Tag: Russia

Russia

  • Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছিল। পথ খোলা ছিল দুটো – হয় পথ বদল, নয় পদত্যাগ। শেষ পর্যন্ত এই দুই বিকল্পের মধ্যে প্ল্যান এ-টাই বেছে নিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ব্রিটেন থেকে রবিবার তিনি (Zelenskyy) জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি আছেন তিনি।

    বৈঠক করতেও আপত্তি নেই (Ukraine)

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এও জানিয়েছেন, আমেরিকা যদি তাঁকে আবারও ডাকে, তাহলে ফের তিনি সেখানে যেতে প্রস্তুত। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠক করতেও আপত্তি নেই তাঁর। এই সব কিছুর পরেও অবশ্য ছোট্ট একটা শর্তও দিয়ে রেখেছেন জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কথাও শুনতে হবে। বিবেচনা করতে হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থাও। আমেরিকার সঙ্গে খনিজসম্পদ সংক্রান্ত চুক্তিকে তিনি বর্ণনা করেছেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম ধাপ হিসেবে। এক্স হ্যান্ডেলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “আমরা খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। এবং এটি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম পদক্ষেপ। তবে এটি যথেষ্ট নয়, আমাদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন।”

    ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক

    তিনি লিখেছেন, “নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক। আমরা তিন বছর ধরে যুদ্ধ করছি, এবং ইউক্রেনের জনগণের জানা প্রয়োজন যে আমেরিকা আমাদের পাশে আছে।” সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জেলেনস্কি। তাতে বলেছেন, “আমরা ইউরোপ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। একটি বিষয়ে সকলেই একমত, সকলেই শান্তি চায়। সেই কারণেই আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার। এটাই ইউরোপের অবস্থান। অবশ্যই আমরা আমেরিকাকেও গুরুত্ব দিই। ওদের কাছ থেকে আমরা অনেক সাহায্য পেয়েছি। তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ইউক্রেনের প্রতিরোধ পুরোটাই তার বন্ধু দেশগুলির সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। যে সাহায্য তারা করছে ইউক্রেন এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে। আমরা শান্তি চাই। বিরামহীন যুদ্ধ চাই না। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এই শান্তির চাবিকাঠি।”

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য

    রবিবার লন্ডনে আয়োজিত ইউরোপীয় রাষ্ট্রনেতাদের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও। সেখানে তিনি জানান, ওয়াশিংটনের বৈঠকে যা ঘটেছে, তা থেকে আমেরিকা কিংবা ইউক্রেনের কোনও লাভ হবে না। লাভ হবে রাশিয়ার। এর পরেই জেলেনস্কি বলেন, “আমাকে যদি ডাকা হয়, আমি আবার আমেরিকায় যাব। খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে এখনও আমি প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের কথাও শুনতে হবে।” ইউক্রেনের জমির মালিকানা নিয়ে তিনি যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনও (Zelenskyy) সমঝোতার পথে হাঁটবেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

    হোয়াইট হাউসে বিতণ্ডা

    প্রসঙ্গত, খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্যেই হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট। সেখানে ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। বৈঠকে তিনজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। যার জেরে বাতিল হয়ে যায় চুক্তি। মিনিট চল্লিশের ওই বৈঠক শেষেই মধ্যাহ্নভোজ না করেই হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা থেকে জেলেনস্কি সোজা চলে যান ব্রিটেনে। সেখানে তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে। পরে লন্ডনে একটি সম্মেলনেও যোগ দেন তিনি। তার পরেই জানান, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে তিনি এখনও প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেন, “আমি শুধু চাই, ইউক্রেনের অবস্থার কথাটাও শোনা হোক। বিবেচনা করা হোক। আমাদের বন্ধু দেশগুলি মনে রাখুক, এই যুদ্ধে মূল আগ্রাসী কারা, কারাই বা আগে যুদ্ধ শুরু করেছিল।”

    সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর

    আমেরিকা-ইউক্রেন (Ukraine) সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে তুলনা করে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ জেলেনস্কির আচরণকে ‘অত্যন্ত অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, চার্চিল “একটি বিশেষ মুহূর্তের নেতা ছিলেন, কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডকে পরবর্তী পর্বে রূপান্তর করতে পারেননি। বিশেষ করে শুক্রবার যা দেখলাম, তার পরে এটা পরিষ্কার নয় যে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনকে এই যুদ্ধের সমাপ্তির দিকে নিয়ে যেতে এবং আলোচনা করে আপস করতে প্রস্তুত কিনা।” ওয়াল্টজ বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য ইউক্রেন থেকে আঞ্চলিক ছাড়ের পাশাপাশি নিরাপত্তা গ্যারান্টিতে রাশিয়ার ছাড় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তবে মস্কোকে কী করতে হবে সে সম্পর্কে তিনি কোনও বিস্তারিত তথ্য দেননি।”

    আমেরিকার হাউস স্পিকার মাইক জনসনও ওভাল অফিসের বিতর্কের পর জেলেনস্কি সম্পর্কে বলেন, “হয় তিনি যেন যুক্তিসঙ্গত হন এবং কৃতজ্ঞতা সহকারে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসেন, নতুবা দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অন্য কাউকে এগিয়ে আসতে হবে (Zelenskyy)।”

    এর পরে আর কীই বা করতে পারতেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট!

  • Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! বিশ্ব রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে এমন ঘটনা খুব কমই শোনা যায়। রুদ্ধদ্বার বৈঠক বেরিয়ে এল ঘরের বাইরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন (Trump-Zelenskyy Meet)। কিন্তু মাঝপথে রেগেমেগে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। ফলে দু’জনের মধ্যে পূর্ব ঘোষণা মতো চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বাতিল হয় যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও। এই ঘটনার জন্য ট্রাম্প এবং জেলেনস্কি পরস্পরকে দায়ী করেছেন।

    আপস করতে হবে ইউক্রেনকে

    ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করছিলেন। বরফ গলে ইউক্রেনের (Trump-Zelenskyy Meet) খনিজ সম্পদের উপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরে জেলেনস্কি রাজি হওয়ার পর। শুক্রবার দুই প্রেসিডেন্ট বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে একদিকে যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা নিয়ে কথা হয়েছে, তেমনই ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন, তিনি নিরপেক্ষ থেকে দুদেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চান। রাশিয়া বা ইউক্রেন কারও দিকেই তিনি ঝুঁকে নেই। তবে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে হলে খানিকটা আপস করতে হবে ইউক্রেনকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে ন্যাটোকেও। ক্রমে বাক্যালাপ গড়ায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে।

    উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়

    ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন (Trump-Zelenskyy Meet) যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দায়ী করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু জেনে যান এই যুদ্ধ আপনি হেরে গিয়েছেন। আপনার সৈন্য কমে গিয়েছে। অস্ত্র কমে গিয়েছে। আপনি কিছুতেই জিততে পারেন না। কারণ আমরা আপনার পাশে নেই। আপনার উচিত কৃতজ্ঞ থাকা। আমরা অনেক কিছুই দিয়েছি আপনাদের।’’ পাল্টা জবাব দেন জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার ভুল নীতির জন্য পুতিনের মতো খুনি মান্যতা পেয়ে যাচ্ছে। রাশিয়াই ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। যেখানে তাঁদের দেশে মানুষ মারা যাচ্ছেন, আগুনে জ্বলছে শহরগুলি, সেখানে আপসের কথা আসছে কোথা থেকে।’’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কিন্তু আপনাদের তো এই মুহূর্তে কিছুই করার নেই।’’ ইউক্রেনকে বাস্তববাদী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। শেষপর্যন্ত জেলেনস্কির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে থাকে ট্রাম্পের। বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার স্পষ্ট দাবি, জেলেনস্কির জায়গায় তিনি থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতেই দিতেন না। এহেন পরিস্থিতিতে হোয়ইট হাউজ থেকে বেরিয়ে আসেন জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনের মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলছেন বলেও তোপ দাগেন ট্রাম্প। দেন একাই লড়ার হুঁশিয়ারি।

    কেন বাদানুবাদ

    ঠিক কী নিয়ে দু’জনের আলোচনা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তা জানা যায়নি। কূটনৈতিক মহলের অনুমান, খনিজ চুক্তি নিয়ে শেষ মুহূর্তে ইউক্রেনের উপর কিছু শর্ত চাপাতে চান ট্রাম্প (Trump-Zelenskyy Meet)। তাতেই বেঁকে বসেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ড। অতীতে আমেরিকার জো বাইডেনের সরকার ইউক্রেনের পাশে ছিল। জেলেনস্কির দেশকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা করেছে আমেরিকা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সেই সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। ট্রাম্প এসেই সেই সব সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন। মার্কিন সহায়তা চালু রাখতেই ট্রাম্পের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ইউক্রেনের খনিজ পদার্থ নিয়ে চুক্তি করতে এবং হোয়াইট হাউস সফরে রাজি হন জেলেনস্কি।

    ক্ষমা চাইবেন না জেলেনস্কি

    হোয়াইট হাউস (White House Meeting) সূত্রে খবর, ট্রাম্প কোনও চুক্তির সম্ভাবনাকে এখনও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে তাঁর শর্ত হল ইউক্রেনকে গঠনমূলক কথাবার্তা চালাতে হবে। অন্যথায় খনিজ চুক্তি হওয়া সম্ভব নয়। বল এখন ইউক্রেনের কোর্টে। ওভাল অফিসে (Oval Office) যা হয়েছে, তা যে দুই দেশের সম্পর্কের পক্ষে ভাল নয়, মেনে নিয়েছেন জেলেনস্কিও (Trump-Zelenskyy Meet)। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের বাদানুবাদ উভয় পক্ষের জন্যই খারাপ। ট্রাম্প যদি ইউক্রেনকে সাহায্য না-করেন, তবে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানো আমাদের পক্ষে মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। তবে আমি নিশ্চিত, এই সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব। কারণ, এটা শুধু দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে সম্পর্কের বিষয় নয়। এটা দুই দেশের মধ্যেকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক। আমি সবসময় আমাদের দেশের মানুষের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠছে না।’’

    জেলেনস্কির পাশে ইউরোপ

    এই বৈঠকের পর ইউরোপের একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতা মুখ খুলেছেন। তাঁরা জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের যে সমস্ত দেশের বন্ধুত্ব রয়েছে, মূলত তাঁরাই জেলেনস্কিকে সমর্থন করেছেন। ট্রাম্প আমেরিকার কুর্সিতে বসার পর থেকে এই মিত্র দেশগুলি আতঙ্কিত। তাদের ধারণা, জেলেনস্কিকে চাপে রেখে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকেই জয়ী ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। তাই একযোগে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতারা মুখ খুলেছেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ বলেন, ‘‘ইউক্রেনের মানুষ শান্তি চান।’’ ফান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ বলেন, ‘‘রাশিয়া আগ্রাসী, ইউক্রেনের মানুষ সেই আগ্রাসনের শিকার। আমরা ইউক্রেনের পাশে রয়েছি।’’ ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘‘ভেদাভেদ নয়, একজোট হতে হবে।’’

  • PM Modi: রাশিয়ার বিজয় দিবসে অংশ নেবেন মোদি! কবে মস্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: রাশিয়ার বিজয় দিবসে অংশ নেবেন মোদি! কবে মস্কো যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাশিয়া সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী ৯ মে মস্কোর রেড স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হবে ‘গ্রেট প্যাট্রিয়টিক ওয়ার’ বা মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধের ৮০তম বিজয় দিবস (Victory Day Parade)। সেই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাশিয়ায় যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

    তাসের প্রতিবেদন (PM Modi)

    বুধবার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়া সফরের ভীষণ সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৯ মে রেড স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত প্যারেডে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছেন। এটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, এবং এটি হবে বলেই মনে হচ্ছে।” সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সান্ধ্য সামরিক দলও এই প্যারেডে অংশ নেবে। এই দলটি অন্তত এক মাস আগে মস্কো পৌঁছে যাবে। সেখানেই চলবে প্যারেডের জন্য প্রস্তুতি।

    মস্কোর অনুষ্ঠানে ভারতের সেনা

    জানা গিয়েছে, ভারতের সেনা কর্মীদের রাশিয়ায় পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে। ভারতের সামরিক প্রতিনিধিরা রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অংশগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত করছেন। এর আগে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন যে, বেশ কিছু দেশ ইতিমধ্যেই মস্কোর অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাংবাদিক সম্মেলনে (PM Modi) দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “সিআইএস (কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস)-এর বাইরে অন্য দেশগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।” তিনি আরও বলেন, “যাঁরা বিজয় দিবসের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন, রাশিয়া তাঁদের সবাইকে মস্কোয় স্বাগত জানাবে।”

    মোদির এই সফর কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কারণ তিনি যে সময় রাশিয়ায় যাচ্ছেন, সেই সময় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে প্রথম দফার আলোচনায় অংশ নেন রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তির পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। রাশিয়া সফরের সময় তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Victory Day Parade)। তিনি যে যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষেই, সেই অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন (PM Modi)।

  • Indian Army: সামরিক শক্তিতে বিশ্বে চতুর্থ ভারত! পাকিস্তান, বাংলাদেশের স্থান কত নম্বরে?

    Indian Army: সামরিক শক্তিতে বিশ্বে চতুর্থ ভারত! পাকিস্তান, বাংলাদেশের স্থান কত নম্বরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ। শুধু দেশের সুরক্ষাই নয়, অন্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং বিশ্বমঞ্চে নিজের প্রভাব বিস্তারেও সামরিক শক্তি অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। এজন্যই বিশ্বের প্রতিটি দেশ তার সামরিক শক্তি প্রতিনিয়ত বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষণ করে প্রতি বছর একটি তালিকা প্রকাশ করে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২৫ সালের রিপোর্টে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিধর সামরিক বাহিনীর তালিকায় চার নম্বরে আছে ভারত (Indian Army)। দিল্লির থেকে বেশ কয়েক কদম পিছনে রয়েছে ইসলামাবাদ।

    প্রতিরক্ষায় জোর কেন্দ্রের

    সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাটিতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। ‘হাইপারসোনিক’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। এ ছাড়া অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তিতেও উন্নতি লক্ষ করা গিয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় শক্তি বৃদ্ধি করতে একের পর এক রণতরী এবং ডুবোজাহাজ নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি সবাইকে চমকে দিয়ে গত দু’বছরে পরমাণু অস্ত্রের সম্ভারও বাড়িয়েছে ভারত। চিন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য ভারত তার প্রতিরক্ষা বাজেট (৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বৃদ্ধি করেছে। ভারত তেজস যুদ্ধবিমান, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো দেশীয় অস্ত্র তৈরির উপর মনোযোগ দিয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্সে যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার ইনডেক্স ০.০৭৪৪, রাশিয়ার ০.০৭৮৮, চিনের ০.০৭৮৮ এবং ভারতের ০.১১৮৪। এরপরের স্থানগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, তুরস্ক এবং ইতালি রয়েছে।

    কয়েক ধাপ পিছনে পাকিস্তান

    আগেরবারও এই তালিকায় ভারত (Indian Army) চার নম্বরেই ছিল। শুধু ২০২৪ সালে নয়, ২০০৬ সাল থেকেই লাগাতার চতুর্থ স্থানে আছে ভারত। ২০০৫ সালে ভারত পঞ্চম স্থানে ছিল। আর সেই বছর যে দেশ চতুর্থ স্থানে ছিল, সেই পাকিস্তান ২০২৫ সালে ১২ নম্বরে নেমে গিয়েছে। গত বছর ছিল নয় নম্বরে। অন্যদিকে এবার সামরিক শক্তির নিরিখে বিশ্বে ৩৫ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। তালিকায় পাকিস্তানের পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কয়েকটি কারণের কথা বলেছেন বিশ্লেষকেরা। এর মধ্যে অন্যতম হল ইসলামাবাদের আর্থিক দুরবস্থা। প্রায় দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের পশ্চিম পারের প্রতিবেশী। এ ছাড়া হাতিয়ারের ব্যাপারে অত্যধিক চিনা নির্ভরতা রয়েছে রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তাদের।

    এক নম্বরে আমেরিকা

    বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে অবশ্য এক নম্বর স্থানটি ধরে রেখেছে আমেরিকা। ২০০৫ সাল থেকে চলা ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারে’র তালিকায় এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছে নেই অন্য কোনও দেশ। পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৫-এ ওয়াশিংটনের প্রাপ্ত পয়েন্ট ০.০৭৪৪। সমীক্ষকদের দাবি, আমেরিকার হাতে রয়েছে ২১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫০০ সৈনিকের এক বিশাল বাহিনী। দেশের বাইরে অন্তত ১০০টি সেনাঘাঁটি রয়েছে ওয়াশিংটনের। সেখান থেকে বিশ্বের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ শানানোর ক্ষমতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে আটলান্টিকের পারের এই ‘সুপার পাওয়ার’।

    ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের সামরিক শক্তি

    স্থলভাগে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ৪,২০১টি ট্যাঙ্ক আছে। গাড়ি আছে ১,৪৮,৫৯৪টি। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা হল ১০০। আর ২৬৪টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএসআরএস) আছে ভারতের হাতে।

    পাকিস্তান: ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের ট্যাঙ্কের সংখ্যা হল ২,৬২৭। ১৭,৫১৬টি গাড়ি আছে। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি ৬৬২টি রয়েছে। মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমের (এমএসআরএস) সংখ্যা হল ৬০০।

    বাংলাদেশ: বাংলাদেশের কাছে ৩২০টি ট্যাঙ্ক আছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ১১,৫৮৪টি গাড়ি আছে। সেলফ-প্রপেলড আর্টিলারি আছে ৫৬টি। রকেট আর্টিলারি ১১০টি রয়েছ।

    আকাশপথে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: মোট এয়ারক্রাফটের সংখ্যা হল ২,২২৯। যুদ্ধবিমান আছে ৫১৩টি। আবার ৮৯৯টি হেলিকপ্টার আছে। আবার অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা হল ৮০।

    পাকিস্তান: পাকিস্তানের হাতে মোট ১,৩৯৯টি এয়ারক্রাফট আছে। যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হল ৩২৮। হেলিকপ্টার আছে ৩৭৩টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা হল ৫৭।

    বাংলাদেশ: বাংলাদেশের হাতে ২১৪টি এয়ারক্রাফট আছে। যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হল ৪২। হেলিকপ্টার মাত্র ৬৫টি আছে। কোনও অ্যাটাক হেলিকপ্টার নেই।

    জলপথে অস্ত্রভাণ্ডার

    ভারত: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের হাতে ২৯৩টি ‘অ্যাসেট’ আছে। এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের সংখ্যা হল দুই। ডেস্ট্রয়ার আছে ১৩টি। ১৪টি ফ্রিগেট আছে। সাবমেরিন আছে ১৮টি। প্যাট্রোলিং ভেসেলের সংখ্যা হল ১৩৫।

    পাকিস্তান: পাকিস্তানর ‘অ্যাসেট’-র সংখ্যা হল ১২১টি। একটিও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং ডেস্ট্রয়ার নেই পাকিস্তানের কাছে। ন’টি ফ্রিগেট, আটটি সাবমেরিন এবং ৬৯টি প্যাট্রোলিং ভেসেল আছে পাকিস্তানের হাতে।

    বাংলাদেশ: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের হাতে ১১৮টি ‘অ্যাসেট’ আছে। ফ্রিগেটের সংখ্যা সাত। সাবমেরিনের সংখ্যা দুটি। ৬১টি প্যাট্রোলিং ভেসেল আছে। আর পাকিস্তানের মতো একটিও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং ডেস্ট্রয়ার নেই বাংলাদেশের হাতে।

  • Russia Ukraine conflict: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হত ১২ ভারতীয়, জীবিতদের ফেরানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের

    Russia Ukraine conflict: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হত ১২ ভারতীয়, জীবিতদের ফেরানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine conflict) হত ১২ ভারতীয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৬ জন। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এমনই জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোটা মাইনের চাকরির টোপ দিয়ে (Ukraine) ভারতীয়দের নিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সংস্থা। পরে তাঁদেরই ট্রেনিং দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য (Russia Ukraine conflict)

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এই মুহূর্তে রাশিয়ায় অবরুদ্ধ ও বাধ্য হয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া সব ভারতীয়কে অবিলম্বে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।” জানা গিয়েছে, ভারত থেকে রাশিয়ায় যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন ১২৬ জন। এঁদের মধ্যে ৯৬ জনই ফিরে এসেছেন। বাকি ৩০ জনের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অবশিষ্ট ১৬ জনকে রাশিয়া নিখোঁজ ঘোষণা করেছে।

    বিনিল বাবুর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক

    রাশিয়ান এক এজেন্টের দেওয়া চাকরির টোপ গিলে সে দেশে গিয়েছিলেন কেরলের বছর একত্রিশের বিনিল বাবু। ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। সে প্রসঙ্গে জয়সওয়াল বলেন, “বিনিল বাবুর মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি। যত দ্রুত বিনিলের দেহ এদেশে আনা যায়, তা নিশ্চিত করতে রুশ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি আমরা।” তিনি জানান, মস্কোয় চিকিৎসাধীন (Russia Ukraine conflict) আর এক ভারতীয়কেও দ্রুত দেশে ফেরানো হবে। তিনি বলেন, “মস্কোর দূতাবাস এই দুই ভারতীয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা কেরলের এক ভারতীয় নাগরিকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পেরেছি, যাঁকে স্পষ্টতই রুশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল।”

    আরও পড়ুন: সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়, ইউনূস প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিল ভারত

    প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ওই সময় তিনি পুতিনকে ভারতীয়দের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। অক্টোবরে কাজান ব্রিকস সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ফের একপ্রস্ত কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে (Ukraine)। সেই সময়ও মোদিকে পুতিন আশ্বস্ত করেছিলেন এই বলে যে, যেসব ভারতীয়কে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল রাশিয়া তাঁদের সবাইকে অব্যাহতি দেবে (Russia Ukraine conflict)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ (Russia Ukraine War) করতে গিয়ে মৃত্যু হল কেরলের এক যুবকের। এর ফলে ক্ষুব্ধ ভারত সরকার। রাশিয়ায় পাঠানো হল কড়া বার্তা। অবিলম্বে ভারতীয়দের, যারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সামিল, তাদের ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে ভারতীয়রাও সামিল, এই খবর মিলেছিল আগেই। এর আগেও কমপক্ষে আটজন ভারতীয়ের যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুর খবর মিলেছিল। এবার কড়া ব্যবস্থা নিল ভারত সরকার।

    কড়া বার্তা দিল্লির

    দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে রুশ মিলিটারির (Russia Ukraine War) সাপোর্ট সার্ভিসে বহু ভারতীয়কে নিয়োগ করেছিল পুতিন সরকার। অধিকাংশকেই চাকরির টোপ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মস্কোয় পৌঁছে তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বন্দুক। বিনা প্রশিক্ষণেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে (Indian in Russian Force)। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “মস্কোয় রুশ প্রশাসন এবং নয়াদিল্লিতে রাশিয়ার দূতাবাসে বিষয়টি জানানো হয়েছে। যে ক’জন ভারতীয় বর্তমানে রুশ সেনায় রয়েছেন, তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছি আমরা।”

    কাজের আসায় গিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে

    মৃত যুবকের নাম বিনিল টিবি। কেরলের ত্রিশূরের বাসিন্দা। পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান বিনিল এক আত্মীয়ের সঙ্গে কাজের খোঁজে রাশিয়ায় (Russia Ukraine War) যান এজেন্ট মারফত। তারা ইলেকট্রিশিয়ান ও প্লাম্বিংয়ের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। রাশিয়ায় পৌঁছনোর পর তাঁদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয় এবং জোর করে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, বিনিলকে নিয়ে রাশিয়া যাওয়া তাঁরই এক আত্মীয় জৈন টিবি এই ঘটনার পর আহত হয়েছেন। বর্তমানে মস্কোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক। তিনিও রাশিয়ার ফ্রন্টলাইন সার্ভিসে ছিলেন বলে খবর। জৈনের বস ২৭, আর বিনিলের বয়স ৩২। তাঁদের দুজনেরই শিক্ষাগত যোগ্যতার বিচারে আইটিআই মেকানিক্যালের ডিপ্লোমা ছিল। গত ৪ এপ্রিল তাঁরা রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে ইলেকট্রিশিয়ান ও কল সারাইয়ের কাজ পাবেন, এমন আশা নিয়ে তাঁরা যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়ায় পাড়ি দেন। এর কয়েক মাস পরই এল এই শোকের খবর।

    বিদেশ মন্ত্রকের দাবি

    বিদেশ মন্ত্রকের কাছে ভারতীয় যুবকের মৃত্যু ও আরেক যুবকের আহত হওয়ার খবর মিলতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা হয়। মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাস মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। দ্রুত ওই যুবকের দেহ ভারতে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ভারত সরকারের তরফে বাকি ভারতীয়দেরও রুশ সেনা (Indian in Russian Force) থেকে মুক্তি দিয়ে দেশে ফেরানোর বার্তা পাঠানো হয়েছে। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। মস্কোয় আমাদের দূতাবাস পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছি যাতে মৃতদেহ দ্রুত ভারতে পাঠানো যায়। আমরা আহত ব্যক্তিরও দ্রুত মুক্তি এবং ভারতে প্রত্যর্পণ চেয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: মহাকাশে ফলবে বরবটি! অঙ্কুরোদ্গম করে বিশ্বকে তাক লাগাল ইসরো

    ISRO: মহাকাশে ফলবে বরবটি! অঙ্কুরোদ্গম করে বিশ্বকে তাক লাগাল ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে ফলবে বরবটি (Cowpea Seeds Germinate)! অন্তত এমনই আশা ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীদের। আশার কারণ, অঙ্কুরিত হয়েছে বরবটির বীজ। দিন কয়েকের মধ্যে গজাবে নতুন পাতাও। তাতেই আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে প্রাণের সন্ধান চলছে বহু দিন ধরেই। মহাকাশে কীভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীরা বেঁচে থাকতে পারে, তার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টাও চলছে। সেই চেষ্টায়ই মিলল সাফল্য। অঙ্কুরোদ্গম হল বরবটির বীজে।

    মহাকাশে বরবটির বীজ (ISRO)

    জানা গিয়েছে, গত ৩০ ডিসেম্বর পিএসএলভি সি-৬০ রকেটে করে স্পেডেক্স মহাকাশযানের সঙ্গে আটটি বরবটির বীজ মহাকাশে পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সেই বীজই অঙ্কুরিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে ইসরো জানিয়েছে, বরবটির বীজ অঙ্কুরিত হতে চার দিন সময় লাগে। সেই হিসেবে শনিবার অঙ্কুর বেরিয়েছে ওই বীজগুলির। শীঘ্রই কচি পাতাও ফুটবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সংস্থার এই সাফল্য তাঁদের কমপ্যাক্ট রিসার্চ মডিউল ফর অরবাইটাল প্ল্যান্ট স্টাডিজ মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের আশা, এর ফলে মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিস্থিতিতে উদ্ভিদের অঙ্কুরোদ্গম ও বৃদ্ধি সংক্রান্ত গবেষণা আরও সমৃদ্ধ হবে।

    ইসরোর সাফল্য

    জানা গিয়েছে, বরবটির বীজ (ISRO) পাঠানোর পর থেকে প্রতি মুহূর্তের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। হাই রেজলিউশন সম্পন্ন ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল নজরদারির জন্য। অক্সিজেনের মাত্রা, কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ এবং তাপমাত্রার ওঠাপড়ার হিসেব রাখতেও পেলোডে বসানো হয়েছিল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তাতেই দেখা গিয়েছে বীজের অঙ্কুরোদ্গম। 

    আরও পড়ুন: “গ্রামীণ ভারতে নতুন শক্তি জোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ইসরোর এই সাফল্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর বাইরে অন্যত্র উপনিবেশ গড়ার ক্ষেত্রে এটি যেমন সহায়ক হবে, তেমনি দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের ক্ষেত্রে খাদ্যের জোগান অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রেও এই গবেষণা ফলদায়ক হয়ে উঠবে। মহাকাশ অভিযানে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের মতো দেশকে ভারত যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল ইসরো। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে (Cowpea Seeds Germinate) মহাকাশ যান পাঠিয়ে তামাম বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল ইসরো (ISRO)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Russia: রাশিয়ান মিসাইল হানায় ভেঙে পড়ে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান? কী বলল মস্কো?

    Russia: রাশিয়ান মিসাইল হানায় ভেঙে পড়ে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান? কী বলল মস্কো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজাখস্তানে দুর্ঘটনাগ্রস্ত আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের (Azerbaijan Airlines) বিমান ভেঙে পড়ে রাশিয়ান (Russia) মিসাইল হানায়! এমনই দাবি উঠতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকে। একাধিক মাধ্যমে দাবি করা হয়, ওই বিমানকে দূর থেকে ইউক্রেনের ড্রোন ভেবে মিসাইল ছুড়েছিল রাশিয়া। সেই কারণেই তা ভেঙে পড়ে। তবে এই ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুলল মস্কো।

    কী জানাল মস্কো (Russia)?

    রাশিয়ার (Russia) তরফে জানানো হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে, তাই আগে থেকে যেন কেউ কিছু কল্পনা না করে ফেলেন। কেউ কেউ এখনই বিষয়টি নিয়ে নানারকম দাবি করছেন, সেগুলি ঠিক নয়। নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ এভাবেই অস্বীকার করেছে মস্কো। আজারবাইজান প্রশাসন ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কাজাখস্তান প্রশাসনও আলাদাভাবে ঘটনার তদন্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। ঠিক এই আবহে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনিতে যাচ্ছিল বিমানটি।

    আরও পড়ুন: দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ জম্মু-কাশ্মীরের আঞ্জি খাদ সেতুতে রেলের সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল

    কোনও দাবিরই অকাট্য প্রমাণ মেলেনি

    বিমানটিতে (Russia) ৩৭ জন আজারবাইজানের, ১৬ জন রাশিয়ার, ৬ জন কাজাখস্তানের এবং ৩ জন কিরগিস্তানের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আকতাউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটি আকাশের মাঝপথ থেকেই ক্রমশ নীচের দিকে নামতে শুরু করে এবং তাতে আগুন লেগে যায়। প্রাথমিক অনুমান, কুয়াশার কারণে হয়তো পাইলট দিকভ্রষ্ট হয়েছিলেন। যার ফলে তিনি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। আবার কেউ কেউ মনে করেছেন পাখির ঝাঁকের সঙ্গে কোনওভাবে ধাক্কা লেগেছিল বিমানটির। তাতেই কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি তৈরি হয়। এছাড়া বিমানের ইঞ্জিনেও কোনও সমস্যা থাকতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। তবে কোনও দাবিরই (Azerbaijan Airlines) অকাট্য কোনও প্রমাণ মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kazakhstan Plane Crash: কাজাখস্তানের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! মৃত অন্তত ৪২, উদ্ধার দুই নাবালক সহ ২৫

    Kazakhstan Plane Crash: কাজাখস্তানের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! মৃত অন্তত ৪২, উদ্ধার দুই নাবালক সহ ২৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনেই বিষাদের খবর। ৬৭টি জন যাত্রী এবং ৫ জন ক্র সদস্য নিয়ে কাজাখস্তানে ভেঙে পড়ল একটি বিমান। প্রথমে সব যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১১ বছর এবং ১৬ বছরের দুই নাবালক সহ ২৫ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪২ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কাজাখস্তান (Kazakhstan Plane Crash) প্রশাসন। 

    কেন এই দুর্ঘটনা

    বিমান দুর্ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে কাজাখস্তানের পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে৷ তারা জানিয়েছে, যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেটি আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ৷ বিমানটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনিতে যাচ্ছিল ৷ কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে বিমানটি ভেঙে পড়ে ৷ মাঝপথে কোনও এক কারণে বিমানের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন পাইলট। দুর্ঘটনার মুহূর্তের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি ক্রমশ নীচের দিকে নামতে শুরু করছিল এবং তাতে আগুন লেগে যায়। রাশিয়ার সংবাদসংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কুয়াশার কারণে হয়তো পাইলট দিকভ্রষ্ট হয়েছিলেন। যার ফলে তিনি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা। 

    জরুরি অবতরণের অনুরোধ

    আজারবাইজাইন এয়ারলাইন্সের তরফে জানানো হয়েছে যে এই বিমানটি কাস্পিয়ান সাগরের পূর্ব তীরে তেল ও গ্যাসের কেন্দ্র বলে পরিচিত আকাউত থেকে তিন কিলোমিটার দূরে জরুরি অবতরণ করার জন্য অনুরোধ জানায়৷ ভেঙে পড়ার আগে বিমানের পাইলট এমারজেন্সি ল্যান্ডিং-এর অনুরোধ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তিনি কোনও উত্তর পাননি। এরপর মাঝ আকাশেই কয়েক রাউন্ড চক্কর কাটার পর ভেঙে পড়ে বিমানটি। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিমান দুর্ঘটনার একাধিক ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russia: চার স্ত্রী রাখার ফতোয়া নাকচ করেছে রাশিয়ারই প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী

    Russia: চার স্ত্রী রাখার ফতোয়া নাকচ করেছে রাশিয়ারই প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম বিশ্বে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার (Russia) একটি প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী। রাশিয়ার শীর্ষ ইসলামিক (Muslim) সংস্থা মুসলিম পুরুষদের দুই বা ততোধিক বিয়ে বা স্ত্রী (Four Wives) রাখার সিদ্ধান্তকে নাকচ করার কথা ঘোষণা করেছে। তবে এই সিদ্ধান্ত শুধু রাশিয়ার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় গোটা বিশ্বে ইসলামিক রাষ্ট্রের সামনে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক ধর্ম বিশেষজ্ঞরা।

    সাধারণত মুসসিম পার্সোনাল ল’বোর্ড বা শরিয়া শাসন চারটি করে বিয়ের অনুমতি দিয়ে থাকে। গোটা বিশ্বে পশ্চিম থেকে পূর্বে সর্বত্র এই নিয়ম অক্ষরে অক্ষের পালন করা হয়। যদিও গবেষকরা মনে করেছেন, গোটা বিশ্বে বাকি ধর্মের তুলানায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের একটি বড় কারণ হল একাধিক বিবাহ এবং বহু সন্তান উৎপাদন নীতি। তাই প্রগতিশীল মুসলিম সংগঠনের ভাবনা ইতিবাচক।

    ১৭ ডিসেম্বর ফতোয়া জারি হয়েছিল (Russia)!

    রাশিয়ার (Russia) ইসলামিক সংস্থার পক্ষ থেকে আগে ১৭ ডিসেম্বর একটি ফতোয়া বা ধর্মীয় বিধি জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, সমস্ত পরিস্থিতিতে মুসলিম পুরুষরা একাধিক স্ত্রী (Four Wives) রাখাতে পারবেন। সেই সঙ্গে আরও বলা হয় একজন মুসলমানের চারটি স্ত্রী থাকতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে সকলের জন্য আলাদা আলাদা থাকার জায়গা সহ সমান ভাবে বস্তুগত উপলব্ধতাকে প্রাধ্যান্য দিতে হবে। এরপর রাশিয়ার মুসলিমদের ধর্মীয় সংগঠনের কাউন্সিল অফ স্কলারের নতুন ঘোষণা হয় যে এই চার স্ত্রী রাখার নির্দেশ রাশিয়ার আইনের সঙ্গে কোনও রকম ভাবে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শারিয়া নিয়ম দেশের আইনের পরিপন্থী। ইসলামিক এই ফতোয়াকে অবিলম্বে প্রত্যহার করতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে এই বার্তা ছড়িয়ে পড়লে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চাঞ্চাল্য তৈরি হয়।

    চার বিয়ে ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে

    রাশিয়ার (Russia) ইসলামিক কাউন্সিল অফ স্কলারের নতুন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক প্রগতিশীল মানুষ। আবার রাশিয়ার পার্লামেন্টারি ফ্যামিলি অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান নিনা ওস্তানিনা বলেন, “রাশিয়ায় বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। এটি আমাদের মূল নৈতিকতা এবং ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে।”

    উল্লেখ্য, ভারতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার পাশাপাশি ‘মুসলিম (Muslim) পার্সোনাল ল’বোর্ড নামে একটি আলাদা ক্ষেত্র রয়েছে। কংগ্রেসের আমল থেকে দেশের সংবিধানকে আড়ালে রেখে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। একইভাবে ওয়াকফ বোর্ডও সক্রিয় রয়েছে দেশে। বিশেষজ্ঞরা ইসলামের শরিয়া শাসনকে আগ্রাসী ও হিংসাত্মক বলেছেন। তবে ভারতের কোনও প্রগতিশীল মুসলিম সংগঠন দুই বা ততোধিক স্ত্রী রাখা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share