Tag: RBI

RBI

  • Demonetisation: “নোটবন্দি রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গ ছিল”, আদালতে জানাল আরবিআই

    Demonetisation: “নোটবন্দি রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গ ছিল”, আদালতে জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরবিআই ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটবন্দির (Demonitisation) সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে এই মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি সৈয়দ আবদুল নাজিরের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। এরপরেই অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, যাবতীয় নথি মুখবন্ধ খামে আদালতকে দিতে হবে। এর আগে আরবিআইয়ের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নোটবন্দির প্রভাব সম্পর্কে সরকারকে অবগত করা হয়েছিল কিনা। আরবিআই কি সরকারকে জানিয়েছিল যে নোটবন্দির ফলে দেশের ৮৬ শতাংশ নোটই বাতিল হবে। এই আবহে এবার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত নথি জমা দিতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। নোটবন্দি সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ৫৮টি মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাগুলির শুনানি চলছে। 

    আরও পড়ুন: এনজেএসি বাতিল করে শীর্ষ আদালত জনসাধারণের রায়কে উপেক্ষা করেছে, রাজ্যসভায় বললেন ধনখড়

    আদালতে সওয়াল-জবাব 

    এস আব্দুল নজিরের সাংবিধানিক বেঞ্চকে জবাবে আরবিআই এর পক্ষ থেকে আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত বলেন, “আড়ম্বরপূর্ণ শব্দ মনে হলেও, নোটবন্দি রাষ্ট্র গঠনের একটি বড় অংশ ছিল। অনেকের মতামত নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর বিরূপ প্রভাব সম্পর্কেও অবগত ছিলেন আধিকারিকরা। কেউ কেউ এক মত নাও হতে পারেন। সেটাই স্বাভাবিক।”

    শুনানির সময় এক পর্যায়ে বিচারপতি বি.ভি. নাগারথনা, আইনজীবী গুপ্তকে ব্যাংক এবং এটিএম-এর বাইরে দীর্ঘ লাইনের কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, “গোটা দেশ অর্থাভাবে ভুগেছিল।”  

    আবেদনকারীদের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট পি চিদাম্বরম বলেন, “প্রতিটি ব্যাংকের (Demonitisation) কেবল সীমিত নগদ টাকা ছিল, যা তাদের শাখাগুলির মধ্যে বিতরণ করতে হয়েছিল। এমন কিছু ঘটনা ঘটেছিল, ১০০ জন লোক তাদের নোট পরিবর্তন করতে পেরেছিলেন। কিন্তু ১০১তম ব্যক্তিকে ফিরে আসতে হয়েছিল ব্যাংক থেকে।”

    এর উত্তরে গুপ্ত বলেন, “কিছু কষ্ট হয়তো হয়েছে। তা প্রত্যাশিত ছিল না। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই আমাদের সবকিছু ঠিক করা ছিল। একদিন টাকা বের করে পরের দিন রিমানিটাইজ করা সম্ভব নয়। অযথা কারও টাকা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হয়েছিল।” 

    তিনি আরও বলেন, “সকলকে একটি যুক্তিসঙ্গত সুযোগ এবং পুরোনো টাকা বদলে নেওয়ার যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল। যখনই সমস্যা দেখা দিয়েছে, নীতি পরিবর্তন করা হয়েছে। একটি কন্ট্রোল রুমও চালু ছিল।” 

    বিচারপতি নাগারথনা প্রত্যুত্তরে বলেন “নোট বদল (Demonitisation) করার শেষ দিন, ২০১৬ সালের ৩১শে ডিসেম্বরও বহু লোক ৫০০-১০০০ টাকার নোট বদল করতে না পেরে ফিরে এসেছেন। কারণ ব্যাংকের বাইরে দীর্ঘ লাইন ছিল।” 

    গুপ্ত জবাবে বলেন, “সেই সময়ে ব্যাংকগুলি ২৪ ঘণ্টা কাজ করত। ব্যাংক অফিসাররা সিস্টেমটিকে সমর্থন করেছিলেন।” বিচারপতি নাগারথনা বলেন, “ব্যাংকের লাইনে দাঁড়ানো অনেক লোকই হয়তো গৃহ সহায়ক এবং দিনমজুর ছিলেন, যারা পুরোনো মুদ্রায় বেতন পেয়েছিলেন এবং দিনের পর দিন তা বদল করার অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়েছেন।”

    গুপ্ত যুক্তি দিয়ে বলেন, “পুরোনো নোটে বেতন দেওয়া অবৈধ ছিল (Demonitisation)। ৯ নভেম্বর থেকে, নতুন নোটগুলিই একমাত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।     

     

     

     

  • RBI: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কত জানেন?

    RBI: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রেপো রেট (Repo rate) বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। বুধবার বাড়ানো হয়েছে এই রেট। রেপো রেট বাড়ানো হয়েছে ৩৫ বেসিস পয়েন্ট। বুধবার একথা ঘোষণা করেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি জানান, এর ফলে রেপো রেট বৃদ্ধির হার গিয়ে দাঁড়াল ৬.২৫ শতাংশে।

    ইএমআই…

    রেপো রেট বাড়ায় গাড়ি বা গৃহঋণে ইএমআই আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়তে পারে অন্যান্য ঋণের ইএমআইও। শক্তিকান্ত দাস জানান, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট বৃদ্ধির বিষয়ে সায় দিয়েছেন মানিটারি পলিসি কমিটির ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই। সংখ্যাগরিষ্ঠরাই রেপো রেট বৃদ্ধির পক্ষে সায় দিয়েছেন। এর পরেই বাড়ানো হয় রেপো রেট। এনিয়ে পঞ্চমবার সুদের হার বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

    নানা কারণে সারা বিশ্বে বাড়ছে আর্থিক অস্থিরতা। এই পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতে গিয়ে রেপো রেট বাড়াল ভারতের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক (RBI)। আর্থিক নীতি কমিটির বৈঠকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে রেপো রেট বাড়ানো হয়েছিল ৫০ বেসিস পয়েন্ট। যার জেরে বৃদ্ধির হার গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৫.৯ শতাংশে। এবার ফের একপ্রস্ত বাড়ল রেপো রেট। এর আগে মে মাসে রিজার্ভ ব্যঙ্ক রেপো রেট বাড়িয়েছিল ৪০ বেসিস পয়েন্ট। পরে জুনে ফের তা বাড়ে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বরেও রেপো রেট বেড়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট করে। এর ফলে বেঞ্চমার্ক ঋণে সুদের হার চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে বেড়েছে ২.২৫ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি, যা আরবিআইয়ের (RBI) বেঞ্চমার্ক ঋণের হার নির্ধারণের সময় গুরুত্ব দেওয়া হয়, গত অক্টোবর মাসে তা ৬.৭ শতাংশে পৌঁছায়। খুচরো মুদ্রাস্ফীতি এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে আরবিআইয়ের কমফর্ট লেভেল থেকে ৬ শতাংশের ওপর রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Digital Currency: চালু  হয়ে গিয়েছে ডিজিটাল মুদ্রা, কোথায় কোথায় জানেন?

    Digital Currency: চালু  হয়ে গিয়েছে ডিজিটাল মুদ্রা, কোথায় কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে দেশে চালু হয়ে গিয়েছে ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency)। ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে এটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পাইলট প্রকল্প। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) এই ডিজিটাল মুদ্রার নাম দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC)। ভারতের (India) মোট চারটি শহরে চালু হয়েছে এই পাইলট প্রকল্প। এই শহরগুলি হল, মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং ভুবনেশ্বর।

    সুবিধা মিলবে ব্যাঙ্কে…

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক এবং আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই চারটি শহরে হবে ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে ডিজিটাল মুদ্রা কিনে ওয়ালেট থেকে ওয়ালেটে লেনদেন করা হবে। মনে রাখতে হবে, এই ডিজিটাল মুদ্রা পেটিএম এবং গুগল পে-র মতো মোবাইল ওয়ালেটগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে না। প্রসঙ্গত, আপাতত চারটি ব্যাঙ্ক এই পাইলট প্রকল্পে যোগ দিলেও, পরে ধাপে ধাপে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক এই পাইলট প্রকল্পে যোগ দেবে।

    প্রসঙ্গত, এর আগে আরবিআইয়ের তরফে ডিজিটাল মুদ্রায় (Digital Currency) লেনদেনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, শুধু মাত্র নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ই-রুপি লেনদেন চালু হবে। সফল হলে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে। জানা গিয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সির মতোই ই রুপি একটি ডিজিটাল টোকেন। তবে ভারতে এই ডিজিটাল রুপিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে। নোট এবং খুচরো কয়েনের সমান দামেই চালু হবে ডিজিটাল রুপি।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?

    জানা গিয়েছে, ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে গ্রাহকরা ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, জমা রাখা যাবে মোবাইলের ওয়ালেটেও। একজন অন্যজনকে এই ডিজিটাল টাকা পাঠাতে পারবেন। পাশাপাশি কেউ এভাবে কোনও ব্যবসায়ীকে টাকা পাঠাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ব্যাঙ্কে নগদ টাকা জমা রাখলে যেমন সুদ পাওয়া যায়, এ ক্ষেত্রে তেমন কোনও সুদ মিলবে না। ব্যাঙ্কগুলি এই ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency) আমানত রূপেও জমা রাখতে পারবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Digital Rupee: দেশে শুরু হয়ে গেল ডিজিটাল রুপির ট্রায়াল, ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে পার্থক্য কি জানেন?

    Digital Rupee: দেশে শুরু হয়ে গেল ডিজিটাল রুপির ট্রায়াল, ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে পার্থক্য কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গেল ডিজিটাল রুপির (Digital Rupee) ট্রায়াল। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল রুপিতে প্রথম পাইলট, ২০২২ সালের ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। জানা গিয়েছে, পাইলট প্রজেক্টে (Pilot Project) অংশ নেওয়ার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে নটি ব্যাঙ্ককে (Bank)। এই ব্যাঙ্কগুলি হল, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক এবং এইচএসবিসি। আরবিআইয়ের মতে, ডিজিটাল রুপি হোলসেল আন্তঃব্যাঙ্ক বাজারের দক্ষতা আরও বাড়িয়ে তুলবে। এটি খরচও কমিয়ে আনবে।

    প্রশ্ন হল, ডিজিটাল রুপি কী (Digital Rupee)? আরবিআইয়ের ওয়েবসাইটে এ প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে, সেন্ট্রাল বোর্ড ডিজিটাল কারেন্সি হল ফিয়াট কারেন্সির সমতুল এবং ফিয়াট কারেন্সির মতো একজনের সঙ্গে অন্যজনের বিনিময়ও করা যাবে। ফিয়াট কারেন্সি হল যে মুদ্রা সবাই ব্যবহার করে, তাই। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের ব্যাখ্যা, সিবিডিসি হল লিগ্যাল টেন্ডার, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক যা ইস্যু করে ডিজিটাল ফর্মে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহারে লেনদেন আরও সহজ হয়ে যাবে। বিষেষজ্ঞদের মতে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল রুপিই কাগুজে নোটের সব চেয়ে শক্তিশালী ও সুবিধাজনক বিকল্প হয়ে উঠবে। মনে রাখতে হবে, দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছে ডিজিটাল মুদ্রার (Digital Rupee) সংবিধিবদ্ধ স্বীকৃতি থাকবে। একে ই-রুপি বলা যায়। তবে কখনওই ক্রিপ্টোকারেন্সি  নয়।

    আরও পড়ুন: ফের রেপো রেট বাড়াতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাংক?

    ডিজিটাল রুপির (Digital Rupee) সঙ্গে মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহারের যে পার্থক্য রয়েছে, তা জানিয়ে দিয়েছে সরকারি একটি সূত্র। ওই সূত্রের মতে, ডিজিটাল রুপির ক্ষেত্রে কাগুজে মুদ্রা হাতে নয়, আপনার ফোনে থাকবে। মুদ্রা ব্যবহার করলে সেখান থেকে চলে যাবে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে। সেখান থেকে চলে যাবে কোনও ব্যবসায়ীর কাছে। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ব্যালেন্স শিটে একে লায়াবিলিটিজ হিসেবে দেখানো হবে। প্রসঙ্গত, বিটকয়েন থেকে প্রাণিত হয়েই সিবিডিসির ধারণা এসেছে। তবে বিটকয়েনের সঙ্গে এর বিরাট পার্থক্য রয়েছে। সেটি হল, বিটকয়েনের লিগ্যাল টেন্ডার নেই। যা রয়েছে ডিজিটাল রুপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • RBI: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, কত হল জানেন? 

    RBI: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, কত হল জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিলে গেল বাজার বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যদ্বাণী! গত সপ্তাহেই তারা জানিয়েছিল, চলতি সপ্তাহে রেপো রেট (REPO Rate) বাড়াতে পারে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। রেপো রেট বাড়ানো হতে পারে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। দেশের শীর্ষ ব্যাংকের পলিসি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার পর্যন্ত। বাজার বিশেষজ্ঞদের অনুমাণ সত্যি প্রমাণ হল এদিন। শুক্রবারই রিজার্ভ ব্যাংক রেপো রেট বাড়াল ৫০ বেসিস পয়েন্ট। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অস্থির বাজারের কথা মাথায় রেখেই এটা করা হয়েছে বলে অর্থনীতিবিদদের একাংশের অভিমত।

    রেপো রেট হল যে হারে কোনও দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ভারতের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাংক তহবিলের কোনও ঘাটতি হলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে অর্থ ঋণ দেয়। এদিন দেশের শীর্ষ ব্যাংকের মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই সদস্যদের মধ্যে পাঁচজন রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেন। কেবল রেপো রেট নয়, ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটিও। ৫.৬৫ শতাংশ থেকে মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেসিলিটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬.১৫ শতাংশ।

    আরও পড়ুন :ফের রেপো রেট বাড়াতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাংক?

    চলতি বছরে মে মাস থেকে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী পলিসি রেট (Key Policy Rate) বাড়িয়েছে ১৪০ বেসিস পয়েন্ট। এদিন মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মোট ছ জন। এর মধ্যে রিজার্ভ ব্যাংকের তিনজন সদস্য  এবং বাইরের তিন সদস্য। তার মধ্যে পাঁচজনই ভোট দেন রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর পক্ষে।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গোটা বিশ্বেই জাঁকিয়ে বসেছে মুদ্রাস্ফীতি। এই যুদ্ধের প্রভাব যে বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়বে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে কিছুদিন আগেই তা জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেটা যে নিছকই কথার কথা ছিল না, তা বোঝা গিয়েছিল মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদ বৃদ্ধিতে। কেবল আমেরিকার শীর্ষ ব্যাংকই নয়, বেলাগাম মুদ্রাস্ফীতির রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাংকগুলোও। তখনই বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহে রেপো রেট বাড়াতে পারে ভারতের শীর্ষ ব্যাংক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • RBI Repo Rate: ফের রেপো রেট বাড়াতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাংক?

    RBI Repo Rate: ফের রেপো রেট বাড়াতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাংক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে চলছে অস্থিরতা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) জেরে বিশ্ববাসীর গায়ে লেগেছে মুদ্রাস্ফীতির আঁচ। বদলে গিয়েছে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ। বেড়েছে উদ্বেগ-উত্তেজনা। এই যুদ্ধের প্রভাব যে বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়বে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভাষণ দিতে গিয়ে তা জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সেটা যে নিছকই কথার কথা নয়, তা বোঝা গিয়েছিল মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের (US Federal Reserve) সুদ বৃদ্ধিতে। কেবল আমেরিকার শীর্ষ ব্যাংকই নয়, বেলাগাম মুদ্রাস্ফীতির রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাংকগুলোও।

    বুধবার মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বাড়িয়েছিল ০.৭৫ শতাংশ। চলতি বছরে এটা পঞ্চমতম হার বৃদ্ধি। চলতি বছর এটা শুরু হয়েছিল শূন্য থেকে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী সপ্তাহে ভারতের শীর্ষ ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াও রেপো রেট (Repo Rate) বাড়াতে পারে। আরবিআইয়ের পলিসি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত রয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তাই বাজার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তার পরেই রেপো রেট বাড়ানো হতে পারে ৫০ বেসিস পয়েন্ট।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজের এক বিশ্লেষকের বিশ্বাস, রিজার্ভ ব্যাংক পলিসি রেট বাড়তে পারে আরও ০.৫ শতাংশ। এই মাসের শেষের দিকে এটা করা হতে পারে। বাকি ২৫ বেসিস পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ সুদের হার বাড়ানো হতে পারে ডিসেম্বরে। একটি বেসরকারি ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বলেন, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে ভারতে রেপো রেট হঠাৎ করে ৬ শতাংশ থেকে ৬.৫ শতাংশ হয়েছে। এক বাজার বিশেষজ্ঞের মতে, আমরা আশা করি, মুল্যবৃদ্ধি সামাল দিতে গিয়ে বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হতে পারে ৩৫-৫০ পয়েন্ট।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি চিন-আমেরিকার দ্বন্দ্বের (China US conflict) জেরে বদলে গিয়েছে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ। বেড়েছে আন্তর্জাতিক অস্থিরতা। প্রভাব পড়েছে বাণিজ্যে। ফলে, বেড়েছে দ্রব্যমূল্য। তৈরি হয়েছে সঙ্কট। বৃদ্ধি পেয়েছে চাহিদা। এসব প্রভাব ফেলেছে ব্যাংকিং সেক্টরে। যার প্রভাব আবার আছড়ে পড়েছে সার্বিক অর্থনীতিতে। তাই বাড়ানো হতে পারে বেসিস পয়েন্ট। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকা যে দফায় দফায় সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে, তা ভারতীয় স্টক মার্কেটের (Indian Stock Exchange) পক্ষে ঝুঁকির হতে পারে। কিন্তু এটা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে সুবর্ণ সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • GDP: বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    GDP: বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চলতি আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বাড়ল ভারতের (India) গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট, সংক্ষেপে জিডিপি (GDP)। গত বছর এই সময়সীমার মধ্যে এই বৃদ্ধির হার ছিল ২০.১ শতাংশ। এবার তা দাঁড়িয়েছে ১৩.৫ শতাংশে। জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (National Statistical Office) থেকে যে ডেটা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। বুধবার ওই ডেটা প্রকাশ করা হয়।

    কোনও একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামগ্রিক মূল্যই হচ্ছে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এই উৎপাদন যে হারে বাড়ে সেটি হল জিডিপির প্রবৃদ্ধি। এই জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপি পৌঁছেছে ১৩.৫ শতাংশে।

    রেটিং এজেন্সি আইসিরএ-র মতে, জিডিপি ১৩ শতাংশে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে ২০২২ সালের এপ্রিল-জুন এই ত্রৈমাসিকে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া তার রিপোর্টে বলেছিল, জিডিপি দাঁড়াতে পারে ১৫.৭ শতাংশে গিয়ে। এই মাসের শুরুর দিকে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছিল প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি রেট দাঁড়াতে পারে ১৬.২ শতাংশে। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষে এই সময় সীমায় ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিনের আর্থিক বৃদ্ধি ০.৪ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্ব মন্দার ভয় এবং সুদ বাবদ খরচ বৃদ্ধির জেরেই এই বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাংক বেঞ্চমার্ক পলিশি রেট বাড়িয়ে করেছে ১৪০ পয়েন্ট। মে মাস থেকে তিন কিস্তিতে ওই বৃদ্ধি হয়েছে। দেশের শীর্ষ ব্যাংক এও জানিয়েছিল, দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নীচে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কেবল জিডিপি বাড়েনি, বেড়েছে বেসরকারি বিনিয়োগও। প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি আর্থিক বর্ষের এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ ২০.১ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। আরও জানা যাচ্ছে, সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে ১.৩ শতাংশ, বেসরকারি ক্ষেত্রে খরচের হার বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Term Deposit Interest Hike: বাড়ল সুদের হার, কোন কোন ব্যাংক দিচ্ছে জানেন?    

    Term Deposit Interest Hike: বাড়ল সুদের হার, কোন কোন ব্যাংক দিচ্ছে জানেন?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তৃতীয়বারের জন্য নিজেদের রেপো রেট (Repo Rate) বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এমতাবস্থায় রেপো রেট বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা ছিল না দেশের শীর্ষ ব্যাংকের সামনে। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই রেপো রেট বাড়িছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই রেপো রেট বাড়ায় নয়া সুদের হার ঘোষণা করেছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক (Bank)।  

    আমরা জানি, ভারতের সিংহভাগ বাসিন্দাই ভরসা করেন ফিক্সড ডিপোজিটের (Fixed Deposit) ওপর। এর প্রধান কারণ হল, এতে বাজারের হাল যাই হোক না কেন, সুদ মেলে ডিপোজিটের সময় ব্যাংক যে প্রতিশ্রুতি দেয়, সেই হারে। তাছাড়া টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলাও সোজা। গত দু তিন বছরে একাধিকবার সুদের হার কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই সময় সীমার মধ্যেই ছিল করোনা অতিমারি পরিস্থিতি। তার পরেও ফিক্সড কিংবা টার্ম ডিপোজিটে অগ্রহ বাড়েনি আমজনতার।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    আমজনতাকে ব্যাংকমুখী করতে নয়া সুদের হার ঘোষণা করেছে দেশের একাধিক বেসরকারি ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংক কোটাক মাহিন্দ্রা এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়েস ব্যাংক ১০ অগাস্ট থেকে টার্ম ডিপোজিটে সুদের হার বাড়িয়েছে। কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংকে ৭ থেকে ১৪ দিনের জন্য ২ কোটি টাকার কম জমা রাখলে সুদ মিলবে ২.৫০ শতাংশ হারে। তিন বছর থেকে ১০ বছরের মধ্যে হলে সুদ মিলবে ৫.৯০ শতাংশ। প্রবীণ নাগরিকেরা পাবেন অতিরিক্ত .৫ শতাংশ।

    এর চেয়েও বেশি সুদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ইয়েস ব্যাংক। ৭ থেকে ১৪ দিনের মেয়াদি আমানতে তারা দিচ্ছে ৩.২৫ শতাংশ সুদ। তিন বছরের ঊর্ধ্বে এবং ১০ বছর পর্যন্ত টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে সুদ মিলবে ৬.৭৫ শতাংশ হারে।

    আরও পড়ুন : ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    টার্ম ডিপোজিটে সুদের হার বাড়িয়েছে আর একটি বেসরকারি ব্যাংক আইসিআইসিআই ব্যাংক। এই সুদ মিলবে দু কোটি কিংবা তার বেশি টাকা জমা রাখা হলে। সেক্ষেত্রে সুদ মিলবে ৩.২৫ শতাংশ থেকে ৫.৭৫ শতাংশ হারে। সুদের হার বাড়িয়েছে অ্যাক্সিস ব্যাংকও। দু কোটি টাকার কম জমা রাখা হলে সুদ মিলবে ২.৫০ শতাংশ থেকে ৫.৭৫ শতাংশ হারে। জমা টাকার পরিমাণ দু কোটি টাকার বেশি হলে সুদ মিলবে ৫.৯০ শতাংশ হারে।

     

  • FD New Rule: এফডি করার কথা ভাবছেন? আগে জেনে নিন রিজার্ভ ব্যাংকের নয়া নিয়ম

    FD New Rule: এফডি করার কথা ভাবছেন? আগে জেনে নিন রিজার্ভ ব্যাংকের নয়া নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা শেয়ার বাজারের ওঠা-নামায় অভ্যস্ত নই। তাই টাকা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা স্থায়ী আমানত বা ফিক্সড ডিপোজিটেই ভরসা রাখি। লাভের অঙ্ক কম ঠিকই, তেমন ঝুঁকিও নেই। 

    আরও পড়ুন: বাড়ল সুদের হার, কোন কোন ব্যাংক দিচ্ছে জানেন?

    যদি ফিক্সড ডিপোজিট করতে চান বা ইতিমধ্যেই করে থাকেন, তাহলে এই খবরটা জানতেই হবে আপনাকে। ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) সংক্রান্ত নিয়মে বদল এনেছে আরবিআই (RBI)। নতুন নিয়ম অবশ্যই জেনে রাখতে হবে আপনাকে। রিজার্ভ ব্যাংকের রেপো রেট (Repo Rate) বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর একাধিক সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এফডি-তে সুদের হার বাড়িয়েছে। তাই অনেকেই ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকছেন। তাই এফডি করার আগে জেনে নিন আরবিআই-র নয়া নিয়ম। 

    আরও পড়ুন: লোন অ্যাপ থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক আরবিআই

    কী বদল হল নিয়মে? 

    মেয়াদপূর্তির পরে ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙিয়ে না নিলে কম সুদ পাবেন। সেক্ষেত্রে সেভিংস অ্যাকাউন্ট যে হারে সুদ দেয় ব্যাংক, সেটাই হবে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ। বর্তমানে ব্যাংকগুলি সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছরের দীর্ঘ মেয়াদের এফডিতে ৫%-র বেশি সুদ দেয়। সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার প্রায় ৩ থেকে ৪ শতাংশ।

    ফিক্সড ডিপোজিট ম্যাচিওয়র হওয়ার পর অনেকেই ব্যাংকে যেতে দেরি করেন। তখন ফিক্সড ডিপোজিটের হারেই সুদ পেতেন। এবার তা হবে না। আরবিআই-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, এফডি ম্যাচিওরিটির পরে সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের মধ্যে যেটা কম হবে সেই হারে পাবেন গ্রাহকরা। এই নতুন নিয়মগুলি সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, ক্ষুদ্র আর্থিকব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, স্থানীয় আঞ্চলিক ব্যাংকগুলির আমানতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। 

    ধরুন আপনি ৫ বছরের একটি এফডি করিয়েছেন। যা ম্যাচিওর হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এই টাকা তুলছেন না। এফডির সুদ সেই ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের থেকে কম হয়, তাহলে আপনি এফডির সুদ পেতে থাকবেন। এফডি-র সুদ সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের চেয়ে বেশি হলে মেয়াদপূর্তির পরে সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদ মিলবে। অর্থাৎ, যেটা কম, সেই হারে সুদ মিলবে।

    আগে এফডি ম্যাচিওর হওয়ার পর টাকা না তুললে ব্যাংক এফডি-র সময়সীমা বাড়িয়ে দিত। সেই অনুযায়ী সুদও মিলত। কিন্তু এখন তা হবে না। মেয়াদপূর্তির পর টাকা তোলা না হলে এফডির সুদ পাওয়া যাবে না। মেয়াদপূর্তির সঙ্গে সঙ্গে তাই টাকা তুলে নেওয়া বা নতুন করে এফডি করা দরকার। 

     

  • RBI on Loan App: লোন অ্যাপ থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক আরবিআই

    RBI on Loan App: লোন অ্যাপ থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পকেটে টান পড়লেই আমরা অনেকেই ঋণ নেওয়ার পথে ঝুঁকি। আজকাল বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এবার সেই ঋণ অ্যাপগুলি সম্পর্কে সতর্ক করল দেশের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। বুধবার এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা (Guideline) জারি করেছে আরবিআই। সেখানে ডিজিটাল ঋণের (Digital Lender) বিষয়ে স্পষ্ট গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।    

    আরবিআই – এর নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ডিজিটাল ঋণের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় সুদের হার অত্যাধিক। তথ্যের গোপনীয়তার নিয়ম  লঙ্ঘন এবং অতিরিক্ত চাপ দিয়ে ঋণের টাকা আদায়ের মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে। এছাড়া প্রতারণার মতো ঘটনার সঙ্গেও যুক্ত থাকে এই অ্যাপগুলির নাম। বাড়িতে বাড়িতে ইন্টারনেট পৌঁছানোয় সহজেই ঋণ অ্যাপগুলি মানুষের ফোনে জায়গা করে নিচ্ছে। এই থার্ড পার্টি ঋণ অ্যাপগুলি কোনও তথ্য যাচাই না করেই ঋণ দেয়। তৎক্ষণাৎ ঋণ দিতে গিয়ে বহু নিয়ম লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। 

    আরও পড়ুন: মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে তামাম ভারত!

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, ডিজিটাল ঋণদাতাদের মূলত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগের সদস্যদের ডিজিটাল ঋণ দেওয়ার অনুমতি রয়েছে। এই সংস্থাগুলিকে সাধারণত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করে। ঋণ প্রদানের জন্য আরবিআই তাদের অনুমোদন দিয়ে থাকে। আরবিআইয়ের নিয়ন্ত্রণের বাইরের ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলিই মূলত মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের। এই ধরনের ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলি যাতে বন্ধ করা যায়, সেজন্য WGDL কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।    

    ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ‘Working group on Digital Lending Including Lending Through Online Platforms and Mobile Apps’ (WGDL) তৈরি করা হয়েছিল। সম্প্রতি WGDL রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেখানে ডিজিটাল ঋণ সংক্রান্ত একাধিক বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: ফের জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা, শহিদ তিন জওয়ান, নিকেশ দুই জঙ্গি

    আরবিআই গাইডলাইনে জানিয়েছে, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলির সঙ্গে সরাসরি ঋণগ্রহিতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যোগ থাকতে হবে। এর মাঝে কোনও তৃতীয় পক্ষ থাকবে না। এর মধ্যে কোনওরকম ফি ঋণগ্রহিতাকে বহন করতে হবে না। সেটি আরবিআইয়ের নিয়ন্ত্রিত ঋণপ্রদানকারী সংস্থা বহন করবে। বর্তমানে ঋণগ্রহিতার সম্মতি ছাড়া ক্রেডিট লাইন বাড়ানো নিষিদ্ধ। ঋণগ্রহিতার কোনও অভিযোগ যদি ৩০ দিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত সংস্থা সমাধান না করে, তা হলে Reserve Bank – Integrated Ombudsman Scheme (RB-IOS)-এর অধীনে অভিযোগ জানাতে পারবেন ঋণ গ্রহীতা।   

LinkedIn
Share