Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • Lok Sabha Election 2024: “ভোট শুরু হতেই আম্বানি-আদানি নিয়ে চুপ কেন?” রাহুলকে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    Lok Sabha Election 2024: “ভোট শুরু হতেই আম্বানি-আদানি নিয়ে চুপ কেন?” রাহুলকে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের দুই প্রধান শিল্পপতি আম্বানি-আদানিকে নিয়ে লাগাতার বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস (Congress)। তেলঙ্গানায় নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে গিয়ে এবার সেই আম্বানি-আদানিকে নিয়েই কংগ্রেসকে পাল্টা আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যে অস্ত্রে এত দিন রাহুল গান্ধীরা তাঁকে আক্রমণ করেছেন এ বার সেই অস্ত্রের অভিমুখ সুকৌশলে ঘুরিয়ে দিলেন মোদি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বুধবার তেলঙ্গানার একটি জনসভায় (Lok Sabha Election 2024) যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘পাঁচ বছর ধরে কংগ্রেসের শাহজাদা একটাই কথা বলেন। রাফায়েল নিয়ে যখন কিছু হয়নি, তখন নতুন মন্ত্র পড়তে শুরু করেন তিনি। ব্যবসায়ীদের নাম নিয়ে আক্রমণ করতেন। ধীরে ধীরে তিনি এখন আর আম্বানি-আদানিদের নাম নেন না। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাহুল তাঁদের নিয়ে আর কোনও কথা বলছেন না। আম্বানি এবং আদানিকে নিয়ে বাজে কথা বলাও বন্ধ করেছেন। আমি তেলঙ্গানার মাটি থেকে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করছি, শাহজাদা বলুক এই নির্বাচনে আম্বানি-আদানির কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছেন? কত বস্তা কালো টাকা পৌঁছেছে? টেম্পো ভর্তি টাকা এসেছে? কী চুক্তি হয়েছে যে রাতারাতি অম্বানী-আদানিকে গালি দেওয়া বন্ধ করে দিলেন। নিশ্চয় ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। ৫ বছর ধরে গালাগালি দিয়ে হঠাৎ রাতারাতি গালি দেওয়া বন্ধ করে দিলেন,  এর অর্থ চুরির টাকা টেম্পো ভর্তি করে আপনাদের কাছে এসেছে। এর জবাব দিতেই হবে।”

    রাহুলকে নিশানা

    উল্লেখ্য, বার বার মোদি (PM Modi) সরকারের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পপতিদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন রাহুল। সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সংসদেও। তা নিয়েই এবার কংগ্রেস নেতার দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির আক্রমণকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন দেশের রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের যুক্তি, কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গানা সরকার সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে ১২,৪০০ কোটির বিনিয়োগ নিয়ে মউ স্বাক্ষর করেছে। এর ফলেই কি চুপ করে গিয়েছেন রাহুল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rahul Gandhi: “কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বদলে দেবে রাম মন্দিরের রায়” দাবি আচার্যের

    Rahul Gandhi: “কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বদলে দেবে রাম মন্দিরের রায়” দাবি আচার্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram mandir Ayodhya) রায় বদলে ফেলতে চান রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণণ। আচার্য প্রমোদ (Acharya Pramod Krishnam) আগে কংগ্রেসে ছিলেন। তাঁর দাবি তাঁর কাছে রাহুলের হাড়ির খবর আছে। বহিষ্কৃত এই কংগ্রেস (Congress) নেতার দাবি, “রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের রাম মন্দিরের রায় বাতিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং তিনি একটি সুপার পাওয়ার কমিশন গঠনের মাধ্যমে রাম মন্দিরের রায় বদলে ফেলতে চান। ঠিক যেমন তাঁর পিতা শাহ বানো মামলার রায় বদলে দিয়েছিলেন।”

     রাম মন্দিরের রায়কে উল্টে দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা

    সংবাদ সংস্থা এনআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণণ বলেন, “কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে সুপ্রিম কোর্টের রাম মন্দিরের রায়কে বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।” আচার্যের দাবি, “রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং তাঁর আমেরিকায় বসবাসরত ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে তারা সুপার পাওয়ার কমিশন গঠন করে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণের রায়কে উল্টে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।  ঠিক যেভাবে তার পিতা প্রয়াত রাজীব গান্ধি শাহবানো মামলার শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে উল্টে দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনই পরিকল্পনা করেছেন রাহুল। কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে রাম মন্দিরকে সুপার পাওয়ার কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রথমে অবৈধ ঘোষণা ও পরে ধ্বংস করার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে।”

    “ক্ষমতায় এলেই এক দেশ, এক নির্বাচন চালু করবে এনডিএ”, আশ্বাস রাজনাথের

    শাহ বানো মামলার প্রসঙ্গ 

    প্রসঙ্গত ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট ইন্দোরের একজন মুসলিম মহিলা শাহবানোর পক্ষে রায় দিয়েছিল, যিনি বিবাহ বিচ্ছেদের পর তাঁর স্বামীর কাছ থেকে ভরণ-পোষণ চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজীব গান্ধীর (Rajiv Gandhi) নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার মুসলিম ভোট ব্যাংকের কথা মাথায় রেখে একটি আইনের মাধ্যমে সেই রায়কে বাতিল করে দেন। বিজেপি বরাবর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগ এনেছে। এদিন সাক্ষাৎকার পর্বে চলাকালীন রাধিকা খেড়ার কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণণ দাবি করেন, “৪ জুনের মধ্যে অনেক রাম ভক্ত, সনাতনী এবং দেশপ্রেমিক মানুষ কংগ্রেস ত্যাগ করবেন। কারণ তাঁরা ওই দলে থাকতে পারবেন না। এই মুহূর্তে একটি দীর্ঘতালিকা রয়েছে, যারা ৪ জুনের মধ্যে দল ছাড়তে প্রস্তুত। কারণ যারা দেশের কথা বলে তাঁরা কংগ্রেসে থাকতে পারবে না। যারা পাকিস্তানের গান গায়, তাঁরাই কংগ্রেসে থাকবে, এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণণ। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)  প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন ইমরান খানের সরকারের ক্যাবিনেটে থাকা পাকিস্তানি মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajnath Singh: “আগুন নিয়ে খেলছে কংগ্রেস”, বিস্ফোরক রাজনাথ

    Rajnath Singh: “আগুন নিয়ে খেলছে কংগ্রেস”, বিস্ফোরক রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগুন নিয়ে খেলছে কংগ্রেস। নির্বাচনে লাভের কড়ি ঘরে তুলতে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে তারা।” রবিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। তবে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর কোনও ‘আগুন’ নেই বলেও মনে করেন তিনি।

    উত্তেজনার সৃষ্টি করতে চাইছে কংগ্রেস! (Rajnath Singh)

    রাজনাথ বলেন, “নির্বাচনে ফয়দা তুলতে কংগ্রেস ধর্মীয় লাইনে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে চাইছে। কংগ্রেস সামাজিক ঐক্য বিঘ্নিত করতে চায়। তারা মুসলমান সম্প্রদায়কে দেখে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে। তাদের জন্য আমার একটা সাজেশন রয়েছে, সেটা হল কেবল সরকার গড়তেই রাজনীতি করা উচিত নয়। রাজনীতির লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশ গঠন।” এর পরেই কংগ্রসের প্রাক্তন সভাপতিকে নিশানা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “রাহুল গান্ধীর কোনও আগুন নেই, তবে কংগ্রেস আগুন নিয়ে খেলছে। কংগ্রেস একটা ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চাইছে। তারা হিন্দু-মুসলমান তাস খেলতে চাইছে।” তিনি বলেন, “ওদের (কংগ্রেসের) কোনও ইস্যু নেই। ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণির ভিত্তিতে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে সরকার গড়তে চাইছে। তারা চিরকাল এটাই করে এসেছে।”

    উত্তরাধিকার ট্যাক্স!

    ক্ষমতায় এলে আমেরিকার ধাঁচে কংগ্রেস যে এ দেশেও উত্তরাধিকার ট্যাক্স চালু করবে, এদিন সেই বিষয়টিকেও হাতিয়ার করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। বলেন, “আর্জেন্টিনা এবং ভেনেজুয়েলা এটা (উত্তরাধিকার ট্যাক্স) চালু করেছিল। দুই দেশই ভয়ঙ্কর পরিণতির সম্মুখীন হয়েছিল। এটা চালু হলে লগ্নিকারীরা ভারতে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবেন।”

    আরও পড়ুুন: বায়ুসেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলা, ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ জওয়ান

    চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিই যে ক্ষমতায় ফিরছে, এদিন সে প্রত্যয়ও শোনা গিয়েছে রাজনাথের গলায়। তিনি বলেন, “বিজেপি একাই ৩৭০টি আসনে জিতবে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৪০০ আসনের গণ্ডি ছাড়াবে।” তিনি জানান, এই যে আসন বিজেপি জিতবে বলা হচ্ছে, তা মানুষের মুখের কথায় বিশ্বাস করে বলা হচ্ছে না, তৃণমূলস্তরে সমীক্ষা চালিয়েই এই দাবি করা হচ্ছে। রাজনাথ বলেন, “উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও আমাদের আসন বাড়বে। তামিলনাড়ুতেও আমরা কিছু আসন পাব। কেরলে এবার আমরা খাতা খুলব। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গনায়ও আমরা ভালো সংখ্যক আসন পাব (Rajnath Singh)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rahul Gandhi: রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক! প্রশ্ন তুলে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অভিযোগ দায়ের

    Rahul Gandhi: রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক! প্রশ্ন তুলে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অভিযোগ দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়বরেলি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), ঠিক এই আবহে তাঁর নমিনেশন বাতিলের দাবি তুললেন অনিরুদ্ধ প্রতাপ সিং নামে এক ব্যক্তি। জনৈক ওই ব্যক্তি রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন! তাঁর দাবি রাহুল গান্ধীর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব রয়েছে। তাহলে তিনি ভারতে নির্বাচনের লড়ছেন কী হিসেবে? এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগও দায়ের করেছেন অনিরুদ্ধ প্রতাপ সিং।

    গুজরাটের আদালতের সাজা ঘোষণা

    এর পাশাপাশি ওই অভিযোগে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) মোদি পদবী নিয়ে অপমানজনক মন্তব্যের কারণে ২ বছরের কারাবাসের সাজার কথাও তুলে ধরা হয়ছে। উল্লেখ্য, সাজা প্রাপ্ত কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। প্রসঙ্গত, বছর কয়েক আগেই রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন এক জনসভায়, ‘‘সব চোরেদের পদবী কেন মোদি হয়?’’ সে সময় এ নিয়ে মামলা দায়ের করেন তেলি সমাজের পক্ষ থেকে প্রহ্লাদ মোদি। গুজরাটের আদালত এই মামলায় রাহুল গান্ধীকে দু বছরের সাজা ঘোষণা করে। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্ট সাজাতে স্থগিতাদেশ দেয়।

    কী বলছেন মামলাকারীর আইনজীবী? 

    এনিয়ে অভিযোগকারীর আইনজীবী অশোক পাণ্ডে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন, “প্রথমত, রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে উনি নির্বাচনে লড়ার অযোগ্য। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে, কিন্তু আফজল আনসারির মতো নির্বাচনে লড়াইয়ের অনুমতি দেয়নি। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) উচিত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো।” তিনি আরও বলেন, “২০০৬ সালে রাহুল গান্ধী একবার নিজেই বলেছিলেন, তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। ব্রিটিশ নাগরিক হয়ে উনি কীভাবে ভারতের নির্বাচনে লড়ছে? আমার অভিযোগ জানানোর পরই রাহুল গান্ধীর প্রতিনিধিকেও ডাকা হয়। আমার অভিযোগ গৃহীত হয়েছে।” কেরালার ওয়েনাড়ে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেই আসনে ভোট মিটেছে ২৬ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান চায় রাহুল প্রধানমন্ত্রী হোন”, তোপ মোদির

    PM Modi: “পাকিস্তান চায় রাহুল প্রধানমন্ত্রী হোন”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শান্তির আশায় পাকিস্তানকে প্রেমপত্র পাঠাত কংগ্রেস। কিন্তু সেই সব চিঠির প্রেক্ষিতে আরও বেশি করে জঙ্গি পাঠাত ভারতের প্রতিবেশী দেশটি।” শনিবার ঝাড়খণ্ডের পালামৌয়ের নির্বাচনী জনসভায় এই ভাষায়ই কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠিত হওয়ার পর সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে পাকিস্তানের প্রতি যে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী বদলেছে, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রীর মোক্ষম বাণ (PM Modi)

    এর পরেই মোক্ষম বাণটি নিক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “এই লোকসভা নির্বাচনে জিতে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে আশা করছেন পাকিস্তানি নেতারা। এক সময় নিরীহ পর্যটককে খুন করত সন্ত্রাসবাদীরা। তার পরেও সরকার পাকিস্তানকে প্রায়ই প্রেমপত্র পাঠাত। তার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান আরও বেশি করে জঙ্গি পাঠাত। কিন্তু আপনাদের মূল্যবান একটি ভোটের শক্তিতে আমি বললাম, ঢের হয়েছে। আজকের নয়া ভারত আর কোনও দলিল পাঠাবে না পাকিস্তানকে। এই হল নয়া ভারত – ‘ঘর মে ঘুষ কে মারতা হ্যায়’ (ঘরে ঢুকে গিয়ে মারছে)।” তিনি (PM Modi) বলেন, “একটা সময় ছিল যখন বিহার ও ঝাড়খণ্ডের লোকজন আমাদের দেশকে রক্ষা করতে যেতেন। সীমান্তে তাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিতেন। এ ছবি প্রায় প্রতি মাসেরই ছিল। কংগ্রেসের ভীরু সরকার গোটা বিশ্বে এনিয়ে কান্নাকাটি করত।”

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে কানাডায় ধৃত ৩ শিখ, নেপথ্যে বিষ্ণোই গ্যাং?

    দুই স্ট্রাইকের ‘গল্প’

    প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তৃতায় অনিবার্যভাবে উঠে আসে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট স্ট্রাইকের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট স্ট্রাইক পাকিস্তানকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এখন পাকিস্তান বিশ্বের দরবারে গিয়ে কাঁদছে আর বলছে, বাঁচাও, বাঁচাও। তাই পাকিস্তানের নেতারা প্রার্থনা করছেন যাতে কংগ্রেসের শাহাজাদা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু শক্তিশালী ভারত এখন একটা শক্তিশালী সরকার চায়।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের মন্ত্রী ফুয়াদ চৌধুরী রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করছেন এই বলে যে তাঁর মধ্যে সোশ্যালিস্টিক ইডিওলজি রয়েছে।” এদিনের জনসভায় ফুয়াদের এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে যে নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদের অবসান হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: “শীর্ষ পদে পৌঁছানোর আগে রায়বরেলিতে জিতুন”, রাহুলকে ‘পরামর্শ’ কাসপারভের

    Rahul Gandhi: “শীর্ষ পদে পৌঁছানোর আগে রায়বরেলিতে জিতুন”, রাহুলকে ‘পরামর্শ’ কাসপারভের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শীর্ষ পদে পৌঁছানোর আগে রায়বরেলি কেন্দ্র থেকে জিতুন।” এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) এমনই ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন কিংবদন্তী সুপার গ্রান্ডমাস্টার গ্যারি কাসপারভ। পরে অবশ্য এই দাবাড়ু জানান, নিছক মজার করার উদ্দেশেই এই মন্তব্য করেছেন তিনি। একে মজা হিসেবেই দেখা উচিত।

    কী বললেন কাসপারভ? (Rahul Gandhi)

    একেবারে শেষ মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে রাহুলের নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। শুক্রবারই মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছেন তিনি। এদিনই রাহুলকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন দাবাখেলার প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় এক সাক্ষাৎকারে দাবা খেলার প্রতি আকর্ষণের কথা জানিয়ে কাসপারভকে প্রিয় দাবাড়ু বলে বর্ণনা করেছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। দাবা ও রাজনীতির তুলনাও করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “প্রতিপক্ষের ওপর কাসপারভ যে চাপের কৌশল প্রয়োগ করেন, তা অত্যন্ত কার্যকরী।”

    রাহুলের দাবা-প্রেম!

    দাবায় বিশ্বজয় করতে পারলেও, রাজনীতির ময়দানে চূড়ান্ত ব্যর্থ কাসপারভ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতায় আন্দোলনে নেমে গ্রেফতার হওয়ার পরে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। সম্প্রতি তাঁকে জঙ্গি তকমাও দিয়েছে পুতিনের সরকার। সেই তিনিই রাহুলকে দিয়েছেন ‘পরামর্শ’! সম্প্রতি কংগ্রেসের তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তাতে দেখা যায়, প্রচারের ফাঁকে মোবাইলে দাবা খেলছেন রাহুল। এখানে উল্লেখ করা হয় রাহুলের প্রিয় খেলা এবং প্রিয় দাবাড়ুর নাম। এই ভিডিওতে রাহুল নিজেকে রাজনীতিকদের মধ্যে সেরা দাবা খেলোয়াড় বলেও উল্লেখ করেন।

    আরও পড়ুুন: হামিদা বানুর লড়াইকে কুর্নিশ গুগল ডুডুলের, চেনেন এই মহিয়সীকে?

    রাহুল দাবা ও রাজনীতিকে সমানভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ ব্যাপারে কাসপারভ বলেন, “গান্ধী বলেছিলেন দাবায় কেউ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করছে, তা ধারণা করে নেওয়া যায়। কিন্তু যদি কেউ কেন্দ্রকে না বোঝে, তাহলে সে সঠিকভাবে চাপ প্রয়োগ করতে পারে না। একইভাবে রাজনীতিতে কেউই কী করতে চলেছে, সে সম্পর্কে যদি পরিষ্কার ধারণা না থাকে, তাহলে বলা যায় তিনি কেন্দ্রকে বুঝতে পারছেন না।” প্রসঙ্গত, বয়সের কারণে এবার রায়বরেলিতে প্রার্থী হচ্ছেন না সোনিয়া গান্ধী। তাঁর বদলে প্রার্থী হচ্ছেন রাহুল। এর পাশাপাশি রাহুল (Rahul Gandhi) প্রার্থী হয়েছেন কেরলের ওয়েনাড়েও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Smriti Irani: গান্ধী পরিবার মুক্ত আমেঠি, মানুষের জয় বললেন স্মৃতি ইরানি

    Smriti Irani: গান্ধী পরিবার মুক্ত আমেঠি, মানুষের জয় বললেন স্মৃতি ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়ানাড়ের (Wayanad) পর রাহুল গান্ধির এবারের ঠিকানা রায়বরেলি (Raybareli)। এই কেন্দ্র থেকে রাহুল গান্ধীর নাম (Rahul Gandhi) ঘোষণা হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির আমেঠি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। কংগ্রেসের যুবরাজের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ভোট গ্রহণের আগেই রাহুল তাঁর নির্ধারিত পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে। যার জন্যই কংগ্রেস এখানে একজন প্রক্সি ক্যান্ডিডেট দিয়েছেন।”

    আমেঠিতে অতিথিদের স্বাগত

    তিনি আরও বলেন, “আমি আমেঠিতে (Amethi) অতিথিদের স্বাগত করব। এখানে এই কেন্দ্রে গান্ধী পরিবার আগেই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে। ভোট গ্রহণে এখনও দেরি আছে। কিন্তু আগেই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে। সেই কারণে গান্ধী পরিবারের কোনও প্রতিনিধি আমেঠি থেকে দাঁড়াল না। প্রসঙ্গত আমেঠি থেকে কংগ্রেস পরিবারের বহু সদস্য আগে সাংসদ হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) বলেন, “রায়বেরেলি থেকে রাহুল গান্ধীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত আমেঠির মানুষের বড় জয়। অনেকেই ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করে দিয়েছেন ভারত কংগ্রেসমুক্ত হোক না হোক, আমেঠি গান্ধী পরিবার মুক্ত হয়ে গেছে।”

    আমেঠি কেন্দ্রে উন্নয়ন হয়েছে

    স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) দাবি করেছেন, “আমেঠি কেন্দ্রে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু মাঝের ২ বছর করোনার জন্য এখানকার মানুষ যে পরিমাণ উন্নয়ন আশা করেছিলেন তা করতে দেরি হয়েছে। আগামী দিনে এই কেন্দ্রে মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন ও পরিকাঠামগত উন্নয়নের দিকে নজর দেব”। তাঁর প্রশ্ন, “আমেঠি কেন্দ্র জয়ী হয়েছেন গান্ধী পরিবারের বহু সদস্য। প্রতিদান স্বরূপ তাঁরা এই কেন্দ্রের জন্য কী করেছেন? স্মৃতি ইরানির দাবি, “মোদি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরেই আমেঠির জন্য একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: সৎ চাকরিহারাদের জন্য সুকান্তকে লিগ্যাল ও সোশ্যাল মিডিয়া সেল খোলার নির্দেশ দিলেন মোদি

    সুরক্ষিত আসনের খোঁজে রাহুল

    এদিন স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই কথার পুনরাবৃত্তি করেন যেখানে তিনি বলেছিলেন, “কংগ্রেস এবার কেরালাতেই সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। রাহুল গান্ধী সেই কারণেই একটি তুলনামূলক সুরক্ষিত আসন খুঁজছেন”। প্রসঙ্গত এবার মায়ের ছেড়ে যাওয়া আসন রায়বরেলি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কংগ্রেসের যুবরাজ। আমেঠি থেকে গান্ধীর পরিবারের যোগাযোগ সেই আশির দশক থেকে। এই কেন্দ্র থেকে ১৯৮০ সালে জয়ী হয়েছিলেন সঞ্জয় গান্ধী। এরপর ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন রাহুল গান্ধীর পিতা রাজীব গান্ধী। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত এ কেন্দ্র থেকে সাংসদদের দায়িত্ব সামলেছেন প্রয়াত রাজীব গান্ধীর স্ত্রী এবং রাহুল গান্ধীর মা সোনিয়া গান্ধী। রাহুল গান্ধী নিজেও ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ ছিলেন। ২০১৯ সালে রাহুল দুই জায়গা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আমেঠির ও ওয়ানাড়। আমেঠি থেকে হেরে গেলেও রাহুলের মান রক্ষা হয় ওয়ানাড়ে। চলতি বছর আর রাহুল গান্ধী এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস দেখাতে পারলেন না। তিনি মায়ের ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলি আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন। যদিও রাহুলকে হারিয়ে ২০১৯ সালে জয়ী হওয়া স্মৃতি জুবিন ইরানি (Smriti Irani) এবারও এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “কংগ্রেস শেষ হচ্ছে আর পাকিস্তান কাঁদছে”, কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

    PM Modi: “কংগ্রেস শেষ হচ্ছে আর পাকিস্তান কাঁদছে”, কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী (Fawad Chowdhury) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) প্রশংসা ও তাঁকে সমর্থন করেন। গুজরাটের আনন্দের জনসভা থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, “কংগ্রেস ও পাকিস্তানের মধ্যে যে “গলায় গলায় ভাব” তা জনসমক্ষে চলে এসেছে। জনসভাকে সম্বোধন করার সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)  বলেন, “পাকিস্তানি নেতৃত্ব চাইছে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসুক। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে কংগ্রেস ভারতে কমজোর হচ্ছে। পাকিস্তান (Pakistan) চাইছে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হোক।”

    গুজরাটের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী 

    এদের কংগ্রেসকে (INC) তুলধোনা করার সময় প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মুখে ছিল হাসি। তিনি বলেন, “কাকতালীয় ব্যাপার কংগ্রেস (Congress) শেষ হচ্ছে আর পাকিস্তান কাঁদছে। পাকিস্তানের মন্ত্রীরা কংগ্রেসের জন্য প্রার্থনা করছেন। তাঁরা ভাবছে যুবরাজ কবে ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবে। আমরা সকলেই জানি কংগ্রেস কতটা পাকিস্তানপ্রেমী।”কংগ্রেসকে তুলোধোনা করার পাশাপাশি নিজের (PM Modi সরকারের) কৃতিত্ব জনসমক্ষে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আগে যখন কংগ্রেসের সরকার ছিল তখন জঙ্গি হামলা হলে পাকিস্তানকে শুধু ডোজিয়ার দেওয়া হত। আর ভাষণ দেওয়ার সময় বলা হত কড়া নিন্দা করছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হত না। এখন শুধু নিন্দা হয় না। আমাদের সময়ে আমরা সন্ত্রাসবাদীদের ঘরে ঢুকে তাদের নিকেশ করি।”

    আরও পড়ুন: ভোটবঙ্গে ফের শহরে প্রধান নরেন্দ্র মোদি! রাত্রিবাস রাজভবনে

    ইমরান ক্যাবিনেটের মন্ত্রী ছিলেন ফাওয়াদ 

    প্রসঙ্গত একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন মাধ্যমে যে খবর সম্প্রচারিত হয় তাতে দেখা যায় পাকিস্তানের মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা বলতে গিয়ে ভারতের বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাহুল গান্ধী সম্পর্কে তার মতামত জানতে চাওয়া হলে পাকিস্তানের মন্ত্রী বলেন, “তিনি রাহুল গান্ধী কেন, যে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি সঠিক ইস্যুতে কথা বলেন তাঁকে সমর্থন করবেন।” পাকিস্তানি মন্ত্রীর বক্তব্য ইতিমধ্যেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান, “অমিত মালব্যর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন চৌধুরী ফাওয়াদ হোসেন যিনি ইমরান খানের(Imran Khan) ক্যাবিনেটে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন তিনি রাহুল গান্ধীকে প্রোমোট করছেন। তাহলে কী কংগ্রেস এবার পাকিস্তানে নির্বাচনের লড়ার চিন্তা ভাবনা করছে। কংগ্রেসের এবারের মেনিফেস্টোতে মুসলিম লিগের ছোঁয়া রয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে পাকিস্তানের বোঝাপড়া প্রকাশ্যে চলে এসছে।”

    কংগ্রেসের বিড়ম্বনা বাড়ল 

    প্রসঙ্গত স্বাধীনতার সময় থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের (India vs Pakistan) যে শত্রুতা তৈরি হয়েছে তা আজও অব্যাহত। চারটি লড়াইয়ে পাকিস্তান হারার পরেও ভারত যতই উদার হওয়ার চেষ্টা করুক না কেন পাকিস্তানের তরফ থেকে অশান্তি বন্ধ করার কোন ইঙ্গিত নেই। এমতাবস্থায় কংগ্রেস নেতাকে পাকিস্তানের নেতারা সমর্থন করলে জনসমক্ষে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর ছবি আরও খারাপ হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) এবং বিজেপিকে কোনঠাসা করতে গিয়ে পাকিস্তানি নেতারা কংগ্রেসকে সমর্থন করে উল্টে কংগ্রেসের বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছেন এমনটাই মনে করছে দেশের একটা বড় অংশের মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raebareli: অমেঠিতে গান্ধি পরিবারের ওপর ভরসা নেই কংগ্রেসের, নিরাপদ বুঝেই কি রায়বরেলিতে রাহুল!

    Raebareli: অমেঠিতে গান্ধি পরিবারের ওপর ভরসা নেই কংগ্রেসের, নিরাপদ বুঝেই কি রায়বরেলিতে রাহুল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ জল্পনার অবসান। অবশেষে রায়বরেলি (Raebareli) থেকে প্রার্থী হচ্ছেন রাহুল গান্ধি। রাহুলের পুরানো কেন্দ্র অমেঠি কেন্দ্রে তিনি যে এবার প্রার্থী হচ্ছেন না তা একেবারেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। কারণ, অমেঠি কেন্দ্রে কেএল শর্মাকে প্রার্থী করা হয়েছে। শুক্রবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

    অমেঠিতে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের কেএল শর্মা (Raebareli)

    সমাজবাদী পার্টির (এসপি) সঙ্গে আসন ভাগাভাগি অনুযায়ী উত্তর প্রদেশের ১৭টি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কংগ্রেস আমেঠি এবং রায়বরেলি (Raebareli) বাদে সমস্ত আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তাই, এই দুই আসনে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কাকে প্রার্থী করা হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। জানা গিয়েছে,আগামী ২০ জুন পঞ্চম দফায় ভোট অমেঠি এবং রায়বরেলিতে। শুক্রবারই এই দুই কেন্দ্রের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। তাই প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার দিনই মনোনয়ন পেশ করতে হবে রাহুল এবং কিশোরীলালকে। ইতিমধ্যেই অমেঠি থেকে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ স্মৃতি ইরানি মনোনয়ন জমা দিয়ে দিয়েছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ বছর অমেঠির সাংসদ ছিলেন রাহুল। তাঁর বাবা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিও ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত আমেঠির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। এর আগে ১৯৯৯ সালে সোনিয়া গান্ধী এখান থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ২০০৪ সালে রাহুলের অমেঠি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

     নিরাপদ বুঝেই কী রাহুলকে রায়বরেলিতে প্রার্থী!

    ১৯৫২ সালের পর বিজেপি মাত্র দু’বার এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে। আর এসপি, বিএসপি কখনও এই কেন্দ্রে জয়ের মুখ দেখেনি। পরিসংখ্যান মাথায় রেখে রায়বরেলি কেন্দ্রটিকে রাহুলের জন্য ‘নিরাপদ’ বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, সেই জহরলাল নেহরুর আমল থেকেই রায়বরেলি (Raebareli) কংগ্রেসের গড় হিসাবে পরিচিত। ১৯৬২ এবং ১৯৯৯ সাল বাদ দিয়ে এই কেন্দ্রে সব সময়ই নেহরু-গান্ধি পরিবারের কেউ প্রার্থী হয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি এই কেন্দ্র থেকে তিন বার জয়ী হয়েছেন। সনিয়া টানা পাঁচ বার এই কেন্দ্রে জিতে লোকসভায় গিয়েছেন। রাহুল গত লোকসভা ভোটের অমেঠির সঙ্গে কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ওয়েনাড়ে জিতলেও অমেঠিতে হেরে যান তিনি। এবারও ওয়েনাড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। গত ২৬ এপ্রিল ওই কেন্দ্রে ভোট হয়ে গিয়েছে। এবার রায়বরেলি থেকে তিনি নির্বাচনে লড়াই করতে চলেছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে রায়বেরেলিতে বিজেপি প্রার্থী করেছে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী দীনেশ প্রতাপ সিংহকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: আমেঠি, রায়বরেলিতে প্রার্থী হতে চাইছেন না রাহুল, প্রিয়ঙ্কা! কেন জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: আমেঠি, রায়বরেলিতে প্রার্থী হতে চাইছেন না রাহুল, প্রিয়ঙ্কা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়নপত্র পেশের জন্য হাতে সময় মাত্র দু’দিন। অথচ একদা গান্ধী পরিবারের খাসতালুক আমেঠি ও রায়বরেলিতে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি কংগ্রেস (Lok Sabha Elections 2024)। এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে দলের নিচুতলার কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, “চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই এই দুই কেন্দ্র নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।” কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই দুই কেন্দ্রে লড়তে রাজি নন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। দলের সভাপতিকে সেকথা জানিয়েও দিয়েছেন তাঁরা।

    স্মৃতির কাছে হার (Lok Sabha Elections 2024)

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে আমেঠিতে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে হেরে গিয়েছিলেন রাহুল। সেবারও আমেঠির পাশাপাশি রাহুল প্রার্থী হয়েছিলেন ওয়েনাড়েতেও। ওয়েনাড়ে জেতায় মুখ রক্ষা হয়েছিল রাহুলের। সূত্রের খবর, আমেঠিতে ফের হেরে আর মুখ পোড়াতে রাজি হননি রাহুল। সেই কারণেই দলীয় সভাপতিকে জানিয়ে দিয়েছেন আমেঠিতে প্রার্থী হতে চান না তিনি। আমেঠি গান্ধী পরিবারকে শূন্য হাতে ফেরালেও, রায়বরেলিতে জিতেছিল কংগ্রেস (Lok Sabha Elections 2024)।

    রায়বরেলিতেও প্রার্থী হতে চাইছে না গান্ধী পরিবার

    জয়ী হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তবে বয়সের কারণে এবার আর প্রার্থী হচ্ছেন না তিনি। তাই খোঁজা হচ্ছিল নতুন মুখ। জল্পনা ছড়িয়েছিল, মায়ের ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী হবেন মেয়ে প্রিয়ঙ্কা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চাননি প্রিয়ঙ্কাও। তাঁর যুক্তি, সোনিয়া রাজ্যসভার সাংসদ, ওয়েনাড়ে জিতবেন রাহুল। তাই রায়বরেলিতে তিনিও প্রার্থী হলে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলবে বিজেপি। হাত শিবির সূত্রে খবর, প্রিয়ঙ্কাকে আমেঠিতে লড়তে বলা হয়েছিল। এই কেন্দ্রেও দাঁড়াতে চাননি তিনি। হেরো সিটে দাঁড়িয়ে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে পরাস্ত হয়ে (যার সম্ভাবনাই বেশি) সংসদীয় রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করতে নিমরাজি প্রিয়ঙ্কা। সেই কারণেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের হাতে আর আটচল্লিশ ঘণ্টা সময় থাকলেও, আমেঠি এবং রায়বরেলি কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে দোটানায় কংগ্রেস।

    আরও পড়ুুন: বাঙালি সাজে পদ্ম পার্টিতে যোগ ‘অনুপমা’র, কী বললেন রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়?

    এদিকে, মঙ্গলবারও আমেঠির একটি পার্টি অফিসের বাইরে কংগ্রেস কর্মীরা আওয়াজ তোলেন, “অমেঠি মাঙ্গে গান্ধী পরিবার।” আমেঠি ও রায়বরেলি এই দুই কেন্দ্রেই নির্বাচন ২০ মে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ মে। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন স্মৃতি। আর প্রার্থীর নামই ঘোষণা করতে পারেনি কংগ্রেস (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share