Tag: Russia

Russia

  • Russia Ukraine War: ভারত সহ ৫ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করল ইউক্রেন, কেন জানেন?

    Russia Ukraine War: ভারত সহ ৫ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করল ইউক্রেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) থামেনি। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে পড়শি ওই দুই দেশের লড়াই। যুদ্ধ থামার আশু কোনও লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে বড়সড় পদক্ষেপ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। ভারত (India) সহ পাঁচ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের (Ambassador) বরখাস্ত করলেন তিনি। কী কারণে তাঁদের হঠাৎ করে বরখাস্ত করা হল, তা জানা যায়নি। তবে কূটনৈতিক মহলের ধারণা, কূটনৈতিক ব্যর্থতার জেরেই ‘চাকরি’ গিয়েছে তাঁদের।

    ন্যাটোর (NATO) সদস্য হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল ইউক্রেন। তা নিয়েই রাশিয়া ইউক্রেন বিবাদের সূত্রপাত। যার জেরে ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় যুদ্ধ। সেই যুদ্ধ এখনও চলছে। যুদ্ধ থামাতে দুই দেশকেই আবেদন নিবেদন করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তার পরেও চলছে লড়াই। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর অভিযোগে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। তা সত্ত্বেও নিরস্ত করা যায়নি রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনকে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    এহেন পরিস্থিতিতেই পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিলেন ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট। ভারত ছাড়াও বরখাস্ত করা হয়েছে জার্মানি, চেক রিপাবলিক, নরওয়ে এবং হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতকে। বরখাস্ত হওয়া রাষ্ট্রদূতদের অন্য কোনও পদে বহাল করা হবে কিনা, তা নিয়েও কোনও বার্তা নেই ভলোদিমির জেলেনস্কির জারি করা নির্দেশিকায়। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির তরফে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছে দুই দেশকেই। তার পরেও যুদ্ধ থামেনি। তবে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও, রাশিয়ার সঙ্গে এখনও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জারি রেখে চলেছে রাশিয়া।

    আরও পড়ুন : ডিজিটাল বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত, গান্ধীনগরে জানালেন মোদি

    মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে জার্মানিও। জ্বালানির জন্য এই দেশটি বরাবর রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। ভারতের মতো যুদ্ধের আবহে তারাও সম্পর্ক রেখে চলেছে পুতিনের দেশের সঙ্গে। এ সবকেই কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলেই মনে করছে কিয়েভ। সেই কারণেই ভারত সহ পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করা হল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

     

  • India Russia at BRICS: রাশিয়ায় খুলবে ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন! ইঙ্গিত পুতিনের

    India Russia at BRICS: রাশিয়ায় খুলবে ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন! ইঙ্গিত পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভারতের (India) সঙ্গে রাশিয়ার (Russia) বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে চলেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি (President) ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) জানিয়েছেন, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে রাশিয়ান ফেডারেশনের (Russian Federation) সঙ্গে ব্রিকস (BRICS) দেশগুলোর বাণিজ্য ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ও ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। ব্রিকস দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়ায় ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন খোলার আলোচনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও রাশিয়ার বাজারে চিনা গাড়ি, সরঞ্জাম এবং হার্ডওয়্যারের শেয়ার বাড়ানোর জন্য আলোচনা চলছে। এর ফলে  ব্রিকস দেশগুলোতে রাশিয়ার উপস্থিতি ক্রমশ বাড়ছে। 

    আরও পড়ুন:দামে ছাড়! রাশিয়ার তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা ভারত

    উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) ফলে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হতে থাকলে রাশিয়া ব্রিকস দেশগুলোর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের পর চিন (China) ও ভারতে জ্বালানি তেলের রফতানিও বাড়িয়েছে রাশিয়া। এজন্য দামেও ছাড় দিয়েছে পুতিনের দেশ। চলতি মাসের মে মাসে রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ তেল আমদানি করেছে চিন ও ভারত। অন্যদিকে রাশিয়া থেকে যথেষ্ট পরিমাণে সার (Fertilisers) ব্রিকস দেশগুলিতে রফতানি করা হয়েছে। পুতিন জানিয়েছেন যে, রুশ আইটি কোম্পানিগুলিও ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) ধীরে ধীরে প্রসারিত করার চেষ্টা করছে।

    আরও পড়ুন:ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    পুতিন আরও জানিয়েছেন, ব্রিকস দেশগুলির সঙ্গে এক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে এএকটি গোচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ার বাণিজ্যিক সিস্টেমটি ব্রিকসের পাঁচটি দেশের ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে। ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করার জন্যে অভিন্ন মুদ্রাভাণ্ডার তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া। এই পরিকল্পনা সফল হলে  খুব সহজেই বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে পুতিনের রাশিয়া এবং মোদির (Modi) ভারত সহ ব্রিকস গোষ্ঠীর অন্যান্য দেশগুলি।

  • Russia: শতবর্ষে এই প্রথম, বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যর্থ রাশিয়া

    Russia: শতবর্ষে এই প্রথম, বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যর্থ রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো বছরে এই প্রথম! বিদেশি ঋণ (Foreign Debt) শোধে ব্যর্থ রাশিয়া (Russia)। ২৭ মে-র পর দেশটিকে আরও বাড়তি প্রায় এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সীমা পেরিয়ে গেলেও ঋণ শোধ করতে পারেনি ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। দেশটিতে এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে, বলশেভিক বিপ্লবের সময়।

    ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে রাশিয়া। তার পর থেকে চার মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও, এখনও থামেনি যুদ্ধ। পুতিনের দেশকে সবক শেখাতে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা ও ইউরোপের কিছু দেশ। তার পরেও দমানো যায়নি অদম্য রাশিয়াকে। যুদ্ধ চলছেই।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    এর আগে অন্তর্দেশীয় ঋণ পরিশোধে সর্বশেষ রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে পরে রুবেলের সংকট দেখা দেওয়ায় এমনটা হয়েছিল। তবে সেই সময় অভ্যন্তরীণ ঋণ শোধে অপারগ হলেও, বিদেশি ঋণ শোধ করেছে মস্কো। আর এখন বৈদেশিক ঋণ শোধ করতেই ব্যর্থ হয়েছে দেশটি।

    সূত্রের খবর, অনেক আগেই মস্কোর এই ঋণ শোধের কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বিদেশি ঋণ শোধ করতে পারেনি পুতিনের দেশ। ধার শোধের সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয় ২৭ মে। সেবারও ঋণ শোধে অপারগ হওয়ায় সময়সীমা ফের বাড়িয়ে করা হয় ২৬ জুন। এদিনও বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে পারেনি পুতিনের দেশ। জানা গিয়েছে, বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

    আরও পড়ুন : ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    কী কারণে বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম সুইফট। যার জেরে লেনদেন করতে পারছে না পুতিনের দেশ। ফলশ্রুতিতে বৈদেশিক ঋণ শোধে ফের একবার ব্যর্থ হল মস্কো। প্রসঙ্গত, এর আগে বলশেভিক বিপ্লবের সময় ঋণ শোধ করতে অস্বীকার করেছিলেন কমিউনিস্ট নেতা ভ্লাদিমির লেনিন। একটি রাশিয়ান কোম্পানির বর্ষীয়ান কর্নধার হাসান মালিক বলেন, এটা খুবই, খুবই বিরল একটি ঘটনা। এখানে সরকার ঋণ শোধে ব্যর্থ হয়েছে বিদেশ শক্তির প্রভাবে। ইতিহাসে এই ঘটনা একটি যুগসন্ধিক্ষণ হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

     

  • Sri Lanka Crisis: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    Sri Lanka Crisis: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বালানি তেলের সংকটে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য। আর্থিক সংকটে জর্জরিত দেশ। জ্বালানি তেলেরও আকাল। আগেই জানানো হয়েছিল চাইলেই মিলবে জ্বালানি তেল (fuel crisis)। এবার জ্বালানি তেলের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল শ্রীলঙ্কা সরকার (Sri Lanka government)। শুধু আপৎকালীন পরিষেবায় যুক্ত গাড়িগুলি একমাত্র পেট্রল, ডিজেল পাবে। সে কারণেই সমস্ত বেসরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সরকারি মুখপাত্র বান্দুলা গুনাওয়ারদানা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরী পরিষেবা ছাড়া কাউকে জ্বালানি তেল বিক্রি করা হবে না। কারন যেটুকু তেল রয়েছে তা বাঁচিয়ে রাখতে চাইছে সরকার। দেশবাসীর অসুবিধার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সরকার।

    এদিকে বিভিন্ন পেট্রল পাম্পের সামনে ইতিমধ্যেই গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে।  দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা।  গত সপ্তাহেই সমস্ত সরকারি স্কুল বন্ধের নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। কিছু অফিস স্বল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে চলছিল। এবার সকল সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকেই কাজ করার কথা বলা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    দেশে জ্বালানির ভাণ্ডার বাড়ন্ত। এমন অবস্থায় রাশিয়া থেকে কম দামে তেল (Russian Crude Oil) কিনে অবস্থা সামাল দিতে চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা। ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের সঙ্গে তেল কেনার বিষয়ে আলোচনা করতে রাশিয়া (Russia) রওনা দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই মন্ত্রী। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে রুশ তেলের দাম অনেকটাই কমেছে। সেই কারণেই সস্তায় তেল কিনতে তৎপর ঋণের বোঝায় জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র। বিদেশি মুদ্রাও শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের। 

    আরও পড়ুন: আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) আবহে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে তেলের দাম। এদিকে জ্বালানি না থাকার ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। পেট্রল কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ অবস্থা ভয়াবহ। শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka Crisis) বিদ্যুৎ মন্ত্রী কাঞ্চনা বিজেসেকারা জানিয়েছেন, দু’জন মন্ত্রী রাশিয়ায় যাচ্ছেন। তেল কেনা নিয়ে সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তাঁরা।

  • India US relation: ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন কর্তা

    India US relation: ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পাশে রয়েছে আমেরিকা (America)। সম্প্রতি একথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়া (Russia) -ভারত সম্পর্ক বহু পুরানো। তখন বন্ধু (Partner) খুঁজতে তারা প্রস্তুত ছিল না বলেও জানিয়েছে আমেরিকা।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বদলে গিয়েছে বিশ্বরাজনীতি। গোটা বিশ্ব ভাগ হয়ে গিয়েছে আড়াআড়িভাবে। একটা অংশ দাঁড়িয়েছে ইউক্রেনের পাশে। আর একটি অংশ রাশিয়ার পাশে। ইউক্রেনের পাশে রয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকা। এমতাবস্থায় ভারত এখনও সম্পর্ক রেখে চলেছে রাশিয়ার সঙ্গে। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের যে নিষেধাজ্ঞা কানে তোলেনি সাউথব্লক। যুদ্ধের আবহেও নিয়মিত জ্বালানি কিনে চলেছে ভারত। এ নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারির মুখেও পড়তে হয়েছে। তার পরেও দমানো যায়নি মোদির ভারতকে। কূটনৈতিক মহলের মতে, তাই ভারতের সঙ্গে ‘সন্ধি’ করতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন,  আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে নানা বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। মস্কোর সঙ্গে বিভিন্ন দেশ আলাদা আলাদা সম্পর্ক রেখে চলেছে।

    এক সময় সৌদি আরব থেকে প্রচুর পরিমাণ তেল কিনত ভারত। তবে বর্তমানে সৌদি আরবকে পিছনে ফেলে দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার জেরে মার্কিন ডলারে তেল কেনা যাচ্ছে না রাশিয়া থেকে। প্রত্যাশিতভাবেই সস্তা হয়েছে পুতিনের দেশের তেল। এই পরিস্থিতিতে তেলের ভাঁড়ার পূরণ করে নিতে মরিয়া ভারত। সেই কারণেই এখন রুপি-রুবেল মেকানিজম দিয়ে লেনাদেনা চালিয়ে যাচ্ছে মোদির ভারত ও পুতিনের রাশিয়া। কূটনৈতিক মহলের মতে, এটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকার।

    আরও পড়ুন : ভারতকে না কেনার হুঁশিয়ারি দিয়ে যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া থেকে বেশি তেল কিনেছে আমেরিকা!

    প্রাইস বলেন, ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরানো। এই সম্পর্ক এমন সময় বিকশিত হয়েছিল যখন আমেরিকা বন্ধু বেছে নিতে প্রস্তুত ছিল না। বর্তমানে এই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমরা যে বন্ধুত্বে আগ্রহী, সে কথা আমরা আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের জানিয়ে দিয়েছি।

     

  • Russian Crude Oil: দামে ছাড়! রাশিয়ার তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা ভারত  

    Russian Crude Oil: দামে ছাড়! রাশিয়ার তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের থেকে দ্বিগুণ পরিমাণে রাশিয়ার (Russia) উড়াল পর্বতের অপরিশোধিত তেল (Ural Crude Oil) আমদানি (Import) করতে ইচ্ছুক ভারত (India)। তার জন্যে পিটার্সবার্গ থেকে নাভা সেভা বন্দর অবধি অপেক্ষাকৃত একটি ছোট রুটও বাছা হয়েছে। যাতে কম খরচে বিপুল পরিমাণে তেল আমদানি করা যায়। এই তেলের সবথেকে বড় বাজার হয়ে উঠেছে ভারত। তারপরেই তালিকায় রয়েছে চিন। কিন্তু চিনের থেকে আমদানির নিরিখে অনেক এগিয়ে ভারত। নতুন পথে তিন সপ্তাহের কিছুটা বেশি সময়েই তেল রাশিয়া থেকে পৌঁছে যাবে ভারতে। সুয়েজ খাল দিয়ে আনতে সময় লাগে দশ সপ্তাহেরও বেশি।     

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    মে মাসে ভারত রাশিয়া থেকে প্রতিদিনের হিসেবে ৮,৪০,৬৪৫ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনেছে। এই মাসে তা লাফিয়ে বেড়ে গিয়েছে ১০ লক্ষে। এপ্রিলে দৈনিক তেল কেনা হত ৩,৮৮,৬৬৬ ব্যারেল। আগের বছরে মে মাসে সেই পরিমাণ ছিল ১,৩৬,৭৭৪ ব্যারেল। 

    এই মুহূর্তের ট্রেন্ড দেখে বোঝা যাচ্ছে এই মাসে ভারতে মোট অপরিশোধিত তেল আমদানির ২০%, রাশিয়ার থেকে কেনা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগের থেকেও ২% বেশি। 

    আরও পড়ুন: ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    এর একটা বড় কারণ আগের থেকে ৩০% কম দামে রাশিয়ার থেকে তেল কিনতে পারছে ভারত। তাই পশ্চিমা দেশগুলি  রাশিয়ার থেকে তেল কেনার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও সেই পরামর্শকে গুরুত্ব দেয়নি ভারত। দেশের স্বার্থই সবার আগে, একথা স্পষ্ট করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। বর্তমানে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১২০ মার্কিন ডলার। কিন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে প্রতি ব্যারেল তেল ৯০ ডলারেও কমে কিনছে মোদি সরকার। দামে এই তারতম্য হওয়ার কারণ, ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বাদ দিয়েছে। এ বছরের শেষে রাশিয়ার কাছ থেকে ৯০ ভাগ তেল আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।     

    ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির বিষয়ে চুক্তি করেছে ভারতের বৃহত্তম তেল সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। রাশিয়া থেকে তিন মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানির চুক্তি করেছে তারা। 

    আগে রাশিয়া থেকে ভারতে তেল আমদানিতে পরিবহণ খরচ বিপুল থাকায় কম তেল আমদানি করা হত। কিন্তু রাশিয়া তেলের দাম কমানোয় সেই দুঃখ ঘুচেছে। এখন ছোট রুটে আরও অনেক লাভের মুখ দেখবে ভারত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যান্য তেল সংস্থাগুলিও চুক্তি সাক্ষর করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  

     

     

  • S Jaishankar: রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    S Jaishankar: রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনে (Ukraine) আগ্রাসনে অভিযুক্ত রাশিয়া (Russia)। সেই রাশিয়ার সঙ্গে সুসস্পর্ক বজায় রেখে চলেছে ভারত (India)। তা নিয়ে বিভিন্ন সময় ভারতের সমালোচনা করেছে ইউরোপের দেশগুলি। এবার সেই সমালোচনারই জবাব দিল ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) শুক্রবার ইউরোপের তীব্র নিন্দা করেছেন। ইরান এবং ভেনেজুয়েলার তেল কেনার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেছেন জয়শঙ্কর।     

    আরও পড়ুন :রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা নিয়ে পশ্চিমি দেশগুলিকে জবাব পীযূষ গোয়েলের

    চারদিনের স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানেই তিনি বক্তৃতা দেন “গ্লোবসেক ২০২২ ব্রাতিস্লাভা” ফোরামে। এই ফোরামেই ইউরোপকে নিশানা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজ ইউরোপ রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস কিনছে। নিষেধাজ্ঞার নয়া প্যাকেজ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে তার দেশীয় জনগণের কল্যাণকে বিবেচনা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে, আপনি যদি নিজের প্রতি বিবেচনাশীল হতে পারেন তবে অবশ্যই আপনি অন্যদের প্রতি বিবেচ্য হতে পারেন। 

    রাশিয়া থেকে অপরিশোধিতা জ্বালানি কেনা নিয়ে ক্রমাগত ভারতের সমালোচনা করে আসছে পাশ্চাত্য দেশগুলি। এমনকি, সম্প্রতি এমনও বলা হয়েছে যে, রাশিয়া থেকে তেল কিনে আদতে ভারত যুদ্ধে আর্থিক মদত দিচ্ছে। এপ্রসঙ্গে, কড়া জবাব দেন জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই রাশিয়া থেকে ইউরোপ যেখানে গ্যাস আমদানি চালু রেখেছে। শুধু ভারতের বেলায় কেন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

    জয়শঙ্করের প্রশ্ন, ভারত যদি রাশিয়ার তেল আমদানির মাধ্যমে যুদ্ধে আর্থিক মদত করে থাকে, তাহলে রাশিয়া থেকে ইউরোপের গ্যাস আমদানি কেন যুদ্ধে আর্থিক মদত হিসেবে দেখা হবে না? জয়শঙ্কর বলেন, ‘অর্থের বিনিময়ে ভারতে রাশিয়ার তেল এলে তা যুদ্ধে আর্থিক মদত, আর ইউরোপে গ্যাস এলে তা যুদ্ধে মদত নয়? একটু নিরপেক্ষতা তো বজায় রাখবেন। অন্যদেরও তো স্বাধীনতা থাকা উচিত।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    ভারতকে কেন গম রফতানি নিষিদ্ধ করতে হয়েছিল, এদিন সে প্রশ্নেরও জবাব দেন বিদেশমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেন, গম ক্রয়কারী দেশের সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতে কেন্দ্রের অনুমোদনের পরেই রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ভারতের বিদেশ মন্ত্রী বলেন, নয়াদিল্লি চেয়েছিল দরিদ্র দেশগুলি গম সংগ্রহ করুক। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইয়েমেন, সুদান এবং উপসাগরীয় দেশগুলির মতো দেশগুলি, ভারতীয় গমের ঐতিহ্যবাহী ক্রেতা বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গম রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় ভারতের সমালোচনা করেছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। তখন ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল চিন। তারা জানিয়েছিল, ভারতের জনগণের স্বার্থে তারা গম রফতানি বন্ধ করতে পারে।

  • Mohan Bhagwat: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia War) ভারসাম্যের নীতি নিয়েছে ভারত (India)। নয়াদিল্লির সেই অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এই দুই দেশের যুদ্ধ যে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমস্যা বাড়িয়েছে, তাও জানিয়ে দেন আরএসএস প্রধান।

    আরও পড়ুন : নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    নাগপুরে আরএসএসের প্রশিক্ষণ পর্ব শেষে দীক্ষান্ত ভাষণ দেন সংঘ প্রধান। সেখানেই উঠে আসে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ এবং তাতে ভারতের অবস্থান। এই যুদ্ধে পশ্চিমের দেশগুলি অস্ত্র সাহায্য করছে বলেও সাফ জানান তিনি। ওই দেশগুলি ভারত এবং পাকিস্তানকে সমরাস্ত্র পরীক্ষার ভরকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ ভাগবতের।

    এর পরেই তিনি বলেন, ভারতকে সত্য বলতে হবে। অবলম্বন করতে হবে ভারসাম্যপূর্ণ পন্থাও। আরএসএস প্রধান বলেন, সৌভাগ্যবশতঃ ভারত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারসাম্যের নীতি নিয়েছে। এদেশ আক্রমণকে সমর্থন করেনি। আবার রাশিয়ার বিরোধিতাও করেনি। সাউথ ব্লক যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করেনি, তবে তাদের অন্যান্য সহায়তা দিয়ে আসছে।

    ভাগবত বলেন, ভারত ক্রমাগত রাশিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করতে বলছে। তিনি বলেন, যারা আলোচনার বিরোধিতা করছে, তাদের কোনও ভাল উদ্দেশ্য নেই। এই প্রসঙ্গেই ভাগবত পশ্চিমের দেশগুলিকে একহাত নেন। তাঁর মতে, অতীতেও দেখা গিয়েছে যে ভারত ও পাকিস্তানকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিত এবং নিজেদের তৈরি সমরাস্ত্র পরীক্ষা করত পাশ্চাত্য দেশগুলি। এখানেও সেরকম কিছু চলছে। 

    ভাগবত বলেন, ভারতের আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত। একমাত্র তাহলেই সংকট রোখার অবস্থানে থাকবে দেশ। তিনি বলেন, ভারত যথেষ্ট শক্তিশালী হলে যুদ্ধ বন্ধ করে দিত। কিন্তু তা পারে না। দেশের শক্তি এখনও বাড়ছে। তবে সম্পূর্ণ হয়নি।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির ঝটিকা ইউরোপ সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    সংঘচালক বলেন, শক্তি থাকা সত্ত্বেও চিন কেন তাদের থামাচ্ছে না? কারণ এই যুদ্ধে তারাও কিছুর গন্ধ পাচ্ছে। এই যুদ্ধ আমাদের মতো দেশগুলির জন্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমস্যা বাড়িয়েছে। বিশ্বের এই সব সংকট মোকাবিলার জন্যই ভারতকে শক্তিশালী হতে হবে বলেও মনে করেন সংঘচালক। বলেন, আমাদের শক্তিশালী হতে হবে। যদি ভারতের পূর্ণ শক্তি থাকত, তাহলে এমন ঘটনা বিশ্বে ঘটত না। প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন (Ukraine) আক্রমণ করে রাশিয়া। সেই যুদ্ধ এখনও চলছে। যুদ্ধের আঁচে গোটা বিশ্বেই জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। যার ফল ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ।

     

  • Russia: জুলাই মাসে রাশিয়া ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম কয়লা সরবরাহকারী, বলছে রিপোর্ট

    Russia: জুলাই মাসে রাশিয়া ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম কয়লা সরবরাহকারী, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) তৃতীয় বৃহত্তম কয়লা সরবরাহকারী (Coal Supplier) হয়ে উঠেছে রাশিয়া (Russia)। জুলাই মাসের রেকর্ড এমনটাই বলছে। জুনের তুলনায় জুলাইয়ে আমদানি এক পঞ্চমাংশ বাড়িয়েছিল ভারত সরকার। ফলস্বরূপ এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লক্ষ ৬ হাজার টনে। ভারতীয় পরামর্শদাতা কোলমিন্টের দেওয়া তথ্য থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: চিনকে রুখতে ভারতের পাশে! নয়া আইন পাশ মার্কিন সংসদে   

    এর আগে রাশিয়া ভারতের ষষ্ঠ বৃহত্তম কয়লা সরবরাহকারী ছিল। ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মোজাম্বিক এবং কোলাম্বিয়ার পর স্থান ছিল রাশিয়ার। মোজাম্বিক এবং কলম্বিয়া বহু দিন ধরেই যৌথভাবে পাঁচ নম্বর অবস্থান করছিল। 

    আরও পড়ুন: বাহিনীর সংখ্যায় টান, ইউক্রেনে ‘ভাড়াটে সেনা’ পাঠাচ্ছে রাশিয়া?

    ভারতের আশা, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক অনুমোদনের কারণে এখন থেকে ভারতীয় মুদ্রায় পণ্যগুলির দাম চোকানো যাবে। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়া থেকে ভারতের আমদানি প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে ১৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।  

    আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ১৫ হাজার রুশ সেনা, বিস্ফোরক দাবি সিএইএ-র     

    ভারত, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক, আমদানিকারক এবং কয়লার ভোক্তা। রাশিয়া থেকে ভারত প্রধানত ইস্পাত তৈরিতে ব্যবহৃত হওয়া কোকিং কয়লা আমদানি করেছে। এছাড়া ভারতের অন্য প্রধান সরবরাহকারী অস্ট্রেলিয়া। সাম্প্রতিক কালে রুশ সরবরাহকারীরা ভারতীয় ক্রেতাদের জন্য প্রচুর ছাড় দিয়েছে। প্রধানত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার আমদানি বহুগুণ বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বব্যাপী কোণঠাসা হয়ে যায় পুতিনের দেশ। আর এতেই ভারতের সঙ্গে লেনদেন অনেকটা বেড়ে যায়। 

    আরও পড়ুন: ক্ষণিকের স্বস্তি, খাদ্য শস্য রফতানির বিষয়ে সমঝোতা রাশিয়া-ইউক্রেনের

    জুনের তুলনায় জুলাই মাসে রাশিয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লা আমদানি ৭০.৩ শতাংশ বেড়েছে। সেখানে কোকিং কয়লা আমদানি দুই-তৃতীয়াংশের বেশি বেড়েছে।   

  • Russia Population: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    Russia Population: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই করোনার প্রকোপ, তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দেশবাসী হারিয়েছে রাশিয়া (Russia)। জনসংখ্যার সংকটে (Crisis) পড়তে চলেছে পুতিনের দেশ। আর এই সমস্যার সমাধানে প্রস্তাব দিলেন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। দেশে জনসংখ্যার (Population) সংকটের মোকাবিলা করতে ১০ বা তার বেশি সন্তান নেওয়ার জন্য মহিলাদের আর্থিক সাহায্য়ের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। ১০টি শিশুর জন্ম দেওয়া এবং বাঁচিয়ে রাখার জন্য ১ মিলিয়ন রুবেল আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন পুতিন। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু এর জন্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে একটি শর্ত।

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    কোনও মহিলার দশ নম্বর সন্তানের যখন প্রথম জন্মদিন হবে এবং সে সময় যদি বাকি নয় সন্তান জীবিত থাকে, তবেই সরকারের তরফ থেকে এই টাকা পাওয়া যাবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দিতে ‘মাদার হিরোইন’ নামে এই বিশেষ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টাইমস রেডিও’তে এই প্রকল্প সম্পর্কে বিশদে জানিয়েছেন রাশিয়ার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ জেনি ম্যাথার্স।

    জেনি বলেছেন, ‘‘দশ বা তার বেশি সন্তান হলে মহিলাদের জন্য এই পুরষ্কারের চল সোভিয়েত যুগের। একে মাদার হিরোইন বলা হয়। রাশিয়ার জনসংখ্যা সঙ্কট দূর করতেই এই প্রয়াস। বর্তমানে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে এই সঙ্কট আরও প্রবল হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    এই বছরের মার্চ মাস থেকে রাশিয়ায় ফের মাথা চাড়া দিয়েছে করোনা। এর পাশাপাশি ইউক্রেনে ৫০ হাজার জন সৈন্য মারা গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশকে জনবহুল করতে তাই মরিয়া হয়ে উঠেছেন পুতিন।

    এ বিষয়ে ডাঃ ম্যাথার্স বলেন, পুতিন বলে আসছেন যে যাঁদের বড় পরিবার আছে, তাঁরা বেশি দেশপ্রেমিক।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যাপক হারে জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় ১৯৪৪ সালে এই বিশেষ আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এটি বন্ধ হয়ে যায় সেই পুরষ্কার। জনসংখ্যা বাড়াতে গত ১৬ অগস্ট আবার এই আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছেন পুতিন।

    জানা গিয়েছে, গত কয়েক দশকে রাশিয়ার জনসংখ্যা কমেছে। চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৬০ লক্ষ।

    এখন অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে, এই তেরো লক্ষ টাকাতে কী ১০টি সন্তান এই যুগে মানুষ করা  সম্ভব? তাই কতটা কার্যকর হবে রুশ রাষ্ট্রপতির এই পরিকল্পনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। 

     

LinkedIn
Share