Tag: Russia

Russia

  • Fighting Nazism: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    Fighting Nazism: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (UN) ফের রাশিয়ার (Russia) পাশে দাঁড়াল ভারত (India)। মস্কোর আনা প্রস্তাবে সায় দিল নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ‘নাৎসিবাদ (Nazism) মহিমান্বিত করার বিরুদ্ধে লড়াই’ শীর্ষক ওই প্রস্তাবের খসড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে ভারত। এই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১০৫টি। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫২টি দেশের প্রতিনিধিরা। ভোটদানে বিরত থেকেছেন ১৫টি দেশের প্রতিনিধি। এদিন ভারতের প্রতিনিধি বলেন, আদিবাসী জনগণের ধারণাটি দেশের প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য নয়। কমিটি আটটি খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আদিবাসীদের অধিকার, ডিজিটাল যুগে গোপনীয়তা রক্ষা, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। এই খসডা প্রস্তাবে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাক্ষরতার অধিকার, যৌন হেনস্থা থেকে শিশুদের রক্ষা এবং ক্রিমিনাল জাস্টিসও। এর সঙ্গেই রয়েছে নাৎসিবাদ মহিমান্বিত করার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টাও।   

    খসড়া প্রস্তাবে নাৎসি আন্দোলন (Fighting Nazism), নব্য নাৎসিবাদ, নাৎসিদের অতীত মহিমাকীর্তন করতে গণ প্রদর্শনীর মতো বিষয়গুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্ণবাদী এবং জেনোফোবিক রেটোরিক, ইসলামফোবিয়া, অ্যাফ্রোফোবিয়া এবং ইহুদি বিদ্বেষের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিনিধি।

    এদিন অধিবেশনে উপস্থিত বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির দাবি, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হামলার যৌক্তিকতা বোঝাতে মরিয়া মস্কো। তাই তোলা হচ্ছে নব্য নাৎসিবাদের ঢেঁকুর। আবার ইউক্রেনের প্রতিনিধির দাবি, এই খড়সা প্রস্তাবের সঙ্গে নাৎসিবাদ ও নব্য নাৎসিবাদের প্রকৃত লড়াইয়ের কোনও সম্পর্কই নেই। একই সুর শোনা গিয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের গলায়ও। খসড়া প্রস্তাবটিকে মস্কোর ‘সিনিক্যাল অ্যাটেম্পট’ বলে দেগে দিয়েছেন আমেরিকার প্রতিনিধি।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। অক্টোবর মাসে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি এলাকা দখল করার রাশিয়ার প্রক্রিয়াকে বেআইনি ঘোষণা করে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘে। সেবার ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। ভোট দেয়নি আরও ৩৪টি দেশও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু দিনের সফরে রাশিয়া (Russia) পৌঁছলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে। এই বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পরিবহণ, লজিস্টিক, এনার্জি সেক্টর, বিশেষত আর্কটিক সেল্ফ এবং রাশিয়ান ফার ইস্ট (Russian Far East) নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সফর নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয়েছে একটি বিবৃতি। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতার মূল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। অর্থনীতির উন্নতি, অর্থনৈতিক, এনার্জি, মিলিটারি-টেকনিক্যাল, হিউম্যানিটেরিয়ান, সায়েন্টিফিক এবং টেকনিক্যাল কোঅপারেশন নিয়ে আলোচনা হবে। মূল বিষয়গুলিতে কীভাবে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হবে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, জাতীয় মুদ্রা বিনিময় নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘ, এসসিও, জি-২০ এবং আরআইসি নিয়েও মত বিনিময় করবে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং লাভরভের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসতে পারে এসসিও, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ও। ইরানিয়ান নিউক্লিয়ার প্রবলেম সহ অন্যান্য কয়েকটি বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দুই দেশই বহন করে প্রিভিলেজড ও স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্ব। দুই দেশের সম্পর্কও বেশ কয়েক দশকের পুরানো।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে এখনও। এমতাবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মসৃণ হলেও, ইউক্রেনের সঙ্গে নয়াদিল্লর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। কারণ যুদ্ধ চলাকালীনও ভারত জ্বালানি কিনেছে রাশিয়ার কাছ থেকে। রাষ্ট্রসংঘেও ভারতকে থাকতে দেখা গিয়েছে রাশিয়ার পাশেই। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে ভারত মধ্যস্থতা করবে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, সে প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রক বলেছে, আমরা তখনই সফল হব, যখন দু পক্ষই আমাদের কূটনৈতিক সততা সম্পর্ক নিঃসন্দেহ হবে। এ ক্ষেত্রে আস্থার অভাব রয়েছে। আর পুতিনকে বাদ দিয়ে কোনও মধ্যস্থতা কার্যকর হবে না। প্রসঙ্গত, এর আগে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাশিয়া গিয়েছিলেন ২০২১ সালের জুলাই মাসে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Oil Import: সৌদি আরব এবং ইরাককে পিছনে ফেলে অক্টোবরে ভারতের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারী দেশ রাশিয়া

    Oil Import: সৌদি আরব এবং ইরাককে পিছনে ফেলে অক্টোবরে ভারতের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারী দেশ রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে জ্বালানি তেল সরবরাহে সৌদি আরব (Saudi Arabia) ও ইরাককে (Iraq) পিছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করে নিল রাশিয়া (Russia)। শুধু অক্টোবর মাসেই ভারতে রাশিয়ার জ্বালানি তেলের (Crude Oil) রপ্তানি বেড়েছে ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ব্যারেল।  শতকরা হিসেবে এই বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ।     

    এতদিন পর্যন্ত জ্বালানি তেলের জন্য মূলত সৌদি আরব এবং ইরাকের ওপর নির্ভরশীল ছিল ভারত। কিন্তু জ্বালানি পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষক সংস্থা ভোরটেক্সা জানিয়েছে, অক্টোবর মাসে মোট যে পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে ভারত, শতকরা হিসেবে তার ২২ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে। ইরাক থেকে ২০.৫ শতাংশ এবং সৌদি থেকে ১৬ শতাংশ অপরিশোধিত তেল ভারতে এসেছে। 

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এতদিন রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল ইউরোপের দেশগুলো। তবে অক্টোবরে ইউরোপকে সরিয়ে সেই জায়গা নিয়েছে ভারত। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার ওপর একগুচ্ছ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলি। এই নিষেধাজ্ঞাগুলির মধ্যে রাশিয়ার জ্বালানি তেলও রয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বর থেকে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার হার শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনবে ইউরোপ। 

    আরও পড়ুন: শহিদ ভগৎ সিং- এর নামে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নামকরণ, জারি হল নোটিস  

    রাশিয়া থেকে তেল আমদানির হিসেবে গত মাসে শীর্ষে ছিল চিন। ভোরাটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ ব্যারেল রুশ তেল আমদানি করেছে চিন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা বন্ধু দেশগুলি চলতি বছরের মার্চের দিকে রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে শুরু করে। এ সময় নতুন বাজার খুঁজতে শুরু করে রাশিয়া। বন্ধু দেশগুলির কাছে কম দামে তেল বিক্রির প্রস্তাব দেয়  মস্কো। আর ভারত লুফে নেয় সেই প্রস্তাব। 

    ভারতের কেন্দ্রীয় জ্বালানিমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি চলতি সপ্তাহে মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য কোনও প্রকার নৈতিক সংকট নেই ভারতের। জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে গেলে সাধারণ লোকজন ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হবে। যেহেতু আমরা ভারতের নাগরিকের কাছে দায়বদ্ধ, তাই জনস্বার্থেই আমরা রাশিয়া থেকে তেল কিনছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • ISI: আইএসআইয়ের মুখোশ খুলে দিতে পারি, নাদিমকে নিশানা ইমরানের

    ISI: আইএসআইয়ের মুখোশ খুলে দিতে পারি, নাদিমকে নিশানা ইমরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন আইএসআই (ISI) প্রধান। এবার আইএসআইকে পাল্টা দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কাম রাজনীতিক ইমরান খান (Imran Khan)। তিনি বলেন, আইএসআইয়ের মুখোশ খুলে দিতে পারি। কিন্তু দেশের ভালর জন্য তা করব না।

    সম্প্রতি ইমরানকে নিশানা করে আইএসআই (ISI) প্রধান নাদিম আহমেদ অঞ্জুম বলেন, ইমরান সেনার সমালোচনা করছেন, কারণ সেনা তাঁর কথা মতো অসাংবিধানিক কাজ করতে সম্মত হয়নি। তিনি বলেন, সরকার বাঁচাতে মদতের বিনিময়ে পাক সেনা প্রধান জেনারেল কমার জাভেদ বাজওয়াকে একটি লোভনীয় প্রস্তাবও দিয়েছিলেন ইমরান। এর পরেই আইএসআই প্রধানকে একহাত নিয়েছেন পাকিস্তান (Pakistan) তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি সুপ্রিমো ইমরান খান।

    হাকিকি আজাদি লং মার্চ করছে ইমরানের দল। লাহোরের লিবার্টি চক থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা যাচ্ছেন ইসলামাবাদ। সেই মার্চে যোগ দিয়েই ইমরান আক্রমণ শানান আইএসআই (ISI) প্রধানকে। বলেন, আইএসআইয়ের ডিজি কান খুলে শুনুন, আমি অনেক কিছুই জানি। কিন্তু আমি চুপ করে আছি কারণ আমি আমার দেশের ক্ষতি করতে চাইনি। দেশের ভালর জন্য আমি গঠনমূলক সমালোচনা করি। তা না হলে আমিও অনেক কিছু বলতে পারতাম। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, তারা ভয় পেয়েছিল। কারণ আমি লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফিরোজ হামিদকে নিয়োগ করতে চেয়েছিলাম। তারা ভয় পেয়েছিল। এটা হলে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ত। তিনি বলেন, আমি যাকে তাকে আর্মি চিফ পদে বসানোর কথা কখনও ভাবিনি। আমি এমন কোনও সিদ্ধান্তও নিইনি, যা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নয়।

    আরও পড়ুন: এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান! ক্ষুব্ধ ভারত, জানেন তার কারণ?

    এদিন ইমরানের মুখে আরও একবার ভারতস্তুতির কথা শোনা যায়। ভারতের স্বাধীন বিদেশ নীতি এবং রাশিয়া থেকে নয়াদিল্লির তেল কেনার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে পশ্চিমী দেশগুলির হুমকি অগ্রাহ্য করে জাতীয় স্বার্থে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনেছে ভারত। ভারত পারলেও পাকিস্তান পারেনি বলেও মন্তব্য করেন ইমরান। বলেন, ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি করেছে। যদিও পাকিস্তান দেশবাসীর স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vladimir Putin: মোদি দেশপ্রেমিক, ওঁর নেতৃত্বে ভারতের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, জানালেন পুতিন

    Vladimir Putin: মোদি দেশপ্রেমিক, ওঁর নেতৃত্বে ভারতের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, জানালেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুতিনের (Vladimir Putin) গলায় মোদি স্তুতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আমলে ভারতের (India) যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে তাও মনে করিয়ে দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার (Russia) ভালদাই ডিসকাসন ক্লাবের বার্ষিক সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন পুতিন। তাঁর বক্তৃতার সিংহভাগ জুড়েই ছিল মোদি-প্রশস্তি। মোদির নেতৃত্বে ভারতের উন্নতির পাশাপাশি তিনি যে একজন দেশপ্রেমিক, তারও উল্লেখ করেন ভ্লাদিমির পুতিন। মোদির স্বাধীন বিদেশ নীতিরও প্রশংসা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

    মস্কোর ভালদাই ডিসকাসন ক্লাবের ওই বার্ষিক সভায় এদিন পুতিনের (Vladimir Putin) গলায় শুধুই মোদির প্রশংসা! পুতিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনেক কিছুই হয়েছে। তিনি একজন দেশপ্রেমিক। তাঁর মেক ইন ইন্ডিয়ার আদর্শ অর্থনীতি এবং নীতির ক্ষেত্রে ভীষণ কার্যকরী। ভারতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে তাঁরা গর্ববোধ করতেই পারেন।

    এক সময় ব্রিটিশ শাসনে থাকা দেশটি যে বর্তমানে প্রভূত উন্নতি করেছে, তাও স্মরণ করিয়ে দেন পুতিন (Vladimir Putin)। তিনি বলেন, বিকাশের ক্ষেত্রে ভারত ব্যাপক উন্নতি করেছে। ব্রিটিশ শাসন থেকে তার উত্তরণ হয়েছে আজকের ভারতে। প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মানুষ এবং তার উন্নয়নের কারণে ভারত বিশ্ববাসীর শ্রদ্ধা ও প্রশংসা কুড়িয়েছে।

    আরও পড়ুন:ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করতে চলেছেন পুতিন?

    এর পরেই পুতিনের (Vladimir Putin) গলায় শোনা যায় ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের কথা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, বহু দশকের ঘনিষ্ঠ মিত্রতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে উভয়ের মধ্যে। আমাদের মধ্যে কখনওই কঠিন কোনও সমস্যা হয়নি। পরস্পরকে সমর্থন করে গিয়েছি। এখনও তাই হচ্ছে। পুতিন বলেন, আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতেও তাই হবে। মোদির আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতে সারের জোগান ৭.৬ গুণ বাড়ানো হয়েছে বলেও দাবি করেন পুতিন। কৃষিক্ষেত্রে বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

    মোদির নেতৃত্বে ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করার পাশাপাশি এদিন পুতিন (Vladimir Putin) আমেরিকা ও তার দোসরদের একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমেরিকা ও তার সঙ্গীরা যে কাজ করছে, তার ফল ভুগতে হবে তাদেরও। তিনি বলেন, একমাত্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যদি এক লক্ষ্যে জোট বাঁধে তাহলেই উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা সম্ভব। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিমী বিশ্ব যে খেলা খেলছে, তাকে আমি নিশ্চিতভাবে বলব বিপজ্জনক, রক্তাক্ত ও নোংরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Indians in Ukraine: দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ুন, ইউক্রেনবাসী ভারতীয়দের পরামর্শ ভারত সরকারের

    Indians in Ukraine: দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ুন, ইউক্রেনবাসী ভারতীয়দের পরামর্শ ভারত সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়ুন। ইউক্রেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের এমনই পরামর্শ দিল ভারত সরকার। সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত দেশ। এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেন ছাড়ার কথা জানিয়েছে সরকার। যোগাযোগের জন্যে নম্বরও দিয়েছে নয়াদিল্লি। গত ১৯ অক্টোবর নয়াদিল্লি ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছিল। ইউক্রেনের পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। আর তার জেরেই শিক্ষার্থী এবং নাগরিকদের দেশে ফেরত আসার বার্তা দেওয়া হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগছে, রাজ্যে এনসিসি বন্ধ করে দিল মমতা প্রশাসন
     
    মঙ্গলবার ভারত সরকার বলেছে, “গত ১৯ অক্টোবরের নির্দেশনা অনুযায়ী ভারতীয় সব নাগরিককে অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যেভাবে হোক ইউক্রেন ছাড়ুন। যেকোনও ধরনের সহায়তার জন্য এবং সীমান্তে আসার জন্য যোগাযোগ নম্বর +380933559958, +380635917881, +380678745945। এই নম্বরে ফোন করলে সমস্ত রকম সহায়তা পাওয়া যাবে। সীমান্ত পার করার জন্য ভারতীয় দূতাবাসে ফোন করে সাহায্য চাওয়া যাবে।” মঙ্গলবার কিয়েভে ভারতীয় দূতাবাস এই যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ করেছে। ওই নম্বরগুলির মাধ্যমে প্রয়োজনে রোমানিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়ার দূতাবাসে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন ভারতীয়রা। সেই সঙ্গে ইউক্রেন সীমান্ত পার করার জন্য বিকল্প উপায়গুলি সম্পর্কে জানতে কিভের ভারতীয় দূতাবাসের ওয়েবসাইটটির লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। 

     


    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করেছেন। গত মাসেই রাশিয়ান সেনা অধিকৃত এই চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভূক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন। যদিও ইউক্রেন সেনার তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে দোনেটস্ক (Donetsk) , লুহানস্ক (Luhansk) , খেরসন (Kherson)  এবং জাপেরিঝিয়া (Zaporizhzhia) এই অঞ্চলের কোনোটিকেই রুশ সেনারা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। প্রসঙ্গত, রাশিয়া এই সামরিক আইন জারী করার পরেই ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি উল্লেখ করে, সমস্ত ভারতীয় নাগরিককে ইউক্রেনে ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হল। দূতাবাসের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, বর্তমানে ইউক্রেনে থাকা ছাত্র-ছাত্রী-সহ ভারতীয় নাগরিকদের যে কোনও উপায়ে অবিলম্বে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Dirty Bomb: ‘ডার্টি বম্ব’ প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে কথা রাশিয়ার, গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধানের পরামর্শ রাজনাথের

    Dirty Bomb: ‘ডার্টি বম্ব’ প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে কথা রাশিয়ার, গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধানের পরামর্শ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ডার্টি বম্ব’ প্রসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে রাশিয়া। এমনটাই জানাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রাশিয়ার (Russia) প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর (Sergey Shoigu)। রাশিয়ার তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, যেকোনও মুহূর্তে তেজক্রিয় বোমা ব্যবহার করতে পারে ইউক্রেন। আর সেই আশঙ্কা থেকেই গত রবিবার থেকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ন্য়াটো দেশভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলা শুরু করেছেন। যদিও ইউক্রেন এবং তার বন্ধু দেশগুলি পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের রাশিয়ার এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্লাজমার বদলে মুসাম্বির রস, অভিযুক্ত হাসপাতালকে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যোগী সরকারের 

    ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “রাশিয়ার অনুরোধে ২৬ অক্টোবর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। দুপক্ষের সামরিক সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে। ডার্টি বোম্ব ব্যবহার করতে পারে ইউক্রেন, সেব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। এনিয়ে ইউক্রেন উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তারা। তবে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলোচনা ও গণতান্ত্রিক পথে এই সমস্যা দ্রুত মেটানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কেউ যেন পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে না পারে  সেব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তেজস্ক্রিয় অস্ত্র ব্যবহৃত হলে মানব সভ্যতার ভয়ঙ্কর ক্ষতি হবে।”   

    বেশ কিছুদিন ধরেই ডার্টি বম্ব প্রসঙ্গ নিয়ে উত্তাল গোটা বিশ্ব। সম্প্রতি আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন শোইগু। সবার সঙ্গেই ডার্টি বম্ব নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। রাশিয়ার দাবি, পুতিনদের পরাস্ত্র করতে এই বিশেষ ধরনের বোমা ছোঁড়ার পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। এই দাবিকে যদিও একেবারে ‘অবাস্তব’ বলে উড়িয়ে দেয় পশ্চিমের তিন দেশ। ইউক্রেনের  বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা এ বিষয়ে বলেন, “আসলে ডার্টি বম্ব ফেলার পরিকল্পনা করছে রাশিয়াই। সেই জন্য আগে থেকে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করছে।”   

    কিন্তু তবুও নিজেদের অভিযোগ থেকে সরে আসেনি রাশিয়া। মঙ্গলবারই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও একই অভিযোগ তোলে রাশিয়া। ডার্টি বম্ব মেরে আক্রমণ করবে ইউক্রেন, এই অভিযোগ এনে ১৫ সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা। সেই সঙ্গে দাবি করা হয়, ইতিমধ্যেই দুই সংস্থাকে ডার্টি বম্ব তৈরির বরাত দিয়েছে ইউক্রেন। যদিও এখন অবধি এই দাবির ষপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি পুতিনের দেশ। সেই কারণেই রাশিয়ার এই বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Citizens In Ukraine: দ্রুত ইউক্রেন ছেড়ে ভারতে ফিরুন! সতর্কবার্তা ভারতীয় দূতাবাসের

    Indian Citizens In Ukraine: দ্রুত ইউক্রেন ছেড়ে ভারতে ফিরুন! সতর্কবার্তা ভারতীয় দূতাবাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন ( Russia-Ukraine War) সংঘাত অব্যাহত। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে এই সংঘাত চলছে। নিত্য নতুন উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। ঘাত-প্রতিঘাত চলছে। শুধু তাই নয়, ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। নতুন করে ইউক্রেনের উপর আঘাত বাড়িয়েছে মস্কো। এই অবস্থায় সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করল বিদেশমন্ত্রক। ইউক্রেনে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এক সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছ, যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ছেড়ে দেশে ফিরে যাক ভারতের নাগরিকরা। শধু তাই নয়, ইউক্রেন ভ্রমণের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 

    সোশ্যাল মিডিয়াতে ইউক্রেনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে,ভারতীয় নাগরিক যাঁরা এই মুহূর্তে ইউক্রেনে রয়েছেন তাঁরা দ্রুত এই দেশ ছাড়ুন। এখানকার  নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। উল্লেখ্য, ক্রেমলিনের সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগকারী সেতু ইউক্রেনের সেনারা ভেঙে  দেওয়ার পর থেকেই রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে রাশিয়া ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিধ্বস্ত। রাজধানী কিয়েভ সহ ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরের একাধিক অঞ্চলে পানীয় জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভারত, আমেরিকার প্রস্তাব খারিজ, পাক জঙ্গি শাহিদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার বিরোধিতায় চিন

    ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল ডনেহস্ক, লুহানস্ক, জাপোরঝিয়া এবং খারসন দখলের কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে রাশিয়া। এই অঞ্চলগুলিতে মার্শাল ল জারির কথাও বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই পরিস্থিতিতেই ইউক্রেনে অবস্থিত ভারতীয়দের দেশে ফিরে আসতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বলা হয়েছে যেন খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ইউক্রেনে না যান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • UNGA: ধারাবাহিক অবস্থান, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত থাকল ভারত

    UNGA: ধারাবাহিক অবস্থান, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত থাকল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে ফের নিজের কূটনৈতিক অবস্থান বজায় রাখল ভারত। সরাসরি রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ভোটদান (UNGA) থেকে বিরত থাকল দেশ। ইউক্রেনে (Ukraine) গণভোটের মাধ্যমে চারটি অঞ্চল দখল করার প্রক্রিয়াকে বেআইনি ঘোষণা করে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। ভারত-সহ ৩৫টি দেশ সেই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখে। 

    গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল নিজের দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুতিনের দেশ। রাশিয়ার এই পদক্ষেপের নিন্দা করে খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয় রাষ্ট্রসংঘে। ১৪৩টি দেশ এই প্রস্তাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়। মাত্র পাঁচটি ভোট পড়ে রাশিয়ার পক্ষে। কিন্তু নিজের আগের অবস্থান থেকে এক চুলও নড়ল না ভারত। মধ্যপন্থাই বজায় রাখল। এর একদিন আগে, সোমবারই ওপেন ব্যালটে ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে রুশ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ভোট দিয়েছিল ভারত।

    আরও পড়ুন: পশ্চিমী বিশ্ব থেকে ভারত কোনও সাহায্য পায়নি, রুশ অস্ত্র ইস্যুতে সাফ কথা জয়শঙ্করের

    সম্প্রতি ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল, ডনেৎস্ক, খেরসন, লুহানস্ক এবং জাপোরিজিয়া দখল করে রাশিয়া। সেখানে গণভোট করিয়ে নিজের দেশের সঙ্গে সেই অঞ্চলগুলি যুক্ত করেন পুতিন। সেই সংযুক্তিকরণের বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছিল আলবেনিয়া। সেই প্রস্তাবেই ভোটদান থেকে বিরত থাকল ভারত।   

    রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ ভোটদান থেকে দেশের বিরত থাকার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে এদিন বলেন, “এই সিদ্ধান্ত আমাদের সুচিন্তিত জাতীয় অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাছাড়া এই ক্ষেত্রে আরও কিছু সমস্যা রয়েছে যা এই প্রস্তাবে পর্যাপ্তভাবে উল্লেখ করা হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে এটি যুদ্ধের সময় হতে পারে না। সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রচেষ্টা করতে হবে। এই দৃঢ় সংকল্পের কারণেই ভারত ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” 

    সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনে গণভোট করে রাশিয়া। তারপর বিবৃতি জারি করে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল দখল নেয় তারা। রাশিয়ার তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই চারটি অঞ্চল এখন থেকে রাশিয়ার অংশ। কোনও মতেই এই অঞ্চলগুলি হাতছাড়া করা হবে না। অন্যদিকে, রাশিয়ার পদক্ষেপে নিন্দায় সরব হয় গোটা বিশ্ব। ইউক্রেনের তরফে পাল্টা জানিয়ে দেওয়া হয়, চারটি অঞ্চল ইউক্রেনের অংশ। কোনও ভাবেই সেখানে রুশ শাসন কায়েম করতে দেওয়া হবে না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

       

  • Ukraine NATO: ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিলেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    Ukraine NATO: ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিলেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন ইউরোপীয় জোট ন্যাটোতে যোগ দিলেই ইউক্রেন-রাশিয়া (Ukraine-Russia) সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (Third World War) আকার নেবে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক আধিকারিক। গণভোটের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের (Ukraine) চারটি অঞ্চল দখল করেছে রাশিয়া (Russia)। কিছুদিন আগেই ইউক্রেনের ১৮% নিজেদের দখলে নেওয়া ঘোষণা করেছেন পুতিন। এরপর থেকেই তীব্রতা বেড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের।  ক্রাইমিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইউক্রেন। এর জেরে বেশ বিপাকে পড়েছে পুতিনের দেশ। এরপরেই রাশিয়ার এই হুশিয়ারি সামনে এল। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা তাস নিউজে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারি আলেকজান্ডার ভেন্ডেডিক্টোভ (Alexander Venediktov) বলেছেন, “ইউক্রেন ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত হলে তার ফল হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।” এই ন্য়াটো সমস্যাকে কেন্দ্র করেই রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ গ্রহণ করা নিয়েই রাশিয়ার যাবতীয় রোষ ছিল।  

    আরও পড়ুন : ভারত-সহ ৩৫টি দেশ সেই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখে।

    ভেন্ডেডিক্টোভ আরও বলেন, “কিয়েভ খুব ভাল করে জানে, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবেই। অবশ্য ওরা সেটাই চাইছে। সমস্যা তৈরি করে নিজেদের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। আমি মনে করি ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার পরিকল্পনার পরিণতি পশ্চিম বুঝতে পেরেছে। এই ধরনের পদক্ষেপ যে আত্মঘাতী তা ন্যাটোর সদস্যদের বোঝা উচিৎ।” ইউক্রেনের ন্যাটো সংযুক্তিকরণ নিয়ে বার বার তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন বারবার ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছেন। বিশেষ করে ইউক্রেন এবং জর্জিয়ার মতো প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের জন্য তার বেশি আপত্তি। কারণ রাশিয়া আজও এই দেশদুটিকে নিজের অংশ মনে করে।     

    গত মাসেই পুতিন পশ্চিমি দেশগুলির উদ্দেশ্যে বলেন, “প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত।” এর উত্তরে ন্যাটোর সাধারণ সচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “পুতিন তাঁর সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন।”

    নিঃসন্দেহে ইউক্রেন সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এভাবেই রাশিয়া বনাম পশ্চিমী দেশগুলির সংঘাত তীব্রতর আকার ধারণ করেছে। এর আগেও ইউক্রেনে হামলা নিয়ে পুতিন বেশ কয়েকবার পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিতেও ছাড়েননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকট থেকেই শেষ পারমানবিক যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে বিশ্ব। সে কারণেই আগামী সপ্তাহে ‘স্টেডফাস্ট নুন’ নামে বার্ষিক পরমাণু প্রস্তুতি মহড়া চালাবে ন্যাটো।” প্রসঙ্গত, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তি। তারা বিশ্বের প্রায় ৯০% পারমাণবিক ওয়ারহেড নিয়ন্ত্রণ করে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share