Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Recruitment Scam: ‘কেস ডায়েরিতে রয়েছে প্রভাবশালীর নাম’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দাবি ইডির

    Recruitment Scam: ‘কেস ডায়েরিতে রয়েছে প্রভাবশালীর নাম’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই নামগুলো দেখলেই বুঝবেন, ভবিষ্যতে কী হবে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) বুধবার নিম্ন আদালতে কেস ডায়েরি পেশ করে একথা জানালেন ইডির (ED) আইনজীবীরা। যার অর্থ, প্রভাবশালীদের নির্দেশেই সব কাজ হয়েছে। ইডির জেরায় বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রভাবশালীদের নির্দেশেই সব কাজ করেছেন শান্তনু। সেই নির্দেশ পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কুন্তল ঘোষকে। এই প্রভাবশালীদের নাম জানতে কুন্তলকে লাগাতার জেরা করছেন তদন্তকারীরা।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ড (Recruitment Scam)…

    কেস ডায়েরি হল সেই গোপন গুরুত্বপূর্ণ নথি, যাতে তদন্তের যাবতীয় অগ্রগতি লিপিবদ্ধ করা হয়। এবং যেটা শুধু তদন্তকারী সংস্থা এবং বিচারকই দেখতে পান। এদিন বিচারকের উদ্দেশে ইডির আইনজীবীরা বলেন, হুজুর, কেস ডায়েরিটা ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। তাতে উল্লিখিত প্রভাবশালীদের নামগুলো দেখুন। প্রকাশ্য আদালতে সেই নামগুলো দেখুন। প্রকাশ্য আদালতে সেই নামগুলো (Recruitment Scam) বলতে পারছি না। দেখলেই বুঝবেন, ভবিষ্যতে কী ঘটতে চলেছে। এদিন আদালতে শান্তনুর আইনজীবীরা বলেন, তদন্তকারী সংস্থা আমাদের মক্কেলের যেসব বিষয় সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছে, তা ঋণ নিয়ে কেনা হয়েছে। আমাদের মক্কেল প্রতিষ্ঠিত পরিবারের ছেলে। তিনি এত বোকা নন যে, তাঁর বাড়িতে তিনশোটি ওএমআর শিট সাজিয়ে রাখবেন।

    বাবার মৃত্যুর পরে উনি তাঁর চাকরিটি পেয়েছিলেন। গ্রেফতারের পর সেই চাকরি চলে গিয়েছে। বিচারক শান্তনুর পেশা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁর আইনজীবী বলেন, ওঁর হোটেল ব্যবসা, অতিথিশালা ও মোবাইলের দোকান রয়েছে। বিচারক শান্তনুর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাইলে শান্তনু বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। মাল্টিমিডিয়ায় ডিপ্লোমা রয়েছে। এদিন শান্তনুর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবীরা বলেন, এই অভিযুক্ত সরকারি কর্মী। উনি তো ব্যবসা করতে পারেন না। ওঁর বার্ষিক বেতন ছ লক্ষ টাকা, কিন্তু সম্পত্তি ২০ কোটি টাকার।

    আরও পড়ুুন: ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর লক্ষ্যে কাজ করে যান! বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা মোদির

    ইডির আইনজীবীর দাবি, ড্যামি ডিরেক্টরদের নামে বেনামি সম্পত্তি (Recruitment Scam) কেনা হয়েছিল। সম্পত্তি কেনা হত নগদ টাকায়। শান্তনুর ছেলের নামে তৈরি করা হয়েছিল কোম্পানি। জানা গিয়েছে, অধস্তন কর্মীদের মাধ্যমে স্ত্রী প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে কোম্পানি খুলেছিলেন শান্তনু। খাতায় কলমে ডিরেক্টর বানানো হয়েছিল তাঁদের। ইডির দাবি, শান্তনুর মোবাইল ফোন থেকে যতদূর জানা গিয়েছে, তাতে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে বিপুল টাকা নিতেন শান্তনু। শান্তনু সরকারি কর্মী ছিলেন। বার্ষিক আয় ৬ লক্ষ টাকা। আদালতের কাছে সাবমিশন লেটারে ইডির দাবি, নির্দিষ্ট বেতনের চাকরি করেও প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছিলেন শান্তনু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Abhijit Gangopadhyay: ‘‘যা কখনও বলিনি, তা আমার মুখে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে’’! বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Gangopadhyay: ‘‘যা কখনও বলিনি, তা আমার মুখে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে’’! বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে যা যা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। ‘কিছু মানুষ আমার নামে বদনাম করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা সফল হবে না।’ প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। সেই প্রসঙ্গেই এভাবে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কলকাতা উচ্চ আদালতের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি আরও বলেছেন, ‘শুধু দুর্নীতি নয়, অনেকের সঙ্গে আমাকে লড়াই করতে হচ্ছে। তাতে আমি ভীত নই। এই লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়ব। যে কথা আমি কখনও বলিনি, তা আমার মুখে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিছু মানুষ আমার নামে কুৎসা-অপপ্রচারও শুরু করে দিয়েছে। তাঁরা যদি ভাবেন আমি ভয় পেয়ে যাব, তাহলে মুর্খের স্বর্গে বাস করছে। কয়েকজন রক্তপিপাসু দালাল আমার পিছনে পড়েছে। তাঁরা আমার পিছনে ছুটছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও লড়তে হবে আমাকে।’

    সুপ্রিম-রায়ে আস্থা

    প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকায় আপাতত শুনানি বন্ধ রেখেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এজলাসের মধ্যে এক বিচারপ্রার্থী জানতে চান, কবে তাঁরা বিচার পাবেন? জবাবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। কিছুটা সময় লাগছে ঠিকই, তবে সঠিক বিচার পাবেন।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হাইকোর্ট করতে পারে কি না, মামলকারীদের আইনজীবীকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে তা জেনে আসতে বলেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    শীর্ষ আদালতের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট এবং বিচারপতিদের ওপর আমার বিশ্বাস, আস্থা এবং শ্রদ্ধা আছে। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা নিয়ে আমি কোনও বক্তব্য পেশ করিনি। যে কথা আমি বলিনি সেগুলো আমার নামে প্রচার করা হচ্ছে। আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে। ভারতের আইন সভ্য আইন, কিছুটা সময় হয়তো লাগছে, কিন্তু বিচার হবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল ইডি, জানেন কার কার নাম রয়েছে তাতে?

    Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল ইডি, জানেন কার কার নাম রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি সূত্রে খবর, গোটা রাজ্য থেকে এজেন্টদের মাধ্যমে কুন্তল ঘোষ ১০০ কোটি টাকার বেশি তুলেছিলেন চাকরি দেওয়ার নামে। চাকরি ছাড়াও মানিক ভট্টাচার্যের মাধ্যমে বিএড কলেজের অনুমোদন বাবদও টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল ঘোষের মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল ইডি। সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের। শুধু মণীশ নয়, সেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৎকালীন ওএসডি সুকান্ত আচার্যেরও নাম রয়েছে বলে জানা গেছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, পার্থ-ঘনিষ্ঠ দীপক সরকারের কাছে পার্থর বেহালা অফিসে দেড় কোটি টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কুন্তল। সূত্রের খবর, মণীশ জৈন, ডাব্লুবিসিএস অফিসার সুকান্ত আচার্য এবং এক সময় পার্থর পরিষদীয় দফতরের ওএসডি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটের একটি অংশে। তাঁরা নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় তদারকি করেছিলেন বলে ইডি সূত্রে খবর। যাঁরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের নির্ধারিত সময়ের আগেই হয়েছিল ইন্টারভিউ, এমনও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

    ১০৪ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে কী অভিযোগ করল ইডি

    সম্প্রতি পিএমএলএ বিশেষ আদালতে কুন্তল ঘোষের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। ১০৪ পাতার সেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ইডি সোজাসুজি অভিযোগ করেছে, চাকরির আশ্বাস দিয়ে কীভাবে ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা হতো। তার বদলে তোলা হতো টাকাও। ইডির দাবি, সেই ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করা হতো পার্থ, মণীশ, প্রবীরদের মাধ্যমে। এই ইন্টারভিউয়ে পার্থর ভূমিকা নিয়েও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি। এর আগেই বলা হয়েছিল, নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেলের নগদে হত টাকার লেনদেন। গোপাল দলপতির মাধ্যমে বেশ কয়েকবার সেই টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। যদিও গোপাল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    ইডি-র কাছে কুন্তলের আরও দাবি, ৩২৫ জন অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি বাবদ বেসরকারি কলেজ সংগঠনের তৎকালীন সভাপতি তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে নেওয়া তিন কোটি ২৫ লক্ষ টাকার মধ্যে কমিশন বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা নিজের কাছে রেখেছিলেন কুন্তল। বাকি তিন কোটি টাকা তাপস-ঘনিষ্ঠ গোপাল দলপতি মারফত মন্ত্রী পার্থের কাছে পৌঁছে দেন তিনি। গোপাল তাঁকে জানিয়েছিলেন সুকান্ত, ভজা ও মানিক সরকার নামে পার্থের নাকতলার অফিসের এক ব্যক্তির মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কুন্তলের চার্জশিটে কলকাতা পুরসভার এক কাউন্সিলরেরও নাম রয়েছে। সূত্রের দাবি, শহরের পাঁচতারা হোটেলে সুকান্ত আচার্য এবং ওই কাউন্সিলরের মাধ্যমে পার্থর কাছে জমা পড়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একই দিনে শান্তনু ও তাঁর স্ত্রীকে জেরা ইডির, কী তথ্য উঠে এল?

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একই দিনে শান্তনু ও তাঁর স্ত্রীকে জেরা ইডির, কী তথ্য উঠে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগেই তলব করেছিল ইডি। সোমবার সল্টলেকের সিজিও কম্পলেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দেন প্রিয়াঙ্কা। অন্যদিকে এদিনই প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি থাকা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। সম্প্রতি শান্তনুর ‘ছায়াসঙ্গী’ বলে পরিচিত রাকেশ মণ্ডল, নিলয় মল্লিক এবং সুপ্রতিম ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তাঁদের কাছ থেকে শান্তনু সম্পর্কে বেশ কিছু নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এর পর পরই শান্তনুকে জেরা করল ইডি। জানা গেছে, আগামী ৫ এপ্রিল শান্তনুকে আবার আদালতে হাজির করানো হবে।

    চার ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় শান্তনুর স্ত্রীকে

    ইডি সূত্রে খবর, তদন্তকারী সংস্থার তলব পেয়ে আজ সেখানে আসেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁকে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। প্রিয়াঙ্কাকে ব্যাঙ্কের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। এদিন ইডি দফতরে তিনি ব্যাঙ্ক লেনদেনের নথি সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রিয়াঙ্কাকে আবার ডাকা হতে পারে।

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) তদন্তের ঘটনাক্রম

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বয়ানের উপর ভিত্তি করেই শান্তনুকে গ্রেফতার করে ইডি। শান্তনু গ্রেফতার হতেই গোটা হুগলি জেলায় তাঁর ছড়িয়ে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পায় ইডি। শান্তনুর সম্পত্তি সিল করে ইডি আধিকারিকরা। 

    ১৮ মার্চ শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রমোটার অয়ন শীলের ফ্যাটে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। শান্তনুকে গ্রেফতারের পর প্রোমোটার অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে ইডি। আধিকারিকদের দাবি, শান্তনু ও অয়ন নিয়োগে দুর্নীতির অন্যতম মূল মাথা অয়নের অফিস থেকে প্রচুর পরিমাণ নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও উদ্ধার করা হয়। এমনকী অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের লেনদেন একাধিক বেনিয়মের কথা দাবি করেন তদন্তকারীরা।

    বলাগড়ে গঙ্গার পারে রিসর্ট থেকে শুরু করে ধাবা, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে স্ত্রীর নামে কেনা দোতলা বাড়ির হদিশ পায় তদন্তকারীরা। এমনকী শান্তনুর বিরুদ্ধে বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকারও অভিযোগ ওঠে।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayan Shil: প্রভাবশালীর কাছে ২৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন অয়ন, আদালতে দাবি ইডির

    Ayan Shil: প্রভাবশালীর কাছে ২৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন অয়ন, আদালতে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক এজেন্টের (Recruitment Scam) মাধ্যমে এক প্রভাবশালীর কাছে অয়ন ২৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন। অন্তত নগর (Ayan Shil) দায়রা আদালতে এমনই দাবি করল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন অয়ন শীল। শনিবার তাঁকে পেশ করা হয় আদালতে। তখনই ইডির (ED) আইনজীবী বলেন, তদন্তকারীদের জেরায় অয়ন স্বীকার করেছেন তিনি এক এজেন্টের মাধ্যমে এক প্রভাবশালীর কাছে ২৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন। গরু পাচারের প্রসঙ্গও তোলেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, আগে বোলপুর বিখ্যাত ছিল শিক্ষার জন্য। এখন বোলপুর চেনা যায় দুর্নীতি ও গরু পাচারের জন্য।

    অয়নের (Ayan Shil) কীর্তি…

    ইডি জানিয়েছে, চাকরি দেওয়ার নামে এক হাজার প্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন (Ayan Shil)। তার মধ্যে ২৬ কোটি টাকা পৌঁছে গিয়েছিল প্রভাবশালীদের কাছে। সেই তালিকায় এমন ব্যক্তিও রয়েছে, যার নাম প্রকাশ্যে আদালতে বলা যাবে না। অন্তত ১৫ জন প্রভাবশালী অয়নকে চাকরির সুপারিশ পাঠাতেন। ডিল চূড়ান্ত হলে সেই সব প্রভাবশালীকে টাকা পাঠাতেন অয়ন।

    তাঁর প্রায় ৩০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন দফায় ৮ কোটি টাকা ঢুকেছে। ইডির দাবি, তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এক কোটি টাকা দিয়েছিলেন অয়ন। তাঁর ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আটটি ফ্ল্যাট, পাঁচটি গাড়ি, একটি পেট্রোল পাম্প, একটি হোটেলের হদিশ পেয়েছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, দুর্নীতির টাকায়ই এসব হয়েছে। ইডির আইনজীবী বলেন, এই স্ক্যাম এখন দু ভাগে বিভক্ত। একটি এসএসসি, অন্য দিকে পুরসভা দুর্নীতি। যারা পরীক্ষায় পাশ করত, সেই যোগ্য প্রার্থীকে অযোগ্য করা হত ওএমআর শিটে জালিয়াতি করে। যারা টাকা দিত তাদের ফাঁকা ওএমআর শিট নেওয়া হত। পরে সেটা নিজেরা অফিসে বসে উত্তর বসিয়ে দিত।

    আরও পড়ুুন: হিন্দুফোবিয়ার নিন্দা করে প্রস্তাব পাশ মার্কিন মুলুকে, কেন জানেন?

    এসএসসির ক্ষেত্রে কুন্তল ছিলেন অয়ন (Ayan Shil) ও পার্থর মাঝের সেতু। ইডি আরও জানিয়েছে, যেসব প্রার্থী বেশি নম্বর পেতেন, তাঁদের উত্তরপত্রে সঠিক উত্তরের অপশনের পাশাপাশি ভুল উত্তর দাগিয়ে দেওয়া হত। এর ফলে সেই যোগ্য প্রার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়ে যেত। তাঁদের জায়গায় নিজেদের অযোগ্য প্রার্থীর উত্তরপত্রে সঠিক উত্তর পূরণ করে দিতেন। প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন গ্রেফতার হন ২০ মার্চ। পরে আদালতে পেশ করে ইডি দাবি করে, সোনার খনি খুঁজে পেয়েছে তারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: অয়নের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অবাক ইডি-ও

    SSC Scam: অয়নের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অবাক ইডি-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Sil) প্রায় ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ মিলল। ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত অয়ন শীলের নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তির নথি পাওয়া গিয়েছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি ছুঁই ছুঁই। শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে এমনটাই খবর। কী ভাবে এই বিপুল সম্পত্তি হল অয়নের, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    নিয়োগ দুর্নীতির আখড়া

    ইডি সূত্রের খবর, অয়নের সল্টলেকের অফিসই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) অন্য়তম আখড়া। অয়ন, তাঁর স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠদের মিলিয়ে ৫০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেবল অযোগ্য প্রার্থী নয়, চাকরির বিনিময়ে যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকেও নেওয়া হয়েছিল টাকা! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত, অয়ন শীলের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দেওয়ায়, জয়েনিং লেটার পাওয়ার পরও, চাকরিপ্রাপকের নাম প্যানেল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

    আরও পড়ুন: ধিক্কার দিবস পালন ডিএ আন্দোলনকারীদের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

    অয়নের নোটপ্যাড রহস্য

    অয়নের নোটপ্যাড থেকেও মিলেছে নানা তথ্য।  ইডি সূত্রে খবর, সাদা রঙের ২টি নোটপ্যাডই ছিল লাল ফিতেয় মোড়া। তাতে উল্লেখ রয়েছে একাধিক নাম। শুধু শিক্ষা নয়, পুরসভাতেও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করেছেন তদন্তকারীরা। অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে বেশ কয়েক জন এজেন্টের নামের তালিকা হাতে পেয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় উঠে আসেন অয়নের ঘনিষ্ঠরাও। কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়র শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম ভেসে এসেছে। শমীক চৌধুরী ওরফে বাপ্পা নামে এলআইসির এক প্রাক্তন এজেন্টের ব্যাপারেও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তাঁর বাড়িও হুগলিতে। নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) যুক্ত অয়ন এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। শনিবার তাঁকে আবার আদালতে হাজির করানো হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: আজই হাজিরা! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মী অর্ণব বসুকে তলব ইডির

    Recruitment Scam: আজই হাজিরা! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মী অর্ণব বসুকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) এবার ইডি অফিসে তলব করা হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মী অর্ণব বসুকে। শুক্রবারই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) এই নতুন চরিত্রকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছেন ইডি আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, বুধবার তল্লাশিও চালানোও হয় অর্ণবের বাড়িতে। তাঁর মোবাইল এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে শুক্রবার তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাকাউন্টস বিভাগে চাকরি করেন অর্ণব

    অর্ণব প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাকাউন্টস বিভাগে চাকরি করেন। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগকাণ্ডে সম্প্রতি তাঁর নাম উঠে এসেছে। আর সেই কারণেই বুধবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। গতবছরের জুলাই মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা বন্দোপাধ্য়ায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক গতি পায় নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত (Recruitment Scam)। এখানেই উঠে এসেছে নতুন নতুন চরিত্র। নতুন নতুন দাবি। একের পর এক গ্রেফতার হয়েছেন পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা থেকে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী। নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন বহু মানুষ। সেই সূত্র ধরেই সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।

    ইডির অনুমান, এই দুর্নীতির জাল (Recruitment Scam) অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত

    অর্ণবের বাড়িতে অভিযান চালানোর কয়েক দিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার জন্য অয়ন শীল নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে যে নথি উদ্ধার করা হয়, তার মধ্যে ছিল নিয়োগ সংক্রান্ত ওএমআর শিট। বেশ কিছু পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও তাঁর অফিস থেকে উদ্ধার হয়। অয়নের আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলাগড়ের বহিষ্কৃত দুই যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকেও। ইডির অনুমান, এই দুর্নীতির জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত।

    শান্তনুর দুর্নীতির সাম্রাজ্য অনেকদূর বিস্তৃত

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই দু’জনের পৃষ্ঠপোষকতায় শান্তনু দুর্নীতির সাম্রাজ্য চালাতেন। আদালতে রিমান্ড লেটারে দাবি করল ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা, কারা অগ্রাধিকার পাবে, কত টাকায় রফা হবে তা ঠিক করার পাশাপাশি, এজেন্টদের সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন শান্তনু। ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় বেনামে বা নিজের ব্যবসার ভুয়ো ডিরেক্টরের নামে একের পর এক সম্পত্তি বানিয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Recruitment Scam: চাকরি বাতিল মামলা, সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    Recruitment Scam: চাকরি বাতিল মামলা, সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর (OMR) শিট বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। এঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে নেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। এই শিক্ষকদেরই একাংশ দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বুধবার এই শিক্ষকদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। দেশের শীর্ষ আদালতে তিনি বলেন, কারও কথা না শুনে কীভাবে ৫ হাজার লোকের চাকরি খারিজ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি? তাঁর প্রশ্ন, তিনি একের পর এক টেলিভিশন ইন্টারভিউ দেন কীভাবে?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলা (Recruitment Scam)…

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Scam) একের পর এক নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই কারণে চাকরি প্রার্থীদের পাশাপাশি রাজ্যবাসীরও ভীষণ কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারও দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতে সেই প্রসঙ্গই তোলেন আইনজীবী রোহতগি। শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু বলেন, কাদের চাকরি গিয়েছে, কীভাবে চাকরি গিয়েছে, তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের বক্তব্যও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পর খুলবে। আগামী ১২ এপ্রিল হতে পারে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আরও পড়ুুন: অয়নকে টাকা না দেওয়ায় চাকরি গিয়েছে বৈধ চাকরিপ্রার্থীদের?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি খারিজের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই শূন্যস্থানগুলিতে নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। গ্রুপ সির ৮৪২ জনের চাকরি খারিজের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। উচ্চ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরি হারানো কর্মীরা। তার প্রেক্ষিতে নবম-দশম ও গ্রুপ সি-র নিয়োগে কাউন্সেলিংয়ের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। গত বছর এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মানিক ভট্টাচার্য সহ আরও কয়েকজন। তাঁদের জেরা করে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও কয়েকজনকে। তার পরেই উঠে আসতে থাকে একের পর এক বিস্ফোরক সব তথ্য। কখনও লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে চাকরি, কখনও আবার তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় খোয়াতে হয়েছে চাকরি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: অয়নকে টাকা না দেওয়ায় চাকরি গিয়েছে বৈধ চাকরিপ্রার্থীদের?

    Recruitment Scam: অয়নকে টাকা না দেওয়ায় চাকরি গিয়েছে বৈধ চাকরিপ্রার্থীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা নিয়ে চাকরি (Recruitment Scam) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Shil) বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, যাঁরা বৈধভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের কাছ থেকেও টাকা চেয়েছিলেন তিনি। যাঁরা টাকা দেননি, তাঁদের চাকরি থেকে করতে দেওয়া হয়নি।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam)…

    এই যেমন চুঁচুড়া ষণ্ডেশ্বরতলার চয়নিকা আঢ্য। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন টিটাগড় পুরসভায়। অভিযোগ, অয়নকে টাকা না দেওয়ায় চাকরি করতে পারেননি তিনি। অথচ খেলোয়াড় কোটায় ওই চাকরি পেয়েছিলেন চয়নিকা। তাঁর দাবি, ইন্টারভিউয়ের পর চাকরিও হয়ে যায়। ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর তাঁকে জয়েনিং লেটার দেওয়া হয়। চয়নিকা বলেন, একদিন এক পুলিশ কর্মী (Recruitment Scam) বাড়িতে এসে বলেন অয়ন শীলের অফিসে গিয়ে দেখা করতে হবে। চয়নিকা তাঁর বাবাকে নিয়ে জগুদাসপাড়ায় অয়নের অফিসে যান। অয়ন তাঁদের বলেন, চাকরির জন্য পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে।

    চয়নিকা তাঁকে জানান, নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন। তাছাড়া অত টাকা তাঁর কাছে নেই। চয়নিকা বলেন, সেদিন ফিরে আসার পর ফের অয়নের লোক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সল্টলেকের অফিসে যেতে বলে। সেখানেও বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলাম। বেশ কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও দেখা না পেয়ে ফিরে আসি। তিনি বলেন, পরে জানতে পারি প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে অয়নের বিরুদ্ধে। এর পর চয়নিকা কথা বলেন পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে। তাঁকে কাজে যোগ দিতে বলা হয়। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে খোলা হয় স্যালারি অ্যাকাউন্টও। পুরসভায় ছ দিন কাজও করেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু, কী আর্জি জানালেন?

    চয়নিকার অভিযোগ, এরপর আচমকাই তাঁকে পুরসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, নিয়োগ তালিকায় আমার নাম ছিল ২২০ নম্বরে। রাতারাতি সেই তালিকা পরিবর্তন করে যাঁদের নাম ছিল না, তাঁদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল অয়নের সংস্থা (Recruitment Scam)। তাঁর অফিসে হানা দিয়ে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের পরীক্ষার উত্তরপত্র উদ্ধার করেছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির অভিযোগ, অয়ন স্কুল, পুরসভা সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে নিয়োগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। বহু মানুষকে প্রতারিতও করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: সিআইডি-র জালে ধরা পড়েও কীভাবে ছাড়া পেলেন নীলাদ্রি? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন সিবিআই-এর

    SSC Scam: সিআইডি-র জালে ধরা পড়েও কীভাবে ছাড়া পেলেন নীলাদ্রি? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাইসা-কর্তা নীলাদ্রি দাসকে নিয়ে নিয়োগ-দুর্নীতির (SSC Scam) ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছিলেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। সিবিআই-এর দাবি, সুবীরেশ-নীলাদ্রি আঁতাঁতেই চলেছিল চাকরি কেনাবেচা। বাঙালি অফিসার নীলাদ্রি দাসকে পেয়ে দুর্নীতির কাজ আরও সহজ হয়েছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্যের।

    সুবীরেশ-নীলাদ্রি যোগ

    ২০১৪-র জানুয়ারি থেকে ২০১৮-র জুলাই মাস পর্যন্ত এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সুবীরেশের কার্যকালের মধ্যেই, ২০১৫ সাল থেকে ওএমআর বিকৃতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন নীলাদ্রি। চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা টাকা দিতেন, তাঁদের নাম এসএসসি-র মাধ্যমে জানানো হত নীলাদ্রিকে। নাইসা-র ডিরেক্টর পুনীত কুমার বাঙালি হিসেবে নীলাদ্রি দাসকে এসএসসি-র সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়ায় সুবীরেশের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল বলে চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই।

    ধরা পড়েও ছাড়া পান নীলাদ্রি

    চার বছর আগে একবার চাকরি সংক্রান্ত দুর্নীতি এবং প্রতারণার মামলায় ধরা পড়েছিলেন নীলাদ্রি দাস। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান তিনি। মামলার চার্জশিটেও তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। সূত্রের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টে নীলাদ্রির জামিনের বিরোধিতাও করেনি সিআইডি। সিবিআই সূত্রের দাবি, এই তদন্তে প্রয়োজনে সিআইডি আধিকারিকদেরও তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্ন, নীলাদ্রির কি পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ মহলেও যোগাযোগ ছিল? না হলে তিনি এত সহজে ছাড় পেলেন কী করে? সুবীরেশের ক্ষেত্রেও কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি?

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    সিবিআই-এর দাবি, ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষা দফতরের পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত নীলাদ্রি। সুবীরেশের সঙ্গে নীলাদ্রির যোগসূত্রও মিলেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এসএসসি-র যে নিয়োগ নিয়ে তোলপাড় চলছে, সেগুলির বেশির ভাগই ২০১৯ সালের আগে হয়েছে। অর্থাৎ, সিআইডি যখন নীলাদ্রিকে ধরেছিল তখন নিয়োগ দুর্নীতিতে তার সব কাজই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। দুর্নীতির চক্র ঘাঁটতে গিয়েই শিক্ষা দফতর, এসএসসি-র শীর্ষ মহলের যোগসূত্র জানতে পেরেছিল সিআইডি। সেই কারণেই তদন্ত ধীর গতিতে চলে এবং নীলাদ্রিকে ছেড়ে দেওয়া হয়,বলে অনুমান সিবিআই-এর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share