Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • Rahul Gandhi: নামে রয়েছে আরও মামলা! সাংসদ পদ খুইয়েছেন, আর কী কী খোয়াতে পারেন রাহুল?

    Rahul Gandhi: নামে রয়েছে আরও মামলা! সাংসদ পদ খুইয়েছেন, আর কী কী খোয়াতে পারেন রাহুল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (Modi) পদবি নিয়ে কটাক্ষের জেরে দোষী সাব্যস্ত করে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে গুজরাটের (Gujarat) সুরাটের একটি আদালত। তার জেরে খারিজ হয়ে গিয়েছে রাহুলের সাংসদ পদ। উচ্চ আদালতে আবেদন করার জন্য রাহুলকে ৩০ দিন সময়ও দিয়েছে আদালত। নিম্ন আদালতের রায় যদি উচ্চ আদালতেও বহাল থাকে তবে সরকারি বাংলো থেকেও বঞ্চিত হতে হবে এই কংগ্রেস নেতাকে। এদিকে, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় তাঁর লোকসভা কেন্দ্র কেরালার ওয়েনাড আসনটি ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন চাইলে ওই আসনে উপনির্বাচন হতে পারে। তবে আগামী আট বছরের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।

    রাহুলের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে মামলার খতিয়ান…

    রাহুলের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে এই প্রথম নয়, এর আগেও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। মানহানির মামলায় ২০১৯ সালে পাটনার একটি আদালত থেকে জামিন পান রাহুল। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, জনসভায় দাঁড়িয়ে তিনি জনতাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, মোদি পদবি হলেই সেই ব্যক্তি চোর হয়? ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে নোটবন্দির সময় আমেদাবাদের জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক বেআইনি নোট বদলিতে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। আমেদাবাদের একটি আদালত জামিন দেয় কংগ্রেস নেতাকে।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ খুনের ঘটনাকে বিজেপি-আরএসএস মতাদর্শের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন রাহুল। তার জেরে আরএসএসের তরফে দায়ের করা হয় মানহানির মামলা। পরে মুম্বইয়ের একটি আদালত জামিন মঞ্জুর করে রাহুলের। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে অসমের বরপেটা সাঁতরায় ঢুকতে আরএসএস তাঁকে বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। ওই ঘটনার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করে আরএসএস। ২০১৬ সালে গুয়াহাটির একটি আদালত ওই মামলায় জামিন দেয় রাহুলকে।

    রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বলেছিলেন, মহাত্মা গান্ধীকে খুন করেছিল আরএসএস। তার জেরে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় জামিন মঞ্জুর করে মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডির একটি আদালত। রাহুলকে আদালতে স্বপক্ষ প্রমাণের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রাহুলের বিরুদ্ধে রয়েছে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলাও। মামলাটি করেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ওই মামলায় জামিনে মুক্ত রয়েছেন রাহুল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Rahul Gandhi: আর সাংসদ নন রাহুল গান্ধী! লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা

    Rahul Gandhi: আর সাংসদ নন রাহুল গান্ধী! লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ। শুক্রবার লোকসভা সচিবালয়ের তরফে জানানো হল এ খবর। মোদি (Modi) পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে দু বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয় রাহুলকে। তার জেরে বাতিল হল তাঁর সাংসদ পদ। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।  প্রসঙ্গত, মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে বৃহস্পতিবারই কংগ্রেস (Congress) নেতাকে দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল গুজরাটের সুরাট জেলা আদালত। তার জেরে সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী খারিজ করা হল রাহুলের সাংসদ পদ।

    রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছিলেন…

    ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের কোলারে কংগ্রেস আয়োজিত এক জনসভায় মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, সব চোরদের পদবি মোদি কেন। তার জেরে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা তথা গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। বৃহস্পতিবার রাহুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা ফৌজদারি মানহানি মামলায় রায় দেয় সুরাট আদালত। রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দু বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ১৫ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে ৩০ দিনের সময়ও দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সাজা ঘোষণার পরপরই জামিন পেয়ে যান রাহুল। আদালতের রায়কে স্বাগত জানান সুরাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জারদোশ। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে কেবল সুরাটেই নয়, গুজরাটের পুরো ওবিসি সম্প্রদায়ের মধ্যেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল।  

    আরও পড়ুুন: বিজেপির উদ্যোগে রমজান মাসেই বেরোবে মোদির ‘মন কি বাত’-এর উর্দু সংকলন

    প্রসঙ্গত, আইন অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি যদি দুই বা তার অধিক বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তবে ততক্ষণাৎ তাঁর পদ খারিজ হয়ে যাবে। সেই যুক্তিতেই খারিজ হয়ে গিয়েছে রাহুলের সাংসদ পদ। ওই আইন অনুযায়ী, আগামী ৬ বছর রাহুল কোনও ভোটেও লড়তে পারবেন না।

    রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হতেই খেপে গিয়েছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। এদিনই দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ১২টি বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বাম, জেডি (ইউ) এবং ডিএমকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আম আদমি পার্টির প্রতিনিধিও। বৈঠক শেষে সংসদ ভবন থেকে মিছিল করে তাঁরা যান রাষ্ট্রপতি ভবনে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi:  দুই বছরের জেল রাহুল গান্ধীর! ‘মোদি’ পদবী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত

    Rahul Gandhi: দুই বছরের জেল রাহুল গান্ধীর! ‘মোদি’ পদবী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপাকে রাহুল গান্ধী। নরেন্দ্র মোদির পদবী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে গুজরাটের সুরাট জেলা আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করল। চার বছর পুরনো মামলায় তাঁকে দু’বছর জেলের সাজা ঘোষণা করা হয়। সাজা ঘোষণার পরই জামিনের আবেদন করেছিলেন রাহুল। তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।

    কী ঘটেছিল

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাফাল দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল। সেই সময় কর্নাটকের কোলারে প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘সব চোরেদের পদবি ‘মোদি’ হয় কেন?’’ আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদি, ব্যাঙ্ক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা টেনেছিলেন তিনি।

    ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে ‘পদবি অবমাননার’ অভিযোগে মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হলেন রাহুল।  বৃহস্পতিবার আদালতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন রাহুল। তাঁর উপস্থিতিতেই রায় দেয় আদালত। তবে ৩০ দিনের জন্য জামিন মঞ্জুর হয়েছে রাহুলের। জেলা আদালতের রায়কে তার মধ্যে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন তিনি। আদালত দু’বছরের সাজা শুনিয়েছে রাহুলকে। এর ফলে তাঁর সাংসদ পদ বাতিল হতে পারে।

    আরও পড়ুন: একদা কাশ্মীর ছিল শারদা দেশ! জানেন কি এই শক্তি পীঠের মাহাত্ম্য?

    এর আগে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে এই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন রাহুল। নিজের বয়ান রেকর্ড করেছিলেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরোধিতাই করেন রাহুল। এদিন রাহুলের আইনজীবী কিরীট পানওয়ালা দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের মন্তব্যে কারও ক্ষতি হয়নি। তাই তাঁর সাজার মেয়াদ কমানো হোক।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • JP Nadda: ‘গণতন্ত্রের সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন রাহুল গান্ধী’, আক্রমণ নাড্ডার

    JP Nadda: ‘গণতন্ত্রের সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন রাহুল গান্ধী’, আক্রমণ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রের সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন তিনি। এভাবেই রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। শনিবার তিনি বলেন, তাঁকে (রাহুল গান্ধীকে) গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লক, স্টক এবং ব্যারেল প্যাকিং করে পাঠানো উচিত। চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজেপির ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ন্যাশনাল ইউথ পার্লামেন্ট। ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নাড্ডা। সেখানেই নিশানা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। বিজেপির সভাপতি বলেন, যাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না, গণতন্ত্রে তাঁদের কোনও ঠাঁই নেই। তিনি বলেন, কংগ্রেস মানসিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।

    নাড্ডার (JP Nadda) অভিযোগ…

    নাড্ডার (JP Nadda) অভিযোগ, রাহুল গান্ধী আমেরিকা এবং ইউরোপিয় দেশগুলিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ  ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে উৎসাহিত করছেন। ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন বলে যে মন্তব্য তিনি করেছেন, তাতেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর পরেই তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী গণতন্ত্রের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছেন। বিজেপি সভাপতির প্রশ্ন, কী ধরনের বাক্য তিনি ব্যবহার করেছেন? বলেছেন, ভারতবাসী তাঁর কথা শোনেন না, কেবল সহ্য করেন। এর পরেই বিজেপির সভাপতি বলেন, এহেন লজ্জাজনক মন্তব্য করে রাহুল গান্ধী কেবল দেশকে অপমান করেননি, তিনি অপমান করেছেন দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকেও। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশি শক্তিকে হস্তক্ষেপ করতেও আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ধৃত খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহের পিছনে পাক যোগ?

    শুক্রবারই একটি ভিডিও বার্তায় রাহুলের লন্ডন সফরের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপির সভাপতি (JP Nadda) বলেছিলেন, উনি (রাহুল গান্ধী) দেশবিরোধী স্থায়ী টুলকিট হয়ে উঠেছেন। রাহুল দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন। ভিডিও বার্তায় নাড্ডা আরও বলেছিলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে কংগ্রেস দল দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। দেশবাসী তাদের বারবার প্রত্যাখ্যান করার পর রাহুল গান্ধী এখন দেশবিরোধী টুলকিটের স্থায়ী অংশ হয়ে উঠেছেন।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সভায় গণতন্ত্রহীনতা নিয়ে বলতে গিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন। তিনি আরও বলেছিলেন, এটি আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এর সমাধান ভারতের অভ্যন্তর থেকেই আসতে চলেছে। এটা বাইরে থেকে আমদানি করা যায় না। রাহুল এও বলেছিলেন, ভারতে গণতন্ত্রের প্রভাব শুধু তার ভৌগোলিক সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। যদি ভারতে গণতন্ত্র ভেঙে পড়ে, তাতে গোটা বিশ্বেরই ক্ষতি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘দেশের কপালে কালো টিকা লাগাচ্ছেন এঁরা’, নাম না করে কংগ্রসকে নিশানা মোদির

    PM Modi: ‘দেশের কপালে কালো টিকা লাগাচ্ছেন এঁরা’, নাম না করে কংগ্রসকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে বর্তমানে অনেক শুভ কাজকর্ম হচ্ছে। তাই কিছু লোক দেশ মাতৃকার কপালে কালো টিকা লাগানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। নাম না করে কংগ্রেসকে (Congress) এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৩-এ ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিশানা করেন কংগ্রেসকে। ভারতের (India) ওপর যাতে কারো নজর না লাগে তাই কালো টিকা পরাচ্ছেন তাঁরা। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল, যখন বিশ্ব ভাবত ভারতের সময় এসেছে। তখন কথা হত কেবলই হতাশার। ভারতকে নীচে নামানো হত, ভাঙা হত নৈতিকতা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি কালো টিকা পরানোর ঐতিহ্য। সেই কাজই করার দায়িত্বই নিয়েছেন ওই লোকগুলো।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন…

    ২০২৩ সালের প্রথম ৭৫ দিনে মোদি (PM Modi) সরকারের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ গোটা বিশ্ব বলছে, এটা ভারতের সময়। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে কোন দেশ আগে ভারতের হৃত প্রত্নবস্তু ফেরত দেবে, তা নিয়ে। তিনি বলেন, আগে প্রায়ই খবরের হেডলাইন হত কত লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। লোকেরা রাস্তাঘাটে তা নিয়ে বলাবলি করত। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হত। এসব এখন অতীত। এখন সংবাদের শিরোনাম হয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে আসা হয়। তিনি জানান, বর্তমানে বিরোধী দলের বহু নেতা তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: এভারেস্টে বরফের নীচে চাপা পড়ে আছে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া, দাবি বিজ্ঞানীদের

    ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এদিন রাহুলের নাম না করে সেই প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কিছু লোক আমাদের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের সাফল্য হজম করতে পারছে না। সেই কারণে তারা আমাদের গণতন্ত্রকে আক্রমণ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতদসত্ত্বেও ভারত তার লক্ষ্যে পৌঁছবে। কিছুদিন আগে ব্রিটেনে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাহুল। সেখানে তিনি ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, সকলে জানে ভারতের গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে পড়ে কীভাবে বিপন্ন। আমি দেশের বিরোধী নেতা, কিন্তু বিরোধী পরসর খুঁজতে হাতড়ে বেড়াতে হচ্ছে। এর পরেই রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিজেপি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানিকাণ্ডে বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) গড়ার দাবিকে ঘিরে সরকার ও বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে উত্তপ্ত সংসদের (Parliament) দুই কক্ষ। মঙ্গলবার বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ার দাবির পাল্টা হাতিয়ার হিসেবে বিজেপি প্রয়োগ করে ইংল্যান্ডে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীর মোদি সরকারের সমালোচনাকে। তার জেরে দু পক্ষে ব্যাপক হইচই হয়। যার জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ। কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী কয়েকটি দল যখন সংসদে হইহট্টগোল করছে, সেই সময় ওই একই দাবিতে সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না দেন তৃণমূল সাংসদরা।

    উত্তপ্ত সংসদ (Parliament)…

    এদিন অধিবেশনে রাহুলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বলেন, এক সংসদ সদস্য (পড়ুন রাহুল গান্ধী) যেভাবে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন, তাতে সংসদ (Parliament) চুপ থাকতে পারে না। রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিজেপি। দেশের সমস্ত সাংসদ যাতে রাহুলের মন্তব্যের নিন্দা করেন, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে পদ্ম শিবিরের তরফে। পাল্টা কটাক্ষ করেছে কংগ্রেসও। বিজেপির উদ্দেশে সোনিয়া গান্ধীর দলের কটাক্ষ, গণতন্ত্রের হত্যাকারীর মুখে আজ এ কী কথা শুনি! এ নিয়ে দু পক্ষে হইহট্টগোলের জেরে মুলতুবি করে দেওয়া হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    এদিকে, দ্বিতীয় দফার (Parliament) অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে সিপিএম, আরজেডি, জেডিইউ, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির, এনসিপি সহ ১৬টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস বিরোধী আম আদমি পার্টিও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে। এদিন সংসদ ভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধীরা। তাতে যোগ দেয় কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিআরএসও। তবে এখানেও তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। লোকসভার দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, বিরোধী ঐক্য যেন না থাকে, মোদির যেন সুবিধে হয়, এটাই করছে তৃণমূল। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, বিরোধীদের কোনও ঐক্য নেই। কখনও হবেও না। মোদিই থাকবেন। ওরা নিজেদের ঘর বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: “কোনও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই তৃণমূলের”, রাহুলের খোঁচার জবাব মহুয়ার

    Mahua Moitra: “কোনও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই তৃণমূলের”, রাহুলের খোঁচার জবাব মহুয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘালয় ভোটে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে বার বারই সন্দেহ প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক মহল। সরাসরি ঘাসফুল শিবিরের দিকে নিশানা দেগে গত বুধবার রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপিকে সাহায্য করতেই মেঘালয়ে তৃণমূল এসেছে। এবার রাহুলকে জোরদার জবাব দিল তৃণমূল। তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) বৃহস্পতিবার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল ২০২১-এ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে হারিয়েছে। তাই রাহুলের কাছে তৃণমূলের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণের কোনও দায় নেই।” তিনি আরও বলেন, “কংগ্রেস কি বিজেপিকে হারাতে পারবে? তবে আমাদের কোনও প্রয়োজন হবে না। তবে কংগ্রেস বিজেপিকে হারাতে ব্যর্থ হওয়ার আমরা  মানুষের সামনে একটি বিকল্প হিসাবে সামনে আসি। তৃণমূল হচ্ছে একমাত্র বিকল্প শক্তি।”

     কী বলেন মহুয়া? 

    তিনি (Mahua Moitra) বলেন, “কংগ্রেস একের পর এক রাজ্য়ে হেরে যাচ্ছে। আর আমরা বাড়িতে বসে সেটা দেখে যাব। আমাদের শক্তি আছে। যদি সমস্ত পুরুষ ভোট ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু প্রতিটি মহিলা ভোট যদি মেঘালয়ের মহিলা প্রার্থীর জন্য থাকে তবেও তৃণমূল জিতে যাবে।”

    কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ (Mahua Moitra) আরও বলেন, “শুধু দ্বি-দলীয় ব্যবস্থার উপরে যদি আমরা নির্ভর করি, তা হলে ভারতে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নেই। সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাই তৃণমূলের বিজেপি-বিরোধী অবস্থানের বিশ্বাসযোগ্যতা কারও কাছে প্রমাণ করতে হবে না। কারও কাছ থেকে তৃণমূলের শংসাপত্রের প্রয়োজন নেই।”

    আরও পড়ুন: প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক, বন্ধুর মুণ্ডচ্ছেদ করে গোপন অঙ্গ কেটে ফেলল প্রেমিক

    এদিকে কংগ্রেসই নাকি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছে। এমন অভিযোগ করেছেন বর্ষীয়ান তৃণমূলমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। শিলংয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বুধবার রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, গোয়া, মেঘালয়ে বিজেপিকে সাহায্য করতেই তৃণমূল নির্বাচনের ময়দানে নেমেছে। রাহুল গান্ধীর এই অভিযোগ খণ্ডন করে বৃহস্পতিবার শিলংয়েই মানস বলেন, “বিজেপি-শাসিত গোয়ায় তৃণমূল লড়াই করেছে। এখন বিজেপি-শাসিত ত্রিপুরা ও মেঘালয়েও লড়াই করছে। তা হলে কী ভাবে বিজেপিকে তৃণমূল সহায়তা করছে? ছত্তীসগড়, মধ্যপ্রদেশে কিন্তু তৃণমূল কাউকে সমস্যায় ফেলতে যায়নি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কে সেনা পাঠিয়েছিল? রাহুল গান্ধী?’, কংগ্রেসকে নিশানা জয়শঙ্করের   

    S Jaishankar: ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কে সেনা পাঠিয়েছিল? রাহুল গান্ধী?’, কংগ্রেসকে নিশানা জয়শঙ্করের   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কে সেনা পাঠিয়েছিল? রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)?  মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) সাংসদকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, কংগ্রেসের নেতা নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা পাঠিয়েছিলেন। চিন যখন সেনা মোতায়েন করেছিল, তখন পাল্টা ভারতও সেনা মোতায়েন করেছিল সীমান্তে। তিনি বলেন, ১৯৬২ সালে কী হয়েছিল, সেটা বিরোধীরা মনে করে দেখুন। জয়শঙ্কর জানান, সীমান্তে উন্নত পরিকাঠামো গড়তে মোদি সরকার বাজেট বরাদ্দ পাঁচ গুণ বাড়িয়েছে।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    গত বছর প্যাংগং লেকের ওপর ব্রিজ তৈরির চেষ্টা করেছিল চিন। এ নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হয়েছিল কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল। সে প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ১৯৬২ সালের যুদ্ধ থেকেই ওই জায়গাটি চিন জোর করে দখল করে রেখেছে। জয়শঙ্কর বলেন, কখন ওই জায়গাটি চিনের নিয়ন্ত্রণে এল? আসলে ‘সি’ দিয়ে কোনও শব্দ শুরু হলে, বুঝতে সমস্যা হয় কংগ্রেসের। আমার মনে হচ্ছে, তারা বার বার বিষয়টির অপব্যাখ্যা করে। চিনারা প্রথমে ওই জায়গায় এসেছিল ১৯৫৮ সালে। এর পর ’৬২ সালের অক্টোবর মাসে তারা জায়গাটি দখল করে।

    আরও পড়ুুন: ‘গোর্খারা বহিরাগত…’, শোভনদেবের মন্তব্যের প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    তিনি বলেন, আর এখন ২০২৩ সালে আপনি মোদি সরকারকে ব্রিজ নিয়ে দুষছেন? বিদেশমন্ত্রী বলেন, ১৯৬২ সালেই ওই জায়গাটি দখল করেছিল ওরা। এখন আপনাদের সেটা স্বীকার করার মতো সততাও নেই। জয়শঙ্কর বলেন, রাজীব গান্ধী ১৯৮৮ সালে বেজিং গিয়েছিলেন। ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালে তিনি চুক্তি সই করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি এটা মনে করছি না যে সেই চুক্তি ভুল ছিল। এটা কোনও রাজনৈতিক দিক নয়। সেই সময় এটা করা হয়েছিল সীমান্তে স্থিতাবস্থা আনার জন্য। এর পরেই রাহুলকে নিশানা করে বিদেশমন্ত্রী বলেন, কে সীমান্তে সেনা পাঠিয়েছিলেন? রাহুল গান্ধী পাঠাননি। সীমান্তে সেনা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রচুর ব্যয় করে আমরা সেখানে সেনা মোতায়েন করে রাখি। তিনি বলেন, আমরা সীমান্তে প্রতিরক্ষায় ব্যয় বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করেছি বাজেটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Article 370: ‘মোদির জন্যেই সম্ভব হয়েছে’, কাশ্মীরে রাহুলের পতাকা উত্তোলনের পর দাবি বিজেপির

    Article 370: ‘মোদির জন্যেই সম্ভব হয়েছে’, কাশ্মীরে রাহুলের পতাকা উত্তোলনের পর দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হওয়া রাহুল গান্ধীর (Article 370) ভারত জোড়ো যাত্রা সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে শেষ হয়েছে। ভারতের পতাকা উত্তোলন করে যাত্রার সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন রাহুল গান্ধী। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেন এই কংগ্রেস সাংসদ। এরপরেই রাহুলকে এক হাত নেয় গেরুয়া শিবির। বিজেপির পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধির লাল চকে পতাকা তোলা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে রাহুলের শান্তিপূর্ণ যাত্রার কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। বিজেপি মুখপাত্র এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “রাহুল গান্ধী কীভাবে আজ শন্তিপূর্ণভাবে লালচকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারলেন? কারণ, জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছেন মোদিজি। তারপর সেখানে প্রচুর পর্যটকের সমাবেশ হয়েছে। কংগ্রেস আমলে জম্মু ও কাশ্মীরে শুধুই সন্ত্রাসের পরিবেশ ছিল।”

    আরও পড়ুন: ৮১ জন পড়ুয়ার জন্যে ৭ কিলো চাল! স্কুল পরিদর্শনে এসে অবাক কেন্দ্রীয় দল

    কী বললেন অন্যান্য নেতারা? 

    বিজেপির আরও এক সাংসদ রাজ্যবর্ধন রাঠোর (Article 370) বলেন, “মোদি সরকারের কারণেই কাশ্মীরে এখন এমন পরিবেশ যে, যেকোনও নাগরিক শ্রীনগরের লালচকে গিয়ে তিরঙ্গা ওড়াতে পারেন।”

    জম্মু এবং কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রায়না (Article 370) বলেন, ” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কারণেই আজ রাহুল গান্ধী শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভ্রাতৃত্বের মাঝে কাশ্মীরে তিরঙ্গা উত্তোলন করতে পারলেন।” তিনি আরও বলেন, “৭০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম নেহেরু-গান্ধী পরিবারের কেউ লালচকে পতাকা ওড়াতে পারলেন।”

    ঠিক ৭৫ বছর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের লালচকে জাতীয় পতাকা (Article 370) তুলেছিলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু। রবিবার সেখানেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি ঘোষণা করেন রাহুল গান্ধী। সাংবাদিক সম্মেলন করে চিন থেকে শুরু করে কাশ্মীরে শান্তি ফেরানো নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হন তিনি।

    রাহুল গান্ধি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, কাশ্মীরে শান্তি (Article 370) ফিরেছে, তাহলে জম্মু থেকে লালচক পর্যন্ত কেন পদযাত্রা করছেন না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ?” তাঁর অভিযোগ, কাশ্মীরবাসী কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এর জন্য রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি তোলেন তিনি। এরপরেই রাহুলকে এই কটাক্ষ বিজেপির। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

  • S  Jaishankar: ভারত-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    S  Jaishankar: ভারত-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে অংশটি চিন (China) দখল করেছে বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা, সেটি আসলে চিনের দখলে চলে গিয়েছে ১৯৬২ সালেই। নাম না করে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এই ভাষায়ই জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S  Jaishankar)। ভারত-চিন সংঘাতের আবহেই কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস সহ দেশের বিভিন্ন বিরোধী দল। তারই জবাব দিতে গিয়ে নেহরু জমানার প্রসঙ্গ তোলেন বিদেশমন্ত্রী।

    জয়শঙ্কর…

    রাহুল গান্ধীর নাম না করেই জয়শঙ্কর বলেন, কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে চিন ইস্যু নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, যে অঞ্চলটি চিনের দখলে চলে গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটি ১৯৬২ সালে জওহরলাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ভারত-চিন যুদ্ধে চিন দখল করে নিয়েছে। পুরনো ইতিহাস তুলে ধরে কেউ কেউ বলছেন, এটি সম্প্রতি ঘটেছে। গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটি রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে পূর্ব লাদাখে ৬৫টি পেট্রোলিং পয়েন্টের মধ্যে ২৬টিতেই অস্তিত্ব নেই ভারতের। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের এহেন দবি প্রকাশ্যে আসতেই শাসক বিরোধী তরজা তুঙ্গে। ঘটনাটি নিয়ে সরকারকে নিশানা করেছেন বিরোধীরা।

    আরও পড়ুুন: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    এঁদেরই একহাত নিয়ে জয়শঙ্কর (S  Jaishankar) বলেন, বিরোধীদের মধ্যে কিছু লোক রয়েছেন, যাঁদের বোঝা খুব কঠিন। কখনও কখনও এঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে চিন সম্পর্কে মিথ্যা খবর ছড়ান, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফয়দা তোলার জন্য। তিনি বলেন, তাঁরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন, চিন সম্পর্কে ভুল খবর ছড়াচ্ছেন। আমি জানি, তাঁরাও রাজনীতি করছেন। বিদেশমন্ত্রী বলেন, কখনও কখনও তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের খবর ছড়াচ্ছেন, যদিও তাঁরা জানেন যে এটা সত্য নয়। এর পরেই জয়শঙ্কর বলেন, কখনও কখনও বিরোধী দলের কিছু নেতা এমন কিছু অঞ্চলের কথা সামনে তুলে ধরছেন, যেটি ১৯৬২ সালের যুদ্ধে চিন দখল করেছিল। তারা এমনভাবেই বিষয়টি আপনার সামনে তুলে ধরবে যে আপনি মনে করবেন, ঘটনাটি গতকালই ঘটেছে।

    সম্প্রতি রাহুল বলেছিলেন, ক্রিটিক্যাল ইস্যুগুলি জানতে আমি ভারতে নিযুক্ত চিনা ও ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং উত্তর পূর্বের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সে প্রসঙ্গ টেনে বিদেশমন্ত্রী (S  Jaishankar) বলেন, যদি আমাকে কিছু জানতে হয় (চিন প্রসঙ্গে) তাহলে আমি চিনা রাষ্ট্রদূতের কাছে তথ্য সংগ্রহের জন্য যাব না। আমি যাব আমাদের সেনা কর্তাদের কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share