Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • PM Modi: টাকার গদিতে গড়াগড়ি দিচ্ছেন রাহুল! ভিডিও পোস্ট করে ধীরজ ইস্যুতে কংগ্রেসকে খোঁচা মোদির

    PM Modi: টাকার গদিতে গড়াগড়ি দিচ্ছেন রাহুল! ভিডিও পোস্ট করে ধীরজ ইস্যুতে কংগ্রেসকে খোঁচা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর বাড়ি থেকে নগদ উদ্ধার হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। পাশাপাশি তিন কেজি সোনাও উদ্ধার হয়েছে। এই বিপুল সম্পদ উদ্ধার নিয়ে গোটা দেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। টাকা উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে কংগ্রেস। মঙ্গলবারই কংগ্রেসকে এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন বিজেপির এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। যেখানে নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় ‘মানি হাইস্ট’ সিরিজের ফুটেজে রাহুল গান্ধীর মুখ বসিয়ে দেখানো হয়েছে টাকার বিছানায় শুয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা। এই ভিডিওটিকে রিপোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির ট্যুইট

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নিজের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে লেখেন, “কংগ্রেস পার্টি থাকতে, ভারতে, আর কার ‘মানি হাইস্ট’ ফিকশনের প্রয়োজন? গত ৭০ বছর ধরে কংগ্রেসের চুরি কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছে। সেই ধারা এখনও চলছে।”

    ৫ দিন ধরে আয়কর বিভাগের ৯টি দলের তল্লাশি

    প্রসঙ্গত, ধীরজ সাহুর সঙ্গে একাধিকবার রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গের মতো শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের হাত মেলানোর ছবি সামনে এসেছে। আবার ধীরজ সাহুর একটি ছবি ফেসবুক বেশ ভাইরাল হয়েছে। পোস্টে দেখা যাচ্ছে পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে তিনি সাইকেল চালাচ্ছেন। যা নিয়ে নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। কেউ কেউ লিখছেন, বাড়ির টাকাগুলো বের করলেই তো পেট্রোল কেনা যায়। ধীরজ শাহুর বাড়িতে আয়কর বিভাগের নয়টি দলকে পাঁচ দিন ধরে টাকা গুনতে হয়েছে। মাঝে মাঝে বিগড়ে গিয়েছে টাকা গোনার মেশিনও। এ নিয়ে আগেই ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। একটি দৈনিক পত্রিকার কাটিং-কে পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, জনগণের থেকে লুট করা সমস্ত পয়সা ফেরত দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: এবার নাড্ডার নিশানায় কংগ্রেস-ধীরজ, কী বললেন বিজেপি সুপ্রিমো?

    JP Nadda: এবার নাড্ডার নিশানায় কংগ্রেস-ধীরজ, কী বললেন বিজেপি সুপ্রিমো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) নিশানায় কংগ্রেস এবং হাত-শিবিরের ঝাড়খণ্ডের সাংসদ ধীরজ সাহু। রবিবার দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বিজেপি প্রধান। সেখানেই নিশানা করেন কংগ্রেসকে।

    উদ্ধার ২৯০ কোটি টাকা

    কংগ্রেসের ঝাড়খণ্ডের সাংসদ ধীরজের সংস্থার বিভিন্ন অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৯০ কোটি টাকা। আয়কর দফতর অভিযান চালিয়ে ওই টাকা উদ্ধার করেছে। তা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ধীরজের এই নগদ অর্থই নয়া অস্ত্র তুলে দিয়েছে বিজেপির হাতে। এক্স হ্যান্ডেলে নাড্ডা লিখেছেন, “বন্ধু, আপনি (ধীরজ) এবং আপনার নেতা রাহুল গান্ধী, আপনাদের দুজনকেই জনগণের কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে। এটা নিউ ইন্ডিয়া। এখানে রাজপরিবারের নামে এক্সপ্লয়টেশন বরদাস্ত করা হবে না। দৌড়তে দৌড়তে আপনি ক্লান্ত হয়ে যাবেন। কিন্তু আইন আপনাকে ছাড়বে না।”

    মোদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গ্যারান্টি

    তিনি লিখেছেন, “যদি কংগ্রেস দুর্নীতির গ্যারান্টি হয়, তবে মোদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গ্যারান্টি। জনগণের কাছ থেকে লুটে নেওয়া প্রতিটি পাই-পয়সা তাঁদের ফেরত দেওয়া হবে।” নগদ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত (JP Nadda) দাবি করেছে ওড়িশা বিজেপি। শাসক দল বিজেডির কাছেও এ ব্যাপারে কৈফিয়ত চেয়েছে তারা। ওড়িশা বিজেপির মুখপাত্র মনোজ মহাপাত্র এদিন একটি ছবিও সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের এক মহিলা মন্ত্রী মঞ্চ শেয়ার করছেন এমন এক মদ ব্যবসায়ীর সঙ্গে, যাঁর বাড়িতেও অভিযান চালাচ্ছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

    গত বুধবার থেকে ধীরজের বাড়ি ও সংস্থার বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে আয়কর দফতর। উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা গুণতে আগে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪০টি মেশিন আনা হয়েছিল। আজ আরও বেশ কয়েকটি মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে। দলীয় সাংসদের সংস্থার অফিসে টাকার পাহাড়ের হদিশ মেলায় ধীরজের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছে কংগ্রেস। শনিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। কেবল তিনিই এ ব্যাপারে বলতে পারবেন। তাঁরই উচিত এর ব্যাখ্যা দেওয়া। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন জায়গা থেকে আয়কর দফতর এই টাকা উদ্ধার করেছে। তাঁর সম্পত্তির বহর সম্পর্কে ব্যাখ্যা তাঁকেই দিতে হবে (JP Nadda)।”

    আরও পড়ুুন: দলীয় সাংসদের বাড়িতে নোটের পাহাড়! ধীরজকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Assembly Election Result: পদ্মময় গোবলয়ের তিন রাজ্য, কেবল দক্ষিণেই মুখরক্ষা কংগ্রেসের

    Assembly Election Result: পদ্মময় গোবলয়ের তিন রাজ্য, কেবল দক্ষিণেই মুখরক্ষা কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি ম্যাজিকে আরও একবার বেআব্রু হয়ে গেল কংগ্রেসের হাঁড়ির হাল। সবে মাত্র গান্ধী পরিবারের প্রত্যক্ষ ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে নয়া সভাপতি পেয়েছে দল। দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোটে মল্লিকার্জুন খাড়গে হয়েছেন সভাপতি। তার পরেও যে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির স্বাস্থ্যের বিশেষ উন্নতি হয়নি, রবিবাসরীয় সন্ধেয় ফের একবার প্রমাণ মিলল তার।

    চার রাজ্যের ফল

    এদিন গণনা হয়েছে চার রাজ্যের ফল। তাতে দেখা গিয়েছে তিনটি রাজ্যের রশি যাচ্ছে বিজেপির (Assembly Election Result) হাতে। মাত্র একটির রাশ যাচ্ছে ‘হাতে’। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেসের এই হালে কর্মী-সমর্থকরা হতাশ হবেন, তা বলাই বাহুল্য। কংগ্রেসের এহেন ফলের পর বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের ‘ইন্ডি’ জোট আদৌ টিকবে কিনা, সে প্রশ্নও উঠে গেল।

    পাশা উল্টেছে রাজস্থানেও

    গোবলয়ের তিন রাজ্যের রাশই গিয়েছে পদ্ম শিবিরের হাতে। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৩০। ম্যাজিক ফিগার ১১৬। এর মধ্যে বিজেপি এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে ১৬৭টি আসনে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ৬২টি। আর অন্যদের ক্ষেত্রে একটি। পাশা উল্টেছে রাজস্থানেও। সেখানেও কংগ্রেসের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছে বিজেপি। ২০০ আসনের এই রাজ্যে নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯টিতে। কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন হয়নি একটি আসনে। এখানে আপাতত সরকার গড়তে প্রয়োজন ১০০টি আসন। এর মধ্যে বিজেপি (Assembly Election Result) এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে ১১৫টি আসনে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৬৯। বিএসপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ২।

    রাজ্যের নাম মোট আসন নিরঙ্কুশ সংখ্যা বিজেপি এগিয়ে/জয়ী

    কংগ্রেস

    এগিয়ে/ জয়ী

    বিআরএস

    এগিয়ে/ জয়ী

    অন্যান্য
    রাজস্থান ২০০ ১০১ ১১৫ ৬৯  
    মধ্য প্রদেশ ২৩০ ১১৬ ১৬৭ ৬২
    ছত্তিসগড় ৯০ ৪৬ ৫৪ ৩৬
    তেলঙ্গানা ১১৯ ৬০ ৬৪ ৩৯

     

    ৯০ আসনের ছত্তিশগড়েও ধরাশায়ী কংগ্রেস। সরকার গড়তে এখানে প্রয়োজন ৪৬টি আসন। অথচ বিজেপি এগিয়ে কিংবা জিতে গিয়েছে ৫৪টি আসনে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ৩৬। অন্য কেউই দাঁত ফোটাতে পারেনি এ রাজ্যে।

    কংগ্রেসের মুখরক্ষা কেবল তেলঙ্গনায়। এ রাজ্যে বিধানসভার আসন সংখ্যা ১১৯। ম্যাজিক ফিগার ৬০। এর মধ্যে ৬৪টি কেন্দ্রে কংগ্রেস এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে। শাসক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ৩৯। বিজেপি এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে ৮টি আসনে। এআইএমআইএম এগিয়ে বা জয়ী হয়েছে ৭টি কেন্দ্রে। অন্যরা একটিতে। দলের এহেন ফলে গেরুয়া শিবিরে (Assembly Election Result) যেখানে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের ছবি, সেখানে মুখ ব্যাজার করে রয়েছে সোনিয়ার দল।

    কে যেন বলেছিলেন, “মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়!”

    আরও পড়ুুন: ‘‘জনতা জনার্দনের সামনে মাথানত করি’’, তিন রাজ্যে জয়ের পর ট্যুইট বার্তা মোদির

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panauti Jibe: প্রধানমন্ত্রীকে করা ‘পনৌতি’ মন্তব্যে পদক্ষেপ, রাহুলকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের

    Panauti Jibe: প্রধানমন্ত্রীকে করা ‘পনৌতি’ মন্তব্যে পদক্ষেপ, রাহুলকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপাকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ‘পনৌতি’ (অপয়া) ইস্যুতে (Panauti Jibe) রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। তার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। ২৫ নভেম্বরের মধ্যে রাহুলকে তাঁর বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

    রাহুলের বেফাঁস মন্তব্য

    বিশ্বকাপের সবক’টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় টিম ইন্ডিয়া। কাপ হাতছাড়া হওয়ায় ভেঙে পড়েছিলেন ওই দলের সদস্যরা। ড্রেসিংরুমে গিয়ে তাঁদের সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার রাজস্থানের জালোরে এক জনসভায় ভারতের হার প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “আমাদের ছেলেরা ভালই খেলছিল। বিশ্বকাপও জিতে যেত। কিন্তু এই অপয়া (পনৌতি) সব শেষ করে দিল।” রাহুলের নিশানায় যে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    প্রধানমন্ত্রীকে পকেটমার আখ্যা!

    ওই সভায় রাহুল এও বলেছিলেন, “পকেটমাররা একা একা আসে না। সেখানে তিনজন থাকে। একজন সামনে থাকে, অন্যজন থাকে পিছনে। অন্য একজন থাকেন একটু দূরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজটা হল আপনার মনযোগটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার। তিনি টিভিতে আসেন, সামনে থাকেন। হিন্দু-মুসলিম, জিএসটি এবং নোটবন্দির মতো (Panauti Jibe) বিষয় তুলে তিনি জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেন। এই সময়ের মধ্যে পিছন থেকে চলে আসেন আদানি, টাকা নিয়ে নেন।

    আরও পড়ুুন: নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই গির্ট ওয়াইল্ডার্স হতে চলেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী!

    রাহুলের এহেন মন্তব্যে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে বিজেপি। দ্বারস্থ হয় নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে বিজেপি লিখেছে, “একজন প্রধানমন্ত্রীকে পকেটমার ও পনৌতি বলাটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা রাজনৈতিক সৌজন্যের অবনমন। কাউকে পকেটমার বলাটা নিছক গালাগালি দেওয়া নয়, তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট করা। যাঁর সম্পর্কে এই শব্দবন্ধ প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাঁকে সমাজের চোখে হেয় করা (Panauti Jibe)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: প্রধানমন্ত্রীকে ‘পনৌতি’ মন্তব্য, রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    BJP: প্রধানমন্ত্রীকে ‘পনৌতি’ মন্তব্য, রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার বেফাঁস মন্তব্য করে খুইয়েছিলেন সাংসদ পদ। দলকে ফেলেছিলেন বিপাকে। ছোটাছুটি করেছিলেন এক আদালত থেকে অন্য আদালতে। পরে অনেক কষ্টে ফিরে পেয়েছেন সাংসদ পদ। তবে তার পরেও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী যে নিজেকে এতটুকুও সংশোধন করেননি, তার প্রমাণ মিলেছে প্রধানমন্ত্রীকে ‘পনৌতি’ বলায়। রাহুলের এহেন মন্তব্যে বেজায় চটেছে বিজেপি (BJP)। এবার তারা দ্বারস্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। বুধবারই এ ব্যাপারে কমিশনে নালিশ করেছে মোদি-অমিত শাহের দল।

    রাহুলের বেফাঁস মন্তব্য

    টানা ১০টি ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। কাপ হাতছাড়া হওয়ায় ভেঙে পড়েছিলেন ওই দলের সদস্যরা। ড্রেসিংরুমে গিয়ে তাঁদের সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাজস্থানের জালোরে এক জনসভায় ভারতের হার প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “আমাদের ছেলেরা ভালই খেলছিল। বিশ্বকাপও জিতে যেত। কিন্তু এই অপয়া (পনৌতি) সব শেষ করে দিল।” রাহুলের নিশানায় যে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাহুলের এহেন মন্তব্যে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে বিজেপি।

    রাহুলকে নিশানা বিজেপির 

    রাহুলের একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “তাহলে এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে পনৌতি বলছেন রাহুল। এখানে ভণ্ডামিরও বেশি কিছু আছে। ৫৫ বছরের যে ব্যক্তি নিজে জীবনে একটা দিনও কাজ করেননি, যাঁর পরিবার দুর্নীতির মাধ্যমে পরজীবীর মতো দশকের পর দশক ধরে দেশকে শোষণ করেছে এবং যাঁদের সরকার আর্থিক দিক থেকে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিল, সেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে যে এরকম কথা বলছেন, তা হতাশা ও মানসিক অস্থিরতার পরিচয় দিচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘শিল্পের নামে চলছে মোচ্ছব’’! বাণিজ্য সম্মেলনকে কটাক্ষ ডিএ আন্দোলনকারীদের

    রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। কমিশনকে লেখা চিঠিতে বিজেপি লিখেছে, “একজন প্রধানমন্ত্রীকে পকেটমার ও পনৌতি বলাটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা রাজনৈতিক সৌজন্যের অবনমন। কাউকে পকেটমার বলাটা নিছক গালাগালি দেওয়া নয়, তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট করা। যাঁর সম্পর্কে এই শব্দবন্ধ প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাঁকে সমাজের চোখে (BJP) হেয় করা।” প্রসঙ্গত, ‘মোদি’ পদবি নিয়ে কটাক্ষ করায় মাস কয়েকের জন্য সাংসদ পদ খুইয়েছিলেন রাহুল।

    কমিশন কী পদক্ষেপ নেয়, এখন সেটাই দেখার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “মমতা দিদি, রাহুল বাবা সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে”, ছত্তিসগড়ের সভায় নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতা দিদি, রাহুল বাবা সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে”, ছত্তিসগড়ের সভায় নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় ছত্তিসগড় বিধানসভা নির্বাচন (Chhattisgarh Assembly Polls 2023)। তার আগে সেখানকার মিনি বাংলায় বিজেপির হয়ে প্রচার করলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হিন্দির পাশাপাশি বাংলায়ও ভাষণ দেন তিনি। আক্রমণ শানান তৃণমূল কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটকে।

    ‘ইন্ডিয়া জোটের লক্ষ্য’

    শনিবার শুভেন্দু প্রচার করেন অন্তগড় ও রায়পুর গ্রামীণ কেন্দ্রে। এই অন্তগড়ের ৬৮ শতাংশ ভোটারই বাঙালি। এখানে লড়াইয়ের ময়দানে বিজেপির পাশাপাশি রয়েছে কংগ্রেস এবং আপও। অন্তগড়ের বিধায়ক অনুপ নাগের বদলে এবার রূপসিংহ পোটাইকে প্রার্থী করেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনিই। আর বিজেপির (Chhattisgarh Assembly Polls 2023) প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিক্রম উসেন্ডি। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে অনুপের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও তাঁর ওপরই ভরসা রেখেছে দল। এদিন অন্তগড়ের বান্দেতে যান শুভেন্দু। সেখানেই করেন জনসভা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা দিদি, রাহুল বাবা সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। ইন্ডিয়া জোটের একমাত্র লক্ষ্য মোদিজিকে হটানো।”

    ‘মানুষ আর কংগ্রেসকে চাইছেন না’

    শুভেন্দু বলেন, “আমি তো অনামী নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি বলে এক দুজন চেনেন। কিন্তু আমার সভায় যা লোক হয়েছে, তার তিন ভাগের এক ভাগ লোক হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সভায়। এর থেকেই স্পষ্ট, মানুষ আর কংগ্রেসকে চাইছেন না।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, এঁরা প্রত্যেকেই দেশকে দুভাগ নয়, ছাব্বিশ ভাগ করতে চান। ছত্তিসগড়ের মানুষজন যন্ত্রণার কথা জানেন। ছত্তিসগড়ে যে সব বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা রয়েছে, সেই সব এলাকার মানুষজন বিজেপিকেই এবার ভোট দেবেন। নকশাল আন্দোলনকে প্রশ্রয় দেওয়ায় এখানকার মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এখানকার মানুষজন পরিবারবাদ, দুর্নীতি ও তোষণের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চান।”

    আরও পড়ুুন: মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান নির্বাচনে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি! ইঙ্গিত জনমত সমীক্ষায়

    ছত্তিসগড় বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০টি। এর মধ্যে ২০টি কেন্দ্রের নির্ণায়ক শক্তি বাঙালি ভোটাররা। তাই এবার রাজ্যে পালাবদল হবে বলেই আশাবাদী শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আশ্বাস, যাঁরা নিজেদের ক্ষমতা কিংবা আর্থিক সামর্থের কারণে অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শন করতে পারবেন না ছত্তিসগড়ে (Chhattisgarh Assembly Polls 2023) বিজেপি ক্ষমতায় এলেই তাঁদের রামলালার দর্শনের জন্য নিখরচায় রাম দর্শন যোজনা চালু করবে বিজেপি সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: ‘‘দেশে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে’’, বিহারের জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Narendra Modi: ‘‘দেশে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে’’, বিহারের জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা জাতপাতের ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করতে চাইছে। গরিব মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা চলছে। সোমবার গোয়লিয়রে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) এই অভিমত ব্যক্ত করেন। তাঁর কথায়, আগেও  দেশকে জাতপাতের নামে ভাগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনও তা চলছে। দেশকে জাতপাতের ভিত্তিতে ভাগ করার চেষ্টা মহাপাপ।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে যান। সেখানে জনসভা থেকেই বিহারের জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করে মোদি বলেন, ‘‘বিরোধীরা জাতের নামে দেশকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। বর্ণের মাধ্যমে বিভাজনের চেষ্টা চালানো পাপ।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওরা দরিদ্রদের অনুভূতি নিয়ে খেলত। আজও একই খেলা খেলছে। আগেও তারা জাতির নামে দেশভাগ করছে এবং আজও একই পাপ কাজ করছে। আগে ওরা দুর্নীতিতে দোষী হয়েছিল এবং আজ আরও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে।’’ এই ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব মোদি বলেন, “মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রথমেই জাতির ভিত্তিতে সমীক্ষা করবে এবং ওবিসিদের সংখ্যা জানবে…।” এর ফলে ওবিসিদের সংরক্ষণ কমতে পারে বলেও আশঙ্কাবার্তা দেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: লাইনে পাথর, লোহার রড! চালকের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়াল বন্দে ভারত

    কেন এই মন্তব্য মোদির

    উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালীনই সোমবার বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নীতীশ কুমার সরকার। নীতীশ কুমারের রাজ্যে অতি পিছিয়েপড়া শ্রেণির মধ্যে পড়েছেন ৩৬ শতাংশ মানুষ, পিছিয়েপড়া শ্রেণির মধ্যে রয়েছেন ২৭.১ শতাংশ। সবেমিলিয়ে রাজ্যে পিছিয়েপড়া মানুষ রয়েছে ৬৩.১ শতাংশ। বিহারের ১৩ কোটি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে তপসিলি জাতির মানুষ রয়েছেন ১৯.৭ শতাংশ মানুষ। এছাড়াও তপসিলি উপজাতিভূক্ত মানুষ রাজ্যের ১.৭ শতাংশ। রাজ্যে জেনালের ক্যাটিগোরির মানুষ মাত্র ১৬ শতাংশ। রাজ্যে ভূমিহারের হার ২.৮৬ শতাংশ, ব্রাহ্মণ ৩.৬৬ শতাংশ, মুখ্যমন্ত্রী জাতি কুড়মিরা রয়েছেন ২.৮৭ শতাংশ।  এর পরেই নাম না করে বিহারের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকারের উদ্দেশে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) নরেন্দ্র মোদি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: ওয়েনাড়ে থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল, চাইছে সিপিআই, ফের সংঘাতের আবহ ইন্ডি জোটের অন্দরে !

    Rahul Gandhi: ওয়েনাড়ে থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল, চাইছে সিপিআই, ফের সংঘাতের আবহ ইন্ডি জোটের অন্দরে !

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংঘাতের আবহ ইন্ডি (INDI) জোটের অন্দরে। যার জেরে অশনি সঙ্কেত দেখছেন জোটের কারিগররা। কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। এবারও ওই আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী তিনিই। তবে কেরল সিপিআই চাইছে ওয়েনাড় নয়, রাহুল বরং অন্য কোনও আসনে প্রার্থী হোন। কারণ কেরলে সিপিআই যে চারটি আসনে লড়াই করে, তার একটি হল ওয়েনাড়।

    কংগ্রেস-সিপিআই সংঘাত

    রাহুল প্রার্থী হলে একদিকে যেমন সিপিআইয়ের পরাস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে, তেমনি ইন্ডি জোট নিয়ে জনমানসে ভুল বার্তা যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে। (যেহেতু সিপিআই এই জোটে রয়েছে।) তাই সিপিআই কংগ্রেস নেতৃত্বকে অনুরোধ করেছে রাহুন যেন ওয়েনাড়ে প্রার্থী না হোন। যদিও কেরল কংগ্রেসের সাফ কথা, সিপিআই কিংবা অন্য কোনও জোটসঙ্গী (Rahul Gandhi) ঠিক করে দিতে পারে না অন্য দল কী করবে।

    অশান্তি সঙ্গী ইন্ডি জোটের 

    জন্মলগ্ন থেকেই অশান্তি পিছু ছাড়ছে না বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডির। নিষেধ সত্ত্বেও এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করায় প্রথম অশান্তি দেখা দেয়। তার পর থেকে একের পর এক অশান্তি। যার জেরে মধ্যপ্রদেশে ইন্ডির যে জনসভা হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এবার সংঘাত শুরু হয়েছে ওয়েনাড় আসনটিকে কেন্দ্র করে। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের আমেঠি ও কেরলের ওয়েনাড়ে প্রার্থী হয়েছিলেন রাহুল। আমেঠিতে হেরে গেলেও, ওয়েনাড়ে জয়ী হন গান্ধী পরিবারের এই প্রতিনিধি। কেরলে লোকসভার আসন রয়েছে ২০টি। এর মধ্যে সিপিআই লড়ে চারটি কেন্দ্রে।

    আরও পড়ুুন: হাওড়ায় ব্যাগ ভর্তি মানুষের কঙ্কাল মিলল পঞ্চায়েত অফিসের পাশে, আতঙ্ক

    এ রাজ্যে কংগ্রেসের লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, এলডিএফের বিরুদ্ধে। এই এলডিএফেই রয়েছে সিপিআই। আবার কংগ্রেস এবং সিপিআই দুই দলই রয়েছে ইন্ডি জোটে। তাই রাহুলকে (Rahul Gandhi) ওয়েনাড় আসনটি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছে সিপিআই। দলের এক নেতার কথায়, “বিজেপিকে পরাস্ত করার লক্ষ্য সামনে রেখে ২০২৪ সালে লড়াই হবে। এর জন্যই নানা রকম প্রস্তুতি চলছে। তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই রাহুলের আসন বাছা উচিত। এমন আসনে তাঁর প্রার্থী হওয়া উচিত, যেখানে মূল লড়াই বিজেপির সঙ্গে। ওয়েনাড় সহ কেরলের কোনও কেন্দ্রে বিজেপি মূল শক্তি নয়।” সিপিআইয়ের এই যুক্তি মানতে রাজি নয় কংগ্রেস। কেরল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরণ বলেন, “সিপিআই বা অন্য কোনও জোটসঙ্গী কেউই ঠিক করে দিতে পারে না অন্য দল কী করবে। আমরা চাই, রাহুল (Rahul Gandhi) ওয়ানাড়েই লড়ুন।”

    কোথাকার জল কোথায় গড়ায়, এখন সেটাই দেখার!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Rahul Gandhi: ভোট পেতে কুলি সাজলেন রাহুল গান্ধী! সস্তার রাজনীতিতে চিঁড়ে ভিজবে কি?

    Rahul Gandhi: ভোট পেতে কুলি সাজলেন রাহুল গান্ধী! সস্তার রাজনীতিতে চিঁড়ে ভিজবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলির উর্দি গায়ে, মাথায় মোট নিয়ে গটগটিয়ে হেঁটে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বৃহস্পতিবার সকালে কংগ্রেসের ভরকেন্দ্র গান্ধী পরিবারের উত্তরসূরিকে এই পোশাকে দেখে দিল্লির আনন্দ বিহার রেলস্টেশনের যাত্রীরা ভেবেছিলেন রাজনীতিতে পানি না পেয়ে এবার হয়তো সিনেমায় নামলেন রাহুল! তাঁদের সেই ভুল ভাঙল অচিরেই। যখন শুনলেন কুলিদের সমস্যার কথা শুনতে কুলি সেজেছেন রাহুল।

    ভোট কুড়োতে নানা রূপে রাহুল

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপিকে মাত দিতে চেষ্টার কসুর করছেন না রাহুল। নির্বাচনের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে কখনও বাইক সারানোর কাজে লাগিয়েছেন হাত। কখনও আবার ট্রাক-চালকের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। ভোট-বৈতরণী পার হতে হরিয়ানার সোনেপতে আবার খেতে নেমে চাষিদের সঙ্গে রুইয়েছিলেন ধানের চারাও। তাঁদেরই একজনের বাড়িতে সেরেছিলেন মধ্যাহ্নভোজও। এসবের আগে করেছিলেন ভারত জোড়ো যাত্রা। এক কথায়, নির্বাচনের আগে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ গোছের একটা ভাবমূর্তি তৈরি করতে চাইছেন রাহুল (Rahul Gandhi)।

    মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তায় সব ম্লান! 

    তবে এসব করে যে আদতে লাভের লাভ কিছু হবে, তা মানতে রাজি নয় কংগ্রেসেই একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির পর্বত-প্রমাণ জনপ্রিয়তার কাছে এসবই বড্ড বেশি ম্লান। এই সস্তা রাজনীতি দিয়ে আর যাই হোক, নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলা যে করা যায় না, তা বিলক্ষণ মানছেন তাঁরাও। এদিন সকালে ব্যস্ত রেল স্টেশনে কুলির পোশাকে রাহুলকে মোট বইতে দেখে খানিক হকচকিয়ে যান নিত্যযাত্রীরা। পরে ওঠে রাহুল গান্ধী জিন্দাবাদ ধ্বনি।

    এরকম শুটিং-মার্কা দৃশ্যে রাহুলকে অভিনয় করতে দেখে যারপরনাই খুশি কংগ্রেস। তবে নির্বাচনের আগে এতে যে আদতে ভোটারদের মন ভিজবে না, তা ভালোই জানে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, রাজধানীর বুকে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনের জাঁক চমকে দিয়েছে বিশ্বনেতাদেরও। তার ঠিক আগে আগেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে মোদির ভারত। রচনা করেছে ইতিহাস। তার পর থেকে আরও বেশি করে ভারতকে সমীহ করতে শুরু করেছে বিশ্বের বহু শক্তিধর দেশও। ভারতীয় অর্থনীতির রকেট-সম উত্থানেও চোখ কপালে উঠেছে তাদের। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকার দশম স্থানে থাকা ভারত মোদি জমানায় জায়গা করে নিয়েছে পঞ্চমে। এর ওপর রয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল।

    আরও পড়ুুন: নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দিল এলআইসি! কেন্দ্রকে দিল লাভের কড়ি, পরিমাণ কত জানেন?

    লোকসভায় পাশ হওয়া এই বিল সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে রাজ্যসভায় পাশ হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ, তিন তালাক রদ সহ একাধিক সাফল্যও রয়েছে মোদির ঝুলিতে। সম্প্রতি জাস্টিন ট্রুডোর কানাডাকে পাটকেল ছুড়ে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি আদতেই সিংহপুরুষ। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এসবেরই প্রতিফলন পড়বে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। রাহুলের (Rahul Gandhi) সস্তা প্রচার নয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুলের নাম কংগ্রেসের, “বিপর্যয়ের টিকিট”, কটাক্ষ-বাণ বিজেপির

    Lok Sabha Elections 2024: প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুলের নাম কংগ্রেসের, “বিপর্যয়ের টিকিট”, কটাক্ষ-বাণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিকে (BJP) মাত দিতে জোট গড়েছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। সংগঠনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA)। সেই ‘ইন্ডিয়া’কে পাশ কাটিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বলে জানিয়ে দিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের অশোক গেহলট। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী (Lok Sabha Elections 2024) পদপ্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধী জোটের সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

    বিজেপির কটাক্ষ-বাণ 

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ঘোষণার পর রাহুলকে কটাক্ষ-বাণ হেনেছে বিজেপি। অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে সোমবার সকালে রাহুলের একটি কার্টুন শেয়ার করে বিজেপি লিখেছে, “প্রধানমন্ত্রী পদে বিপর্যয়ের টিকিট।” রাহুলের পাশাপাশি নিশানা করা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’-কেও। রবিবার সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর (Lok Sabha Elections 2024) ছবি সম্বলিত একটি পোস্টার শেয়ার করে বিজেপি বলেছিল, “কিছু লঞ্চ ইসরোকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।”

    গেহলটের বক্তব্য

    একটি বেসরকারি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে গেহলট বলেন, “প্রত্যেক নির্বাচনেই (Lok Sabha Elections 2024) স্থানীয় ঘটনাবলী গুরুত্ব রাখে। বর্তমানে দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে সব দলের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়ছে। মানুষই চাপ সৃষ্টি করেছেন। তারই ফলশ্রুতি এই ‘ইন্ডিয়া’ জোট।” রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা দ্রুত নামছে। বিরোধী জোট অবশ্যই সফল হবে। রাহুল গান্ধী আমাদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। আসন্ন নির্বাচনে আমরা সফল হবই।” তিনি বলেন, “২০১৪ সালে মাত্র ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। বাকি ৬৯ শতাংশই ওঁর বিরুদ্ধে ছিল। তাই প্রধানমন্ত্রীর এত অহঙ্কার থাকাই উচিত নয়।” তাঁর দাবি, বিজেপি নেতৃত্বাধীন ‘এনডিএ’ এখন থেকেই ‘ইন্ডিয়া’কে ভয় পেতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যপাল দত্তপুকুরে যেতে পারেন আর মুখ্যমন্ত্রী পারেন না?” প্রশ্ন শুভেন্দুর

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) এনডিএ ৫০ শতাংশ ভোট পাবে বলে বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রকাশ। এ প্রসঙ্গে গেহলট বলেন, “কোনওদিন সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পাববেন না মোদি। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকাকালীনই তিনি ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। এবার ভোট আরও কমবে। ২০২৪ সালের নির্বাচনী ফলই বলে দেবে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। শেষ পর্যন্ত মানুষই সিদ্ধান্ত নেবেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share