Tag: Russia

Russia

  • Ukraine war: ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র পাঠালে নতুন টার্গেটে হামলা, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি পুতিনের

    Ukraine war: ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র পাঠালে নতুন টার্গেটে হামলা, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকা (America) যদি ইউক্রেনকে (Ukraine) দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (long  range missiles) সরবরাহ বন্ধ না করে, তাহলে রাশিয়া (Russia) নয়া লক্ষ্যে আঘাত হানবে। পশ্চিমের দেশগুলিকে এই মর্মে সতর্ক করল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir putin)। রাশিয়ার এক সংবাদসংস্থা সূত্রেই এখবর মিলেছে। তিনি বলেন, “ইউক্রেনের যেসব জায়গায় আমরা এখনও আঘাত করিনি, সেসব জায়গায় এবার আঘাত করব।”

    চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia war)। প্রথম দিকে ইউক্রেনকে কিছুটা চেপে ধরলেও, পরে রাশিয়ার সঙ্গে সমানে টক্কর নিচ্ছে ইউক্রেন। যার জেরে একশো দিন পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকা সহ ন্যাটোর (NATO) অন্যান্য দেশের সাহায্য পাচ্ছে ইউক্রেন। তারই জেরে অব্যাহত লড়াই। সেই কারণেই এবার নাম না করে পশ্চিমের দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Russian President)। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইলের জোগান দেওয়া হলে রাশিয়া নয়া লক্ষ্যে আঘাত করবে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    দিনকয়েক আগেই আমেরিকা জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে হিমার (M142 HIMARS) মাল্টিপল রকেট লঞ্চ সিস্টেম (Multiple Rocket Launch Systems (MLRS)) পাঠাবে। আশি কিলোমিটার দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়াও কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র সাহায্য করছে আমেরিকা। এই অস্ত্র সাহায্যেই ক্ষুব্ধ মস্কো (Moscow)।

    আন্তর্জাতিক যুদ্ধ বিশারদদের মতে, আমেরিকার হিমার চেয়ে রাশিয়ার হাতে থাকা সিস্টেমের পাল্লা কম। তাই হিমার দিয়ে ইউক্রেন বাহিনী কিভে (Kyiv) বসেই রুশ সেনাঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারবে অনায়াসে। সেই কারণেই চিন্তিত ক্রেমলিন (Kremlin)। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) দাবি, তাঁরা এমন কোনও অস্ত্র ইউক্রেনকে দেবেন না, যাতে রাশিয়ার কোনও ক্ষতি হয়। পুতিনও স্বীকার করেছেন, আমেরিকা এমন কোনও নয়া অস্ত্র ইউক্রেনকে দিচ্ছে না। সোভিয়েত যুগে (Soviet era) তৈরি হিমারের মতো অস্ত্র ইউক্রেনের কাছে ছিল। পুতিন বলেন, আমেরিকার আসল উদ্দেশ্য যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করা।

    আরও পড়ুন : ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    যদিও টোকিওতে কোয়াড (QUAD) সম্মেলনের মঞ্চে পুতিনকে তোপ দেগে বাইডেন বলেছিলেন, আমরা ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ। এটি একটি মানবিক বিপর্যয়। যা শুধু মাত্র ইউরোপের (Europe) সমস্যা নয়, গোটা বিশ্বের সমস্যা। তিনি বলেন, এমনটা নয় যে রাশিয়া কেবল ইউক্রেনের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে। তারা ইউক্রেনের প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি গির্জাকে তাদের অস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু করছে। বিশ্বের সমস্ত শান্তিকামী দেশকে এর মোকাবিলা করতে হবে।

     

  • Russia: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার  

    Russia: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য দেশ নয় ভারত (India)। তবে ভারতের মতো একটি ‘মূল্যবান প্রার্থী’র (Worthy Candidate) জন্য  জোরালো সওয়াল করল রাশিয়া (Russia)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ভারত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা। মূল্যবান প্রার্থী। তাই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন তার।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে ভারতের। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। উল্লেখ্য যে, অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য। এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত ও ব্রাজিল গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য উপযুক্ত।

    আরও পড়ুন : ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ সভার অধিবেশনে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এর আগে বক্তৃতা করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা পরিষদকে কীভাবে আরও বেশি করেন গণতান্ত্রিক করা যায়, মস্কো সে ব্যাপারে সচেষ্ট। তারা চাইছে, এর সদস্য হোক আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার দেশ থেকেও। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ সভার অধিবেশনে জয়শঙ্কর শান্তির জন্য সুর চড়িয়েছিলেন। কূটনৈতিক পথে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে। এবং ভারতের অবস্থান তাই থাকবে। প্রসঙ্গত, চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে পারছে না ভারত। যদিও পরিষদের বাকি চার দেশ চায় অস্থায়ী নয়, ভারত হোক স্থায়ী সদস্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • CAATSA Waiver to India: চিনকে রুখতে ভারতের পাশে! নয়া আইন পাশ মার্কিন সংসদে

    CAATSA Waiver to India: চিনকে রুখতে ভারতের পাশে! নয়া আইন পাশ মার্কিন সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার থেকে অস্ত্র কিনলেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে না ভারতকে ৷ এমনই সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকার (USA) সংসদ। এর জন্য নিজেদের আইনে বিশেষ সংশোধনী আনল হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ (India and US strategic relationship)। মার্কিন পার্লামেন্টে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ রো খান্না আইন সংশোধনের প্রস্তাব এনেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত আমেরিকার। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে আমি কাজ করছি। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে ভারত যেন নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সেই কথা মাথায় রাখা উচিত আমাদের।”

    [tw]


    [/tw]

    রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছে ভারত। কিন্তু আমেরিকার ক্যাটসা (CAATSA)আইন অনুসারে, যদি কোনও দেশ রাশিয়া থেকে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র কেনে, তাহলে সেই দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে ভারতকে (India)। সেই কথা মাথায় রেখেই আমেরিকার সংসদে আইন সংশোধন করে এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হল। এদিন ধ্বনিভোটে পাশ হয়েছে আইন সংশোধনের বিল। সায় দিয়েছেন বিরোধী দলের সাংসদরাও। খান্না জানিয়েছেন, “এই বিল পাশ করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দলমত নির্বিশেষে সকলে এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছেন দেখে আমি গর্বিত।” প্রসঙ্গত, ভারতীয় ককাসের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন খান্না। ২০০৪ সালে তৈরি হয়েছিল ভারতীয় ককাস। সন্ত্রাসদমন, গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখা-সহ নানা বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতেই তৈরি হয়েছিল এই জোট।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে আরও একধাপ এগোলেন ঋষি

    ২০১৮ সালে রাশিয়ার থেকে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম কিনতে ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে ভারত৷ সে সময়, শুধু আপত্তি নয় নিষেধাজ্ঞা জারির ভয়ও দেখিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন ৷ কিন্তু চুক্তি থেকে পিছিয়ে আসেনি ভারত ৷ এই এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমটি যে কোনও দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে ৷ এর থেকে বেশি দূরে আঘাত হানার ক্ষমতা অন্য কোনও মিসাইলের নেই ৷ এই মিসাইল ভারতের কাছে থাকলে সহজেই চিনকে রোখা যাবে। তাই চিনকে আটকাতে আর ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন সংসদ এমনই অভিমত কূটনৈতিক মহলের।

  • India Russia Trade: পণ্য বিনিময় পদ্ধতিতে এবার রাশিয়া থেকে সার আমদানি ভারতের

    India Russia Trade: পণ্য বিনিময় পদ্ধতিতে এবার রাশিয়া থেকে সার আমদানি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বালানির পর এবার রাশিয়া (Russia) থেকে সার আমদানি করবে ভারত (India)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) আবহে সারের (fertilizer) দাম বেড়েছে বিশ্বজুড়েই। তার আগেই রাশিয়া থেকে সার আমদানির ব্যাপারে আলোচনা চূড়ান্ত করে ফেলেছে নয়াদিল্লি (new delhi)। কেবল চলতি অর্থবর্ষই নয়, আগামী বেশ কয়েকটি অর্থবর্ষেও যাতে রাশিয়া থেকে সার আমদানি করা যায়, সেই ব্যবস্থাও পাকা করে ফেলেছে মোদি (Modi) সরকার।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা নিয়ে পশ্চিমি দেশগুলিকে জবাব পীযূষ গোয়েলের

    জ্বালানির মতো সারও আমদানি করতে হয় ভারতকে। কারণ ভারতের সিংহভাগ মানুষ কৃষিজীবী। তাই সারের জোগান অব্যাহত রাখা জরুরি। এদিকে কৃষ্ণসাগরের ওপর যুদ্ধের মেঘ কালো ছায়া ফেলেছে ভারতীয় অর্থনীতিতেও। দেশের ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের অর্থনীতির ১৫ শতাংশ কৃষি নির্ভর। এই আবহে ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা কাটিয়ে রাশিয়া থেকে সার আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করা নিঃসন্দেহে ভারতের একটি বড় সাফল্য।

    জানা গিয়েছে, সার রফতানি করে ভারতের থেকে ডলারের বদলে অন্য কোনও মাধ্যমে মূল্য নেবে রাশিয়া। এ ব্যাপারে রুপি-রুবেল পদ্ধতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে দুই দেশ। পাশাপাশি, বার্টার সিস্টেম (barter system) বা পণ্য বিনিময় পদ্ধতির মাধ্য়মেও ভারতকে সার দিতে রাজি পুতিনের দেশ। সেক্ষেত্রে, ভারতের থেকে চা, গাড়ির যন্ত্রাংশের মতো জিনিসপত্রের বদলে সার দেবে রাশিয়া। ভারত থেকে কৃষিপণ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জামও আমদানি করবে পুতিনের দেশ।

    অস্ট্রিয়ান পররাষ্ট্র নীতি থিঙ্কট্যাঙ্ক এআইইএসের (AIES) পরিচালক ভেলিনা চাকারোভার মতে, ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সার আমদানিকারী দেশ। তারা রাশিয়া থেকে ১ মিলিয়ন টন ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট এবং পটাশ আমদানি করবে। প্রতি বছর প্রায় ৮ লক্ষ টন নাইট্রোজেন, ফরফরাস এবং পটাশিয়ামও আমদানি করবে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে ছয় মাসের চুক্তি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলির

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বিশ্বজুড়েই লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির আঁচ। প্রত্যাশিতভাবেই দাম বেড়েছে সারেরও। এহেন আবহে ২১ মে মোদি সরকার ঘোষণা করেছিল, কৃষকদের মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে বাঁচাতে সরকার সারে ১.১০ লক্ষ কোটিরও বেশি টাকা ভর্তুকি দেবে। অতিরিক্ত বরাদ্দের জেরে বর্তমান অর্থবর্ষে সরকারে মোট সার ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২.১৫ লক্ষ কোটিতে।

    বিষয়টি ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন নির্মলা সীতারামণ। তিনি লিখেছিলেন, বিশ্বব্যাপী সারের দাম বাড়লেও, আমরা আমাদের কৃষকদের এই ধরনের মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে রক্ষা করেছি। বাজেটে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকার সার ভর্তুকি ছাড়াও, আমাদের কৃষকদের আরও উপকার করার জন্য অতিরিক্ত ১.১০ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।

    সার নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের আলোচনা হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে। তার পরের মাসেই জর্ডনের বিনিয়োগ মন্ত্রী খেরি ইয়াসের আবদেল-মনিম আমরের নেতৃত্বে জর্ডনের এক প্রতিনিধি দল আসেন ভারতে। এ দেশে ফসফেটিক ও পটাশ সার এবং কাঁচামাল সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর সঙ্গে আলোচনাও করেছেন তাঁরা। সরকারি একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২.৭ মিলিয়ন টন এমওপি বার্ষিক সরবরাহের জন্য জর্ডনের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদী সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী মোট সারের প্রায় ১৩ শতাংশ উৎপন্ন হয় রাশিয়ায়। ভারতের একটি প্রধান সার সরবরাহকারী দেশও এটি। 

     

  • Putin on Food Crisis: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেই খাদ্যসঙ্কট মোচনে মদত, পশ্চিমকে ‘শর্ত’ পুতিনের

    Putin on Food Crisis: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেই খাদ্যসঙ্কট মোচনে মদত, পশ্চিমকে ‘শর্ত’ পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষেধাজ্ঞা তুলতে পশ্চিমের দেশগুলিকে চাপ দিল রাশিয়া (russia)!

    পশ্চিমের দেশগুলি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেই বিশ্বব্যাপী খাদ্যসঙ্কট (Global food crisis) এড়াতে মস্কো (Moscow) উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে প্রস্তুত। একথা জানিয়ে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির (Mario Draghi) সঙ্গে ফোনে কথা বলেন পুতিন। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, সেই সময়ই পুতিন মারিওকে জানিয়ে দেন একথা।

    ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর ক্রেমলিনের (Kremlin) পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আজভ (Sea of Azov) ও কৃষ্ণসাগরে (Black Sea) জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফোনে কথা বলার সময় পুতিন আজভ ও কৃষ্ণসাগরে অসামরিক জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় গৃহীত পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছেন মারিওকে। তিনি সেখানে এসব জাহাজ চলাচলে নিয়মিত মানবিক করিডর চালু রাখার কথাও উল্লেখ করেন।

    রাশিয়ার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ান ফেডারেশন শস্য ও সার রফতানির মাধ্যমে খাদ্যসঙ্কট কাটিয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে যে প্রস্তুত ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে তা জানানো হয়েছিল। তবে সেজন্য পশ্চিমের দেশগুলি থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে হবে।

    আরও পড়ুন : মোদি-মাক্রঁর বৈঠক, উঠল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও

    রাশিয়ার অবস্থানকে ব্ল্যাকমেল হিসেবে বর্ণনা করেছে ইউক্রেন (Ukraine)। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট খাদ্যসঙ্কটকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বকে ব্ল্যাকমেল করতে চাইছেন পুতিন। কিভের দাবি, ইউক্রেনের বন্দর আটকে রেখেছে রাশিয়া। যে কারণে, সেখান দিয়ে কোনও শস্য় পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। মস্কোর পাল্টা দাবি, বন্দরগুলিতে মাইন বিছিয়ে রেখেছে ইউক্রেন। 

    বিশ্ববাজারে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে খাদ্যসঙ্কট। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শস্য, রান্নার তেল, জ্বালানি ও সারের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটকে উসকে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। তার জেরে ভারতের কড়া সমালোচনা করেছে জি-৭ (G-7) ভুক্ত দেশগুলি। তারা ভারতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজিও জানিয়েছে। অবশ্য গম রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে প্রতিবেশী দেশ চিন (China)।

    পর্যবেক্ষকদের মতে, বিশ্বের ক্রমবর্ধমান খাদ্য সঙ্কটের জন্য পশ্চিমের দেশগুলির ওপর দায় চাপাতে চাইছে ক্রেমলিন। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষের (Ukraine Russia Crisis) কারণে লক্ষ লক্ষ টন খাদ্যশস্য ও অন্যান্য কৃষিপণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে পাঠাতে পারছে না ইউক্রেন।

    আরও পড়ুন : চিন নিয়ে সহমত, রাশিয়া প্রসঙ্গে বিভেদ কোয়াডে

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) জেরে বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল, জ্বালানি এবং সারের। দেখা দিয়েছে খাদ্যসঙ্কটও। যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, অসামরিক জাহাজগুলি এখন নিরাপদে ইউক্রেনের মারিউপোলের (Mariupol) আজভ সাগর বন্দর ব্যবহার করতে পারে। এই বন্দরে ছটি বিদেশি শুকনো পণ্যবাহী জাহাজ এখন ছাড়ার জন্য প্রস্তুত। এই জাহাজগুলি বুলগেরিয়া, ডোমিনিকা, লাইবেরিয়া, পানামা, তুরস্ক এবং জামাইকা থেকে এসেছে।

    জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের কৃষকদের উৎপাদিত দু’কোটি টনের বেশি খাদ্যশস্য আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। দেশটিতে নতুন করে ফসল কাটার সময়ও চলে এসেছে। এমতাবস্থায় পুতিনের ‘শর্তে’ বিশ্বনেতারা রাজি হন কিনা, এখন সেটাই দেখার।

     

  • Quad Summit: চিনকে ঠেকাতে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি

    Quad Summit: চিনকে ঠেকাতে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের দাপট কমাতে তৈরি হয়েছে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারত-এই চারটি দেশের জোট কোয়াড (QUAD)। টোকিওয় জোটের শীর্ষ সম্মেলনে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের আধিপত্য ঠেকাতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন রাষ্ট্রনেতারা। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চার দেশের নেতারা।

    জাপানের  প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানেজ কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন। সম্মেলনে চার নেতা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন, জলবায়ু সংকট, করোনাভাইরাস, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়েও আলোচনা করেন।

    আরও পড়ুন: চিন নিয়ে একমত চার নেতা, রাশিয়া প্রসঙ্গে বিভেদ কোয়াড সম্মেলনে

    মঙ্গলবার বৈঠক চলাকালীনই চিন এবং রাশিয়া (Russia-China Fighter Plane) যৌথভাবে বোমারু বিমান ওড়ায় জাপান সাগর এবং পূর্ব চিন সাগরের উপর দিয়ে। একথা জানিয়ে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফুমিও কিশিদা অভিযোগ করেছেন, বেজিং এবং মস্কোর (Russia) তরফে উসকনিমূলক কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে। এই ধরনের কাজ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বরদাস্ত করা হবে না। ওই অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা, নৌ মহড়া এবং মাছ ধরার জাহাজের অনধিকার প্রবেশসহ চিনের নানা কর্মকান্ডে আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়ছে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিন যেভাবে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেওয়া হয় কোয়াড সম্মেলনে। এই অঞ্চলে যদি শান্তি বিঘ্নিত করার বা অবস্থান বদলের কোনওরকম চেষ্টা চিন করে তাহলে তার কড়া জবাব দেওয়া হবে বলেও জানান রাষ্ট্রনেতারা। জানানো হয়, এ অঞ্চলে জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ড রুখতে ইন্দো-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ ফর মেরিটাইম ডোমেন অ্যাওয়ারনেস (আইপিএমডিএ)-এর আওতায় সামুদ্রিক নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। এই প্রকল্পের আওতায় এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ,চোরাচালান, অবৈধ মাছ ধরা মোকাবিলায় একযোগে কাজ করবে কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “কোয়াড সদস্যদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমন্বয় ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি,সমৃদ্ধি ও স্থায়িত্বকে নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিচ্ছে। কোয়াড এখন আরও প্রভাবশালী।”

     

     

  • Quad summit: চিন নিয়ে সহমত, রাশিয়া প্রসঙ্গে বিভেদ কোয়াডে

    Quad summit: চিন নিয়ে সহমত, রাশিয়া প্রসঙ্গে বিভেদ কোয়াডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল চতুর্থ কোয়াড সম্মেলন (Quad Summit)। জাপানের রাজধানী টোকিওতে (Tokyo) এক মঞ্চে দেখা গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi), জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Joe Biden)।

    বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে প্রধান ছিল করোনা (Covid-19) সংক্রমণ প্রতিরোধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine war) এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে (Indo-Pacific Ocean Region) চিনের মোকাবিলা। বৈঠকের শেষে চিনের (China) বিরুদ্ধে একজোট হলেও রাশিয়ার (Russia) ক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত কোয়াড। পুতিন সরকারের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও জাপান সরব হলেও, চুপ ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত (India)।

    বৈঠকের শুরুতেই বাইডেন জানান, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় যাতে বিভিন্ন দেশ অবাধে যাতায়াত করতে পারে, সেজন্য চেষ্টা করবে কোয়াড। তাঁর কথায়, “ইউক্রেনে (Ukraine) রাশিয়ার হামলা দেখিয়ে দেয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা রক্ষা করা কত জরুরি।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) ইউক্রেনের সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করছেন। এমনটা নয় যে রাশিয়া, ইউক্রেনে শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলিতে আঘাত করছে! তারা (রাশিয়া) ইউক্রেনের প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি গির্জাকে ধ্বংস করছে। বিশ্বের সমস্ত শান্তিকামী দেশকে এর বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

    আরও পড়ুন: বিশ্ব-বাজারের পণ্য তৈরির ভিত্তিভূমি হোক ভারত, আহ্বান মোদির

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদার মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। তাঁর কথায়, “ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কখনও ইউক্রেনের মতো ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।”

    অন্যদিকে রাশিয়া প্রসঙ্গে চুপ থেকে কোয়াড বৈঠকে মোদি বলেন, “অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে কোয়াড। ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গঠনমূলক কর্মসূচি নিয়ে এগোতে চায় এই গোষ্ঠী এর ফলে সকলেই বুঝতে পারবে, কোয়াড (QUAD) মানুষের কল্যাণ চায়।” পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি কয়েকটি ক্ষেত্রে পরস্পরের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করছে। তাদের মধ্যে আছে পরিবেশ দূষণ রোধ, বিপর্যয় মোকাবিলা, ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং অর্থনীতি। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করেছে কোয়াড।

    রাশিয়া নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বলেননি অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ। তিনি বলেন, “আগামী দিনে অস্ট্রেলিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলিকে আরও সাহায্য করবে। তার ফলে সমুদ্রপথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে।” 

    তবে, বৈঠকের শেষে রাশিয়া-প্রসঙ্গে চার দেশের তরফে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, সব দেশেরই উচিত আন্তর্জাতিক আইনগুলি মেনে চলা। কখনওই তা লঙ্ঘন করা উচিত নয়। যাবতীয় বিভেদ মেটাতে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথই শ্রেয়, বলে মনে করে কোয়াড।

    রাশিয়া নিয়ে একমত হতে না পারলেও একজোট হয়ে চিনের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি নেওয়ার কথা জানায় চার দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিন যেভাবে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়। এই অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত করার বা অবস্থান বদলের কোনওরকম চেষ্টা যদি চিন করে তাহলে তার কড়া জবাব দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় কোয়াড সম্মেলনে। করোনা মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ প্রসঙ্গেও চিনের সমালোচনা করেন তিনি।

  • Olympic Games 2036: ২০৩৬ অলিম্পিক্সের বিডিং, আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, জানাল রাশিয়া

    Olympic Games 2036: ২০৩৬ অলিম্পিক্সের বিডিং, আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, জানাল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমস (2036 Olympic Games) যাতে ভারতে (India) আসে, তার চেষ্টা করছে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (Indian Olympic Association)। মূলত আমেদাবাদ (Ahmedabad) কেই বেছে নেওয়া হয়েছে ২০৩৬ অলিম্পিক গেমসের জন্য। ভারতের এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া। শুধুমাত্র সমর্থনই করেনি, অলিম্পিক ডিং ও গেমস আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে রাশিয়া (Russia)। তারা জানিয়েছে, যদি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (International Olympic Committee) ২০৩৬ অলিম্পিক্স ভারতকে দেয়, তাহলে তা আয়োজনে রাশিয়া বড় সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: রাশিয়ায় খুলবে ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন! ইঙ্গিত পুতিনের

    উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) ফলে রাশিয়াকে বহু দেশ বয়কট করেছে। খেলার জগতেও রাশিয়াকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরনো বন্ধু রাশিয়ার পাশে থেকেছে ভারত। ফলস্বরূপ,  রাশিয়া ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল। বুধবার ভারত সফরে এসে রুশ ক্রীড়ামন্ত্রী ওলেগ মাতিস্তিন (Oleg Matytsin) বলেছেন, “ভারতকে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করতে সহায়তা করতে পারলে রুশ বিশেষজ্ঞরা খুব খুশি হবেন।“  তিনি ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) এর সঙ্গে একটি বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। 

    [tw]


    [/tw]

    ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নারিন্দার বাত্রা ( Narinder Batra) ২০২১ সালের থেকেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করছেন। তিনিই প্রস্তাবে জানিয়েছেন, আমেদাবাদকে কেন্দ্র করে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করার। গুজরাটের আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের স্বপ্ন দেখছে ভারত। এখনও পর্যন্ত কিছুই ঠিক না হলেও গুজরাটের অ্যাডভোকেট জেনারেল কামাল ত্রিবেদী (Kamal Trivedi) হাইকোর্টে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁরা এখন থেকেই ২০৩৬ অলিম্পিক্সের আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে এবং অলিম্পিক কমিটি ২০২৫ সালে সাইট পরিদর্শন করতে আসবে। 

    আরও পড়ুন:ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    ভারতে এসে নারিন্দার বাত্রার সঙ্গে দেখা করে ওলেগ বলেন, “যদি অলিম্পিক গেমস আয়োজনের স্বপ্ন সত্যি হয়, তাহলে দেশের উন্নয়নে আরও একটি বড় দিক উঠে আসবে। আমরা অলিম্পিক গেমস আয়োজনের জন্য ও নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করার জন্য সব সময় প্রস্তুত, এবং আমরা অনেক বার এমনটা করেছি। ফলে যদি ভারতে অলিম্পিক্স হওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়, তাহলে রুশ বিশেষজ্ঞরা ভারতে অলিম্পিক গেমস আয়োজনে সাহায্য করতে পেরে খুব খুশি হবে।“

    [tw]


    [/tw]

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্যেই অলিম্পিক্স-সহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে নিষিদ্ধ রয়েছে রাশিয়া। এমন সময়েই নিজেদের ক্রীড়াক্ষেত্রকে ঠিক রাখতেই ভারতকে খেলার জগতে সাহায্য করতে রাশিয়া আগ্রহী হয়েছে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

  • Ukraine-Russia War: রুশ সেনাদের হাতে প্রায় বন্দি হয়ে গিয়েছিলেন পরিবার-সহ জেলেনস্কি

    Ukraine-Russia War: রুশ সেনাদের হাতে প্রায় বন্দি হয়ে গিয়েছিলেন পরিবার-সহ জেলেনস্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রুশ সেনারা প্রায় ধরেই ফেলেছিলেন, অল্পের জন্য বেঁচে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকের কথা স্মরণ করে ইয়ারমাক জানান, রুশ সেনারা প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যদের বন্দি করার খুব কাছে চলে এসেছিলেন।  

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান ঘোষণার পরের দিন জেলেনস্কি আর তাঁর স্ত্রী  ওলেনা জেলেনস্কার ঘুম ভেঙে গেলে তাঁদের ১৭ বছর বয়সী মেয়ে ও ৯ বছর বয়সী ছেলে জানায় যে বোমাবর্ষণ শুরু হয়ে গেছে। সেদিন খুব জোরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল বলে সাক্ষাৎকারে দাবি করা হয়েছে। শীঘ্রই জেলেনস্কি বুঝতে পারেন যে তিনিই হামলার লক্ষ্য এবং প্রেসিডেন্টের অফিস আর  নিরাপদ নয়। জেলেনস্কি বলেন, তাঁকে জানানো হয়েছিল যে একটি রাশিয়ান দল তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে হত্যা বা বন্দি করার জন্য কিয়েভে নামছে।

    কীভাবে প্রেসিডেন্টের গার্ড কম্পাউন্ডটি সুরক্ষিত করার চেষ্টা করেছিলেন তা জানিয়েছেন জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক। তিনি বলেন, “সেই রাতের আগে, আমরা কেবল সিনেমাতেই এসব দেখেছি।” পিছনের প্রবেশদ্বারের একটি গেট পুলিশ ব্যারিকেড এবং প্লাইউড বোর্ডের স্তূপ দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। রাশিয়ান আক্রমণের প্রথম রাতে, লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং কম্পাউন্ডের ভেতরের রক্ষীরা জেলেনস্কি এবং তাঁর সহযোগীদের জন্য বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে আসেন। ওই রাতে রাশিয়ান সেনারা দুইবার কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। সে সময়  জেলেনস্কি এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তান ভেতরেই ছিলেন বলে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ জানিয়েছেন। 

    প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আক্রমণের মুখে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছেন জেলেনস্কি। রুশ আগ্রাসন শুরুর পর দেশ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। 

  • Vladimir Putin: পুতিনের  অবস্থা সঙ্কটজনক, কতদিন সময় তাঁর হাতে?

    Vladimir Putin: পুতিনের  অবস্থা সঙ্কটজনক, কতদিন সময় তাঁর হাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে হালকা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটা, কম্বলে, মোটা জ্যাকেটে নিজেকে মুড়ে রাখা, কখনও বা ঘনঘন কাশি, নানা ভিডিওয় এইসব চিত্র ধরা পড়ছিল। জল্পনাও চলছিল যে, পুতিন (Putin) কি গুরতর অসুস্থ? এবার এক বিদেশি সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট (Russian President) ভ্লাদিমির পুতিনের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। প্রাক্তন ব্রিটিশ গুপ্তচর ক্রিস্টোফার স্টেলি (Christopher Steele) ওই সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুতিনের শরীর ভাল নেই। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। 

    এর আগেও পুতিনের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে ক্রেমলিন (Kremlin) এসব দাবির বিষয়ে কিছু জানায়নি। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Former US President Donald Trump) নিয়ে বই লিখেছিলেন স্টেলি। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এবার পুতিনের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খবর প্রকাশ করে স্টেলি বলেন, “রাশিয়া ও অন্যান্য সূত্র থেকে যা জানতে পারছি, পুতিন ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই রোগ নিরাময়যোগ্য কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।” তবে ইউক্রেনে (Ukraine) সামরিক অভিযান পুতিনেরই মস্তিষ্ক -প্রসূত বলে জানান স্টেলি।

    [tw]


    [/tw]

    ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই পুতিনের ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা চলছে।  ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই মৃত্যু পথযাত্রী পুতিন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা নিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন সেই দেশেরই এক ধনকুবের। 

    এক রুশ ধনকুবেরের সঙ্গে কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করেছে একটি ব্রিটিশ ম্যাগাজিন। যেখানে রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা এবং পুতিনের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা নিয়ে মুখ খোলেন ওই ধনকুবের। তবে তাঁর কথা যে রেকর্ড করা হচ্ছে, সেটি সম্পর্কে তিনি জানতেন না। ১১ মিনিটের সেই কথোপকথনের রেকর্ডিং সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। নাম না প্রকাশের শর্তে ওই ধনকুবের জানান, “রাশিয়ার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন পুতিন। শুধু রাশিয়াই (Russia) নয়, ইউক্রেন-সহ আরও একাধিক দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি। আসলে ওঁর মস্তিষ্কের বিকৃতিই গোটা পৃথিবী উল্টে দিতে পারে।” এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, “আমরা চাইছি, পুতিনের মৃত্যু হোক। ওঁর ক্যানসার ওঁকে খেয়ে নিক। নইলে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ওঁকে ক্ষমতা থেকে সরানো হোক।”

    আরও পড়ুন: ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন পুতিন, জল্পনা বিভিন্ন মহলে

    তবে ওই ধনকুবের একা নন, এর আগে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান দাবি করেছেন, পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত। তাঁর দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, পুতিন যেখানেই যাচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে তিনজন করে চিকিৎসক থাকছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন একজন ক্যানসার স্পেশালিস্টও। 

LinkedIn
Share