Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • Rahul Gandhi Remarks: চিন্তন শিবিরে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য রাহুলের, ক্ষুব্ধ আঞ্চলিক দলের নেতারা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস

    Rahul Gandhi Remarks: চিন্তন শিবিরে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য রাহুলের, ক্ষুব্ধ আঞ্চলিক দলের নেতারা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীদের কোনও আদর্শ নেই। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে(chintan shivir) এহেন মন্তব্য করে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের(Opposition parties) বিরাগভাজন হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul gandhi)। কংগ্রেসকে তাঁদের নয়, বরং আঞ্চলিক দলগুলিকে(regional parties) প্রয়োজন কংগ্রেসেরই, সাফ জানিয়ে দিলেন আঞ্চলিক দলগুলির নেতারা। রাহুলকে চালকের আসনে বসিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টা হচ্ছিল। রাহুলের মন্তব্যে তা ধাক্কা খেল বলেই ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এদিকে, আঞ্চলিক দলগুলির ‘ক্ষোভ’ সামাল দিতে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল কংগ্রেস।

    রাজস্থানের উদয়পুরে তিনদিন ব্যাপী চিন্তন শিবির হয়ে গেল কংগ্রেসের। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরি করতেই বসেছিল শিবির। এই শিবিরে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, বিজেপি শুরু কংগ্রেসকে নিয়েই কথা বলবে, কোনও আঞ্চলিক দল নয়, কংগ্রেস নেতা, কংগ্রেস কর্মীদের কথাই ঘুরেফিরে উঠে আসবে তাদের মুখে। কারণ স্ব স্ব ক্ষেত্রে শক্তিশালী হলেও, আদর্শ না থাকায় আঞ্চলিক দলগুলির যে তাদের হারানোর ক্ষমতা নেই, সে কথা জানে বিজেপি। যদিও এই শিবিরেই সমমনস্ক আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন খোদ সোনিয়া গান্ধি। 

    রাহুলের এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বের কাছ থেকে। ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট রয়েছে কংগ্রেসে। যৌথভাবে চলছে সরকারও। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ঝাড়খণ্ড ও বিহারে যথাক্রমে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের হাত ধরে টিকে রয়েছে কংগ্রেস। আমাদের নীতি না থাকলে বিজেপির মতো পার্টির বিরুদ্ধে মানুষ আঞ্চলিক দলকে বেছে নিচ্ছে কেন?

    বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে সমঝোতা রয়েছে কংগ্রেসের। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়াই করেছিল রাহুল গান্ধির দল। বিহারের ওই দলের তরফে রাহুলকে সেকথা স্মরণও করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১৯৯৯ সালে নেতৃত্বের প্রশ্নে নিজের দলের নেতাদের পাশে না পেলেও, লালুপ্রসাদ যাদবকে পাশে পেয়েছিলেন সোনিয়া। রাহুলের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে আম-আদমি পার্টি, টিআরএস এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন : “আপনি কি ‘ভোট সময়ের হিন্দু’?” রাহুলকে প্রশ্ন বিজেপির

    বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের কড়া প্রতিক্রিয়া দৃশ্যতই জেরবার কংগ্রেস নেতৃত্ব। তড়িঘড়ি  ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামানো হয় শশী তারুরকে(Shashi Tharoor)। তারুর বলেন, রাহুল বলতে চেয়েছেন যে, জাতীয় রাজনীতিতে আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। আমাদের ভাবনা গোটা দেশকে নিয়ে। আঞ্চলিক দলগুলিকে নির্দিষ্ট অঞ্চলে নিজেদের স্বার্থ বুঝে চলতে হয়। তিনি বলেন, আমার তো মনে হয়, তৃণমূল, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সমাজবাদী পার্টি এমনকি ডিএমকের সঙ্গেও কংগ্রেসের আদর্শের মিল রয়েছে।

    তারুরের কথায় রাজনীতির চিঁড়ে ভেজে কিনা, তাই দেখার!

     

     

     

     

     

  • Rahul Gandhi: “আপনার নীতি ভুলে ভরা, ধ্বংসাত্মক…”, কেমব্রিজে রাহুলকে তোপ ভারতীয় অফিসারের

    Rahul Gandhi: “আপনার নীতি ভুলে ভরা, ধ্বংসাত্মক…”, কেমব্রিজে রাহুলকে তোপ ভারতীয় অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর ‘ইউনিয়ন অফ স্টেট’ তত্ত্বকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করালেন ভারতের এক সিভিল সার্ভিস আধিকারিক। সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাকে দেশাত্মবোধের পাঠ পড়ালেন তিনি। ওই ভারতীয় সিভিল সার্ভেন্ট আধিকারিকের নাম সিদ্ধার্থ বর্মা।  তিনি IRTS অ্যাসোসিয়েশনের একজন সিভিল সার্ভেন্ট এবং কেমব্রিজে পাবলিক পলিসির একজন স্কলার।

    সাম্প্রতিককালে নানা অনুষ্ঠানে ‘ইউনিয়ন অফ স্টেট’ তত্ত্ব খাড়া করছেন রাহুল। যা নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহলেও বিতর্ক অব্যাহত। রাহুলের বক্তব্য, ভারত কোনও দেশ নয়, বরং এটি রাজ্যের সমষ্টি। সংসদে দাঁড়িয়েও এই কথা বলেছিলেন তিনি। সম্প্রতি লন্ডনে একটি কনক্লেভে একই মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই এক কেমব্রিজ স্কলার পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন রাহুলের দিকে। সেই প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়ে চাণক্যের উদাহরণ তুলে ধরেন রাহুল। 

    রাহুলকে সিদ্ধার্থের প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মনে হয় না, ভারত সম্পর্কে আপনি যে ধারণা পোষণ করেন তা ভুল?’ রাহুলকে সিদ্ধার্থ বলেন, ‘আপনি সংবিধানের ১ নং অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করেছেন যে ভারত রাজ্যগুলির একটি ইউনিয়ন। আপনি যদি পৃষ্ঠাটি উলটে নিয়ে প্রস্তাবনাটি পড়েন তবে তাতে দেখবেন ভারতকে একটি জাতি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত নিজেই বিশ্বের প্রাচীনতম টিকে থাকা সভ্যতাগুলির মধ্যে একটি। এবং এই শব্দটি বেদেও রয়েছে… এমনকি চাণক্য তক্ষশিলায় শিক্ষাদানের সময় তাঁর ছাত্রদের কাছে ভারতকে একটি জাতি হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।’

    [tw]


    [/tw]

    এই যুক্তির জবাবে রাহুল বলেন, ‘চাণক্য ভারতকে জাতি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন, তবে দেশ হিসেবে কি উল্লেখ করেছিলেন?’ এর জবাবে সিদ্ধার্থ বলেন, ‘চাণক্য রাষ্ট্র শব্দটির প্রয়োগ করেছিলেন। যার অর্থ দেশ।’ যদিও রাহুল নিজের বক্তব্যকে সঠিক প্রমাণ করার মরিয়া প্রচেষ্টায় দাবি করেন, ‘রাষ্ট্র মানে রাজ্য (kingdom), দেশ নয়।’ 

    এর উত্তরে সিদ্ধার্থ রাহুলকে বলেন, ‘আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হল, একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে, আপনি কি মনে করেন না যে ভারত সম্পর্কে আপনার ধারণাটি কেবল ত্রুটিপূর্ণ এবং ভুলই নয় বরং ধ্বংসাত্মকও বটে। কারণ এটি হাজার বছরের ইতিহাসকে মুছে দেওয়ার করার চেষ্টা করছে?’এ বিষয়ে আর কোনও উত্তর দেননি রাহুল।

  • KK Demise: “সব বয়সের মানুষের মন ছুঁয়েছে তাঁর গান”, কেকে-র মৃত্যুতে শোকবার্তা মোদির

    KK Demise: “সব বয়সের মানুষের মন ছুঁয়েছে তাঁর গান”, কেকে-র মৃত্যুতে শোকবার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কেকে (singer K K)। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন অস্বস্তি বোধ করেন। এর পরই আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের গানের অনুষ্ঠান ছিল গতকাল। সন্ধ্যের দিকে অসুস্থ বোধ করেন। বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। বাংলা, হিন্দি ছাড়াও একাধিক ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের (Krishnakumar Kunnath) প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ।    

    জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যে ৬টা ৪৫ এ মঞ্চে ওঠেন তিনি। যখন থেকে তিনি গান গাইতে উঠেছিলেন তখন থেকে অন্য রকম লাগছিল গায়ককে। শারীরিক অস্বস্তির সঙ্গে বার বার ঘাম হচ্ছিল তাঁর। গানের ফাঁকে স্টেজের পিছনে গিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁর গানের মাঝেও তাঁর যে অস্বস্তি হচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছিল।  প্রথম  থেকেই তাঁকে অন্যরকম লাগছিল। গানের মাঝে অনেকটা সময় নিচ্ছিলেন।   

    সোমবার ও মঙ্গলবার দুদিনই কেকে-র কলকাতায় লাইভ কনসার্ট ছিল। প্রথম দিন বিবেকানন্দ কলেজের অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চেই অনুষ্ঠান করেন তিনি। গতকালও সেখানেই তাঁর অনুষ্ঠান ছিল। গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের জন্য গতকাল তিনি মঞ্চে ওঠেন। কিন্তু খানিক পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় লাইভ শো চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মৃত্যু শিল্পী কে কে-র

    গায়কের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। শিল্পীর প্রয়াণে শোকবার্তা রাজনৈতিক মহলের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) লিখেছেন, “গায়ক কেকে-র অকাল প্রয়াণে শোকাহত। সব বয়সের মানুষের মন ছুঁয়েছে তাঁর গান। তাঁর গানের মধ্যে দিয়ে তাঁকে আমরা মনে রাখব। তাঁর পরিবার এবং ভক্তদের প্রতি সমবেদনা।” 

    [tw]


    [/tw]

    দেশের উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু (M Venkaiah Naidu), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur), অরুনাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা কুন্ডু (Prema Kundu), রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে (Vasundhara Raje Scindia), কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রয়াত গায়কের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন।  

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

     

  • Congress: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    Congress: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কংগ্রেসের অন্তর্বতীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনে (money laundering case) জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থার তরফেই এ খবর জানানো হয়েছে।

    ইডি-র (ED) তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাহুলকে ২ জুন আর সোনিয়াকে ৮ জুন ইডি-র দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের দুই হেভিওয়েট নেতাকে যে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তা স্বীকারও করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, সোনিয়া গান্ধীকে ৮ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ইডি। তবে তাঁরা যে এতে ভয় পাচ্ছেন না, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হাত শিবিরের নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, আমরা এই নোটিসে ভয় পাই না। মাথা নতও করব না।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, এটি বেআইনি অর্থ লেনদেন মামলার এক অদ্ভুত নোটিস, যার সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন জড়িত নেই। এটি পুরোপুরি প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করব। সিংভি বলেন, সোনিয়া, রাহুল তদন্তে সহযোগিতা করবেন। রাহুল আপাতত বিদেশে রয়েছেন। ফিরে এলে তিনি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন। অন্যথায় ইডির কাছে আরও সময় চাওয়া হবে।

    তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রণদীপ বলেন, পুরো ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পোষা সংস্থা ইডি। মোদি (Modi) সরকার প্রতিশোধের জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েছে। ইডির নোটিসকে নয়া কাপুরুষোচিত কাজ বলে তোপ দাগেন তিনি। রণদীপ জানান, ন্যাশনাল হেরাল্ড ১৯৪২ সালের একটি সংবাদপত্র। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তা দমনের কাজ করেছিল। এখন মোদি সরকার ইডিকে হাতিয়ার করে এসব করছে।

    আরও পড়ুন : “আলবিদা কংগ্রেস”, ফেসবুক লাইভ করে সোনিয়া-সঙ্গ ছাড়লেন সুনীল জাখর

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি (BJP) তুলেছিল মনমোহন সিং (Manmohan Singh)-এর জমানায়ই। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।

    তাঁর অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। সংবাদপত্রটির সম্পত্তি বিক্রি করে কেন কংগ্রেস নেতৃত্ব ঋণের টাকা মেটালেন না, সেই প্রশ্ন তুলে আদালতে অভিযোগ করেন ঘুরপথে আয়কর মুক্ত পুরো টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

     

  • Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১০ ঘণ্টার বেশি জেরা করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। মঙ্গলবার ফের ইডি (Ed) দফতরে তলব করা হয়েছে রাহুলকে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) সোমবার রাহুলকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। প্রথম দফায় জেরা করা হয় টানা তিন ঘণ্টা।দ্বিতীয় দফায় সাত ঘণ্টারও বেশি। রাহুলের ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এদিন পথে নেমে পড়ে কংগ্রেস। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে অবস্থান-বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস কর্মীদের আটকাতে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। ঘটনার জেরে দিল্লির বিভিন্ন রাস্তা কার্যত হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন সকাল থেকেই রাহুল গান্ধীর বাসভবন, কংগ্রেস সদর দফতর এবং ইডি দফতরের বাইরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার বাড়িতে পৌঁছান রাহুল। সেখান থেকে দুজনে এসে পৌঁছান কংগ্রেসের সদর দফতরে। পরে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মিছিল করে, পায়ে হেঁটে ইডি দফতরের দিকে রওনা দেন রাহুল। কিছুটা দূরেই মিছিল আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বুকের হাড়ে চিড় ধরেছে বলে দাবি কংগ্রেসের। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, চিদম্বরমের হাড় ভেঙেছে। ২০১৫ সালে এই মামলা বন্ধ করেছিল ইডি। এখন বিজেপির কাছে কিছু না থাকায় ভিতু মোদি সরকার এই ধরনের অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি করছে।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিন প্রথম দফার জেরা শেষে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে রাহুল হাসপাতালে যান করোনা সংক্রমিত সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে। ফের যান ইডি দফতরে। শুরু হয় দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদ। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, কংগ্রেসের তরফে যে প্রতিরোধ করা হচ্ছে, এটা দেশের গণতন্ত্র নয়। কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের দু হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাঁচানোর প্রয়াস।

     

  • Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। ইডি সূত্রে খবর, ডেটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, তাঁকে ফের তলব করা হতে পারে। সোমবার রাহুল গান্ধীর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সত্যাগ্রহ মিছিলের আয়োজন করেছিল কংগ্রেস (Congress)। পুলিশ তাদের পথ আগলায় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস ও পুলিশ কর্মীদের বচসার জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি রাজধানীতে। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) এদিন ইডি (ED) দফতরে হাজির হন রাহুল। পায়ে হেঁটেই তিনি পৌঁছান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে। 

    রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ইডি দফতরে হাজির হন রাহুল। ডটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সেল কোম্পানির বিষয়ে রাহুল কিছু জানেন কিনা, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া উত্তরের প্রেক্ষিতেই পরে জেরা করা হবে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। এদিন সকাল থেকেই দিল্লির রাজপথে রাহুলের সমর্থনে স্লোগান দিতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। ঘটনার জেরে কংগ্রেস সদর দফতরের সামনে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী। অশান্তির আঁচ যাতে না লাগে, তাই জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ইডি দফতরেও। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল ইডি অফিস। 

    কংগ্রেসের এই সত্যাগ্রহ মিছিলের অনুমতি না থাকায় পুলিশ একাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। কংগ্রেস সদর দফতরের বাইরে থেকেই প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয় বলেও অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, কংগ্রেস কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করছিলেন। তাঁরা রাহুল গান্ধীর সমর্থনে জড়ো হয়েছিলেন। অধীরের প্রশ্ন, আমরা কী কোনও বেআইনি কাজ করেছি? এদিকে, রাহুলের ইডি দফতরে হাজিরাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের প্রতিবাদ প্রদর্শনকে কংগ্রেসের ‘ভুয়ো সত্যাগ্রহ’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিন সকাল থেকেই কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে গোলমিঠি জংশন, তুঘলক রোড জংশন, মৌলানা আজাদ রোড জংশন, ক্ল্যারিজেস জংশন, কিউ পয়েন্ট জংশন, সুনহেরি মসজিদ জংশন, মান সিং রোড জংশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি বেলা পর্যন্ত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। গোল ডাকখানা জংশন, প্যাটেল চক, উইন্ডসর প্লেস, তিন মূর্তি চক, পৃথ্বীরাজ রোড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাস চলাচল।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও দলের হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধীকে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। ২ জুন রাহুলকে এবং ৮ জুন সোনিয়াকে ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিদেশে থাকায় ওই দিন হাজিরা দিতে পারেননি রাহুল। সেই কারণেই ১৩ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় রাহুলকে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অভিষেক মনু সিংভি লেন, এজেন্সি লাগিয়ে কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে কংগ্রেস।  

     

  • Rahul Gandhi: রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    Rahul Gandhi: রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনে গিয়েছিলেন। অথচ সফরের আগে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক থেকে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ছাড়পত্র (political clearance) নেননি কংগ্রেস (congress) সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্রেই এই দাবি করা হয়েছে। ওই সূত্র জানাচ্ছে, লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের বিদেশের কোনও কর্মসূচি বা অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে বিদেশ মন্ত্রক থেকে রাজনৈতিক ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাহুল সেই নিয়ম না মেনেই চলতি সপ্তাহে লন্ডনে সফরে (London trip) গিয়েছিলেন।

    আইডিয়াস ফর ইন্ডিয়া (Ideas for India) সম্মেলনে যোগ দিতে লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল। সেখানে তিনি তীব্র ভাষায় বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ শানান। পরে বিতর্কিত ব্রিটিশ লেবার পার্টির এক নেতার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাহুল রাজনৈতিক ছাড়পত্র না নিলেও, জাতীয় জনতা দলের আর এক সাংসদ অধ্যাপক মনোজ ঝা, যিনি লন্ডনের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন, তাঁর কাছে রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছিল। রাহুলের একদিন আগেই কেমব্রিজের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন ওই অধ্যাপক।

    অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর ব্রিটেনের লেবার পার্টির প্রাক্তন নেতা জেরেমি করবিনের (Jeremy Corbyn) সঙ্গেও দেখা করেন কংগ্রেস সাংসদ। এই জেরেমি করবিন তাঁর ভারত-বিরোধী (Anti-India), হিন্দুত্ব-বিরোধী (Anti-Hindu) অবস্থানের জন্য পরিচিত। ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস (আইওসি) দ্বারা শেয়ার করা একটি ছবিতে জেরেমি করবিনকে আইওসির চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda) ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পোজ দিতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, জেরেমি করবিনকে তাঁর ‘অর্থবিরোধী’ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য লেবার পার্টির নেতৃত্ব দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। জেরেমি করবিন জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সমর্থকও।  

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রশ্ন, কংগ্রেস নেতা ব্রিটিশ রাজনীতিকের সঙ্গে কী করছেন, যে ব্রিটিশ নেতা প্রকাশ্যে ভারত থেকে কাশ্মীরকে আলাদা করার পক্ষে সওয়াল করেন? বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার প্রশ্ন, জেরেমি করবিনের মতো ভারত-বিরোধী মানুষের সঙ্গে দেখা করা হোক কিংবা ডোকলামের (Doklam) সময় চিনাদের সঙ্গে দেখা করা কেন রাহুল গান্ধীর হাত সবসময় তাঁদের সঙ্গে থাকে, যাঁদের হাত ভারতের বিরুদ্ধে? যদিও কংগ্রেসের বক্তব্য, রাহুলের বিদেশ সফরের জন্য সরকারি অনুমতির কোনও প্রয়োজনই নেই।

     

  • Rahul Gandhi: উদয়পুরে আজ শুরু চিন্তন শিবির, ‘রাহুল ফেরাও’ ডাক দিতে চলেছে কংগ্রেস?

    Rahul Gandhi: উদয়পুরে আজ শুরু চিন্তন শিবির, ‘রাহুল ফেরাও’ ডাক দিতে চলেছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘রাহুল ফেরাও’ স্লোগান উঠল কংগ্রেসে (Congress)! আজ থেকে রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের তিনদিন ব্যাপী চিন্তন শিবির (chintan shivir)। ওই শিবিরেরই সোনিয়ার (Sonia Gandhi) বদলে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) ফেরানোর তোড়জোড় করছেন কংগ্রেস নেতারা।

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, উদয়পুরে চিন্তন শিবির শুরু হবে দলের হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধীর ভাষণ দিয়ে। তার পরেই আলোচনা হবে দলীয় সংগঠন নিয়ে। ২০২৪ দেশে সাধারণ নির্বাচন (2024 Loksabha Elections)। ওই নির্বাচনে বিজেপিকে (BJP) পরাস্ত করতে চিন্তন শিবির থেকেই কোমর কষে নামতে চলেছে সোনিয়া গান্ধীর দল।

    এর আগে সোনিয়ার নেতৃত্বে তিনবার চিন্তন শিবির হয়েছে কংগ্রেসে। ১৯৯৮, ২০০৩ এবং ২০১৩ সালে। এর মধ্যে ২০০৩ সালের চিন্তন শিবিরের পর লাভের কড়ি ঘরে তোলে কংগ্রেস। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের কুর্সিতে ফেরে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় ছিল টানা ১০ বছর।

    ২০১৪ সালের পর থেকে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে হেরে চলেছে কংগ্রেস। বেহাল দলের হাল ফেরাতে দলের সর্বাধিনায়ক করা হয় রাহুল গান্ধীকে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই ভোটে যায় কংগ্রেস। ওই ভোটে গোহারা হয় রাহুলের দল। এরপরেই দলের শীর্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। দলের ভাঙা হাল ধরার দায়িত্ব ফের এসে পড়ে সোনিয়ার (Sonia Gandhi) ঘাড়ে। অন্তবর্তীকালীন প্রসিডেন্ট পদে বসানো হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন : “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    তবে এবারের চিন্তন শিবিরে ফের রাহুল ফের দাবি উঠতে চলেছে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর। এই সূত্রেই এও জানা গিয়েছে, রাহুল স্বয়ং ওই পদে যোগ দিতে রাজি হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও (Adhir Ranjan Chowdhury) বলেন, লোকসভা ভোট বৈতরণী পার হতে দলের হাল ধরা উচিত রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Congress President election) হওয়ার কথা। ওই নির্বাচনেই কংগ্রেস রাহুলকেই ফেরাতে চান স্বপদে। তবে বিষয়টিকে কংগ্রেসের জি-২৩ এর নেতা কীভাবে নেন, সেটাই দেখার। কারণ গান্ধী-মুক্ত কংগ্রেসের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই দলের অন্দরে লড়াই করছেন ওই গোষ্ঠীর নেতারা।

     

  • Rahul Gandhi: ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    Rahul Gandhi: ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) টানা তৃতীয় দিন ইডির (ED) জিজ্ঞাসাবাদের মুখে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সোম, মঙ্গলের পর বুধবারও ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। বুধবার যে তাঁকে ইডি দফতরে ফের হাজিরা দিতে হবে, মঙ্গলবারই জেরা শেষে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। এদিকে, সোমের পর মঙ্গলবারও ওই ঘটনার জেরে কংগ্রেস সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।পুলিশ গিয়ে কয়েকজনকে আটকও করে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুলকে প্রথম তলব করা হয় সোমবার। সেদিন কংগ্রেস সাংসদকে দু দফায় প্রায় ১০ ঘণ্টা জেরা করা হয়। ইডি আধিকারিকরা তার জবাবে সন্তুষ্ট হতে না পেরে মঙ্গলবার ফের তলব করেন তাঁকে। এদিনও গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে রাহুল সটান চলে যান স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে। সেখানেই ভর্তি রয়েছেন করোনা সংক্রমিত সোনিয়া। বুধবার সকালে ফের বোন তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে সঙ্গে নিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে যান রাহুল।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    এদিকে, গত তিনদিন ধরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে লাগাতার বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছেন কংগ্রেস কর্মীরা। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির অভিযোগ, প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণেই হেনস্থা করা হচ্ছে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে। বিপ্রতীপ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জন্য আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের সদর দফতরের সিংহদ্বার। দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল ছাড়া আর কাউকেই বুধবার ঢুকতে দেওয়া হবে না সদর দফতরে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গত ৮ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকেও। বছর পঁচাত্তরের সোনিয়া করোনা সংক্রমিত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। তাই হাজিরার নয়া দিন চাওয়া হয়েছিল সোনিয়ার তরফে। তার পরেই ইডি তাঁকে জানিয়ে দেয় ২৩ জুন কংগ্রেস সভানেত্রীকে উপস্থিত হতে হবে ইডি দফতরে।

     

  • Sonia Gandhi: কোভিড পরবর্তী জটিলতায় গুরুতর অসুস্থ সোনিয়া, মাকে দেখতে হাসপাতালে রাহুল

    Sonia Gandhi: কোভিড পরবর্তী জটিলতায় গুরুতর অসুস্থ সোনিয়া, মাকে দেখতে হাসপাতালে রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড-পরবর্তী  (Post Covid) শারীরিক অসুস্থতা বেড়েছে কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi)। করোনায় (Corona) সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।  তাঁর নাক দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে। পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রে ছত্রাক সংক্রমণও (Fungal infection) রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    এক বিবৃতিতে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, ‘গত ১২ জুন কংগ্রেস সভাপতিকে গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোভিড সংক্রমণের জেরে তাঁর নাক দিয়ে প্রচুর রক্তপাত হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তাঁর শ্বাসযন্ত্রের নিম্নাংশে ছত্রাক সংক্রমণ ঘটেছে। কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে’।

    আরও পড়ুন: ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সোনিয়াকে দেখতে যান রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল প্রায় সারা রাত হাসপাতালে ছিলেন। সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। গত ১ জুন সনিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও অন্য কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। দলনেত্রীর গুরুতর অসুস্থতার খবরে কংগ্রেস কর্মী ও নেতারা উদগ্রীব হয়ে পড়েন৷ তাঁরা সোনিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন৷ 

    আরও পড়ুন: পুলিশের উর্দি ধরে টান রেণুকার! রাহুল ইস্যুতে বিক্ষোভ কংগ্রেসের

    চলতি মাসের আট তারিখ কংগ্রেস সভানেত্রীকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ইডি। কোভিড সংক্রমণের জেরে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি ৭৫ বছর বয়সী সোনিয়া। নতুন করে আগামী ২৩ জুন তাঁকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রাজীব-পত্নী। অন্য দিকে, ইতিমধ্যেই টানা তিন দিন ইডি দফতরে এই মামলায় হাজিরা দিয়েছেন রাহুল। চতুর্থ দফার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার ফের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু মায়ের অসুস্থতার কারণে সময় চেয়েছিলেন রাহুল। সেই আবেদন মেনে সোমবার ফের ডাকা হয়েছে তাঁকে।

LinkedIn
Share