Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • Bharat Jodo Yatra: কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা, রাহুলের লক্ষ্য পূরণ হল কি?

    Bharat Jodo Yatra: কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা, রাহুলের লক্ষ্য পূরণ হল কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। আদতে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে বিরোধী ঐক্যে শান দেওয়া। রাজনৈতিক মহলের মতে, যে উদ্দেশ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে পাড়ি দিলেন কাশ্মীর পর্যন্ত, সেই লক্ষ্য তাঁর আদৌ পূরণ হবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে বড়সড় একটা জিজ্ঞাসা চিহ্ন। ভারত জোড় যাত্রায় রাহুল ব্যয় করেছেন প্রায় পাঁচ মাস। কন্যাকুমারীতে শুরু হওয়া ওই পদযাত্রা শেষ হবে কাশ্মীরে শ্রীনগরে, ৩০ জানুয়ারি। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলকে এক ছাতার তলায় আনতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। কংগ্রেসের কমিউনিকেশন হেড তথা প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ গত সপ্তাহেই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কংগ্রেসকে অবশ্যই যে কোনও কার্যকর বিরোধী জোটের পাশে থাকতে হবে। তবে বিরোধী ঐক্যের ভরকেন্দ্র যে কংগ্রেসই, সেদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, যে কোনও বিরোধী জোটের ভরকেন্দ্র অবশ্যই কংগ্রেস (Congress)। কংগ্রেস ছাড়া কোনও বিরোধী জোট অর্থবহ হবে না।

    বিরোধী জোটের স্বপ্ন…

    অতএব বিরোধীদের একজোট করতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে সমমনস্ক ২১টি রাজনৈতিক দলকে ভারত জোড় যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ফাইনাল ইভেন্টে তারা আহ্বান জানিয়েছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, ডিএমকে, এবং সিপিআই(এম)কে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, তেলগু দেশম পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি এবং সিপিআইকেও। অদ্ভুতভাবে আমন্ত্রিত দলের তালিকায় নেই আম আদমি পার্টি, শিরোমণি অকালি দল, ভারত রাষ্ট্র সমিতি এবং গুলাম নবি আজাদের ডেমক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টি।

    আরও পড়ুুন: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের

    গত সপ্তাহে জনতা দল ইউনাইটেডের তরফে রাজীব রঞ্জন সিং খাড়গেকে জানিয়ে দেন, অন্য কাজ থাকায় তিনি ওই যাত্রায় যোগ দিতে পারছেন না। যদিও বিরোধী ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আসলে শক্তিশালী বিরোধী জোটের প্রাসঙ্গিকতার কথা সকলে স্বীকার করলেও, কংগ্রেসকে তার মুখ হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। তার জেরে ডাক পেয়েও সচেতনভাবে কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা এড়িয়ে গিয়েছেন অনেকেই।

    বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ভারত জোড় যাত্রাকে (Bharat Jodo Yatra) কংগ্রেসের অভ্যন্তরণী বিষয় বলে জানিয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, আমরা এই যাত্রায় যোগ দেব না। যাত্রা শেষে বিরোধী ঐক্য নিয়ে কথা বলা যাবে। বিহারে জন সুরজ অভিযানে অনেক হেঁটেছি। এই অজুহাতে ভারত জোড় যাত্রা এড়িয়ে গিয়েছেন ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর। কংগ্রেসের ডাকে সাড়া দেননি আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও। অখিলেশ যাদবে সমাজবাদী পার্টি এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি উত্তর প্রদেশের প্রধান এই দুই বিরোধী দলই যোগ দেননি কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রায়। যদিও ডাক পেয়েছিল ওই দুই দলই।

    কংগ্রেসের তরফে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর অখিলেশ বলেছিলেন, কংগ্রেস এবং বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। যদিও সমাজবাদী পার্টির সহযোগী দল রাষ্ট্রীয় লোক দলের তরফে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা ও তাঁর ছেলে তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা দুজনেই যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসের ওই যাত্রায়। যোগ দিয়েছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিও। তৃণমূল এই যাত্রায় যোগ না দিলেও, দলের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এই যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তবে সংবাদ মাধ্যমে তিনি এও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির একটা বোঝাপড়া রয়েছে। মোদি যাতে আপসেট হয়ে পড়েন, এমন কোনও কাজ মমতা করবেন না। যখন মোদিজি বলেছিলেন ভারতকে কংগ্রেস মুক্ত করতে হবে, তখন মমতাও বলেছিলেন বাংলা থেকে কংগ্রেসকে দূর করা উচিত।

    যে লক্ষ্যে রাহুল পাঁচ মাস ধরে হাঁটলেন, সেই লক্ষ্য পূরণ হবে কি? বলবে সময়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Congress: ভারত জোড় যাত্রায় হাঁটতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কংগ্রেস সাংসদের

    Congress: ভারত জোড় যাত্রায় হাঁটতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কংগ্রেস সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (Congress) ভারত জোড় যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) বিপত্তি। যাত্রা চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কংগ্রেস নেতা সান্তোখ সিং চৌধুরীর। তিনি জলন্ধরের সাংসদ ছিলেন। বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। কংগ্রেস সাংসদের প্রয়াণের খবর পেয়ে ভারত জোড় যাত্রা ছেড়ে হাসপাতালে চলে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। জলন্ধরের সাংসদের মৃত্যুর খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।

    ভারত জোড় যাত্রা…

    গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারীতে শুরু হয় ভারত জোড় যাত্রা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে শুরু হয় ওই যাত্রা। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে গিয়ে শেষ হবে যাত্রা। কংগ্রেসের এই যাত্রায় পা মিলিয়েছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি।

    বর্তমানে পাঞ্জাবে রয়েছে ভারত জোড় যাত্রা। শনিবার সকালে যাত্রা হচ্ছিল ফিল্লৌরে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও ছিলেন ওই যাত্রায়। আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন জলন্ধরের সাংসদ সান্তোখ সিং চৌধুরী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ফাগওয়ারার ভির্ক হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। 

    খবর পেয়ে প্রয়াত নেতাকে দেখতে ভারত জোড় যাত্রা ছেড়ে সোজা হাসপাতালে চলে যান রাহুল। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। শোক প্রকাশ করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, জলন্ধরের কংগ্রেস সাংসদের আকস্মিক প্রয়াণে শোকাহত। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি। শোক প্রকাশ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rahul Gandhi: ‘রাহুলের উচিত আরএসএসের শাখায় উপস্থিত হওয়া’, কেন বললেন বিজেপি নেতা, জানেন?

    Rahul Gandhi: ‘রাহুলের উচিত আরএসএসের শাখায় উপস্থিত হওয়া’, কেন বললেন বিজেপি নেতা, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) উচিত কয়েক দিনের জন্য আরএসএসের (RSS) শাখায় উপস্থিত হওয়া। কারণ তিনি সংগঠন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। মঙ্গলবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করলেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ। এর ঠিক একদিন আগেই আরএসএসকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাহুল। এদিন তাঁকে মুখের মতো জবাব দিলেন হরিয়ানার বিজেপি (BJP) নেতা। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরও একহাত নিয়েছেন এই কংগ্রেস নেতাকে। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে কংগ্রেস নেতারাও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ছেন। রাহুলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, তিনি পাপ্পুই রয়ে গেলেন! প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতারা রাহুলকে প্রায়ই এই অভিধায় ভূষিত করেন।

    প্যালেস অন হুইলস...

    বর্তমানে ভারত জোড় যাত্রায় রয়েছেন রাহুল (Rahul Gandhi)। এই যাত্রা চলাকালীন সোমবার হরিয়ানার আম্বালায় একটি সভায় তিনি আরএসএসকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। আরএসএস সদস্যদের তিনি একবিংশ শতাব্দীর কৌরব বলে মন্তব্য করেছিলেন। হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিজ রাহুলের এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, তিনি (রাহুল) মুখে গরিবদের কথা বলেন। কিন্তু ভারত জোড় যাত্রার সময় তিনি ঘুমোন প্যালেস অন হুইলসে। ভিজ বলেন, আরএসএস সম্পর্কে তিনি (রাহুল) কিছুই জানেন না। তাই এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করার অধিকার তাঁর নেই। এই বিজেপি নেতা বলেন, আরএসএসের কারণেই বর্তমানে দেশ অখণ্ড রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘আমরা ফের এই দেশ শাসন করব’, মুসলমানদের এই ধারণা ছাড়তে হবে, বললেন ভাগবত

    এর পরেই তিনি বলেন, রাহুলের (Rahul Gandhi) উচিত কয়েক দিনের জন্য আরএসএসের শাখায় যোগ দেওয়া উচিত রাহুলের। কারণ সংগঠন সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। প্রবল ঠান্ডায় টি-শার্ট পরেই ভারত জোড় যাত্রা করছেন রাহুল। গোটা যাত্রা পথে এই পোশাকই পরে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কারণ হিসেবে রাহুল জানিয়েছিলেন, ভারত জোড় যাত্রার সময় মধ্য প্রদেশে তিনি তিনজন দরিদ্র মেয়েকে ছেঁড়া জামাকাপড় পরে ঠান্ডায় কাঁপতে দেখেছিলেন। সে প্রসঙ্গ টেনে ভিজ বলেন, রাহুল গান্ধীর উচিত ছিল ওই মেয়েদের বাড়িতে যাওয়া। চাক্ষুষ করা উচিত ছিল তারা কীভাবে বাঁচে, তারা কোথায় ঘুমোয়। ভিজ বলেন, তিনি (রাহুল) তো প্যালেস অন হুইলসে ঘুমোন। এতে লাক্সারি ব্যবস্থা রয়েছে। এটা তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে। তাঁর (Rahul Gandhi) এই যাত্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ভিজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Demonitisation: ক্ষমা চান রাহুল গান্ধী! নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পর কংগ্রেসকে কটাক্ষ রবি শঙ্কর প্রসাদের

    Demonitisation: ক্ষমা চান রাহুল গান্ধী! নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পর কংগ্রেসকে কটাক্ষ রবি শঙ্কর প্রসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোট বন্দির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সোমবার জানিয়েছে, কী ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শুধু তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের রায় বদলে দেওয়া যায় না। নোট বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অবশ্যই রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে ছয় মাস ধরে আলোচনার পরেই নোট বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এটা শুধু কেন্দ্রের এক তরফা সিদ্ধান্ত তা বলা যায় না। তাই নোট বাতিলের প্রক্রিয়াও অবৈধ নয়। সুপ্রিম এই রায়ের পর বিরোধীদের একহাত নিয়েছে বিজেপি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ” নোট বন্দি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কি রাহুল গান্ধী সরি বলবেন? গত ছয় বছর ধরে মিথ্যে প্রচার চালিয়েছে কংগ্রেস। দেশের মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নোট বন্দির সিন্ধান্ত যে সঠিক ছিল সেটা আজ সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে স্পষ্ট। কারণ ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার ফলে জঙ্গিদের রসদে টান পড়েছে। কমেছে জঙ্গি কার্যকলাপ। সেটা সহ্য হচ্ছিলো না কংগ্রেসের। রাহুল গান্ধী ভুল বলছিলেন। শুধু দেশে নয় দেশের বাইরেও। আজকের পরে নিশ্চয়ই ভুল স্বীকার করা উচিত রাহুল গান্ধীর “

    চিদাম্বরকেও কটাক্ষ

    নোট বন্দি মামলায় পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ভোটাভুটির মাধ্যমে রায় দিয়েছে। যেখানে চারজন বিচারপতি স্বপক্ষে রায় দিয়েছেন। একজন বিচারপতি নোট বন্দির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন। শুধু রাহুল গান্ধী নয়, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকেও এ প্রসঙ্গে তুলোধোনা করেছেন রবি শঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেছেন, ” সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়কে উপেক্ষা করে বদনাম করার মতো বিবৃতি দিয়েছেন চিদাম্বরম। যা মেনে নেওয়া যায় না।” 

    আরও পড়ুন: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ভারতের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ হয়ে ওঠার বিষয়টিও স্পষ্ট করেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নোটবন্দির পর ডিজিটার পেমেন্টের ক্ষেত্রে ভারত সারা বিশ্বের নেতা হতে চলেছে।” পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, কেবল গত বছরের অক্টোবরে ভারত ১২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ৭৩০ কোটির বেশি ডিজিটাল পেমেন্ট হয়েছে, যা কোনও দেশে হয়নি। নোটবন্দির উদ্দেশ্য যে মহৎ ছিল,  সেটা বিচারের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি দেখা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Salman Khurshid: রাহুল গান্ধীকে রামের সঙ্গে তুলনা সলমন খুরশিদের, কড়া জবাব দিল বিজেপি

    Salman Khurshid: রাহুল গান্ধীকে রামের সঙ্গে তুলনা সলমন খুরশিদের, কড়া জবাব দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাজনীতির বিতর্কে ফের নাম জড়াল রামের। এবারে রাহুল গান্ধীকে ভগবান রামের সঙ্গে তুলনা করলেন কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ (Salman Khurshid)। এতে ফের দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুধু রাম নয়, ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিয়ে তিনি রাহুলকে অতিমানব, ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসী, যোগীর সঙ্গেও তুলনা করেছেন। এছাড়াও কংগ্রেসকে ‘ভরত’-এর সঙ্গে এবং চলমান ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’কে মহাকাব্য রামায়ণের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর খুরশিদের এই সব মন্তব্যকেই তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে দাবি করে বিজেপির তরফে জানানো হয়, এই তো আসল পরিবার ভক্তির নমুনা! পাশাপাশি খুরশিদকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে বিজেপি।

    ঠিক কী বলেছিলেন খুরশিদ?

    উত্তরপ্রদেশে ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) চলছে কিন্তু অনুপস্থিত রাহুল গান্ধী। সে রাজ্যে এই কর্মসূচির কো অর্ডিনেটর সলমন খুরশিদ (Salman Khurshid)। রাহুলের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খুরশিদ বলেন, “রামচন্দ্র সর্বত্র পৌঁছতে পারেননি কিন্তু তাঁর পাদুকা বহন করেছিলেন তাঁর ভাই ভরত। রামচন্দ্রের পাদুকা উত্তরপ্রদেশে পৌঁছে গিয়েছে। এবার রামও আসবেন, এটা আমাদের বিশ্বাস।” তিনি আরও বলেন, “রাহুল গান্ধী অতিমানব। আমরা যখন ঠান্ডায় জমে আছি এবং জ্যাকেট পরছি, তখন তিনি টি-শার্ট পরে বের হচ্ছেন। তিনি একজন যোগীর মত তাঁর ‘তপস্যা’ করছেন।”

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    সলমন খুরশিদের (Salman Khurshid) এই মন্তব্যের পরেই বিজেপি তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করছে। রাহুল গান্ধীকে ভগবান রামের সঙ্গে তুলনা করায় কংগ্রেস নেতাকে তিরস্কার করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি হীরাবেন, অসুস্থ মাকে দেখতে গুজরাট পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদি

    গৌরব ভাটিয়া কী বললেন?

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেছেন, ভোট পাওয়ার জন্য কংগ্রেস যেকোনও ধরণের রাজনীতি করতে পারে। গৌরব ভাটিয়া বলেছেন, “এটা কংগ্রেস দলের ডিএনএ-তে আছে। তারা যদি ভোট চায়, তারা যে কোনো ধরণের রাজনীতি করতে পারে এবং সলমন খুরশিদ আমাদের আরাধ্য দেবতা ভগবান শ্রী রামকে এমন এক অপরাধীর সঙ্গে তুলনা করেছেন যিনি জামিন পেয়ে মুক্তি পেয়েছেন। ভারতের জনগণ তাঁকে উত্তর দেবে। নির্বাচন এলে তিনি ভন্ড হিন্দু হয়ে যান।”

    বিজেপি সাধারণ সম্পাদক দুষ্যন্ত গৌতমের প্রতিক্রিয়া

    বিজেপি নেতা দুষ্যন্ত গৌতম বলেন, “রাহুল যদি রাম হন তবে কেন তাঁর সেনাবাহিনী পোশাক ছাড়া ঘোরাফেরা করে না? কংগ্রেসিদের পোশাক ছাড়াই ঘোরাফেরা করা উচিত, যেমন ভগবান রামের বানর সেনারা করত।” তিনি আরও বলেন, “রাহুল গান্ধীকে জানাতে হবে যে তিনি কোন প্রসাদ খান, যার কারণে তিনি ঠাণ্ডা অনুভব করেন না। একই প্রসাদ তাঁর সেনাকেও দেওয়া উচিত যাতে তাদেরও ঠান্ডায় পোশাক পরতে না হয়।”

    শেহজাদ পুনাওয়ালার কড়া জবাব

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা আজ ট্যুইটারে খুরশিদের (Salman Khurshid) মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ঈশ্বর ও দেশের প্রতি ভক্তির চেয়ে যখন পরিবারের প্রতি ভক্তি বেড়ে যায়, তখন এধরণের মন্তব্য করা হয়। এই মন্তব্য হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। উনি অন্য ধর্মের সঙ্গে এমন তুলনা করতে পারবেন?”

  • Bharat Jodo Yatra: করোনা আবহেও ভারত জোড় যাত্রা! রাহুলকে বিঁধল বিজেপি

    Bharat Jodo Yatra: করোনা আবহেও ভারত জোড় যাত্রা! রাহুলকে বিঁধল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) সহ একাধিক দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Corona)। ভারতেও (India) খবর মিলেছে  সংক্রমণের। পরিস্থিতির মোকাবিলায় বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনসভা বাতিল করেছেন তিনি। সংসদ সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেখানে ভিড় হচ্ছে, সেখানেই মাস্ক পরে যাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় করোনা বিধি না মেনেই ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) করে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। করোনা সংক্রমণের আবহে তাঁর এই কর্মসূচি কতটা প্রাসঙ্গিক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    ভারত জোড় যাত্রা…

    কন্যাকুমারিকা থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ভারত জোড় যাত্রা কর্মসূচি পালন করছে কংগ্রেস। এই পদযাত্রায় শামিল হয়েছেন খোদ রাহুল গান্ধী। বর্তমানে হরিয়ানায় পালিত হচ্ছে এই কর্মসূচি। তার আগে হয়েছে রাজস্থানে। রাহুলের ভারত জোড় যাত্রা যখন রাজস্থানে, তখনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনশুখ মাণ্ডব্য রাহুলকে চিঠি লিখে করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। না হলে আপাতত যাত্রা স্থগিত রাখার নিদান দেন। তার পরেও ভারত জোড় যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছেন রাহুল। আগামিকাল, শনিবার ভারত জোড় যাত্রা ঢুকবে দিল্লিতে। বড়দিন ও নববর্ষ উপলক্ষে শনিবারের পর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই কর্মসূচি।

    রাহুলের এই ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) কর্মসূচিতে অনড় থাকার সিদ্ধান্তে তাঁকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, মাসাধিক কাল ধরে চলছে ভারত জোড় যাত্রা। এর মধ্যে ফের হানা দিয়েছে করোনা। করোনার মোকাবিলায় ভারত সরকার পদক্ষেপ করছে। তাহলে কংগ্রেস কেন বিরোধিতা করছে? করোনাবিধি সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী এনএস তোমর বলেন, গোটা দেশেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। দল বাঁচাতে হচ্ছে ভারত জোড় যাত্রা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে নিউ ইন্ডিয়া নির্মাণ হচ্ছে, তা হজম করতে পারছে না কংগ্রেস। করোনা বিধিকে রাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা না করাই ভাল। আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি জোশী বলেন, আমি চাই রাহুল গান্ধী ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) কর্মসূচি পালন করুন। তাঁর একটা রেকর্ড রয়েছে। সেটি হল, যেখানেই তিনি যান, সেখানেই কংগ্রেস পরাজিত হয়। তবে আমি আশা করব, তিনি করোনাবিধি মেনে চলবেন।

     

  • Bharat Jodo: হয় কোভিড-বিধি মানুন, নয়তো ভারত জোড় যাত্রা বন্ধ করুন, রাহুলকে চিঠি মাণ্ডব্যর

    Bharat Jodo: হয় কোভিড-বিধি মানুন, নয়তো ভারত জোড় যাত্রা বন্ধ করুন, রাহুলকে চিঠি মাণ্ডব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে (China) চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Corona)। কেবল চিন নয়, বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশেও থাবা বসিয়েছে করোনা। ভারতে অবশ্য এখনও পর্যন্ত করোনার তেমন প্রকোপ দেখা যায়নি। তবে কথায় বলে, সাবধানের মার নেই। তাই সাবধানে থাকাই উচিত। সেজন্য রাজ্যগুলিকে সচেতন করে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। এমতাবস্থায় লোকলস্কর নিয়ে যথারীতি ভারত জোড় (Bharat Jodo) যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী।

    মনশুখ মাণ্ডব্য…

    এবার রাহুলকে সচেতন করে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনশুখ মাণ্ডব্য। ভারত জোড় যাত্রা চলা কালে রাহুল যাতে কোভিড ১৯ বিধি মেনে চলেন, সেজন্য রাহুলের পাশাপাশি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকেও চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার লেখা হয়েছে চিঠিটি। তাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ভারত জোড় যাত্রা কর্মসূচি পালন করার সময় কোভিড গাইডলাইন মেনে চলুন কঠোরভাবে। বর্তমানে ভারত জোড় (Bharat Jodo) যাত্রা যাচ্ছে রাজস্থান দিয়ে। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারে জোর দিতে হবে। যাঁরা করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, কেবলমাত্র তাঁরাই এই যাত্রায় যোগ দিতে পারবেন। যদি এই নিয়মবিধি একান্তই মেনে চলা না যায়, তাহলে যেন আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারত জোড় যাত্রা। ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিখেছেন, যদি একান্তই করোনাবিধি মেনে চলা না যায়, তাহলে যেন আপাতত স্থগিত রাখা হয় ভারত জোড় যাত্রা। জাতীয় স্বার্থেই এটা করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ফের বাড়তে পারে করোনা! পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ কেন্দ্রের

    এ প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে কংগ্রেস। দলের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, আমি বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই গুজরাট নির্বাচনের সময় কী প্রধানমন্ত্রী মোদি কোভিড বিধি অনুসরণ করেছিলেন? তিনি বলেন, আমার মনে হয় মনশুখ মাণ্ডব্য রাহুল গান্ধীর ভারত জোড় (Bharat Jodo) যাত্রা পছন্দ করছেন না। কিন্তু মানুষ পছন্দ করছেন। এবং এই যাত্রায় যোগ দিচ্ছেন। অধীর বলেন, মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই মাণ্ডব্যকে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কন্যাকুমারিকায় শুরু হয়েছে ভারত জোড় যাত্রা। যাবে কাশ্মীর পর্যন্ত। মঙ্গলবার এই পদযাত্রা হয়েছে রাজস্থানে, অশোক গেহলটের রাজ্যে। বুধবার সেটি প্রবেশ করে হরিয়ানায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: রাহুলের ‘পিটাই’ শব্দের তীব্র প্রতিবাদ জয়শঙ্করের, কংগ্রেস সাংসদকে কী বললেন জানেন?

    S Jaishankar: রাহুলের ‘পিটাই’ শব্দের তীব্র প্রতিবাদ জয়শঙ্করের, কংগ্রেস সাংসদকে কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) আমাদের জমি কেড়ে নিয়েছে। আমাদের সেনাদের প্রহার করছে। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াংয়ে ভারতীয় সেনা ও চিনা ফৌজের হাতাহাতি প্রসঙ্গে কথাগুলি বলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সোমবার লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদের ওই বক্তব্যের জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তাঁর মতে, সেনা জওয়ানদের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রাহুলের ‘পিটাই’ (প্রহার) শব্দটি ব্যবহার করা উচিত হয়নি। জয়শঙ্কর বলেন, রাজনৈতিক সমালোচনা নিয়ে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু আমাদের জওয়ানদের অশ্রদ্ধা করা উচিত নয়। তিনি বলেন, লোকে বলে, আমার নিজের উপলদ্ধি আরও গভীর হওয়া উচিত। যিনি এই পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁর প্রতি আমার মনে শ্রদ্ধা ছাড়া কিছু নেই। এর পরেই জয়শঙ্কর বলেন, জওয়ানদের সম্পর্কে পিটাই শব্দটি ব্যবহার করা ঠিক হয়নি।

    রাহুল উবাচ…

    প্রসঙ্গত, গত ৯ ও ১১ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিন ও ভারতীয় সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনা অল্পবিস্তর জখম হয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গেই রাজস্থানের জয়পুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রসে সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, চিন আমাদের জমি কেড়ে নিয়েছে। আমাদের সেনাদের প্রহার করছে। চিনের হুমকি স্পষ্ট। কিন্তু, সরকার এটা গোপন করে যাচ্ছে, অবজ্ঞা করছে। লাদাখ ও অরুণাচলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন। আর সরকার ঘুমিয়ে আছে।

    আরও পড়ুন: ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারেন মমতা, কেন জানেন?

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, আমরা যদি চিনা হুমকি অস্বীকারই করে থাকি, তাহলে সেনা জওয়ানরা নিয়ন্ত্রণরেখায় কী করছেন? রাহুল গান্ধী বলেছেন বলে তাঁরা সেখানে যাননি। সেনা জওয়ানরা ওখানে গিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন বলে। তিনি বলেন, আমরা চিনকে একতরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিবর্তন করতে দেব না। তিনি বলেন, আমাদের সেনারা সমুদ্রস্পৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ফুট ওপরে ইয়াংসি সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন। সেই সেনাদের সম্মান করা উচিত এবং তাঁদের প্রশংসা করা উচিত। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় চিনা ও ভারতীয় সেনার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    BJP: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর (Nehru) ভারত (India) নয়, যিনি ৩৭ হাজার ২৪২ কিলোমিটার হারিয়েছিলেন চিনের (China) কাছে। এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর। তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই কেন্দ্রকে নিশানা করেছে বিরোধী দলগুলি। এ নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধীও। তাঁর দাবি, চিন যখন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, তখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উদ্বেগ নেই। সরকার বিষয়টিতে গুরুত্বই দিচ্ছে না। রাহুলের এহেন মন্তব্যেরই পাল্টা দিল বিজেপি।

    রাহুলকে নিশানা…

    বর্তমানে ভারত জোড় যাত্রা কর্মসূচি পালন করছেন রাহুল গান্ধী। এদিন তাঁকেই নিশানা করেন বিজেপির মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী চিনের এতটাই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন যে তিনি বুঝে যাচ্ছেন, চিন এবার কী করবে। রাহুলকে মুখের মতো জবাব দিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রসঙ্গ টানেন বিজেপির মুখপাত্র। ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ভারত জোড় যাত্রা চলাকালীন রাহুল গান্ধী দেশের নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন, যাতে দেশের সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। এর পরেই তিনি বলেন, এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়, যিনি ৩৭ হাজার ২৪২ কিলোমিটার হারিয়েছিলেন চিনের কাছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের চুক্তি হয়েছে বলেও দাবি করেন রাঠোর। তিনি বলেন, সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন চলে চিনের টাকায়। তার পরেই চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের চুক্তির হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র।

    আরও পড়ুন: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রাঠোর বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন একাধিকবার দখলদারির চেষ্টা করেছিল চিন। তিনি জানান, নরেন্দ্র মোদির আমলে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে তিনগুণ। প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় হাতাহাতি হয় চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার। এই প্রসঙ্গেই রাহুল বলেছিলেন, লাদাখের কাছে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ঘুমিয়ে রয়েছে। এর পরেই রাহুলকে একহাত নেয় বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukhvinder Singh Sukhu: হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রী পদে সুখবিন্দর সিং সুখুর নাম চূড়ান্ত, তিনি কে জানেন?

    Sukhvinder Singh Sukhu: হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রী পদে সুখবিন্দর সিং সুখুর নাম চূড়ান্ত, তিনি কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। ৬৮ আসন বিশিষ্ট এই বিধানসভায় ৪০টি আসনে জয়ী হয়েছেন ‘হাত’-প্রার্থীরা। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসে কংগ্রেস (Congress)। ওই পদের জন্য একাধিক দাবিদার থাকলেও, শেষমেশ সিলমোহর পড়ে সুখবিন্দর সিং সুখুর (Sukhvinder Singh Sukhu) নামে। তাই তিনিই হচ্ছেন হিমাচল প্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী (CM)।

    সুখবিন্দর…

    গ্রামের এক সম্মানীয় পরিবারে জন্ম সুখবিন্দরের। বাবা ছিলেন বাসচালক। ছোটবেলায় সুখবিন্দর দুধের কাউন্টার চালাতেন। এর মধ্যেই পড়াশোনাও করতেন। এভাবে হন ল’ গ্র্যাজুয়েট। হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন তিনি। যোগ দেন কংগ্রেস অনুমোদিত ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ায়। পরে স্টুডেন্ট-বডির সভাপতিও হন। এক দশক ধরে তিনি হিমাচল প্রদেশ যুব কংগ্রেসের প্রধান ছিলেন। পরে হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান হন। ২০১৩ সাল থেকে টানা ছ বছর ওই পদে ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে সুখবিন্দর প্রথম নাদৌন কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন। ২০১২ সালে ওই কেন্দ্রেই হেরে যান তিনি। ফের জেতেন ২০১৭ সালে। চলতি বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হয়েছেন তিনি।

    চারবারের বিধায়ক সুখবিন্দর (Sukhvinder Singh Sukhu)। দু বার তিনি জয়ী হয়েছিলেন শিমলা মিউনিসিপ্যাল ইলেকশনে। চল্লিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে সুখবিন্দর একাধিকবার ছ বারের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বীরভদ্র সিংয়ের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়েছেন। তবে গান্ধী পরিবারের বদান্যতায় প্রতিবারই বেরিয়ে এসেছেন সমস্যা থেকে। সুখবিন্দর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ। তিনিই প্রথম রাজনীতিবিদ যিনি নামনি হিমাচল প্রদেশ থেকে সোজা গিয়ে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর তখতে।

    আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড় যাত্রা’য় বেরিয়ে চায়ে মজে রাহুল, বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে ফার্ম হাউসের মালকিন

    জানা গিয়েছে, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সুখবিন্দরের নাম চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পরেই কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে অশান্তি। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রতিভার অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখাতে নেমে পড়েছেন। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ছিলেন তিনিও। তাঁর জায়গায় সিলমোহর দেওয়া হয় সুখবিন্দরের নামে। মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন বীরভদ্রের ছেলে বিক্রমাদিত্য।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share