Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭২ হাজার কোটি টাকার গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসের করা সমালোচনার জবাব দিল বিজেপি (BJP)। দলের মুখপাত্র অনিল কে অ্যান্টনি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ করেছেন। অনিল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনির ছেলে। এক্স হ্যান্ডেলে অনিল বলেন (Great Nicobar Project), “এই দ্বীপগুলি ইন্দোনেশিয়ার মাত্র ১৫০ মাইল দূরে অবস্থিত, মালাক্কা প্রণালীর পশ্চিম প্রবেশদ্বারের কাছে, যা বিশ্বব্যাপী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ।”

    বিজেপির বক্তব্য (BJP)

    তিনি বলেন, “ক্যাম্পবেল বে-তে অবস্থিত নৌবাহিনীর বিমান ঘাঁটি আইএনএস বাজ ২০১২ সালে কমিশন করা হয়েছিল। সেই সময় সোনিয়া গান্ধী ছিলেন ইউপিএর চেয়ারপার্সন।” বিজেপির এই নেতার প্রশ্ন, “কোন ভিত্তিতে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস পার্টি এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকে একটি ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।” তিনি বলেন, “দশ বছরেরও বেশি সময় পরে কোন ভিত্তিতে এবং কার পক্ষে আপনি, আপনার পরিবার এবং আপনার দল এখন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রকল্পকে ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন (BJP)?”

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প একটি সরকারি পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে দ্বীপটিতে একটি ট্রানশিপমেন্ট পোর্ট, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি আধুনিক টাউনশিপ তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পে উন্নয়নকে কৌশলগত অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ১৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই প্রকল্প বিস্তৃত। এর মধ্যে ১৩০ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চলে নিকোবরিজ ও শোম্পেন সম্প্রদায় বসবাস করে। এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লেখেন, “গ্রেট নিকোবার দ্বীপ প্রকল্প একটি মিসঅ্যাডভেঞ্চার, যা উপজাতির অধিকারকে পা দিয়ে দখল করছে এবং আইনি ও বিবেচনামূলক প্রক্রিয়ার অমর্যাদা করছে। এই প্রবন্ধে কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধী নিকোবারের (Great Nicobar Project) মানুষ এবং তাদের সংবেদনশীল পরিবেশে এই প্রকল্পের দ্বারা যে অন্যায় সংঘটিত হচ্ছে তা তুলে ধরেছেন।” এরই উত্তর দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)।

     

  • Rahul Gandhi: কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া

    Rahul Gandhi: কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব হলেন কংগ্রসেরই নেতা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। ১৯৯১ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রাহুলকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। স্বদলেরই এক বরিষ্ঠ নেতার এমনতর গুরুতর অভিযোগের জেরে বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি।

    হেরে গিয়েছিলাম জালিয়াতির কারণে (Rahul Gandhi)

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের লোকসভা নির্বাচনে কপ্পল লোকসভা কেন্দ্রে জনতা দলের প্রার্থী হয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। ওই নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের বাসবরাজ পাটিল আনওয়ারি। তাঁর কাছে ১১ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরে গিয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। সেদিনের কথা স্মরণ করেই বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, “১৯৯১ সালে আমি ভোটে লড়েছিলাম এবং হেরে গিয়েছিলাম জালিয়াতির কারণে।” সেই কঠিন সময়ে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য তিনি রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রফেসর রবি বর্মা কুমারকে ধন্যবাদও দেন।

    অমিত মালব্যর আক্রমণ

    সিদ্দারামাইয়ার ওই মন্তব্যের ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি শাখার প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “যিনি এক সময় কংগ্রেসের ভোট চুরির বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, তিনিই আজ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী এবং ভোটার অধিকার মিছিলেন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তখন তিনি (সিদ্দারামাইয়া) ব্যালট পেপারে হেরে গিয়ে ভোট চুরি বলে কেঁদেছিলেন। আর আজ রাহুল গান্ধী নির্বাচনী জালিয়াতি নিয়ে হাহাকার করছেন। কারণ ভারতের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ও হ্যাক করা যায় না, এমন যন্ত্র ইভিএমের মাধ্যমে কংগ্রেসকে সাফ করে দিয়েছে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এও লেখেন, “কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে ১৯৯১ সালের কপ্পল লোকসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের ভোট কারচুপির শিকার হয়েছিলেন। এটি প্রমাণ করে যে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই ভোট চুরির রাজনীতি করেছে।আয়রনি হল, রাহুল গান্ধী বিজেপিকে সেই কাজের জন্য অভিযুক্ত করছেন, যা তাঁর নিজের দল দশকের পর দশক ধরে করেছে।”

    আক্রমণ পদ্ম শিবিরের

    কর্নাটকের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপির আর অশোকও বলেন, “কংগ্রেস (Rahul Gandhi) প্রতারণা করে সিদ্দারামাইয়াকে হারিয়েছিল।” তিনি বলেন, “সিদ্দারামাইয়া নিজেই কংগ্রেস পার্টির মুখোশ খুলে দিয়েছেন। তিনি ১৯৯১ সালে জনতা দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছিলেন, আর এখন তিনি স্বীকার করছেন যে কংগ্রেস জালিয়াতির মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত করেছিল। সত্যটি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকেই বেরিয়ে এসেছে।” পদ্ম শিবিরের আর এক নেতা সরাসরি রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ (Siddaramaiah) করে বলেন, “রাহুল গান্ধী কি এখন প্রতারণা ফাঁস করার জন্য সিদ্দারামাইয়াকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করবেন? নাকি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শুধু দলিত নেতা সত্যিশ জারকিহোলির মতো নেতাদের জন্যই রাখা হয়েছে, যিনি আগে অপমানের শিকার হয়েছিলেন? সিদ্দারামাইয়া যখন কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন, তখন রাহুল গান্ধী নীরব কেন?”

    ১৯৯১ সালের অশান্ত লোকসভা নির্বাচন

    সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্য ১৯৯১ সালের অশান্ত লোকসভা নির্বাচনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। ওই নির্বাচনে একাধিক আসনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তাই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এখন বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে (Rahul Gandhi) বিজেপির। তাদের প্রশ্ন, যদি কংগ্রেস ১৯৯১ সালে ভোট কারচুপি করে থাকে, তবে আজ বিজেপিকে অভিযুক্ত করার নৈতিক অধিকার তাদের কোথায়? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাহুল এবং সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্যে বিরোধাভাস স্পষ্ট। রাহুল জোরালোভাবে বিজেপিকে একমাত্র নির্বাচনী জালিয়াত হিসেবে তুলে ধরেছেন, অথচ তাঁর নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রীই প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন অনিয়মের শিকার হয়েছিলেন তিনি স্বয়ং (Siddaramaiah)।

    প্রশ্ন একাধিক

    বিহার এবং কর্নাটক-সহ অন্যান্য নির্বাচনে বিজেপি যে এটিকেই প্রধান ইস্যু করবে, তা স্পষ্ট। তারা কংগ্রেসকে এমন একটি দল হিসেবে ব্র্যান্ড করবে, যারা অনেক আগেই ভোট কারচুপিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, আর এখন অন্যদের দিকে আঙুল তুলছে। এই বিতর্কে সিদ্দারামাইয়া ও রাহুল (Rahul Gandhi) কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে যা প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেটিই যে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরবে, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবই তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন হল, কংগ্রেস কি আসলেই ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কারচুপি করেছিল? আর যদি করেই থাকে, তবে (Rahul Gandhi) প্রকৃত ভোট চোর কারা?

  • Amit Shah: ‘জেলে বসে সরকার চালাতে চায় বিরোধীরা’, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের পক্ষে জোরালো সওয়াল শাহের

    Amit Shah: ‘জেলে বসে সরকার চালাতে চায় বিরোধীরা’, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের পক্ষে জোরালো সওয়াল শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা চান জেল থেকে সরকার চালানোর বিকল্প ব্যবস্থা। কোনও প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য মন্ত্রী জেলে বসে সরকার চালালে তা গণতন্ত্রের গরিমাকে আহত করে। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী ও তাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ইস্তফার পর থেকে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না দাবি করে বিরোধীরা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানালেন, ‘অযথা লেবু কচলানোর কোনও প্রয়োজন নেই।’

    জেল থেকে সরকার চলুক

    ৩০ দিন জেলে থাকলেই ৩১ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীকে পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া বিল নিয়ে উত্তাল সংসদ। বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদের আবহে বিল নিয়ে অনড় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার এক সাক্ষাৎকারে বিরোধীদের কটাক্ষ করে শাহ বলেন, “আসলে আজও এরা চেষ্টা করছেন, কখনও জেলে গেলেও জেলে বসেই সহজে সরকার চালিয়ে নেবেন। জেলকেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর বা প্রধানমন্ত্রীর দফতর বানিয়ে নেবেন। তারপর জেল থেকে ডিজিপি, মুখ্যসচিব, ক্যাবিনেট সচিব বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেবেন।” শাহের (Amit Shah) কথায়, “যদি জামিন পেয়ে যান তিনি শপথ নিয়ে পুনরায় পদ সামলাতেই পারেন। কিন্তু জেল থেকে সরকার চালানো কি উচিত?”

    অন্তর্ভুক্ত প্রধানমন্ত্রীর পদও

    অমিত শাহ জানালেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে চেয়েছিলেন এই বিলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পদকেও অন্তর্ভুক্ত করতে। তিনি স্মরণ করালেন, ইন্দিরা গান্ধী ৩৯তম সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারের পদকে বিচারিক পর্যালোচনার বাইরে রেখেছিলেন। কিন্তু মোদি সরকার তার উল্টো পথে হেঁটেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল (130th Constitutional Amendment Bill) দেশের গণতন্ত্রের গরিমা রক্ষার জন্য আবশ্যিক।

    জগদীপ ধনখড় প্রসঙ্গ

    হঠাৎ সকলকে অবাক করে গত ২১ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সেই নিয়ে তুমুল চর্চা, বিতর্কও হয়। কেন্দ্রের সঙ্গে ধনখড়ের বিবাদের জল্পনাও উঠে আসে। সরকারের তরফে সে সময়ে কোনও বিবৃতি মেলেনি। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন। বললেন, “এই বিষয়টি দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়।” সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জগদীপ ধনখড়ের কাজের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “ধনখড়জি যখন সাংবিধানিক পদে ছিলেন, তাঁর সময়কালে তিনি সংবিধান অনুযায়ী ভালো কাজ করেছেন। ধনখড় সাহেবের ইস্তফাপত্রে স্পষ্ট যে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী ও সরকারের বাকি সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই বিষয়টি আর দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়।”

    রাহুলের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন শাহের

    সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী (130th Constitutional Amendment Bill) ও তাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাতেই শাহের নিশানায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ২০১৩ সালে মনমোহন সিংয়ের আমলের ঘটনা প্রসঙ্গে শাহ বলেন,“লালুপ্রসাদ যাদবকে বাঁচাতে মনমোহন সিং সরকারের আনা অধ্যাদেশ কেন রাহুল গান্ধী ছিঁড়ে ফেলেছিলেন? সেই দিন যদি তাঁর নীতিবোধ থেকে তিনি তা করে থাকেন, তাহলে এখন কী হলো? পরপর তিনটি নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় কি আপনার নীতিবোধ বদলেছে? নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের সঙ্গে নৈতিক মূল্যবোধের কোনও সম্পর্ক নেই, বরং নৈতিক মূল্যবোধ চাঁদ-সূর্যের মতো দৃঢ় হওয়া উচিত।’এখানেই শেষ নয়, সংসদের বিরোধী দলনেতা রাহুলের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে শাহ বলেন, ‘নিজের দলের সরকারের পদক্ষেপের প্রতিবাদ করেছিলেন যে রাহুল, তিনি এখন বিহার নির্বাচনে জেতার জন্য দোষী লালুপ্রসাদকে জড়িয়ে ধরছেন। তা হলে সেই দিন প্রতিবাদ করেছিলেন কেন। মনমোহন সিং (Manmohan Singh) ইতিহাসের কাছে দোষী হয়ে গেলেন চিরজীবনের মতো।”

    জনগনকে জবাব দিতে হবে

    বিরোধীরা সংসদে বিল পেশ হতে না দেওয়ার চেষ্টা করছে, এ প্রসঙ্গে শাহ (Amit Shah) বললেন,“সংসদ কি শুধু শোরগোল করার জায়গা, না কি বিতর্কের জন্য? আমরাও অতীতে প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু কোনও বিলকেই উপস্থাপন করতে না দেওয়া আসলে অগণতান্ত্রিক মানসিকতা। এর জবাব বিরোধীদের জনগণকে দিতেই হবে।” বিরোধীরা যখন ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলকে (130th Constitutional Amendment Bill) ‘কালা আইন’ বলছে, তখন শাহ জবাব দিলেন, “দেশ কোনও একজন মানুষ ছাড়া চলবে না, এই ধারণা আমরা একেবারেই মানি না। একজন সরে গেলে দলের অন্য সদস্য সরকার চালাবেন। আর যখন জামিন পাবেন, তখন ফের পদে ফিরতে পারবেন। তাতে আপত্তি কোথায়?” এই বিল সংসদে পাশ হবে এবং কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরেরও অনেকে নৈতিকতার দোহাই দিয়ে বিলকে সমর্থন করবেন বলে আশা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

  • Kiren Rijiju: “বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন রাহুল গান্ধী,” তোপ কিরেন রিজিজুর

    Kiren Rijiju: “বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন রাহুল গান্ধী,” তোপ কিরেন রিজিজুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী ( Rahul Gandhi) একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন।” শনিবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলের বিরুদ্ধে “ভারত-বিরোধী” হিসেবে পরিচিত জর্জ সোরোসের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করার অভিযোগও করেন। তিনি অবশ্য এও জানিয়ে দেন, এসব ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ নিরাপদেই রয়েছে।

    রিজিজুর অভিযোগ (Kiren Rijiju)

    সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিজিজু বলেন, “রাহুল গান্ধী একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন। জর্জ সোরোস বলেছেন যে ভারত সরকারকে অস্থির করতে এক ট্রিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। কানাডা, আমেরিকা, ব্রিটেন এবং বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনে বসে থাকা ভারত-বিরোধী খালিস্তানপন্থী শক্তিগুলি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস তাদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে দেশকে দুর্বল করছে। এটি খুবই উদ্বেগজনক। তবে মোদীজির নেতৃত্বে কেউই দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারবে না।”

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তোপ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর (Kiren Rijiju) অভিযোগ, কংগ্রেস যখনই নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হয়, তখনই তারা ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে মিলে যায়। তিনি বলেন, “যখন কংগ্রেস ভোটে জিততে পারে না, তখন তারা এবং ভারতবিরোধী শক্তি মিলে সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করতে শুরু করে, যাতে সাধারণ মানুষ এই দেশের প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর আস্থা হারায়। তারা বারবার বলে এসেছে যে বিচারব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশন বিক্রি হয়ে গিয়েছে, তাদের দুর্বল করার জন্য।” রিজিজু বলেন, “এই ধরনের কাজকর্মের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। যখন তারা জাতিকে দুর্বল করার জন্য এবং সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে, তখন তার ফলশ্রুতিতে আন্দোলন শুরু হয়। তারা বামপন্থী মানসিকতা নিয়ে কাজ করছে।” তিনি (Kiren Rijiju) বলেন, “রাহুল গান্ধী যখন কিছু বলেন, তখন তাঁর দলের সব সাংসদ খুব অস্বস্তি বোধ করেন। তাঁরা ভয় পান, উনি (Rahul Gandhi) হয়তো উল্টোপাল্টা কোনও কথা বলে বসবেন, আর তার ফল ভুগতে হবে পুরো দলকে।”

  • EC to Rahul Gandhi: “প্রমাণ দিন নয়তো ক্ষমা চান”, ভোট চুরি নিয়ে রাহুলকে ৭ দিনের ডেডলাইন নির্বাচন কমিশনের

    EC to Rahul Gandhi: “প্রমাণ দিন নয়তো ক্ষমা চান”, ভোট চুরি নিয়ে রাহুলকে ৭ দিনের ডেডলাইন নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভোট চুরি’ বিতর্কে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (EC to Rahul Gandhi) তাঁর দাবির সপক্ষে এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলল কমিশন। অন্যথায় তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। এ ছাড়া তৃতীয় কোনও পথ খোলা নেই। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। বিহারের বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়া ঘিরে বিতর্কের আবহেই নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলেছেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের অভিযোগ ‘সংবিধানের অবমাননা’ বলে তোপ দেগেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তাঁর সাফ কথা, “নির্বাচন কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে ভারতের ভোটারদের নিশানা করা হচ্ছে। রাজনীতি করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সকলের কাছে স্পষ্ট করে দিতে চায়, কমিশন কোনও ভেদাভেদ না করে ধনী-দরিদ্র, প্রবীণ, মহিলা, যুবা, প্রত্যেক শ্রেণি, প্রত্যেক ধর্মের ভোটারদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। কমিশন এবং ভোটাররা তুচ্ছ রাজনীতিতে ভয় পায় না।”

    ভোটার তালিকাকে ত্রুটিমুক্ত করাই একমাত্র লক্ষ্য

    বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ এবং নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। খসড়া তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে। তা নিয়ে এখন সরগরম রাজনীতি। এসআইআর নিয়ে দেশ জুড়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই বিতর্কের আবহে কংগ্রেস সাংসদ ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলেছেন। রবিবার থেকে বিহারে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু করেছেন তিনি। ১৬ দিন ব্যাপী চলবে এই কর্মসূচি। রাহুলের কর্মসূচি শুরুর দিনেই দিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কমিশন। এসআইআর প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে কমিশনের দাবি, ভোটার তালিকাকে ত্রুটিমুক্ত করাই এই প্রক্রিয়ার লক্ষ্য। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল এটির বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।

    সাত দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দিন

    ‘ভোট চুরি’র অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলেই ব্যাখ্যা করছে কমিশন। জ্ঞানেশের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে কোনও ভেদাভেদ করে না। কমিশনের কাছে শাসক এবং বিরোধী উভয় শিবিরই সমান, তা-ও সাংবাদিক বৈঠকে জানান তিনি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কথায়, তাঁদের দরজা সকলের জন্য সমান ভাবে খোলা। ‘ভোট চুরি’ বিতর্কে নাম না-করে রাহুলকে নিশানা করেন তিনি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “হয় হলফনামায় স্বাক্ষর করুন অথবা ক্ষমা চান। তৃতীয় কোনও বিকল্প নেই। যদি (রাহুল) সাত দিনের মধ্যে হলফনামা জমা না দেন, তা হলে বুঝে নিতে হবে তাঁর অভিযোগ ভুল।”

    ‘নির্বাচন কমিশনের ষড়যন্ত্র’

    বিহারের ভোট অধিকার যাত্রায় রাহুল স্পষ্টতই বলেন, ‘‘ভোট চুরির বিষয়ে আমরা আগেও জানতাম। কিন্তু কীভাবে ভোট চুরি হত, ত জানা ছিল না। সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনই এই কাজে যুক্ত। এসব কিছুই নির্বাচন কমিশনের ষড়যন্ত্র।’’ রাহুলের আরও অভিযোগ, সারা দেশেই বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের ভোট চুরি হচ্ছে। সে আসাম হোক বা বাংলা, মহারাষ্ট্র হোক বা বিহার। তাঁর কথায়, ‘‘ভোট চোরদের আমরা খুব শিগগিরিই ধরব ও মানুষের সামনে হাজির করব। আগামী ভোটেও ভোট চুরি হতে চলেছে। বিহারের এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন আদতে নির্বাচন কমিশনের একটি পরিকল্পনা‌। উদ্দেশ্য ভুয়ো ভোট বাড়িয়ে ও নতুন ভোটারদের সরিয়ে নির্বিচন জিতিয়ে দেওয়া একটি বিশেষ দলকে।’’ এই আবহে রবিবার দুপুরে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এ ছাড়াও এ দিন উপস্থিত ছিলেন অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সাঁধু এবং বিবেক জোশীও। রাহুল গান্ধী-সহ অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ‘ভোটচুরি’ সংক্রান্ত অভিযোগ এদিন উড়িয়ে দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘সত্যি সত্যিই হয় (সচ সচ হোতা হ্যায়…) সূর্য পূর্ব দিকেই ওঠে। কারও কথায় পশ্চিম দিকে ওঠে না। জ্ঞানেশ কুমার বলেন, ‘‘কোথাও ভুয়ো ভোটার থাকলে তা ৭ নম্বর ফর্ম পূরণ করে আবেদন করলে নির্বাচনে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা না করে পরে ভোট চুরির এই অভিযোগ তোলা আদতে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়।’’

    সংবিধানের অপমান

    জ্ঞানেশের বক্তব্য, নিয়ম অনুসারে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষের ৪৫ দিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত মামলা করা যেতে পারে। ওই সময়ের মধ্যে কোনও অভিযোগ না জানিয়ে পরে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তোলা মানে সংবিধানকে অপমান করা। ‘ভোট চুরি’র মতো শব্দ ব্যবহার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে খাটো করে। কমিশন বা সাধারণ ভোটারেরা এই ধরনের অভিযোগ নিয়ে একেবারেই ভীত নয় বলে জানান তিনি। কমিশনের দাবি, কিছু ভোটার দ্বিগুণ ভোট দেওয়ার আশঙ্কার কথা তুললেও কোনও প্রমাণ জমা পড়েনি। জ্ঞানেশের বক্তব্য, “এক কোটিরও বেশি কর্মী নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকেন। এত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কী করে ‘ভোট চুরি’ হতে পারে!” বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনে ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়া নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। এ বার এই বিতর্কে রাশ টানার চেষ্টা করল কমিশন। সমস্ত রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের প্রতিনিধিরা যে খসড়া তৈরির পরে তাতে সই করেছে, সে কথাও মনে করাল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি সেখানে যে কোনও ত্রুটি সংশোধনের জন্য এখনও ১৫ দিন সময় রয়েছে, জানানো হলো সেই বিষয়টিও। কমিশনের দরজা প্রত্যেকের জন্য সমান ভাবে খোলা বলেও জানান জ্ঞানেশ কুমার।

  • NYT: রাহুলের ভুয়ো ভোট চুরির খবর রসিয়ে প্রকাশ বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের

    NYT: রাহুলের ভুয়ো ভোট চুরির খবর রসিয়ে প্রকাশ বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন (NYT) কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এর পর বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘ইন্ডি’জোটকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সরাসরি আক্রমণ করে বসেন ভারতের নির্বাচন কমিশনকে। তাঁর আক্রমণের জেরে হাতে তাস পেয়ে যায় বিভিন্ন বিদেশি সংবাদ মাধ্যম। এর মধ্যে রয়েছে, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’, ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এবং ‘আল জাজিরা’ও। তারা প্রকাশ করছে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন। রাহুল গান্ধীর ভিত্তিহীন অভিযোগগুলিকে প্রকাশ করা হয়েছে বেশ রসিয়ে। রাহুলের এই আলটপকা মন্তব্যের জেরে যে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সে বোধ বোধহয় ছিল না কংগ্রেসের এই ‘পাপ্পু’র।

    সংসদ ভবনের বাইরে হট্টগোল (NYT)

    জানা গিয়েছে, সোমবার ইন্ডিজোটের নেতারা সংসদ ভবনের বাইরে হট্টগোল করতে শুরু করেন। পরে সংসদ ভবন থেকে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর পর্যন্ত পদযাত্রাও করেন। এই মিছিল থেকে কিছুক্ষণের জন্য দিল্লি পুলিশ আটক করে রাহুল ও তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কাকে। এর জেরে বিরোধী নেতা ও পুলিশ কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধ্বস্তি। তাঁরা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েও পড়েন। সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র ও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের মতো কয়েকজন নেতা আবার পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড টপকেও এগিয়ে যান।

    রসিয়ে খবর বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের

    ইন্ডিজোটের এই পদযাত্রা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ (NYT) করেছে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’। হেডলাইনে তারা লিখেছে, ‘ইন্ডিয়ান ল-মেকার্স ডিটেইনড ফর প্রোটেস্টিং ইলেকশন ইরেগুলারিটিজ’, যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “নির্বাচনী অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ভারতীয় আইনপ্রণেতারা আটক”। বস্তুত নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই শিরোনাম আসলে বিরোধীদের কারচুপির অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা।

    রসিয়ে খবরটি পরিবেশন করেছে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ও। তারা আবার কৌশলে বিহারে ভারতের নির্বাচন কমিশন (Rahul Gandhi) কর্তৃক পরিচালিত নিয়মিত বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা মহড়াকে অভিহিত করেছে ‘বিতর্কিত ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনা’ বলে (NYT)।

  • Karnataka: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ মন্তব্যকে কটাক্ষ! মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা

    Karnataka: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ মন্তব্যকে কটাক্ষ! মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। তাই মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের (Karnataka) সমবায় মন্ত্রী কেএন রাজন্য। বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার (Karnataka Minister K.N. Rajanna) মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে দল। এরপরই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে নির্দেশ দেয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে বরখাস্ত না করে রাজন্যকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী সোমবার মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, গত লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ৭০-৭৫টি আসনে কারচুপি করে জয় পেয়েছে বিজেপি। এরপরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজন্য। উদাহরণ হিসেবে তিনি কর্নাটকের কয়েকটি লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল তুলে ধরেন। এরপরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজন্য। রাজন্য মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হতেই নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন রাজান্না।

    ঠিক কী বলেছিলেন রাজন্য?

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের সমালোচনার জেরে (Karnataka) মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করতে হওয়ায় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। চারদিন আগে কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী ভোট চুরির অভিযোগ করেন। কর্নাটকেও ভোট চুরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি (Karnataka)। সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজন্য বলেন, “ভোটার তালিকা কখন তৈরি হয়েছে? তখন কর্নাটকে আমাদেরই সরকার ছিল। সেই সময় কি সবাই চোখ বন্ধ করে বসেছিল?”

    কংগ্রেসে নেই কোনও গণতন্ত্র, আক্রমণ বিজেপির

    নিজ দলের মন্ত্রীর প্রকাশ্য সমালোচনায় (Karnataka) অস্বস্তিতে পড়ে কর্নাটক কংগ্রেস। এরপর থেকেই রাজন্যকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। শেষপর্যন্ত সোমবার ইস্তফা দেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। এ নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা সিটি রবি বলেন, “কংগ্রেসে কোনও গণতন্ত্র নেই। কেউ যদি সত্যি কথা বলেন, তবে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।” কর্নাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর অশোকা বলেন, “সত্যি বলার শাস্তি হিসেবে রাজন্যকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হল (Karnataka Minister K.N. Rajanna)।”

  • Rahul Gandhi: কর্নাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা নিয়ে রাহুলের দাবি নস্যাৎ করলেন বাড়ির মালিক

    Rahul Gandhi: কর্নাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা নিয়ে রাহুলের দাবি নস্যাৎ করলেন বাড়ির মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় লোকসভা আসনে ভোটার তালিকা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) অভিযোগ তুলেছিলেন যে, মহাদেবপুরা বিধানসভা এলাকার ভোটার তালিকায় অস্বাভাবিক সংখ্যক ভুয়ো নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই বাড়ির মালিক জানিয়েছেন যে, তালিকাভুক্ত ৮০ জন বাসিন্দা কখনও লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেননি। তারা শুধুমাত্র পরিযায়ী শ্রমিক, এবং ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ওই ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম গ্রাউন্ড জিরো তদন্তেই উঠে এসেছে এই রিপোর্ট। সেখানেই রাহুলের দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তা জানিয়েছেন আবাসনের মালিক জয়রাম রেড্ডি।

    কী জানালেন জয়রাম রেড্ডি?

    প্রসঙ্গত, ওই বাড়ির মালিক জয়রাম রেড্ডিকে বিজেপির সমর্থক বলে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তবে জয়রাম রেড্ডি রাহুল গান্ধীর সেই দাবিকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজে একজন কংগ্রেস সমর্থক এবং তাঁর বিজেপির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও জানান, যাঁরা এই ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন, তাঁরা মূলত পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের উদ্দেশ্য ভোট দেওয়া নয়, বরং ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ভোটার কার্ড তৈরি করানো (Bengaluru)।

    সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অসম্মানের অভিযোগ রাহুলের বিরুদ্ধে

    গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকেরা লোকসভার বিরোধী দলনেতার কাছে অভিযোগের বিষয়ে হলফনামা-সহ তথ্যপ্রমাণ চান। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে রাহুল অসম্মান করতে চাইছেন বলে কমিশনের আধিকারিকেরা অভিযোগ করেন। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, পরপর তিনবার লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর রাহুল গান্ধী এখন নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে আসলে ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। তাঁদের বক্তব্য, বর্তমানে কংগ্রেসের হাতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো কোনও শক্তিশালী ইস্যু নেই। ফলে জনগণের রায় মেনে নেওয়ার পরিবর্তে রাহুল গান্ধী নির্বাচন প্রক্রিয়া, ভোটার তালিকা এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চলেছেন।

  • Rahul Gandhi: একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস? রাহুলের ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি কমিশনের

    Rahul Gandhi: একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস? রাহুলের ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভোট-চুরির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনী অফিসাররা। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট চুরির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের নির্বাচন কমিশন (Election Commission)স্পষ্টভাবে জানিয়েছে—কংগ্রেস কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ, আপিল বা প্রতিক্রিয়া পেশ করেনি নির্বাচনী তালিকা নিয়ে। তারা রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে জানিয়েছে, যদি তাঁর অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে তিনি যেন আইন অনুযায়ী হলফনামা জমা দেন এবং নির্দিষ্ট তথ্য পেশ করেন। রাহুল যে সব অভিযোগ করছেন, সেসব ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা। যা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক।

    রাহুলের অভিযোগ

    বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া জোটের নৈশভোজে একইভাবে কমিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ৷ সেখানেও তিনি তথ্য তুলে ধরে জোট শরিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন কীভাবে ভোট চুরি করছে কমিশন ৷ এদিন রাহুল গান্ধীর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিয়োতে এমনই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে ৷ এই ভিডিয়োতেই তিনি আরও দাবি করেছেন, “বিহারে এসআইআর করা হয়েছে কারণ, কমিশন জানে যে আমরা তাদের চুরি ধরে ফেলেছি ৷” তাঁর দাবি, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা আসনের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে পাঁচ ধরণের কারচুপির মাধ্যমে এক লক্ষেরও বেশি ভোট চুরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে ১০০২৫০টি ভোট চুরি করা হয়েছিল। আমি নিশ্চিত যে, ভারতে এমন ১০০টিরও বেশি আসন রয়েছে, যা এখানে ঘটেছে তা সেই আসনগুলিতেও ঘটেছে ৷”

    একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস

    এ প্রসঙ্গে ৭ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত এক চিঠিতে হরিয়ানার মুখ্য নির্বাচন অফিসার (Election Commission) সাফ জানিয়েছেন, কংগ্রেস দল একটিও প্রথম স্তরের বা দ্বিতীয় স্তরের আপিল দায়ের করেনি। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু দলটি কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়নি। তিনি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) স্মরণ করিয়ে দেন যে, ভোট নিয়ে আপত্তি থাকলে তা আদালতের মাধ্যমে তোলা উচিত, সাংবাদিক সম্মেলনে নয়। হলফনামা দিয়ে নির্দিষ্ট ‘অযোগ্য’ ভোটারদের নাম দিতে বলা হয়েছে রাহুলকে।

    কোনো অভিযোগই জমা পড়েনি

    কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, নভেম্বর ২০২৪ ও জানুয়ারি ২০২৫-এ ভোটার তালিকার খসড়া ও চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল এবং কংগ্রেসকে সরবরাহ করা হয়েছিল। অথচ দলটির তরফ থেকে একটি অভিযোগও জমা পড়েনি। তাই ‘ভোট চুরি’ নিয়ে প্রকাশ্যে দেওয়া মন্তব্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন। তিনি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আইনি ভাষায় মনে করিয়ে দেন—যদি তিনি তাঁর অভিযোগে অটল থাকেন, তবে ১৯৬০ সালের নির্বাচক নিবন্ধন বিধিমালার ২০(৩)(খ) ধারা অনুযায়ী হলফনামা জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।

    পুরোপুরি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, প্রমাণ নেই

    মহারাষ্ট্রের নির্বাচন দফতরও একইভাবে জানিয়েছে—ভোটার তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া ছিল স্বচ্ছ এবং কংগ্রেস কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ বা আপত্তি জানায়নি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী যেন নির্দিষ্ট ভোটারদের নাম, অংশ নম্বর ও সিরিয়াল নম্বর উল্লেখ করে শপথনামা জমা দেন। এ প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলছেন, “রাহুল গান্ধী এবং তাঁর টিম যে গবেষণা করছে পুরোটাই ভিত্তিহীন। এর কোনও অর্থ নেই। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনকে বদনাম করার চেষ্টা।” রিজিজুর প্রশ্ন, “ওরা যখনই হারে তখনই কমিশনকে দোষ দেয়। এই কংগ্রেসই মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় লোকসভায় জেতার পর কমিশনকে বাহবা দিত। বিধানসভায় হারতেই কমিশনের দোষ। আসলে সবটাই করা হচ্ছে কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের লক্ষ্যে।” বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও নির্বাচন কমিশনের ভাষায় রাহুলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, যে ভুয়ো ভোটারের দাবি বিরোধী দলনেতা করছেন, সেই তালিকা হলফনামা আকারে কমিশনে জমা দিতে হবে তাঁকে। আর সেটা যদি না পারেন তাহলে বুঝতে হবে বিরোধী দলনেতা মিথ্যা কথা বলে দেশকে বিভ্রান্ত করছেন। মানুষের মনে সন্দেহের বীজ বপন করা হচ্ছে। এই ধরনের আচরণ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক।

    আইনি সঙ্কটে রাহুল গান্ধী

    তিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসাররা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) কাছে যে হলফনামা ফর্ম পাঠিয়েছেন, তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—মিথ্যা তথ্য দিলে ১৯৫০ সালের প্রতিনিধিত্ব আইন (Section 31) এবং ২০২৩ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধির (Bharatiya Nyaya Sanhita) ধারা ২২৭ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে হয় তিনি নির্দিষ্ট প্রমাণ-সহ হলফনামা জমা দিয়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করবেন, নয়তো স্বীকার করতে হবে যে তাঁর বক্তব্য নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়া কিছু নয়। ফলে এখন উভয় সঙ্কটে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

     

     

     

     

  • Supreme court: ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের দখলে! বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাহুল গান্ধী

    Supreme court: ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের দখলে! বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ কিলোমিটারেরও বেশি ভারতীয় ভূখণ্ড নাকি চিন দখল করে রেখেছে—এমন দাবি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে ভর্ৎসিত হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শীর্ষ আদালত রাহুল গান্ধীকে তিরস্কার করে তাঁকে জানিয়েছে, প্রকৃত ভারতীয় হয়ে কখনও এই ধরনের মন্তব্য করবেন না। প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর এমন মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রুজু করার দাবি জানানো হয়েছিল। তবে সে দাবি অবশ্য খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)।

    ভারত জোড়ো যাত্রা করার সময় এমন মন্তব্য করেছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)

    ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় লোকসভা ভোট। ঠিক তার দু’বছর আগে—২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার ডাক দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই সময় তিনি বিভিন্ন সভায় দাবি করেছিলেন, চিন ২০০০ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে এবং চিনা সৈন্যরা অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সৈন্যদের মারধর করছে। এ নিয়েই পরবর্তীকালে দায়ের হয় মামলা। এই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে জানতে চায়, “আপনি কীভাবে জানলেন যে ২০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিনা দখলে রয়েছে?” এর পরে শীর্ষ আদালত (Supreme court) রাহুল গান্ধীকে তিরস্কার করে বলে, “আপনি যদি একজন প্রকৃত ভারতীয় হতেন, তাহলে এমন কথা বলতেন না।”

    মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চে

    প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চে। সেখানেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত আরও বলে, “আপনি বিরোধী দলের নেতা হয়ে কেন এই ধরনের কথাগুলো বলবেন?” প্রসঙ্গত, এ-সংক্রান্ত মামলাটি প্রথম উঠে এলাহাবাদ হাই কোর্টে। সেখানে রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ হয়। এরপরেই রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) দ্বারস্থ হন এবং তিনি জানান যে, তাঁর বিরুদ্ধে এমন মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

    রাহুলের দাবি মিথ্যা গল্প, বললেন কিরেন রিজিজু

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) রাহুল গান্ধী সম্পর্কে এমন মন্তব্যের পরেই অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করেন এবং সেখানেই বিজেপি নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে “মিথ্যা গল্প” বলে অভিহিত করেন এবং তিনি দাবি করেন, চিন অরুণাচল প্রদেশের এক ইঞ্চি জমিও দখল করেনি।প্রসঙ্গত, রাহুলের এই মন্তব্যের পরেই সেসময় তাঁর নিন্দা করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। বিদেশমন্ত্রী রাহুলের বিরুদ্ধে ‘ভুল তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি সেসময় জানান, ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের সময় ভারত চিনের কাছে যে জায়গা খুইয়েছিল, তাকে সাম্প্রতিক ক্ষয়ক্ষতি হিসাবে দেখাতে চাইছেন রাহুল।

    রাজস্থানে এমন দাবি করেছিলেন রাহুল

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় রাহুল গান্ধী রাজস্থানে এমন মন্তব্য করেন। রাজস্থানের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন যে, ২০০০ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে চিন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চিনের আগ্রাসনের পরেও কেন নীরব রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার—এ নিয়ে বিজেপির সমালোচনা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, “আমাদেরকে প্রশ্ন করা হয় ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে—এখানে, সেখানে, সর্বত্র অশোক গেহলট, শচীন পাইলট ইত্যাদি বিষয়ে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়। কিন্তু তারা কখনও চিন নিয়ে প্রশ্ন করে না। কেন ২০০০ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করল চিন—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। ২০ জন ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করল চিন—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। অরুণাচল প্রদেশে আমাদের সৈন্যদের পিটিয়ে হত্যা করল কেন চিন—এই নিয়েও প্রশ্ন করা হয় না। আবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও এ নিয়ে কোনও কিছু উত্থাপন করে না। তবে এগুলো কি সত্য নয়? দেশ সবটাই দেখছে। কোনও কিছু ভান করে কিছু হবে না। মানুষ সবটাই জানে।”

    জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েও একই দাবি করেন রাহুল

    শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে জম্মু-কাশ্মীরে একই দাবি করতে দেখা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেশের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি মনে করেন যে, চিনারা ভারতের কাছ থেকে কোনও জমি দখল করেনি। “আমি সম্প্রতি কিছু প্রাক্তন সেনার সঙ্গে দেখা করেছি এবং লাদাখের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও দেখা করেছি। তাঁরা আমাকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন যে, আমাদের ভারতীয় ভূখণ্ডের ২০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিন দখল করে রেখেছে।” রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে জম্মু-কাশ্মীরে এমন দাবি করতে শোনা যায় সে সময় রাহুল গান্ধীকে।

    অনেক টহল পয়েন্টও বর্তমানে পুরোপুরি চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এমনই দাবি রাহুলের

    প্রসঙ্গত, ওই আবহে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আরও দাবি করেছিলেন যে, প্রাক্তন সেনা কর্মীরা তাঁকে বলেছেন—ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে থাকা অনেক টহল পয়েন্টও বর্তমানে পুরোপুরি চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাহুল গান্ধীর এই সমস্ত বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য উত্তরপ্রদেশে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয় এবং সেখানেই তাঁকে সমন জারি করা হয়েছিল। এর পরে তিনি এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন এবং স্বপক্ষে মামলাটি বাতিল করার আবেদন জানান।

LinkedIn
Share