ষত বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক

    নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কর্নাটকে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে (Karnataka Election 2023) বিবাদমান মূল তিনটি দলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা হল: কংগ্রেস ১৩৫, বিজেপি ৬৬ এবং জনতা দল সেকুলার ১৯। ভোটপ্রাপ্তির হার শতাংশের হিসাবে হল এইরকম: কংগ্রেস ৪২.৮৮ শতাংশ, বিজেপি ৩৬ শতাংশ এবং জনতা দল সেকুলার ১৩.২৯ শতাংশ। এবার দেখা যাক, এর আগের বিধানসভা নির্বাচনে এই তিন মূল প্রতিপক্ষ কতগুলি করে আসন পেয়েছিল এবং ভোটপ্রাপ্তির হারই বা কেমন ছিল। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যা ছিল এইরকম: বিজেপি ১০৪, কংগ্রেস ৮০ এবং জনতা দল সেকুলার ৩৭। ভোটপ্রাপ্তির হার এইরকম: বিজেপি ৩৬ শতাংশ, কংগ্রেস ৩৮ শতাংশ এবং জনতা দল সেকুলার ১৮ শতাংশ। ভোট বিশেষজ্ঞরা দুটি বিধানসভা নির্বাচনের ওই অঙ্কের হিসাবের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে বলছেন, বিজেপির আসন সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমেছে, একথা ঠিক। কিন্তু এটাও ঠিক, তাদের ভোটপ্রাপ্তির হার এতটুকু কমেনি। ২০১৮ সালে যা ছিল ৩৬ শতাংশ, ২০২৩ সালে এসেও তা সেই ৩৬ শতাংশই রয়েছে। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, কংগ্রেস যে বিপুলভাবে এবং রেকর্ড সৃষ্টি করে জিতল, তা কীভাবে সম্ভব হল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাও ওই ছোট্ট অঙ্কের হিসাব থেকেই পরিষ্কার। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যে পাঁচ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছে, তার পুরোটাই এসেছে জনতা দল সেকুলারের বদান্যতায়। ওই দলের ভোটপ্রাপ্তির হার ১৮ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১৩ শতাংশ। পাশাপাশি কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তির হার ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ। 
    লিঙ্গায়েত, ভোক্কালিগার সঙ্গে সংখ্যালঘু এবং দলিত ‘অহিন্দা’ সম্প্রদায়ের লড়াই, হিজাব নিষিদ্ধকরণ এবং সর্বোপরি বজরংবলী ইসু নাকি বিজেপিকে এই রাজ্যে ধরাশায়ী করে দিয়েছে। অনেকে আবার বলছেন, রাহুল গান্ধীর পদযাত্রাই গেরুয়া শিবিরের পায়ের তলার মাটি আলগা করে দিয়েছে। কারণ যাই হোক, কংগ্রেস যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ওই রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে, এ নিয়ে কোনও সংশয়ের অবকাশ নেই। কিন্তু তাই বলে বিজেপি শেষ হয়ে গেল, পরিসংখ্যান কিন্তু সে কথা বলছে না। সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে পরিষ্কার, বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে এতটুকুও চিড় ধরেনি। ফলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো যাঁরা বলে বেড়াচ্ছেন বিজেপির শেষের দিন শুরু, তারা কিন্তু তা করছেন বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে নয়, বরং পুরোপুরি অবিবেচকের মতোই, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    ত্রিপুরায় খাতাই খুলতে পারেনি তৃণমূল!

    এবার দেখে নেওয়া যেতে পারে, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির এই ফলাফল (Karnataka Election 2023) নিয়ে উল্লসিত, তাঁর দল তৃণমূল ত্রিপুরায় কী ফল করেছে। তৃণমূল চেয়েছিল উত্তর-পূর্ব ভারতে সম্প্রসারণ ঘটাতে। তার জন্য দলের তাবড় নেতারা ত্রিপুরায় গিয়ে পড়ে থেকেছেন, দলের হয়ে লাগাতার প্রচার করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফলে দেখা গেল, সব চেষ্টাই জলে গিয়েছে। সেখানে তৃণমূলের প্রাপ্তি শূন্য। একমাত্র মুখ রক্ষা করেছে মেঘালয়। অর্থাৎ সাম্প্রতিক ভোটের ফলে পরিষ্কার, তৃণমূল এখনও কুয়োর ব্যাঙ হয়েই রয়ে গিয়েছে, সাগরে ঘুরে বেড়ানোর স্বাদ তার মেটেনি। কর্নাটকের কথাই ধরা যাক। সেখানে কি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও আছেন? প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে তাঁদের এত উল্লাস কীজন্য? আর সিপিএম? কর্নাটকে এই দলটি তো নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়েছে। তারপরেও কংগ্রেসের জয়ে তারা বাংলায় বিজয় মিছিল বের করে দিয়েছে। এসব দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আড়ালে হাসাহাসিই করছেন।

    বেঙ্গালুরু শহরাঞ্চলে এখনও দাপট বিজেপিরই

    ভোটের (Karnataka Election 2023) ফলাফল পর্যালোচনা করে আরও একটি জিনিস পরিষ্কাের, কর্নাটকে শহরাঞ্চলের মানুষ এখনও বিজেপির প্রতি তাদের আস্থা বজায় রেখেছে। আর সেই কারণেই খোদ বেঙ্গালুরু শহরে বিজেপির ভোট বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। সেখানে জনতা দল সেকুলারের ভোট কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। যদিও উল্টো ঘটনাই ঘটেছে দক্ষিণ কর্নাটকে। সেখানেও জনতা দল সেকুলারের ভোট কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। কিন্তু তার পুরোটাই গিয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। আরও লক্ষণীয় বিষয় হল, যে উপকূল এলাকায় বিজেপির লড়াই ছিল মূলত হিজাব এবং হালাল ইসুতে, সেখানে তাদের ভোটব্যাঙ্ক কার্যত অক্ষুন্ন রয়েছে এবং ভোটপ্রাপ্তির হার প্রায় ৪৭ শতাংশ।

    বরাবরই পরিবর্তনের পক্ষে কর্নাটক

    দক্ষিণের এই রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে অনেকেই এক আসনে বসাচ্ছেন। ইতিহাস কিন্তু সে কথা বলছে না। এই রাজ্য আগাগোড়া পরিবর্তনপন্থী। মনে রাখতে হবে, দক্ষিণের এই রাজ্য আসলে কংগ্রেসেরই মূল ঘাঁটি। ১৯৮৩ সালে প্রথম জনতা পার্টি সেই একাধিপত্যে আঘাত হেনেছিল এবং কংগ্রেসকে সরিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন রামকৃষ্ণ হেগড়ে। ২০০৪ এবং ২০১৮ বাদ দিলে এই রাজ্যে সরকার বদল হয়েছে বারবার। বিজেপির পথ চলা শুরু হয় ১৯৯১ সালে, মাত্র ৪ টি আসন দিয়ে। ১৯৯৪ সালে এটাই এক ধাক্কায় দশগুণ বেড়ে হয় ৪০। এরপর আর বিজেপিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ভোটের এই ফল দেখে বলছেন, ভারতের বৃহৎ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যে এখনও অক্ষুন্ন রয়েছে, তা এ থেকেই পরিষ্কার। রিগিং, ছাপ্পা, বুথ দখল এসব কিছুই শোনা যায়নি এই রাজ্যের ভোটে।
    ধরা যাক, ভোট-পরবর্তী হিংসার কথাও। ২০২১ সালের ২ মে ফলাফলে যখনই পরিষ্কার হয়ে গেল বাংলায় ফের ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল, তখন বিরোধী বিশেষত বিজেপি সমর্থকদের ওপর যে আক্রমণ নেমে এসেছিল, তার ভুরি ভুরি উদাহরণ এখনও আমাদের চোখের সামনে। এখনো বহু মানুষ ঘরছাড়া, নিজের সামান্য দোকানটুকুও খুলতে পারছেন না। কিন্তু দক্ষিণের ওই রাজ্য বিজেপির মতো একটি সর্বভারতীয় এবং বৃহৎ দলের কাছে যে বিপর্যয় (Karnataka Election 2023) ডেকে আনল, তার কোনও বিরূপ প্রভাব সমাজে কিন্তু পড়েনি। রাজ্য চলেছে তার স্বাভাবিক ছন্দে। এই পরাজয়কে মেনে নিয়েই এগিয়ে চলেছে বিজেপি। নেই কোনও আক্রোশ, নেই কোনও হামলাবাজির ঘটনা। 

    কী বলেছিলেন বিজেপির মুখপাত্র?

    বিজেপির মতো একটি সর্বভারতীয় দল এই ফলকে যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখছে, তা দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথাতেও পরিষ্কার। কর্নাটকের পরাজয় (Karnataka Election 2023) নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “একটা সর্বভারতীয় দলের কাছে এটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। তাতে হেরেছে। আর লোকসভা নির্বাচন একদিনের ম্যাচ নয়, পাঁচদিনের টেস্ট। তৃণমূল দল তো রাজনীতিকে খেলা মনে করে। ওরা খেলুক। ২০২৪ পর্যন্ত দলটা থাকবে কিনা, সেটাই সন্দেহ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: আজ সরকারি বাংলো ছাড়ছেন রাহুল! থাকবেন মা সোনিয়ার সঙ্গেই

    Rahul Gandhi: আজ সরকারি বাংলো ছাড়ছেন রাহুল! থাকবেন মা সোনিয়ার সঙ্গেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই সরকারি বাড়ি ছাড়ছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সাংসদ পদ খারিজ (Defamation Cases) হতেই বাংলো খালি করতে বলা হয় তাঁকে। শনিবার দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের সরকারি বাংলোর চাবি লোকসভার সচিবালয়ের হাতে তুলে দেবেন বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো ছিল রাহুল গান্ধীর।এবার মা সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গেই থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

    থাকবেন মা-এর সঙ্গে

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, শুক্রবার তিনি তাঁর তুঘলক লেনের বাংলা থেকে অধিকাংশ জিনিস সরিয়ে নিয়েছেন। গত ১৪ এপ্রিল থেকেই কংগ্রেস নেতা তাঁর অফিস সহ একাধিক নথি, জিনিসপত্র সরানোর কাজ শুরু করেন। ট্রাকে করে জিনিসপত্র মা সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে শিফট করা হয়েছে। কিছু জিনিসপত্র ছিল। সেগুলিও শুক্রবার সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সরকারি বাংলো খালি করা নিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়ার মাসের পর মাস কেটে গেলেও সরকারি বাংলো ছাড়েননি বেশ কয়েকজন সাংসদ। সেই কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধী। যদিও, সাংসদ না থাকার কারণে প্রটোকল অনুযায়ী রাহুলকে সরে যেতেই হতো।

    আরও পড়ুন: চারধাম যাত্রায় আজ খুলছে গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী মন্দির! কেদারনাথ, বদ্রীনাথ কবে? 

    গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ে একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত একটি মন্তব্য করে বসেন রাহুল গান্ধী। আর এরপরেই গুজরাটের একটি আদালতে মামলা হয় তাঁর নামে। মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল গান্ধী। আদালত তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। সেই কারণে লোকসভার নিয়ম অনুযায়ী তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি আর সাংসদ নন। সেই কারণে সাংসদ কোটায় পাওয়া বাংলো ছেড়ে দিতে হবে রাহুল গান্ধীকে। তাঁকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে বাংলো খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস নেতাও সেই মতোই ২২ এপ্রিল তাঁর দুই দশকের পুরনো ঠিকানা ছাড়ছেন বলে সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi News: ওয়েনাড়ে চ্যালেঞ্জের মুখে রাহুল, বিজেপির প্রার্থী কে জানেন?

    Rahul Gandhi News: ওয়েনাড়ে চ্যালেঞ্জের মুখে রাহুল, বিজেপির প্রার্থী কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi News)। উত্তরপ্রদেশের আমেঠি লোকসভা কেন্দ্রে হেরে গিয়েছিলেন। তাঁকে গোহারা হারিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। রাহুল জিতেছিলেন কেরালার ওয়েনাড় কেন্দ্রে।

    বিজেপির প্রার্থী (Rahul Gandhi News)

    কেরালার এই আসনটিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রনকে প্রার্থী করল গেরুয়া শিবির। ওয়েনাড় কেন্দ্রটি কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। ২০০৯ সাল থেকে এই কেন্দ্রে টানা জয়ী হয়ে আসছে কংগ্রেস। এবার সুরেন্দ্রনকে প্রার্থী করে রাহুলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। ওয়েনাড়ে বিজেপির পাশাপাশি রাহুলকে (Rahul Gandhi News) লড়তে হবে বামেদের প্রার্থীর সঙ্গেও। সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেস এবং বামেরা ‘ইন্ডি’ জোটে থাকলেও, দক্ষিণের রাজ্যগুলির অনেক কেন্দ্রেই সম্মুখ সমরে ‘ইন্ডি’র বিভিন্ন শরিক।

    কে এই সুরেন্দ্রন?

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন সুরেন্দ্রন। হেরে গিয়েছিলেন। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনেও পরাস্ত হয়েছিলেন তিনি। সেবার হেরেছিলেন মাত্র ৮৯ ভোটে। উনিশের উপনির্বাচনেও পদ্ম প্রতীকে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছিলেন সুরেন্দ্রন। তবে লড়াকু মানসিকতা এবং মাটি কামড়ে পড়ে থাকার ক্ষমতা থাকায় সুরেন্দ্রনকে ২০২০ সালে বিজেপির কেলারা ইউনিটের সভাপতি করা হয়। শবরীমালা মন্দির বিতর্কে প্রতিবাদীদের মুখ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন তিনি। এহেন এক প্রতিবাদীকেই রাহুলের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেরলের দুটি আসনের দিকে এবার নজর থাকবে দেশবাসীর। একটি ওয়েনাড়, যেখানে সম্মুখ সমরে রাহুল-সুরেন্দ্রন। আর একটি হল তিরুবনন্তপূরম। এখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির রাজীব চন্দ্রশেখরের সঙ্গে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন কংগ্রেসের শশী থারুর।

    আরও পড়ুুন: তমলুকে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল হারিয়েছিলেন সিপিআই প্রার্থী পিপি সুনেরকে। ৪ লাখ ৩০ হাজার ভোটে পরাস্ত করেছিলেন সিপিআই প্রার্থীকে। এবারও রাহুলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন প্রবীণ বাম নেত্রী  অ্যানি রাজা। ওয়েনাড়ে যাতে রাহুল প্রার্থী না হন, সেজন্য চেষ্টার কম কসুর করেননি সিপিআই নেতৃত্ব। তার পরেও লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন ইন্ডি জোটের বড় শরিক কংগ্রেসের প্রার্থী রাহুল। এই ভোট কাটাকুটির খেলায় বিজেপির সুরেন্দ্রর জয় অনিবার্য বলে আশাবাদী পদ্ম নেতৃত্ব। এখন দেখার, কেরলের এই আসনে শেষ (Rahul Gandhi News) হাসি হাসেন কে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • PM Modi: রাহুলের ‘শক্তি’-মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ মোদির, কী বললেন?

    PM Modi: রাহুলের ‘শক্তি’-মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ মোদির, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ইন্ডি’ জোট শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আমরা তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থী।” রবিবার এভাবেই বিরোধী জোটকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বললেন, তাদের (বিরোধী) ইস্তাহারেও শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

    শক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মত (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার কাছে প্রত্যেক মা, প্রত্যেক কন্যা শক্তির রূপ।” তেলঙ্গানার সভায় উপস্থিত মহিলা কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “ওঁরা শক্তি স্বরূপ। আমায় আশীর্বাদ করতে এসেছেন।” মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কের এক সমাবেশে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “হিন্দু ধর্মে শক্তি শব্দটি রয়েছে। আমরা একটি শক্তির বিরুদ্ধেই লড়ছি। এই শক্তি হল ইভিএম এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান।”

    ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা মোদির

    কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির এই বক্তব্যকেই হাতিয়ার করে ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (PM Modi) বলেন, “ইন্ডি জোট যে শক্তিকে শেষ করার শপথ নিয়েছে, আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করছি। এই শক্তিকে রক্ষা করতে আমি আমার জীবন নিবেদন করব। ভারতভূমে দাঁড়িয়ে কেউ কি শক্তি ধ্বংসের কথা বলতে পারেন?” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা প্রত্যেকেই শক্তির পুজো করি। চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণ স্থলের নামও দেওয়া হয়েছিল শিব-শক্তি। এই শক্তিকে ধ্বংস করার সুযোগ কি আপনারা ওঁদের দেবেন?” তিনি বলেন, “বর্তমানে লড়াই হচ্ছে দু’দলের। একদল শক্তির আরাধনা করেন। আর অন্য দল প্রতিনিয়ত সেই শক্তিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে চলেছে।” তিনি বলেন, “৪ জুনই ঠিক হয়ে যাবে শেষ হাসি হাসবে কারা – যারা শক্তিকে ধ্বংস করতে চায় নাকি যারা নিরন্তর শক্তির আশীর্বাদ চাইছেন।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘কাউন্সিলর-এমএলএ-এমপিরা খুব টাকা খাচ্ছে, আর…’’ গার্ডেনরিচকাণ্ডে কটাক্ষ দিলীপের

    লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। সাত দফায় নির্বাচন হবে। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। এদিন প্রথম দফার নির্বাচন হবে উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্য সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের তিন আসনেও। এই দুই রাজ্যে এদিনই হবে বিধানসভার নির্বাচনও। লোকসভার ৫৪৩টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে সাত দফায়। প্রথম দফায় নির্বাচন হবে ১০২টি আসনে। এই লোকসভা নির্বাচনেই বিজেপিকে মাত দিতে ইন্ডি জোট গড়েছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। এদিন তেলঙ্গানার সমাবেশে সেই জোটকেই আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “রাজ্যের ক্ষমতা নেই আটকানোর, রাজনীতি করবেন না”, সিএএ নিয়ে মমতাকে ‘শাহি’ তোপ

    Amit Shah: “রাজ্যের ক্ষমতা নেই আটকানোর, রাজনীতি করবেন না”, সিএএ নিয়ে মমতাকে ‘শাহি’ তোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হাতজোড় করে বলছি, রাজনীতি করবেন না। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের সঙ্গে অবিচার করবেন না।” বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিএএ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এটাই মনে করিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ‘শরণার্থী’ ও ‘অনুপ্রবেশকারী’র মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না বলেও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেনাপতি।

    ভোটের রাজনীতি! (Amit Shah)

    সোমবার রাতে দেশজুড়ে লাগু হয়েছ সিএএ। যথারীতি তার পরেই ভোটে ফসল কুড়োতে রাজনীতি করতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি বিরোধী কয়েকটি দল। সিএএ নিয়ে রাজনীতি না করতে বুধবারই অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার ঠিক পরের দিনই একই অনুরোধ করলেন তাঁর সেনাপতি।দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই নির্বাচনে ভোট কুড়োতে সিএএ নিয়ে রাজনীতি করতে শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যথারীতি খেলে দিয়েছেন চিরাচরিত হিন্দু-মুসলিম তাস। সিএএ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘সিএএ চালু করে ভোটের আগে বিজেপি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে’।

    কী বললেন শাহ?

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন অভিযোগেরও মুখের মতো জবাব দিয়েছেন শাহ। বলেন, “যদি আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে এই ধরনের রাজনীতি করেন, তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে অনুপ্রবেশ চলতে দেন, তাহলে মানুষ আপনার সঙ্গে থাকবে না। মমতা জানেন না, কাকে শরণার্থী বলে, আর কাকেই বা বলে অনুপ্রবেশকারী।” বিরোধীদের একই বন্ধনীভুক্ত করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রাহুল গান্ধী, মমতা কিংবা কেজরিওয়াল – সব বিরোধী দল মিথ্যার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।”

    ‘‘সিএএ কখনওই প্রত্যাহার করা হবে না’’

    তিনি (Amit Shah) বলেন, “আমাদের দেশে ভারতীয় নাগরিকত্ব সুরক্ষিত রাখা আমাদের সার্বভৌম অধিকার। আমরা তার সঙ্গে আপস করব না। সিএএ কখনওই প্রত্যাহার করা হবে না।” শাহ বলেন, “বিরোধীরা তোষণের রাজনীতি করছেন। বিজেপির কাছে সিএএ রাজনীতির বিষয় নয়।” শাহ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে খুব শীঘ্রই ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। সেদিন আর বেশি দূরে নেই। বিজেপি ক্ষমতায় এসে বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে।”

    বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছেন, এরাজ্যে সিএএ হতে দেবেন না। এদিন এই নিয়েও তৃণমূলনেত্রীকে একহাত নেন শাহ। মোদির ডেপুটি মনে করিয়ে দেন, কোনও রাজ্য সিএএ আটকাতে পারবে না। এটা তাদের ক্ষমতায় নেই। শাহ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কোনও ক্ষমতা নেই সিএএ-কে আটকানোর। নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয় সম্পূর্ণ কেন্দ্রর বিষয়, রাজ্যের কোনও ভূমিকা নেই।’’ একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, এখন ভোটের জন্য বিরোধিতা হচ্ছে, কিন্তু পরে সবাই সমর্থন করবেন।

    আরও পড়ুুন: শেখ শাহজাহানের ডেরায় ইডি, সকাল থেকেই সন্দেশখালির নানা প্রান্তে চলছে তল্লাশি

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পাশ হয় সিএএ। লাগু হয়েছে সোমবার। এই আইন অনুযায়ী, মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে কেউ (হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কেউ) যদি ভারতে আশ্রয় চান, তাহলে তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে নয়া এই আইন বলে (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেসের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, নেই বাংলার কোনও আসন

    Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেসের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, নেই বাংলার কোনও আসন

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ৮ মার্চ কংগ্রেস প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল। ১২ মার্চ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিল কংগ্রেস। দ্বিতীয় দফায় ৪৩টি আসনের প্রার্থী তালিকা (Congress Candidate List) প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম দফার মতো এবারেও বাংলার কোনও আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি (Lok Sabha Election 2024)। যে রাজ্যগুলির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল কংগ্রেস সেগুলি হল- অসম, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড এবং দমন ও দিউ। বাংলার আসনগুলিতে প্রার্থী দিতে কেন দেরি করছে কংগ্রেস? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিধান ভবনে।

    পরিবারতন্ত্রের প্রতিফলন প্রার্থী তালিকায়

    তবে এই দ্বিতীয় দফার তালিকাতেও (Lok Sabha Election 2024) দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের পরিবারবাদী রাজনীতির ছাপ। সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমলনাথ ও তাঁর পুত্র বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন এমন জল্পনা ছড়ায়। কিন্তু মঙ্গলবার দেখা গেল, এবারের লোকসভা ভোটে সেই কমলনাথের ছেলে নকুলনাথকে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা থেকে প্রার্থী করছে কংগ্রেস (Congress Candidate List)। অন্যদিকে রাজস্থানেরও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পুত্র বৈভব গেহলটও টিকিট পেয়েছেন। রাজস্থানের জালোর থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের পুত্র গৌরব গগৈকে সেরাজ্যের জোরহাট থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।

    রাজস্থানেরই ১০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই ৪৩ জন প্রার্থীর (Lok Sabha Election 2024) মধ্যে ১৩ জন ওবিসি সম্প্রদায়ের। যেখানে, ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন তফশিলি জাতির এবং ৯ জন প্রার্থী তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের রয়েছেন। প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় রাহুল গান্ধী, শশী থারুর-সহ ৩৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় তালিকায় (Congress Candidate List) ৪৩ জনের প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই রাজস্থানের ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: জনসভায় মোদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ, রাহুলকে ফের সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন

    Rahul Gandhi: জনসভায় মোদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ, রাহুলকে ফের সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) রাজনৈতিক ভাষণ নিয়ে সতর্ক করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। অভিযোগ, বেশ কিছু জায়গায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ‘অপয়া’, ‘পকেটমার’ বলে কটাক্ষ করেন রাহুল। এ নিয়ে একটি মামলায় নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে দিল্লি হাইকোর্ট। এরপরই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে রাহুলকে বিরূপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    ঘটনার সূত্রপাত, গত বছর ২২ নভেম্বর মাসে। বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজস্থানে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ‘পকেটমার’ বলে খোঁচা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের মন্তব্যের নিন্দা করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। এরই পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্টে করা হয়েছিল একটি মামলা। সেই মামলার পর্যবেক্ষণে দিল্লি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি পুষ্কর্ণার বেঞ্চ জানিয়েছিল, রাহুলের (Rahul Gandhi) করা ‘পকেটমার’ কটাক্ষ-বাণ প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আঘাত লাগার জন্য যথেষ্ট। আদালতের বক্তব্য ছিল, “এই ধরনের মন্তব্য রুচিসম্মত নয়।” সেই সময় কমিশনকে (Election Commission) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৮ সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের মন্তব্য যাতে কেউ না করেন, তার জন্য আইন প্রণয়নের ব্যাপারে পদক্ষেপের জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: আম্বানি-পুত্রের প্রাক-বিবাহের প্রস্তুতি, ১০ দিনের জন্য আন্তর্জাতিক তকমা বিমানবন্দরের

    রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নির্দেশ

    এই নিয়ে আগেই রাহুলকে (Rahul Gandhi) নোটিস ধরায় নির্বাচন কমিশন। আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের বিরুদ্ধে কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, জবাব চাওয়া হয় রাহুলের কাছে। সেই মতো জবাবও দেন রাহুল। এবার রাহুলকে সতর্ক করল কমিশন। ভবিষ্যতে এমন আচরণ করলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনের সময় তারকা প্রচারক এবং রাজনৈতিক নেতাদের জন্য যে নির্দেশিকা রয়েছে কমিশনের, তা মেনে চলতে হবে রাহুলকে। গত ১ মার্চ ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়, যাতে সব দলকে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানায়, আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল, তাদের তারকা প্রচারক এবং দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: ‘স্টার্টআপ নন-স্টার্টার হয়ে গেলেন’, রাহুলকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Narendra Modi: ‘স্টার্টআপ নন-স্টার্টার হয়ে গেলেন’, রাহুলকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবারতন্ত্র নিয়ে রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও কটাক্ষ করেন তিনি। সরাসরি নাম না করলেও, কংগ্রেসের ‘যুবরাজ’ বলে এদিন রাহুলকে কটাক্ষ করেন মোদি। আগেও একাধিক বার রাহুলকে ‘যুবরাজ’, ‘শাহজাদা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। ‘যুবরাজ’কে ‘স্টার্ট-আপ’ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিল কংগ্রেস, কিন্তু রাহুল ‘নন-স্টার্টার’ হয়ে রয়ে গেলেন বলে এদিন দাবি করেন মোদি (Narendra Modi)। 

    রাহুলকে খোঁচা

    বুধবার রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে মোদি বলেন, “একই পরিবারের একাধিক সদস্য নিজের ক্ষমতায় রাজনীতি ক্ষেত্রে এগিয়ে চলে, তাহলে তো কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কোনও পরিবার যখন রাজনৈতিক দল চালায় তখন সেটা পরিবারতন্ত্র। এর ফল ভুগছে দেশ।”  নাম না করে তিনি বলেন, “যুবরাজকে স্টার্ট-আপ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নন-স্টার্টার হয়েই রয়ে গেলেন। উনি না কিছু তুলতে পারেন, না কিছু ছুড়তে।” ভারত জোড়ো যাত্রা’য় যে ‘মহব্বত কি দুকান’ স্লোগান শুরু করেন রাহুল, সেই নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন মোদি। তাঁর কথায়, “কংগ্রেসের ‘দুকান’ বন্ধ হওয়ার জোগাড়। বার বার একই পণ্য ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাজারে আনার চেষ্টা চলছে। কিন্তু চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে বার বার।”

    আরও পড়ুন: ‘সরকারি শিক্ষকরা বেতন নিয়ে মাথা ঘামান, ছাত্রদের পড়ানো নিয়ে নয়’, উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

    পরিবারতন্ত্রের পুজো

    গত সোমবারই সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “অধীরবাবুকে (অধীর চৌধুরী) দেখে আমার কষ্ট হয়। পরিবারতন্ত্রের পুজো করতে হয় তাঁকে। কংগ্রেসে কোনও প্রতিভাবানদের স্থান নেই। একটা পরিবার দলের সব সিদ্ধান্ত নেয়।” এই প্রসঙ্গে তিনি নিশানা করেন রাহুল গান্ধীকেও। লোকসভায় দাঁড়িয়ে নাম না করে মোদির খোঁচা, “একই প্রোডাক্ট বার বার লঞ্চ করতে গিয়ে কংগ্রেসের দোকানে তালা ঝোলার পরিস্থিতি এসে গিয়েছে।” এদিন কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে ৪০টি আসনও পার করতে পারবে না কংগ্রেস।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share