Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • 2002 Gujarat riots case:  মোদিকেও প্রশ্ন করেছিল সিট, কেউ ধর্না দেয়নি, কংগ্রেসের বিক্ষোভকে কটাক্ষ শাহের

    2002 Gujarat riots case: মোদিকেও প্রশ্ন করেছিল সিট, কেউ ধর্না দেয়নি, কংগ্রেসের বিক্ষোভকে কটাক্ষ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধীকে সমন জারি করে জেরা করেছে ইডি। এর প্রতিবাদে ইডির দফতরের বাইরে তুমুল প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। এই নিয়েই রাহুলকে বিঁধছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর উদাহরণ দিয়ে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘সিটের সামনে হাজিরা দিতে মোদিজি কোনও নাটক করেননি। গণতন্ত্রে সংবিধানকে কীভাবে সম্মান করা উচিত, সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে তার একটি আদর্শ উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মোদিজিকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল, কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করেনি, সারা দেশের কর্মীরা মোদিজির সাথে সংহতি প্রকাশ করেনি। আমরা আইনের সাথে সহযোগিতা করেছি। আমাকেও গ্রেফতার করা হয়। আমরা প্রতিবাদ করিনি। ’

    গুজরাট হিংসার ঘটনায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল সিট। সিটের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিটের রায় দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করেছিলেন জাকিয়া জাফরি। শুক্রবার তাঁর সেই মামলা খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এরপরই বিরোধীদের একহাত নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাহুল গান্ধীর নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করে অমিত বলেন, “মোদিজি নাটক করেননি।” শাহ জানান, বিশেষ তদন্তকারী দলের জিজ্ঞাসাবাদে বসতে মোদি কখনও না বলেননি। সত্যের জন্য অপেক্ষা করেছেন। তাঁকে জেরা করা হয়েছিল কিন্তু কেউ ধর্না দেয়নি। কোনও  দলীয় কর্মী তাঁর পাশে দাঁড়াতে আসেনি। তিনি কাউকে সে কথা বলেনওনি। 

    আরও পড়ুন: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    বিজেপির ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’র জেরে ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীদের ‘হেনস্থা’ করা হচ্ছে, এই অভিযোগে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালায় কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেস জমানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সামনে বিভিন্ন মামলায় হাজিরা দিতে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে। তাঁরা কিন্তু কোনও প্রতিবাদ ছাড়াই তদন্তে সাহায্য করেছিলেন। কোনও নাটক হয়নি বলে দাবি রাজনৈতিক মহলেরও। 

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি রাহুল গান্ধী। টানা কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তা নিয়ে প্রথম দিনে থেকেই রাস্তায় নেমেছে কংগ্রেস। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রায় সব রাজ্যেই একই ছবি। বিহারের পাটনা, ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে রাস্তায় নামেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বারবার পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। উত্তরপ্রদেশের লখনউতে বিক্ষোভ আন্দোলনে ডাক দেয় হাতশিবির। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, চণ্ডীগড়, আগরতলায়  রাস্তায় নেমেছিলেন কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা। কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হয় প্রায় সব জায়গাতেই। হায়দরাবাদে আন্দোলন ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে। গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    উত্তরপ্রদেশের লখনউ তেতে ওঠে কংগ্রেসের বিক্ষোভে। কর্ণাটকে বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। রাজস্থানের জয়পুরেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। রাহুল গান্ধীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে দিল্লির রাজপথে বিরোধিতা করেছেন অধীর চৌধুরী, কেসি বেণুগোপাল, ভূপেশ বাঘেল, অজয় মাকেন, গৌরব গগৈয়ের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে বারবার প্রশ্ন উঠেছে একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতার দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তদন্তে সাহায্য করলেই হল। নির্দোষ হলে তো যে কেউ ছাড়া পাবেন, তাহলে এত নাটক কেন? কিসের ভয়?

    প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের জমানাতে গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ১২ বছর আগে সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। বিজেপি তো তখন এত বিরোধিতা করেনি! 

    আরও পড়ুন: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    ৯ ঘণ্টা জেরা ও ১০০ টি পর পর প্রশ্ন। প্রসঙ্গ ছিল গুজরাতের বুকে ২০০২ সালের বিধ্বংসী হিংসার ঘটনা। যে ঘটনা নিয়ে খোদ সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদি পড়েছিলেন সিবিআই জেরার মুখে। একের পর এক প্রশ্ন। অথচ ধৈর্য্য হারাননি। এড়াননি একটা প্রশ্নও। ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরায় এক কাপ চা-ও পর্যন্ত নেননি নরেন্দ্র মোদি। গুজরাট দাঙ্গায় মোদিকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে এমন সব তথ্য উঠে এসেছিল তদন্তকারী দলের প্রধান আরকে রাঘবনের লেখা বইয়েও।   গান্ধীনগরে সিটের অফিসে জেরার জন্য হাজিরা দিতেও সম্মত হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সে নিয়ে ‘আ রোড ওয়েল ট্রাভেলড’ বইয়ে রাঘবন লিখেছেন,”মুখ্যমন্ত্রীর কর্মীদের আমরা বলেছিলাম, সিটের অফিসে তাঁকে আসতে হবে। অন্য কোথাও হলে তা তদন্তে প্রভাবিত করতে পারে। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন। সিটের অফিসে আসতে সম্মত হন।” সিটের অফিসে ৯ ঘণ্টার জেরায় ১০০টির কাছাকাছি প্রশ্ন করা হয়েছিল তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কোনও প্রশ্নই এড়িয়ে যাননি তিনি। এমনকি উত্তর সাজানোর চেষ্টা করেছেন বলেও মনে হয়নি।’ ২০১০ সালে মোদিকে টানা ১৩ ঘণ্টা জেরা করেছিল সিট। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাট দাঙ্গার তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দেয় সিট। ক্লিনচিট পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রিপোর্টে বলা হয়, দোষী সাব্যস্ত করার মতো কোনও প্রমাণই মেলেনি।  

    সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায়  রাজ্যছাড়া ছিলেন অমিত শাহ। গুজরাতে প্রবেশ করতে পারতেন না। তার আগে তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই। গ্রেফতারির ঠিক আগে আমদাবাদের বিজেপি দফতরে গিয়ে শাহ বলে এসেছিলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। কিন্তু কোনও দলীয় কর্মীদের নিয়ে জমায়েত করতে যায়নি বিজেপি। পরে আদালতে নিষ্কৃতি পান অমিত। তাহলে সেসময় কি কংগ্রেস তদন্ত সাজিয়েছিল? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।

  • Sonia Gandhi Aide Booked: ধর্ষণের অভিযোগ সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে! দাবি ওড়াল কংগ্রেস

    Sonia Gandhi Aide Booked: ধর্ষণের অভিযোগ সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে! দাবি ওড়াল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) ব্যক্তিগত সচিবের (personal secretary) বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অভিযোগ এসেছে দলের ভিতর থেকেই! এক দলিত মহিলা কংগ্রেস কর্মীই এই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ৭১ বছর বয়সী ব্যক্তিগত সচিব পিপি মাধবন (PP Madhavan) তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। যদিও সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন মাধবন। অভিযুক্তের পাল্টা দাবি কংগ্রেসের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতেই এই অভিযোগ করা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, গত ২৫ জুন দিল্লির উত্তমনগর (Delhi Uttam Nagar) থানায় পিপি মাধবনের নামে একটি এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে। আইপিসি সেকশন ৩৭৬ এবং ৫০৬  ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার দাবি, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই দলিত মহিলার স্বামী দিল্লির কংগ্রেস অফিসে কাজ করতেন। ২০২০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই সূত্রেই ওই মহিলা কংগ্রেস অফিসে যাতায়াত শুরু করেন। সেখানেই পরিচয় হয় মাধবনের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, ফাঁস করল ইডি

    নির্যাতিতার অভিযোগ, আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তিনি কংগ্রেস অফিসে যান। ২১ জানুয়ারি তাঁকে ইন্টারভিউ-র জন্যে ডাকা হয়। ইন্টারভিউ নেন মাধবন। তখনই তিনি তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। তার পরে একদিন মাধবন তাঁকে নিজেই গাড়িতে নিতে আসেন। একটা জায়গায় ড্রাইভারকেও বলেন, গাড়ি থামিয়ে বেরিয়ে যেতে। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেখানেই মাধবন ধর্ষণ করেন তাঁকে। এরপর মাঝ রাস্তায় তাঁকে নামিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।

    সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় বিড়ম্বনায় পড়ছে কংগ্রেস। যদিও, সমস্ত অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে উড়িয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি। হাত শিবিরের দাবি, যেহেতু অগ্নিবীর প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস, তাই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি তাঁদের ভয় দেখাতে চাইছে।    

    আরও পড়ুন: মঙ্গলে ফের ইডির জেরা রাহুলকে, লক্ষ্মীবারে সোনিয়াকে

    একের পর এক গুরুতর অভিযোগে বেশ অস্বস্তিতে হাত শিবির। সম্প্রতি, ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার (National Herald Magazine) তহবিল তছরুপের মামলায় সোনিয়া গান্ধী (Sonia  Gandhi) ও রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি (ED)। প্রথমবার গত ২ জুন রাহুলকে এবং ৮ জুন সোনিয়া গান্ধীকে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় ইডির থেকে সময় চেয়ে নেন সোনিয়া গান্ধী। তবে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) পাঁচদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।  এখন দলের শীর্ষ পদাধিকারীর বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ।

     

     

  • Rahul Gandhi: শুক্রে ফের জেরা ‘ক্লান্ত’ রাহুলকে, উঠল মতিলাল ভোরার নামও

    Rahul Gandhi: শুক্রে ফের জেরা ‘ক্লান্ত’ রাহুলকে, উঠল মতিলাল ভোরার নামও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর তিন দিন জেরা। প্রতিদিন প্রায় ১০ ঘণ্টা করে। স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাই চেয়েছিলেন বিরতি। ইডির (ED) তরফে মিলেছেও ছুটি। সেই কারণে বৃহস্পতিবার রাহুলকে জেরা করা হবে না বলে ইডি সূত্রে খবর। শুক্রবার তিনি ফের মুখোমুখি হবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    ইডির একটি সূত্রে দাবি, রাহুলকে বৃহস্পতিবারই তলব করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বিরতি চাওয়ায় তা মঞ্জুর করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইডির এক কর্তা বলেন, গত তিনদিন ধরে রাহুলকে জেরার অডিও এবং ভিডিও রেকর্ডিং করা হচ্ছে। লেখা হচ্ছে বয়ানও। সেই বয়ানে স্বাক্ষর করানোর পরেই মিলছে ছুটি। তাই দীর্ঘায়িত হচ্ছে জেরা প্রক্রিয়া। ওই বয়ান রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীর বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। ৮ জুন তলব করা হয়েছিল সোনিয়াকে। করোনা সংক্রিমিত হওয়ায় আপাতত তিনি ভর্তি হাসপাতালে। তাই ২৩ জুন তলব করা হয়েছে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীকে।

    আরও পড়ুন : ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    ইডি সূত্রে খবর, জেরায় রাহুল জানিয়েছেন, ইয়ং ইন্ডিয়া থেকে একটি টাকাও নেননি তিনি। ইয়ং ইন্ডিয়া একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যদিও ইডির পাল্টা দাবি, ২০১০ সালে সংস্থাটি গঠিত হওয়ার পর থেকে কোনও সেবামূলক কাজ করেনি।যদি করে থাকে তার প্রমাণস্বরূপ ইডির কাছে নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাহুলকে। কংগ্রেস সাংসদের দাবি, ইয়ং ইন্ডিয়া এবং কংগ্রেসের মধ্যে কী লেনদেন হয়েছে, সেসব কিছুই তিনি জানেন না। রাহুলের দাবি, সবটাই দেখতেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরা। ইয়ং ইন্ডিয়ার ব্যালেন্স শিটও দেখতেন তিনিই।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    এদিকে, শুক্রবার রাহুলকে চতুর্থ দফার জেরার দিনও ফের একবার উত্তাল হতে পারে রাজধানী দিল্লি। গত তিন দিনের মতো সেদিনও দিল্লিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারেন কংগ্রেস নেতারা। আজ, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে রাজভবন ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল।

     

  • Udaipur Tailor Murder: “নৃশংস, ভীষণই নিন্দনীয় ঘটনা”, উদয়পুরের হত্যাকাণ্ডে সরব রাজনৈতিক মহল

    Udaipur Tailor Murder: “নৃশংস, ভীষণই নিন্দনীয় ঘটনা”, উদয়পুরের হত্যাকাণ্ডে সরব রাজনৈতিক মহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পয়গম্বর মন্তব্যকে  সমর্থন করায় উদয়পুরের কানহাইয়া লাল (Kanhaiya Lal) নামে দর্জিকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। ফের নতুন করে  নূপুর শর্মার মন্তব্যকে ঘিরে হিংসার আগুন জ্বলছে রাজস্থানের (Rajasthan) উদয়পুরে (Udaipur)। সেখানে ওই ব্যক্তি নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন। তারপরই তাঁর মুণ্ড বিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে হিংসার আগুনে জ্বলছে উদয়পুর। যারা হামলা চালিয়েছে তারা শুধুমাত্র তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেনি, সেই ঘটনা রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে। সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)- কেও হত্যা করার হুমকি দিয়েছে তারা। এই ঘটনাকে অনেকেই নিন্দা করেছেন ও  অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন দলের নেতারা। 

    ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ (Jamiat Ulama-i-Hind )-এর তরফে  উদয়পুর হত্যাকাণ্ডকে নিন্দা করা হয়েছে এবং এটিকে ইসলাম (Islam) ও দেশের আইনের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। জমিয়ত উলামা হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হালসিমুদ্দিন কাসমি (Maulana Halceemuddin Qasmi) উদয়পুরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন ও এটিকে ধর্মবিরোধী বলে অভিহিত করেছেন।

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে শিরোশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট

    এদিন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) এই ঘটনার নিন্দা করে ট্যুইটারে লেখেন, “আমি উদয়পুরে যুবকের হত্যার নিন্দা করছি। এ ঘটনায় জড়িত সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পুলিশ এই অপরাধের একেবারে মূলে যাবে। আমি সব পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করছি। এই ধরনের জঘন্য অপরাধে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তিকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “ আমি এই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করে পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা না করার জন্য সবার কাছে আবেদন করছি। অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”

    [tw]


    [/tw]

    এই ঘটনায় রাহুল গান্ধী ট্যুইটারে লিখেছেন,  উদয়পুরের এই জঘন্য হত্যাকান্ডে তিনি স্তম্ভিত। ধর্মের নামে কোনো হিংসা সহ্য করা হবে না।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: “রাজস্থান সরকারের তোষণের রাজনীতিই সাম্প্রদায়িক উসকানির মূলে”, শিরোশ্ছেদ প্রসঙ্গে বসুন্দরা রাজে

    অরবিন্দ কেজরীওয়াল লেখেন, উদয়পুরের ঘটনা খুবই ভয়াবহ। এই ঘটনাকে তীব্রভাবে নিন্দা করে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    আইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) ট্যুইট করেন, ‘উদয়পুরে (Udaipur Murder) নৃশংস হত্যাকাণ্ড ভীষণই নিন্দনীয় ঘটনা। এমন হত্যাকাণ্ডকে কেউই সমর্থন করবে না। কারোর আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারোর নেই। আমরা সবসময় হিংসার বিরোধিতা করেছি। আমরা রাজ্য সরকারের কাছে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

    [tw]


    [/tw]

    প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এই ঘটনায় সরব হয়ে ট্যুইট করেন ও অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।

    [tw]


    [/tw]

    খবরসূত্রে জানা যায়, এই ঘটনার পরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে উত্তেজনা না ছড়াতে না পারে তার জন্য এলাকার ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত  বাহিনী মোতায়েন করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ও পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করা করেছে রাজ্য সরকার।

     

  • Rahul Gandhi: মঙ্গলে ফের ইডির জেরা রাহুলকে, লক্ষ্মীবারে সোনিয়াকে

    Rahul Gandhi: মঙ্গলে ফের ইডির জেরা রাহুলকে, লক্ষ্মীবারে সোনিয়াকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চল্লিশ ঘণ্টা জেরা করা হয়ে গিয়েছে। তার পরেও সন্তুষ্ট নয় ইডি (ED)। সেই কারণেই আজ, মঙ্গলবারও ফের ইডির জেরার মুখে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। গত সপ্তাহে তিন দিন টানা জেরা করা হয় রাহুলকে। সোমবার জেরা করা হয় আরও এক প্রস্ত। ইডির দাবি, তার পরেও মেলেনি সন্তোষজনক উত্তর। তাই মঙ্গলবার ফের জেরা করা হচ্ছে রাহুলকে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (national herald case) আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গত সপ্তাহে পরপর তিনদিন রাহুলকে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। প্রতিদিন প্রায় দশ ঘণ্টা করে জেরা করা হয় তাঁকে। শুক্রবার বিরতি নিয়েছিলেন ‘ক্লান্ত’ রাহুল। সোমবার ফের ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি। এদিনও ঘণ্টা দশেক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন : ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে তলব করেছিল ইডি। বিদেশে থাকায় প্রথমবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। নির্ধারিত সময়ে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি সোনিয়াও। করোনা সংক্রমিত হওয়ায় হাজির হতে পারেননি তিনি। দেশে ফেরার পর ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। এদিকে, সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফিরেছেন সোনিয়া। ২৩ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডির তরফে।

    আরও পড়ুন : রাহুলের হাজিরাকে কেন্দ্র করে নয়া ছক কংগ্রেসের? সোনিয়াকে সময় দিল ইডি

    ২০১১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ এবং নবজীবন এই তিনটি সংবাদপত্র অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কাছ থেকে অধিগ্রাহণ করে রাহুল ও সোনিয়ার মালিকানাধীন ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক সংস্থা। রাহুল ও সোনিয়া ওই সংস্থার ৭৬ শতাংশের মালিক। বাকি দুই শেয়ার হোল্ডার হলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ ও মতিলাল ভোরা। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ, এই অধিগ্রহণ নিয়ম মেনে হয়নি। ঘুরপথে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছে ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড।এর পরেই তদন্ত শুরু করে ইডি। জেরা করা হয় রাহুলকে। বৃহস্পতিবার জেরা করা হবে সোনিয়াকে।

     

  • Rahul Gandhi: কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    Rahul Gandhi: কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় সোমবার আবারও ইডির (ED) জেরার মুখে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এদিন সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে পৌঁছন রাহুল। 

    গত সপ্তাহে টানা তিনদিন ৩০ ঘণ্টা রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। গত শুক্রবারই চতুর্থবার জেরার জন্য কংগ্রেস সাংসদকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু মা সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখার করার জন্য তা পিছনোর আর্জি জানিয়ে ইডিকে চিঠি লিখেছিলেন রাহুল। তা মেনে নিয়ে ২০ জুন হাজিরার নির্দেশ দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেইমতোই এদিন ইডির দফতরে পৌঁছন রাহুল। চলে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।

    এদিকে, রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে কংগ্রেস। দিল্লির যন্তর মন্তরে সত্যাগ্রহ শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, সলমন খুরশিদ, ভি নারায়ণ স্বামীরা। কংগ্রেসের বিক্ষোভ আটকাতে দিল্লিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইডি দফতরের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। 

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুলকে ইডির (Enforcement Directorate) জেরা নিয়ে কড়া ভাষায় কংগ্রেসের সমালোচনা করে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, “এ দেশে না কেউ রানি ভিক্টোরিয়া (Queen Victoria ), না কেউ যুবরাজ চার্লস (Prince Charles)। যে তাঁকে জেরা করা যাবে না। এদেশে আইনের চোখে সবাই সমান। কারও বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে বা উঠলে তদন্তকারী সংস্থা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে।” তাঁর দাবি, জনগণ জানে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গান্ধী পরিবার এবং রাহুল গান্ধীর ভূমিকার কথা। সুতরাং,এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মনে করলে গান্ধী পরিবারের যে কোনও সদস্যকে ডেকে জেরা করতেই পারে। এই জেরার অধিকার তাদের রয়েছে। সম্বিত আরও বলেন, “ইডি কথার অর্থ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, এন্টাইটেলমেন্ট ডিরেক্টরেট নয়। এটা যেন কংগ্রেস বা রাহুল গান্ধী ভুলে না যান।”

    আরও পড়ুন: কেন রাহুল গান্ধীকে জেরা, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী?

    এর আগে রাহুলকে তলব নিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র অজয় মাকেন বলেন, “আমার জানা নেই যে কংগ্রেসকে (Congress) যেভাবে দিনের পর দিন হেনস্থা করা হচ্ছে, সেভাবে অন্য কোনও দলকে হেনস্থা করা হয়েছে কি না। আর এই হেনস্থার একমাত্র উদ্দেশ্য হল রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের মুখ বন্ধ করা। এভাবে কোনও একটি রাজনৈতিক দলের মুখ বন্ধ করা যায় না।”

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় শুধু রাহুল নয় সনিয়া গান্ধীকেও ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি৷ কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর নির্ধারিত দিনে ইডি অফিসে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেস সভানেত্রী৷ এই মুহূর্তে তিনি ভর্তি গঙ্গারাম হাসপাতালে৷ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে ইডি দফতরে তিনি যাবেন বলে জানিয়েছে কংগ্রেস৷

  • Rahul Gandhi: পুলিশের উর্দি ধরে টান রেণুকার! রাহুল ইস্যুতে বিক্ষোভ কংগ্রেসের

    Rahul Gandhi: পুলিশের উর্দি ধরে টান রেণুকার! রাহুল ইস্যুতে বিক্ষোভ কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) জেরা করা হচ্ছে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। গত তিন দিনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে। শুক্রবার ফের চলছে জেরা। এদিকে, ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার থেকে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। এই আন্দোলন করতে গিয়েই হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরীর (Renuka Chowdhury) বিরুদ্ধে উঠল পুলিশের (police) কলার চেপে ধরার অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেণুকা।

    আরও পড়ুন : ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে তলব করে ইডি। করোনা সংক্রমিত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি সোনিয়া। তাই হাজিরা দিতে পারেননি ইডির দফতরে। রাহুলকে অবশ্য টানা তিন দিন জেরা করেছে ইডি। শুক্রবার ফের চলছে জেরা।

    রাহুলকে ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরী পুলিশের কলার চেপে ধরেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও রেণুকার দাবি, ভারসাম্য বজায় রাখতেই ওই পুলিশ কর্মীর কলার চেপে ধরেছিলেন তিনি। কংগ্রেস নেত্রী বলেন, আমি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমার হাত ফসকে যায়। আর তাই আমি ওঁর কলার চেপে ধরেছিলাম। রেণুকার সাফাই, আপনারা ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন, কীভাবে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। কীভাবে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    এদিকে, রাহুলকে জেরার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের হাতে এই মুহূর্তে কোনও ইস্যু নেই, যা নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন নেতাকর্মীরা। রাহুলের ইডি জেরাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে আন্দোলন করে চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সোনিয়ার দল। রাহুল গ্রেফতার হয়ে গেলে খান খান হয়ে যাবে কংগ্রেস।এই আশঙ্কা থেকেও আন্দোলন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিকে, ইডি জেরার মুখে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরার নাম নিয়েছেন রাহুল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর ছেলে অরুণ ভোরা। তাঁর মতে, অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে মতিলাল সম্পর্কে রাহুল এমন মন্তব্য করেননি বলেই বিশ্বাস করেন অরুণ।

     

  • National Herald: রাহুলের হাজিরাকে কেন্দ্র করে নয়া ছক কংগ্রেসের? সোনিয়াকে সময় দিল ইডি

    National Herald: রাহুলের হাজিরাকে কেন্দ্র করে নয়া ছক কংগ্রেসের? সোনিয়াকে সময় দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Corruption Case) কংগ্রেস সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) ৮ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিন সপ্তাহের সময় চেয়ে নিয়েছিলেন নেত্রী। সোনিয়াকে তিন সপ্তাহের সময় দিতে রাজি হয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সোনিয়াকে নতুন সমন পাঠাবে ইডি।   

    আরও পড়ুন: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    গত ২ জুন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর করোনা ধরা পড়ে। সেইমতো তিনি ইডি কর্তৃপক্ষের কাছে সুস্থ হওয়ার জন্যে তিন সপ্তাহের সময় চেয়ে নেন। কারণ চিকিৎসকরা এখনও তাঁকে ঘরের বাইরে বেরোনোর অনুমতি দেননি।

    আরও পড়ুন: হেরাল্ড কাণ্ডে তলব ইডির, আর কী কী মামলা রাহুলের বিরুদ্ধে?

    এদিকে আগামী ১৩ জুন, সোমবার ওই একই মামলায় ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধীর। গত সোমবারই ইডির দফতরে যাওয়ার কথা ছিল জুনিয়র গান্ধীর। কিন্তু সেই সময় তিনি বিদেশ সফরে থাকায় হাজিরার জন্যে কিছুটা সময় চেয়ে নেন। তাঁকে এক সপ্তাহের সময় দেয় ইডি।

    শোনা যাচ্ছে রাহুলের এই হাজিরাকে হাতিয়ার করে দিল্লির রাস্তায় সরকার-বিরোধী প্রতিবাদের ঝড় তুলতে পারে কংগ্রেস (Congress)। ওই দিন রাহুলের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা, লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা মিছিল করে ইডি-র দফতরে যাবেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে মোদি (Modi) সরকার। আর এরই প্রতিবাদে মিছিল করবে কংগ্রেস। এমনকি আগামী অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হওয়ার পরিকল্পনাও করেছে কংগ্রেস।  

    আরও পড়ুন: ইডি দফতরে হাজিরার আগেই করোনা পজিটিভ সোনিয়া

    ন্যাশনাল হেরাল্ড অর্থ পাচার মামলায় রাহুল-সোনিয়াকে নোটিস পাঠিয়েছে এই তদন্তকারী সংস্থা। ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক সংস্থা অভিযোগ করে যে, ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটির পরিচালন সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় আর্থিক নয়ছয় হয়েছে।

     

  • Rahul Gandhi: হেরাল্ড কাণ্ডে তলব ইডির, আর কী কী মামলা রাহুলের বিরুদ্ধে?

    Rahul Gandhi: হেরাল্ড কাণ্ডে তলব ইডির, আর কী কী মামলা রাহুলের বিরুদ্ধে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ন্যাশনাল হেরাল্ড (Natiaonal Herald) মামলায় বেআইনি ভাবে অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। কিন্তু বিদেশে থাকার জন্য ২৪ ঘণ্টার নোটিসে তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়, বলে জানিয়ে দেন রাহুল। শুক্রবার রাহুলকে নতুন নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। আগামী ১৩ জুন তাঁকে ইডি-র দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। বুধবার পাঠানো ইডি-র (ED) ওই নোটিসে আগামী ৮ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গাঁধীকে (Sonia Gandhi)। কিন্তু তিনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত নোটিস পাঠানো হচ্ছে না বলে ইডি সূত্রের খবর।

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কী কী মামলা রয়েছে—

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা: 

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র নিয়ে ২০১৩ সালে, মনমোহন সিংয়ের সময় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর অভিযোগ, ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’ নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। যার বেশিরভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া।

    ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই অবস্থাতেই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে সোনিয়া, রাহুল এবং শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা। যার পর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে আসে। ৯০ কোটি টাকা দেনার বোঝাও চাপে তাদের ঘাড়ে। এর কিছু দিন পর ‘দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়’ বলে কারণ দেখিয়ে কংগ্রেসের তরফে ঋণের টাকা মকুব করে দেওয়া হয়। এখানেই আপত্তি তোলে বিজেপি।

    তাঁর যুক্তি, কংগ্রেস রাজনৈতিক দল। তাদের কোনও কর দিতে হয় না। কোনও বাণিজ্যক সংস্থাকে ঋণ দেওয়াও তাদের এক্তিয়ারের বাইরে। ২০১৫-র গোড়ায় মামলার তদন্তের ভার যায় ইডি-র হাতে। যদিও কংগ্রেস নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, ইয়ং ইন্ডিয়া অলাভজনক সংস্থা। এই সংস্থা কোনও মালিককে ডিভিডেন্ট (মুনাফার ভাগ) দিতে পারে না। কোনও সম্পত্তির হাতবদল বা আর্থিক লেনদেনও হয়নি। বস্তুত, প্রথম দফার তদন্তের পর ইডি কংগ্রেসের দাবিকেই মান্যতা দিয়ে মামলাটি বন্ধ করার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে তড়িঘড়ি ইডি-র তৎকালীন অধিকর্তা রাজন কাটোচকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আবার তদন্ত শুরি করে ইডি।

    আরও পড়ুন: ৩২ বছর ধরে দেশসেবা, ‘অবসর’ অক্ষয়, নিশাঙ্কের

    ভিওয়ান্ডির আদালতে মামলা:

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা ছাড়াও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে রাহুল গান্ধীর নামে। মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুর জন্য দায়ী রাষ্ট্রীয় সমাজসেবক সঙ্ঘ (RSS)! ২০১৪ সালে এক বক্তৃতায় এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলা দায়ের করেন আরএসএস কর্মী রাজেশ কুন্তে। ভিওয়ান্ডি আদালতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। যদিও সেই মামলাতে মামলাকারীকেই ১ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় প্রথম শ্রেণির বিচার বিভাগীয় আদালত।

    সুরাট আদালতে মামলা:

    ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে এপ্রিল মাসে কর্নাটকের একটি নির্বাচনী জনসভায় রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন যে, “সব চোরেদেরই পদবি মোদি”। তাঁর (Rahul Gandhi) মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুরাট আদালতে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলাতে (Modi surname) আদালতে হাজিরা দিয়ে নিজের পক্ষে যুক্তি দেন রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালের ভোটের প্রচার চলাকালীন তৎকালীন কংগ্রেস (Congress) সভাপতি কর্নাটকের কোলারের এক সভায় ছড়া কেটে বলেছিলেন, “নীরব মোদি, ললিত মোদি, নরেন্দ্র মোদি। এদের প্রত্যেকের নামেই মোদি আছে কেন? সব চোরেদের নামেই মোদি কেন থাকে?” কংগ্রেস নেতার সেই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন একাধিক বিজেপি নেতা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই মন্তব্য করে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি গোটা মোদি (Modi) সম্প্রদায়কেই অপমান করেছেন। পাটনায় বিহারের তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি (Sushil Modi) এবং সুরাটে বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন।  কয়েক বছর ধরে সেই মামলা চলছে সুরাটের আদালতে।

    রাফাল (Rafale) চুক্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে রাহুল গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান তুলেছিলেন । রাহুলের এই স্লোগানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মানহানির মামলা করেছিলেন BJP সাংসদ মীনাক্ষী লেখি । রাহুলকে এই ধরনের মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।

    আসানসোল আদালতে মামলা:

    ‘হিন্দু বনাম হিন্দুত্ববাদী’ মন্তব্যের জন্য সম্প্রতি বিপাকে পড়েছেন রাহুল গান্ধী। পীযূষকান্তি গোস্বামী নামক আসানসোলের এক আইনজীবী রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।  পীযূষকান্তির অভিযোগ, গত ১২ এবং ১৯ ডিসেম্বর রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশের দুটি সভায় হিন্দুত্ববাদীদের প্রসঙ্গ টেনে রাহুল বলেছিলেন, ক্ষমতার লোভে হিন্দুত্ববাদীরা সত্যকেও ভুলে যায়। দেশের দুর্দশার জন্য এরা দায়ী। ওয়েনাড়ের সাংসদের এই মন্তব্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে বলে অভিমত পীযূষের। আসানসোল আদালতে এই মামলাটি চলছে।

  • BJP to Rahul Gandhi: কংগ্রেসে কি গণতন্ত্র রয়েছে? পরিবারতন্ত্রই সম্বল, রাহুলকে তোপ বিজেপির

    BJP to Rahul Gandhi: কংগ্রেসে কি গণতন্ত্র রয়েছে? পরিবারতন্ত্রই সম্বল, রাহুলকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সংস্থা-প্রতিষ্ঠানগুলিকে অপমান করা বন্ধ করুন, রাহুল গান্ধীর উদ্দেশে কড়া বার্তা বিজেপির। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শুক্রবার বিজেপির আমলে দেশে গণতন্ত্র নষ্ট হওয়ার অভিযোগ তোলেন। তারই প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, রাহুল গান্ধী গণতন্ত্রের কথা বলছেন কিন্তু দেশে পরিবারতন্ত্র চালায় কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী একদা দেশে ‘ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করে গণতন্ত্রের পরিবেশ নষ্ট করেছিলেন বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    শুক্রবার সংসদ ভবনের বাইরে রাহুল গান্ধী-সহ একাধিক কংগ্রেস সাংসদকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং খাদ্যপণ্যের উপর জিএসটি বসানোর প্রতিবাদে রাজধানীতে তুমুল বিক্ষোভ আন্দোলনের  ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। সাংসদদের একটি মিছিল নিয়ে সংসদ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাচ্ছিলেন রাহুল। বিজয় চক পৌঁছনোর আগেই তাঁকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। এ দিন সংসদ ভবন চত্বরে সনিয়া গান্ধীকেও বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায়। শুক্রবার পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে কংগ্রেস সংসদ সদস্যরা বিক্ষোভ করতে থাকে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিক্ষোভের কারণে দিল্লির কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বাধা পায়। তাই রাজপথে শান্তি বজায় রাখতে আটক করতে হয় রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, শশী তারুর-সহ কংগ্রেস নেতাদের। 

    আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে উদ্ধার ৭০০ কেজি নিষিদ্ধ মাদক, গ্রেফতার স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ যুবক সহ ৫

    এদিন রাহুল গান্ধী বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের মৃত্যু দেখছি। সাত দশক ধরে আমরা এক একটা ইট জুড়ে গণতন্ত্র তৈরি করেছিলাম, তা পাঁচ বছরেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের চোখের সামনে গণতন্ত্রকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। যারাই একনায়কতন্ত্রের চিন্তাধারার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে, তাদের উপরই নৃশংসভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, জেলে ভরা হচ্ছে এবং মারধর করা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় কাশ্মীরে হত পরিযায়ী শ্রমিক, জখম ২

    রাহুল গান্ধীর এই আক্রমণের পাল্টা জবাব দেয় বিজেপিও। বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া বলেন, “২০১৫ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা জামিন পেয়েছিলেন সনিয়া ও রাহুল গান্ধী। এই মামলা বহু পুরনো, তখন ওনারা অভিযোগ করেননি যে ইডিকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নিজেরা ধরা পড়ে গিয়েছেন, এই বিষয় থেকে সাধারণের নজর ঘোরাতেই এইসব প্রচেষ্টা করছে কংগ্রেস।”

LinkedIn
Share