Tag: Rajya Sabha

Rajya Sabha

  • Rajya Sabha: বদলে গেল ৯০ বছরের পুরনো এয়ারক্রাফ্ট আইন, রাজ্যসভায় পাশ বায়ুযান বিদ্যায়ক বিল

    Rajya Sabha: বদলে গেল ৯০ বছরের পুরনো এয়ারক্রাফ্ট আইন, রাজ্যসভায় পাশ বায়ুযান বিদ্যায়ক বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৬ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) ভারতীয় বায়ুযান বিদ্যায়ক-২০২৪ বিল (Bharatiya Vayuyan Vidheyak) পাশ করানো হল। প্রসঙ্গত, ৯০ বছরের পুরনো এয়ারক্রাফ্ট আইনকেই বদল করা হল, এই নয়া বিলের মাধ্যমে। আগের আইনটি ছিল ১৯৩৪ সালের। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে এই সংক্রান্ত বিলটি পাশ হয়েছিল লোকসভায়। ইতিমধ্যে ইন্ডি জোটের নেতারা রাজ্যসভায় দাবি করতে থাকেন যে বিলটির নাম ইংরেজি থেকে হিন্দিতে বদল করা হয়েছে। এতে নাকি অনেক অসুবিধা হতে পারে। তবে নিজের ভাষণে বিরোধীদের একহাত নিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী।

    বিরোধীদের জবাব দিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী

    বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী কিঞ্জারাপু রামমোহন নাইডু রাজ্য রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) নিজের ভাষণে বলেন, ‘‘ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিফলন রাখতেই নামটি হিন্দিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। শুধু নামেই বদল হয়েছে। সাংবিধানিক কোনও নিয়মের বদল হয়নি।’’ তিনি নিজের ভাষণে আরও বলেন, ‘‘প্রথম দিকে হিন্দি বিলের নাম উচ্চারণ করা কঠিন হবে। কিন্তু ভবিষ্যতে সেই নাম উচ্চারণ করতে করতে আমরা সবাই অভ্যস্ত হয়ে উঠব। অনেকেই হিন্দি নাম উচ্চারণ করতে লজ্জা বোধ করেন বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এতে লজ্জাবোধ করার কিছু নেই। হিন্দিতে পুরনো বিলের নামকরণের উদ্দেশ্য আমাদের একটাই যে ভারতের সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটানো।’’

    আমরা যেকোনও ঔপনিবেশিক ছাপকে মুছে ফেলতে চাই

    এদিন অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী (Rajya Sabha)  আরও বলেন, ‘‘আমরা যেকোনও ঔপনিবেশিক ছাপকে মুছে ফেলতে চাই এবং ভারতবর্ষের প্রকৃত সংস্কৃতির প্রতিফলন আমরা ঘটাতে চাই। ভারতীয় বায়ুযান বিদ্যায়ক শব্দ সকল ভাষার মিশ্রণ। আমি নিজে একজন তেলেগুভাষী এবং আমি আমার ভাষা নিয়ে গর্ব বোধ করি। তা সত্ত্বেও আমি হিন্দি নামকে সমর্থন করি। কারণ ভারতকে তেলেগু ভাষাতেও ভারতই বলা হয়। জানা গিয়েছে ১৯৩৪ সালে পাশ হওয়া আইনটি পরবর্তীকালে ২১ বার সংশোধন করা হয়েছে। তাই ভারতীয় বায়ুযান বিদ্যায়ক আইন, ১৯৩৪ সালের বিমান আইনকে সরাসরি প্রতিস্থাপন করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jawhar Sircar: মমতার অনুরোধ বিফলেই গেল, ধনখড়কে পদত্যাগপত্র দিলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার

    Jawhar Sircar: মমতার অনুরোধ বিফলেই গেল, ধনখড়কে পদত্যাগপত্র দিলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে রবিবারই সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন জহর সরকার (Jawhar Sircar)। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার (Rajya Sabha) চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের পদত্যাগপত্র তুলে দিলেন তৃণমূল সাংসদ। বৃহস্পতিবার দুপুরেই দিল্লিতে উপরাষ্ট্রপতির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন জহর।

    তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১২

    প্রসঙ্গত, জহর সরকারের (Jawhar Sircar) ইস্তফার ফলে সংসদের উচ্চকক্ষে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১২। পশ্চিমবঙ্গে মোট ১৬টি রাজ্যসভার আসন রয়েছে। তার মধ্যে একটি খালি হয়ে গেল। তৃণমূলের ১২ জন ছাড়াও বিজেপির দুই এবং বামেদের এক জন রাজ্যসভা সাংসদ রইলেন। প্রসঙ্গত, এটাই নতুন বা প্রথম নয়, ২০২২ সালে শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরে দলের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছিলেন জহর। দলের একটা গোটা দিক পচে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশিশক্তির আস্ফালন

    গত রবিবার আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে দলীয় অবস্থানের বিরোধিতা করে মমতাকে চিঠিতে জহর (Jawhar Sircar) লেখেন, ‘‘মাননীয়া মহোদয়া, বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা সবাই দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশিশক্তির আস্ফালন। আমার এত বছরের জীবনে এমন ক্ষোভ ও সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা আগে কখনও দেখিনি।’’

    মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা

    আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনকে রাজনৈতিক বলেছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে ফুঁসতে থাকে গোটা বাংলা। সেই সময়ই প্রতিবাদ জানান জহর সরকার। প্রকাশ্যেই জহর (Jawhar Sircar) লেখেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, এই আন্দোলনে পথে নামা মানুষেরা অরাজনৈতিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রতিবাদ করছেন। অতএব রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা সমীচীন হবে না। এঁরা কেউ রাজনীতি পছন্দ করেন না। শুধু একবাক্যে বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha: ১২টি আসনের উপনির্বাচনে ১১টিতেই জয়, রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ এনডিএ

    Rajya Sabha: ১২টি আসনের উপনির্বাচনে ১১টিতেই জয়, রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) পাল্লা ভারী হল এনডিএ (NDA) জোটের। মঙ্গলবার সংসদের উচ্চকক্ষের উপ-নির্বাচনে বিজেপির ৯ জন নির্বাচিত হন৷ এছাড়া শরিক দলেরও দু’জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন৷ একমাত্র তেলঙ্গানার আসনটিতে বিনা লড়াইয়ে জিতলেন কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। স্বাভাবিক ভাবে, এবার উচ্চকক্ষে সহজে বিল পাশ করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার ৷

    বিল পাশে সুবিধা

    রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) এনডিএ শিবিরের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে বিজেপি সহজেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ করাতে পারবে৷ বিলটি যুগ্ম সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) খতিয়ে দেখছে৷ রাজ্যসভার ১২টি আসনের উপনির্বাচনে এদিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায় এর মধ্যে ১১টিতেই জয় পায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ (NDA)। এ বারের ১২ আসনের উপনির্বাচনের ফলে ২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় ৯৬-এ পৌঁছে গেল বিজেপি। এনডিএ পৌঁছল ১১২-তে। নির্দল এবং মনোনীত সদস্যদের ধরলে সংখ্যাটি পৌঁছচ্ছে ১২১-এ। আটটি আসন বর্তমানে শূন্য। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছুঁয়ে ফেলল মোদি সরকার। এর ফলে শীতকালীন অধিবেশনে বিভিন্ন বিল পাশ করাতে সুবিধা পাবে সরকার পক্ষ। 

    কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই সংখ্যা?

    জুলাই অবধিও, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র পক্ষে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) কিছু পাশ করানো কঠিন ছিল। কারণ, সেই সময়, সংসদের উচ্চকক্ষে মোদি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। বিজেপির সংখ্যা কমে ৮৬ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, এখন এই উপনির্বাচনের পর, সংখ্যা এক লাফে বেড়ে ৯৫ হয়েছে। আর এনডিএ পৌঁছে গেল ১২১-এ। এবার, আরও ৪ মনোনীত সদস্যকে যুক্ত করতে পারলে এই সংখ্যা আরও বেড়ে হয়ে যাবে ১২৫। এছাড়া, এমনিতেই আরও ৬ মনোনীত সদস্য এবং এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থন পাবে এনডিএ সরকার। ফলত, ২৪৫-আসনের রাজ্যসভায় সরকারের শক্তি বেড়ে দাঁড়াবে ১৩২। ফলে, এখন গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানোর জন্য বিজেডি বা ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সমর্থনের প্রয়োজন নেই মোদির। 

    জয়ী প্রার্থী কারা

    কোনও বিরোধিতা ছাড়াই যাঁরা রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) নির্বাচিত হলেন- রাজস্থানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু, মধ্যপ্রদেশের জর্জ কুরিয়েন, কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি তেলঙ্গানা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন৷ বিজেপির অসম থেকে মিশন রঞ্জন দাস, রামেশ্বর তেলি, বিহার থেকে মনন কুমার মিশ্র, হরিয়ানা থেকে কিরণ চৌধুরি, মহারাষ্ট্রের ধীরাশীল পাটিল, ওড়িশার মমতা মোহন্ত এবং ত্রিপুরার রাজীব ভট্টাচার্য৷ ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নিতিন পাটিল মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন ৷ রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহা বিহার থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন৷ এই দু’টি দলই বিজেপির শরিক ৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Bypolls: রাজ্যসভা উপনির্বাচন, ৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    Rajya Sabha Bypolls: রাজ্যসভা উপনির্বাচন, ৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভার ১২টি আসনে উপনির্বাচন (Rajya Sabha Bypolls) হবে। মঙ্গলবার তার মধ্যে ৯টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপি (BJP)। এই ন’জনের মধ্যে রয়েছেন মমতাও। তবে ইনি বন্দ্যোপাধ্যায় নন, মহন্ত। মমতা মহন্ত। ওড়িশা থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। ২১ অগাস্ট মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১০ জনের। আর রাজ্যসভার দু’জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার পরে। তাই সব মিলিয়ে শূন্য হয়েছে ১২টি আসন। এর মধ্যে ঘোষণা করা হল ৯ পদ্ম-প্রার্থীর নাম।

    বিজেপির প্রার্থী তালিকায় কারা (Rajya Sabha Bypolls)

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রভনীত সিং বিট্টুকে প্রার্থী করা হয়েছে রাজস্থান থেকে। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে আগে কংগ্রেস ছেড়ে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। হেরে যাওয়ায় তাঁকে এবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজ্যসভায়। কারণ তিনি কেন্দ্রীয় রেল ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পমন্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী, ছ’মাসের মধ্যে সংসদের যে কোনও একটি কক্ষের সদস্য হতে হবে তাঁকে। মধ্যপ্রদেশ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে মৎস্য, পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ কুরিয়েনকে। গুণা কেন্দ্র থেকে লোকসভায় গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। সেই আসনেই প্রার্থী করা হয়েছে কুরিয়েনকে। 

    তালিকায় আইনজীবী, জাঠ নেতা

    বিহার থেকে রাজ্যসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী মনন কুমার মিশ্র। ত্রিপুরা থেকে প্রার্থী করা হয়েছে রাজীব ভট্টাচার্যকে। হরিয়ানা থেকে প্রার্থী করা হয়েছে কংগ্রেস ছেড়ে আসা কিরণ চৌধুরীকে। মহারাষ্ট্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে ধৈর্যশীল পাটিলকে। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যসভার (Rajya Sabha Bypolls) একটি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিকে। বিহারে যে দ্বিতীয় আসনটি খালি হবে, সেটা দেওয়া হবে জোট শরিক উপেন্দ্র কুশওয়াহাকে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অশান্তি, ভারতে ঢুকে পড়তে পারে জঙ্গিরা, আশঙ্কা প্রাক্তন কূটনীতিকের

    বিজেপির এই প্রার্থী তালিকায় যেমন রয়েছে ব্রাহ্মণ মুখ, তেমনি রয়েছেন জাঠ প্রার্থীও। কিরণ জাঠদের প্রতিনিধি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে অ্যান্টি-জাঠ সেন্টিমেন্ট কাজ করেছে। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতেই রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হচ্ছে কিরণকে। অসম থেকে প্রার্থী করা হয়েছে (BJP) রামেশ্বর তেলিকে। প্রাক্তন এই মন্ত্রী অসমের টি-ট্রাইবের প্রতিনিধি (Rajya Sabha Bypolls)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Bill: নভেম্বরেই রাজ্যসভায় পাশ হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল? আত্মবিশ্বাসী মোদি সরকার

    Waqf Bill: নভেম্বরেই রাজ্যসভায় পাশ হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল? আত্মবিশ্বাসী মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি লোকসভায় ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) পেশ করেছে মোদি সরকার। বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পেশ হতে চলেছে ওয়াকফ বিল। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরের অধিবেশনেই বিল পেশ করার কথা ভাবছে সরকার। রাজ্যসভায় এই বিল পাশ করতে হলে সরকারের প্রয়োজন ১২১ সাংসদের সম্মতি। রাজ্যসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা এখন ৮৬। এনডিএ-র ১১৭। তবে চারজন মনোনীত সাংসদের পদ এখন ফাঁকা। এই আসন পূরণ হলে বিল পাশ করতে সরকারের খুব একটা সমস্যা হবে না। 

    রাজ্যসভায় প্রয়োজনীয় সমর্থন

    বর্তমানে ৬ জন মনোনীত সদস্য ও ২ জন নির্দল নিয়ে রাজ্যসভায় এনডিএর আসন ১১৭। সেক্ষেত্রে ২৩৭ জনের রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক হচ্ছে ১১৯। গত মাসেই রাজ্যসভায় ৪ মনোনীত সদস্যের আসন ফাঁকা হয়। এই ৪ আসন পূরণ হলে রাজ্যসভায় আসন সংখ্যার মোট অঙ্ক হবে ২৪১। এবার এই ৪ আসনে যাঁরা আসবেন, তাঁরা সাধারণত সরকারকেই সমর্থন করবেন বলে মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে সরকারের সমর্থনে থাকবে ১২১ জন সাংসদ। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর রয়েছে রাজ্যসভায় ভোট। সেখানে ১২ আসনে ভোট হবে। মনে করা হচ্ছে, এই ভোটে বিজেপি ৭টি আসন পেতে পারে। মনে করা হচ্ছে, মধ্যপ্রদেশ, অসম, ত্রিপুরা, রাজস্থান, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, বিহার থেকে বিজেপি জিতবে। এনডিএতে বিজেপির শরিকরা জিততে পারে বিহার ও মহারাষ্ট্র থেকে। এই অঙ্কের নিরিখে বলা যায় রাজ্যসভায় আগামী দিনে ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) পাশ করতে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না মোদি সরকারকে।

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের পেশ করা ওয়াকফ সংশোধনী বিলের ৫টি ইতিবাচক দিক কী? জানুন বিশদে

    ওয়াকফ বিল সংশোধনী

    ১৯৫৪ সালে প্রথম ওয়াকফ আইন (Waqf Bill) পাশ হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনে সংশোধনী এনে ওয়াকফ বোর্ডের হাতে সব ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই বার বার প্রশ্ন উঠেছে বোর্ডের একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে। প্রস্তাবিত সংশোধনটি গ্রাহ্য হলে এর পর থেকে আইনটির নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’। এই বিলে পুরনো আইনটিতে ৪৪টি সংশোধন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সংশোধনের মূল লক্ষ্য হল একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করা। এ ছাড়াও প্রস্তাবিত অন্যান্য সংশোধনগুলির মধ্যে রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলের পাশাপাশি প্রতি রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ড গঠন, যেখানে মুসলিম মহিলা এবং অমুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: “হিসেব দাও, টাকা নাও”, রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদকে মুখের মতো জবাব অমিত শাহের

    Amit Shah: “হিসেব দাও, টাকা নাও”, রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদকে মুখের মতো জবাব অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের প্রকল্প থেকে আবাস যোজনা— সব ক্ষেত্রেই বার বার কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করছে। অর্থ বরাদ্দ করছে না বলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের সাংসদ, বিধায়করা সরব হয়েছেন। বাস্তবে এই সব প্রকল্পে ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে। ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। ফলে, এই সব প্রকল্পের সঠিক হিসেব দিলেই টাকা মিলবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বার বার একথা বলেছেন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক বঞ্চনা করা হয়েছে দাবি তুলে বুধবার রাজ্যসভায় ফের একবার সরব হন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। যদিও তাঁর প্রশ্নের পর পরই মুখের ওপর মোক্ষম জবাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    কী বলেছেন তৃণমূল সাংসদ?

    মঙ্গলবার ভোরে, টানা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ ধস নেমেছে কেরলে। তছনছ হয়ে গিয়েছে ওয়েনাড় জেলার একাধিক গ্রাম। সেই বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে, বুধবার রাজ্যসভায় ফের কেন্দ্রীয় বাজেটে থাকা বন্যা প্রসঙ্গ ওঠে। প্যাকেজ থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করার প্রসঙ্গ তোলেন রাজ্যসভার (Rajya Sabha) তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাকেত গোখলে। তিনি বলেন, “বন্যাত্রাণে থাকা রাজ্যগুলির তালিকায় কেরল ও পশ্চিমবঙ্গকে যোগ করা যায় কিনা তা কেন্দ্রীয় সরকারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলছি।” একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তহবিলের ২৫ শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার। তাও, কোনও বিপর্যয়কে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা না করলে, সেই তহবিলের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারে রাজ্য। রাজ্যগুলিকে এই তহবিলের ২৫ শতাংশ খরচ করার অধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ রুখতে আইন করা উচিত অন্য রাজ্যগুলোরও, বললেন ভিএইচপি কর্তা

    পশ্চিমবঙ্গকে ৪,৬১৯ কোটি দেওয়া হয়েছে (Amit Shah)

    জবাবে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “২০১৪ থেকে ২০২৪ – এই ১০ বছরে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য পশ্চিমবঙ্গের ৬,২৪৪ কোটি টাকার দাবি আমরা মঞ্জুর করেছি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যেমন যেমন খরচের হিসেব আসে, আমরা টাকা দিয়ে দিই। হিসেব দিলেই টাকা দিয়ে দিই। এইভাবে ৪,৬১৯ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সেখান থেকে হিসেব আসা নিয়ে সমস্যা আছে। আমি তো তা করতে পারি না। সেই হিসেব বাংলাকেই করতে হবে। হিসেব দিতে হয়। এটা তো সরকারের বিষয়। কোনও রাজনৈতিক দলের বিষয় নয়। সরকারের নিয়ম আছে, বিধি আছে, খরচের হিসেব রাখতে হয়, অডিট হয়। যদি কাউকেই না মানি, তাহলে তো কিছু সমস্যা হবেই। তবে, ধীরে ধীরে অভ্যাসের বদল হচ্ছে। উন্নতি হয়েছে। তাই, ৬,২৪৪ কোটি টাকার মধ্যে ৪,৬১৯ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।” রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) জবাবি বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তহবিলের ১০ শতাংশ নিজের ইচ্ছামতো খরচ করতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য। কিন্তু, ওই তহবিলের অর্থ যাতে অন্য কোনও প্রকল্পে খরচ করা না হয়, তার জন্যই বাকি ৯০ শতাংশ খরচ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে চলতে বলা হয়েছে। সেই গাইডলাইন মেনে রাজ্যগুলি ওই ৯০ শতাংশও খরচ করতে পারে। তার জন্য কেন্দ্রের অনুমতি লাগে না।” তৃণমূল সাংসদের দাবি যে ভুল, এভাবেই অমিত শাহ ব্যাখ্যা করে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নিট প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: নিট প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিট বিতর্কে (NEET Controversy) মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বুধবার রাজ্যসভায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা উল্লেখ করেছেন। আমি আশাকরি, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে গোটা হাউস এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। এটা দেশের ভবিষ্যতের জন্য খুবই উদ্বেগের।” রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাব পর্ব চলছে রাজ্যসভায়। এই সভায়ই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি দেওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “আমি আমার দেশের তরুণদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই সরকার তাদের রেয়াত করবে না যারা আপনাদের প্রতারণা করেছে, কেলেঙ্কারিতে যুক্ত রয়েছে।” তিনি বলেন, “যারা আমাদের দেশের তরুণ ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে তাদের জবাবদিহি করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা কঠোর আইন লাগু করেছি এবং পুরো ব্যবস্থাটাই নিশ্চিদ্র করার ব্যবস্থা করছি।”

    ছাত্রদরদি সরকার

    তাঁর সরকার যে ছাত্রদরদি, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সরকার এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে, যেখানে পড়ুয়ারা মন দেবে কেবল পড়াশোনায়, পরীক্ষার কোনও ভীতি তাদের থাকবে না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আমাদের দেশের তরুণদের আশ্বস্ত করছি এই বলে যে, যারা আপনাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে (NEET Controversy), এই সরকার তাদের রেয়াত করবে না।”

    আর পড়ুন: “এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?”, চোপড়াকাণ্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ডাক্তারিতে ভর্তি হতে গেলে পাশ করতে হয় নিট ইউজি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায়ই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতিও হয়েছে বলে অভিযোগ। তার জেরে ব্যাপক হইচই হয় দেশজুড়ে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে আইন আনে সরকার। নির্দেশ দেয় সিবিআই তদন্তের। রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয় (PM Modi) এনটিএ-র (এই সংস্থাই পরীক্ষাটি নেয়) ডিরেক্টরকে। এদিকে, এদিনই এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান লেখেন, “ইন্ডি জোটের উদ্দেশ্যই হল মিথ্যা ও জল্পনার আশ্রয় নিয়ে আসল ইস্যু থেকে নজর ঘোরানো। এটা দেশ বিরোধী এবং শিক্ষার্থীদেরও বিরোধী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘১০ বছর পূর্ণ করেছি, আরও ২০ বছর বাকি’’, রাজ্যসভায় কংগ্রেসকে খোঁচা মোদির

    PM Modi: ‘‘১০ বছর পূর্ণ করেছি, আরও ২০ বছর বাকি’’, রাজ্যসভায় কংগ্রেসকে খোঁচা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের আসন সংখ্যা কমলেও আত্মবিশ্বাসের কোনও অভাব নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। বুধবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) ভাষণ দিতে উঠে মোদি বিরোধী শিবিরের কড়া সমালোচনা করেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীরা যতই হট্টগোল করুক, আরও দু-দশক দেশে ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি। আমরা এক তৃতীয়াংশ সময় কাটিয়ে ফেলেছি। এখনও দুই-তৃতীয়াংশ সময় বাকি আছে। বিরোধীদের এজেন্ডাকে পরাজিত করেছে দেশবাসী। ছয় দশক পর দেশের মানুষ মোদিকে তৃতীয়বার দেশের সরকার গঠনের সুযোগ দিয়েছে।”

    হিন্দুদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র (PM Modi)

    রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে মোদি (PM Modi) আরও বলেন, “হিন্দুদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পিএম মোদি রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক বক্তৃতাকে ‘সহানুভূতিমূলক নাটক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এবং বিরোধী দলের নেতাকে ‘বালক বুদ্ধি’ বা শিশুর স্তরের বুদ্ধি আছে বলে চিহ্নিত করেন। তিনি অগ্নিবীর প্রকল্প, কৃষকদের জন্য ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (MSP), এসসি, এসটি-র জন্য সংরক্ষণ এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন সহ ইস্যুতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন।

    মোদির ভাষণ চলাকালীন প্রবল হট্টগোল (Rajya Sabha)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন রাজ্যসভায় ভাষণ দিতে উঠতেই প্রবল হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। চিৎকার-চেঁচামেচি ও স্লোগান ভেসে আসে বিরোধীদের শিবির থেকে। বিরোধীদের ব্যাপক বাধা উপেক্ষা করেই প্রধানমন্ত্রী দৃপ্ত কণ্ঠে নিজের বক্তব্য রাখেন।

    আরও পড়ুন: “এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?”, চোপড়াকাণ্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মোদি (PM Modi) বলেন, “জনগণের আস্থা শুধু এনডিএ’র উপর রয়েছে। এই নির্বাচন গত ১০ বছরের কৃতিত্বকে সিলমোহর নয়, ভবিষ্যতের উন্নয়নের আরও এক সুবর্ণ সুযোগ। দেশের অর্থব্যবস্থা ১০ থেকে ৫ নম্বরে উঠে এসেছে। এরপর বিরোধীদের তোপ দেগে তিনি বলেন, “দেশের রায়কে ব্ল্যাকআউট করার চেষ্টা চলছে। আজ যারা সংবিধান হাতে নিয়ে সরকারের বিরোধিতা করছে, তারা সংবিধান দিবস পালন করতে চাইনি। এখন লড়তে না পেরে ময়দান ছেড়ে চলে যাওয়াই বিরোধীদের অস্ত্র।”

    অর্থ ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি

    ভারতের অর্থ ব্যবস্থাকে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মোদি (PM Modi) । তিনি বলেন, “দেশের আর্থিক পরিস্থিতি করোনা কালের মতো কঠিন সময়েও ভেঙে পড়েনি। আমরা ভেঙে পড়তে দেইনি। আমি আবার বলছি, ভারতের অর্থ ব্যবস্থাকে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে নিয়ে যাব।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “লোকসভায় রাহুল গান্ধীর মতো আচরণ করবেন না”, এনডিএ-র বৈঠকে বললেন মোদি

    PM Modi: “লোকসভায় রাহুল গান্ধীর মতো আচরণ করবেন না”, এনডিএ-র বৈঠকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতো আচরণ করবেন না।” মঙ্গলবার এনডিএ-র (NDA) পার্লামেন্টারি বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর এই প্রথম এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মোদি। সেখানেই লোকসভায় কী রকম আচরণ করতে হয়, নয়া সাংসদদের সেই বিষয়ে পরামর্শ দিতে গিয়ে রাহুলের প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির (PM Modi)

    একজন চা-বিক্রেতা কীভাবে পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রী পদে বসলেন, কীভাবেই বা তিনি ছুঁয়ে ফেললেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরুর রেকর্ড, এদিনের বৈঠকে সেই কাহিনিও শোনান নব নির্বাচিত এনডিএ সাংসদদের। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বিরোধীপক্ষের সদস্যদের পূর্বপুরুষ (নিশানায় নেহরু-গান্ধী পরিবার) প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাই তাঁরা নিজেদের বৃত্তের বাইরের লোকজনকে খুব একটা মান্যতা দেন না।”

    সাংসদদের কী পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী?

    তিনি বলেন, “আপনারা সবাই পড়াশোনা করে এসে যে কোনও বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলুন, আলোচনায় অংশ নিন।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “সাংসদদের তাঁদের এলাকায় জনসাধারণের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।” জনকল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার যেসব প্রকল্প চালু করেছে, সেগুলি সম্পর্কেও জনগণকে অবহিত করার পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী। কোনও না কোনও ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের পরামর্শও এনডিএ (NDA) সাংসদদের দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের পর সংসদের উভয় কক্ষে ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মাঝে এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আর পড়ুন: রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন মোদি, আমেরিকাকে ঠিক কোন বার্তা দিতে চাইছে ভারত?

    বৈঠকের শেষে, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের অনেক পরামর্শ দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “পার্লামেন্টে রাহুল গান্ধীর ভাষা ঠিক ছিল না। তাই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সংসদে আমাদের এমন আচরণ করা উচিত নয়।” তিনি বলেন, “নিয়ম মেনে প্রত্যেক সাংসদকে হাউসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের কাজকে বেশি করে গুরুত্বও দিতে বলেছেন তিনি।”

    রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আজ আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের সেবা করতেই জনগণ নির্বাচন করেছেন সাংসদদের। তাই দলমত নির্বিশেষে দেশের কাজকেই তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত।” পরিবেশ, সমাজ, রাজনীতি – যাঁর যে বিষয়ে আগ্রহ, তাঁর সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RSS: শিক্ষায় দখলের অভিযোগ খড়্গের! পাল্টা তোপ ধনখড়ের

    RSS: শিক্ষায় দখলের অভিযোগ খড়্গের! পাল্টা তোপ ধনখড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দিনেও রাজ্যসভায় শাসক বিরোধী তরজা অব্যাহত। এদিন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মধ্যে প্রথমে মজার ছলে কথোপকথন শুরু হয়। কিন্তু খাড়গে তাঁর বক্তব্য আরএসএস (RSS) কেন্দ্রিক করতেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুজনের মধ্যে। নিটের বিষয়ে আলোচনা ইস্যুতে আরএসএসকে অহেতুক জড়িয়ে তির্যক মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভাপতি। পাল্টা জবাব দিতে সময় নষ্ট করেননি জগদীপ ধনখড়।  

    ঠিক কী হয়েছিল?

    এদিন রাজ্যসভায় মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেন, নিটের ৭০ টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সাত বছরে লিক হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, সবকিছু জেনেও চুপ থেকেছে মোদি সরকার। এর সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের লোকেরা (RSS) দেশের পঠন-পাঠন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সংস্থায় ঢুকে পড়েছে। তাঁর অভিযোগ এনসিইআরটি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে আরএসএস-এর লোকেরা বসে আছেন।

    জগদীপ ধনখড়ের পাল্টা জবাব (RSS)

    পাল্টা জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) প্রশ্ন করেন, আরএসএস করা কি অপরাধ? আরএসএস করলে কি কোনও ব্যক্তির কোনও সংস্থার প্রবেশাধিকার নষ্ট হয়ে যায়। আরএসএসের (RSS) প্রশংসা করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “আরএসএস রাষ্ট্রের অগ্রগতির জন্য দায়বদ্ধ। রাষ্ট্রের উন্নয়নে স্বয়ংসেবকদের অবদান অনস্বীকার্য।” সোমবার কংগ্রেস সভাপতি আরও অভিযোগ করে বলেন, রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ভাষণের প্রস্তাবের আড়ালে সরকার তাদের ব্যর্থতা লুকোতে চাইছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণে গরীব, দলিত ও সংখ্যালঘুদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। বিরোধীরা যখন সাধারণ মানুষের কথা বলছে, সেই সময় মোদি শুধু মন কি বাত করে যাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: ইভিএম নিয়ে ভুয়ো খবর, মিড ডে-র রিপোর্টার সহ একাধিক ব্যক্তির নামে এফআইআর

    প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনের সময় বিভাজনমূলক বক্তব্য রাখার জন্য অভিযুক্ত করে খাড়গে বলেন, “এর আগে দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী এ কাজ করেননি।” কংগ্রেস পার্টির ম্যানিফেস্টোকে যেভাবে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল তা অবাঞ্ছিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share