Tag: Rajya Sabha

Rajya Sabha

  • Rajya Sabha: নিট ইস্যুতে বিরোধীদের হট্টগোল! বারবার মুলতুবি রাজ্যসভা, ধনখড় বললেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক এবং অবিশ্বাস্য’’

    Rajya Sabha: নিট ইস্যুতে বিরোধীদের হট্টগোল! বারবার মুলতুবি রাজ্যসভা, ধনখড় বললেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক এবং অবিশ্বাস্য’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার পাশাপাশি নিট নিয়ে তুমুল হট্টগোল বিরোধীরা শুরু করে রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha)। কংগ্রেস তথা অন্যান্য বিরোধী দলগুলির এমন হট্টগোলে শুক্রবার বারবারই মুলতবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন। বিরোধীদের নেতৃত্ব দেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বিরোধী দলনেতার এমন ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। দেশের উপরাষ্ট্রপতি বিরোধীদের এমন আচরণকে দুর্ভাগ্যজনক এবং অবিশ্বাস্য আখ্যা দিয়েছেন।

    মল্লিকার্জুন খাড়্গের মতো একজন নেতা এই হট্টগোলগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন 

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার তিনবার রাজ্যসভার অধিবেশন (Rajya Sabha) মুলতবি করতে হয় বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে। এরপরে দুপুর আড়াইটা নাগাদ রাজ্যসভা অধিবেশন ফের চালু হলে জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘‘এটা আমার কাছে খুব দুঃখজনক এবং অবিশ্বাস্য ছিল যে মল্লিকার্জুন খাড়্গের মতো একজন নেতা যিনি ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংসদীয় রাজনীতির অভিজ্ঞতা রাখেন, তিনি এই হট্টগোলগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’’ এর সঙ্গে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সংযোজন, ‘‘কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার প্রমোদ তেওয়ারি একই ভাবে অংসদীয় আচরণ করছেন। এগুলো আমার কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আশা করি, বিরোধীদলের নেতারা সংসদে আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলবেন। উদাহরণ তৈরি করবেন যা অন্যান্যরা অনুসরণ করবে।’’

    মল্লিকার্জুন খাড়্গে মিথ্যা কথা বলছেন! 

    এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘মল্লিকার্জুন খাড়্গে মিথ্যা কথা বলছেন।’’ তিনি আরও সংযোজন করেন, ‘‘মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Rajya Sabha) ভুল রিপোর্টকে পেশ করছেন রাজ্যসভার সামনে।’’ বিরোধীদের এমন আচরণে রাজ্যসভাকে (Rajya Sabha) অপদস্থ হতে হয়েছে বলেও জানান উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর মতে, এতে গণতন্ত্রের মন্দিরের মর্যাদাও নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে নিট ইস্যুতে লোকসভাও এদিন বারবার মুলতুবি হয়ে যায়। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, নিট বিতর্কে যে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে তৈরি সরকার। তারা আলোচনাও করতে চায়। কিন্তু বিরোধীদেরও সেই আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। নিট প্রসঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। এই ঘটনায় সবরকম তদন্ত চলছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sudha Murty: “কালাম ফোন করেছেন ভাবতেই পারিনি”, কী বললেন সুধা মূর্তি?

    Sudha Murty: “কালাম ফোন করেছেন ভাবতেই পারিনি”, কী বললেন সুধা মূর্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত রাষ্ট্রপত এপিজে আবদুল কালামের ফোন ধরতে চাননি ভারতীয় শিক্ষাবিদ, লেখিকা তথা রাজ্যসভার সাংসদ (Rajya Sabha MP) সুধা মূর্তি (Sudha Murty)। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে এই কথা জানিয়েছেন তিনি। সেদিনের স্মৃতিচারণা করে ট্যুইটও করেছেন সুধা। তিনি ভেবেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি কালাম সে সময় তাঁর স্বামী ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তিকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু পরে জানতে পারেন কালাম তাঁকেই ফোন করেছিলেন। 

    সুধার স্মৃতিচারণা

    সুধা (Sudha Murty) বলেন, “একদিন, আমি একটি কল পেয়েছিলাম যে মিঃ আব্দুল কালাম আপনার সাথে কথা বলতে চান। আমি (অপারেটরকে) বলেছিলাম আব্দুল কালামের সঙ্গে আমার কথা হতে পারে না। ভুল হচ্ছে হয়তো কলটি নারায়ণ মূর্তির জন্য হতে পারে। মিস্টার মূর্তির পরিবর্তে, আপনি মিসেস মূর্তির সাথে সংযোগ করেছেন।” কিন্তু ওই অপারেটর তাঁকে জানান, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি তাঁর সঙ্গেই কথা বলতে চান। সুধার কথায়, তিনি ভাবতে থাকেন কেন কালাম তাঁকে ফোন করছেন। এরপর তিনি জানতে পারেন তাঁর একটি লেখার প্রশংসা করার জন্যই কালাম তাঁকে ফোন করেছেন।

    সুধার কর্মজীবন

    ভারতীয় শিক্ষাবিদ এবং লেখক সুধা মূর্তিকে (Sudha Murty) সম্প্রতি রাজ্যসভায় সাংসদ (Rajya Sabha MP) হিসাবে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সমাজসেবা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ইনফোসিসের কর্তা নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী সুধা শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট লেখিকা হিসাবে পরিচিত। ১৯৫০ সালে ১৯ অগস্ট কর্নাটকে জন্মগ্রহণ করেন সুধা। তিনি নিজে এক জন ইঞ্জিনিয়ার। নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ‘টাটা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লোকোমোটিভ কোম্পানি’তে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তিনি কাজ করেছেন। শুধু তা-ই নয়, বেঙ্গালুরুর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসাবেও কাজ করেছেন সুধা। কন্নড়, মারাঠি, ইংরেজি-সহ বিভিন্ন ভাষায় তাঁর ৪০টির বেশিও বই আছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে একাধিক কলম লিখেছেন তিনি। ২০০৬ সালে সুধাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়। ২০২৩ সালে তিনি পান পদ্মভূষণ সম্মান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha First Session: লোকসভার অধিবেশন শুরু ২৪ জুন, তিনদিন পরে বসছে রাজ্যসভাও

    Lok Sabha First Session: লোকসভার অধিবেশন শুরু ২৪ জুন, তিনদিন পরে বসছে রাজ্যসভাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন (Lok Sabha First Session) শুরু হচ্ছে ২৪ জুন। সংসদের এই বিশেষ অধিবেশন-পর্ব চলবে আট দিন। অধিবেশন শেষ হবে ৩ জুলাই। শুরু হচ্ছে রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশনও। তবে সেই অধিবেশন শুরু হবে অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের তিন দিন পর, ২৭ জুন। যদিও লোকসভার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হবে রাজ্যসভার অধিবেশনও। সংসদের এই অধিবেশনের খবর পাঠকদের আগেই দিয়েছিল মাধ্যম

    কী বললেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী? (Lok Sabha First Session)

    এবার এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করলেন সংসদ বিষয়ক ও সংখ্যালঘু বিষয়ক (Lok Sabhas First Session) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি জানান, নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথ গ্রহণ, স্পিকার নির্বাচন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং অন্যান্য আলোচনার জন্য আট দিনের এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সংসদের প্রথম দিন ২৪ জুন ও তার পরের দিন হবে সাংসদদের শপথগ্রহণ। স্পিকার নির্বাচন হতে পারে ২৬ জুন।

    প্রোটেম স্পিকার

    সূত্রের খবর, বিজেপি সাংসদ রাধামোহন সিংকে প্রোটেম স্পিকার করা হবে। সপ্তমবারের জন্য লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। প্রথা অনুযায়ী, প্রোটেম স্পিকারই শপথবাক্য পাঠ করাবেন নবনির্বাচিত সাংসদদের (Lok Sabha First Session)। সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করানো এবং স্পিকার নির্বাচনের পরের দিন ২৭ জুন সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। পাঁচ বছরের জন্য নয়া সরকারের রোডম্যাপ কী হতে চলেছে, সে সংক্রান্ত দিশা থাকতে পারে তাঁর ভাষণে।

    প্রসঙ্গত, সপ্তদশ সংসদে লোকসভায় অধিবেশন হয়েছিল ২৭৪টি। পেশ হয়েছিল ২০২টি বিল। পাশ করানো হয়েছিল ২২২টি বিল। ওই লোকসভার সময়সীমায় লোকসভা ও রাজ্যসভা (Rajya Sabha) মিলিয়ে পাশ হয়েছিল ২২১টি বিল। পরে রাষ্ট্রপতি স্বক্ষর করায় বিলগুলি পরিণত হয় আইনে (Lok Sabha First Session)।

    আর পড়ুন: “‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সোর্স অফ মানি কি?” প্রশ্ন আদালতের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sushil Modi: ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন, প্রয়াত বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা সুশীল মোদি

    Sushil Modi: ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন, প্রয়াত বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা সুশীল মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির এইমসে প্রয়াত হন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২। বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা গত এক মাস ধরে দিল্লির এইমসের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, আমার দলীয় সহকর্মী এবং কয়েক দশকের বন্ধু সুশীল মোদিজির অকাল প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। বিহারে বিজেপির উত্থান এবং দলের সাফল্যে তিনি অনবদ্য অবদান রেখেছেন। জরুরী অবস্থার তীব্র বিরোধিতা করে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন।

    দলের প্রতি দায়বদ্ধ 

    বিহারে ২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চার দফায় জোটসঙ্গী বিজেপির নেতা সুশীলকে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পাশে পেয়েছিলেন নীতীশ কুমার। রাজনীতির ময়দানে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুশীল।  চলতি মাসের গোড়ায় হিন্দিতে এক্স পোস্টে সুশীল লিখেছিলেন, ‘‘গত ছ’মাস ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছি। এখন মনে হল সবাইকে বিষয়টি জানানো দরকার। লোকসভা ভোটে আর কিছু করতে পারব না। প্রধানমন্ত্রীকে সব কিছু বলে দিয়েছি। তবে দেশ, বিহার এবং আমার পার্টির কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং নিবেদিত থাকব।’’ 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীত্বের ১০ বছর! বারবার মোদি গ্যারান্টিতে কেন ভরসা করেন দেশের মানুষ?

    শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল

    সুশীল মোদির এভাবে চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। তিন দশক ধরে বিহারের রাজনীতিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর বিহারে খালি হওয়া রাজ্যসভার একটি আসনে ২০২০ সালের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিলেন সুশীল। ২০২৫ সাল পর্যন্ত ওই পদে তাঁর মেয়াদ ছিল। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে রবিশঙ্কর প্রসাদ-সহ আরও অনেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৪ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, জায়গা পেলেন কারা?

    Rajya Sabha Election: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৪ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, জায়গা পেলেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির তরফ থেকে রবিবার প্রকাশ করা হয়েছে রাজ্যসভায় ১৪ জন দলীয় প্রার্থীর নাম। প্রসঙ্গত রাজ্যসভায় ভোট রয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। সারা দেশের ১৫ রাজ্যের ৫৬টি আসনে এই ভোট হবে বলে জানা গিয়েছে।

    সব থেকে বেশি আসন উত্তরপ্রদেশে

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha Election) বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রার্থী হয়েছেন ২০২২ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা আরপিএন সিং। যোগী রাজ্যে অন্যান্যদের মধ্যে নাম রয়েছে সুধাংশু ত্রিবেদী, চৌধুরী তেজবীর সিং, সাধনা সিং, অমর পাল মৌর্য, সঙ্গীতা বলবন্ত, নবীন জৈনের। প্রসঙ্গত, ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে চলা রাজ্যসভার নির্বাচনে সব থেকে বেশি আসন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে, তা হল দশটি। উত্তরপ্রদেশের প্রার্থী বাছাইয়ে দারুণ ভারসাম্যতা দেখা গিয়েছে। যেখানে কুর্মি, ব্রাহ্মণ, নিশাদ, জৈন, রাজপুত মৌর্য এই সমস্ত বর্ণের ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে। প্রার্থী তালিকায় এক্ষেত্রে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাখা হয়নি। জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে যাঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন তাঁরা লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

    কোথায় কে প্রার্থী

    বিহারের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সেখানে ছ’টি আসন রয়েছে। বিহারে বিজেপির সঙ্গে পুনরায় নীতীশের দলের জোট হয়েছে। এখান থেকে নাম পাঠানো হয়েছে ধর্মশিলা গুপ্তা এবং ভীম সিং-কে। বাদ পড়েছে সুশীলকুমার মোদির নাম। ছত্তিসগড় থেকে বিজেপি রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে রাজা দেবেন্দ্র প্রতাপ সিংকে। গন্ড রাজ পরিবারের সদস্য তিনি এবং রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ থাকা সরোজ পান্ডের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি। হরিয়ানা থেকে বিজেপির (Rajya Sabha Election) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুভাষ বারালার নাম যাচ্ছে। যিনি একজন জাঠ নেতা বলে পরিচিত। কর্নাটক থেকে রাজ্যসভার মনোনীত করা হচ্ছে নারায়ণ কৃষ্ণাসা ভান্ডাকেকে। উত্তরাখণ্ড থেকে রাজ্যসভায় বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন মহেন্দ্র ভট্ট। গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এখনও নাম সামনে আসেনি। চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহতেই ৫৮ জন রাজ্যসভার সাংসদ অবসর নেবেন। যাঁর মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও। বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডাও অবসর গ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election: বাংলা থেকে রাজ্যসভায় প্রার্থী কে? দিল্লিতে আজ ‘শাহি’ বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    Rajya Sabha Election: বাংলা থেকে রাজ্যসভায় প্রার্থী কে? দিল্লিতে আজ ‘শাহি’ বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগেই রয়েছে রাজ্যসভার নির্বাচন। বাংলায় পাঁচটি আসনে রাজ্যসভার নির্বাচন হবে। এর মধ্যে একটি আসন অঙ্কের হিসাবে বিজেপির পাওয়ার কথা। সেই আসনের জন্য রাজ্য বিজেপির তরফে চারটি নাম ঠিক করা হয়েছে। শর্টলিস্ট সেই চারজনের নাম থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী বেছে নিতেই আজ, সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

    কখন হবে বৈঠক

    রবিবার রাতেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই সফর নিয়ে আগাম কিছু না জানালেও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতেই দিল্লি যাত্রা শুভেন্দুর। বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভায় বাজেট অধিবেশনের ফাঁকেই শাহের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শুভেন্দুর। রবিবারই রাজ্যের তরফে কয়েকটি নাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই সব নিয়েই শুভেন্দুর সঙ্গে শাহের আলোচনা হতে পারে। তবে কখন সেই বৈঠক হবে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও সোমবার সকালে দিল্লি পৌঁছবেন।

    আরও পড়ুন: উদ্বোধনের মুখে আবু ধাবির প্রথম মন্দির, মার্বেল গিয়েছে রাজস্থান থেকে

    অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই পছন্দ

    বাংলা থেকে কাকে রাজ্যসভায় পাঠাবে বিজেপি, তা ঠিক করতে শনিবার সল্টলেকের রাজ্য দফতরে বৈঠক করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের দুই সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক)। বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, অরাজনৈতিক কোনও ব্যক্তিত্বকে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছে দল। এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধুকারী বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে নাম বাছাই করেছি। দিল্লির নেতারা তা খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’ 

    নির্বাচন কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৬টি আসনে ভোট হবে। এর মধ্যে ১৩টি রাজ্যের ৫০ জন সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২ এপ্রিল। বাকি দু’রাজ্যে ৬ সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ এপ্রিল।  রাজ্যসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি আগামী ৮ তারিখ প্রকাশিত হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। বিজেপি ঠিক করেছে ৭ তারিখের মধ্যেই তারা দলীয় প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করে ফেলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyan Banerjees Mimicry: কল্যাণকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ সাংসদরা!

    Kalyan Banerjees Mimicry: কল্যাণকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ সাংসদরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অকল্যাণকর’কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএ জোটের রাজনৈতিক দলগুলির সাংসদরা। মঙ্গলবারই উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের স্বর নকল করেছিলেন কল্যাণ। উপরাষ্ট্রপতির উদ্দেশে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই এদিন রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবেন এনডিএর ১০৯ জন সাংসদ।

    কী বললেন তৃণমূল নেত্রী?

    ঘটনাচক্রে এদিন দিল্লিতেই ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের মিমিক্রির দায় যে তিনি নেবেন না, তা তাঁর বয়ানেই স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “ওই বিষয়টি (কল্যাণের মিমিক্রি)দেখার জন্য সাংসদরা রয়েছেন। যা বলার, তাঁরাই বলবেন। আমি ও আমার দলের সাংসদরা সবাইকে সম্মান করেন।” মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বসেছিলেন বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। সেখানে কল্যাণকে ধনখড়ের স্বর নকল (Kalyan Banerjees Mimicry) করতে দেখা যায়। কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিও করেন। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কল্যাণের মিমিক্রি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলেন উপস্থিত সাংসদরা। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই কল্যাণকে ‘মুর্খো কি সর্দার’ আখ্যা দিয়েছেন নেট নাগরিকরা।

    উপরাষ্ট্রপতির পাশে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী

    ঘটনায় উপরাষ্ট্রপতিকে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। যেভাবে অঙ্গভঙ্গি করে একজন সাংসদ উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করেছেন ও বাকি সাংসদরা যেভাবে তাতে প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাতে মর্মাহত প্রধানমন্ত্রীও। ঘটনায় (Kalyan Banerjees Mimicry) সমব্যথী প্রধানমন্ত্রী। আমায় উনি বললেন ২০ বছর উনিও এরকম অপমান সহ্য করেছেন। তবে সংসদ চত্বরে এধরনের আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে সংসদ চত্বরে এই অপমান দুর্ভাগ্যজনক বলেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুন: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    কল্যাণকাণ্ডে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। ধনখড়ের অপমান আদতে জাঠ সম্প্রদায়ের অপমান বলে মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি সম্মানিত জাঠ সম্প্রদায়ের ভাই ও বোনেদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, বাংলার মানুষও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত একজন সাংসদের অসম্মানজনক ও সম্পূর্ণ লজ্জাজনক আচরণে বিরক্ত। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Kalyan Banerjees Mimicry) একজন কৃষকের পুত্র এবং সম্মানিত জাঠ সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। তিনি সব চেয়ে শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তি, কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গে তাঁর শাসনকালে সাংবিধানিক মূল্যবোধ, নিয়ম ও নিয়মাবলী সমুন্নত রেখেছিলেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেস (যা পরিবার ভিত্তিক দল) সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি শুধুমাত্র ভারতের মাননীয় উপরাষ্ট্রপতিকে বিদ্রুপ করেননি। সাংসদ প্রাঙ্গনে যখন অন্য সাংসদরা নির্লজ্জভাবে হাতহাতি দিচ্ছেন এবং উল্লাস করছেন তখন তাঁকে নকল করা কাম্য নয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার জনগণ অবশ্যই এই কাজের জন্য সাংসদ ও তাঁর আঞ্চলিক পরিবারভিত্তিক দলকে শিক্ষা দেবে।” 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: সংসদের কাজ মঙ্গলবারও ভেস্তে দিল বিরোধীরা, সাসপেন্ড ৪৯ সাংসদ, কড়া প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: সংসদের কাজ মঙ্গলবারও ভেস্তে দিল বিরোধীরা, সাসপেন্ড ৪৯ সাংসদ, কড়া প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারের পর মঙ্গলবারও বিরোধীদের তুমুল বিশৃঙ্খলা এবং হই-হট্টগোলের জেরে বন্ধ হয়ে গেল সংসদের কাজ। এদিন আরও ৪৯ জন বিরোধী সাংসদকে তাঁদের অসংসদীয় আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। বারংবার কোনওরকম ইস্যু ছাড়াই সংসদের অধিবেশন চলতে না দেওয়ার জন্য বিরোধীদের এক হাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi) এবং তিনি বিরোধীদের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘বিরোধীদের এই আচরণ তাদেরকে ক্ষমতায় ফিরতে বাধা দেবে।’’ প্রসঙ্গত, লোকসভায় স্মোককাণ্ডের পর থেকেই কোনও রকমের ইস্যু ছাড়াই এভাবে বিরোধীরা ভবনের কাজ ভেস্তে দিচ্ছে বারবার।

    সংবিধান, সংসদ মানেনা বিরোধীরা

    স্মোক কাণ্ডের পরপরেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটিও তৈরি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবং তার মাথায় বসানো হয়েছে সিআরপিএফ-এর আক শীর্ষ আধিকারিককে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বিবৃতিও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বাড়ানো হয়েছে সংসদের নিরাপত্তাও। গ্যালারি রুম এবং ভবনের মাঝখানে বসছে পুরু কাচের দেওয়াল। এ সমস্ত কিছুর মাঝখানে ফের বিরোধীদের এমন আচরণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘সংসদে যা ঘটেছে, সেই ঘটনার নিন্দা করার প্রয়োজন যৌথভাবে সবার ছিল।’’ বিরোধীদের এমন আচরণে তিনি হতাশ বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘জনসমর্থন রয়েছে আমাদের সরকারের প্রতি। বিরোধীরা সংবিধান এবং পার্লামেন্টের কোনও কিছুই মানছে না। কিন্তু আমরা সেই সংবিধানের জন্যই কাজ করে চলেছি। বিরোধীরা শুধুমাত্র সংবিধান এবং সংসদের ক্ষমতাকে খাটো করতে চায়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিরোধী জোট যখন মোদি সরকারকে উপড়ে ফেলার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন তাঁর সরকার এই দেশকে সাফল্যের এক নতুন শিখরে নিয়ে যেতে চাইছে।’’

    তিনদিনে সাসপেন্ড ১৪১ সাংসদ

    লোকসভা ও রাজ্যসভা সোমবারও চরম বিশৃঙ্খলা সাক্ষী থেকেছে, যার নেপথ্যে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। সোমবারও স্মোককাণ্ড নিয়ে তুমুল হই-হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। আর এ কারণেই ওইদিন দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট ৭৮ জন সাংসদকে চলতি শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। যার মধ্যে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। তার আগে, গত সপ্তাহে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ১৪ জন সাংসদকে। অর্থাৎ, এদিনের ধরে, তিনদিনে মোট ১৪১ জন বিরোধী সাংসদ সাসপেন্ড হলেন।

    এদিন সাসপেন্ড হলেন যাঁরা

    মঙ্গলবার সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের মালা রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাজদা আহমেদ, খলিলুর রহমান। কংগ্রেসের শশী তারুর, মণীশ তিওয়ারি, কার্তি চিদম্বরম, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, এনসি-র ফারুখ আবদুল্লা, এসপির ডিম্পল যাদব, ডিএমকে-র এস সেন্থিল কুমার, বিএসপির সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ দানিশ আলি, আপের সুশীল কুমার রিঙ্কু প্রমুখ। সোমবার সাসপেন্ড হয়েছিলেন— তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডল, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, অসিত মাল, শতাব্দী রায়। এ ছাড়া এই তালিকায় ছিলেন ডিএমকের তিন সাংসদ টিআর বালু, এ রাজা এবং দয়ানিধি মারান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বৈধ! রায় সুপ্রিম কোর্টের, জানেন এই ধারার ইতিহাস?

    Article 370: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বৈধ! রায় সুপ্রিম কোর্টের, জানেন এই ধারার ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের সঙ্গে সহমত দেশের শীর্ষ আদালত। ৩৭০ ধারা (Article 370 in Jammu and Kashmir) একটি ‘অস্থায়ী বিধান’। রাষ্ট্রপতির হাতে এটি বাতিল করার ক্ষমতা ছিল। সোমবার এমনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত আরও জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর সাংবিধানিক পরিষদ ভেঙে যাওয়ার পরেও ৩৭০ ধারা রদের বিজ্ঞপ্তি জারি করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির আছে। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, এটি আশা, অগ্রগতি এবং ঐক্যের বার্তা দেয়। 

    ৩৭০ ধারা কী?

    ৩৭০ ধারা ভারতীয় সংবিধানের একটি অস্থায়ী সংস্থান (‘টেম্পোরারি প্রভিশন’)। এই ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে (Article 370 in Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল। সংবিধানের ১১ নম্বর অংশে অস্থায়ী, পরিবর্তনশীল এবং বিশেষ সংস্থানের কথা বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ীই জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ সংবিধানের ধারাগুলি অন্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে।

    কবে অন্তর্ভুক্ত?

    ৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারা বলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত। ১৯৪৭ সালে এই ৩৭০ ধারার খসড়া প্রস্তুত করেন শেখ আবদুল্লা। জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী মহারাজা হরি সিংহ এবং জওহরলাল নেহরু তাঁকে নিয়োগ করেন। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্যপালের জন্য সদর-এ-রিয়াসত চালু ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বদলে ছিল প্রধানমন্ত্রী। যদিও ১৯৬৫ সালের পর তা উঠে যায়।

    ৩৭০ ধারায় বিশেষ সুবিধা

    ৩৭০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসের আগে পর্যন্ত প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থ এবং যোগাযোগ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে হস্তক্ষেপের অধিকার ছিল না কেন্দ্রের। জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও আইন প্রণয়নের অধিকার ছিল না সংসদেরও। আইন প্রণয়ন করতে হলে রাজ্যের সম্মতি নিতে হত। তাছাড়া আলাদা পতাকাও ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের। ৩৭০ ধারার (Article 370 in Jammu and Kashmir) অধীনেই ছিল ৩৫এ ধারা। এই ৩৫এ ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাও বিশেষ সুবিধা পেতেন। স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া অন্য রাজ্যের কেউ সেখানে স্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারতেন না। কিনতে হলে অন্তত ১০ বছর জম্মু-কাশ্মীরে থাকতে হত। এবার যে কোনও রাজ্যের বাসিন্দা সেখানে জমি কিনতে পারবেন।

    ৩৭০ ধারার ইতিহাস

    ১৯৪৭ সালের ২৬ শে অক্টোবর শেষ শাসক মহারাজা হরি সিং জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের পক্ষে আনার ক্ষেত্রে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন। ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর, তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন সেই চুক্তি অনুমোদন করেন। পুরো বিষয়টি কয়েকটি ক্ষেত্রের মধ্যেই সীমাবন্ধ ছিল। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ধারা ৩৭০ অনুযায়ী প্রথম আদেশ জারি করেন। যা ছিল জম্মু এবং কাশ্মীরের জন্য। যার মাধ্যমে বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করা হয় এবং যা সূচিবন্ধ করা হয়। ১৭ নভেম্বর, ১৯৫৬ সালে জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধান হয়। ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং থাকবে , সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়”, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার

    ২০১৯ সাল, ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় মোদি সরকার। আর সেই মতো পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয় জম্মু এবং কাশ্মীরকে ভেঙে। মোদি সরকারের এহেন সাহসী সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। আইনগত এবং সংবিধানিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত কতটা বৈধ, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেন্দ্রের যুক্তি, দেশের সংবিধান সভা জম্মু ও কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারায় বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীন দেশে সংবিধান প্রণয়নের পর ১৯৫৭ সালে সংবিধান সভা ভেঙে দেওয়া হয়। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ৩৭০ ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হলেও সেই মর্যাদা স্থায়ী ছিল না, বরং ছিল ‘অস্থায়ী সংস্থান’ ওই অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ইচ্ছে করলে ওই ‘বিশেষ মর্যাদা’ তুলে নিতে পারেন। রাষ্ট্রপতির ওই ক্ষমতাকে ব্যবহার করেই ২০১৯ সালে ‘বিশেষ মর্যাদা’ প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। 

    সুপ্রিম সিদ্ধান্ত

    যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা (Article 370 in Jammu and Kashmir) প্রয়োগ করা হয়েছিল। তা ছিল অস্থায়ী ব্যবস্থা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল না। সংবিধানের ৩৫৬ ধারা মোতাবেক জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল। তাই জম্মু কাশ্মীর থেকে কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই। এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বলল, ৩৭০ ধারা ছিল অস্থায়ী। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে তাদের সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে সমর্পণ করেছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shiboprosad Mukherjee: এই প্রথম কোনও বাঙালি পরিচালকের ছবি সংসদে প্রদর্শিত হবে, আপ্লুত শিবপ্রসাদ

    Shiboprosad Mukherjee: এই প্রথম কোনও বাঙালি পরিচালকের ছবি সংসদে প্রদর্শিত হবে, আপ্লুত শিবপ্রসাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগে একাধিক ছবি অবশ্য দেখানো হয়েছে রাজ্যসভা বা লোকসভায়। এবার এই প্রথম কোনও বাঙালি পরিচালকের সিনেমা প্রদর্শিত হবে রাজ্যসভায়। সংসদের লাইব্রেরি বিল্ডিংয়ে এই ছবি দেখানো হবে। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboprosad Mukherjee) এবং নন্দিতা রায়ের প্রথম হিন্দি ছবি ‘শাস্ত্রী বিরুদ্ধ শাস্ত্রী’ দেখানো হবে রাজ্যসভায়।

    অভিনয়ে কে কে আছেন (Shiboprosad Mukherjee)?

    এই সিনেমা ইতিমধ্যেই বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম মায় ওটিটি-তেও দেখা যাচ্ছে। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন, মিমি চক্রবর্তী, নীনা কুলকার্ণি, মনোজ জোশি, শিব পণ্ডিত, কবীর পাওয়ার এবং আরও অনেকে। শিবপ্রসাদ-নন্দিতার মতো, এই ছবির হাত ধরে, প্রথমবার হিন্দি ছবিতে ডেবিউ হয়েছে মিমি চক্রবর্তীরও। তবে ছবিতে প্রধান চরিত্রের ভূমিকায় রয়েছেন পরেশ রাওয়াল। আগামী ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ রাজ্যসভায় দেখানো হবে ‘শাস্ত্রী বিরুদ্ধ শাস্ত্রী’। জানা গিয়েছে শিবপ্রসাদের (Shiboprosad Mukherjee) উইন্ডোজ প্রযোজনার এই ছবিটি বাংলা ‘পোস্ত’ সিনেমার হিন্দি সংস্করণ। সৌমিত্রের জায়গায় অভিনয় করেছেন পরেশ রাওয়াল।

    কী বললেন শিবপ্রসাদ

    সিনেমার বাঙালি পরিচালক শিবপ্রসাদ (Shiboprosad Mukherjee) বলেছেন, “আমার বন্ধু দেবাশীষ অনেক দিন যাবৎ দিল্লিতে থাকেন, ওঁর অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল সংসদে এই সিনেমা দেখানো হোক। আমার প্রথম হিন্দি সিনেমা মানুষের ভালোবাসা এবং উৎসাহে ধন্য হয়েছে। একবার মুম্বইতে চিত্র পরিচালক মাজিদ মাজিদির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। তিনি আমাকে বলেছিলেন সিনেমা হল নদীর মতো বয়ে চলা একটি প্রবাহ। সিনেমা নিজের দর্শক নিজেই খুঁজে নেয়। এই সিনেমার ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে।”

    পরেশ রাওয়ালের বক্তব্য

    সিনেমায় প্রধান চরিত্রের অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সিনেমার পরিচালক শিবপ্রসাদকে (Shiboprosad Mukherjee) বলেছেন, “এই সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ সিনেমায় আমাকে কাজের সুযোগ দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। পরিচালক হিসাবে আপনার জীবনের সাফল্য কামনা করি। এই সিনেমায় আমি কাজ করতে না পারলে হয়তো আমার জীবন অসম্পূর্ণ থাকত। সিনেমায় অত্যন্ত সুন্দর বার্তাবহ পরিমণ্ডল নির্মাণ করেছেন। আপনাকে শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share