Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • Rahul Gandhi: যিশুই প্রকৃত ভগবান, শক্তি নন, রাহুলকে কেন বলেছিলাম জানেন? ব্যাখ্যা দিলেন সেই যাজক

    Rahul Gandhi: যিশুই প্রকৃত ভগবান, শক্তি নন, রাহুলকে কেন বলেছিলাম জানেন? ব্যাখ্যা দিলেন সেই যাজক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিয়েল গড বিতর্কের (Real God Row) জেরে বিব্রত ক্যাথলিক যাজক ব্যাখ্যা করলেন তাঁর মন্তব্যের। শনিবার তিনি ব্যাখ্যা করে জানান, কেন তিনি বলেছিলেন যিশুই (Jesus) প্রকৃত ভগবান, শক্তি (Shakti) নন। ক্যাথলিক যাজক জর্জ পুন্নাইয়ার ব্যাখ্যা, আমি ভগবানকে (God) শক্তি হিসেবে মানি না, তাঁকে মানি রক্তমাংসে গড়া মানুষ হিসেবে।

    একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে টক শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন জর্জ। ওই শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। জর্জ বলেন, সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল, আমি তা ব্যাখ্যা করছি। গতকাল রাহুলের সঙ্গে একটি চ্যাটে অংশ নিয়েছিলাম। শো চলাকালীন রাহুল বলেছিলেন, খ্রিস্টান ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী মাত্র একজন ঈশ্বর রয়েছেন আর তিন ব্যক্তি রয়েছেন ফাদার, সন এবং হোলি স্পিরিট। রাহুল প্রশ্ন করেছিলেন তিনটি ঈশ্বর রয়েছেন, নাকি তিনটি আকার রয়েছে। তখনই আমি তাঁকে ব্যাখ্যা করে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে, মাত্র একজন ভগবান রয়েছেন, ব্যক্তি রয়েছেন তিনজন। আমি তাঁকে বলেছিলাম, মানব শরীর ধারণ করে ভগবান প্রকাশিত হয়েছিলেন। এই মানব শরীর হলেন যিশু। আমি অন্য কোনও ধর্মের প্রসঙ্গ টানিনি। আমি তাঁকে বলেছিলাম, আমাদের মতে, ভগবান কোনও শক্তি নন, তিনি মানুষ। তাঁর আগে করা একটি ঘৃণাভাষণ প্রসঙ্গে জর্জ বলেন, আমি আগেও এজন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছি। বিচার বিভাগের কাছে গিয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছি।

    আরও পড়ুন : দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফের ইউরোপ সফরে রাহুল, বিতর্ক!

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিতে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী গিয়েছিলেন রাহুল। সেখানেই তিনি ওই যাজকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ‘বিতর্কিত’ যাজক জর্জের সঙ্গে রাহুলের সাক্ষাৎকারকে কটাক্ষ করেছে  গেরুয়া শিবির। বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুন্নাওয়ালা ট্যুইট বার্তায় লেখেন, রাহুল গান্ধী যাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন সেই জর্জ পুন্নাইয়া বলেছিলেন যিশুই একমাত্র ভগবান, শক্তি নয়। এই লোকটা গ্রেফতার হয়েছিল হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণের কারণে। তিনি এও বলেছিলেন, আমি জুতো পরি কারণ ভারতমাতার অপবিত্রতা আমাদের যেন স্পর্শ না করে। তাঁর কটাক্ষ, ভারত জোড়োর সঙ্গে ভারত তোড়ো আইকনস?

     

     

  • RSS Slams Congress: ‘ওদের বাপ-দাদারাও চেষ্টা করেছিল…’, ট্যুইট-বিতর্কে কংগ্রেসকে একহাত আরএসএসের

    RSS Slams Congress: ‘ওদের বাপ-দাদারাও চেষ্টা করেছিল…’, ট্যুইট-বিতর্কে কংগ্রেসকে একহাত আরএসএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি’। কথাটির যথার্থতা প্রমাণ করার দায়িত্ব যেন একাই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (Congress)। দলের ভাঙনে গান্ধী পরিবারের যে মনোবল ভেঙেছে, তা আগেই বার বার স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু সেই ভাঙন মানতে না পেরে ন্যক্করজনক কাণ্ড করে বসল সোনিয়া গান্ধীর দল। বিরোধী সংস্কৃতির সমস্ত পাঠ ভুলে সরাসরি ‘বিলো দ্য বেল্ট’ আক্রমণ। তাও আবার কোনও রাজনৈতিক দলকে নয়। অরাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় সয়ংসেবক সংঘকে (Rashtriya Swayamsewak Sangh) কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: এবার আরএসএসের দিল্লির দফতরের নিরাপত্তায় সিআইএসএফ 

    সোমবার রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo Yatra) ষষ্ট দিনে সকালে কংগ্রেসের তরফে একটি ট্যুইট করে লেখা হয়, “দেশকে ঘৃণার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে এবং বিজেপি-আরএসএস- এর করা ক্ষতি মুছতে ধাপে ধাপে আমরা লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছি।” এর সঙ্গেই ট্যুইটে একটি জ্বলতে থাকা খাকি হাফ প্যান্টের ছবি পোস্ট করেছে কংগ্রেস। সঙ্গে লেখা আরও ১৪৫ দিন। 

     

    প্রসঙ্গত, খাকি হাফপ্যান্টের সঙ্গে আরএসএস-একটা দীর্ঘ যোগসূত্র রয়েছে। ফলত, এই ধরনের পোস্টের মাধ্যমে যে সরাসরি আরএসএসকেই আক্রমণ করা হয়েছে তা স্পষ্ট। জবাবে, কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছে সংঘ। ট্যুইট বিতর্কে চাঁচাছোলা ভাষায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করল আরএসএস। আরএসএস-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বা সহসরকার্যবাহ মনমোহন বৈদ্য (RSS Joint General Secretary Manmohan Vaidya) সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ঘৃণা দিয়ে ভারতের জনগণকে জুড়তে চাইছে কংগ্রেস। ওদের বাপ-দাদারাও আমাদের আটকানোর চেষ্টা করেছিল। পারেনি। হিন্দুত্বর পক্ষে দেশবাসীর সমর্থন বাড়ছে।” 

    আরও পড়ুন: আদর্শ সমাজের লক্ষ্যে রায়পুরে বসতে চলেছে আরএসএস-এর বার্ষিক সমন্বয় বৈঠক

     

    কংগ্রেসের সোশ্যাল পোস্টকে উস্কানিমূলক বলে উল্লেখ করেছে বিজেপি। এই ট্যুইটের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিজেপির সাংসদ তেজস্বী সূর্য (BJP MP Tejasvi Surya)। তিনি পাল্টা ট্যুইটে লেখেন, “এই ছবি কংগ্রেসের আগুন জ্বালানোর রাজনীতির প্রতীক। ১৯৮৪ সালের দিল্লি, ২০০২ সালের গোধরাতেও তাই করেছিল ওরা। কংগ্রেস ফের হিংসার রাজনীতির ডাক দিয়েছে। রাহুল গান্ধীর দেশের বিরুদ্ধে লড়ছেন, আর সেই সঙ্গেই সাংবিধানিক পথে চলা বন্ধ করে দিয়েছে কংগ্রেস।” 

     

    কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও ( Sambit Patra)। তাঁর কটাক্ষ, “ভারত জোড়ো যাত্রা নয় , ভারত ভাঙো এবং আগুন লাগাও যাত্রা করছে কংগ্রেস। এর আগেও কংগ্রেস এরকম করেছে।” রাহুল গান্ধীর উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “আপনি কি দেশে হিংসার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন?” কংগ্রেসের ট্যুইটার থেকে ছবি প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন সম্বিত পাত্র।

    ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরের শ্রীনগর পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সোমবার কংগ্রেসের গন্তব্য কেরলের তিরুঅনন্তপুরম। প্রায় ১৫০ দিনের যাত্রায় প্রথম থেকেই একের পর এক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

  • Nitish Kumar: আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই, রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জানালেন নীতীশ

    Nitish Kumar: আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই, রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জানালেন নীতীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) বিরোধী শিবিরকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হলেন বিহারের (Bihar) মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী জনতা দল ইউনাইটেডের (JDU) নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সোমবার দিল্লি উজিয়ে গিয়ে তিনি দেখা করলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে। সূত্রের খবর, ভিন্ন দুই রাজনৈতিক দলের এই দুই নেতার আলোচনায় দেশের বর্তমান রাজনীতির প্রসঙ্গ নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলকে কীভাবে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই ‘হুজুরে’র। কেবল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী নন, এদিন নীতীশ দেখা করেছেন জনতা দল সেকুলার সুপ্রিমো এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গেও। কুমারস্বামীর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

    এক সময় বিজেপির হাত ধরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন নীতীশ। সম্প্রতি গেরুয়া সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস এবং লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে মহাজোট গঠন করে সরকার গড়েন নীতীশ। এই মহাজোট সরকারেরও মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বীকে। তখনই জল্পনা ছড়ায় ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদে মুখ হতে পারেন নীতীশ। জল্পনা আরও জোরালো হয়, কারণ দিন কয়েক আগে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর বিহারে এসে দেখা করেন নীতীশের সঙ্গে। এদিন নীতীশ স্বয়ং দেখা করলেন রাহুল এবং কুমারস্বামীর সঙ্গে।

    আরও পড়ুন :জেডি(ইউ) ছেড়ে বিজেপিতে পাঁচ বিধায়ক, নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের

    জানা গিয়েছে, এদিন রাহুলের ঘণ্টাখানেক ধরে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন নীতীশ। তাঁর সঙ্গে রাহুলের বাসভবনে গিয়েছিলেন বিহারের জল সম্পদ মন্ত্রী তথা নীতীশের দলের নেতা সঞ্জয় কুমার ঝা। বৈঠক শেষ সাংবাদিক সম্মেলনে নীতীশ বলেন, আঞ্চলিক দলগুলিকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমি চেষ্টা করছি সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধীদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার কোনও ইচ্ছে আমার নেই। প্রসঙ্গত, এবারের দিল্লি সফরে নীতীশ দেখা করতে পারেন এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব এবং আইএনএলডি প্রধান ওম প্রকাশ চৌতালার সঙ্গে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Sonia Gandhi: প্রয়াত সোনিয়া গান্ধীর মা, শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির 

    Sonia Gandhi: প্রয়াত সোনিয়া গান্ধীর মা, শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) মা পাওলা মেইনো (Paola Maino)। ২৭ অগাস্ট প্রয়াত হন তিনি। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ৩০ অগাস্ট, মঙ্গলবার। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।

    বয়স হয়েছিল ৯০। ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায়। সে খবর পেয়ে মাকে দেখতে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে সোনিয়া গান্ধী ইটালি উড়ে যান ২৩ অগাস্ট। ২৭ অগাস্ট মৃত্যু হয় তাঁর মায়ের। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ট্যুইট বার্তায় জানান, শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধীর মা শ্রীমতি পাওলা মেইনো শনিবার ২৭ অগাস্ট ইটালিতে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে গতকাল।

    ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, প্রয়াত হয়েছেন সোনিয়া গান্ধীজির মা পাওলা মেইনো। শোকের সময় তাঁকে সমবেদনা জানাই। সোনিয়াজির মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করি। এই শোকের সময় আমার চিন্তা তাঁর পুরো পরিবারকে নিয়ে।

    শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর মা পাওলা মেইনো মারা গিয়েছেন শুনে দুঃখিত। তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে আন্তরিক সমবেদনা জানাই। এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার শক্তি ভগবান  তাঁকে দিন।

    আরও পড়ুন : জবাব সন্তোষজনক নয়, সোনিয়া-রাহুলকে ফের জেরা করতে পারে ইডি

  • Congress President Poll: কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়ছেন শশী থারুর? আর কে লড়ছে জানেন?

    Congress President Poll: কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়ছেন শশী থারুর? আর কে লড়ছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস সভাপতি পদে (Congress President Poll) নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন শশী থারুর (Shashi Tharoor)। অন্তত একটি সূত্রে এমন খবরই মিলেছে। যদি তা হয়, তাহলে গান্ধী (Gandhi) পরিবারের কোনও সদস্য কিংবা ওই পরিবারের কোনও মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন থারুর। যদিও এ ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি থারুর।

    বছর দুয়েক ধরে খালি পড়ে রয়েছে কংগ্রেস (Congress) সভাপতির পদ।  উনিশের ভোটের আগে ওই পদে বসানো হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। ভোটে বিজেপির (BJP) কাছে গোহারা হারে কংগ্রেস। হারের দায় ঘাড়ে নিয়ে পদত্যাগ করেন রাহুল। তার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। বয়সজনিত কারণে তিনি আর দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। দায়িত্ব নিতে রাজি নন রাহুলও। তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে ওই পদে।

    সূত্রের খবর, ওই পদে লড়তে চলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর। যদিও তিনি বলেন, কিছুদিন অপেক্ষা করা যাক। কেবল থারুর নন, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহানও প্রার্থী হতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের একটা অংশ এখনও রাহুল গান্ধীকে ওই পদে বসানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও রাহুল রাজি নন। তিনি রাজি না হলে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ অশোক গেহলট প্রার্থী হতে পারেন বলে খবর। সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশ, যারা জি-২৩ নামে পরিচিত।

    আরও পড়ুন : রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন?

    থারুর বলেন, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। কেবল তখনই আমি আপনাদের ব্যাখ্যা দিতে পারব। এখনই মন্তব্য করার জায়গায় আমি নেই। তিনি বলেন, আমি প্রার্থী হচ্ছি কিনা, তা এখনই বলব না। শুধু বলব, একটি গণতান্ত্রিক দলে নির্বাচন সব সময়ই ভাল। থারুরের প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটে যে কেউই লড়তে পারেন। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সভাপতি পদে শেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালে। সেবার সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন জিতেন্দ্র প্রসাদ। যদিও সোনিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • GN Azad Quits Congress: দল চালাচ্ছে রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তারক্ষী এবং আপ্তসহায়ক! বিস্ফোরক মন্তব্যের  পর কংগ্রেসের হাত ছাড়লেন আজাদ

    GN Azad Quits Congress: দল চালাচ্ছে রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তারক্ষী এবং আপ্তসহায়ক! বিস্ফোরক মন্তব্যের পর কংগ্রেসের হাত ছাড়লেন আজাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের ‘হাত’ ছাড়লেন বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। শুধু সব পদ ছাড়াই নয়, কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আগে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে রীতিমতো বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তিনি। আজাদের দাবি, রাহুল সহ-সভাপতি হওয়ার পর দলের গঠনতন্ত্র ভেঙে গিয়েছে। যে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে ইউপিএ (UPA) সরকার সফল হয়েছিল, সেই সিনিয়রদেরই উপেক্ষা করেছেন রাহুল। তিনি লিখেছেন রাহুলের নেতৃত্বে, ‘দেশের জন্য যা ভাল, তা করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস।’ তাঁর মতে, “এখন দল চালাচ্ছে রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তারক্ষী এবং আপ্তসহায়ক।”

    পাঁচ পাতার পদত্যাগপত্রে গুলাম নবি লিখেছেন, ‘গোটা সাংগঠনিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াই একটা প্রহসন। দেশের কোথাও সংগঠনের কোনও পর্যায়ের নির্বাচনই হয়নি।’বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পদত্যাগপত্রে দাবি করেছেন, ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারের হারের অন্যতম কারণ, রাহুল গান্ধীর অপরিণতমনস্কতা এবং ছেলেমানুষি। যেভাবে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পাশ করানো একটি অর্ডিন্যান্স প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন, তাতেই প্রচারের হাতিয়ার পেয়েছিল বিরোধীরা।

    এখানেই থামেননি আজাদ। দীর্ঘ চিঠিতে তিনি আরও দাবি করেছেন, “২০১৪ সালের পর রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে কংগ্রেস দুটি লোকসভা নির্বাচনে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে। ৪৯টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে ৩৯টি হেরেছে। এর মধ্যে কংগ্রেস নিজের দমে মাত্র ৪টি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে জিতেছে। আর ৬ বার জোটসঙ্গীদের সঙ্গে ক্ষমতায় এসেছে। দুঃখজনকভাবে আজ কংগ্রেস মাত্র দুটি রাজ্যে ক্ষমতায়। আর দুটি রাজ্যে শাসক জোটের প্রান্তিক শক্তি।”

    আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে ৫জি, চলতি দশকের শেষে ৬জি! জানুন দেশে প্রযুক্তি বিপ্লব নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    চিঠিতে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের কথা যেমন পদত্যাগপত্রে তুলে ধরেছেন গুলাম নবি, তেমনই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ‘নিবিড় সম্পর্কের’ প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। কয়েক দিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রচার কমিটি এবং রাজনৈতিক বিষয়ক প্যানেল থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন গুলাম নবি। ২০২০ সালের অগস্টে যে ২৩ জন নেতা সনিয়াকে চিঠি দিয়ে দলীয় নির্বাচন এবং স্থায়ী সভাপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন আজাদ। পাঁচ পাতার পদত্যাগপত্রে তাঁর দাবি, ৮ বছরে নেতৃত্বের অপদার্থতায় কংগ্রেস এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • G 23: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিচ্ছে জি-২৩!

    G 23: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিচ্ছে জি-২৩!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন (Congress President Polls) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় দলের বিক্ষুব্ধ অংশ। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজরও রাখছেন ওই গোষ্ঠীর নেতারা। সভাপতি নির্বাচন শেষ হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন কংগ্রেসের (Congress) এই বিক্ষুব্ধ অংশ। দলে যাঁরা জি-২৩ (G 23) নামেই পরিচিত।

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম শিবিরের কাছে গোহারা হারে কংগ্রেস। বিপুল শক্তি নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি (BJP)। ফের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির দায় ঘাড়ে নিয়ে জাতীয় সভাপতির পদে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তার পর থেকে পদটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বয়সজনিত কারণে তিনি আর সভাপতির পদে বসতে চান না। এর পরে দলের একটা অংশ রাহুলকেই ওই পদে বসাতে উদ্যোগী হয়। তবে তিনি যে ওই পদে বসতে চান না তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সেই কারণেই শুরু হয়েছে নির্বাচন। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হবে ২০ সেপ্টম্বরের মধ্যে। শেষমেশ কে ওই পদে বসেন, তা দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে জি-২৩ গোষ্ঠী।

    আরও পড়ুন : দুটো নামে সীমাবদ্ধ নয় কংগ্রেস! জানেন গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে কি বললেন আনন্দ শর্মা

    গত বছরই প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন শুরু হয়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতি এবং তার পর কয়েকটি রাজ্যে ভোটের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। চলতি বছর ফের ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে নতুন করে। কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশের এক প্রবীণ নেতা বলেন, সভাপতি নির্বাচনের চেয়েও আশু প্রয়োজন কংগ্রেস ওয়ার্কি কমিটি এবং পার্লামেন্টারি বোর্ডের নির্বাচন। কারণ কংগ্রেসে এই দুটিই হল ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। কংগ্রেসে এই মুহূর্তে প্রয়োজন তৃণমূল স্তরের নেতার। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সিংহভাগ পদ দখল করে বসে রয়েছেন গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠরা। দলের কাজকর্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেই এই নেতারা চুপ করিয়ে দেন। অথচ এঁদের সঙ্গে দলের তৃণমূল স্তরের কোনও সম্পর্কই নেই।

    আরও পড়ুন : সভাপতি পদে রাহুলের ‘না’, গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা পাচ্ছে কংগ্রেস?

    সম্প্রতি দল রাজ্য ইউনিটের দায়িত্ব দিয়েছিল বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর গুলাম নবি আজাদ এবং আনন্দ শর্মাকে। দুজনেই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। জি-২৩-র ওই প্রবীণ নেতা বলেন, তাঁরা ওই পদ গ্রহণ করেননি, কারণ দল হারলেই বলির পাঁঠা করা হত তাঁদের। বিক্ষুব্ধ শিবির সূত্রে খবর, সেই কারণেই ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ পলিসি নিয়েছে জি-২৩।

     

  • Congress President Election 2022: রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন? 

    Congress President Election 2022: রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (Congress Working Committee) সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় দলের সেন্ট্রাল ইলেকশন অথরিটি। ওই কমিটির সবুজ সংকেত পেলেই শুরু হয়ে যাবে দলের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের (President Polls) নির্ঘণ্ট তৈরির কাজ। তবে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ওই পদে বসতে না চাইলে কী হবে, তা ভেবে ইতিমধ্যেই যোগ্য প্রার্থীর খোঁজ করতেও শুরু করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি।   

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাস্ত হয় কংগ্রেস। বিপুল শক্তি নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে পদ্ম শিবির। ফের প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির দায় ঘাড়ে নিয়ে সভাপতির পদে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তার পর থেকে পদটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বয়সজনিত কারণে তিনি সভাপতির পদে বসতে চান না। এর পরেও দলের একটা অংশ রাহুলকেই ওই পদে বসাতে উদ্যোগী হয়। তবে তিনি যে ওই পদে বসতে চান না তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সেই কারণেই চলছে নির্বাচনের তোড়জোড়। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হবে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিচ্ছে জি-২৩!

    কংগ্রেসের একটি সূত্রে খবর, রাহুল নিতান্তই রাজি না হলে ওই পদে বসানো হতে পারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে (Ashok Gehlot)। যদিও গেহলট নিজেই জানান,  রাহুলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন। তিনি সভাপতি পদে না বসলে দলীয় কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। গেহলট বাদেও আরও কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে সভাপতি পদের জন্য। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সুশীল কুমার শিন্ডে, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং মীরা কুমার। এঁদের মধ্যে আবার খাড়গে রাহুলের খুব কাছের। এদিকে, পুরো পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশ। দলে যারা জি-২৩ নামে পরিচিত। সূত্রের খবর, তারা আপাতত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতির ওপরই ভরসা করছে।

    অন্যদিকে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন সোনিয়া। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশই এ খবর জানান। তাঁর সঙ্গে যাবেন রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কাও। তবে তাঁরা ঠিক কবে যাবেন, যাবেনই বা কোথায়, তা জানানো হয়নি কংগ্রেসের তরফে। সেক্ষেত্রে ভোটের দিন এগিয়ে আনা হতে পারে বলেও কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bihar Politics: পাটনায় পালাবদলের পট তৈরি করেন সনিয়া! কবে জানেন

    Bihar Politics: পাটনায় পালাবদলের পট তৈরি করেন সনিয়া! কবে জানেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাটনায় পালাবদলের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন বহুদিন আগে থেকেই। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী যখন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখনই তাঁকে ফোন করেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। সনিয়াকে ফোন করে নীতীশ দাবি করেন, বিজেপি তাঁর দল ভাঙার চেষ্টা করছে। তাঁকে যদি কংগ্রেস সাহায্যের আশ্বাস দেয় তাহলে তিনি বিকল্প ভাবতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন নীতীশ। সূত্রের খবর, তখনই তাঁকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন সনিয়া। সেই মতোই তেজস্বী যাদবের সাহায্য নিয়ে রাহুলের সঙ্গে কথা বলেন নীতীশ। তৈরি হয় পালাবদলের পট।

    বিজেপির সঙ্গে বিরোধ-দূরত্বের মাঝেই কয়েকদিন আগেও কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে ফোন করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। জেডিইউ নেতার হঠাৎ এই ফোনেই বিহারে নতুন জোট ও সরকার গঠনের জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিং আনুষ্ঠানিকভাবে জেডিইউ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই বিজেপি-জেডিইউ জোটের অন্দরে বিরোধ আরও বাড়ে। বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নীতীশ। বুধবার কংগ্রেস, আরজেডির সঙ্গে মিলে নতুন সরকার গঠন করে জেডিইউ।

    আরও পড়ুন: ‘পল্টুরাম’ হলেন ‘কাল্টুরাম’, নীতীশকে বেনজির আক্রমণ গিরিরাজের

    ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের সময় থেকেই নীতীশ কুমার যে বিজেপির উপরে অসন্তুষ্ট ছিলেন, তা ঘনিষ্ট সূত্রেই জানা গিয়েছিল। সম্প্রতি নানা অনুষ্ঠানে তেজস্বী যাদব ও নীতীশ কুমরকে এক মঞ্চে দেখা যাওয়ায় এবং ইফতারের নিমন্ত্রণ রক্ষায় দুই নেতাই একে অপরের বাড়ি যাওয়ায় ফের একবার আরজেডি-জেডিইউয়ের কাছাকাছি আসার জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরমধ্যে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথোপকথন অগ্নিতে ঘৃতহুতির কাজ করে। ২০২০ সালের ভোটের ফল অনুযায়ী বিহারের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি। যদি জেডিইউ ফের একবার আরজেডির সঙ্গে হাত মেলায় এবং কংগ্রেসও সেই জোটে যোগ দেয়, তবে এনডিএ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারের মতো বিপুল জনসংখ্যা ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সরকার বদল হলে তা মোদি সরকারের কাছে বড় ধাক্কা হবে।

     

  • Congress: সভাপতি পদে রাহুলের ‘না’, গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা পাচ্ছে কংগ্রেস?

    Congress: সভাপতি পদে রাহুলের ‘না’, গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা পাচ্ছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহের শুরুতেই কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন (Congress President Poll)। অথচ ওই পদে প্রার্থী হতে রাজি নন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা গান্ধী পরিবারের সদস্য রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। নিতান্তই রাহুল ওই পদে না বসলে দীর্ঘ দিন পর এবারই প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসতে চলেছেন ওই পদে।

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। বিপুল শক্তি নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি (BJP)। ফের প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর দলের জাতীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। তার পর থেকে পদটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি আর সভাপতির পদে বসতে চান না। বয়সজনিত কারণ ও মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি চান এবার ওই পদে বসুন অন্য কেউ।

    সূত্রের খবর, দলের একটা বড় অংশ ওই পদে রাহুলকেই চাইছিলেন। তবে ওই পদে বসতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। অবশ্য কংগ্রেসেরই একটা অংশ রাহুলকে ওই পদে ফেরাতে মরিয়া। উনিশের ভোটের পর রাহুল ইস্তফাপত্র জমা দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। তবে রাহুলও সাফ জানিয়ে দেন তিনি ওই পদে থাকছেন না। তিনি এও জানিয়েছিলেন, পার্টি প্রেসিডেন্ট পদে গান্ধী পরিবারেরই কাউকে বসতে হবে, এমন কথা নেই। তার পর থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া।

    আরও পড়ুন : দায়িত্ব পেয়েই ইস্তফা গুলাম নবি আজাদের, ‘ক্ষোভের আঁচে’ বিপাকে কংগ্রেস

    রাহুল না বলে দেওয়ায় ওই পদে কাকে বসানো যায়, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে দলের অন্দরেই। তার পরেই জল্পনা দানা বাঁধছে কয়েকটি নাম নিয়ে। এঁরা হলেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল ওয়াসনিক, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। দলের একটি সূত্রের খবর, ওই পদে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে বসানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেসের একটি অংশ। তবে প্রিয়ঙ্কাও রাজি না হলে সীতারাম কেশরির পর এই প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসবেন ওই পদে। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন কেশরি।

    আরও পড়ুন : মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে প্রোফাইল পিকচার বদলালেন রাহুল গান্ধীও!

LinkedIn
Share