Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Kolkata High Court: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি

    Kolkata High Court: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নিয়োগ-দুর্নীতির মামলা কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) নতুন ডিভিশন বেঞ্চে গেল। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এই মামলা পাঠালেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। এই সপ্তাহেই পুরসভার নিয়োগ-দুর্নীতির মামলার শুনানি হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।

    পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায় রাজ্য। পরবর্তীকালে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এবং বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি ফিরিয়ে দেয়। তা চলে যায় প্রধান বিচারপতির কাছে।

    আরও পড়ুন: ‘যেখানে ভূতের ভয়’! রুজিরা-ইস্যুতে মমতা-অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    পুরনিয়োগ দুর্নীতি

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই উঠে আসে অয়ন শীলের নাম। তার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ওএমআর শিট মেলে। ইডির দাবি, রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় অন্তত ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিল প্রমোটার অয়ন শীল (Ayan Sil)। অয়নকে জেরা করেই এই তথ্য হাতে পান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। অয়নের ফ্ল্যাটের ডাস্টবিন থেকে পাওয়া কাগজে একাধিক পুরসভার নাম পাওয়া যায়। এই ডাস্টবিনেই পাওয়া যায় পুরসভায় চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও। পুরসভার টেন্ডারেও একচেটিয়া নাম দেখা যায় অয়নের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একাধিক বার দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় টাকার বিনিময়ে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। ইডির দাবি, মোট ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আবার এই মামলা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) ফিরিয়ে দেয়।  এই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করলেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Board: নিয়োগ-পরীক্ষায় বাইরের সংস্থাকে দিয়ে মূল্যায়ন? বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Primary Board: নিয়োগ-পরীক্ষায় বাইরের সংস্থাকে দিয়ে মূল্যায়ন? বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’ বলে পরিচিত ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’-র বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদের বাইরে এমন এক সংস্থাকে কনফিডেন্সিয়াল সেকশন বলে অভিহিত করা যায় না। আইনে পর্ষদের (Primary Board) হাতে এই ধরনের কোনও ক্ষমতা দেওয়া আছে কিনা, তাও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী একটি সংস্থা। ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের একটি মামলার শুনানি ছিল সোমবার। সেখানেই এমন মন্তব্য করতে শোনা যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি এদিন এও জানান, আলাদা করে বাইরের কোম্পানিকে দিয়ে তথ্য যাচাই করা যায় না।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় ৮ জুন রুজিরাকে সিজিও-তে তলব ইডি-র

    এর আগেও বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসে ২০১৪ সালের টেস্ট সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যকে ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন, কনফিডেন্সিয়াল সেকশন বলে যার উল্লেখ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board) করছে, সেই এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের ঠিক কী সম্পর্ক ছিল? কেন এই সংস্থাকে কনফিডেন্সিয়াল সেকশন বলা হচ্ছে, এদিন তাও জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও পর্ষদ এদিন এর কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

    প্রসঙ্গ সুজয়কৃষ্ণ……

    এই মামলার শুনানিতেই চলে আসে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারি প্রসঙ্গও। বিচারপতির বক্তব্য, “কোন ভদ্র না অভদ্র গ্রেফতার হয়েছেন, তা নিয়ে ভাবিত নই। কিন্তু ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পর্ষদের হাতের বাইরে থাকা উচিত নয়।” প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একাধিক উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজসাক্ষী কারা? আদালতে কী জানাল সিবিআই?

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজসাক্ষী কারা? আদালতে কী জানাল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) চার্জশিটে এমন অনেকের নাম রয়েছে, সিবিআই যাদের গ্রেফতারের পথে হাঁটেনি। আদালতের এক প্রশ্নের জবাবে সিবিআই বলে, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি। কারণ তাঁদের রাজসাক্ষী করার কথা ভাবা হচ্ছে। অর্থাৎ অপরাধের মাত্রা কম, এমন ব্যক্তিরাই নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) আদালতের সামনে জবানবন্দি দেবেন। চার্জশিটে নাম থাকা ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন! তা নিয়ে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা এদিন আদালতের মধ্যেই হইচই শুরু করে দেন। এদিনের শুনানিতে হাজির ছিলেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, প্রাক্তন এসএসসি কর্তা সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুব্রত সামন্ত রায়, প্রসন্ন রায় সমেত মোট ১১ জন।

    অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা কী বলছেন?

    অভিযুক্তদের আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, চার্জশিটের ১৬.১.১৩ অনুচ্ছেদে কয়েকজনের নাম থাকলেও তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? এদের বিরুদ্ধে তো অভিযোগ রয়েছে যে তারা ওএমআর শিটে কারচুপি করেছে। এ বিষয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে উত্তর জানতে চান বিচারক।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হতেই শহরে ইডি প্রধান! বড় কোনও অপারেশনের প্রস্তুতি?

    কী বললেন সিবিআইয়ের আইনজীবী?

    সিবিআইয়ের আইনজীবী এদিন বলেন, ‘‘রাজ্যজুড়ে একটি সংগঠিত অপরাধচক্রের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। সেক্ষেত্রে যাদের বিরুদ্ধে জোরালো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু অভিযুক্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জড়িত থাকলেও তাদের অপরাধের মাত্রা কম। কিংবা কোনও পারিপার্শ্বিক চাপে পড়ে তারা অপরাধে যুক্ত হয়েছে। এই ধরনের অভিযুক্তদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে তাদের রাজসাক্ষীও করা হতে পারে। সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।’’

    জীবনকৃষ্ণ সহ প্রত্যেকেরই জামিনের আবেদন খারিজ 

    অভিযুক্তদের আইনজীবীদের তরফ থেকে প্রত্যেকেরই জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু তা খারিজ করে দেন বিচারক। এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের জামিনের আর্জি জানিয়ে তাঁর আইনজীবী বলেন, উনি বয়স্ক। তারপর অসুস্থ। ওঁকে দরকারে গৃহবন্দি করে রাখা হোক। কিন্তু একথায় কর্ণপাত করেননি বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: প্রাথমিকে চাকরি হারিয়েও মিলেছে পুনর্বহালের নির্দেশ, নিয়োগ না পেয়ে বিক্ষোভ

    Recruitment Scam: প্রাথমিকে চাকরি হারিয়েও মিলেছে পুনর্বহালের নির্দেশ, নিয়োগ না পেয়ে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনর্নিয়োগের দাবিতে রায়গঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ। চাকরি হারিয়ে পুনর্বহালের নির্দেশ পাওয়া শিক্ষকরাই এভাবে আন্দোলনে নেমেছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় প্রাথমিকে চাকরিহারা ২৬৯ জনকে পুনরায় বহালের নির্দেশ দিয়েছে বোর্ড। অন্যান্য জেলাতে বোর্ডের নির্দেশে শিক্ষকরা চাকরিতে যোগ দিলেও শুধুমাত্র উত্তর দিনাজপুরেই প্রশাসন তাদের পুনরায় নিয়োগ করছে না বলে অভিযোগ। প্রশাসনের দুয়ারে ঘুরেও কোনও সুরাহা না মেলায় সোমবার রাত থেকে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন তাঁরা। অবিলম্বে পুনরায় নিয়োগ না করা হলে এই বিক্ষোভ চলবে বলেই আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।

    নিয়োগ না হলে অবস্থানে অনড়

    নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলা শুরু হতেই রাজ্যে প্রথম দফায় ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেয় কলকাতার উচ্চ আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চাকরিহারারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় বলে দাবি। আর সেই মোতাবেক প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড প্রত্যেক জেলায় ডিপিএসসি ও প্রশাসনকে তাঁদের পুনরায় নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেয়। তার ভিত্তিতে রাজ্যের অন্যান্য জেলায় চাকরিতে ওই শিক্ষকদের পুনর্বহাল করা হলেও উত্তর দিনাজপুরের প্রায় ৩৭ জনকে নিয়োগে প্রশাসন টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ। আর বেশ কয়েকদিন ধরে প্রশাসনের দুয়ারে গিয়েও নিয়োগ না পেয়ে অবশেষে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। খবর পেয়ে অনেক রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কর্নজোড়া ফাড়ির পুলিশ। আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাঁদের আশ্বস্ত করতে পারেনি প্রশাসন। এদিকে মঙ্গলবার সকালেও তাঁরা একইভাবে ডিপিএসসি-র সামনে অবস্থানে বসে থাকেন।

    কী বলছেন বিক্ষোভকারীরা (Recruitment Scam)?

    বিক্ষোভকারী মানালি চক্রবর্তী বলেন, রাতে আমরা মেয়েরা ১১ টার পর চলে গিয়েছিলাম। তারপর ছেলেরা ছিল। আমরা আমাদের ন্যায্য যে দাবি, সেটা কিছুতেই পাচ্ছি না। তার জন্যই এখানে বসে আছি। যতক্ষণ না নিয়োগের আশ্বাস দিচ্ছে, ততক্ষণ আমরা বসে থাকবো। সবাই নিজের সংসার ফেলেই এখানে বসে আছি। কাল রাতে শাশুড়ি পড়ে গেছে, তবুও যেতে পারিনি। ফোন আসছে বারবার। না উঠতে পারছি, না যেতে পারছি। আমাদের অধিকার বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা যাবো না।

    কী বললেন মহকুমা শাসক (Recruitment Scam)?

    যদিও এই বিষয়ে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি জানিয়েছেন, বিষয়টি (Recruitment Scam) আলোচনার মধ্যে আছে। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেই তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি। ওদের যে অভাব-অভিযোগ রয়েছে, তা তাড়াতাড়িই মিটে যাবে। তবে যেভাবে অফিস চত্বরে তাঁরা অবস্থান করছেন, তা করতে বারণ করা হয়েছে। কারণ ওখানে ১৪৪ ধারা রয়েছে। সেখানে জমায়েত করাটা আইনসঙ্গত নয়। যদি কিছু দাবিদাওয়া থাকে, তা অফিস টাইমে এসে তাঁরা জানাতেই পারেন। কিন্তু অফিস শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও বসে থাকলে তা চলতে দেওয়া যাবে না। আশা করি, এটা তাঁরা বুঝেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: বন দফতরে ২০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল, স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: বন দফতরে ২০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল, স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন সহায়ক পদে দু’হাজার জনের চাকরি বাতিল এবং নতুন নিয়োগ (Recruitment Scam) প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিল চাকরিহারাদের একাংশ। সেই আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগে গোটা প্যানেল বাতিল হওয়ার পর চাকরিহারাদের একাংশ দাবি করে, শুধুমাত্র অযোগ্যদের বহিষ্কার করা হোক। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয় মামলা। কিন্তু মিলল না স্থগিতাদেশ।

    চলতি মাসেই পুরো প্যানেল বাতিল করেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়

    গত ৩ মে বন সহায়ক পদে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ সামনে আসতেই দু-হাজার জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, নতুন ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং তা দু মাসের মধ্যে করতে হবে। পাশাপাশি বিচারক আরও বলেন, ‘‘নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়াতে চাকরিহারারা অংশগ্রহণ করতে পারবে।’’ আদালতের এই নির্দেশ পেয়ে গত ১৯ মে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বন দফতর। এই সময় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় চাকরিহারাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার সেই মামলা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে ওঠে এবং দুই বিচারপতি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়াতে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেন।

    আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রী থাকাকালীন এই দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ

    ২০২০ সালে ২০০০ বন সহায়ক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বন দফতর। তখন বনমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে বেনিয়ম করে তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রীদের সুপারিশের ভিত্তিতে এই নিয়োগ করেছেন তিনি। পরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করলে একই অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকাশ্য জনসভায় তিনি বলেন, বন দফতরের নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: সোমবার সিবিআইয়ের তলব তাপস সাহার প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালকে

    Recruitment Scam: সোমবার সিবিআইয়ের তলব তাপস সাহার প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam), এবার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস সাহার প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালকে তলব করল সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল টাকা লেনদেন হয়েছে। এই তথ্যপ্রমাণের উপর ভিত্তি করেই তাঁকে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে। এমনকী, ব্যাঙ্কের নথিপত্রও আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে তাপস সাহাকে টানা সাড়ে ১৪ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল তেহট্টের বাড়িতে। তারপর নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল। এবার একই জায়গায় প্রবীর কয়ালকে ডেকে পাঠানো হল।

    কত টাকা লেনদেন হয়েছিল?
     

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) তেহট্টে প্রবীর কয়ালের বাড়িতেও গিয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা। সেখান থেকে বহু নথি সংগ্রহ করেছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, মাত্র দু’মাসে দু’কোটি টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে। সেই লেনদেনের কারণ জানতেই এবং টাকার উৎসের সন্ধানে সোমবার নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে তাঁকে। তাই ব্যাঙ্কের নথিপত্রও আনতে বলা হয়েছে। তাপস সাহার দুটি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেখান থেকেও তাপস সাহার প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের নানা তথ্য মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে।

    প্রবীর কয়ালের দাবি টাকা তাঁর এক ব্যবসায়ী বন্ধুর

    এদিকে যে টাকার লেনদেনের কথা সিবিআই জানতে চাইছে তা তাঁর এক ব্যবসায়ী বন্ধুর বলে দাবি করেছেন প্রবীর কয়াল। তাঁর আরও দাবি, এমএলএ হস্টেলের ঠিক বিপরীতে একটি হোটেলে কাজ করেছিলেন তিনি। তখন তাঁর সঙ্গে তাপস সাহার যোগাযোগ হয়। পরে তিনি তাঁর পিএ হন। তবে তাপস সাহার সঙ্গে থাকার জন্য যে তাঁর ক্ষতি হবে সেটা তিনি বুঝতে পারেননি। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। অভিযোগ, একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন‌্য টাকা নেওয়া হয়েছিল (Recruitment Scam)। সেই টাকা তাপস মারফত গিয়েছিল প্রবীরের কাছে। প্রবীরকে আগে গ্রেফতারও করেছিল রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা। এরপর মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CSC: এবার অধ্যক্ষ নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ! হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি রাজ্যপালকে

    CSC: এবার অধ্যক্ষ নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ! হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি রাজ্যপালকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল স্তরে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। পাশাপাশি কলেজে শিক্ষক নিয়োগেও (CSC) অনিয়মের অভিযোগ জোরালো হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সেই আবহের মধ্যেই অনিয়মের অভিযোগ উঠছে রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া ঘিরে। সিএসসি বা কলেজ সার্ভিস কমিশনের (CSC) তরফে অবশ্য অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৯৮টি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে সোমবার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের কাউন্সেলিং ছিল। গত ২৭ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের ইন্টারভিউয়ে সফল ১৭২ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল কলেজ সার্ভিস কমিশন (CSC)। কিন্তু সোমবার কাউন্সেলিংয়ে কমিশনের তরফে অধ্যক্ষহীন কলেজের নাম দেখার জন্য কোনও ডিসপ্লে বা নোটিস বোর্ড ছিল না বলে অভিযোগ জানালেন প্রার্থীরা। পাশাপাশি নিয়োগ পরীক্ষায় কে কত পেয়েছেন সেই স্কোরও এদিন প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। এদিনই অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছে অধ্যাপকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ‘‘আমাদের কাছে এই বিষয়ে বহু অভিযোগ এসেছে। অধ্যক্ষ নিয়োগে স্বচ্ছতার অভাবের কথা জানিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ইমেল করা হয়েছে।’’

    ঠিক কী অভিযোগ

    প্রার্থীদের অভিযোগ, পরের র‍্যাঙ্কে থাকা প্রার্থীর জন্য নির্দিষ্ট কলেজ ‘বুক’ করে রাখা হয়েছিল। মেধাতালিকার প্রথম দিকে থাকা প্রার্থীদেরও পছন্দের কলেজ দিতে অস্বীকার করা হয়েছে। আবার, প্রার্থীদের র‍্যাঙ্ক অনুযায়ী, শূন্য পদ আগেই পূরণ হয়ে গিয়েছে বলেও জানানো হয়। এখানেও শেষ নয়। কাউকে বলা হয়, কলেজের নাম বাইরে বলবেন না। কাউকে বলা হয়েছে, গার্লস কলেজে পুরুষ অধ্যক্ষ নিয়োগ করা যাবে না। আবার অনেককে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানের শিক্ষিকার পছন্দের কলেজে শূন্য পদ নেই।

    অধ্যক্ষ নিয়োগের যোগ্যতামানও লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ

    অধ্যক্ষ হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতামান হলো অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হওয়ার আগে কোনও শিক্ষককে তিনটি যোগ্যতামান পেরোতে হতে হয়। বেসরকারি কলেজের ক্ষেত্রে এমন কোনও ব্যবস্থা নেই। তা হলে বেসরকারি কলেজে কর্মরত প্রার্থীরা ইউজিসির বিধি অনুযায়ী ন্যূনতম যোগ্যতামান অর্জন করলেন কী ভাবে, সে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে অয়ন পত্নী কাকলি, কী তথ্য উঠে এল?

    Recruitment Scam: ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে অয়ন পত্নী কাকলি, কী তথ্য উঠে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির তলবে এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে যান নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ধৃত অয়ন শীলের স্ত্রী কাকলি। সূত্রের খবর, অয়ন শীলের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি মিলেছে, তাতে কাকলির নাম রয়েছে। কাকলির নামে কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও হদিস পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। ইডি আধিকারিকরা ওই আকাউন্টগুলির লেনদেন খতিয়ে দেখছেন।
    শুধু কাকলি নয়, অয়নের ছেলে ও অয়নের কোম্পানির দুই কর্মচারীকেও তলব করা হয়েছে। তবে এদিন শুধু কাকলিকেই সিজিও কমপ্লেক্সে দেখা গেছে। প্রসঙ্গত, অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজ়োনে কাকলি অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন বলে ইডি সূত্রের খবর।

    অয়নের ছেলের পেট্রোল পাম্প নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়

    ইডি সূত্রে খবর, অয়নের ছেলের নামে একটি পেট্রল পাম্পও রয়েছে। অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) তোলা টাকা এই ব্যবসায় লাগানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অয়নের অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অয়ন ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধু। সূত্রের খবর, তাঁর অফিস থেকে ওএমআর শিট, চাকরিপ্রার্থীর তালিকা ইত্যাদি উদ্ধার হয়েছে। কিছু অ্যাডমিট কার্ডও পাওয়া গেছে।

    আরও পড়ুন: মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ! পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ছে নেপালে

    পুরসভার নিয়োগের ওএমআর শিট মিলেছে অয়নের বাড়ি থেকে

    কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, অয়নের কাছ থেকে যেসব ওএমআর শিট পাওয়া গেছে তা পুরসভা নিয়োগ (Recruitment Scam) সংক্রান্ত। এছাড়াও এমনকিছু তথ্য মিলেছে যেখানে অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম পাওয়া গেছে বলে ইডির দাবি।
    ইডির বক্তব্য, শ্বেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। তাঁর অ্যাকাউন্টে মোট ২৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে শ্বেতার যোগ রয়েছে কিনা তা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য শ্বেতাকেও ডাকা হয়।

     

    ইডি সূত্রে খবর, জেরায় শ্বেতা চক্রবর্তী অন্তত ৮ জন প্রভাবশালীর নাম বলেছেন

    অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন শ্বেতা। তাঁকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরা করেন ইডির গোয়েন্দারা। শোনা যাচ্ছে, জেরায় শ্বেতা চক্রবর্তী অন্তত ৮ জন প্রভাবশালীর নাম বলেছেন যাঁরা নিয়মিত অয়নের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সূত্রের খবর, তিনি এও স্বীকার করে নিয়েছেন যে তাঁর বাবা মায়ের আকাউন্ট থেকে অয়ন কালো টাকা সাদা করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: চাকরির নামে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এবার গ্রেফতার কাঁথির এক শিক্ষক

    Recruitment Scam: চাকরির নামে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এবার গ্রেফতার কাঁথির এক শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারির  (Recruitment Scam) জট যেরকম জটিল হয়ে উঠছে, তার যেন খেই পাওয়া যাচ্ছে না। চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে পুলিশ এবার গ্রেফতার করল কাঁথির এক শিক্ষককে। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে মামলা করা হয়েছে এই বছরের মার্চ মাসে। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে কাঁথি শহরে অবস্থিত তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

    কী বলেছিলেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ?

    কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জমা পড়ার পর এই নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে ওই শিক্ষককে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তরে তিনি যা জানিয়েছিলেন, তার সারমর্ম হল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে তার কাছে যে অনেকে চাকরির জন্য আসতেন, তদ্বির করতেন, সেকথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি নাকি তাদের পাত্তা দেননি। বরং অন্য কোথাও চাকরি খুঁজে নেওয়ার কথাই বলেছিলেন। তার আশঙ্কা, এই আক্রোশ থেকেই হয়তো কেউ তার পিছনে লেগেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ থাকলে যে কোনও শাস্তি তিনি মাথা পেতে নিতে রাজি, একথাও তিনি জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, টাকা নিলে তো হাতে নেব, না হয় কোনও অ্যাকাউন্টে নেব। প্রমাণ থাকলে দেখান।

    জড়াচ্ছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা

    এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল করার বিষয়টি একেবারেই নেই বলে তিনি মনে করেন। তার আশঙ্কা, এর পিছনে রয়েছে জ্ঞাতি কেউই। চাকরি না পেয়ে তারাই এখন পিছনে লেগেছে। তিনি যতই তৃণমূল করার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান না কেন, চাকরি দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুন্তল সহ অনেকে গ্রেফতার থাকা অবস্থায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই শিক্ষক নেতার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিজের স্কুলেই বেআইনিভাবে ছেলেকে নিয়োগ! সিআইডির জালে প্রাক্তন ডিআই-সহ ৩

    Recruitment Scam: নিজের স্কুলেই বেআইনিভাবে ছেলেকে নিয়োগ! সিআইডির জালে প্রাক্তন ডিআই-সহ ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের স্কুলে বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ ৷ সিআইডির হাতে গ্রেফতার হলেন প্রাক্তন ডিআই-সহ মোট তিনজন ৷ তাঁদের সিআইডি হেফাজতে পাঠাল জঙ্গিপুরের আদালত ৷ ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাক্তন ডিআই। যদিও মূল অভিযুক্ত অনিমেষ তিওয়ারি এখনও অধরা।

    ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ

    চলতি বছরের শুরুতেই, গোঠা এ রহমান হাইস্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ সামনে আসে। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি। একই স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক তাঁর ছেলে, অনিমেষ তিওয়ারি। বাবা যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সেই স্কুলে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, অন্যের নিয়োগপত্র ও সুপারিশপত্র জাল করে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন অনিমেষ। এই ঘটনায়, গত ১৯ জানুয়ারি সিআইডি-কে তদন্তভার দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিশেষ দল গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি, অভিযুক্ত অনিমেষের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেয় আদালত।

    আদালতে সিআইডি-কে ভর্ৎসনা করার পরেই শুক্রবার অ্যাকশন

    সোমবার আদালতের ভর্ৎসনা, শুক্রবার অ্যাকশন। সিআইডি-কে কার্যত ভর্ৎসনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিত বসু। তিনি বলেন, সিআইডি-র ভূমিকায় আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই়। এমন কোনও কড়া মন্তব্য করতে বাধ্য করবেন না, যার নেতিবাচক প্রভাব সিআইডি-র ওপর পড়ে। প্রসঙ্গত,  গোঠা এ রহমান হাইস্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগের তদন্তে রাজ্য়ের তদন্তকারী সংস্থার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে গত সোমবার এমনই মন্তব্য করে হাইকোর্ট। 

    এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার মোট ৪

    মুর্শিদাবাদের গোঠা এ রহমান হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। তদন্তে নেমে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গোঠা এ রহমান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে সিআইডি। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, কলকাতায়, ভবানীভবনে জিজ্ঞাসাবাদের পর মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাক্তন ডিআই পূরবী দে বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বহরমপুরে সিআইডি অফিসে গ্রেফতার করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা শিক্ষা দফতরের কর্মী নিত্যগোপাল মাজি এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মী অঞ্জনা মজুমদারকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share