Tag: Rajya Sabha

Rajya Sabha

  • Sudha Murthy: রাজ্যসভায় সাংসদ মনোনীত সুধা মূর্তি, নারী দিবসে খুশির খবর দিলেন মোদি

    Sudha Murthy: রাজ্যসভায় সাংসদ মনোনীত সুধা মূর্তি, নারী দিবসে খুশির খবর দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর জামাই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। আর তিনি পা রাখতে চলেছেন ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষে। হ্যাঁ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের শাশুড়ি সুধা মূর্তির (Sudha Murthy) কথাই বলছি। তিনি ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী। সুধার বড় পরিচয়, তিনি শিক্ষাবিদ, নাম করা লেখিকাও। এহেন শিক্ষাবিদকে রাজ্যসভায় সাংসদ হিসেবে মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

    সুধাকে নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (Sudha Murthy)

    শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এক্স হ্যান্ডেলে এ ব্যাপারে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাজ্যসভার জন্য সুধা মূর্তিকে মনোনীত করেছেন। এই খবরে আমি খুব খুশি। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুধাজির অবদান অনস্বীকার্য। সামাজিক, জনহিতকর ও শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি অনেক কাজ করেছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংসদের উচ্চকক্ষে সুধা মূর্তির (Sudha Murthy) উপস্থিতি আমাদের নারী শক্তির ক্ষেত্রে শক্তিশালী পদক্ষেপ। সাংসদ হিসেবে তাঁর সময়কালের জন্য অভিনন্দন জানাই।”

     চিনে নিন সুধা মূর্তিকে 

    সুধা ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা। পদ্মভূষণ সম্মানও পেয়েছেন। বছর তিয়াত্তরের সুধা বিয়ে করেছিলেন ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তিকে। তাঁদের দুই সন্তান রোহন ও অক্ষতা। এই অক্ষতার স্বামী ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী সম্মান পান সুধা। গত বছর ফের পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয় তাঁকে। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনফোসিস ফাউন্ডেশন। গেটস ফাউন্ডেশনের সদস্যও ছিলেন তিনি। কর্নাটকে একাধিক অনাথ আশ্রম খুলেছেন সুধা। উন্নয়নমূলক নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর শাশুড়ি।

    টাটা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লোকোমোটিভ কোম্পানিতে মহিলা ইঞ্জিনিয়র হিসেবে কাজ করেছেন সুধা। পরে ওয়ালচাঁদ গোষ্ঠীতে যোগ দেন সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে। বেঙ্গালুরু ও ক্রাইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও কাজ করেছেন সুধা। ইংরেজি, কন্নড় ও মারাঠি ভাষায় বই লিখেছেন ৪০টিরও বেশি। ইংরেজি ও কন্নড় সংবাদপত্রে প্রচুর কলামও লিখেছিলেন সুধা। তাঁর লেখা জনপ্রিয়তম বইগুলির মধ্যে রয়েছে ‘মহেশ্বতা’, ‘হাউ আই টট মাই গ্র্যান্ডমাদার টু রিড’, ‘ডলার বহু’।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাটে বিজেপির প্রার্থী মহম্মদ শামি? রাজ্য রাজনীতিতে নয়া জল্পনা

    সুধা যে রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন, কিছুদিন ধরে সেই জল্পনা চলছিলই। দিন কয়েক আগে তিনি গিয়েছিলেন নয়া সংসদ ভবনে। শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীনই নয়া সংসদ ভবনে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তার পরে বেড়েছিল জল্পনার পারদ। যা সত্যি হল ঠিক নারী দিবসেই (Sudha Murthy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election 2024: রোখা গেল না ক্রশ ভোটিং, হিমাচলে হার কংগ্রেস প্রার্থী সিংভির

    Rajya Sabha Election 2024: রোখা গেল না ক্রশ ভোটিং, হিমাচলে হার কংগ্রেস প্রার্থী সিংভির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হল রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election 2024) ১৫টি আসনে নির্বাচন। ৫৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪১জন জিতে গিয়েছিলেন আগেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন বিভিন্ন দলের ওই ৪১জন। বাকি আসনগুলিতে হয়েছে নির্বাচন। এই আসনগুলি উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক ও হিমাচল প্রদেশের।

    নজরে উত্তরপ্রদেশ

    জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে রাজ্যসভার আসন খালি ছিল ১০টি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি জিতেছে সাতটিতে। তিনটিতে জয়ী হতে পারে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। কর্নাটকে রাজ্যসভার আসন রয়েছে চারটি। প্রার্থী পাঁচজন। এখানে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে তিনটি আসনে। বিজেপি জিতেছে একটিতে। কংগ্রেসের তরফে জয়ী হয়েছেন অজয় মাকেন, জিসি চন্দ্রশেখর এবং সঈদ নাসির হুসেন। আর পদ্ম প্রতীকে জয়ী হয়েছেন নারায়ণসা কে ভাণ্ডেজ। মাকেনও জিতেছেন ক্রশ ভোটিংয়ের জেরে। বিজেপি বিধায়ক এসটি সোমশেখর ভোট দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। ভোট দানে বিরত ছিলেন শিবরাম হেব্বার।

    হিমাচলে দোদুল্যমান কংগ্রেস!

    হিমাচল প্রদেশে (Rajya Sabha Election 2024) ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও এখানে মুখ থুবড়ে পড়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী। বিজেপির চেয়ে তাদের বিধায়ক সংখ্যাও ঢের বেশি। তা সত্ত্বেও বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজন জয়ী হয়েছেন ক্রশ ভোটিংয়ের জেরে। এখানে হর্ষর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি। তাঁকে জেতাতে হুইপ জারি করেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তার পরেও রোখা যায়নি ক্রশ ভোটিং। সিংভি বলেন, “গতকাল রাত থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের আগেই লাগু সিএএ আইন! নোটিশ জারি কবে জানেন?

    তবে হর্ষকে অভিনন্দন জানান সিংভি। তিনি বলেন, “হর্ষ মহাজনকে অভিনন্দন জানাই। উনি জয়ী হয়েছেন। আমি শুধু ওঁর দলকে একটি কথাই বলতে চাই, আয়নায় নিজেদের দেখুন। এক নৈশভোজেই মানুষ পাল্টে যায় ভাবলে তা মূর্খের দুনিয়ায় বাস করার সমতুল।” প্রসঙ্গত, ১৩টি জেলায় ৫০টি রাজ্যসভা আসনের সাংসদদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২ এপ্রিল। ওড়িশা ও রাজস্থানের ছয় রাজ্যসভার সাংসদ অবসর নেবেন ৩ এপ্রিল (Rajya Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Public Examination Bill 2024: সরকারি চাকরির নিয়োগে ‘চিটিং’ করলেই শাস্তি! নতুন বিল আনছে কেন্দ্র

    Public Examination Bill 2024: সরকারি চাকরির নিয়োগে ‘চিটিং’ করলেই শাস্তি! নতুন বিল আনছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগের জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতি রুখতে সক্রিয় কেন্দ্র সরকার। এর জন্য ‘অ্যান্টি চিটিং বিল’ বা তঞ্চকতা বিরোধী বিল আনল কেন্দ্র সরকার। আপাতত সরকারি পরীক্ষার দুর্নীতি প্রতিরোধ করাই এই বিলের একমাত্র লক্ষ্য। শুক্রবার রাজ্যসভাতেও ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেল সরকারি পরীক্ষার দুর্নীতি দমন বিল। এর নাম ‘দ্য পাবলিক এক্সামিনেশনস (প্রিভেনশন অফ আনফেয়ার মিনস) বিল, ২০২৪’ (Public Examination Bill 2024)।

    কেন এই বিল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চান না দেশের ভবিষ্যৎ যে তরুণ-তরুণীরা তাঁদের ভবিষ্যৎ কিছু প্রতারক বা তঞ্চকের কুকর্মের জন্য নষ্ট হোক। বাজেট অধিবেশন চলাকালীন মঙ্গলবারই সেই বিল পাশ হয়েছিল সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায়। শুক্রবার রাজ্যসভাতেও এই বিল পাশ হল। ফলে এই বিলের আইন হওয়ার পথে আর একটিই ধাপ বাকি রইল। এর পরে রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলেই আইনে পরিণত হবে সরকারি চাকরির পরীক্ষার দুর্নীতি প্রতিরোধক বিল (Public Examination Bill 2024)। এই বিল আইনে পরিণত হলে এই আইন অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্তদের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এই বিলের অধীনে সমস্ত অপরাধ জামিন অযোগ্য নয়। এই অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ নিজে থেকে ব্যবস্থা নিতে পারবে। পরোয়ানা ছাড়াও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জেরা এবং গ্রেফতার করার ক্ষমতা থাকবে পুলিশের হাতে। সরকারের দাবি, এই বিল আইন হিসাবে এলে কেন্দ্রের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, টুকলির মতো অনিয়মগুলি আটকানো পুরোপুরি সম্ভব হবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘চলিয়ে, আপকো এক পানিশমেন্ট দেনা হ্যায়’’, আট সাংসদকে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ মোদির

    এই বিলের আওতায় কোন কোন পরীক্ষা

    দেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম মোকাবিলা করার জন্য এত দিন কোনও আইন ছিল না। এবার তা রোধ করা সম্ভব হবে বলে অভিমত সরকারের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই বিল সম্পর্কে লোকসভায় বলেন, মেধাবী ছাত্র এবং প্রার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্যই এই বিলের বিধানগুলি তৈরি হয়েছে। জিতেন্দ্র সিং এ দিন বলেন, সরকার “সংগঠিত অপরাধের বিনিময়ে মেধাবী (প্রার্থীদের) বলি দিতে দেবে না ৷” শিক্ষার্থী এবং প্রার্থীরা এই বিলের আওতায় পড়বেন না এবং চাকরিপ্রার্থীদের এই বিলের জন্য কোনও ক্ষতি হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিলের অধীনে যে সব কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির কথা বলা হয়েছে সেগুলি হল, ইউপিএসসি, স্টাফ সিলেকশন কমিশন, রেল, ব্যাঙ্ক, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির মতো পরীক্ষা (Public Examination Bill 2024)। এই বিলে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও তার ফাঁসের চক্রান্ত, প্রশ্নপত্র বা ওএমআর শিট জোগাড় করা, উত্তর ফাঁস, পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় কারচুপি, জাল অ্যাডমিট কার্ড বিলি, পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক সাহায্য-সহ ১৫ রকমের অনিয়মের কথা বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mallikarjun Kharge: “আব কি বার ৪০০ পার…”! খাড়্গের মুখে বিজেপির স্লোগান শুনে কী করলেন মোদি?

    Mallikarjun Kharge: “আব কি বার ৪০০ পার…”! খাড়্গের মুখে বিজেপির স্লোগান শুনে কী করলেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আব কি বার ৪০০ পার হো রহা।” বিজেপির এই স্লোগানই শোনা গেল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) গলায়। যা শুনে হাসির রোল ওঠে রাজ্যসভায়। বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে খাড়্গের এহেন বেফাঁস মন্তব্যের জেরে বিব্রত কংগ্রেসের পাশাপাশি ইন্ডি জোটের সাংসদরাও।

    বিজেপির স্লোগান!

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনের চেয়েও বেশি কেন্দ্রে জিতে এবার দিল্লির তখতে ফিরতে চাইছে বিজেপি। মাস দুয়েক আগে দিল্লিতে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “এবার চারশোর বেশি আসন নিয়ে কেন্দ্রে ফিরতে হবে।” এর পরেই বিজেপির তরফে স্লোগান বাঁধা হয়, “আব কি বার ৪০০ পার”। বিজেপিকে খোঁচা দিতে গিয়ে পদ্ম শিবিরের সেই স্লোগানকে হাতিয়ার করতে গিয়ে দলকেই অস্বস্তিতে ফেললেন খাড়্গে।

    বেফাঁস খাড়্গে

    রাজ্যসভায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “আপনাদের এত প্রতিনিধি, আগে ৩০০-৩৩৪ ছিল, এখন তো ৪০০ পার হয়ে যাবে।” তিনি বলেন, “তাদের (বিজেপিকে) প্রথম স্থান নিতে দিন। যাঁরা এখানে উপস্থিত রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কৃপা রয়েছে।” খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) এহেন মন্তব্যে হাসির রোল ওঠে সংসদে। হেসে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। হাসতে থাকেন ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যরা। হেসে ফেলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ও।

    আরও পড়ুুন: ভারতরত্ন পাচ্ছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদি

    পীযূষ গয়াল বলেন, “আজ, খাড়্গেজি অবশেষে সত্যি কথাটা বললেন। ধনখড়ও বলেন, আমার মনে হয়, বিরোধী নেতার আগে কখনও এত প্রশংসা করা হয়নি। এটা একটা রেকর্ড। আপনার (মল্লিকার্জুন খাড়্গে) বক্তব্যের প্রশংসা করছে সবাই।” অপ্রস্তুত অবস্থা কাটাতে খাড়্গে বলেন, “আমি জানি কেন প্রশংসা করা হচ্ছে। ওরা (বিজেপি) নিজের ঢাক নিজেই বাজাচ্ছে, বলছে যে বিজেপি ৪০০ থেকে ৫০০ আসনে জয়ী হবে। বিজেপি ১০০ আসনও পার করবে না। ইন্ডি-জোট যথেষ্ট শক্তিশালী।”

    খাড়্গের বেফাঁস মন্তব্যকে হাতিয়ার করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। বক্তব্যটি (Mallikarjun Kharge) পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ভাবছেন— আমার নতুন নিন্দুকের প্রয়োজন, পুরানোরা আমার ফ্যান হয়ে গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 141 MPs Suspended: সংসদের চেম্বার, লবি-গ্যালারিতেও প্রবেশ নিষিদ্ধ সাসপেন্ডেড সাংসদদের, জারি নির্দেশিকা

    141 MPs Suspended: সংসদের চেম্বার, লবি-গ্যালারিতেও প্রবেশ নিষিদ্ধ সাসপেন্ডেড সাংসদদের, জারি নির্দেশিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসংসদীয় আচরণের জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভা— সংসদের (Parliament of India) দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট ১৪১ জন সাংসদকে সাসেপেন্ড (141 MPs Suspended) করা হয়েছে। এবার সাসপেন্ডেড সাংসদদের ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। 

    কী নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলো

    সোমবার ও মঙ্গলবার মিলিয়ে লোকসভা থেকে ৯৫ জন ও রাজ্যসভা থেকে ৪৬ জন বিরোধী সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছেন। সাসপেন্ড (141 MPs Suspended) হওয়া সাংসদরা সংসদ ভবন (Parliament of India) চত্বরে মঙ্গলবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এর পরই লোকসভার সচিবালয়ের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সচিবালয়ের প্রকাশ করা সার্কুলারে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে ১৪১ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তারা শুধু লোকসভা ও রাজ্যসভার কক্ষেই নন, সংসদের চেম্বার, লবি ও গ্যালারিতেও ঢুকতে পারবেন না।

    আচরণ-বিধিভঙ্গ সাংসদদের

    সংসদে বিরোধীদের হই-হট্টগোল প্রসঙ্গে মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৩ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটেছে, সব জায়গায় যে ঘটনার দ্ব্যর্থহীনভাবে বিরোধিতা করা হচ্ছে, এটা সমবেতভাবে বিরোধীদের একটা ‘পলিটিকাল স্পিন’। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী মঙ্গলবার বলেন, নতুন সংসদ ভবনে (Parliament of India) কেউ প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু, বিরোধীরা তা ভঙ্গ করেছেন। যে কারণে, সংসদকে পদক্ষেপ করতে হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এটি সম্পূর্ণ যথাযথ পদক্ষেপ। সাংসদরা লোকসভার স্পিকার, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ও সংসদকে অপমান করেছে। সেই কারণেই তাদের সাসপেন্ড (141 MPs Suspended) করা হয়েছে।

    গত ১৩ ডিসেম্বর, সংসদে হামলার ২৩ বছর পূর্তির দিনই সংসদে স্মোক বম্ব নিয়ে হামলা চালায় দুই যুবক। ওই হামলা নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে বিবৃতির দাবিও করা হয়। তাদের দাবি না মেটায়, সংসদে ধুন্ধুমার বাঁধাতে শুরু করেন বিরোধীরা। যার জেরে, দফায় দফায় মোট ১৪১ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha: অভব্য-অসংসদীয় আচরণের বিরুদ্ধ কড়া মোদি সরকার, ২ দিনে সাসপেন্ড ১১৬ সাংসদ

    Lok Sabha: অভব্য-অসংসদীয় আচরণের বিরুদ্ধ কড়া মোদি সরকার, ২ দিনে সাসপেন্ড ১১৬ সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারও লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল ৪৯ জন সাংসদকে (Lok Sabha)। গত ২ দিনে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট সাসপেন্ড সংখ্যা দাঁড়াল ১১৬। ইস্যুহীন বিরোধীরা সংসদের কাজ ভেস্তে দিতে যে ধরনের অভব্য আচরণ শুরু করেছে তা যে কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না, ১০০-এর ওপর সাংসদকে সাসপেন্ড করে সেই বার্তাই পৌঁছে দিল মোদি সরকার। সম্প্রতি ৩ রাজ্যে বিজেপির কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে বিরোধীরা। তাই হতাশার জায়গা থেকেই বিরোধীরা এধরনের আচরণ করছে, এমন কথাই উঠে এল সংসদ বিষয়ক (Lok Sabha) মন্ত্রীর ভাষণে।

    প্রহ্লাদ জোশির বিবৃতি

    এদিন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেন, ‘‘এটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে প্ল্যাকার্ড হাতে সংসদে বিক্ষোভ দেখানো যাবেনা, তা সত্ত্বেও বিরোধীরা সেই কাজ করল।’’

    সংসদের ঐতিহ্য ও গরিমা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাই এমন সিদ্ধান্ত

    বিরোধী সাংসদের সাসপেন্ডের প্রস্তাব এদিন পেশ করেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল। ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে সেই প্রস্তাব পাশ (Lok Sabha) হয়। ফারুক আবদুল্লা, মণীশ তেওয়ারি, ডিম্পল যাদব, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কার্তী চিদম্বরম সমেত ৪৯ জনকে এদিন সাসপেন্ড করা হয়। সংসদের ঐতিহ্য, গরিমা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে কারণেই বাধ্য হয়ে মোদি সরকারকে এই পদক্ষেপ (Lok Sabha) গ্রহণ করতে হল বলে মনে করছে কোনও কোনও মহল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CEC ECS Bill: রাজ্যসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল

    CEC ECS Bill: রাজ্যসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিল (CEC ECS Bill)। মঙ্গলবার বিলটি পেশ হয়েছিল রাজ্যসভায়। সেখানেই পাশ হয় বিলটি। মার্চ মাসেই নির্বাচন কমিশন গঠনে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশে বলা হয়েছিল, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ অন্য কমিশনার নিয়োগের দায়িত্বে থাকা কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও।

    ধ্বনিভোটে পাশ বিল

    ওই কমিটি থেকে প্রধান বিচারপতির নাম বাদ দিতে অগাস্টেই বিল এনেছিল সরকার। সেই বিলেই কিছু সংশোধন করে এদিনই তা পেশ করা হয় সংসদে। ১৯৯১ সালের আইন অনুযায়ী এতদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের (CEC ECS Bill) নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও ধারা ছিল না। সেই আইন বদল করতেই পেশ করা হয় নয়া বিল। এদিন যা ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গেল সংসদের উচ্চকক্ষে।

    সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ পদে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। মামলার নিষ্পত্তি ঘটাতে গঠিত হয়েছিল বিচারপতি অজয় রাস্তোগী, কেএম জোসেফ, অনিরুদ্ধ বোস, সিটি রবিকুমার এবং হৃষিকেশ রায় – এই পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারার অধীনে এই বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা অনিবার্য প্রয়োজনীয়তা বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। বেঞ্চ জানায়, “গণতন্ত্র জনগণের ক্ষমতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত… গণতন্ত্র সাধারণ মানুষের হাতে শান্তিপূর্ণ বিপ্লবকে সহজতর করে তুলবে। তবে সেজন্য নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে হবে। কোনও দুর্বল নির্বাচন কমিশন তাদের আসল দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। ক্ষমতা দখলই অনেক সময় রাজনৈতিক দলগুলির মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু গণতন্ত্রে সরকারের কার্যক্রম ন্যায়পরায়ণ হওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সাত সকালেই আয়কর হানা

    এদিন সরকারের তরফে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। তিনি বলেন, “আগের আইনে কিছু দুর্বলতা ছিল। তাই তা বদলে নয়া আইনের প্রয়োজন ছিল। যে কেউই ভারতের নির্বাচন কমিশনার (CEC ECS Bill) হতে পারেন। কিন্তু সেই পদে বসার জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Derek O’Brien: ধনখড়ের সঙ্গে তুমুল বিতণ্ডা, বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক

    Derek O’Brien: ধনখড়ের সঙ্গে তুমুল বিতণ্ডা, বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমের পর ফের মঙ্গলবার। এবারও অসংসদীয় আচরণের অভিযোগের আঙুল উঠল রাজ্যসভার সাংসদ তৃণমূলের (TMC) ডেরেক ও’ব্রায়েনের (Derek O’Brien) দিকে। তার জেরে সংসদের বাদল অধিবশনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করা হল এই তৃণমূল নেতাকে।

    ডেরেক ধনখড় তর্কাতর্কি

    সোমবার দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে বিতর্ক চলছিল রাজ্যসভায়। বিলের বিরোধিতায় বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূলের ডেরেক (Derek O’Brien)। বিল নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগও তোলেন তিনি। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় তাঁকে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে অনুরোধ করেন। অন্য সদস্যদের বলতে সুযোগ দেওয়ার জন্য যে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করা প্রয়োজন, তাও মনে করিয়ে দেন ধনখড়। সেসব কথায় কান না দিয়ে বক্তব্য চালিয়ে যেতে থাকেন তৃণমূল নেতা। এনিয়েই এদিন ব্যাপক তর্কাতর্কি হয় ডেরেকের সঙ্গে ধনখড়ের।

    ফের শুরু হট্টগোল

    মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই রাজ্যসভায় শুরু হয় হট্টগোল। সাংসদ কংগ্রেসের রাজীব শুক্লা বলেন, “ভারতকে ডিজিটাল করার চেষ্টা চলছে, আর গতকাল (সোমবার) সংসদে ভোটাভুটি করা হয়নি।” ইলেকট্রনিক ভোটিং ব্যবস্থা বিকল হওয়ায় সমস্যা হয়। তার জেরে এদিন রাজীব বলেন, “চেয়ারম্যান যেন দোষীদের তিরস্কার করে দেন।” তখনই ধনখড় বলেন, “যদি কোনও ভুল হয়, আমি তা শুধরে নিই। আগের দিনই ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien) দুটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিনি সঠিক ছিলেন। তাই আমি নিজে সেই বদল করেছিলাম।“

    এরপর মণিপুর নিয়ে হট্টগোল জুড়ে দেন বিরোধীরা। ধনখড় তাঁদের বলেন ইতিমধ্যেই এনিয়ে রাজ্যসভায় বক্তব্য পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তখনই ‘পয়েন্ট অফ অর্ডার’ ডেকে ওঠেন ডেরেক (Derek O’Brien)। এবং নিজের বক্তব্য পেশ করতে শুরু করেন। তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আমরা মণিপুর ইস্যুতে আলোচনা চাই। তবে সরকার পক্ষ যেভাবে এই আলোচনা চাইছে, আমরা তা চাই না।” ধনখড় তাঁকে বসিয়ে দিয়ে ‘পয়েন্ট অফ অর্ডারে’র নিয়মাবলীর ক্রমতালিকা জিজ্ঞেস করেন। ডেরেক বলেন, “৯২ পাতার ২৬৭ নম্বর নিয়ম।”

    আরও পড়ুুন: মোদির মুখে ‘কুইট ইন্ডিয়া’! জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসের মঞ্চে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    এর পরে ফের শুরু হয় তীব্র হট্টগোল। চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন ধনখড়। তখনই রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়াল ডেরেকের সাসপেনশনের প্রস্তাব দেন। তার পরেই সাসপেন্ড করা হয় ডেরেককে (Derek O’Brien)। অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করে বেরিয়ে যান চেয়ারম্যান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Delhi Ordinance Bill 2023: লোকসভার চৌকাঠ পেরিয়ে রাজ্যসভায় যাচ্ছে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল, পেশ করবেন শাহ?  

    Delhi Ordinance Bill 2023: লোকসভার চৌকাঠ পেরিয়ে রাজ্যসভায় যাচ্ছে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল, পেশ করবেন শাহ?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার হার্ডল পেরিয়েছে। এবার পার হতে হবে রাজ্যসভার চৌকাঠ। তারপর রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল ২০২৩ (Delhi Ordinance Bill 2023) যাবে রাষ্ট্রপতি ভবনে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই বিলটি পরিণত হবে আইনে। সূত্রের খবর, ৭ অগাস্ট, সোমবার রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    লোকসভায় হট্টগোল

    দিন দুয়েক আগেই লোকসভায় ধ্বনি ভোট পাশ হয়েছে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল ২০২৩ (Delhi Ordinance Bill 2023)। বিলের বিরোধিতা করেন আম আদমি পার্টি সহ বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের সাংসদরা। লোকসভা থেকে ওয়াক আউটও করেন তাঁরা। চেয়ারের দিকে কাগজ ছুড়ে মারার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় আপ সাংসদ সুশীল কুমার রিঙ্কুকে। বিলটি নিয়ে আলোচনার সময় অমিত শাহ নিশানা করেন বিরোধীদের। তিনি বলেন, “২০১৫ সালে একটি দল ক্ষমতায় এসেছিল, যাদের উদ্দেশ্য ছিল লড়াই করা, সেবা করা নয়।” তিনি বলেন, “ট্রান্সফার পোস্টিং করানোর অধিকার না পাওয়াটা সমস্যা নয়, বরং বাংলো নির্মাণের সময়ের দুর্নীতি লুকোতে ভিজিলেন্স ডিপার্টমেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ বড় সমস্যা।”

    বিরোধীদের নিশানা শাহের

    তিনি (Delhi Ordinance Bill 2023) বলেন, “কেজরিওয়ালের আমলে দিল্লির আমলা নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা দেখা গিয়েছে। এদিকে, দিল্লির আইন প্রণয়নের অধিকার রয়েছে কেন্দ্রের। সেই জায়গা থেকেই এই বিল পাশ হয়েছে।” শাহ বলেন, “বিরোধীদের বলতে চাই, শুধু মাত্র জোটে রয়েছেন বলে এই কোটি টাকা ব্যয়ের বাংলো সংস্কারকে সমর্থন করবেন না। কারণ আপনাদের জোট থাকলেও নরেন্দ্র মোদি জিতবেন।” শাহ বলেন, “এই কারণেই নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, বিআর আম্বেদকর সহ একাধিক নেতা চেয়েছিলেন, দিল্লি যেন পৃথক রাজ্যের মর্যাদা না পায়।” বিরোধীদের ব্যাপক হট্টগোলের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে বিলটি পাশ হয়ে গিয়েছে লোকসভায়। এবার বিলটি পেশ হবে রাজ্যসভায়।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ধর্নাকে ‘চোরেদের ধর্না’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে, সোমবার বিল পেশ হওয়ার পর হবে আলোচনা। তারপর এদিন সন্ধ্যায়ই ভোটাভুটি (Delhi Ordinance Bill 2023) হতে পারে। এদিন বিরোধীদের হয়ে মুখ খুলতে পারেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি। সুপ্রিম কোর্টেও বিলটি নিয়ে আপের হয়ে সওয়াল করেছেন তিনিই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share