Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মমতার কর্মসূচিতে নষ্ট হবে সম্প্রীতির পরিবেশ, হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মমতার কর্মসূচিতে নষ্ট হবে সম্প্রীতির পরিবেশ, হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারির রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন, সেদিনই আবার কলকাতাতে সংহতি যাত্রার ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর এই বিতর্কিত কর্মসূচি নিয়ে এবার জল গড়াল হাইকোর্ট পর্যন্ত। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এই মর্মে যে সংহতি যাত্রা হলে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। বুধবারই জনস্বার্থ মামলার আবেদন জানান নন্দীগ্রামে বিধায়ক। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলায় অন্যতম পার্টি হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। বৃহস্পতিবারই শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি মমতার

    রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে রামভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সারা দেশ জুড়ে এই দিনটি উদযাপন হবে। ধর্মস্থানগুলিতে চলবে কীর্তন। এই দিনেই মমতার ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওই দিন কলকাতা সমেত প্রত্যেকটি জেলায় এবং ব্লকগুলিতে মিছিল করবে তৃণমূল। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ওই দিনেই। এমন কর্মসূচি ২২ জানুয়ারির আগে বা পরে করা যেতেই পারতো। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের সঙ্গে সম্প্রীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগানোর উদ্দেশ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আশঙ্কা যে ওইদিন রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান (Ram Mandir) হবে, সেখানে বিভিন্ন জায়গায় সম্প্রীতির পরিবেশ বিঘ্নিত করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচি।

    সমালোচনায় দিলীপ ঘোষ

    অন্যদিকে ২২ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচির নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘সব রামের (Ram Mandir) ইচ্ছা। যারা চিরদিন জাতীয় সংহতির বিরুদ্ধে কাজ করে এসেছে, তারাই সংহতি মিছিল করছে। এর থেকে বড় বিড়ম্বনা আর কী হতে পারে। দেশে বা কেন্দ্রে যা অনুষ্ঠান হয়, তার সবসময় উনি বিরোধিতা করে এসেছেন। এটাকেই উনি রাজনীতি মনে করেন। তাই আজ উনি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছেন, তার আলাদা জাতীয় সঙ্গীত চাই, আলাদা জাতীয় পতাকা চাই, আলাদা কোর্ট চাই, আলাদা পার্লামেন্ট চাইবেন। যার চিন্তাভাবনার মধ্যে সংহতি নেই, তিনি যতই সংহতি যাত্রা করুন, কিছু হবে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে ব্যবসা হবে এক লাখ কোটি টাকার!

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে ব্যবসা হবে এক লাখ কোটি টাকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রথ দেখার পাশাপাশি হবে কলা বেচাও! ব্যতিক্রম নয় অযোধ্যাও। ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের এই শহরে হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হবে এদিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাত হাজার জনকে। মন্দির উদ্বোধনের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে দেশে এক লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করছেন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি)-র সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল।

    অর্থনীতিতে প্রভাব

    সোমবার তিনি বলেন, “এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যে কেবল ধর্মের সম্পর্ক রয়েছে, কেবল তা নয়, অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে। মানুষের ভগবৎ বিশ্বাসের কারণে দিন দিন কত নতুন নতুন ব্যবসা হচ্ছে দেশে। যার প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে।” তিনি জানান, দেশের ৩০টি শহরের ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এ খবর পাওয়া গিয়েছে। খাণ্ডেলওয়াল জানান, রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে সমাজের সর্বস্তরে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। তাই অযোধ্যার রাম মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন জিনিস মানুষ কিনবেন। আমজনতার এই চাহিদা পূরণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও।

    মন্দিরের মডেলের চাহিদা তুঙ্গে

    সিএআইটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “রাম মন্দিরের মডেলের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আশা করা যাচ্ছে, সারা দেশে মন্দিরের মডেল বিক্রি হবে পাঁচ কোটি। চাহিদা পূরণ করতে দিনরাত এক করে দেশের বহু শহরে কাজ করছেন ব্যবসায়ীরা।” রাজধানীর দু’শোর বেশি বড় এবং ছোট বাজারে শ্রী রামের (Ram Mandir) ছবি আঁকা পতাকা বিক্রি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই বিক্রি আরও বাড়বে। তিনি জানান, বাজারে শ্রী রাম পতাকা, ব্যানার, টুপি, টি-শার্ট এবং রাম মন্দির আঁকা কুর্তার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে। অংশ নেবেন বৃন্দাবন ও জয়পুরের শিল্পীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘অকাল দীপাবলি’ পালনের আবেদন জানালেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধন এবং গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা হবে ২২ জানুয়ারি, সোমবার। যদিও মূল ওই অনুষ্ঠানের আচার শুরু হয়ে গিয়েছে আজ, মঙ্গলবার থেকেই। মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরের দিন থেকেই দেব দর্শন করতে পারবেন আমজনতা। মন্দির কর্তৃপক্ষের আশা, ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার দেবভক্ত আসবেন রামরাজ্য অযোধ্যায়, চাক্ষুষ করবেন শিশু রামের অনিন্দ্যসুন্দর বিগ্রহ (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: “ভগবান আমায় ডেকেছেন, তাই যাব”, অযোধ্যায় ডাক পেয়ে বললেন সাফাইকর্মী দুর্গা

    Ram Mandir: “ভগবান আমায় ডেকেছেন, তাই যাব”, অযোধ্যায় ডাক পেয়ে বললেন সাফাইকর্মী দুর্গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজ করছেন আঠারো বছর ধরে। কাটাছেঁড়া করেছেন ৭০০-র বেশি লাশ। তিনি সন্তোষী দুর্গা, ছত্তিশগড়ের নরহরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যেকেন্দ্রে জীবনদীপ কমিটির সাফাইকর্মী। অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনে আমন্ত্রিত তিনিও। দুর্গার বিশ্বাস, ভগবান তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি যাবেন।

    দুর্গার সেরা প্রাপ্তি

    অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে ব্যবচ্ছিন্ন করা হয় শব। মৃত্যুর পরে দেহের ঠাঁই হয় মর্গে। সেই দেহ কাটাছেঁড়া করেন দুর্গার মতো কর্মীরা। আর মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। নরহরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যেকেন্দ্রে এই কাজই করেন দুর্গা। সমাজে অবদানের জন্য পেয়েছেন নানা স্বীকৃতি। তবে অযোধ্যা থেকে আমন্ত্রণ আসাই তাঁর সেরা প্রাপ্তি বলে মনে করেন বছর চল্লিশের এই মহিলা। দুর্গা বলেন (Ram Mandir), “সারা জীবনে আমি কখনও ভাবিনি আমায় অযোধ্যা থেকে ডাকা হবে। কিন্তু ভগবান রাম আমায় আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে ডেকেছেন।”

    আনন্দে চোখে জল

    তিনি জানান, রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের চিঠি পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ভগবানের আহ্বানে আনন্দে চোখে জল এসে গিয়েছিল তাঁর। বিরাট এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না দুর্গা। ১৮ জানুয়ারি তিনি রওনা দেবেন অযোধ্যার উদ্দেশে। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নরহরপুরের বাসিন্দাদের সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করবেন তিনি। মর্যাদা পুরুষোত্তমের এমন মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন দুর্গা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক সাফাই কর্মী অযোধ্যায় প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে ডাক পাওয়ায় গর্ব ঝরে পড়ছে নরহরপুরের ব্লক মেডিক্যাল অফিসার প্রশান্ত কুমার সিংহের গলায়। দুর্গাকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “অযোধ্যা থেকে ওঁর আমন্ত্রণপত্র পাওয়া আমাদের সকলের জন্য গর্বের।”

    আরও পড়ুুন: “বাবর একদিনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার হিন্দুকে খুন করেছিল” মন্দির ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৭ হাজার জনকে। এঁদের মধ্যে ৩ হাজার জন ভিভিআইপি। বাকি যে ৪ হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুর্গাও। যাঁরা নাগরিক কোনও সম্মান পেয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং রাম মন্দির আন্দোলনে যোগ দিয়ে মারা গিয়েছিলেন যেসব করসেবক তাঁদের পরিবারকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২২ জানুয়ারির মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁদেরও, যাঁদের সওয়াল জবাবের জেরে আদালতে জয় হয়েছিল ‘যুদ্ধ’। আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন হিন্দু সাধু-সন্ন্যাসী, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও। নোবেল পুরস্কার প্রাপক, ভারতরত্ন, পরমবীর চক্র এবং পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদেরও জানানো হয়েছে আমন্ত্রণ। এহেন চাঁদের হাটে দেখা যাবে দুর্গার (Ram Mandir) মতো প্রান্তিক মানুষদেরও।

    রামলালার কাছে যে সবাই সমান!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: লাখো প্রদীপের রঙিন আলোয় ভেসে উঠলেন ধনুর্ধর রাম-মন্দির-মোদি

    Ram Mandir: লাখো প্রদীপের রঙিন আলোয় ভেসে উঠলেন ধনুর্ধর রাম-মন্দির-মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজনের রাজত্বে সমাধান হয়েছে বিতর্কের। গড়ে উঠছে মন্দির। আর যাঁর জন্য তৈরি হচ্ছে মন্দির, তিনি প্রতিষ্ঠিত হবেন ওই মন্দিরে। তাই অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দুজনেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। দুজনের মধ্যে অবশ্য ফারাক রয়েছে। একজন ভক্ত, অন্যজন ভগবান। একজন পার্থিব, অন্যজন অপার্থিব। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে রং-বেরঙের মাটির প্রদীপ দিয়ে তৈরি হচ্ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রামলালার ছবি (Ram Mandir)। আলোকমালায় দেখা যাবে রাম জন্মভূমি মন্দিরের ছবিও।

    রাম মন্দির উদ্বোধন

    ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। এদিনই গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালার বিগ্রহ। মন্দির প্রতিষ্ঠার এই পুণ্যলগ্নের সপ্তাহখানেক আগেই শুরু হয়ে যাচ্ছে অনুষ্ঠান। ১৬ তারিখ থেকেই এই অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভক্তরা সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন মাটির প্রদীপ (স্থানীয় ভাষায় দিয়া) হাতে (Ram Mandir)। তীর-ধনুক হাতে রাম এবং হিন্দিতে জয় শ্রীরাম লেখা জায়গায় প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন তাঁরা। প্রদীপ দিয়েই সাজানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবিও।

    রাম, রাম জন্মভূমি মন্দির…

    রাম, রাম জন্মভূমি মন্দির, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জয় শ্রীরামের ছবি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ প্রদীপ। এঁদের আঁকা ছবির রেখা বরাবরই জ্বালানো হয়েছিল প্রদীপ। ‘রাম পরাক্রমী রথযাত্রা’ শুরু হয়েছিল বিহার থেকে। রবিবার সেটি এসে পৌঁছানোর কথা অযোধ্যায়। এই সময় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। রাম জন্মভূমি মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে ১৬ জানুয়ারি থেকে।

    আরও পড়ুুন: “বাবর একদিনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার হিন্দুকে খুন করেছিল” মন্দির ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যার চিত্রটা বদলাতে শুরু করেছে ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট থেকে। এদিনই ভূমি পূজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যার পর থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে রাম মন্দির। রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের সাত হাজার মানুষ। এঁদের মধ্যে তিন হাজার জনই ভিভিআইপি। দশকের পর দশক ধরে যে অযোধ্যা পড়েছিল নিতান্তই অবহেলিত, সেই অযোধ্যারই ভোল বদলাচ্ছে রাতারাতি। যার মূলে রয়েছেন সেই ভগবান রাম (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir Inauguration: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন হিন্দু কর্মীদের জন্য বিশেষ ঘোষণা মরিশাস সরকারের

    Ram Mandir Inauguration: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন হিন্দু কর্মীদের জন্য বিশেষ ঘোষণা মরিশাস সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন, মরিশাসের (Mauritius Government) হিন্দুদের জন্য বিশেষ ঘোষণা করল সেখানকার সরকার। সদ্য মরিসাস সরকার জানিয়েছে, সে দেশের সমস্ত হিন্দু নাগরিকরা আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার (Ram Mandir Inauguration) প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ২ ঘণ্টার জন্য বিশেষ ছুটি পাবেন। কেবলমাত্র ভার্চুয়ালি অযোধ্যার উৎসবের সাক্ষী থাকাই নয়, স্থানীয় রাম মন্দিরে হওয়া অনুষ্ঠানেও অংশ নিতে পারবেন মরিশাসের হিন্দুরা।

    ঐতিহাসিক-পবিত্র দিন

    মরিশাসের (Mauritius Government) প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জগন্নাথ শুক্রবার এই মর্মে একটি ক্যাবিনেট বৈঠক করেন। এরপরই সরকারের তরফে একটি অফিসিয়াল বিবৃতি জারি করা হয়। উল্লেখ করা হয়, আগামী ২২ জানুয়ারি হিন্দু নাগরিকদের জন্য দুপুর ২টো থেকে দু’ঘণ্টার জন্য বিশেষ ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘২২ জানুয়ারি ২০২৪ এ দুপুর দুটো থেকে দুই ঘণ্টার জন্য হিন্দু পাবলিক অফিসারদের প্রার্থনার জন্য বিশেষ ছুটি দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। ভারতে অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন.. যা শ্রী রামচন্দ্রের ঘরে ফেরাকে চিহ্নিত করে, তার প্রেক্ষিতে যাতে ওই কর্মীরা সেবা কাজ করতে পারেন, সেই জন্যই এই ছাড়।’ ২২ জানুয়ারি দিনটিকে ঐতিহাসিক এবং পবিত্র বলে উল্লেখ করেছেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘ভারতের অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ ভগবান রামের ঘরওয়াপসি।’ মরিশাস সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে, হিন্দু মন্দির এম্পাওয়ারমেন্ট কাউন্সিল। কাউন্সিলের তরফে তেজাল শাহ বলেছন, ‘এটা আমাদের ভাগ্য ও আশীর্বাদ যে, আমরা আমাদের স্বপ্নের মন্দিরের বাস্তবায়িত হওয়াটা দেখতে পাচ্ছি, কয়েক শতকের অপেক্ষার পর। ’

    আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা, রাম মন্দিরের দ্বারোদঘাটনে আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপতি

    প্রস্তুত অযোধ্যা

    রামলালার (Ram Mandir Inauguration) প্রাণ প্রতিষ্ঠা সমারোহের জন্য প্রস্তুত ভারত। সে ক্ষেত্রে ২২ জানুয়ারি, সোমবার কি দেশজুড়ে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হবে? এই নিয়ে জল্পনা চলছেই। সোশ্যাল মিডিয়াতে একাধিক রামভক্ত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে ২২ জানুয়ারি দিনটি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করার আর্জি রেখেছেন। উত্তর প্রদেশেই সরকারি ছুটি ঘোষণা করার সবচেয়ে বেশি আর্জি রয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে যোগী সরকারকে ট্যাগ করে ছুটির দাবি জানিয়েছেন একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন, সনাতনী সংস্কৃতির মানুষজনও। ছুটি ঘোষণার আর্জি রাখা হয়েছে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান সরকারের কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: “এই কংগ্রেস নেহরুর, গান্ধীর নয়”, অযোধ্যার আমন্ত্রণ ফেরানোয় ‘হাত’কে নিশানা পদ্মের

    Ram Mandir: “এই কংগ্রেস নেহরুর, গান্ধীর নয়”, অযোধ্যার আমন্ত্রণ ফেরানোয় ‘হাত’কে নিশানা পদ্মের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র ফিরিয়েছে কংগ্রেস। তার পরেই বিজেপির তরফে নিশানা করা হয়েছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে কংগ্রেস লাগাতার হিন্দু বিশ্বাসের বিরুদ্ধাচরণ করে চলেছে। গত দু’-চার দশকে যতবারই রাম মন্দিরের কথা উঠেছে, প্রতিবারই তারা তার বিরোধিতা করেছে। তারা এমনকী এও বলেছে, রাম কাল্পনিক চরিত্র। বর্তমান কংগ্রেস পার্টি তোষণের তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছে। তাই রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ ফেরানোয় আমি একটুও অবাক হয়নি।”

    নিশানায় নেহরু

    কর্নাটকের বিজেপি নেতা সিটি রবি বলেন, “কংগ্রেস চিরকালই হিন্দুত্বের বিরোধী।… সোমনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণ করেছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং কেএম মুন্সি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহরু। তিনি সোমনাথ দর্শনে যাননি। তাই কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্ব কীভাবে অযোধ্যা যাবেন?” প্রসঙ্গত, পুনর্নির্মাণ হওয়ার পর সোমনাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ। প্রতিবাদ করেছিলেন নেহরু। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, কোনও ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের রাষ্ট্রপতির উচিত নয় ধর্মীয় স্থান (Ram Mandir) উদ্বোধন করা। ব্যক্তিগতভাবে কেউ তাঁর ধর্ম বিশ্বাসের জায়গা থেকে এই জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন, রাষ্ট্রীয় পরিচয়ে নয়।

    গান্ধীর কংগ্রেস নয়

    বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “এটা নেহরুর কংগ্রেস, গান্ধীর কংগ্রেস নয়। মহাত্মা গান্ধী প্রায়ই গাইতেন, রঘুপতি রাঘব রাজা রাম। আর আজকের কংগ্রেস প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে না। এটা প্রমাণ করে, কংগ্রেস হিন্দু ধর্ম ও হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে।” ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের হাজার সাতেক অতিথি। এই অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে।

    আরও পড়ুুন: ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, সন্দেশখালিকাণ্ডে জানাল আদালত

    এই অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ পেয়েও যাচ্ছেন না কংগ্রেসের কেউ। মন্দির কমিটির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সোনিয়া গান্ধী এবং অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। তাঁরা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন। তার পরেই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা করেছে বিজেপি। উল্লেখ্য, ওই অনুষ্ঠানে (Ram Mandir) যোগ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সিপিএম-ও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরে বসল প্রথম স্বর্ণদ্বার, আগামী ৩ দিনে বসছে আরও ১৩টি

    Ram Mandir: রাম মন্দিরে বসল প্রথম স্বর্ণদ্বার, আগামী ৩ দিনে বসছে আরও ১৩টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার ঠিক আগেই রাম মন্দিরে (Ram Mandir) বসানো হল সোনার দরজা। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দরজাটি ১২ ফুট লম্বা এবং ৮ ফুট চওড়া। আগামী তিন দিনের মধ্যে আরও ১৩টি দরজা বসবে বলে জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। জানা গিয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দিরে মোট ৪৬টি দরজা বসবে। যার মধ্যে ৪২টি দরজায় আনুমানিক ১০০ কেজি সোনার আবরণ দেওয়া থাকবে।

    ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের সমস্ত স্কুল ছুটি

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন যে ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন উত্তরপ্রদেশের সমস্ত স্কুলগুলিকে বন্ধ রাখা হবে। এদিন রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে জাতীয় উৎসব বলেও আখ্যা দেন যোগী আদিত্যনাথ। শুধু তাই নয়, অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন উত্তরপ্রদেশের সরকারি দফতরগুলিকে নতুনভাবে সাজানোর নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন বছর পড়ার পরে গত মঙ্গলবাড়ই যোগী আদিত্যনাথ প্রথম অযোধ্যায় পা রাখেন। অযোধ্যাকে কুম্ভ মেলার মতোই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কথা বলেন তিনি। রাম নগরীকে (Ram Mandir) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং একটি সুন্দর শহর গড়ে তোলার কথাও বলতে শোনা যায় যোগী আদিত্যনাথকে।

    আমন্ত্রিত ৭ হাজার জন

    মন্দির প্রাঙ্গণে ইতিমধ্যে হাতি, সিংহ, ভগবান হনুমান এবং গরুড়ের মূর্তিও বসানো হয়েছে। এগুলিকে দেখা যাবে ঠিক রাম মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বারের মুখেই। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার শুভ মুহূর্ত ঠিক হয়েছে। অযোধ্যাতে এখনও পর্যন্ত ৭ হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন। যার মধ্যে ৩ হাজার জন ভিভিআইপি ব্যক্তিরাও রয়েছেন। অযোধ্যার হোটেল, গেস্ট হাউসগুলি ইতিমধ্যে সব বুকিংও হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: রামলালার নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠান বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট, কেন জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় প্রতিদিন চলছে সরযূ বন্দনা, পঞ্চপ্রদীপ, বৈদিক শ্লোকে এ যেন সত্যিই দেবভূমি

    Ram Mandir: অযোধ্যায় প্রতিদিন চলছে সরযূ বন্দনা, পঞ্চপ্রদীপ, বৈদিক শ্লোকে এ যেন সত্যিই দেবভূমি

    রামনগরী অযোধ্যা-পাঁচ

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: বারাণসীর গঙ্গা-আরতির প্রসিদ্ধি দেশজুড়ে রয়েছে। দশাশ্বমেধ ঘাটে গঙ্গা-আরতির সময় তিল ধারণের জায়গাটুকুও থাকে না। কপালে তিলক এঁকে ভক্তরা সমবেত হন গঙ্গার ঘাটে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হতেই অযোধ্যার সরযূ নদীর আরতিও বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ অযোধ্যায় (Ram Mandir) পৌঁছাতেই তা বোঝা গেল। সরযূ অবশ্য অযোধ্যাবাসীর কাছে শুধু নদী নয়, সরযূকে মাতা সম্বোধন করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, অযোধ্যায় কোনও নদী না থাকার কারণে বশিষ্ঠর প্রার্থনায় ব্রহ্মা সরযূ নদীকে সৃষ্টি করেন। সরযূর ধারে যখন পৌঁছালাম সূর্য তখন সবেমাত্র অস্তমিত হয়েছে। ভক্ত ও সাধুসন্তদের ভিড়ে সরযূর ধারে তখন পা রাখারও জায়গা নেই। প্রশাসনের ব্যস্ততাও তুঙ্গে। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে ভাসমান ঘাট। তবে সেখানে শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরই যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। সরযূ নদীর ওই ঘাটের ওপরেই সম্পন্ন হয় আরতি। পঞ্চপ্রদীপের আলোর প্রতিফলন সরযূর (Ram Mandir) জলে। সঙ্গে বৈদিক শ্লোক উচ্চারণ। সন্ধ্যার আলো-আঁধারি পরিবেশে মনে হচ্ছিল, এ যেন সত্যিই দেবভূমি। রাম মন্দিরের পাশাপাশি সরযূ নদীর আরতিও যে ভক্তদের গুরুত্বপূর্ণ তীর্থকেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে, তা বোঝাই যাচ্ছে।

    তরুণ-তরুণীদের ঘোরার জায়গা সরযূর পাড়

    স্মার্ট ফোন হাতে তরুণ-তরুণীদের সন্ধ্যার আড্ডারস্থলও হয়ে উঠেছে সরযূর ধার। যুব প্রজন্ম এখন কপালে দীর্ঘ হলুদ টিকা লাগিয়ে সামিল হচ্ছে সরযূর বন্দনায়। ভারতের প্রাচীন শাশ্বত সংস্কৃতিতেই যে আস্থা রয়েছে তরুণ প্রজন্মের তা বোঝা যায় সরযূর ধারে। হোটেল ব্যবসায়ী ধর্মেন্দ্র মিশ্র তাই কথায় কথায় জানালেন, ‘‘গোয়া নয়, মানুষজন এখন অযোধ্যাতেই আসছেন ঘুরতে।’’ সরযূ নদীর আরতির পরে দীর্ঘক্ষণ আমাদের সঙ্গে আলাপচারিতা করলেন আরতির মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত সন্ত শশীকান্ত দাস। স্থানীয় একটি আশ্রমের মহন্তের দায়িত্বও রয়েছে তাঁর ওপরে। তিনিই জানালেন, অযোধ্যা বদলে যাচ্ছে। আমাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়লেন, ‘‘আগে আপনারা অযোধ্যায় এসেছেন কখনও?’’ আমরা তিনজন ছিলাম। প্রত্যেকেই সমবেতভাবে উত্তর দিলাম ‘না’।

    কী বলছেন সরযূ নদীর আরতি কমিটির প্রধান?

    শশীকান্ত দাস বললেন, ‘‘আগে ঝামেলা অশান্তির ভয়ে কেউই সেভাবে অযোধ্যা আসতে চাইতেন না। অপপ্রচারও চলত, অযোধ্যা (Ram Mandir) এলেই অশান্তি হতে পারে। রামনগরী তাই হয়ে উঠেছিল উদাসী। কিন্তু এখন আপনাদের মতো লাখো মানুষ আসছেন অযোধ্যায়। মন্দির উদ্বোধনের পরে এই সংখ্যা কততে গিয়ে ঠেকবে তা বলা যাচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে বদলে গিয়েছে অযোধ্যার চিত্র। ’’শশীকান্ত দাসের কথায় ঝরে পড়ল নরেন্দ্র মোদি ও যোগী আদিত্যনাথের ভূয়সী প্রশংসাও। তাঁর মতে, ‘‘অযোধ্যাকে বদলে দেওয়ার কারিগর নরেন্দ্র মোদি। তিনি ছিলেন বলেই রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হল অযোধ্যায়। বদলে গেল অযোধ্যার চিত্র। তার সঙ্গে নগরীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও।’’ সরযূর ঠিক পাশেই বিশালাকার পার্ক। সেখানে প্রত্যহ সন্ধ্যায় আরতির পরে লেজার শো-এর মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে সম্পূর্ণ রামায়ণ। রাম মন্দির থেকে সরযূ যাওয়ার সড়ক রামপথ নামে পরিচিত। মন্দির-সড়ক-নদী সবই যেন রামচন্দ্রময় হয়ে উঠেছে অযোধ্যায়। শুধু তীর্থকেন্দ্র নয়, পর্যটনস্থল হিসেবেও ঘুরে আসা যেতেই পারে অযোধ্যা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যায় যাচ্ছে ৪৫০ কেজির ধামসা, ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড

    Ram Mandir: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যায় যাচ্ছে ৪৫০ কেজির ধামসা, ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিল ৪৫০ কেজি ওজনের একটি ধামসা এবং ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড। যাত্রার সূচনা করেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) জন্য এই সামগ্রী নিবেদন করা হয়েছে। এই বিরাট ধামসা এবং ধ্বজ দণ্ড স্থাপনা করা হবে রাম মন্দিরে।

    উল্লেখ্য, আগেও নানান সামগ্রী মন্দিরের উদ্দেশে পাঠানোর কথা জানা গিয়েছে। যেমন বিরাট মাপের ঘণ্টা, বিরাট মাপের তালা-চাবি, বিরাট মাপের ধুপকাঠি, এবং বাংলা থেকে বিরাট ফাইবারের রামের মূর্তি পাঠানোর কথা সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। এছাড়াও সীতার বাপের বাড়ি নেপাল থেকে আসবে শ্রীরাম লালার অভিষেকের গয়না, অলঙ্কার, সাজ এবং ভোগের সামগ্রী। রামনগরীতে এখন সাজো সাজো রব। মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন পরেই মন্দিরের উদ্বোধন।

    ৭০০ কেজি ওজনের রথ

    সূত্রের খবর, সেই সঙ্গে এই বিরাট পতাকা এবং দণ্ড বহনকারী রথটির ওজন হবে ৭০০ কেজি। এগুলি অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) জন্য এই বিরাট নির্মাণ করেছেন ‘অল ইন্ডিয়া ডাবগার সমাজ’। আগামী ২২ জানুয়ায়রি রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা এবং অভিষেক সম্পন্ন হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশজুড়ে তাই প্রস্তুতি ব্যাপক তুঙ্গে। বারাণসীর পুরোহিত, লক্ষ্মী কান্ত দীক্ষিত রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠানের মূল আচার অনুষ্ঠান করবেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অযোধ্যায় অমৃত মহোৎসব পালন করা হবে। একটি ১০০৮ হুন্ডি মহাযজ্ঞেরও আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে হাজার হাজার ভক্তকে প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।

    হনুমানের দেশ থেকে আসবে মূর্তি

    কর্নাটকের ভাস্কর শিল্পী যোগীরাজ অরুণের খোদাই করা মূর্তিটি নির্বাচিত হয়েছে মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের জন্য। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থাপন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে মূর্তিটির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সোমবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হনুমানের দেশ থেকে একজন প্রখ্যাত প্রতিমা নির্মাতার মূর্তি রাম মন্দিরে স্থাপনের স্বরূপটি সকলে দেখতে পাবেন। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরের ১০০ দিনে ১ হাজার বিশেষ ট্রেন ছুটবে অযোধ্যায়

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরের ১০০ দিনে ১ হাজার বিশেষ ট্রেন ছুটবে অযোধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরে (Ram Mandir) উদ্বোধন হতে হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। শুরু হয়েছে কাউন্ট ডাউন। প্রশাসন জানিয়েছে মন্দির উদ্বোধনের পরে প্রতিদিন গড়ে তিন লাখ মানুষের পা পড়বে রাম নগরী (Ram Mandir) অযোধ্যাতে। ইতিমধ্যে জোর কদমে চলছে স্টেশন পুনর্গঠনের কাজ। স্টেশনের নামকরণ হয়ে গিয়েছে অযোধ্যা ধাম। যাতায়াতে যাতে তীর্থযাত্রীদের কোনও অসুবিধা না হয় সে কারণে ভারতীয় রেল অযোধ্যা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিল। জানা গিয়েছে মন্দির উদ্বোধনের (Ram Mandir) তিন দিন আগে থেকে পরের ১০০ দিন পর্যন্ত ১ হাজার ট্রেন চালাবে ভারতীয় রেল। বিশেষ ট্রেনগুলি ছুটবে ১৯ জানুয়ারি থেকেই।

    রাম ভক্তদের সুবিধায় বিশেষ উদ্যোগ ভারতীয় রেলের 

    রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ২২ জানুয়ারি। ২৩ জানুয়ারি থেকেই সাধারণ পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে যাবে মন্দিরের দরজা। ইতিমধ্যে কোন কোন জায়গা থেকে ট্রেনগুলি অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা হবে, তার একটা মোটামুটি তালিকা সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, রাম ভক্তদের (Ram Mandir) অযোধ্যা পৌঁছাতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় এবং বারবার রেল বদল না করতে হয় সে কারণেই এই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রেল।

    কোন কোন জায়গা থেকে ছাড়বে ট্রেন?

    বিশেষ ট্রেনগুলি ছাড়বে যেখান থেকে সেই স্থানগুলি হল, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, পুণে, কলকাতা, নাগপুর, লখনউ ও জম্মু-কাশ্মীর। এর পাশাপাশি আরও অন্যান্য ছোট বড় শহর থেকেও অযোধ্যার উদ্দেশে পাড়ি দেবে ট্রেন। এই ট্রেনগুলির ছাড়ার সময়, যাত্রীদের দাবি অনুযায়ী নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ট্রেনের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। অযোধ্যা স্টেশন ১৫ জানুয়ারি থেকে ফের খুলে যাবে। তখন থেকে প্রতিদিন গড়ে পঞ্চাশ হাজার মানুষের পা পড়বে প্ল্যাটফর্মে। অযোধ্যার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। অযোধ্যা (Ram Mandir) জোনের আইজি প্রবীণ কুমার বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যত লোকবল আছে, তার পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রযুক্তিরও সাহায্য নিচ্ছি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ড্রোনও নজরদারি চালাচ্ছে। অযোধ্যা শহরের চারিদিকে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share