Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • Sam Pitroda: চিন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য স্যাম পিত্রোদার, কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    Sam Pitroda: চিন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য স্যাম পিত্রোদার, কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন ভারতের শত্রু নয়। চিনের থেকে ভারতের কী ক্ষতি হতে পারে, বোঝাই যায় না।” বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের প্রধান স্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda)। কংগ্রেস নেতার এহেন বক্তব্যকে হাতিয়ার করে সোনিয়া গান্ধীর দলকে একেবারে ধুয়ে দিল বিজেপি (BJP)।

    বিজেপির তোপ (Sam Pitroda)

    দলের জাতীয় মুখপাত্র তুহিন সিনহা বলেন, “কংগ্রেস জমানায় ভারতের ৪০ হাজার বর্গ মিটার জমি দখল করে নিয়েছে চিন। তবু ওরা ড্রাগনকে বিপজ্জনক ভাবতে পারছে না। রাহুল গান্ধী চিনের প্রতি এতটাই মুগ্ধ যে চিনা প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের হয়েও সওয়াল করেছেন।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “যারা চিনের কাছে আমাদের ৪০,০০০ বর্গ কিলোমিটার ভূমি ছেড়ে দিয়েছে, তারা এখনও ড্রাগনের কোনো হুমকি দেখতে পায় না… আশ্চর্যের কিছু নেই যে রাহুল গান্ধী চিন নিয়ে মুগ্ধ এবং আইএমইইসি ঘোষণার এক দিন আগে পর্যন্ত বিআরআইয়ের পক্ষে ছিলেন… কংগ্রেসের চিনের প্রতি অতি আগ্রহের মূল রহস্য লুকিয়ে আছে ২০০৮ সালের কংগ্রেস-সিসিপি সমঝোতা স্মারকে।”

    পদ্ম নেতার নিশানায় কংগ্রেস

    পদ্ম শিবিরের আর (Sam Pitroda) এক সৈনিক প্রদীপ ভাণ্ডারী বলেন, “ভারতের চেয়েও চিনের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয় কংগ্রেস।” রাহুলকে চিনের হাতের পুতুল বলেও তোপ দাগেন তিনি। সম্প্রতি পিত্রোদা বলেন, “আমি চিনের থেকে আসা হুমকিটা বুঝি না। আমার মনে হয়, এই বিষয়টি প্রায়ই অতিরঞ্জিত করা হয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু নির্ধারণের একটি স্বভাব রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এখন সময় এসেছে, সমস্ত জাতির সহযোগিতা করার, সংঘাতের নয়।”

    প্রসঙ্গত, দু’দিনের সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। সেই সময় ট্রাম্প ভারত ও চিনের বিরোধের মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই পিত্রোদার এহেন মন্তব্য।

    বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী পিত্রোদাকে নিশানা করে বলেন, “চিনের বিষয়ে তাঁর মন্তব্য কংগ্রেসের মানসিকতার প্রতিফলন। এটি (BJP) ভারতের মর্যাদার ওপর আঘাত।” তাঁর দাবি, তাঁর (পিত্রোদার) মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে যেন ভারতই আগ্রাসী (Sam Pitroda)।

  • Rahul Gandhi: ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য! রাহুল গান্ধীকে তলব আদালতের

    Rahul Gandhi: ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য! রাহুল গান্ধীকে তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় বছর আগে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলকে তলব করল লখনউয়ের একটি আদালত। মার্চের শেষ সপ্তাহে লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে রাহুলকে হাজির হতে হবে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে।

    কীসের ভিত্তিতে অভিযোগ

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ভারত জোড়ো যাত্রার সময় সেনাবাহিনী নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সময়ে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন’ (বিআরও)-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তব। ওই মামলাতেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে তলব করেছে আদালত। ঘটনাচক্রে, ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনার ‘বিজয় দিবস’। এ প্রসঙ্গে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলোক ভার্মা ২৪ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করে বলেন, রাহুল গান্ধীকে ওই দিন লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরা দিতে হবে। ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ পাঠিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

    কী বলছে আদালত

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তব যে মামলা দায়ের করেন তাতে অভিযোগ করা হয় যে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, সেখানে রাহুল জানিয়েছিলেন যে সাংবাদিকরা তাঁকে চিন নিয়ে কোনও প্রশ্ন করবে না বলে তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন। রাহুলের দাবি ছিল, চিন ভারতের মাটিতে ঢুকে ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে এবং অরুণাচল প্রদেশ-সহ ভারতের প্রায় ২ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। তারপরেও সেনা কিছু করেনি। তিনি এ নিয়ে ঠিক ছিলেন এবং দেশ তা দেখেছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। রাহুলের ওই মন্তব্যর পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বে রাহুল ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের সমালোচনা করায় তাঁর বিরুদ্ধে ‘সেনার অবমাননা’র অভিযোগ তুলেছিল বিজেপিও।

  • Congress: ০, ০, ০! দিল্লিতে অন্য হ্যাটট্রিক কংগ্রেসের, জাতীয় রাজনীতিতে অস্তাচলে গান্ধীরা?

    Congress: ০, ০, ০! দিল্লিতে অন্য হ্যাটট্রিক কংগ্রেসের, জাতীয় রাজনীতিতে অস্তাচলে গান্ধীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই নিয়ে টানা তিনবার দিল্লিতে মুখ থুবড়ে পড়ল কংগ্রেস (Congress)। শুধু পরাজয়ই নয়, এক্কেবারে টানা তিন-তিন বার খালি হাতে ফিরে শূন্যের হ্যাটট্রিক করল শতাব্দীপ্রাচীন পার্টি। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি অস্তাচলে যাচ্ছে গান্ধী পরিবার? ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর দিল্লির মসনদে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু তারপরেই দিল্লির জনগণ তাদের সেখান থেকে উৎখাত করে। বিগত ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে যায় কংগ্রেস। কিন্তু সেখানেও ভরাডুবি হয় দলের। দিল্লির (Delhi Election) অন্তর্গত লোকসভাগুলিতে ব্যাপক ভরাডুবি হয় আম আদমি পার্টির।

    দিল্লির মানুষ প্রত্যাখান করেছে কংগ্রেসকে (Congress)

    ২০২৫ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস (Congress) ও আম আদমি পার্টির মধ্যে জোট হয়নি। এই আবহে একদিকে বিজেপি অন্যদিকে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে থাকেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। কিন্তু এত সব কিছু করেও বিফলে গেল তাদের প্রচার। দিল্লির জনগণ ফের একবার প্রত্যাখ্যান করল কংগ্রেসকে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে কংগ্রেসের ভরাডুবি শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকেই। সেখানে মাত্র ৮টি আসনে জয় পায় তারা। শতাংশের বিচারে ভোট পায় ১১.৪ শতাংশ। অন্যদিকে ওই বছরে আম আদমি পার্টি ২৮টি আসনে তারা জয় লাভ করে ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে। এরপরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে। সেবারের নির্বাচনে কংগ্রেস একটি আসনেও জিততে পারেনি। দলের ভোট শতাংশের হার নেমে আসে ৯.৬৫।

    ২০২০ সালেও কোনও আসন জিততে পারেনি কংগ্রেস (Congress)

    ৫ বছর পরে ২০২০ সালে কংগ্রেস আবারও একবার শূন্য পায়। ভোট শতাংশের হার তারও অর্ধেক হয়ে দাঁড়ায় ৪.২৬। দলের এমন ফলাফলে যথেষ্ঠই হতাশ কংগ্রেস নেতা তথা ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মন্ত্রী টিএস সিং। তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের গভীর হতাশা ব্যক্ত করেন দিল্লির ফলাফল নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লিতে (Delhi Election) যা হল তা কংগ্রেসের (Congress) জন্য যথেষ্ট হতাশার। বিজেপি জিতছে আম আদমি পার্টির হারছে। আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে চূড়ান্ত ফলাফল আসা পর্যন্ত। যারা জিতল তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।’’

  • Modi Govt: দেশ, প্রধানমন্ত্রী নিয়ে রাহুলের ‘মিথ্যাচার’, স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনছে বিজেপি?

    Modi Govt: দেশ, প্রধানমন্ত্রী নিয়ে রাহুলের ‘মিথ্যাচার’, স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনছে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগে সংসদে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চলেছে বিজেপি। ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা ও বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের মার্কিন সফর প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু গান্ধীর মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতা দেশের সম্মান, প্রধানমন্ত্রীপদ এবং সংসদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছেন।’’

    জয়শঙ্করের মার্কিন সফর প্রসঙ্গ

    সোমবার সংসদে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর বন্দোবস্ত করানোর জন্য আমাদের বিদেশমন্ত্রীকে আমেরিকায় পাঠাব না।’’ বিজেপির অভিযোগ, গত বছর ডিসেম্বরে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ওয়াশিংটন সফরকেই ইঙ্গিত করেছেন রাহুল। বোঝাতে চেয়েছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ জানুয়ারির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্যই ছিল ওই সফর। সোমবার বিকেলে জয়শঙ্কর সরাসরি রাহুলকে নিশানা করে এক্স পোস্টে লেখেন— ‘‘বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী আমার ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের আমেরিকা সফর সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা কথা বলেছেন ৷’’

    ক্ষমা চান রাহুল

    বিদেশমন্ত্রীর দাবি, তিনি আমেরিকার তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভানের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি ভারতের কনসাল জেনারেলের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করার জন্য ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কোনও পর্যায়েই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এটা সকলেই জানেন যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন না। সাধারণত ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁর বিশেষ দূতেরা।’’ প্রসঙ্গত, ২০ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে মোদির দূত হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর নিজেই। এ প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রিজিজু বলেন, ‘‘তিনি কীভাবে এমন কথা বলতে পারেন? প্রধানমন্ত্রী এবং পুরো সরকার এক। রাহুল গান্ধী সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের বিপরীতে কথা বলেছেন, তা চ্যালেঞ্জ করা উচিত।’’

    চিনা আগ্রাসন নিয়ে মিথ্যাচার রাহুলের

    লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে এ দিন লোকসভায় মুখর হন রাহুল গান্ধী। প্রথমে অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের এই সাংসদের প্রশ্ন, ‘‘লাদাখ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবির সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বক্তব্যের অ-মিল রযেছে। দু’পক্ষের দাবি পরস্পর-বিরোধী। প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলছেন চিনা আগ্রাসন হয়নি। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, আমাদের ৪,০০০ বর্গ কিমি এলাকা চিন দখন করে রেখেছে। কোনটা ঠিক?’’ এ প্রসঙ্গে রিজিজু বলেন, ‘‘বিজেপি সাংসদরা গান্ধীকে তাঁর দাবির প্রমাণ দিতে বলবেন। তিনি মিথ্যা বলছেন। রাহুল গান্ধী যতটা চিনকে প্রশংসা করেছেন, তা আগে কেউ করেনি। তিনি এমন একটি দলের সদস্য, যাদের পরিবার ১৯৫৯ ও ১৯৬২ সালে চিনকে আমাদের জমি দখল করতে দিয়েছে। তাঁর পরিবারের ভুলের জন্য তাঁকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’’

  • Rahul Gandhi: ৪৫ মিনিটে মুখে ৩৪ বার চিনের নাম! রাহুলকে ‘জিনপিং’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    Rahul Gandhi: ৪৫ মিনিটে মুখে ৩৪ বার চিনের নাম! রাহুলকে ‘জিনপিং’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বক্তব্য মাত্র ৪৫ মিনিটের। এই পৌনে এক ঘণ্টার বক্তব্যে অন্তত ৩৪ বার চিনের নাম নিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কংগ্রেস নেতার এহেন ‘চিন-প্রীতি’তে বেজায় চটেছে বিজেপি। রাহুলকে তীব্র আক্রমণ শানান পদ্ম নেতৃত্ব। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “৪৫ মিনিটের বক্তব্যে রাহুল গান্ধী অন্তত ৩৪ বার চিন শব্দটি উল্লেখ করেছেন।”

    রাহুলের অভিযোগ (Rahul Gandhi)

    দেশের উৎপাদন ক্ষেত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, “চিন অন্তত এই ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে ১০ বছর এগিয়ে আছে। চিন ব্যাটারি, রোবট, মোটর-সহ নানা ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করছে। গত ১০ বছর ধরে তারা এই সব নিয়ে কাজ করছে। আর আমরা এই কাজে পিছিয়ে রয়েছি।”

    বিজেপির নিশানায় রাহুল

    রাহুলকে (Rahul Gandhi) নিশানা করেছেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও। তিনি ব্যঙ্গ করে তাঁকে ‘রাহুল জিনপিং’ (চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং) বলে অভিহিত করেন (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, “আমি তাঁকে ‘রাহুল জিনপিং’ বলেই সম্বোধন করতে চাই। তিনি চিনের নাম ৩৪ বার উচ্চারণ করেছেন। তিনি নিশ্চয়ই প্রার্থনা করছেন যেন পরের জন্মে তিনি চিনা হতে পারেন।”

    তিনি বলেন, “২০০৪-১৪ সালের কংগ্রেস শাসন আমলে ভারত ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি ২৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।” তিনি রাহুলের ব্যাঙ্কিং খাত সংক্রান্ত মন্তব্যও উড়িয়ে দেন। তিনি এও উল্লেখ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার মুদ্রা প্রকল্পের আওতায় ৫১ কোটি মানুষকে ঋণ দিয়েছে, সেখানে কংগ্রেস ইউপিআইয়ের মতো আর্থিক উদ্ভাবনের বিরোধিতা করেছিল। এটি বর্তমানে দৈনিক ৫০ কোটি লেনদেন পরিচালনা করছে।’

    প্রসঙ্গত, রাহুল বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের প্রস্তাব করেছিলেন। আমার মনে হয় এটা একটা ভালো আইডিয়া। আর তার ফল তো আপনাদের সামনেই হাজির। ২০১৪ সালে (BJP) উৎপাদন ক্ষেত্রে জিডিপি ছিল ১৫.৩ শতাংশ। সেটা আরও নেমে গিয়ে হয়েছে ১২.৬ শতাংশ। ৬০ বছরে এটা সর্বনিম্ন (Rahul Gandhi)।”

  • Rahul Gandhi: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    Rahul Gandhi: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস শুধু বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়, বরং পুরো ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করছে।” আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। বুধবার দিল্লিতে (Indian State) এআইসিসির সদর দফতরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাহুল। সেখানেই তিনি ‘দেশদ্রোহিতা’র কথা বলেন।

    কী বললেন রাহুল? (Rahul Gandhi)

    রাহুল বলেন, “ভাববেন না আমরা একটি ন্যায্য লড়াই করছি। আপনি যদি মনে করেন আমরা বিজেপি এবং আরএসএস নামক একটি রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাহলে জেনে রাখুন তারা আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দখল করেছে। এখন আমরা শুধু বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়, বরং ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করছি।”

    নির্বাচন কমিশনকে নিশানা

    তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের কার্যপদ্ধতি নিয়ে অস্বস্তিতে আছি। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রায় এক কোটি নতুন ভোটারের হঠাৎ উপস্থিতি সমস্যাজনক। বিধানসভা নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছেন তাঁদের নাম এবং ঠিকানা-সহ ভোটার তালিকা সরবরাহ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। অথচ নির্বাচন কমিশন এই তথ্য সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় একটি গুরুতর সমস্যা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব স্বচ্ছ হওয়া।”  তিনি (Rahul Gandhi) বলেন, “নির্বাচন কমিশন কেন ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করতে রাজি হবে না? আমাদের তালিকা না দিয়ে তারা কোন উদ্দেশ্য সাধন করছে, এবং কেন তারা এটা গোপন রাখছে? স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। কেন এটা ঘটেছে, তা ব্যাখ্যা করা তাদের পবিত্র দায়িত্ব।”

    আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ইন্দোরের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন। ভাগবতকে (Indian State) নিশানা করতে গিয়েই ভারত বিরোধিতার কথা বলেন রাহুল (Rahul Gandhi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    BJP: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিজের গড়েই ধরাশায়ী কংগ্রেস। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে দীর্ঘদিন ধরে অসমের (Assam) এই গড় ধরে রেখেছিল কংগ্রেস। বিধানসভার উপনির্বাচনে সেই গড়েই ধস নামিয়ে দিলেন বিজেপির (BJP) দীপলু রঞ্জন শর্মা। নগাঁও জেলার সামাগুড়ি কেন্দ্রে উড়ল পদ্ম-ঝান্ডা। অসমের এই অঞ্চলের একটা বড় অংশের ভোটার মুসলমান সম্প্রদায়ের। তাই তোষণের রাজনীতি করে দীর্ঘ দিন ধরে এই কেন্দ্রের রাশ ধরে রেখেছিল সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর দল। সেই গড়েই কংগ্রেসকে দুরমুশ করে বিজেপির বিজয় কেতন ওড়ালেন দীপলু।  

    ৬৫ শতাংশ ভোটারই মুসলমান (BJP)

    বছরের পর বছর ধরে নগাঁও কংগ্রেসের দুর্গ হিসেবেই পরিচিত ছিল। এই জেলায়ই রয়েছে সামাগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের ৬৫ শতাংশ ভোটারই মুসলমান। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে অসমের রাজনৈতিক দৃশ্যপট বদলে গেলেও, বিজেপির উত্থান হলেও, কংগ্রেস তার এই দুর্গ ধরে রেখেছিল। এই আসন থেকে ‘হাত’ চিহ্নে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি জয়ী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ধুবড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ রাকিবুল হুসেনও।   

    শেষ রক্ষে হয়নি

    তিনি টানা পাঁচবার সামাগুড়ির বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রাকিবুল হুসেন। এই অঞ্চলের রাজনৈতিক আখ্যান গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সামাগুড়ির রাজনীতিতে তাঁর পরিবার প্রভাবশালী শক্তিও। তাঁর বাবা নুরুল হুসেন ১৯৮১ ও ১৯৯১ সালে সামাগুড়ির বিধায়ক হয়েছিলেন। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ধুবড়ির সাংসদ হন রাকিবুল। গড় ধরে রাখতে রাকিবুলের ছেলে তানজিল হুসেনকে টিকিট দেয় কংগ্রেস। তাতেও শেষ রক্ষে হয়নি। তানজিলকে ২৬ হাজার ২০০ ভোটে পরাস্ত করে বিজেপি। জয়ী হন পদ্ম-প্রার্থী দীপলু রঞ্জন। প্রসঙ্গত, সামাগুড়ির মোট ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৫৪ জন।

    আরও পড়ুন: মমতার পরের দিনই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর জনসংযোগ যাত্রা

    দীপলু (BJP) তরুণ, শিক্ষিত। ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচনে তাঁকেই বাজি ধরে বিজেপি। দীপলুর নাম ঘোষণা হতেই রাকিবুল কটাক্ষের সুরে বলেন দীপলু ‘বলির পাঁঠা’, যাঁকে বিজেপি অনিবার্য পরাজয়ের জন্য পাঠিয়েছে। পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন দীপলুও। বলেছিলেন, সব চেয়ে কঠিন লড়াইগুলো দেওয়া হয় সব চেয়ে শক্তিশালী সৈনিককে। নগাঁও কলেজে বাণিজ্যে স্নাতক হন দীপলু। কলেজে পড়াকালীনই আরএসএসের সংস্পর্শে আসেন। অল্প বয়সে নগাঁও যোগাযোগ প্রধান হিসেবে আরএসএস তাঁকে নিয়োগ করে। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদকও হন। সেখান থেকে বিজেপিতে। এবং শেষমেশ বিধানসভায় চলে এলেন (Assam) লড়াকু নেতা দীপলু (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: মোদি নন, তাঁর ‘প্রতিপক্ষ’ ইন্ডি-নেতারাই! অস্তিত্বের সঙ্কট থেকেই কি আগ্রাসী রাহুল?

    Rahul Gandhi: মোদি নন, তাঁর ‘প্রতিপক্ষ’ ইন্ডি-নেতারাই! অস্তিত্বের সঙ্কট থেকেই কি আগ্রাসী রাহুল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অম্বেডকর ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা। হইচই যিনি বাঁধাচ্ছেন, তিনি কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সম্প্রতি সংসদে মারামারিকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তাঁর। তাঁরই আঘাতে বিজেপির দুই সাংসদ জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। সংসদে আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। আপাতত দেশের কোনও অঙ্গরাজ্যে নির্বাচন নেই। লোকসভার নির্বাচন তো হয়েছে এই বছরেই।

    আগ্রাসী আচরণের কারণ (Rahul Gandhi)

    তাই রাহুলের এহেন আগ্রাসী আচরণের কারণ কী? তাঁর লক্ষ্য কী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকল্প হয়ে ওঠা? সে গুড়ে বালি! কারণ সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়ই ধরা পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তার কথা। তাঁর স্লোগান, তাঁরা বাগ্মীতা, তাঁর বাচনভঙ্গী সব মিলিয়ে মোদি একজন আদর্শ মানুষ। ধারে এবং ভারে কোনওভাবেই রাহুল তাঁর তুল্য নন! তাহলে কী কারণে হঠাৎই এত আগ্রাসী হয়ে উঠলেন রাহুল? সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনেও জয় পায়নি কংগ্রেস কিংবা ইন্ডি জোট। জয় বলতে ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রে বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার জয়। কিন্তু তাতে তো লাফালাফি করার জন্য যে বাড়তি অক্সিজেনের প্রয়োজন, তা মেলে না! তাহলে হঠাৎই কেন এত আগ্রাসী হয়ে উঠলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি?

    ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে

    রাজনীতির কারবারিদের মতে, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে বিরোধী জোটের অন্দরেই। বিজেপিকে রুখতে লোকসভা নির্বাচনের আগে জোট বাঁধে বিজেপি বিরোধী ২৮টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছিল ইন্ডি। মোদি ম্যাজিকে সেই জোট বিশেষ ট্যাঁ-ফোঁ করতে পারেনি লোকসভা নির্বাচনে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন কিছু কমেছে, তবে তার পরেও নিশ্চিন্তে রাজ করছে বিজেপিই এবং নেতৃত্বে সেই মোদিই। ওই নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছে শ’খানেক আসন। ইন্ডি জোটের অন্য দলগুলি পেয়েছে এর চেয়েও কম আসন। তার মানে এই নয় যে, কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে হবে। বরং রাহুল ভোট ক্যাচার না হওয়ায় ইন্ডি জোটের অন্দরেই মাথা তুলেছেন একাধিক নেতা। তাঁদের কেউ প্রকাশ্যে, কেউ বা আবডালে প্রশ্ন তুলছেন রাহুলের নেতৃত্ব নিয়েই। সহজ কথায়, বর্তমানে ইন্ডি জোটের মধ্যেই রাহুলের একাধিক ‘প্রতিপক্ষ’ তৈরি। 

    আরও পড়ুন: ‘মোদি ম্যাজিকে ভর করেই মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় বাজিমাত বিজেপির’, বলছে সমীক্ষা

    মমতা-অখিলেশ

    লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা চেয়েছিলেন মমতাকে প্রধানমন্ত্রী মুখ করে নির্বাচনে লড়ুক ইন্ডি জোট (Rahul Gandhi)। নিতান্তই একটি আঞ্চলিক দলের নেত্রী হওয়ায় পানি পায়নি মমতা দলের নেতানেত্রীদের সেই দাবি। যার জেরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে আগে যে দুটো বৈঠক ডেকেছিল ইন্ডি জোট, তাতে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি। কেবল মমতাই নন, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশই বা কীসে কম যান?  তিনি এক সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। রাজ্য চালানোর অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে (রাহুলের সেটাও নেই)। কংগ্রেসের (Congress) সভাপতি পদে বসেও, তিনি কিস্যু করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে ব্যর্থতার কলঙ্ক মুছতে সভাপতি পদে ইস্তফা দেন রাহুল।

    লড়াইয়ের ময়দানে কেজরি-পাওয়ারও

    ইন্ডি জোটে রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও। কেজরিওয়ালের শিক্ষাগত যোগ্যতা কিংবা রাজনীতির অভিজ্ঞতা, কোনও দিক থেকেই আপ সুপ্রিমোর সঙ্গে এঁটে উঠতে পারবেন না রাহুল (Rahul Gandhi)। অর্থাৎ, ইন্ডি জোটে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার তিনিও। কেজরিওয়ালের দল ক্ষমতায় রয়েছে দেশের দুটি অঙ্গরাজ্যে – দিল্লি এবং পঞ্জাবে। সেখানে তৃণমূল রয়েছে কেবল পশ্চিমঙ্গে। সেদিক থেকে দেখলে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে মমতার চেয়েও এগিয়ে কেজরিওয়াল। অবশ্য একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। সেটা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোদস্তুর রাজনীতির লোক। আর কেজরিওয়াল ছিলেন শিক্ষাবিদদের সারিতে, পরে এসেছেন রাজনীতিতে। তবে রাজনীতিতে তাঁর অভিজ্ঞতাও খুব কম নয়। যে কারণে কেজরিওয়ালও বিশেষ পাত্তা দেন না রাহুলকে, বলা ভালো ইন্ডি জোটকে। ইন্ডি জোটে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি রাখেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারও। দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। প্রবীণ। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর সমর্থকরাও ধুয়ো তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মুখ করা হোক তাঁকে। তবে তাঁর দাবিও বিশেষ পাত্তা পায়নি ইন্ডি জোটে। 

    মাথা তোলাটা তাঁর দায়!

    রাজনৈতিক মহলের (Congress) মতে, এই প্রধানমন্ত্রীর দাবিদারের ভিড়ে যে কোনও সময়ই হারিয়ে যেতে পারেন রাহুল (Rahul Gandhi)। তিনি ভালো মতোই টের পাচ্ছেন যে, ইন্ডি জোটে তাঁর আধিপত্য শেষ হচ্ছে। পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। এখন, অস্তিত্বের জানান দিতে তাই মাথা তোলাটা তাঁর দায়। তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের সিংহভাগই নির্ভর করছে ইন্ডি জোটের বাকি মাথাদের ছাপিয়ে উঠতে তিনি পারেন কিনা, তার ওপর! সেই কারণেই ইদানিং আগ্রাসী হয়ে উঠছেন রাহুল। এত মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর লক্ষ্য, মোদি নন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য ইন্ডি জোটের বাকিদের ছাপিয়ে নেতা হওয়া। সেই কারণেই লোকসভায় আগ্রাসী হয়েছেন তিনি। সেই কারণেই মারপিট করে ‘হিরো’ হওয়ার চেষ্টা করছেন রাহুল। তিনি কী পারবেন ‘আসলি হিরো’ হতে? কোটি টাকার এই প্রশ্নের (Congress) উত্তর দেবে সময় (Rahul Gandhi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।          

  • Rahul Gandhi: সংসদে হাতাহাতিকাণ্ডে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর বিজেপির, কোন কোন ধারায়?

    Rahul Gandhi: সংসদে হাতাহাতিকাণ্ডে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর বিজেপির, কোন কোন ধারায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে হাতাহাতির জেরে জখম হয়েছেন বিজেপির দুই সাংসদ। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ধাক্কায়ই আহত হয়েছেন তাঁরা। এই অভিযোগে রাহুলের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করল পদ্ম-পার্টি। এদিকে, আহত সাংসদদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খোঁজ নিয়েছেন তাঁদের শারীরিক অবস্থার।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারায় মামলা দায়ের

    কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন অনুরাগ ঠাকুর-সহ গেরুয়া শিবিরের তিন সাংসদ। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১১১ (স্বেচ্ছায় গুরুতর আঘাত করা), ১১৫ (আঘাত করা), ১২৫ (এমন আচরণ যা একাধিক ব্যক্তির জন্য সুরক্ষা বিঘ্নিত হয়েছে) ১৩১ (অপরাধের উদ্দশে শক্তি প্রয়োগ), ৩৫১ (অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে বাধাদান) এবং ৩(৫) (অপরাধের অভিন্ন উদ্দেশ্য) ইত্যাদি ধারায় পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

    সংসদ চত্বরে মারামারি (Rahul Gandhi)

    বৃহস্পতিবার সকালে সংসদ চত্বরে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস ও বিজেপি সাংসদরা। মারের চোটে মাথা ফেটেছে ওড়িশার বালাসোরের সাংসদ প্রতাপ সারঙ্গির। মাথা ফেটে যায় তাঁর। গুরুতর জখম হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদের সাংসদ মুকেশ রাজপুতও। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তাদের দুই সাংসদই জখম হয়েছেন রাহুল গান্ধীর ধাক্কায়। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “রাহুল গান্ধীর ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছেন দুই বিজেপি সাংসদ। কোনও সাংসদ কীভাবে সংসদ চত্বরে বল প্রয়োগ করতে পারেন? কোন আইন এটার অনুমতি দিচ্ছে। আপনি কি কুংফু-ক্যারাটে শিখেছেন অন্য সাংসদদের মারধর করতে?’’

    কী বললেন জখম সাংসদ

    প্রতাপ বলেন, “রাহুল গান্ধী একজন সাংসদকে ধাক্কা মারেন। তিনি আমার ওপর পড়ে যান। আমি নীচে পড়ে যাই।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাহুল (Rahul Gandhi)। বিজেপি নেতা হেমাঙ্গ জোশি বলেন, “সকাল প্রায় ১০টা নাগাদ আমি মুকেশ রাজপুতজি, প্রতাপ রাও সারঙ্গিজি এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের অন্যান্য সংসদ সদস্যদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলাম। সকাল প্রায় ১০টা ৪০ নাগাদ রাহুল গান্ধী সেখানে এসে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের দিকে জোরপূর্বক এগিয়ে যান। তিনি (রাহুল) সাংসদদের নিরাপত্তা বিপন্ন করেছেন।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য ছিল আরএসএস নেতারা, এক বাংলাদেশি সমেত কেরলে গ্রেফতার ৮ সন্ত্রাসী

    মকরদ্বারে নিষিদ্ধ বিক্ষোভ

    এদিকে, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সংসদের গেটের সামনে প্রতিবাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। লোকসভার সচিবালয় বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করেছে সংসদের মকর দ্বারে কোনও বিক্ষোভ সমাবেশ করা যাবে না। বৃহস্পতিবারের ঘটনার জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এদিনই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে রাহুলের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ করেছেন বিজেপির তফশিলি উপজাতি মহিলা সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pratap Sarangi: কংগ্রেসের গুণ্ডামি! আইসিইউতে প্রতাপ সারঙ্গি, দেখতে গেলেন রাজনাথ

    Pratap Sarangi: কংগ্রেসের গুণ্ডামি! আইসিইউতে প্রতাপ সারঙ্গি, দেখতে গেলেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অম্বেডকর ইস্যুতে উত্তাল রাজনীতি। বিরোধী ইন্ডি জোটের বিরুদ্ধে গুণ্ডামি করার অভিযোগ। রাহুল গান্ধীর ধাক্কায় পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান দুই বিজেপি সাংসদ, এমনটাই অভিযোগ। বর্তমানে তাঁরা দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া (আরএমএল) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ওড়িশার বালেশ্বরের সাংসদ হলেন প্রতাপ সারঙ্গি (Pratap Sarangi)। তাঁর মাথায় (Pratap Sarangi) দু’টি সেলাই পড়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে মাথায় আঘাত পেয়েছেন ফারুখাবাদের সাংসদ মুকেশ রাজপুতও (Mukesh Rajput)। আহত দু’জনকেই আইসিইউতে রাখা হয়েছে বর্তমানে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিএল বর্মা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সারঙ্গি বর্তমানে আইসিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন। আমরা তাঁর সঙ্গে বেশি কথাও বলতে পারিনি। রাহুল গান্ধী সংসদ ভবনকে রক্তাক্ত করেছেন।’’

    কী বলছেন হাসপাতালের সুপার

    গতকাল বৃহস্পতিবারই সন্ধ্যার পরে আরএমএল হাসপাতালের সুপার অজয় শুক্ল দুই সাংসদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রেস বিবৃতি দেন। তিনি জানান, দুই সাংসদের মাথায় আঘাত রয়েছে। তাঁদের রক্তচাপের সমস্যাও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দু’জনকেই প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। মুকেশের রক্তচাপ এখনও অনেকটাই বেশি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। সারঙ্গির বয়স হয়েছে। ধাক্কাধাক্কিতে রক্তচাপ বেড়ে যেতেই পারে। এর থেকে হার্ট অ্যারেস্ট বা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সারঙ্গির (Pratap Sarangi) হার্টের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’’

    আহত সাংসদদের দেখতে হাসপাতালে রাজনাথ

    বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং দুই সাংসদকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। অন্তত দু’দিন তাঁদের হাসপাতালে থাকতে হবে বলে জানান তিনি। রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘সারঙ্গির (Pratap Sarangi) মাথায় দু’টি সেলাই পড়েছে। মুকেশের মাথাতেও আঘাত রয়েছে। দু’জনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। দু’দিন ওদের হাসপাতালে থাকতে হবে।’’ বিজেপি সাংসদ সারঙ্গি জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী জোরে ধাক্কা দেন মুকেশকে। তিনি সারঙ্গির গায়ের ওপর পড়েন। ফলে দু’জনেই চোট পান। এনিয়ে বিজেপি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরও করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share