Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • S Jaishankar: লোকসভায় কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    S Jaishankar: লোকসভায় কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনার সময় ব্যাপক হইচই করেন বিরোধীরা। এই সময় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, পাকিস্তান ও চিন একযোগে কাজ করছে। এরই (China Guru) প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসকে নিশানা করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই দুই দেশের মধ্যে বর্তমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণ হল কংগ্রেস জমানায় নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত।”

    ‘চিনা গুরু’ (S Jaishankar)

    প্রাক্তন মন্ত্রী কংগ্রেসের জয়রাম রমেশকে ‘চিনা গুরু’ বলেও কটাক্ষ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “ইউপিএ সরকারই চিনের বিরোধিতা না করে তাকে কৌশলগত অংশীদার করে তুলেছিল।” মন্ত্রী বলেন, “এখানে ‘চিনা গুরু’ রয়েছেন। তাঁদের একজন হলেন আমার সামনে বসে থাকা সদস্য (জয়রাম রমেশ), যিনি চিনের প্রতি এতটাই স্নেহপ্রবণ যে তিনি ‘চিন্ডিয়া’(Chindia) শব্দটির উদ্ভাবন করেছেন। আমি হয়তো চিনের বিষয়ে কম জানি। কারণ আমি অলিম্পিকস দেখে চিনকে চিনিনি। কেউ কেউ অলিম্পিকস সফরের সময় চিনের বিষয়ে তাঁদের জ্ঞান অর্জন করেছেন। চলুন না জেনে নিই, তাঁরা কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন বা কী চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন।” মন্ত্রী বলেন, “তাঁরা চিনা রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকেও বাড়িতে ব্যক্তিগত টিউশন নিতেন। ‘চিনা গুরু’রা বলেন যে পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা তা জানি এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করছি। কিন্তু যদি কেউ বলে এই সম্পর্ক হঠাৎ গড়ে উঠেছে, তাহলে এর মানে তাঁরা ইতিহাস ক্লাসে ঘুমোচ্ছিলেন (S Jaishankar)।”

    কংগ্রেসকে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, সংসদে চলছে বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৬ ঘণ্টা। এই আলোচনায়ই যোগ দিয়ে কংগ্রেস দাবি করেছে, পাকিস্তান ও চিন একটি জোট হিসাবে কাজ করছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কেন্দ্রের কৌশল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। এই অধিবেশনেই রাহুল বলেন, “ভারত মনে করছিল, ওরা শুধু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়ছে (China Guru), কিন্তু বাস্তবে তারা চিনের বিরুদ্ধেও লড়ছিল।” কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সোনিয়া গান্ধীর দলকে একেবারে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

  • EC: রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের, কী বলল ইসি?

    EC: রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের, কী বলল ইসি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর “আমরা তোমাদের জন্য আসছি” মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করল নির্বাচন কমিশন (EC)।  কর্ণাটকের একটি আসনে প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য (Rahul Gandhi) করেছিলেন রাহুল। কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানিয়েছে কমিশন। কমিশন বলেছে, রাহুল গান্ধী একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলার পাশাপাশি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে হুমকিও দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে রাহুল বলেন, “গত বছরের লোকসভা নির্বাচনের সময় কর্ণাটকের একটি আসনে প্রতারণা হতে দিয়েছে কমিশন।”

    কী বলেছিলেন রাহুল (EC)

    কমিশনকে সতর্ক করে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “তোমরা এটা করে পার পেয়ে যাবে না। কারণ আমরা তোমাদের জন্য আসছি।” রাহুলের এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের এক মুখপাত্র প্রশ্ন তোলেন, “এই ধরনের ভিত্তিহীন ও হুমকিমূলক অভিযোগ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে কেন তোলা হচ্ছে, তাও আবার এখন?” তিনি বলেন, “এই মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ ১৯৫১ সালের গণপরিষদ আইনের ৮০ নম্বর ধারা অনুযায়ী তিনি যদি নির্বাচনের ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট হন, তবে তাঁর উচিত ছিল নির্বাচনী আবেদন দায়ের করা অথবা যদি ইতিমধ্যেই দায়ের করে থাকেন, তবে হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করা। অথচ তিনি এর বদলে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন এবং একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে হুমকি দিয়েছেন।”

    ১০০ শতাংশ প্রমাণ

    রাহুল বলেন, “কংগ্রেসের কাছে কংক্রিট ১০০ শতাংশ প্রমাণ রয়েছে যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (EC) সময় দক্ষিণ ভারতের একটি আসনে নির্বাচন কমিশন জালিয়াতি করতে দিয়েছিল এবং তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাটিকে সতর্ক করে বলেন যে, তারা এভাবে পার পাবে না। কারণ আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছি।” নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র বলেন, “কর্নাটকের নির্বাচনী তালিকা নিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একটি আপিলও কোনও জেলাশাসকের কাছে বা রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দায়ের করা হয়নি। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটিই ছিল কংগ্রেসের কাছে একটি বৈধ আইনি পথ।” তিনি জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের অভিযোগ প্রসঙ্গে ১০টি নির্বাচনী আবেদনপত্রের মধ্যে একটি আবেদনও পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থীদের পক্ষ থেকে করা হয়নি। অথচ (EC) জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮০ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটিই ছিল কংগ্রেসের পক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সব চেয়ে বড় সুযোগ। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন ভারতের নির্বাচন কমিশনের মতো কাজ করছে না এবং তাদের দায়িত্ব পালন করছে না (Rahul Gandhi)।

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন

    বিহারে চলছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়া এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের মন্তব্য, “বছরের শেষ দিকে যে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হবে, তা বয়কট করার অপশন খোলা আছে”, সে প্রসঙ্গে রাহুল পার্লামেন্ট ভবন প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, “কংগ্রেসের কাছে ১০০ শতাংশ প্রমাণ আছে যে কর্নাটকের একটি আসনে নির্বাচন কমিশন জালিয়াতি করতে দিয়েছে।” রাহুল বলেন, “৯০ শতাংশ নয়, যখন আমরা এটি আপনাদের সামনে আনব তখন দেখবেন এটি ১০০ শতাংশ প্রমাণ।” লোকসভার বিরোধী দলনেতা এও বলেন, “আমরা কেবলমাত্র একটি আসন দেখেছি এবং তাতেই এটা পেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে আসন থেকে আসনে এই ধরনের নাটকই চলছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে একটা বার্তা দিতে চাই। সেটা হল আপনারা যদি ভাবেন যে আপনারা এভাবে পার পেয়ে যাবেন, যদি আপনার অফিসাররা এমনটা ভাবেন, তবে আপনারা ভুল ভাবছেন। আপনারা পার পাবেন না, কারণ আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি (EC)।”

    বিহার বিধানসভার নির্বাচন

    চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে হতে পারে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। তার আগেই সে রাজ্যে চলছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন। এ প্রসঙ্গে রাহুল নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। এই বলে সতর্কও করে দিয়েছিলেন যে বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনকে এটি থেকে পার পেতে দেবে না। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির দাবি, সংশোধনী প্রক্রিয়াটি নির্বাচনী কারচুপির একটি বৃহত্তর ধরণ।

    কমিশনের নয়া বিবৃতি জারি

    সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন এসআইআর প্রক্রিয়ার পক্ষে একটি নতুন বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, “স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতেই ভোটার তালিকা সংশোধন অপরিহার্য।” কমিশনের প্রশ্ন, “এই ধরণের বিষয়ের ভয়ে এবং এই ধরণের লোকদের দ্বারা (Rahul Gandhi) প্রভাবিত হয়ে কি তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পরিত্যাগ করা উচিত?” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নির্বাচন কমিশনের (EC) কি উচিত হবে সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রথমে বিহারে এবং পরে সারা দেশে মৃত ভোটার, স্থায়ীভাবে অভিবাসী ভোটার, দুটি জায়গায় নিবন্ধিত ভোটার, জাল ভোটার, এমনকি বিদেশি ভোটারদের নামে জালিয়াতি ভোটদানের পথ পরিষ্কার করা?” কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “এটি হল সুষ্ঠু নির্বাচন এবং একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের ভিত্তি।”

  • Assam CM: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের উস্কানি দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী, তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    Assam CM: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের উস্কানি দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী, তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়নে অভিযান চালায় হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার (Assam CM)। সেই অভিযানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন অনুপ্রবেশকারীরা সরকারি আধিকারিকদের উপর হামলা চালায়। এমনকি, এক পর্যায়ে কিছু অভিযুক্ত বাঁশ নিয়ে দৌড়ে পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীদের উপর আক্রমণও করে। এই পরিস্থিতির মধ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান এবং বলেন, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কানি দিচ্ছেন অনুপ্রবেশকারীদের। তাঁর মন্তব্যের কারণেই গোলপাড়ায় হিংসা ছড়ায় এবং পুলিশের গুলিতে একজন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়।

    খোলাখুলি ভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহ দিচ্ছেন রাহুল

    হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam CM) আরও বলেন, রাহুল গান্ধী অসমে এসে খোলাখুলি ভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহ দিচ্ছেন যাতে তারা জবরদখল করা জমি ছাড়তে না চায়। এই উস্কানিমূলক মন্তব্যই উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালে। তিনি জানান, ওই অঞ্চলে উত্তেজিত জনতা পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়, যা সম্পূর্ণভাবে রাহুলের বক্তব্য দ্বারা প্রভাবিত।

    রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে

    প্রসঙ্গত, অসম সফরের (Assam CM) সময় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই দুই নেতা গুয়াহাটিতে কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকের পর ছয়গাঁও শহরে (গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে) এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধী। সেই সভায়ই তিনি অনুপ্রবেশকারীদের উদ্দেশে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Assam CM)। তিনি সামাজিক মাধ্যমে এবং বিভিন্ন বিবৃতিতে বারবার রাহুল গান্ধীকেই পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করেন (Rahul Gandhi)।প্রসঙ্গত, গোলপাড়ায় ১৪৪ একরের ওই বনভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল অনুপ্রবেশকারীরা। বুধবারের ঘটনায় বহু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলারা হাতে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের তাড়া করছে ও পাথর ছুঁড়ছে।

  • Assam Eviction Drive: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ, অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সওয়াল রাহুল গান্ধীর

    Assam Eviction Drive: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ, অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সওয়াল রাহুল গান্ধীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ জুলাই অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে এক অভিযান চালায় অসম সরকার। বুধবারের এই অভিযানের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও মল্লিকার্জুন খাড়গে (Assam Eviction Drive)। এখানেই উঠছে প্রশ্ন—বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশে ফেরত পাঠানোর এমন অভিযানের বিরোধিতা কেন করছেন কংগ্রেস নেতারা?

    অভিযান চালানো হয় গোয়ালপাড়ার পাইকান রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায়

    প্রসঙ্গত, অসম সরকারের এই অভিযান চালানো হয় গোয়ালপাড়ার পাইকান রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায়। ওই বনাঞ্চলে দীর্ঘদিন (Assam Eviction Drive) ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। অভিযান চলাকালীন ব্যাপক অশান্তি ও সংঘর্ষ বাধে। সরকারি আধিকারিকদের উপর অনুপ্রবেশকারীরা পাথর ও বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। তাদের কাছে ধারালো অস্ত্রও ছিল (Assam Eviction Drive)।

    দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল অনুপ্রবেশকারীরা

    পুলিশ প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয় (Assam Eviction Drive)। পরে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়, একজন গুরুতর জখম হন এবং কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক আহত হন। উল্লেখযোগ্য, ১৩ জুলাই থেকেই এই বনাঞ্চল দখলমুক্ত করার অভিযান চালাচ্ছে অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার। ১৪৪ একরের ওই বনভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল অনুপ্রবেশকারীরা। বুধবারের ঘটনায় বহু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলারা হাতে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের তাড়া করছে ও পাথর ছুঁড়ছে।

    ‘তোষণের রাজনীতি’র অংশ? এমন প্রশ্ন উঠছে

    এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “হঠাৎই অতর্কিতে তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করে। চারদিক থেকে পাথর ছুঁড়তে থাকে। আমাদের গুলি চালাতে হয়েছে আত্মরক্ষার (Assam Eviction Drive) জন্য, কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়।” এখন প্রশ্ন উঠছে, অবৈধ বাংলাদেশিদের দ্বারা সংঘটিত এই সহিংসতার পরেও কংগ্রেস কেন তাঁদের পক্ষ নিচ্ছে? এটি কি ‘তোষণের রাজনীতি’র অংশ?

  • BJP: “ফরেন পলিশির ‘এফ’ পর্যন্ত জানেন না রাহুল গান্ধী”, তোপ বিজেপির

    BJP: “ফরেন পলিশির ‘এফ’ পর্যন্ত জানেন না রাহুল গান্ধী”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী অভ্যাসগত মিথ্যেবাদী ও অপরাধী।” বুধবার ঠিক এই ভাষায়ই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র অজয় আলোক চিন প্রসঙ্গে সরকারের ভূমিকা নিয়ে কংগ্রেস নেতার সার্কাস মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন।

    ‘এফ’ পর্যন্ত জানেন না (BJP)

    তিনি বলেন, “বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেও ওই কংগ্রেস নেতা প্রশ্ন তোলেন, অথচ তিনি বিদেশ নীতির (ফরেন পলিশি) এফ পর্যন্ত জানেন না। তবুও বারবার প্রশ্ন তোলেন।” অলোক বলেন, “যখন আমাদের বিদেশমন্ত্রী এসসিও বৈঠকের জন্য চিন যান এবং যদি তিনি চিনের বিদেশমন্ত্রী ও দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ না করেন, তাহলে তিনি কার সঙ্গে দেখা করবেন? ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে?” প্রসঙ্গত, এই ইতালিতেই রাহুলের মামাবাড়ি।

    রাহুল গান্ধীর বিতর্কিত মন্তব্য

    জয়শঙ্করের চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভারত ও চিন সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত করার একটি সংবাদ প্রতিবেদন ট্যাগ করে রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার বলেন, “বিদেশমন্ত্রী ভারতের বিদেশনীতি ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে একটি পুরোপুরি সার্কাস চালাচ্ছেন।”

    প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় মানহানির মামলা। লখনউ আদালত তাঁকে জামিনও দেন। এর ঠিক দু’দিন পরেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে “অভ্যাসগত মিথ্যেবাদী ও অপরাধী” বলে দেগে দিলেন অলোক (BJP)। তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী প্রায়ই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে থাকেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি রাহুলের মন্তব্যটি তুলে ধরেন। বলেন, খুনের দালালি এবং চিনারা আমাদের সৈন্যদের পেটাচ্ছে।” এসবের মাধ্যমে তিনি সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন বলে দাবি ওই বিজেপি নেতার।

    সংবিধানের প্রস্তাবনায় জরুরি অবস্থার সময় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটো সংযোজন নিয়ে আরএসএস পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানোর প্রেক্ষিতে অলোক বলেন, “এই বিষয়টি দেশে অবশ্যই বিতর্কের বিষয় হওয়া উচিত। কারণ সংশোধনটি বিআর আম্বেদকরের জন্য একটি অপমান ছিল এবং সেই সময় বিরোধী নেতারা জেলে ছিলেন (BJP)।”

  • PM Modi: জাতীয় নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি ৮৮ শতাংশ আস্থা, রাহুলের মত প্রত্যখ্যান

    PM Modi: জাতীয় নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি ৮৮ শতাংশ আস্থা, রাহুলের মত প্রত্যখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সুদৃঢ়, এমনটাই বিশ্বাস করে দেশের ৮৮ শতাংশ মানুষ। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এ বিষয়ে জনগণের আস্থা প্রকাশ পেয়েছে। ২০২৫ সালের ৬ ও ৭ মে অনুষ্ঠিত এক সমীক্ষায় ১৪,৬৭১ জন অংশগ্রহণকারী অংশ নেন, যাদের মধ্যে ৮৮.০৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন।

    মোদির প্রতি আস্থা

    এই সমীক্ষার পটভূমি ছিল ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হন। এই হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী আস্তানায় আঘাত হানে। প্রধানমন্ত্রী মোদি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন যে, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া যথাযথভাবে দেবে। দেশের নিরাপত্তার খাতিরে যুদ্ধপদ্ধতি নির্ধারণ করবে সশস্ত্র বাহিনী। এই সমীক্ষা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতকে সপাটে বাউন্ডারির বাইরে পঠিয়ে দিয়েছে।

    রাহুলের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) বিরুদ্ধে ‘নরেন্দ্র সারেন্ডার’ মন্তব্য করেন, যা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তবে, সমীক্ষায় ৮৭.৫৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এই মন্তব্যকে অশোভনীয় বলে অভিহিত করেন, যা রাহুলের বক্তব্যের প্রতি জনমতের অবজ্ঞা প্রকাশ করে। ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেনজির কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শুরুর দিকে অপারেশন সিঁদুর ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে থাকলেও ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পর থেকেই সুর বদলেছেন রাহুল। রাহুলের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুদ্ধে এগিয়ে থেকেও একপ্রকার আত্মসমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জনমত মোদির সঙ্গে

    রাহুলের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিজেপি। দলের এক মুখপাত্র বললেন, “মনে হচ্ছে রাহুল গান্ধী দেশের বিরোধী দলনেতা নন। উনি আইএসআইয়ের সদস্য। পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন।” বিজেপির অভিযোগ, রাহুল যেভাবে রাজনীতির স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন, সেই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারে ভারত বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক সমীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রী মোদির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান এবং জনগণের আস্থার প্রতিফলন। এটি মোদি সরকারের রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করে।

  • Fadnavis: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে,” রাহুলের খোঁচার জবাবে বললেন ফড়নবীশ

    Fadnavis: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে,” রাহুলের খোঁচার জবাবে বললেন ফড়নবীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যে জনতার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়, সেই জনগণের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে এ কথাই বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Fadnavis)। গত বছর হয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। সম্প্রতি এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল। এই নির্বাচনে বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত জোট ২৮৮টির মধ্যে ২৩৫টি আসনে জয়ী হয়। মুখ থুবড়ে পড়ে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা গোষ্ঠী এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপি নিয়ে গঠিত মহা বিকাশ আগাড়ি জোট। ওই নির্বাচনে বিজেপি একাই ১৩২টি আসনে জয়ী হয়।

    রাহুলের অভিযোগ (Fadnavis)

    রাহুল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “নির্বাচনে কারচুপি করার প্রথম ধাপ হল নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্যানেলে জালিয়াতি করা। দ্বিতীয়ত, ভোটার লিস্টে ভুয়ো ভোটার প্রবেশ করানো। তৃতীয়ত, ভোটের হার বেশি করে দেখানো। চতুর্থত, বিজেপি যেখানে জিততে চায়, সেখানে বেশি করে জালিয়াতির জাল বিস্তার করা। পঞ্চমত, প্রমাণ গোপন করা।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “রিগিং একটি ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের মতো — যারা ফিক্স করে তারা হয়তো একটি খেলা জিততে পারে, কিন্তু এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর ও জনগণের ফলাফলের প্রতি আস্থা চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়।” তিনি বলেন, “ম্যাচ-ফিক্সড নির্বাচন যে কোনও গণতন্ত্রের পক্ষে বিষের মতো।” রাহুল গান্ধীর পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর, নির্বাচন কমিশন এ বছরের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত একটি নথি পুনরায় প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়, তাঁর অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ অবাস্তব (Fadnavis)।

    ইভিএমের দোষ!

    ফড়নবীশ রাহুলের মন্তব্যের জবাবে বলেন, “যদি আপনি মানুষকে বোঝাতে না পারেন, তাহলে তাঁদের বিভ্রান্ত করুন—এই নীতিই রাহুল গান্ধী গ্রহণ করেছেন।” তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ইভিএমের দোষ দিয়ে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর গণতন্ত্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তিনি বলেন, “এখন মহারাষ্ট্রে প্রতিটি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর অভ্যাস হয়ে গিয়েছে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলা। ইভিএম নিয়ে সব মামলাই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী এমন একজন নেতা যিনি পরাজয় মেনে নিতে পারেন না।” তাঁর প্রশ্ন, “যেসব নির্বাচনে কংগ্রেস সরকার জেতে, সেই সব ইভিএম কি ঠিক (Rahul Gandhi)?” তিনি বলেন, “জনগণের রায়কে সম্মান করুন (Fadnavis)।”

  • BJP: “তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের পেইড এজেন্ট?” রাহুলের ‘সারেন্ডার’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    BJP: “তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের পেইড এজেন্ট?” রাহুলের ‘সারেন্ডার’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যেভাবে কথা বলছেন, যেভাবে বারবার প্রশ্ন তুলছেন, তাতে আমি নিশ্চিতভাবে সন্দেহ করছি – তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের কোনও পেইড এজেন্ট?” মঙ্গলবার এমনই প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র তথা সাংসদ সম্বিত পাত্র। সম্প্রতি রাহুল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব ও অপারেশন সিঁদুরের পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সম্বিত। ভারত-বিরোধী মনোভাব প্রচারের অভিযোগে রাহুলকে কাঠগড়ায়ও তোলেন তিনি।

    রাহুল গান্ধীর অভিযোগ (BJP)

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের একটি সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল অভিযোগ করেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার সময় মোদি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ফোনকলের পর আত্মসমর্পণ করেন।’ তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রবল প্রতিক্রিয়া জানায় বিজেপি। সম্বিত বলেন, “রাহুল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমান করছেন এবং একটি সফল সামরিক অভিযানের গুরুত্ব খাটো করছেন।” তাঁর দাবি, রাহুল কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে ভারত মাতার অবমাননা করছেন। তিনি যা বলছেন, তাতে দেশের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, গান্ধী এবং তাঁর পরিবারকে ডোকলাম ইস্যুতে ভারত-চিন অচলাবস্থার সময় চিনা তাঁবুর নীচে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধরা হয়েছিল।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    রাহুলের ‘আত্মসমর্পণ’ শব্দ ব্যবহারের প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সম্বিত বলেন, “নিজ দেশের বিষয়ে কথা বলার সময় কোনও সভ্য রাজনীতিবিদ বা বিরোধী দলনেতা কখনও আত্মসমর্পণ শব্দটি ব্যবহার করেন না। যিনি জন্মভূমির জন্য এমন শব্দ ব্যবহার করেন, তিনি রাজনীতির উপযুক্ত নন।” তিনি জানান (BJP), ২১ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়া হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে, যার ফলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ৯টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড এবং ১১টি এয়ার বেস ধ্বংস করা হয়। সম্বিত বলেন, “তা সত্ত্বেও রাহুল গান্ধী ‘ভারতবর্ষ’কে আত্মসমর্পণকারী বলে উল্লেখ করেছেন এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে উপহাস করেছেন।” তিনি বলেন, “ভারত কখনওই আত্মসমর্পণ করে না, ভারতবর্ষ কখনও সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করেনি (Rahul Gandhi)।”

    শেহজাদ পুনাওয়ালার বক্তব্য

    সম্বিত বলেন, “আগের ইউপিএ সরকার পাকিস্তানের প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করত। সেই সময় ছিল যখন আপনারা (কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার) শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে ‘ডসিয়ার-ডসিয়ার’ খেলতেন। এখন আর ডসিয়ার নয়, শুধু ‘ডোজ’ দেওয়া হয়।” রাহুলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির আর এক মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। তিনি বলেন, “তিনি (রাহুল গান্ধী) পাকিস্তানি প্রচারের নেতা। রাহুল ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন যে ‘লিডার অফ অপজিশন’ শব্দের মানে এখন পাকিস্তানি প্রচারের নেতা।” পুনাওয়াল্লা বলেন, “যে ধরনের প্রচার পাকিস্তানও করতে পারেনি, তা এখন করছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধীর বিদেশি জিনিসের প্রতি বিশেষ আসক্তি – সেটা প্রোপাগান্ডা হোক বা কোনও নেতা।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিদেশি মধ্যস্থতার দাবি খারিজ করে দিয়ে পুনাওয়ালা রাহুলকে তাঁর নিজের দলের প্রবীণ নেতাদের কথা শোনার আহ্বান জানান (BJP)।

    শশী, মনীশ, সলমনের কথা তো বিশ্বাস করুন!

    তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস যা বলেছেন, বিদেশ মন্ত্রণালয় যা বলেছে — অন্তত (Rahul Gandhi) সেটুকু তো বিশ্বাস করুন। যদি তাঁদের না-ই বিশ্বাস করেন, তাহলে অন্তত শশী (থারুর), মনীশ (তেওয়ারি) আর সলমন (খুরশিদ) যাঁরা বলেছেন যে কোনও মধ্যস্থতা হয়নি, ভারত ফোন করেনি, বরং পাকিস্তানের ডিজিএমও-ই ভারতের কাছে পৌঁছেছিল — অন্তত তাদের কথা শুনুন।’’ তাঁর দাবি, পাকিস্তান ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ তারা ভারতের কাছে ‘পরাজিত’ হয়েছে এবং এখন তারা ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আবেদন জানাচ্ছে।

    চিফ অফ ডিফেন্সের বক্তব্য

    সম্প্রতি চিফ অফ ডিফেন্স অনিল চৌহান বলেছিলেন, “যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতিটা আসল নয়। আসল হল, লক্ষ্যপূরণ হয়েছে কি না।” তিনি জানান, ভারতীয় সেনা প্রাথমিক ত্রুটি শুধরে নিয়ে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সমর্থ হয়। কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, পাক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাফালের মতো যুদ্ধ বিমানও (BJP)।

    চৌহান এমনতর দাবি করলেও, রাহুল ধারাবাহিকভাবে সরকারের সাফল্যের দাবিকে একের পর এক প্রশ্ন তুলে বিদ্ধ করে গিয়েছেন। বিরোধী নেতাদের মধ্যে এই ব্যাপারে কংগ্রেস নেতা ব্যতিক্রম। তিনিই একমাত্র সেনার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জানতে চেয়েছেন। ফলে সরকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ (Rahul Gandhi) অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছে। সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়ে তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেন (BJP)।

  • National Herald Case: সোনিয়া-রাহুলের অনুরোধে তাঁদের সংস্থায় মোটা অঙ্কের অনুদান কংগ্রেস নেতাদের!

    National Herald Case: সোনিয়া-রাহুলের অনুরোধে তাঁদের সংস্থায় মোটা অঙ্কের অনুদান কংগ্রেস নেতাদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্ত (National Herald Case) করতে গিয়ে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল ইডির (ED) হাতে। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর অনুরোধে তাঁদের সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান্সে মোটা অঙ্কের অনুদান দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।

    লাখ লাখ টাকা অনুদান (National Herald Case)

    ইডির দাবি, রাহুল গান্ধীর সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান্সে গান্ধীদের অনুরোধেই লাখ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা। এই ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের সংস্থাটিই বর্তমানে ন্যাশনাল হেরাল্ড চালায়। এই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক রাহুল ও সোনিয়া। বাকি দুই শেয়ার হোল্ডার হলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ এবং মতিলাল ভোরা। এই সংস্থাই ২০১১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ এবং নবজীবন – এই তিনটি সংবাদপত্র অধিগ্রহণ করে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কাছ থেকে। ইডির দাবি, ঘুরপথে মাত্র ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছে গান্ধীদের পরিচালিত ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারি

    আদালতে ইডির অভিযোগ, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ১৪২ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত ৭৫১.৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার আগে পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন সোনিয়া, রাহুল। ইডির দাবি, সংস্থাটি (National Herald Case) যাতে আড়ে-বহরে বেড়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করতে রাহুল ও সোনিয়া বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের ওই সংস্থায় অনুদান দেওয়ার অনুরোধ জানান। গান্ধী পরিবারকে খুশি করতে বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা লাখ লাখ টাকা অনুদান দেন। এই তালিকায় রয়েছেন কর্নাটকের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, তেলঙ্গনার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি-সহ বিভিন্ন রাজ্যের নেতা। ছোটবড় বহু কংগ্রেস নেতা গান্ধী পরিবারের ওই সংস্থায় মোটা টাকা অনুদান দেন। ২০২২ সালেও ওই সংস্থা বিপুল পরিমাণ অনুদান পেয়েছিল। ইডি (ED) এমনতর দাবি করলেও, এ ব্যাপারে অবশ্য কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি (National Herald Case)।

  • Mossad: বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী? দাবি মোসাদের

    Mossad: বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী? দাবি মোসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় হাল ফিরেছে ভারতের অর্থনীতির। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের স্থান এখন পাঁচ নম্বরে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কীভাবে ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, তা ফাঁস করেছে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ (Mossad)। এই মোসাদ রাহুল এবং কংগ্রেসের ওভারসিজ নেতা স্যাম পিত্রোদার ওপর গোপনে নজরদারি অভিযান চালায় বলে অভিযোগ। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে এই অভিযান শুরু হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় বিরোধী দলীয় নেতাদের বিতর্কিত আমেরিকান শর্ট-সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের সঙ্গে সম্ভাব্য যোগসূত্র খুঁজে বের করা।

    স্পুটনিকের খবর (Mossad)

    রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কর্পোরেট জালিয়াতির অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই মোসাদ এই বিষয়ে জড়িয়ে পড়ে। এই প্রতিবেদনের প্রভাবে আদানি গ্রুপের বাজার মূল্য প্রায় ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে যায়। বড়সড় ধস নামে ভারতের শেয়ার বাজারে।

    হাইফা বন্দরের শেয়ার

    ওই সময় আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন (এপিএসইজেড) ইজরায়েলের কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাইফা বন্দরের অধিকাংশ শেয়ার কেনার জন্য ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি চূড়ান্ত করেছিল। ১৮ মাসের প্রতিযোগিতামূলক দরাদরির পর সম্পন্ন হয় চুক্তি। এই চুক্তিকে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (আইএমইইসি) প্রকল্পের মূল স্তম্ভ হিসেবে দেখা হচ্ছিল (Rahul Gandhi)।

    নেতানিয়াহুর প্রশ্ন

    হাইফা বন্দর অধিগ্রহণের সভায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানিকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “হিন্ডেনবার্গের এই প্রতিবেদনটি আপনার ব্যবসার জন্য একটি বড় হুমকি, তাই না?” আদানি সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন, “একেবারেই না। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা (Mossad)।”
    তবে নেতানিয়াহুকে অপ্রতিভ দেখাচ্ছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি বলেছিলেন, “আপনি যদি কোনও হুমকি না-ও দেখেন, আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। এটি আপনাকে দুর্বল করলে শুধু এই বন্দর চুক্তিই নয়, ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্ক আমরা গড়ে তুলেছি, তা নষ্ট হতে পারে।” হিন্ডেনবার্গের অভিযোগগুলিকে ইজরায়েলের স্বার্থের বিরুদ্ধে পরোক্ষ আক্রমণ বলে উল্লেখ করে নেতানিয়াহু আদানিকে আশ্বস্ত করেন, “ইজরায়েল তার বন্ধুদের রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এটি খতিয়ে দেখব।” এর পরেই আদানির অজান্তেই নেতানিয়াহু মোসাদকে সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেন।

    অপারেশন জেপেলিন

    স্পুটনিকের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে চালু হয় অপারেশন জেপেলিন। এটি একটি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহমূলক উদ্যোগ, যা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট ও তার পরবর্তী প্রভাব পরিকল্পনা বা সমর্থনকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। মোসাদের দুটি এলিট ইউনিট – টজমেট এবং কেশেত তৎপরতা শুরু করে। তাদের মিশন ছিল প্রতিবেদনের উৎস ও পৃষ্ঠপোষকদের শনাক্ত করা, যাকে কেবল একটি কর্পোরেট আক্রমণ নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভারত-ইসরায়েলি জোটের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে ভূ-অর্থনৈতিক আক্রমণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় (Mossad)।

    মোসাদের দাবি

    হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন ও তাঁর নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক অফিসকে নজরদারির আওতায় আনা হয়। মোসাদের দাবি, এই ষড়যন্ত্রে অ্যাক্টিভিস্ট ল’ইয়ার, সিমপ্যাথেটিক মিডিয়া আউটলেট, হেজ ফান্ড এবং হাইপ্রোফাইল রাজনৈতিক নেতারা জড়িত রয়েছেন। তাদের আরও দাবি, এই ব্যক্তিদের একটি বড় অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন, ডিপ স্টেট এবং জর্জ সরোসের সঙ্গে যুক্ত।মোসাদের তদন্তের অভিমুখ শীঘ্রই ঘুরে যায় ভারতের বিশিষ্ট বিরোধী নেতাদের দিকে, যার মধ্যে রয়েছেন রাহুল গান্ধী ও স্যাম পিত্রোদা। স্পুটনিকের দাবি, পিত্রোদার আমেরিকা-ভিত্তিক বাড়ির সার্ভার থেকে পাওয়া এনক্রিপ্টেড তথ্য থেকে গোপন যোগাযোগ ও ব্যাকচ্যানেল আলোচনার প্রমাণ মিলেছে, যা তাঁদের হিন্ডেনবার্গ ও এর গ্লোবাল সমর্থকদের সঙ্গে যুক্ত করছে।

    ‘বিটার ডাইনাস্ট’

    এই দাবি অনুযায়ী, মোসাদের অভ্যন্তরীণ নথিতে যাকে ‘বিটার ডাইনাস্ট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই রাহুল গান্ধী আদানি গোষ্ঠী ও মোদি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে হিন্ডেনবার্গের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় সাধন করছিলেন। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মে মাসে রাহুল ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালো অল্টোয় ছিলেন, যেখানে তিনি হিন্ডেনবার্গ অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন। অন্যদিকে, ব্লিৎসের তদন্ত রিপোর্ট বলছে, নিউ ইয়র্কে নাথান অ্যান্ডারসনের সঙ্গে রাহুলের গোপন বৈঠকও হয়েছে (Mossad)।

    যদিও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস হিন্ডেনবার্গ, সোরোস বা কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে। তাদের সাফ কথা, এই অভিযোগগুলি হিন্ডেনবার্গ প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু থেকে মনোযোগ সরাতে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিজের দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যতই মহৎ হোক না কেন, কখনওই ন্যায্য হতে পারে না। মোসাদের ‘অপারেশন জেপেলিনে’ প্রকাশিত তথ্য যদি সত্যি হয়, তাহলে রাহুল গান্ধীর বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ – যার মধ্যে রয়েছেন ডিপ স্টেটের (Rahul Gandhi) এজেন্টরা, জর্জ সরোস এবং অন্যান্য ভারত-বিরোধী নেটওয়ার্ক –রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে (Mossad)।

LinkedIn
Share