Tag: Russia

Russia

  • India Russia Relation: “আলোচনার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই”, মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে বলল মস্কো

    India Russia Relation: “আলোচনার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই”, মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে বলল মস্কো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আলোচনার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই।” ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (India Russia Relation) বৈঠকের আগে এমনই বললেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

    রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (India Russia Relation)

    ৮ জুলাই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের (Modi Putin Meet) এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেই আলোচনার সীমাবদ্ধতা নেই বলেই জানিয়ে দিল মস্কো। তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমেই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি মস্কোভা নদীর পাড়ের শহরে গিয়েছিলেন পাঁচ বছর আগে, ২০১৯ সালে। ২০২১ সালে ভারতে এসেছিলেন পুতিন (India Russia Relation)। এবার ফের রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    আলোচ্যসূচি কী জানেন?

    আধিকারিকদের মতে, মোদি এবং পুতিন বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সুরক্ষা, বাণিজ্য এবং আরও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। পেসকভ বলেন, “আমরা (রাশিয়া ও ভারত) যৌথভাবে একীকরণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিই। তাই আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়, আঞ্চলিক সুরক্ষা এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা সর্বদাই আলোচ্যসূচির ওপরের দিকে থাকে। এছাড়াও, আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক ইন্টারঅ্যাকশনও থাকবে আলোচ্যসূচিতে।”

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। রাশিয়া থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনা বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের কিছু দেশ। এহেন আবহে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাই বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ক্রেমলিন। পুতিন সরকারের ওই আধিকারিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মস্কো ও নয়াদিল্লির মধ্যে রয়েছে মিউচুয়াল পলিটিক্যাল উইল। সেই কারণেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়বে দুই দেশের সহযোগিতা।”

    আর পড়ুন: “রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে”, তোপ সৌমিত্রর

    পেসকভ বলেন, “রাষ্ট্রপতি পুতিন ও প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে সম্পর্কের খুব বিশ্বাসযোগ্য জায়গা রয়েছে। আমরা আশা করতে পারি, আলোচ্যসূচিতে থাকা সমস্ত বিষয়েই মত বিনিময় হবে।” তিনি বলেন, “এই সফর (মোদির) সম্পর্কে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব পরে। আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনার পরেই এ বিষয়ে জানাব। তবে একটা কথা বলতে পারি, মোদির রাশিয়া সফরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারা।”

    প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি মোতাবেক দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা (Modi Putin Meet) বছরে একবার করে বৈঠক করার কথা। ২০১৯ সাল পর্যন্ত একবারের জন্যও অন্যথা হয়নি এই চুক্তির (India Russia Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন মোদি, আমেরিকাকে ঠিক কোন বার্তা দিতে চাইছে ভারত?

    PM Modi: রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন মোদি, আমেরিকাকে ঠিক কোন বার্তা দিতে চাইছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে ‘আক্রমণাত্মক খেলতে’ চাইছে নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের সিংহভাগের মতে, সেই কারণেই তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েই রাশিয়া (Russia) সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।

    ভারত-রাশিয়ার পুরানো বন্ধুত্ব (PM modi)

    রাশিয়া ভারতের দীর্ঘদিনের পুরানো বন্ধু। ঠান্ডা যুদ্ধের যুগে যে বন্ধুত্বের সূচনা হয়েছিল, সেই বন্ধুত্ব আজও অটুট। অথচ এই সময়ের মধ্যে বদলেছে বিশ্বের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি। পরিবর্তন হয়েছে বৈশ্বিক রাজনীতির প্রেক্ষাপট। শুরু হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর করে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে রাশিয়ার অর্থনীতি, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় সেই তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে পাশ্চাত্যের বহু দেশ। ভারত যাতে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল না কেনে, সে চেষ্টাও করেছিল জো বাইডেনের দেশ।

    অপ্রতিরোধ্য মোদির ভারত!

    অবশ্য তার পরেও রোখা যায়নি নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভারতকে। বিপদের সময় স্বার্থপরের মতো ছেড়ে দেয়নি মস্কোর বন্ধুত্বের হাত। বরং আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিয়মিত তেল কিনে গিয়েছে নয়াদিল্লি। এবং এখনও তেল কিনে চলেছে। যার জেরে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়েছে আরও মজবুত। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই তৃতীয়বার দিল্লির কুর্সিতে বসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাচ্ছেন রাশিয়া সফরে। এতে এক ঢিলে অনেকগুলি পাখি মারার চেষ্টা করছেন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই রাশিয়া সফরে এক দিকে যেমন বার্তা দেওয়া যাবে আমেরিকাকে, তেমনি রাশিয়াকে বুঝিয়ে দেওয়া যাবে ফিকে হয়ে যায়নি ভারত-রাশিয়ার সম্পর্কও।

    ভারতকে পাশে পেতে মুখিয়ে সবাই

    মোদি জমানায় ভারত (PM Modi) হয়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্রশক্তি। তাই মোদির ভারতকে পাশে পেতে মুখিয়ে বিশ্বের বহু দেশ। ভারতের মজবুত অর্থনীতি, এ দেশের বিশাল বাজার, তরুণ কর্মশক্তির প্রতুলতা এবং অবশ্যই উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে বর্তমানে ভারতকে সমঝে চলতে শুরু করেছে বিশ্বের বহু দেশ। এহেন আবহেই তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়েই মোদি ছুটছেন মস্কোয়। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়েও মোদি গিয়েছিলেন রাশিয়ায়। বৈঠক করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। আগামী ৮ জুলাই আবারও রাশিয়া সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। মস্কোভা নদীর (Russia) পাড়ে ফের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে মোদি-পুতিনের।

    নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক তলানিতে

    উনিশে মোদির রাশিয়া সফরের পরেই ভারতের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ঘনিষ্ঠ হয়েছিল বন্ধুত্ব। প্রেসিডেন্ট পদে বাইডেন বসার পরে মজবুত হয়েছিল সেই বন্ধুত্বও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই পর্বে আমেরিকা ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছিল নয়াদিল্লি। তাল কাটল মাস কয়েক আগে। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গুরুপতবন্ত সিং পান্নুনকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ভারতের দিকে আঙুল তোলে আমেরিকা। পান্নুনকে হত্যার পরিকল্পনা কারা করেছিল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে বাইডেন প্রশাসন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলার চার্জশিটে তদন্তকারীরা ভারত সরকারের এক পদস্থ আধিকারিকের কথাও উল্লেখ করেছেন। যদিও নাম না করে চার্জশিটে তাঁকে সিসি-১ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সিসি-১ এর পরিচয় প্রকাশ না করে ভারতকে চাপে রাখতে চাইছে ওয়াশিংটন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এমতাবস্থায় শপথ নিয়েই প্রথমে রাশিয়া সফরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাইডেন প্রশাসনকে বার্তা দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)।

    ‘বন্ধুত্বে’র চুক্তি!

    ২০০০ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর একবার করে দেখা করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ২০১৯ সাল পর্যন্ত একবারের জন্যও ব্যত্যয় হয়নি এই চুক্তির। অতিমারীর কারণে ২০২০ সালে এই বৈঠক হয়নি। তবে তার পরের বছরই ভারত সফরে এসেছিলেন পুতিন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন মোদি-পুতিন। তার পরেই ছেদ পড়ে এই প্রথায়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, পান্নুনকাণ্ডের জেরে যখন ভারতকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন, তখন রাশিয়া সফরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ওয়াশিংটনকে পাল্টা চাপে রাখতে চাইছে মোদি সরকার। এর পাশাপাশি ভারত যে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক নীতির পক্ষেই সেই বার্তাও দিয়ে দিল নয়াদিল্লি।

    আর পড়ুন: এবছর জগন্নাথ ধামে হবে না ‘নব যৌবন’ দর্শন, বিকেলে গড়াবে রথের চাকা, কেন জানেন?

    এই সফরেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন মোদি-পুতিন। দুই দেশই চাইছে প্রতিরক্ষা ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রসারিত হোক বাণিজ্যিক সম্পর্ক। জ্বালানি, ওষুধপত্র, পরিকাঠামো এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও দুই দেশই বাড়াক সহযোগিতার হাত। এমন ব্যবস্থা হোক, যাতে সুরক্ষিত হয় ভারত-রাশিয়া দুই দেশেরই স্বার্থ। মোদির এ বারের রাশিয়া সফরে আরও একটি বিষয় প্রাধান্য পেতে পারে। রাষ্ট্রসংঘে স্থায়ী সদস্যপদের দাবিদার ভারত। তবে চিনের ‘ভেটো’ প্রয়োগের জেরে বারংবার বাড়া ভাতে ছাই পড়ছে ভারতের। অথচ রাশিয়া চাইছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক নয়াদিল্লি। এই বিষয়েও এবার আলোচনা হতে পারে দুই দেশের। আলোচনায় উঠতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার সিকিউরিটি এবং স্পেস টেকনোলজি নিয়েও। এই সব বিষয়ে ভারত-রাশিয়া (Russia) সহযোগিতার হাত বাড়ালে তা যে আমেরিকার চক্ষুশূল হবে, তা বলাই বাহুল্য। কারণ মস্কোর পাশাপাশি ওয়াশিংটনও যে মোদির (PM Modi) হাত ধরতে ব্যাকুল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Russia Relation: রাশিয়ায় জোরালো হচ্ছে হিন্দু মন্দিরের দাবি, মোদির সফরেই পূরণ হবে স্বপ্ন?

    India Russia Relation: রাশিয়ায় জোরালো হচ্ছে হিন্দু মন্দিরের দাবি, মোদির সফরেই পূরণ হবে স্বপ্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমিউনিস্ট শাসিত দেশ। এবার সে দেশেই উঠল হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি (India Russia Relation)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এই আবহেই চলতি মাসে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম রুশ দেশে পা রাখতে চলেছেন মোদি।

    জোরালো হিন্দু মন্দিরের দাবি (India Russia Relation)

    রাশিয়া-ইউক্রেন (India Russia Relation) যুদ্ধ শুরুর পরেও এটাই তাঁর প্রথম রাশিয়া সফর। এসব দিক থেকে দেখতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর এবারের রাশিয়া সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এহেন সফরের আগেই উঠল রাশিয়ায় হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি। ইন্ডিয়ান বিজনেস অ্যালায়েন্সের সভাপতি স্যামি কোতওয়ানি রাশিয়ার মস্কোয় হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি জানিয়েছেন। কমিউনিস্ট শাসিত হলেও, রাশিয়া ঐতিহ্যগতভাবে অর্থডক্স চার্চের জন্য পরিচিত। দেশটির সিংহভাগ বাসিন্দাই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হিন্দুদের সংখ্যাও। সেই জন্যই জোরালো হচ্ছে হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি।

    রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছিল গীতা!

    ভারতীয় জাতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র এসআইটিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, মস্কোয় মন্দির নির্মাণ হলে সেটি কেবল যে রাশিয়ার রাজধানীকেই সমৃদ্ধ করবে তা নয়, মজবুত করবে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ককেও। এক সময় রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছিল ভগবদ গীতা। মস্কোয় ইসকনের কৃষ্ণ মন্দিরও ছিল। ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে রাশিয়ার এই মন্দিরটি শহর কর্তৃপক্ষ ভেঙে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন ইস্কনের সন্ন্যাসীরা। এরপর মস্কোভা নদী দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল। ভারতের ক্ষমতায় এসেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার। তার পর থেকে ক্রমেই মজবুত হয়েছে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক। এই সম্পর্কের জেরেই এবার মস্কোয় হিন্দু মন্দির গড়ার দাবি উঠেছে।

    আর পড়ুন: “নরেন্দ্রকে ঠাকুর বলিতেছেন, চিদাকাশে হল পূর্ণ প্রেমচন্দ্রোদয় হে, এই গানটি একবার গা না”

    রাশিয়ায় হিন্দু ধর্মের প্রসার ঘটতে থাকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। এই সময় রাশিয়ায় চলছিল পেরেস্ত্রৈকা। এই সময়ই বদলে যার রাশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পরিবর্তনের ঢেউ গিয়ে লাগে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও। এই সময়ই নানা কাজে এ দেশে আসেন হিন্দুরা। তাঁরাই দাবি তুলেছেন হিন্দু মন্দিরের (India Russia Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russia Terrorist Attack: রাশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে জঙ্গি হামলা, মৃত কমপক্ষে ১৯

    Russia Terrorist Attack: রাশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে জঙ্গি হামলা, মৃত কমপক্ষে ১৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দাগেস্তান অঞ্চলে দুটি সিনাগগ (ইহুদি উপাসনালয়), দুটি গির্জা এবং একটি পুলিশ চৌকিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ডারবেন্ট এবং মাখাচকালা শহরে এই প্রাণঘাতী হামলায় ১৫ জনেরও বেশি পুলিশ অফিসার এবং ৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন নিকোলাই কোটেলনিকভ নামে পাদরি, জঙ্গিরা তাঁকে নির্মমভাবে গলার নলি কেটে হত্যা করেছে। তিন মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বড় জঙ্গি হামলা।

    আধিকারিকদের বক্তব্য

    দাগেস্তান পাবলিক মনিটরিং কমিশনের চেয়ারম্যান, শামিল খাদুলায়েভ বলেন , “আমি যে তথ্য পেয়েছি তা হল ফাদার নিকোলেকে ডারবেন্টের চার্চের ভিতরে হত্যা করা হয়। জঙ্গিরা তাঁর গলা কেটে ফেলে। তিনি ৬৬ বছর বয়সী এবং খুব অসুস্থ ছিলেন। দেশের সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির তথ্য অনুযায়ী, মোট ৫ জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জঙ্গিরা বন্দুক ও মোলোটভ ককটেল নিয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করে। ককটেল বোমা ছোড়ার পর তাঁরা নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। রাস্তায় সাধারণ মানুষের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।

    হামলার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায়

    সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় যে ডারবেন্টে অবস্থিত একটি সিনাগগ সন্ত্রাসীরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মাখাচকালায় একটি সিনাগগ এবং একটি পুলিশ ট্রাফিক পোস্টও হামলার শিকার হয়।

    দাগেস্তানের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে উপাসনালয়গুলোকে টার্গেট করার নিন্দা জানিয়েছে ইজরায়েল। দেশটির বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, “ডারবেন্টের সিনাগগে আগুন লাগিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিহত হয়েছেন স্থানীয় রক্ষীরা।”

    দাগেস্তানে তিন দিনের শোক পালন

    জানা গিয়েছে, হামলার সময় উপাসনালয়ে কোনও উপাসক ছিল না এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের কোনও হতাহতের ঘটনাও জানা যায়নি। রাশিয়া সোমবার (২৩ জুন) থেকে এই অঞ্চলে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করেছে। রাশিয়ান ফেডারেশনের ক্রিমিনাল কোডের অধীনে জঙ্গি হামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। জঙ্গি হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। সোমবার দাগেস্তানের গভর্নর সের্গেই মেলিকভ ভিডিও বার্তায় বলেছেন, দাগেস্তান ও পুরো দেশের জন্য এটা খুবই দুঃখের দিন। আমরা বুঝতে পারছি, এসব সন্ত্রাসী হামলার পেছনে কোন

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের খাইবারে সেনার উপর জঙ্গি হামলা, মৃত পাঁচ জওয়ান

    সংগঠন জড়িত এবং তারা কোনও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে হামলা চালিয়েছে। যদিও দায়ী হিসেবে কোনও সংগঠন বা ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি সের্গেই মেলিকভ।” প্রসঙ্গত মার্চ মাসে একটি সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেবার হামলাত দায় নিয়েছিল আইসিস খুরাসান। সেই হামলায় ১৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। তিন মাসের মধ্যে ফের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে হামলা মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে পুতিন প্রশাসনের।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Students In Russia: রাশিয়ায় জলে ডুবে মৃত ৪ ভারতীয় পড়ুয়া, ভ্রমণে সতর্কতা জারি দূতাবাসের

    Indian Students In Russia: রাশিয়ায় জলে ডুবে মৃত ৪ ভারতীয় পড়ুয়া, ভ্রমণে সতর্কতা জারি দূতাবাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে একটি নদীতে ডুবে চার ভারতীয় পড়ুয়ার (Indian Students In Russia) ডুবে মৃত্যুর খবর মিলেছে। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই পড়ুয়াদের মৃতদেহগুলি তাঁদের আত্মীয়দের কাছে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে রাশিয়া সরকারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক পড়ুয়ার বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। এঁদের মধ্যে দুইজন ছাত্র এবং দুইজন ছাত্রী। জানা গিয়েছে, এঁরা প্রত্যেকেই নভগোরড স্টেট ইউনিভার্সিটির পড়ুয়া ছিলেন। রাশিয়ার একাধিক সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, একজন ছাত্রী প্রথমে ওই নদীতে তলিয়ে যান এবং তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে বাকিরাও তলিয়ে যায়। মোট পাঁচজন তলিয়ে যায় কিন্তু একজনকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয় স্থানীয় লোকজনেরা।

    ভারতীয় দূতাবাসের সতর্কবার্তা 

    এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেই রাশিয়ায় ভারতীয় দূতাবাস শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করে এবং সেখানে জলাশয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যেককে অত্যন্ত সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। মস্কোর ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, রাশিয়াতে ভারতীয় পড়ুয়াদের মৃত্যুর দুর্ভাগ্যজনক খবর সামনে এসেছে। তাই যেকোনও ধরনের সমুদ্র সৈকত, নদীর হ্রদ বা জলাশয়ে যাওয়ার সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে

    প্রসঙ্গত, এটাই নতুন বা প্রথম নয়। এর পাশাপাশি ভারতীয় দূতাবাস (Indian Students In Russia) জানিয়েছে, ২০২৩ সালে এবং তারও আগে ২০২২ সালে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০২৩ সালে দুটি ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে সেখানে। ২০২২ সালে ডুবে গিয়ে ভারতীয় পড়ুয়াদের মৃত্যুর ছ’টি ঘটনা সামনে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Next Generation Nuclear Fuel: “নেক্সট জেনারেশন পারমাণবিক জ্বালানি পাবে ভারত”, বললেন রুশ কর্তা

    Next Generation Nuclear Fuel: “নেক্সট জেনারেশন পারমাণবিক জ্বালানি পাবে ভারত”, বললেন রুশ কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত এক প্রধান অংশীদার এবং এই দেশ চলতি গ্রীষ্মেই নেক্সট জেনারেশন পারমাণবিক জ্বালানি পাবে।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন রাশিয়ার (Next Generation Nuclear Fuel) স্টেট নিউক্লিয়ার কর্পোরেশন রোশাটম প্রধান অ্যালেক্সি লিখাচেভ। সিবেরিয়ার তোমস্ক অঞ্চলে তাঁকে স্বাগত জানান ‘দ্য রাশিয়ান অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনে’র চেয়ারম্যান অজিত কুমার মোহান্তি। আরটি ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, মোহান্তিকে ফোর্থ জেনারেশন সাইট দেখানো হয়। এটাই ইতিহাসে নিরাপদতম অ্যাটমিক রিয়েক্টর হোস্ট করবে।

    রুশ কর্তার মুখে সহযোগিতার প্রশংসা (Next Generation Nuclear Fuel)

    লিখাচেভ এদিন দুই দেশের সহযোগিতার প্রশংসাও করেন। তার পরেই তিনি ভারতকে পারমাণবিক ক্ষেত্রে প্রধান অংশীদার বলে সম্বোধন করেন তিনি। এদিন তোমস্ক অঞ্চলের সেভের্সে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন মোহান্তি ও রোসাটমের প্রধান। সেভের্সকে (Next Generation Nuclear Fuel) পাইলট ডেমস্ট্রেশন এনার্জি কমপ্লেক্স চত্বর ঘুরে দেখেন রাশিয়ান ও ভারতের নিউক্লিয়ার ইন্ডাস্ট্রির নেতারা। রোসাটমের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘স্ট্র্যাটেজিক ইন্ডাস্ট্রি প্রজেক্টের ব্রেকথ্রুর অংশ হিসেবেই তাঁরা এই সাইট দর্শন করেছেন। যৌথ পরিদর্শনের সময় সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয় ভারত ও রাশিয়া দুই দেশের নেতাদের মধ্যে।’

    কী বললেন রুশ কর্তা?

    লিখাচেভ বলেন, “শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করতে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়তে আমরা প্রস্তুত। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের কোনও নতুন সাইটে রাশিয়ার ডিজাইন করা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ধারাবাহিক পারমাণবিক পাওয়ার ইউনিট নির্মাণও। পারমাণবিক ফুয়েল সাইকেল এরিয়া বাড়াতে ভারতকে সহযোগিতাও করব। পারমাণবিক প্রযুক্তির নন-পাওয়ার অ্যাপ্লিকেশন প্রয়োগ করতেও সহযোগিতার হাত বাড়াব।” অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান মোহান্তির সঙ্গে রাশিয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমারও তোমস্কে সাইট পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এদিন তাঁরা তোমস্ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ও পরিদর্শন করেন। স্থানীয় গভর্নর ভ্লাদিমির মাজুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

    আর পড়ুন: “ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া!” সরব অভিজিৎ

    মাজুরের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ার নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা করেন ফার্মাসিউটিক্যালস, উচ্চ প্রযুক্তি, শিক্ষা ও রিসার্চ নিয়েও। এদিন কুমার তোমস্ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণও দেন। বক্তৃতার বিষয় ছিল, ‘ইন্ডিয়া-রাশিয়া রিলেশনস ইন কারেন্ট সিনারিও’। তোমস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি (Next Generation Nuclear Fuel)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Russia Relation: ‘লোকসভা ভোটের মধ্যেই ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে আমেরিকা’, অভিযোগ রাশিয়ার

    India Russia Relation: ‘লোকসভা ভোটের মধ্যেই ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে আমেরিকা’, অভিযোগ রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে আমেরিকা।’ কথাগুলি বলল রাশিয়ার (India Russia Relation) বিদেশমন্ত্রক। ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে মার্কিন ফেডারেল কমিশন। সেই প্রেক্ষিতেই এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করল রাশিয়া।

    কী বলছে রাশিয়া? (India Russia Relation)

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জ্যাকারোভা বলেন, “ভারতের জাতীয় মানসিকতা এবং ইতিহাস বোঝার ক্ষমতা নেই ওয়াশিংটনের। তাই ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে না জেনেই দোষারোপ করে চলেছে তারা। লোকসভা নির্বাচনের সময় এভাবে তারা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে ভারতে।” তিনি বলেন, “এটা দেশ হিসেবে ভারতের প্রতি অশ্রদ্ধার পরিণতি। এর কারণ হল ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। তাই সাধারণ নির্বাচন জটিল হয়ে উঠছে। এই আবহে ওয়াশিংটনের পদক্ষেপ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর শামিল।”

    কী বলা হয়েছে মার্কিন রিপোর্টে?

    প্রতি (India Russia Relation) বছর একটি করে রিপোর্ট প্রকাশ করে ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম। এই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে। ভারতে এ নিয়ে যে উদ্বেগ রয়েছে, তাও জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। জাতীয় রাজনীতিতে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি যে বৈষম্য করছে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। ইউএপিএ, ফরেন কনট্রিবিউশন অ্যাক্ট, সিএএ, অ্যান্টি-কনভার্সান এবং গোহত্যা আইনেরও উল্লেখ করা হয়েছে। এই আইনগুলির মাধ্যমে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে বলেও অনুযোগ করা হয়েছে রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে, সংবাদ মাধ্যম এবং এনজিওগুলি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে রিপোর্ট করছে। তারা বলছে, এফসিআরএ রেগুলেশনের অধীনে তাঁদের (ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের) ওপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। মার্কিন রিপোর্টের কড়া সমালোচনা করেছে ভারতও। বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই রিপোর্টকে দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার বলেও অভিহিত করা হয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল গত সপ্তাহেই বলেছিলেন, “ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা নিয়ে পক্ষপাতিত্বমূলক রিপোর্ট পেশ করে।” তিনি বলেন, “ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম যে রাজনৈতিক বিভিন্ন অ্যাজেন্ডা নিয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, তা সবাই জানে। ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করতেই তারা এই জাতীয় রিপোর্ট প্রকাশ করে।” তিনি বলেন, “ভারতের বৈচিত্র, বহুত্ববাদ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে ওদের রিপোর্টে কী বলা হয়েছে, তা আমরা থোড়াই কেয়ার করি (India Russia Relation)।”

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: ভারত জেনোফোবিক! মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মুখের মতো জবাব দিলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ভারত জেনোফোবিক! মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মুখের মতো জবাব দিলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত জেনোফোবিক (যারা বিদেশিদের ভয় পায়)। কারণ তারা অভিবাসীদের স্বাগত জানায় না।” দিন কয়েক আগে একথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্যই খোলা রয়েছে ভারতের দ্বার।”

    জয়শঙ্করের জবাব (S Jaishankar)

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট এও বলেছিলেন, “ভারতের অর্থনীতির ভিত নড়বড়ে। খুব ভালো করছে না। যদিও মার্কিন অর্থনীতির নিত্য শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে।” এরও উত্তর দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “প্রথমত, আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হচ্ছে না। ভারত সব সময়ই একটি অনন্য দেশ। তার আতিথেয়তার জন্য পরিচিত। বিশ্বের ইতিহাসে ভারতই এমন একটি দেশ, যা সর্বদা অভিবাসীদের সাহায্য করেছে। বিভিন্ন সমাজের মানুষ ভারতে আসেন।” ভারত যে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির অন্যতম প্রধান দেশ, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের ঠাঁই হয়েছে পঞ্চম স্থানে। এই দশকের শেষের মধ্যেই ভারত উঠে আসবে এই তালিকার তিন নম্বরে।”

    কী বলেছিলেন বাইডেন?

    ২ মে এক নির্বাচনী জনসভায় আমেরিকার অর্থনৈতিক বিকাশ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাইডেন বলেছিলেন, “আমাদের অর্থনীতির বিকাশের অন্যতম কারণ হলেন আপনারা এবং আরও অনেকে। কেন? কারণ আমরা বিদেশিদের স্বাগত জানাই। আমরা এটা নিয়ে ভাবি। কিন্ত চিনের অর্থনীতি কেন এভাবে থমকে গেল? কেন জাপান সমস্যার মুখে পড়ছে? কেন রাশিয়া? কেন ভারত? কারণ তারা জেনোফোবিক। তারা বিদেশিদের চায় না।”

    আরও পড়ুুন: ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি কোথায়, কখন জানেন?

    মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সপাটে এরই উত্তর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। বলেন, “তামাম বিশ্বে ভারতীয় সমাজ এমন একটি সমাজ, যেটা ভীষণ মুক্তমনা। ভিন্ন ভিন্ন সমাজ থেকে মানুষ ভারতে আসেন।” সিএএ-র প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন জয়শঙ্কর। বলেন, “এই আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ এবং পারসিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।” বিদেশিদের এ দেশে স্বাগত জানাতেই যে এহেন বড় পদক্ষেপ, তাও মনে করিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hamida Banu: হামিদা বানুর লড়াইকে কুর্নিশ গুগল ডুডুলের, চেনেন এই মহিয়সীকে?

    Hamida Banu: হামিদা বানুর লড়াইকে কুর্নিশ গুগল ডুডুলের, চেনেন এই মহিয়সীকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামিদা বানুকে (Hamida Banu) মনে আছে? মনে না থাকলেও অবশ্য ক্ষতি নেই। ভারতীয় এই মহিয়সীকে মনে করিয়ে দিচ্ছে গুগলের ডুডুল (Google Doodle)। পুরুষ-দাপিত মল্লযুদ্ধের যুগে তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা, যিনি দাপিয়ে বেড়িয়েছেন চার-পাঁচের দশক। তিনি ভারতের প্রথম প্রফেশনাল মহিলা মল্লযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। চার-পাঁচের দশকে ভারতের মতো পুরুষ-শাসিত সমাজে বেড়া ভাঙার কাজটা সহজ ছিল না। এই কঠিন কাজটাই করে দেখিয়েছেন হামিদা।

    হামিদার চ্যালেঞ্জ (Hamida Banu)

    ১৯৫৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বছর তিরিশের হামিদা (Hamida Banu) জানিয়েছিলেন, যে পুরুষ মল্লযুদ্ধে হারাতে পারবেন তাঁকে, তাঁরই গলায় বরমাল্য দেবেন তিনি। কেবল বলাই নয়, তিনি যে পুরুষের কাছেও অপরাজেয়, কাজেও তা করিয়ে দেখিয়েছিলেন হামিদা। দুই পুরুষ পদকজয়ীকে আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী করেছিলেন হামিদা। এঁদের মধ্যে একজন পাতিয়ালা থেকে, অন্যজন খাস কলকাতার। সেই বছরই ভাদোদরায় তৃতীয় ম্যাচে হামিদা লড়েছিলেন বাবা পালোয়ানের সঙ্গে। মাত্র ১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে তাঁকেও ধরাশায়ী করেছিলেন হামিদা।

    হামিদার দৈনিক খাদ্য তালিকা (Hamida Banu)

    অন্য এক প্রতিদ্বন্দ্বী তো আবার মহিলা বলে হামিদার (Hamida Banu) সঙ্গে লড়াই করতেই চাননি! প্রায় এক দশক ধরে অপরাজেয়ই ছিলেন হামিদা। খবরের কাগজগুলো তাঁকে ‘আমাজন অফ আলিগড়’ অভিধায় ভূষিত করেছিল। ১৯৫৪ সালে হামিদা (Hamida Banu) হারিয়েছিলেন ভেরা চিস্তিলিনকে। তাঁকে বলা হত রাশিয়ার ‘মহিলা ভালুক’। সেই ভালুককেই হামিদা মাত দিয়েছিলেন এক মিনিটেরও কম সময়ে। হামিদার জয়ের কাহিনি বারংবার হেডলাইন হয়েছে খবরের কাগজগুলোতে। তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, ওজন ১০৮ কেজি। শক্তি ধরে রাখতে প্রতিদিন ৫.৬ লিটার দুধ খেতেন তিনি। ফলের রস খেতেন ১.৮ লিটার। স্যুপ খেতেন ২.৮ লিটার।

    আরও পড়ুুন: প্রার্থী হতে পারলেও, ভোট দিতে পারবেন না বন্দিরা, কেন জানেন?

    খাসির মাংস আর আমন্ড খেতেন প্রায় এক কিলো করে। একটা করে মুরগিও খেতেন, আর খেতেন দুটো করে পাঁউরুটি। তাঁর দৈনিক খাদ্য তালিকায় ছিল ৫০০ গ্রাম বাটার, ৬টি ডিম এবং দু’প্লেট বিরিয়ানি। প্রতিদিন ঘুমোতেন ৯ ঘণ্টা করে। অনুশীলন করতেন ৬ ঘণ্টা ধরে। এই অনুশীলনই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল সাফল্যের শিখরে। যে সাফল্য এবং লড়াইকে কুর্নিশ করল গুগল, ডুডুলে ছবি দিয়ে (Google Doodle)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sri Lanka: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    Sri Lanka: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে সমীকরণ। চিনের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে ক্রমেই নয়াদিল্লির কাছাকাছি আসতে চাইছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এই শ্রীলঙ্কায়ই দেশের বৃহত্তম হাম্বানটোটা বিমানবন্দর (Hambantota Airport) গড়ে উঠেছিল চিনের সহায়তায়। বেজিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পেই গড়া হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরেরই রাশ এবার যৌথভাবে হাতে নিতে চলেছে ভারত ও রাশিয়ার দুই সংস্থা।

    ড্রাগনের দেশকে বার্তা! (Sri Lanka)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, কলম্বো (শ্রীলঙ্কার রাজধানী) যে ক্রমেই নয়াদিল্লির দিকে ঝুঁকছে, ড্রাগনের দেশকে সেই বার্তা দিতেই বিমানবন্দরটির (Hambantota Airport) পরিচালনার রাশ তুলে দেওয়া হল ভারত ও রাশিয়ার দুই কোম্পানির হাতে। সম্প্রতি এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরটি যৌথভাবে পরিচালনা করবে শৌর্য অ্যারোনটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড (ভারত) এবং এয়ারপোর্টস অফ রিজিয়নস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অফ রাশিয়া। এই দুই সংস্থাই বিমানবন্দরটি পরিচালনা করবে আগামী তিরিশ বছর।

    হাম্বানটোটা বিমানবন্দর

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে উদ্বোধন হয় হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের (Hambantota Airport)। এই বিমানবন্দর নির্মাণের সিংহভাগ খরচ দিয়েছে চিন। বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের নামে। বিমানবন্দরটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে (Sri Lanka) চড়া সুদে শ্রীলঙ্কাকে ১৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল ড্রাগনের দেশের এক ব্যাঙ্ক। সেই ঋণ শোধ করতে গিয়েই বিপাকে পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রশাসন। ২০১৬ সাল থেকেই বিমানবন্দরটি দেখভালের জন্য বাণিজ্যিক সঙ্গী খুঁজছিল শ্রীলঙ্কা। কারণ উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত একবারও লাভের মুখ দেখেনি বিমানবন্দরটি। বরং যত দিন গিয়েছে, ততই সব চেয়ে ফাঁকা বিমানবন্দরের তকমা পেয়েছে শ্রীলঙ্কার এই বিমানবন্দরটি। শেষমেশ ভারত ও রাশিয়ার দুই সংস্থা যৌথভাবে দায়িত্ব নিল বিমানবন্দরটি পরিচালনার।

    বিমানবন্দরের বেহাল দশা

    জানা গিয়েছে, এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থই পরিশোধ করা হবে চিনের ব্যাঙ্ককে। বিমানবন্দরটির পরিচালনার ভার নিতে চেয়ে আবেদন করেছিল পাঁচটি কোম্পানি। তাদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে দুটিকে। শ্রীলঙ্কার সরকারি মুখপাত্র বন্দুলা গুণবর্ধন বলেন, “ভারতীয় সংস্থাটির নাম শৌর্য অ্যারোনেটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং রাশিয়ান সংস্থাটির নাম এয়ারপোর্টস অফ রিজিয়নস ম্যানেজমেন্ট।” উদ্বোধনের প্রায় পর থেকেই ক্ষতির মুখে পড়ে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের হাম্বানটোটা বিমানবন্দর (Hambantota Airport)। প্রথম দিকে অবশ্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা করত। সংখ্যায় কম হলেও, সচল ছিল বিমানবন্দর। পরে ধীরে ধীরে কমতে থাকে বিমান ওঠানামা। এক সময় বন্ধই হয়ে যায়। ধু ধু প্রান্তরে পরিণত হয় সাজানো গোছানো আস্ত বিমানবন্দর।

    আরও পড়ুুন: “উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না”, কড়া বার্তা যোগীর

    চিনা ঋণের ফাঁদ

    জানা গিয়েছে, একের পর এক দেশকে ঋণ দিয়ে ফাঁদে ফেলছে চিন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চিন ঋণ দিয়েছে সব মিলিয়ে ১৬৫টি দেশকে। মার্কিন ডলারের অঙ্কে এর পরিমাণ হল ১.৩৮ ট্রিলিয়ন। চিনের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে রাশিয়া। দেনার পরিমাণ ১৭০ বিলিয়ন ডলার। এর পরেই রয়েছে ভেনেজুয়েলা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তান। ঋণের পরিমাণ প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। পশ্চিমের দেশগুলির অভিযোগ, চিনা ঋণের ফাঁদ আসলে মৃত্যু ফাঁদ।

    আরও পড়ুুন: “মাতৃশক্তির বিষয়ে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট”, প্রোজ্জ্বলকাণ্ডে বললেন শাহ

    চাইলেই আর্থিকভাবে দুর্বল দেশগুলিকে চড়া সুদে ঋণ দেয় বেজিং। দেনা মেটাতে না পেরে যখন ভেঙে পড়ে ঋণগ্রস্ত দেশগুলির অর্থনীতির কোমর, তখনই হাত গুটিয়ে নেয় চিন। উপায়ান্তর না দেখে ড্রাগনের দেশের কাছে সারেন্ডার করে ঋণগ্রস্ত দেশগুলি। এভাবেই একের পর এক দেশের চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে চিন। দ্বীপরাষ্ট্রের জলবন্দর হাম্বানটোটার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে চিন (Sri Lanka)। সেখান থেকে এই বিমানবন্দরের (Hambantota Airport) দূরত্ব খুব বেশি নয়। সেদিক থেকে দেখলে, ড্রাগনের দেশের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল ভারত ও রাশিয়া।

    বিমানবন্দরটির হাল ফেরে কিনা, এখন তা-ই দেখার (Sri Lanka)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share