Tag: Russia

Russia

  • Ajit Doval: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    Ajit Doval: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (National Security Advisor) অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বর্তমানে রাশিয়ায় (Russia) আছেন। বুধবার তিনি রাশিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিকোলাই পাত্রুশেভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। নিরাপত্তা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    আরও পড়ুন: মিত্র দেশগুলিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত রাশিয়া, জানালেন পুতিন

    আলোচনায় কী উঠে আসবে রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine) প্রসঙ্গ? দুই দেশের মধ্যে ভারতই কী হয়ে উঠবে শান্তির দূত? গোটা বিশ্বের এখন একটাই প্রশ্ন।    

    ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর ডোভাল এবং পাত্রুশেভের (Patrushev) মধ্যে এটাই প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠক। আফগানিস্তানসহ আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি আলোচনায় উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ডোভালের সফর বা বৈঠকের বিষয়ে ভারতীয় পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে একটি রিডআউটে বলা হয়েছে যে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি পাত্রুশেভ এবং ডোভালের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়গুলির পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

     

    আরও পড়ুন: ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন

    রাশিয়ার তরফে বলা হয়, ‘উভয় পক্ষই নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। রাশিয়া এবং ভারত বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রগতিশীল উন্নয়নের উপরও জোর দিয়েছে।’ প্রসঙ্গত, একই সময়ে ভারত রাশিয়া থেকে বিশেষ ছাড়ে জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। উজবেকিস্তানে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দুই দিনের বৈঠকের একদিন আগে এই বৈঠক করলেন অজিত ডোভাল।

    এখন অবধি শুধু পাত্রুশেভের সঙ্গেই কথা হয়েছে ডোভালের। আগামীতে পুতিন বা অন্য কোনও নেতার সঙ্গে বৈঠকের কোনও সম্ভবনা রয়েছে কী না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। জার্মানি, ফ্রান্স, ইউরোপ, ইউএসের মতো দেশগুলি রাশিয়াকে যুদ্ধ বিরতির জন্যে রাজী করানোর বিষয়ে নয়া দিল্লির মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমি দেশগুলি ইউক্রেনকে যুদ্ধ বিরতির জন্যে চাপ দিচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন ডোভালের এই আকস্মিক সফর শান্তির বার্তা বয়ে আনবে। কিন্তু আদতে কী হবে তা সময়ই বলবে। 

    কিছুদিন আগেই জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠকের সময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কারও কিছু জেতার নেই। সবটাই হারাবে। একমাত্র উপায় শান্তি প্রতিষ্ঠা।” মোদির এই বক্তব্যের পরেই  ডোভালের এই সফরে আশার আলো দেখছেন অনেকেই। 
     

  • Putin on India: ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন

    Putin on India: ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) শুভেচ্ছা বার্তায় ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় নেতৃত্ব ও জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “অনুগ্রহ করে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন। কয়েক দশক ধরে ভারত অর্থনৈতিক, সামাজিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সর্বজন স্বীকৃত সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্ব মঞ্চে নিজের অধিকারেই ভারত যথাযথভাবে মর্যাদা উপভোগ করে এবং বিশ্বের সমস্যা সমাধানে গঠনমূলক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”  

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র, কেন?

    পুতিন লেখেন, “আমি নিশ্চিত যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করার স্বার্থে যৌথভাবে আমরা আমাদের জনগণের সুবিধার জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ককে আরও উন্নত করে তুলব।”  

    পুতিন বলেন, “রুশ-ভারত (Russia) সম্পর্ক আরও বিকশিত হচ্ছে। মস্কো এবং নয়াদিল্লি সফলভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথভাবে সহযোগিতা করছে।” একই সঙ্গে জাতিসংঘ, ব্রিকস, এসসিওসহ অন্যান্য বহুপাক্ষিক বৈঠকে দু দেশের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুতিন। দু দেশের জনগণের সম্পর্ক আরও মজবুত করার কথাও এদিন বলেন পুতিন। 

    আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা! শান্তি রক্ষায় এগিয়ে আসুক দুপক্ষ, আর্জি ভারতের

    পুতিন বলেছেন, “রাশিয়া এবং ভারতের একে অপরকে সহযোগীতায় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও অর্থনীতি, শান্তিপূর্ণ পরমাণু ও মহাকাশ অনুসন্ধান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি আত্মবিশ্বাসের সাথে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমাদের ভারতীয় বন্ধুদেরকে তাঁদের জাতীয় ছুটির দিনে অভিনন্দন জানাই। আমরা আপনাদের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নতুন সাফল্য কামনা করি!” রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্যও কামনা করেছেন রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন।     

  • Wargames: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল

    Wargames: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন (China) সীমান্তে সংঘাত লেগেই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে  চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে একসঙ্গে যৌথ মহড়ায় (Military Exercise) অংশ নিতে চলেছে ভারত (India) এবং চিনের সেনাবাহিনী। রাশিয়ার মাটিতে আরও তিনটি দেশের সঙ্গে এই মহড়া চালানো হবে বলে জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ায় এই সামরিক মহড়ার আয়োজনও আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্ব বাড়িয়েছে।

    চিনা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মহড়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করতেই এহেন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারত এবং চিন ছাড়াও রাশিয়া (Russia), বেলারুশ এবং তাজিকিস্তান এই মহড়ায় অংশ নেবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অংশগ্রহণকারী দেশগুলির সেনাবাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। কৌশলগত ক্ষেত্রেও অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই মহড়া। তাছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তাজনিত সমস্যা সমাধানে দক্ষতা বাড়াবে এই মহড়া।” 

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোড়

    রাশিয়ার তরফে জুলাই মাসে একটি বিবৃতিতে সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছিল। সেখানে ১৩টি দেশ অংশ নেবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, পূর্ব রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলকে এই সামরিক মহড়ার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অঞ্চলটি চিনের সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জানা গিয়েছে, এই ড্রিলে বায়ু সেনা, দূরপাল্লার সামরিক যুদ্ধ সামগ্রীর অনুশীলন হবে। এর সঙ্গে সাম্প্রতিক পরুস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই।

    ভারত এই সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করেনি। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগেও চিন ও ভারত নিজেদের দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একাধিক সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে। ২০২০ সালের মে মাসে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। 

  • IAF’s Sukhoi: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    IAF’s Sukhoi: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চায় বায়ুসেনা। পুরনো মিগ সিরিজের বিমানগুলিকে বসিয়ে দিয়ে আধুনিক ফাইটার জেট ব্যবহার করতে আগ্রহী ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের আওতায় ১১৪টি নতুন যুদ্ধবিমান কিনতে চায় বায়ুসেনা। প্রতিরক্ষামন্ত্রক ও বায়ুসেনার সঙ্গে সুখোই-৩০ ও আরও আধুনিক এবং উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন যুদ্ধবিমান নিয়ে কথা বলতে শীঘ্রই ভারতে আসছে রাশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিরক্ষা শিল্প নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া চুক্তির জন্যই দিল্লি আসার কথা ওই দলের।  

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, অতি দ্রুত ১১৪টি যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিমান নিয়ে চুক্তি করতে বোয়িং, লকহিড মার্টিনের মতো মার্কিন সংস্থা, রাশিয়ার ইউনাইটেড এয়ারক্র্যাফট এবং সাব-এর মতো সংস্থা আগ্রহী। এই সব সংস্থা এর আগেও মিডিয়াম মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের (এমএমআরসিএ) টেন্ডারে অংশ নিয়েছে। একাধিক সংস্থা ইতিমধ্যেই নানা ‘অফার’ নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বায়ুসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে। রাশিয়া সরকারের সঙ্গেও কয়েক প্রস্ত আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে সব প্রস্তাব এবং পরিকল্পনাই খতিয়ে দেখছে সরকার।

    আরও পড়ুন: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের ভারতে আসা বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। রাশিয়ার ইউনাইটেড এয়ারক্র্যাফটের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের কথায়, তাঁরা ভারতের সঙ্গে নয়া চুক্তি করতে আশাবাদী। তাঁরা Sukhoi-30 MKI ফ্লিটের আপগ্রেডেড রূপ নিয়ে কথা বলতে চায়। এই  প্রস্তাবিত আপগ্রেডেড রূপে আরও ভাল রাডার, শক্তিশালী অস্ত্র প্যাকেজ, একটি নতুন ককপিট সিস্টেম-সহ আরও অনেক কিছু রয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, সুখোই গোত্রের সব যুদ্ধবিমানই রাশিয়ায় তৈরি। তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী শ্রেণিগুলির অন্যতম হল সুখোই-৩০। ভারতীয় বিমানবাহিনী এই সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানই ব্যবহার করে। এই ফাইটার জেটে রয়েছে ক্যানার্ড নামে অতিরিক্ত দুটি ডানা। এই ক্যানার্ড যুদ্ধবিমানের গতি ও ভারসাম্য দারুণভাবে চালকের নিয়ন্ত্রণে রাখে। থ্রাস্ট-ভেক্টর কন্ট্রোল নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে সুখোই-৩০ বিমানে। সেই ব্যবস্থা বিমানের অভিমুখ নিয়ন্ত্রণে খুব দক্ষ। থ্রাস্ট-ভেক্টরিং-এর সুবাদে কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এত দ্রুত এগিয়ে যায় সুখোই-৩০ যে তাকে তাড়া করা অপেক্ষাকৃত পুরনো দিনের যুদ্ধবিমানের পক্ষে খুব কঠিন।

  • Crude Oil: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা 

    Crude Oil: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (Crude Oil) আমদানি (Purchase) কমিয়ে দিয়েছে ভারত। পাঁচ মাসে এই প্রথম বার। রাশিয়া (Russia) থেকে আমদানি কমিয়ে তেল আমদানি বাড়ানো হয়েছে সৌদি আরব (Saudi Arabia) থেকে। 

    চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রুশ জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে অনেকটাই কম দামে সৌদি আরব তেল রপ্তানি করছে। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। 

    ভারত জুলাই মাসে রাশিয়া থেকে প্রতিদিন ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪০০ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। জুন মাসের থেকে যা ৭.৩ শতাংশ কম। 

    আরও পড়ুন: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাশিয়া, ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে, মস্কোর কাছ থেকে পশ্চিমা দেশগুলি তেল কেনা বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে রাশিয়া থেকে কম দামে প্রচুর তেল কেনা শুরু করে ভারত। 
     
    সামগ্রিকভাবে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ। কিন্তু জুন থেকে জুলাই মাসে ভারত জ্বালানি তেল আমদানি ৩.২ শতাংশ কমিয়েছে। কারণ দেশের কিছু জ্বালানি শোধনাগার অগাস্ট থেকে রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনা করছে। 

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    এ দিকে সৌদি আরব থেকে ভারতের জ্বালানি তেল আমদানি জুলাই মাসে ২৫.৫ শতাংশ বেড়েছে। এখন ভারত প্রতিদিন সেই দেশ থেকে ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৭০০ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। ভারতের জ্বালানি সরবরাহকারীদের মধ্যে সৌদি আরবের অবস্থান এখন তৃতীয়। 

    উল্টোদিকে তেলের চাহিদা বাড়ায় ফের দাম বাড়িয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এতে তেলে রপ্তানি তলানিতে ঠেকেছে রাশিয়ার। দৈনিক ২০ লক্ষ ব্যারেলেরও কম তেল বিক্রি হচ্ছে। তাই রাশিয়া এখন তেল রপ্তানির জন্যে নতুন বাজারের সন্ধান করছে। শ্রীলঙ্কা এবং মিশরেও যাচ্ছে রুশ ট্যাঙ্কার। 

    তবে এখন সৌদি আরবই একমাত্র কম টাকায় অপরিশোধিত তেল দিচ্ছে এমনটা নয়। কম দামে পাওয়া যাচ্ছে মার্কিন তেলও। মার্কিন তেলের কম দামেও আকৃষ্ট হয়েছে ভারত এবং কোরিয়া। ফলে বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা অব্যহত। 

     

  • Vladimir Putin: মিত্র দেশগুলিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত রাশিয়া, জানালেন পুতিন

    Vladimir Putin: মিত্র দেশগুলিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত রাশিয়া, জানালেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিত্র দেশগুলিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে রাশিয়া। মস্কোয় বার্ষিক অস্ত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এভাবেই মিত্র দেশগুলিকে বন্ধুত্বের বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তাঁর কথায়, রাশিয়া সবসময় সার্বভৌম ও স্বাধীন উন্নয়নের পথ বেছে নিয়েছে। এরপরই তিনি জানান, কামান, যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা সহ সকল অত্যাধুনিক অস্ত্রকে (Advanced Weapons) মিত্র দেশ ও অংশিদারীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রস্তুত রাশিয়া। পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট পুতিন দাবি করেছেন, রাশিয়া (Russia) বিশ্বব্যাপী আধুনিক অস্ত্র রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর ক্রমশ এই প্রভাব আরও বাড়ছে। সোমবার পিয়ংইয়ংয়ের মুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকে চিঠি লিখে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার কথাও বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    আরও পড়ুন: ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন   

    গত ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ অব্যহত। এই যুদ্ধে পাশে থাকার জন্যে বন্ধু দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতিন। একই সঙ্গে ঘোষণা করেন, মিত্র দেশগুলিকে সব রকম সামরিক সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাশিয়া।  

    সোমবার ছিল রাশিয়ার বার্ষিক অস্ত্র প্রদর্শনীর অনুষ্ঠান। রাজধানী মস্কোয় সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় পুতিন জানান, বিশ্বজুড়ে অস্ত্র রফতানি ক্ষেত্রে ক্রমশ রাশিয়ার প্রভাব বাড়ছে। এর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে নিজের দেশের সামরিক পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মিত্র দেশগুলির উদ্দেশ্যে বলেন, “আমাদের সমর্থনের জন্য মিত্র দেশগুলিকে ধন্যবাদ।” যদিও রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের প্রেক্ষিতে পশ্চিমের দেশগুলির ব্যাপক রোষানলের মুখে পড়ে রাশিয়া। কিন্তু তারপরেও যুদ্ধ চালিয়ে যায় তারা।

    আরও পড়ুন: পুতিনের হাতে মাত্র দুবছর! দাবি ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের     

    এ নিয়ে পুতিন বলেন,  “আমাদের অনেক প্রতিবেশী এবং মিত্র দেশ রয়েছে। তারা আমাদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।” তিনি আরও বলেন, “মস্কো একটি সার্বভৌম এবং স্বাধীন উন্নয়নের পথ বেছে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন মেনে আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ করে এসেছে।”    

  • Russia-Ukraine war: ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা! শান্তি রক্ষায় এগিয়ে আসুক দুপক্ষ, আর্জি ভারতের

    Russia-Ukraine war: ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা! শান্তি রক্ষায় এগিয়ে আসুক দুপক্ষ, আর্জি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্রে মিসাইল হামলা। ইউক্রেনের জাপরজাই (Zaporizhzhia Nuclear Power Plant) পরমাণু কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার ১০ বার হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যালয় ও ফায়ার স্টেশনে এর আগে গত শনিবারও হামলা চলে। ইউক্রেন ও রাশিয়া এই হামলার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে।

    ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। বিগত পাঁচ মাস ধরে লড়াই চালিয়ে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থান নিজেদের দখলে নিয়েছে রাশিয়ার সেনা। ইউক্রেন তথা ইউরোপের বৃহত্তম জাপরজাই পরমাণু কেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ এখন পুতিন বাহিনীর হাতে। এই এলাকা ঘিরে তীব্র লড়াই চলছে দুই পক্ষের। গত শনিবার পারমাণবিক কেন্দ্রটিতে আছড়ে পড়ে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র। এরফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেন্দ্রটির তিনটি রেডিয়েশন সেন্সর। আহত হয়েছে এক কর্মীও। বৃহস্পতিবারও একই ধরনের হামলা চলে।

    আরও পড়ুন: চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

    ওই অঞ্চলের রাশিয়া (Russia) নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের দাবি, পারমাণবিক কেন্দ্রে রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলা চালায় ইউক্রেনের বাহিনী। এতে কেন্দ্রটির একটি বিল্ডিং ও ব্যবহৃত আণবিক জ্বালানির রাখার একটি গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, এই হামলার নেপথ্যে রাশিয়া রয়েছে বলে পালটা অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। তাঁর অভিযোগ, ‘আণবিক সন্ত্রাসবাদ’ ছড়াতে চাইছে রুশ ফৌজ। একইসঙ্গে, মস্কোর পরমাণু প্রকল্পের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    বিশ্লেষকদের মতে, জাপরজাই পরমাণু কেন্দ্রে যেভাবে পরপর মিসাইল হামলা হয়েছে তাতে যে কোনও মুহূর্তে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যে কোনও মুহূর্তে হতে পারে চেরনোবিল দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি। রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন, “আণবিক কেন্দ্রের হামলা চালানো আত্মহত্যার শামিল।” ভারতও পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালানোর ঘটনার নিন্দা করেছে। দুপক্ষকে শান্তি রক্ষার্থে আহ্বান জানিয়েছে দিল্লি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথাও বলা হয়েছে।

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র, কেন? 

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র, কেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার সংকটের মূলে রাশিয়া (Russia)। এমনটাই দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (United States) বিদেশমন্ত্রী (Foreign Minister) অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের (Antony Blinken)। তিনি মনে করেন, রাশিয়ার খাদ্য অবরোধই শ্রীলঙ্কার সমস্যার (Sri Lanka Crisis) মূল কারণ। ইউক্রেনের শস্য রফতানির ওপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা শ্রীলঙ্কার অশান্তির আগুনে ঘি ঢেলেছে। এই খাদ্য অবরোধে অন্যান্য সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালালেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া, নতুন ঠিকানা মালদ্বীপ

    অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোববার ব্যাংককে এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা এই রুশ আগ্রাসনের প্রভাব সর্বত্রই দেখতে পাচ্ছি। শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির জন্য রুশ আগ্রাসন অনেকাংশেই দায়ী। আমরা সারাবিশ্বে এর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। রাশিয়াকে আরও অনুভূতিশীল হতে হবে।”

    তিনি বলেন, “বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসন সেই সমস্যার পালে আরও হাওয়া দিয়েছে। থাইল্যান্ডেও এর প্রভাব পড়ছে। এখানে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সারের দাম এখন আকাশচুম্বি।” 

    আরও পড়ুন: ভারত-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তৎপর উপকূল রক্ষী বাহিনী 

    ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, “সার বিশেষ করে থাইল্যান্ডের মতো একটি প্রাণবন্ত কৃষিকাজের দেশে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সার সংকটের অর্থ হল পরের বছর ফলন কমে যাবে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যাবে। একইভাবে বিশ্বব্যাপী কৃষি উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে রাশিয়ার আগ্রাসন। এতে বিশ্ববাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।” 

    খাদ্য ও জ্বালানির তীব্র ঘাটতির কারণে ভয়ঙ্কর সংকটের মুখে ভারতের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা। ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। গত শনিবার প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) বাড়ির দখল নিয়েছেন দেশের জনতা। পদত্যাগ পত্রে সাক্ষর করেই প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপে পালিয়েছেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া। দেশজুড়ে চরম অস্থিরতা। শ্রীলঙ্কার এই দুর্দশার জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র।  

    দেশের এই ভয়ঙ্কর সংকটের মধ্যেই কিছুদিন আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে কথা বলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। এরইমধ্যে গণবিক্ষোভের জেরে প্রেসিডেন্টের পালিয়ে যাওয়ার পর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। পরিস্থিতি খারাপ জেনেও দুমাস আগেই প্রধানমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।  

     

  • Russia-Ukraine Landmark Deal: ক্ষণিকের স্বস্তি, খাদ্য শস্য রফতানির বিষয়ে সমঝোতা রাশিয়া-ইউক্রেনের 

    Russia-Ukraine Landmark Deal: ক্ষণিকের স্বস্তি, খাদ্য শস্য রফতানির বিষয়ে সমঝোতা রাশিয়া-ইউক্রেনের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় পাঁচ মাস পেরোতে চলল ইউক্রেন (Ukraine) রাশিয়া (Russia) যুদ্ধ। সমঝোতার কোনও রকম ইচ্ছে প্রকাশ করেনি দুই দেশ। ইউক্রেন রুশ হামলার পর থেকেই বিশ্ব বাজারে খাদ্য সংকট ও তেলের সমস্যা দেখা দিতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। শুক্রবার সেই দুশ্চিন্তার কালোমেঘ কিছুটা হলেও কমেছে। এদিন বিশ্ব খাদ্য সংকট মোকাবিলায় এক টেবিলে এল রাশিয়া- ইউক্রেন। রাশিয়া, ইউক্রেনের মধ্যে সাক্ষরিত হল ল্যান্ডমার্ক চুক্তি (Landmark Deal)। তুরস্কের (Turkey) ইস্তানবুলে (Istanbul) ইউক্রেনের মন্ত্রী কুবরাকোভ ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শইগু রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে আলাদা আলাদা চুক্তি স্বাক্ষর করেন।  

    আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ১৫ হাজার রুশ সেনা, বিস্ফোরক দাবি সিএইএ-র  

    ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলদিমির জেলেন্সকি (Volodymyr Zelensky) জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী বছরে ১০০০ কোটি টাকার খাদ্য শস্য বিক্রি করতে হবে। গত বছরের ২০০ লক্ষ টন ফসল বিক্রি করা যাবে। 

    আরও পড়ুন: চিনকে রুখতে ভারতের পাশে! নয়া আইন পাশ মার্কিন সংসদে

    চুক্তি সাক্ষরের পর রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যান্টনিও গুয়েতরেস বলেন, “গোটা বিশ্বের জন্যে এটা খানিকটা স্বস্তির বিষয়।”

    গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি খাদ্য রফতানি হয় রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে। ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হতেই খাদ্য সংকটে পড়ে গোটা বিশ্ব। 

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, এই চুক্তির মেয়াদ ১২০ দিন। তবে আলোচনা ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চুক্তির মেয়াদ আরো বাড়ানো যাবে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেনে আটকে থাকা শস্য বহনকারী বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ যেন নিরাপদে কৃষ্ণসাগরে চলাচল করতে পারে, সেজন্য তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় একটি যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হবে। সেই কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন জাতিসংঘ, রাশিয়া, তুরস্ক ও ইউক্রেনের আধিকারিকরা।

    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বলেন, ‌”এই চুক্তি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে দুর্ভিক্ষের হাত থেকে বাঁচাবে। এছাড়া এটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য মূল্য বৃদ্ধি কমাবে।”   
     
    পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনের আধিকারিকরা নিরাপদ পথে খাদ্য বোঝাই জাহাজকে তিনটি বন্দরে পৌঁছে দেবেন। এরপর ইউক্রেন ছেড়ে কৃষ্ণ সাগরে পড়বে জাহাজ। সেখানে ফের তুরস্কের বন্দরে হবে চেকিং। তারপর এগোবে খাদ্য সামগ্রী বোঝাই জাহাজ। এভাবেই চলবে আপাতত ১২০ দিন। পরিকল্পনাটি সফল চলবে আরও বেশ কিছুদিন।    

    এই খাদ্য বোঝাই জাহাজগুলির ওপর নজর রাখবে দুই পক্ষই। রাশিয়া জাহাজগুলির ওপর হামলা না চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউক্রেন বিষয়টিতে নিশ্চয়তা চেয়েছে যাতে রাশিয়া জাহাজগুলিতে কোনও ভাবেই হামলা না চালায়। ইউক্রেনের সাফ কথা, রাশিয়ার কোনও জাহাজ যেন এই জাহাজগুলির সঙ্গে না থাকে এবং ইউক্রেনের বন্দরে যেন রাশিয়ার কোনও প্রতিনিধি না থাকে। 

    গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রুশ সেনা। কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রফতানি বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। এতে গোটা বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়। পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে খাদ্য ও জ্বালানির দাম ব্যাপক মাত্রায় বাড়তে শুরু করে। যদিও খাদ্য সংকটের দায় নিতে রাজী নয় রাশিয়া।  

     

  • Russia: বাহিনীর সংখ্যায় টান, ইউক্রেনে ‘ভাড়াটে সেনা’ পাঠাচ্ছে রাশিয়া?

    Russia: বাহিনীর সংখ্যায় টান, ইউক্রেনে ‘ভাড়াটে সেনা’ পাঠাচ্ছে রাশিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাড়াটে সৈন্য (Mercenaries) দিয়ে ইউক্রেনে (Ukraine) যুদ্ধ করাচ্ছে রাশিয়া (Russia)। শুক্রবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করল যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষমন্ত্রক (UK Defence Ministry)। মন্ত্রকের দাবি পাঁচ মাসের এই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেশের বহু সৈন্য হারিয়েছে পুতিন সরকার। সৈন্যের ঘাটতি পড়েছে সে দেশে। তাই টাকার বিনিময়ে বহাল করা সেনা দিয়েই যুদ্ধ চালাতে হচ্ছে রাশিয়াকে।  

    ওয়াগনার গ্রুপের (Wagner Group) সরকারি সৈন্যদের থেকে ভাড়াটে সৈন্যদের প্রতি বেশি বিশ্বস্ততা দেখাচ্ছে পুতিন সরকার। তাদেরকেই রাখা হচ্ছে সামনের সারিতে। টানা যুদ্ধ যে অনেকটাই মনোবল ভেঙে দিয়েছে রাশিয়ার এ তার বড় প্রমাণ। 

    আরও পড়ুন: ক্ষণিকের স্বস্তি, খাদ্য শস্য রফতানির বিষয়ে সমঝোতা রাশিয়া-ইউক্রেনের
     
    যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য, এই ভাড়াটে সৈন্যরা সরকারি সৈন্যদের ঘাটতি পূরণ করতে ব্যর্থ। আর সেকারণেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া খুব বেশি আক্রমণাত্মক হতে পারছে না। 

    ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, ২০১৫ সাল থেকেই রাশিয়া এই ভাড়াটে সৈন্য নিয়োগ করা শুরু করেছিল। 

    কিভের আধিকারিকরা বুধবার জানিয়েছেন, দক্ষিণে রুশ সেনাদের ফের ঘাঁটি গাড়তে দেখা গিয়েছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের বিশ্বাস, যে রাশিয়ার ৪৯ তম সেনাবাহিনী ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থান করছে। এই রুশ সেনাবাহিনী দুর্বল।  

    কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ দাবি করেছে পাঁচ মাসের এই টানা যুদ্ধে রাশিয়ার ১৫০০০ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪৫ হাজারেরও বেশি সৈন্য। রাশিয়ার জন্যে যা বিরাট ক্ষতি। আর এতে সরকারি সৈন্যদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধে আসতে চাইছেন না সেনাকর্মীরা। আর তাতেই ভাড়া করা সৈন্যতেই আস্থা রাখতে হচ্ছে রাশিয়াকে।

    আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ১৫ হাজার রুশ সেনা, বিস্ফোরক দাবি সিএইএ-র

    এছাড়া ভাড়াটে সেনা যুদ্ধে প্রাণ হারালে তার দায়ও নিতে হচ্ছে না পুতিন সরকারকে। কিন্তু সরকারি সেনা প্রাণ হারালে বা আহত হলে সমস্ত আর্থিক দায় বহন করতে হয় যেকোনও দেশকে। আর এটাও ভাড়াটে সেনাকে সামনের সারিতে রেখে, সরকারি সেনাকে পিছনে রাখার অন্যতম কারণ বলে মনে করছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রক। 

    সম্প্রতি ইউক্রেনে অভিযানের ক্ষেত্র বাড়ানোর কথা জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বুধবার বলেন, ইউক্রেনে মস্কো যে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, তার ভৌগলিক পরিসর বাড়ানো হয়েছে। এখন আর শুধু পূর্ব ডনবাস অঞ্চলই নয়,  ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের খেরসন, জাপোরিঝিয়াসহ আরও কিছু অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য এই অবস্থায় এখনই সেই পথে হাঁটতে পারবে না রুশ বাহিনী। 

     

     

LinkedIn
Share