Tag: Rajya Sabha

Rajya Sabha

  • Parliament Monsoon Session: কেন আগেই মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের অধিবেশন? জানুন আসল কারণ

    Parliament Monsoon Session: কেন আগেই মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের অধিবেশন? জানুন আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশন (Monsoon Session) শেষ হওয়ার কথা ছিল ১২ অগাস্ট। যদিও সোমবার বিকেলেই তা মুলতুবি হয়ে যায়। যার অর্থ নির্ধারিত সময়ের চারদিন আগেই মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের বাদল অধিবেশন। যা নিয়ে শাসক ও বিরোধী পক্ষে শুরু হয়েছে ট্যুইট যুদ্ধ। এনিয়ে সাতবার নির্ধারিত সময়ের আগেই মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের উভয় কক্ষ লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভার (Rajya Sabha) অধিবেশন। আসুন, জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই মুলতুবি করে দেওয়া হল বাদল অধিবেশন।

    সরকারি সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে দুদিন সরকারি ছুটি। একটি মহরমের জন্য, অন্যটি রাখিবন্ধনের। এই দুই অনুষ্ঠান পালন করতে সিংহভাগ সাংসদ নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে উৎসবে অংশ নিতে চাইছিলেন। তাই বাদল অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে নির্ধারিত সময়ের চারদিন আগেই। চলতি বাদল অধিবেশেন শুরু হয়েছিল ১৮ জুলাই। চলার কথা ছিল ১২ অগাস্ট পর্যন্ত। চারদিন আগেই সংসদ মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় সরকার ও বিরোধী পক্ষে শুরু হয়েছে ট্যুইট যুদ্ধ। 

    আরও পড়ুন :তৃণমূল ‘উদ্ধত’, ডেরেককে তোপ প্রহ্লাদ জোশীর

    অন্য একটি সূত্রে খবর, চলতি অধিবেশনে যেসব পরিষদীয় বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, তার সিংহভাগই হয়ে গিয়েছিল। তাই উৎসবে যোগ দেওয়ার যে অনুরোধ করেছিলেন সাংসদরা, সেই অনুরোধ রাখতেই নির্ধারিত সময়ের আগেই মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে সংসদ।

    জানা গিয়েছে, চলতি অধিবেশনে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে সংসদে বিশৃঙ্খলা এবং তার জেরে ২৩ সাংসদকে সাসপেন্ড করা ও অধীর চৌধুরীর রাষ্ট্রপতিকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ সম্বোধন দুয়ের জেরে বারবার মুলতুবি হয়েছে সংসদের অধিবেশন। সব মিলিয়ে রাজ্যসভার অধিবেশন বন্ধ ছিল ৩৫ ঘণ্টা এবং লোকসভার অধিবেশন স্থগিত ছিল ৪৪ ঘণ্টা ২৯ মিনিট। সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে ইডির জেরা নিয়েও হইচই হয়েছে সংসদে। যার জেরে মুলতুবি হয়েছে সংসদ। রাজ্যসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু জানান, হট্টগোলের জেরে ক্ষতি হয়েছে ৪৭ ঘণ্টারও বেশি। জানা গিয়েছে, বাদল অধিবেশনে সংসদের উভয় কক্ষে পাঁচটি বিল পাশ হয়েছে। লোকসভায় পাশ হয়েছে সাতটি বিল। আর রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে চারটি বিল।

    আরও পড়ুন :সংসদ চত্বরে প্ল্যাকার্ড বহন ও বিক্ষোভ! বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড চার কংগ্রেস সাংসদ

  • 7 TMC MPs Suspended: তৃণমূলের সাত সহ রাজ্যসভার ১৯ সাংসদ সাসপেন্ড

    7 TMC MPs Suspended: তৃণমূলের সাত সহ রাজ্যসভার ১৯ সাংসদ সাসপেন্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভা চলাকালীন হইহট্টগোলের অভিযোগে মঙ্গলবার রাজ্যসভার মোট ১৯ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। এঁদের মধ্যে সাত জন তৃণমূলের। সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, দোলা সেন এবং শান্তনু সেন, শান্ত ছেত্রী, নাদিমূল হক, অবীররঞ্জন বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। এছাড়া ডিএমকের হামিদ আবদুল্লা, আর গিরিরাজন, এনআর এলাঙ্গো, এম শানমুগান এবং কানিমোঝি, সিপিএমের এএ রহিম এবং ভি শিবাদাসান, টিআরএসের বি লিঙ্গাইয়া যাদব, রবীহান্দ্রা ভাদ্দিরাজু এবং দামোদর রাও দিভাকোন্দা, সিপিআইয়ের সন্তোষ কুমারকেও সাসপেন্ড করা হয়৷ শাস্তিপ্রাপ্ত সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে বারবার পণ্ড হয় অধিবেশন৷ স্বাভাবিক কাজকর্ম চালাতে অসুবিধা হয়৷ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা আর রাজ্যসভার বিতর্কে অংশ নিতে পারবেন না। 

    গতকাল সোমবার পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় লোকসভার চার কংগ্রেস সাংসদকে৷ তাঁরা হলেন এম টেগোর, রামইয়া হরিদাস, জ্যোতিমণি এবং টিএন প্রতাপন৷ আগামী ১২ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে বাদল অধিবেশন৷ ওই চার কংগ্রেস সাংসদের আচরণে ক্ষুব্ধ হন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা৷ অধিবেশন চলাকালীন তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান৷ ওম বিড়লা তাঁদের সতর্ক করলেও সেকথা কানে তোলেননি তাঁরা৷ তখন তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন অধ্যক্ষ৷

    আরও পড়ুন: সংসদ চত্বরে প্ল্যাকার্ড বহন ও বিক্ষোভ! বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড চার কংগ্রেস সাংসদ

    এদিন ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রস্ফীতি, কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি ও আইনের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় লাগাতার স্লোগান দিচ্ছিলেন তৃণমূল সহ বিরোধী একাধিক দলের সাংসদ। ওয়ালে নেমেও বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। যার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিরোধী সাংসদদের এই আচরণকে ‘নিয়ম বিরুদ্ধ’ বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। চলতি অধিবেশনের আগেই লোকসভা ও রাজ্যসভার সচিবালয়ে নির্দেশিকা জারি করে বেশ কয়েকটি শব্দ সভায় প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ, ধর্না প্রদর্শনও বন্ধ করা হয়েছে। যার প্রতিবাদে মুখর বিরোধী দলগুলি। নিষেধাজ্ঞা জারির পরও মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদরা সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ, ধর্না দেখিয়েছেন, তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।

    বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই উভয় কক্ষেই হট্টগোল চলছে। ফলে বার বার বাধা পেয়েছে অধিবেশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল জানান, সরকার চায় আলোচনা করতে। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে। সরকারের কার্যাবলী তুলে ধরতে। কিন্তু বিরোধীরা হই হট্টগোল করে ক্রমাগত সভার কাজে বাধা দিলে শুধু শুধু সময় নষ্ট হবে। বিরোধীরা কোনও কথা বলতেই চায় না বলে জানান তিনি।

  • CBI:  ১০০ কোটি টাকায় রাজ্যসভার আসন? চক্রের পর্দা ফাঁস সিবিআইয়ের 

    CBI:  ১০০ কোটি টাকায় রাজ্যসভার আসন? চক্রের পর্দা ফাঁস সিবিআইয়ের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা টাকায় বিকিয়েছে সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষা নীটে(NEET)-র আসন। অন্তত এমনই অভিযোগ উঠেছে। এবার একই অভিযোগ উঠল রাজ্যসভার (Rajya Sabha) আসন এবং রাজ্যপালের (Governorship) পদের ক্ষেত্রেও। ১০০ কোটি টাকার বিনিময়ে রাজ্যসভার টিকিট মিলবে। দীর্ঘদিন ধরেই এমন মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে কারবার চালাচ্ছিল একটি চক্র। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) সূত্রেই জানা গিয়েছে এমন তথ্য। চক্রের কয়েকজন পান্ডাকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর গত সপ্তাহে একটি ফোনে দুই ব্যক্তির কথোপকথনকে ঘিরে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের কয়েকজনের। সেই সময় অর্থের বিনিময়ে রাজ্যসভার আসন নিশ্চিত করার কথা বলতে শোনা যায় ফোনের দু প্রান্তে থাকা মানুষদের। ফাঁদ পাতে সিবিআই। ছদ্মবেশে চক্রের কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেন সিবিআইয়ের এক আধিকারিক। টাকা হাত বদলের সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।  ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। সিবিআইয়ের তরফে এদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর-ও।

    আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে ইডি-সিবিআই কী করছে, জানেন কি?

    ১০ জুন দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে রাজ্যসভার নির্বাচন হয়। তার আগে থেকেই ওই চক্র সক্রিয় ছিল বলে সিবিআই সূত্রে খবর। অভিযোগের ভিত্তিতে ফোনে নজরদারি চালান গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। সিবিআই জানিয়েছে, এরা হল মহারাষ্ট্রের করমলকর প্রেমকুমার, কর্নাটকের রবীন্দ্র বিঠঠল নায়েক, দিল্লির মহেন্দ্র পাল অরোরা ও আসামের অভিষেক বরা। এফআইআরে নাম রয়েছে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত মহম্মদ আজিজ খান নামে এক ব্যক্তিরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অভিষেক ও প্রেমকুমারের কাজ ছিল পদস্থ সরকারি কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। বাকিরা চাইত টাকা। এ ব্যাপারে যাতে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা আমলার সঙ্গে যোগাযোগ না করা হয়, সে ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি দিত অভিযুক্তরা।

    আরও পড়ুন : কোটি কোটি টাকার লেনদেন! ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে ৭ ইসিএল আধিকারিক

    প্রসঙ্গত, শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া আশ্বাস দিয়ে মহারাষ্ট্রের এক বিজেপি বিধায়কের কাছে চাওয়া হয়েছিল ১০০ কোটি টাকা। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়াজ শেখ নামে একজনকে। এবার মোটা টাকার বিনিময়ে রাজ্যসভার টিকিট পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সিবিআইয়ের জালে চার। এই চক্রের জল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।  

     

  • PT Usha: সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন ট্র্যাক কুইন, ঊষাকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    PT Usha: সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন ট্র্যাক কুইন, ঊষাকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাথলেটিক ট্র্যাক থেকে সংসদ ভবনে। বিজেপির রাজ্যসভায় সদস্য (Rajya Sabha MP) হিসেবে শপথ নিলেন পিটি ঊষা (PT Usha)। সংসদ ভবনে তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইট বার্তায় ঊষাকে তাঁর নতুন ভূমিকায় স্বাগতও জানান। বুধবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হিন্দিতে শপথ নেন কেরলের মেয়ে ঊষা। প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই বিজেপির সরকারের তরফে তাঁকে সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনীত করা হয়। পিটি ঊষা ছাড়াও এই তালিকায় ছিলেন সঙ্গীত কম্পোসার ইলায়ারাজা, সমাজসেবী বীরেন্দ্র হেগগড়ে এবং চলচ্চিত্র পরিচালক কে.ভি. বিজয়েন্দ্র প্রসাদ। 

    [tw]


    [/tw]

    গত সোমবার রাজধানী দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন পিটি ঊষা ৷ মঙ্গলবার দেখা করেন বিজেপি-র জাতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার (Jagat Prakash Nadda) সঙ্গে ৷ নাড্ডাও তাঁকে অভিনন্দন জানান। নাড্ডা বলেন, তাঁর মতো প্রতিভার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি খুশি।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদদের মধ্যে অন্যতম পিটি উষা ৷ কেরলের কোঝিকোড় জেলার এক গ্রামে তাঁর জন্ম ৷ লক্ষ লক্ষ ভারতীয় মেয়ের কাছে পিটি ঊষা আদতে একটি আদর্শ ও অনুপ্রেরণার নাম ৷ অনুরাগী মহলে ‘পায়োলি এক্সপ্রেস’ (Payyoli Express) এবং ‘কুইন অফ ইন্ডিয়ান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড’ (Queen of Indian Track and Field) নামেও তিনি জনপ্রিয় ৷ ১৯৮৪ সালের অলিম্পিক্সে ভারতের জন্য পদক জিততে না পারলেও গোটা বিশ্বের নজর কাড়েন ঊষা ৷ সেবার ৪০০ মিটারের দৌড় প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থানে লড়াই শেষ করেন তিনি ৷ 

    আরও পড়ুন: মেয়েকে নিয়ে ইডি দফতরে সোনিয়া, কংগ্রেসের প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি, প্রশ্নবাণে জর্জরিত নেত্রী

    উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন সদস্য তথা রাজনীতিক হরভজন সিং, লালুপ্রসাদ যাদবের মেয়ে মিসা ভারতী এবং বিসিসিআই-এর সহসভাপতি রাজীব শুক্লা-সহ প্রায় ২৫ জন রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন৷

  • Rajya Sabha Protest: ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল  

    Rajya Sabha Protest: ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসংসদীয় আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল সাংসদদের। তার পরেই টানা পঞ্চাশ ঘণ্টার ধর্নায় বসলেন বিজেপি (BJP) বিরোধী দলের সাংসদরা। অধিবেশনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজ্যসভা (Rajya Sabha) থেকে সাসপেন্ড হওয়া ২০ জন বিরোধী দলের সাংসদও ছিলেন ধর্নায়। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের (TMC) সাত জন, ডিএমকের ৬ জন, টিআরএসের তিন জন, সিপিএমের দুজন এবং সিপিআই ও আপের একজন করে সাংসদ রয়েছেন। রাজ্যসভার পাশাপাশি লোকসভা থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে কংগ্রেসের চার সাংসদকে। এই ঘটনার প্রতিবাদেই ধর্নায় বসেছেন বিরোধীরা। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন, শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ধর্নায় বসবেন সাংসদরা। মহিলা এবং প্রবীণ সাংসদরা শিফট ওয়াইজ যোগ দেবেন ধর্নায়।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, আচরণ সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমা চাইলে তবেই সাপসেনশন তুলে নেওয়া হবে। এদিকে, সাসপেন্ড হওয়া বিরোধী দলের সাংসদদের সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতে এদিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গে।সাংসদদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে রণকৌশল স্থির করতে এদিন বৈঠকেও বসেন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা। তৃণমূল এবং আম আদমি পার্টির কেউ অবশ্য যোগ দেননি ওই বৈঠকে।

    আরও পড়ুন : মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    খাড়্গের অভিযোগ, সরকার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কোনও আলোচনা করতে রাজি নয়। বিরোধীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে জোশী বলেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে সরকার রাজি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন। ফের অফিস আসা শুরু করেছেন। বিরোধীরা চাইলেই আমরা আলোচনা শুরু করতে রাজি। প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ১৮ জুলাই। চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। এর আগে রাজ্যসভায় এক সঙ্গে এতজন সাংসদকে সাসেপন্ড করা হয়নি। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা ধর্নায় বসেছেন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে।

     

  • Rajya Sabha: অসংসদীয় আচরণ, সাসপেন্ড করা হল রাজ্যসভার আরও ৩ সাংসদকে

    Rajya Sabha: অসংসদীয় আচরণ, সাসপেন্ড করা হল রাজ্যসভার আরও ৩ সাংসদকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড (Suspend) করা হল রাজ্যসভার (Rajya Sabha) আরও তিন সাংসদকে (MPs)। এঁদের মধ্যে দুজন আম আদমি পার্টির (AAP), অন্যজন নির্দল। এই সপ্তাহের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যসভার ওই তিন সাংসদকে।

    অসংসদীয় আচরণের জন্য আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যসভার কুড়িজন সাংসদকে। ওই একই কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে লোকসভার চারজনকেও। সাসপেনশনের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে টানা পঞ্চাশ ঘণ্টার জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন সাসপেন্ডেড সাংসদরা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল। অবস্থান চলাকালীন সময়ে চলছে ভূরিভোজও।

    বৃহস্পতিবার যে তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা হলেন আম আদমি পার্টির সাংসদ সুশীল কুমার গুপ্ত এবং সন্দীপ কুমার পাঠক। নির্দল সাংসদ অজিত কুমার ভুঁইয়াকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে এদিন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত রাজ্যসভার মোট ২৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। একসঙ্গে এতজন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়নি আগের কোনও অধিবেশনে।

    আরও পড়ুন : ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল

    এদিন যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের সাসপেনশনের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং। তিনি বলেন, সাসপেন্ডেড এই তিন সাংসদ অধিবেশন চলাকালীন হাউসের ওয়েলে নেমে আসেন। চিৎকার করে স্লোগানও দিতে থাকেন। প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভও দেখাচ্ছিলেন। সতর্ক করা সত্ত্বেও তা বন্ধ না করায় তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বুধবার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, মঙ্গলবার সভা চলাকালীন চেয়ারম্যানের চেয়ার লক্ষ্য করে কাগজ ছুড়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করা হল ওই দলেরই দুই সাংসদকে।  প্রসঙ্গত, গত বছর বিরোধীদের ১২ জন সাংসদকে পুরো শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। চলতি বাদল অধিবেশনে যে কয়েকজনকে সাসপেন্ড করা  হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, শান্তা ছেত্রী, দোলা সেন, সান্ত্বনু সেন, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং মহম্মদ নাদিমূল হক।   

    আরও পড়ুন : ধর্নায় বসে সাসপেন্ডেড সাংসদরা খাচ্ছেন ইডলি-সাম্বার, চিকেন-তন্দুরি!

     

  • Rajya Sabha Polls Update: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    Rajya Sabha Polls Update: রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভার (Rajya Sabha) ১৬টি আসনের মধ্যে বিজেপির (BJP) দখলে এল ৮। বাকি ৭টি আসনের রাশ গিয়েছে কংগ্রেস (Congress)-এনসিপি (NCP)-শিবসেনা (Shivsena) জোটের দখলে। বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন একটি আসনে।

    ১৫টি রাজ্য মিলিয়ে রাজ্যসভার মোট ৫৭টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল ১০ জুন। ৪১ জন প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে যাওয়ায় এদিন ভোট হয়েছে ১৬টি আসনে। নির্বাচনে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, কর্নাটক ও রাজস্থান চার রাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছে বিশেষ পর্যবেক্ষক। পুরো ভোটপর্ব ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। চার রাজ্যের ১৬টি আসনে ভোট হলেও, জোর লড়াই হয়েছে মূলত রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রে।

    আরও পড়ুন : টানটান উত্তেজনায় শেষ রাজ্যসভা নির্বাচন, হল ক্রস ভোটিংও

    এদিন ক্রসভোটিংয়ের সম্ভাবনা ছিল। হয়েছেও তাই। কর্নাটকে জনতা দল সেকুলারের (JDS) দুই বিধায়ক ভোট দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। ভোটপর্ব শুরু হয়েছিল সকাল ৯টায়। শেষ বিকেল ৪টায়। বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় গণনা। ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, ১৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৮টি আসনে। বাকি ৭টিতে কংগ্রেস। বিজেপি সমর্থিত এক নির্দল প্রার্থীও জয়ী হয়েছেন।

    যে ১৬টি আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) আসন সংখ্যা ৬। রাজস্থান ও কর্নাটকে ৪টি করে আসন। আর দুটি আসন হরিয়ানায় (Haryana)। গণনা শেষ হয় মধ্য রাতে। তখনই জানা যায়, মহারাষ্ট্রের তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা জোট জয়ী হয়েছে একটি আসনে। হরিয়ানায় বিজেপি জিতেছে একটি আসন। আর বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন একটি আসনে।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রথম ১৬ জনের তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা পেলেন জায়গা?

    রাজস্থানের (Rajasthan) কুর্সিতে রয়েছে কংগ্রেস। সেখানে তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) দল। একটি আসনে জয়ী হয়েছেন পদ্ম-প্রার্থী। কর্নাটকে (Karnataka) রাজ্যসভার তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। আর কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন।

    আগামী মাসেই রয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Polls)। তাই রাজ্যসভার এই নির্বাচন শাসক এবং বিরোধী দু পক্ষের কাছেই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে রাজ্যসভায় স্বভাবতই শক্তি বাড়ল বিজেপির। শক্তি খোয়াল কংগ্রেস। প্রত্যাশিতভাবেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি!

     

  • Parliament Monsoon Session: শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    Parliament Monsoon Session: শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চলছে। তার মধ্যেই শুরু হল সংসদের বাদল অধিবেশন (Monsoon Session 2022)। আজ থেকে শুরু হয়ে অধিবেশন চলবে আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত। এবারের অধিবেশন চলাকালীন ক্যান্টনমেন্ট বিল, মাল্টি-স্টেট কো-অপারেটিভ সোসাইটি বিল সহ মোট ৩২টি বিল নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বাদল অধিবেশনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) সাংবাদিক সম্মেলন করে, শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানান।  তবে অগ্নিপথ (Agnipath), মুদ্রাস্ফিতির মতো একাধিক ইস্যুতে বিরোধীরা যে সংসদে সুর চড়াবে,তার ইঙ্গিত মিলেছে। 

    এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন  “এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়, আজাদি কা অমৃত মহোৎসব চলছে, আগামী ২৫ বছরে আমরা কী অর্জন করতে চাই তার শপথ নেওয়ার সময় এটি।” তিনি আরও বলেন,”এটি এমন একটি সময় যখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হচ্ছে। এই সময়ে আমাদের নতুন রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি আসতে চলেছে। এই সময়ে সংসদে আলোচনা, বিতর্ক ও সমালোচনা সবই চলবে। তবে বিষয়ের বিশদ বিশ্লেষণও করতে হবে।”

    আরও পড়ুন: চলছে নির্বাচন, জানুন রাইসিনা হিলের দৌড়ে অঙ্কের হিসেবে এগিয়ে কে?

    সূত্রের খবর, এবারের অধিবেশন চলাকালীন ক্যান্টনমেন্ট বিল, মাল্টি-স্টেট কো-অপারেটিভ সোসাইটি বিল সহ মোট ২৪টি নতুন বিল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে। এছাড়া সংসদে ছত্তিশগড় এবং তামিলনাড়ুর জন্য তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি তালিকা সংশোধন বিলও উত্থাপন করা হতে পারে বলে জানা গেছে। যে নতুন ২৪টি বিল পেশ করা হতে চলেছে সেই তালিকায় আছে কফি (প্রমোশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট), দ্য ডেভলপমেন্ট অফ এন্টারপ্রাইজেস অ্যান্ড সার্ভিসেস হাবস, জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেসন অফ গুডস (নিবন্ধন) সংশধোনের মতো বিলগুলি। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে সুরক্ষা (সংশোধন), গুদামজাতকরণ(উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) এবং প্রতিযোগিতা (সংশোধন) বিল। সংসদের গত শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হয়েছিল, কিন্তু আলোচনা হয়নি এমন আটটি বিলও এবারের অধিবেশনে পেশ করা হবে।

    বাদল অধিবেশনের দিনগুলিতে সভার কাজ সুষ্ঠভাবে যাতে পরিচলনা করা যায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষের কাছে আবেদন করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। কিন্তু অগ্নিপথ, মুদ্রাস্ফিতির মতো একাধিক ইস্যুতে বিরোধীরা যে সংসদে সুর চড়াবে, তার ইঙ্গিত মিলেছে। এছাড়া নূপুর শর্মা বিতর্ক, লোকসভা সচিবালয় থেকে প্রকাশিত অসংসদীয় ভাষার তালিকা, সংসদ চত্ত্বরে ধর্না, বিক্ষোভের মতো কর্মসূচির উপর সেন্সর নিয়েও সরব হতে পারে বিরোধীপক্ষ।

  • Rajyasabha Election: রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রথম ১৬ জনের তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা পেলেন জায়গা?

    Rajyasabha Election: রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রথম ১৬ জনের তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা পেলেন জায়গা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভা নির্বাচনের প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। প্রথম কিস্তিতে ১৬ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের শাসক দল। রবিবার ওই তালিকা প্রকাশিত হয়। এদিন ১০টি কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিরোধী দল কংগ্রেসও।

    ১০ জুন রাজ্যসভার নির্বাচন। দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে নির্বাচন হবে ওই দিন। এদিন ১৬ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। এতে নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের। নির্মলা প্রার্থী হয়েছেন কর্নাটক থেকে। আর পীযূষ মনোনীত হয়েছেন মহারাষ্ট্র থেকে। অর্থ মন্ত্রকের পাশাপাশি কর্পোরেট বিভাগ সামলান নির্মলা। পীযূষ রাজ্যসভায় বিজেপি দলনেতা। গ্রাহক পরিষেবা এবং বস্ত্র মন্ত্রকের দায়িত্বও তাঁর ওপর।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    এবার রাজ্যসভায় সব চেয়ে বেশি আসন উত্তর প্রদেশে। সেখানে ভোট হবে ১১টি আসনে। গেরুয়া শিবিরের মনোনীত প্রার্থী হলেন লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী, রাধামোহন আগরওয়াল, সুরেন্দ্র নিষাদ, দর্শনা সিংহ, সঙ্গীতা যাদব। মহারাষ্ট্রে পীযূষের পাশাপাশি অনিল দেশমুখ বোন্দের নামও মনোনীত হয়েছে। গোরক্ষপুর বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন রাধামোহন। পরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আসনটি ছেড়ে দেন তিনি। সেই কারণেই তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পদ্ম-শিবির। রাজস্থান থেকে মনোনীত হয়েছেন ঘনশ্যাম তিওয়ারি। তবে তামিলনাড়ুর ৬টি আসনে সোমবার বিকেল পর্যন্তও কাউকে মনোনীত করেনি পদ্মশিবির।

    এই রাজ্যগুলি ছাড়াও বিহারের পাঁচটি, কর্নাটক, রাজস্থান এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিনটি করে আসনেও নির্বাচন হবে ওই তারিখে। মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পঞ্জাবের দুটি করে আসনেও নির্বাচন হবে। একটি করে আসনে নির্বাচন হবে ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, তেলঙ্গানা এবং উত্তরাখণ্ডে। হরিয়ানা থেকে মনোনীত হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণলাল পানওয়ার, মধ্যপ্রদেশ থেকে কবিতা পতিদার। তারকা-রাজনীতিবিদ যজ্ঞেশ মনোনীত হয়েছেন কর্নাটক থেকে।  

    আরও পড়ুন : জিটিএ নির্বাচন অবৈধ, রুখবই! সাফ জানালেন রাজু বিস্ত

    শাসক দলের পাশাপাশি এদিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিরোধী দল কংগ্রেসও। ১০টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তারা। এই তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম, জয়রাম রমেশ, অজয় মাকেন এবং দলের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা।

    চিদম্বরমকে মনোনীত করা হয়েছে তামিলনাড়ু থেকে। কর্নাটক থেকে মনোনীত হয়েছেন জয়রাম রমেশ। মাকেন মনোনীত হয়েছেন হরিয়ানা থেকে। আর সুরজেওয়ালাকে মনোনীত করা হয়েছে রাজস্থান থেকে। রাজস্থান থেকে মুকুল ওয়াসনিক এবং প্রমোদ তিওয়ারির নামও রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে মনোনীত হয়েছেন বিবেক তানখা। রাজীব শুক্লা এবং রঞ্জিত রঞ্জন মনোনীত হয়েছেন ছত্তিশগড় থেকে। মহারাষ্ট্রে প্রার্থী হয়েছেন ইমরান প্রতাপগড়ি।

    প্রসঙ্গত, আগামী দু’মাসে রাজ্যসভায় যে ৫৫টি শূন্যপদ সৃষ্টি হবে, তার মধ্যে কংগ্রেসের রয়েছেন সাতজন। এঁরা হলেন চিদম্বরম, রমেশ, অম্বিকা সোনি, বিবেক তানখা, প্রদীপ টামটা, কপিল সিবাল এবং ছায়া ভার্মা। এর মধ্যে সিবাল অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে প্রার্থী হচ্ছেন রাজ্যসভায়।  

     

     

  • Dona Ganguly: রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সৌরভ-পত্নী ডোনা? জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে

    Dona Ganguly: রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সৌরভ-পত্নী ডোনা? জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হ্যাঁ বা না, এখনও পর্যন্ত কিছুই বলেনি বেহালার গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার। মুখ খোলেননি বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি সৌরভ (Sourav)। মুখে কুলুপ ওড়িশী নৃত্যশিল্পী ডোনা (Dona) গঙ্গোপাধ্যায়েরও। সোমবার রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মন্তব্যের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়াও আসেনি বেহালা থেকে। ফলে জল্পনা বাড়ছে। ‘ডিনার-পলিটিক্স’এ কি এবার তাহলে সাফল্য এল?

    ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য করার প্রস্তাবে এবার কি এক ঢিলে তিন পাখি মারছে বিজেপি? কারণ-

    ১) ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha Elections) বছরেই ওড়িশাতে (Odisha) বিধানসভা নির্বাচন। ওড়িশী নৃত্যশিল্পী হিসেবে দেশজুড়ে সমাদৃত বাঙালি ডোনা গাঙ্গুলি। নির্বাচনী প্রচারে বাংলা ওড়িশা দুই রাজ্যের আবেগকেই কাজে লাগাতে পারবে বিজেপি।
    ২) রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হলে কোন রাজনৈতিক রংও লাগছে না গায়ে। 
    ৩) আবার সৌরভ-জায়াকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে সৌরভকেও পাশে রাখতে পারছে বিজেপি।   

    এবছরই রাজ্যসভার রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুই সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। দুই জনই বাঙালি। সাংবাদিক স্বপন দাশগুপ্ত ও অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলির মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে ২০২২-এ। রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। তাহলে কি ঐ দুই শূন্য পদের একটায় আসতে চলেছেন সৌরভ-জায়া ডোনা। যিনি নিজেই একজন নামী ওড়িশী শিল্পী। যদিও এ বিষয় নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি বেহালার গাঙ্গুলি পরিবার। তবে, সোমবার বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে জল্পনা বেড়েছে বৈ কমেনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, দিলীপ ঘোষ বলেন, “তিনি খুশি হবেন যদি ডোনা গাঙ্গুলির মত কোন বিশিষ্টকে রাজ্যসভার জন্য বেছে নেন দেশের রাষ্ট্রপতি।” জল্পনা আরও বেড়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্যে। সুকান্ত মজুমদার পুরোটাই ছেড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের ওপর। সঙ্গে যোগ করেছেন,”আরও খুশি হব যদি সৌরভ গাঙ্গুলির মত কেউ রাজ্যসভায় যায়, রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে।

    এর আগেও সৌরভকে দলের প্রার্থী (election candidate) করতে চেয়ে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে রাজ্যের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই। দলমত নির্বিশেষে সৌরভ রাজ্য রাজনীতির সব দলের কাছেই একটি গ্রহণযোগ্য নাম। সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। সবাই তাঁকে পাশে পেতে চায় ‘আইকন’ হিসেবে। কিন্তু সৌরভ কখনই কোনও রাজনৈতিক দলে নাম লেখাননি। ফলে তাঁর চাহিদা আর আকর্ষণ বেড়েছে প্রতিদিন। অমিত শাহের ছেলেকে পাশে নিয়ে বিসিসিআই সভাপতি হিসেবেও নিজের কর্মদক্ষতা দেখাচ্ছেন ক্যাপ্টেন সৌরভ। ফলে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক তাঁর।

    সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলে নাম না লেখালেও রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য হওয়াই যায়। একাধিক উদাহরণও আছে গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে। তবে, সৌরভ নিজে রাজি না হলেও ডোনাতে আপত্তি থাকার কোন কারণ নেই। ৬ মে গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারে নৈশভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী ও সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পাশে দাঁড়িয়ে সারাক্ষণ তদারকি করেছিলেন ডোনা। তাঁর আগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে (Victoria Memorial) ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ওড়িশী নৃত্য পরিবেশন দেখতে হাজির ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  

LinkedIn
Share