Tag: s jaishankar

s jaishankar

  • S Jaishankar: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়,” ইউরোপকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়,” ইউরোপকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়।” রবিবার ঠিক এই ভাষায় ইউরোপের (Europe) দেশগুলিকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার জেরে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। জয়শঙ্করের মতে, ইউরোপকে এখন বাস্তবে ফিরে আসতে হবে। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে তাদেরও কিছু সংবেদনশীলতা দেখানো প্রয়োজন। শুধুই পরামর্শ দিলে হবে না। আদর্শগত মতাপর্থক্য সরিয়ে পারস্পরিক সাহায্যের মাধ্যমেই আমেরিকার সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখা যাবে বলেও জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে বার্তা (S Jaishankar)

    সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, সংঘাত মেটাতে ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক পথে সমাধানের পথ খোঁজা উচিত। সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই জয়শঙ্করের এদিনের বক্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা কাউকে বলি না, এটা করো বা ওটা করো না। এটাই স্বাভাবিক সৌজন্য। কিন্তু আমাদের সঙ্গে এই ব্যবহার করা হয় না। তাই আমাদের কী করা উচিত, তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।” তিনি বলেন, “যখন আমরা বিশ্বের দিকে তাকাই, আমরা অংশীদার খুঁজি। আমরা পরামর্শদাতা খুঁজি না। বিশেষ করে সেই সব পরামর্শদাতা যারা নিজের দেশে আচরণ না করে বিদেশকে উপদেশ দেয়। আমার মনে হয়, ইউরোপের কিছু অংশ এখনও সেই সমস্যার সঙ্গে সংগ্রাম করছে। এর কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।” তিনি বলেন, “ইউরোপ বাস্তবতা যাচাইয়ের একটি পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এখন তারা এটির মুখোমুখি হতে পারবে কিনা, সেটা আমাদের দেখতে হবে।” জয়শঙ্কর বলেন, “কিন্তু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, যদি আমরা একটি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাই, তাহলে অবশ্যই কিছু বোঝাপড়া থাকতে হবে, সংবেদনশীলতা থাকতে হবে, পারস্পরিক স্বার্থ থাকতে হবে এবং বিশ্ব কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে উপলব্ধি থাকতে হবে। আমার মনে হয়, ইউরোপের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে এই বিষয়গুলো বিভিন্ন মাত্রায় অগ্রগতি হচ্ছে। তাই কেউ কেউ বেশি এগিয়েছে, কেউ বা কিছুটা কম (Europe)।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ভারতের রাশিয়া বাস্তববাদের প্রতি ধারাবাহিক সমর্থনের কথা উল্লেখ করে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে গভীর সামঞ্জস্য ও পরিপূরকতার দিকটি তুলে ধরেন, যেখানে একপক্ষ সম্পদের জোগানদার এবং অন্যপক্ষ ভোক্তা হিসেবে কাজ করছে। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব সমাধানে রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়াই পশ্চিমি বিশ্বের পূর্ববর্তী প্রচেষ্টারও সমালোচনা করেন। যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “এ ধরনের পদ্ধতি বাস্তববাদের মৌলিক নীতিকেই চ্যালেঞ্জ করেছিল।” জয়শঙ্কর বলেন, “যেভাবে আমি রাশিয়ান বাস্তববাদের পক্ষে, সেভাবেই আমেরিকান বাস্তববাদেরও পক্ষপাতী। বর্তমান সময়ে আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগের সর্বোত্তম উপায় হল মতাদর্শগত পার্থক্যকে প্রাধান্য না দিয়ে বরং সাধারণ স্বার্থের মিল খুঁজে বের করা, যা একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনাকে ম্লান হতে দেয় না।”

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “সম্পদ প্রদানকারী ও ভোক্তা হিসেবে দু’দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামঞ্জস্য ও পরিপূরকতা রয়েছে। রাশিয়ার ক্ষেত্রে, আমরা সবসময়ই রাশিয়া বাস্তববাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি (Europe)। ২০২২-২০২৩ সালের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী ও পরিস্থিতি কল্পনা করা হয়েছিল, যা সময়ের পরীক্ষায় সঠিক বলে প্রমাণিত হয়নি।” এদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাত মেটাতে আলোচনার ওপরই জোর দিয়েছে রাশিয়া। পহেলগাঁওয়ে হামলার বিষয়ে গত শুক্রবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জয়শঙ্কর। তিনি লাভরভকে জানান, পহেলগাঁও হামলায় ষড়যন্ত্রকারী, সাহায্যকারী, সাহায্যকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতেই হবে। লাভরভ তাঁকে অনুরোধ করেন, যুদ্ধের বদলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পথেই ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে সংঘাত মিটিয়ে নিক। এই প্রসঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক নিয়েও লাভরভ ও জয়শঙ্করের মধ্যে আলোচনা হয়।

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতি

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে (S Jaishankar), দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে রাশিয়া ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার (Europe) পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতির বিষয়ে দুজনে কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণা অনুসরণ করে দুই দেশকে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন লাভরভ (S Jaishankar)।

  • S Jaishankar: ‘‘ভারতের ব্র্যান্ড প্রযুক্তি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ’, ২৬/১১ হামলা টার্নিং পয়েন্ট’’, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘‘ভারতের ব্র্যান্ড প্রযুক্তি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ’, ২৬/১১ হামলা টার্নিং পয়েন্ট’’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার পাকিস্তানকে তোপ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar)। পাকিস্তানকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তাঁর বক্তব্য, পাকিস্তানের পিছনে সময় নষ্ট করার কোনও মানে নেই। তিনি বলেন, “একটা সময় ছিল যখন হামলা হত এবং আমরা শুধু নিন্দা করতাম, তারপর নীরব বসে থাকতাম। কিন্তু ২৬/১১ মুম্বই হামলা এমন এক টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। এটা ভারতের নীতি, চিন্তাভাবনা ও স্টাইল পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল। মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলা ছিল ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। এরপর ভারত বুঝেছিল, পাকিস্তানের মতো দেশের পিছনে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না।”

    পাকিস্তান এখনও পুরনো পথে চলছে

    চারোতর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গত এক দশকে ভারত যে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গিয়েছে তা তুলে ধরেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ২০০৮ সালের মুম্বই সন্ত্রাসী হামলা একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কারণ সে সময় ভারতীয়রা সম্মিলিতভাবে অনুভব করেছিল যে প্রতিবেশী দেশের এ ধরনের আচরণ আর সহ্য করা হবে না। এখনও পাকিস্তান আগের মতোই আছে। তবে আমি আশা করি তাদের মধ্যে কিছু পরিবর্তন হবে।” জয়শঙ্করের কথায়, গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত অনেক এগিয়ে গিয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান এখনও তাদের খারাপ অভ্যাস থেকে বেরোতে পারেনি। তিনি বলেন, “ভারত বদলেছে। কিন্তু পাকিস্তান, দুর্ভাগ্যবশত, এখনও পুরনো পথে চলছে। ভারতের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই নেতিবাচক।”

    পাকিস্তানের পিছনে সময় নষ্টের মানে নেই

    বর্তমানে ভারত সরকার প্রকাশ্যে খুব একটা পাকিস্তান প্রসঙ্গ তোলে না, খুব কমই আলোচনা করে, কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) স্পষ্ট করে বলেন, “পাকিস্তান নিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনও প্রয়োজন নেই।” বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “ভারত বদলে গিয়েছে। এদিকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তান নানাভাবে অন্যায় কাজে লিপ্ত থেকেছে। আমি বলব, ২৬/১১ মুম্বই হামলা ছিল টার্নিং পয়েন্ট। আমার মনে হয়, সে সময় ভারতের জনগণ এবং সব রাজনৈতিক দল বলেছিল, এটা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।” ২০০৮ সালে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে পরোক্ষ কটাক্ষ করে জয়শঙ্কর বলেন,“আমার মনে হয় সমাজে এই অনুভূতি খুব প্রবল ছিল, কিন্তু সেই সময় সরকার হয়তো এটা পুরোপুরি বুঝতে পারেনি, সেটা আলাদা বিষয়।” রাজ্যসভার সাংসদ জয়শঙ্কর জানান, ২০১৪ সালে সরকার বদলের পর পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলতে থাকলে, তাদের এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ভারত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে গিয়েছে। বিশ্বে ভারতের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান পুরনো নীতি অনুসরণ করে চলেছে।

    ভারতের ব্র্যান্ড হল প্রযুক্তি, পাকিস্তানের সন্ত্রাস

    আফগানিস্তানে আমেরিকার উপস্থিতির সময় পাকিস্তানের ‘দ্বিচারিতা’ নিয়েও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, যে সন্ত্রাসের অবকাঠামো পাকিস্তান গড়ে তুলেছিল, তা পরে তাদের বিরুদ্ধেই ফিরে এসেছে। জয়শঙ্করের কথায়, “আজকের দিনে ভারতের ব্র্যান্ড হল প্রযুক্তি। আর ওদের ব্র্যান্ড হয়ে গেছে সন্ত্রাসবাদ। আমরা সন্ত্রাসের জবাব দেব, কিন্তু কেন তাদের নিয়ে সময় নষ্ট করব?” তবে, সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে ভারত যে একচুলও জমি ছেড়ে কথার বলার মেজাজে নেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ উঠতেই বিদেশমন্ত্রী নিরাপত্তার চ্য়ালেঞ্জকে কী ভাবে নরেন্দ্র মোদি সরকার পার করেছে তার খতিয়ানও তুলে ধরেন।

    সন্ত্রাসের জবাব দিতেই হবে

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সংযোজন, “২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মতো হামলা যদি বর্তমান সময়ে হত, আর আমরা যদি জবাব না দিতাম তাহলে পরবর্তী হামলার সময় কী ভাবে আমরা নিজেকে রক্ষা করতাম? সন্ত্রাসবাদীদের এটা কখনও ভাবতে দেওয়া চলবে না যে তারা সীমান্তের বাইরে রয়েছে বলেই তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পরে, এমন একজন ব্যক্তিও ছিল না যে মনে করেছিল যে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত। তখনকার ইউপিএ সরকার শুধু দফায় দফায় আলোচনা করেছিল। অথচ কোনও সিদ্ধান্তেই পৌঁছতে পারেনি। শুধুমাত্র এটা ভাবতে ভাবতেই সময় কাটিয়ে দেয় যে পাকিস্তান আক্রমণের খরচ পাকিস্তান আক্রমণ না করার খরচের চেয়েও বেশি।”

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নীতিতেই শক্তিশালী ভারত

    সন্ত্রাস মোকাবিলায় মোদি সরকারের আমলে যে কৌশল নেওয়া হয়েছে তা ২০০৮ সালের মুম্বইয় হামলার সময় থেকে পালটে গিয়েছে অনেকটাই। বিদেশমন্ত্রী মনে করিয়েছেন, “উরি হামলার পর ভারত কী ভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছিল সকলের নিশ্চই মনে আছে। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ধরন পালটে গিয়েছে অনেকটাই। আগে ভারত সীমান্তের উপর সন্ত্রাসবাদ সহ্য করত। তবে সেসব এখন অতীত। ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর থেকে কোনও বড় সন্ত্রাসবাদ হামলা হয়নি দেশে। বর্তমান ভারতে যে কোনও সন্ত্রাসবাদের যোগ্য জবাব দেবে।” চিন সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিক্রিয়া ছিল “দ্রুত, জোরালো এবং সুসংগঠিত”—যা একটি শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রতিফলন।

  • S Jaishankar: “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে,” ইউনূসকে মনে করালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে,” ইউনূসকে মনে করালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে স্থলবেষ্টিত আখ্যা দেওয়ায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) কড়া সমালোচনা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “নয়াদিল্লি বিশ্বাস করে, সহযোগিতা হল একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গী, এটি কোনওভাবেই পছন্দ-অপছন্দের বিষয় নয়।” সরকারি বিবৃতিত বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনে (বিমস্টেক) তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন।” তিনি বলেন, “ভারত বিমস্টেকে তার দায়িত্ব উপলব্ধি করে এবং অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্ক অবগত।” তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বাস করে যে আঞ্চলিক সহযোগিতা একটি সমন্বিত পদ্ধতি এবং এটি নির্বাচিত বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে।”

    ইউনূসের দাবি (S Jaishankar)

    গত সপ্তাহে চার দিনের চিন সফরে গিয়েছিলেন ইউনূস। সেখানে তিনি দেখা করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। চিনকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর আর্জি জানান তিনি। সেই সূত্রেই চিনকে বাংলাদেশের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “সমুদ্রের (বঙ্গোপসাগর) একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য ইউনূসের দাবির প্রতি পরোক্ষ খোঁচা।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর বলেন, “বঙ্গোপসাগরে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কিলোমিটারের উপকূলরেখা রয়েছে ভারতের। বঙ্গোপসাগরে এটিই দীর্ঘতম উপকূলরেখা। বিমস্টেকের পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে এবং সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগ দেশকেই যুক্ত করে ভারত। কেবল তাই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশ ও অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স গোষ্ঠীর দেশগুলির মধ্যে সমন্বয়ও রক্ষা করে ভারত।” বিশেষ করে উত্তরপূর্বের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বিদেশমন্ত্রী জানান, এই যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল হিসেবে উঠে এসেছে উত্তরপূর্ব ভারত। তিনি (S Jaishankar) জানান, ভারত বিশ্বাস করে সহযোগিতা একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়, শুধুমাত্র একটি লাভদায়ক বা সুবিধাজনক বিষয় বেছে নেওয়া নয়।

    জয়শঙ্কর বলেন, “বৃহত্তর ভৌগোলিক অবস্থানে পণ্য, পরিষেবা ও মানুষের সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য আমাদের সহযোগিতা ও পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভৌগোলিক স্ট্র্যাটেজি মাথায় রেখেই আমরা বিগত এক দশক (Muhammad Yunus) ধরে বিমস্টেককে শক্তিশালী ও মজবুত করছি (S Jaishankar)।”

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে আর বিদেশ সফরের অনুমতি নয়, জয়শঙ্করকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতাকে আর বিদেশ সফরের অনুমতি নয়, জয়শঙ্করকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর যাতে সরকারি সফরে বিদেশে যেতে অনুমতি দেওয়া না হয়, সেজন্য আমি বিদেশমন্ত্রীকে (S Jaishankar) অনুরোধ করেছি।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। লন্ডন সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য পেশ করেছেন, তাকে ‘দেশ ও জাতীয়তাবাদী বিরোধী’ বলে দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। সেই কারণেই বিদেশমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। এদিন সন্ধ্যায় বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান শুভেন্দু।

    জয়শঙ্করকে চিঠি (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি জয়শঙ্করজিকে একটা চিঠি লিখেছি। ভারত সরকারের অনুমোদন নিয়ে হাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় উনি যেভাবে ভারতকে ছোট করেছেন, সেই প্রসঙ্গে। সাংবাদিক যখন বলছেন, ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে যাবে, তখন উনি বলছেন, না, না, আমি মানি না। উনি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়েছেন, না ভারতকে ছোট করতে গিয়েছেন?” এর পরেই শুভেন্দু বলেন, “আমি জয়শঙ্করজিকে বলেছি ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে আপনার। আপনি ব্যবস্থা নিন। আর এর পরে আর ওঁকে অনুমতি দেবেন না।”

    মমতাকে নিশানা

    মমতাকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “এছাড়াও, ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শাসনকে উনি দারুনভাবে গ্লোরিফাই করেছেন। আমার বাড়ির লোক ব্রিটিশের জেলে ছিল। বিপিন অধিকারী। আমি সেটা মেনে নেব না কি আমরা তো মেদিনীপুর স্বাধীন করে দিয়েছিলাম ১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার করেছিলাম। আমরা পাঁচ বছর আগে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছি। আর আপনি গিয়ে বললেন, ব্রিটিশরা ১৯০ বছর ধরে অনেক কিছু করে দিয়ে গিয়েছে!”

    বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, “ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরার আত্মবলিদানের মূল্য নেই যে মাটিতে বন্দে মাতরম তৈরি (S Jaishankar) হয়েছে, যে মাটি জাতীয় সঙ্গীত দিয়েছে, সেই মাটি থেকে গিয়ে আপনি ব্রিটিশের প্রশংসা করছেন?” তিনি বলেন, “কালাপানিতে যাঁরা অত্যাচারিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি বাঙালি ছিলেন। একটা দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, জাতীয়তাবাদ বিরোধী, স্বাধীনতা আন্দোলন বিরোধী মানুষ। ওঁর বিরুদ্ধে সর্বত্র দেশপ্রেমিকদের আন্দোলনে নামা উচিত।”

    মমতার ব্রিটেন-প্রেম!

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে দেওয়া তাঁর বক্তৃতার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “আমি ব্রিটেনকে ভালোবাসি। কারণ আমাদের মধ্যে একটি আবেগগত সম্পর্ক রয়েছে, একটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে…ঐতিহ্যের দিক থেকে আমাদের ও তোমাদের।” তিনি বলেন, “১৯০ বছর ধরে তোমরা ভারত শাসন করেছ, আর বাংলা শাসন করেছ…আমরা কি তা ভুলে যাব ভারত তোমাদের সব সময় মনে রাখে, আর বাংলাও তোমাদের মনে রাখে (S Jaishankar)।”

    স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে অবজ্ঞা!

    শুভেন্দুর অভিযোগ, “লন্ডনে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য দেশের ঔপনিবেশিক শাসকদের প্রতি অতিরিক্ত প্রশংসার প্রতিফলন ঘটায়।” তিনি এই ধরনের মন্তব্যকে একজন বাঙালির জন্য ‘অচিন্ত্যনীয়’ বলেও অভিহিত করেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ শাসন প্রতিরোধে বাংলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।” তিনি যুক্তি দেন, ঔপনিবেশিক অতীতকে মহিমান্বিত করা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে অবজ্ঞা করার সমতুল।

    বিদেশের মাটিতে ভারতের সুনাম নষ্ট

    অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে কেলগ কলেজ। সেখানেই বক্তৃতা দিতে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই বক্তৃতায় তিনি ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে খাটো করে দেখানোর অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের পদ্ম-বিধায়ক। শুভেন্দু বলেন, “একজন বক্তা যখন জোর দিয়েছিলেন যে, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা ২০৬০ সালের মধ্যে বৃহত্তম হয়ে উঠবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কিন্তু ব্যানার্জি তার বিরোধিতা করে বলেন, আমি এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করব।” মমতার বক্তব্যকে শুভেন্দু কেবলমাত্র বিশ্বাসঘাতকতা ও সমস্ত বাংলার এবং ভারতীয়দের জন্য লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ব্যানার্জি ইচ্ছাকৃতভাবে বিদেশের মাটিতে ভারতের সুনাম নষ্ট করেছেন। শুভেন্দু মমতার মন্তব্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করার ও ভবিষ্যতে তাঁকে সরকারি বিদেশ সফরে যাওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য বিদেশমন্ত্রকের প্রতি আহ্বান জানান।

    প্রসঙ্গত (Suvendu Adhikari), মুখ্যমন্ত্রীর ব্রিটেন সফর বিতর্কমুক্ত ছিল না। কেলগ কলেজেও বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। বিক্ষোভকারীরা পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-সম্পর্কিত হিংসা এবং আরজি করকাণ্ডে (S Jaishankar) তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্ল্যাকার্ড ধরেছিলেন (Subhendu Adhikari)।

  • S Jaishankar: “ভারত চেষ্টা করেও প্রতিবেশীর মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না”, পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারত চেষ্টা করেও প্রতিবেশীর মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না”, পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নয়াদিল্লি বারংবার স্পষ্টভাবে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু একটি প্রতিবেশী দেশের (পড়ুন, পাকিস্তান) উন্মত্ত ও সংকীর্ণ মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে (Pakistan) না।” শুক্রবার লোকসভায় কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে জয়শঙ্কর পাকিস্তানে ফেব্রুয়ারি মাসে হিন্দুদের ওপর হওয়া ১০টি হামলার ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর মধ্যে সাতটি ঘটনায় অপহরণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, দুটি ঘটনায় অপহরণ এবং একটি ঘটনায় হোলি উদযাপনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

    শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন ঘটনা (S Jaishankar)

    জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানে শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তিনটি ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনায় একটি শিখ পরিবারকে আক্রমণ করা হয়। অন্য ঘটনায় একটি পুরানো গুরুদ্বার পুনরায় খোলার কারণে একটি শিখ পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। ওই সম্প্রদায়ের একটি মেয়ের অপহরণ ও ধর্মান্তরকরণের সমস্যাও ছিল। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি মামলাও ছিল। একটি ঘটনায় একটি মসজিদ সিল করে দেওয়া হয় এবং অন্য ঘটনায় ৪০টি কবর ভেঙে ফেলা হয়। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলাও ছিল, যেখানে একজন খ্রিস্টানকে, ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর কঠোর অবস্থানের মতো কোনও কঠোর পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “একটি সরকার ও দেশ হিসেবে আমরা প্রতিবেশীর ধর্মান্ধ ও সংকীর্ণ মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারি না। ইন্দিরা গান্ধীও তা পারেননি (Pakistan)।” ২৬ মার্চ হিউম্যান রাইটস ফোকাস পাকিস্তান ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে সংস্থাটি এই ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে বলে যে, সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাবের কারণে সাহায্য ও ন্যায়বিচার এখনও অধরা রয়েছে।

    হিউম্যান রাইটস ফোকাস (S Jaishankar) পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নাভিদ ওয়াল্টার বলেন, “পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা হামলা, হত্যা, ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগ, অপহরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও জোরপূর্বক বিয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য। তাদের দুর্দশা ও অবহেলার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ না দেওয়া আরও বেশি বেদনাদায়ক (Pakistan)।”

  • S Jaishankar: ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বাজার অর্থনীতি, ধর্মের প্রতি সম্মান ভারতীয় সমাজের মৌলিক দিক’, অভিমত জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বাজার অর্থনীতি, ধর্মের প্রতি সম্মান ভারতীয় সমাজের মৌলিক দিক’, অভিমত জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে বোঝার জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে গ্লোবাল সাউথ এবং গণতন্ত্র। ভারত একটি এমন বিশ্বে অভিযোজন করেছে এবং পথ চলেছে যা “সবসময় আমাদের সদয়” এবং “সবসময় আমাদের প্রতি সহনশীল” ছিল না, তবে দেশটি তার ইতিহাস এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এগিয়ে এসেছে, বলে অভিমত প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার ‘রাইসিনা ডায়লগ’ (Raisina Dialogue 2025) অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে কাশ্মীর দখল করে রাখার প্রসঙ্গে তুলে পাকিস্তানকেও এক হাত নিয়েছেন তিনি।

    ভারতকে বুঝতে প্রয়োজন বিশেষ জ্ঞান

    ভারতের আসল অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমার মতে, ভারতের বিষয়ে বোঝার জন্য তিনটি-চারটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, গ্লোবাল সাউথ, উপনিবেশবাদের পরিপ্রেক্ষিত, কারণ ভারতের বৈশ্বিক অবস্থানকে বোঝার জন্য উপনিবেশী ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত হওয়া জরুরি। যখন আপনি স্বাধীনতা হারিয়ে ফিরে পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করেন, তখন তার সঙ্গে একটি মানসিকতা তৈরি হয়। তাই গ্লোবাল সাউথ একদম গুরুত্বপূর্ণ।” বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) আরও বলেন, “দ্বিতীয়ত, আমরা ১৯৪০-এর দশকে একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হতে বেছে নিয়েছি। আমি মনে করি আমরা এ বিষয়ে আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য থেকে শিক্ষা নিয়েছি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বাজার অর্থনীতি, এবং ধর্মের প্রতি সম্মান—এটি আমাদের সমাজের মৌলিক দিক। কখনো কখনো আমরা নিজেদের মধ্যে এটা কিছুটা গুরুত্বহীন ভাবতে পারি, তবে আমাদের অনেক সিদ্ধান্ত এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে নেওয়া হয়।” বিশ্বের প্রতি ভারতের অভ্যন্তরীণ অভিযোজনের কথা তুলে ধরে জয়শঙ্কর বলেন, “তৃতীয়ত, আমি বলব, আমাদের এমন একটি পৃথিবীতে অভিযোজন করার দক্ষতা তৈরি হয়েছে, যা সবসময় আমাদের প্রতি সদয় বা সহনশীল ছিল না। তবে আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে গেছি। আজ, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে, পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে, সম্ভবত এই দশকের শেষে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে, আমাদের অবদান আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

    প্রসঙ্গ কাশ্মীর

    কাশ্মীর (Kashmir) প্রসঙ্গে এদিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেছেন, ‘আমরা সবাই সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার কথা বলি। বিশ্বের বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে যা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অন্য কোনও দেশের এলাকায় সবথেকে দীর্ঘ অবৈধ উপস্থিতির সাক্ষী রয়েছে ভারতের কাশ্মীর।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং পশ্চিমী বিশ্বের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জয়শঙ্কর। সেই হতাশাও এদিন ব্যক্ত করেছেন তিনি।

  • S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুরনো উদারনৈতিক নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার পর চরম চাপে পড়েছে।” কথাগুলি (Global Order) বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি মনে করেন, “এটি অনেক দিন ধরেই হয়ে আসছিল।” জয়শঙ্কর বিস্মিত যে তামাম বিশ্ব আশ্চর্য হচ্ছে এই ভেবে যে ট্রাম্প যা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা-ই করছেন। তিনি বলেন, “হয়তো আমি তাঁকে আরও সরলভাবে নিয়েছিলাম।”

    মাল্টি-পোলার বিশ্ব (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন, আমেরিকানরা এখন যে মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলছেন, তা একসময় ছিল নয়াদিল্লির আলোচনার বিষয়। জয়শঙ্করের ইঙ্গিত, তিনি পুরোনো বিশ্বব্যবস্থার কিছুই মিস করবেন না। কারণ তিনি একজন বাস্তববাদী। তিনি যা আছে, তাই নিয়েই কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কেউ বাস্তববাদী হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তাঁর মধ্যে বিশ্বাস, প্রত্যয় কিংবা অনুভূতি নেই।’’ বিদেশমন্ত্রীর দাবি, ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’জনেই সমমনস্ক জাতীয়তাবাদী। ফলে বিরোধের অবকাশ নেই। গত ৫ মার্চ মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর নীতি থেকে বাদ পড়বে না ভারত। তিনি বলেন, ‘‘ভারত আমাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই ব্যবস্থা আমেরিকার প্রতি ন্যায্য নয়, কখনওই ছিল না।’’

    তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন

    জয়শঙ্কর বলেন, “তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন। অন্যথায় এটি খুবই অরাজক হয়ে উঠবে।” তিনি বলেন, “অসংযত প্রতিযোগিতা চাপ বাড়িয়ে তুলবে। ভারতের এমন একটি শৃঙ্খলার দরকার যা বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সেই শৃঙ্খলাকে নয়, যা পশ্চিমিদের পক্ষে ছিল।” তিনি বলেন, “পুরানো বিশ্বব্যবস্থার গুণাগুণ অতিরঞ্জিত করা হয়েছে (S Jaishankar)।” তিনি জানান, ভারত দীর্ঘদিন ধরে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি চলে এসেছে। ট্রাম্প ও মোদির নেতৃত্বে—যারা উভয়েই জাতীয়তাবাদী নেতা—এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্পর্কের এই উন্নতির মধ্যেও, ট্রাম্প বারবার ভারতকে শুল্ক অপব্যবহারকারী বলে আক্রমণ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে মোদির হোয়াইট হাউস সফরের সময়ও শানিয়েছিলেন এই আক্রমণ।

    শুল্ক ধাঁধার সমাধান

    নয়াদিল্লি কীভাবে ট্রাম্পের শুল্ক ধাঁধার সমাধান করবে? জয়শঙ্কর বলেন, “আমি মনে করি, ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে কিছু ‘সমস্যা’ থাকলেও, শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে।” তিনি বলেন, “ট্রাম্প কঠোর জাতীয়তাবাদী। তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিষয়ে বাস্তববাদীও।” ভারতের অবস্থান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে পশ্চিমিদের হতাশ করেছে। নয়াদিল্লি মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের নিন্দা করা থেকে বিরত রয়েছে। জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত সব সময় তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখে। তাই সে মস্কোর সঙ্গে তার পুরনো সম্পর্ক ত্যাগ করতে পারে না।” তিনি বলেন, “মানুষ প্রায়ই নীতিগত বিষয়গুলিকে বড় করে তোলেন (S Jaishankar)।”

    দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি

    তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাশিয়া চিনের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এটি কি নয়াদিল্লির জন্য সমস্যা হতে পারে? এর পরেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছি, যা ইঙ্গিত দেয় যে চিন ও পশ্চিমিদের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক পরিবর্তিত হলেও পুরানো অংশীদারদের সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।” জয়শঙ্কর স্বীকার করেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। কারণ দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, “যদি ট্রাম্প চিনের সঙ্গে কোনও চুক্তি করেন, তাহলে সেই পরিস্থিতির জন্য ভারত তার নীতিগুলি প্রস্তুত রাখবে (Global Order)।”

    ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি নিয়ে ভারতের রফতানিকারক সংস্থাগুলি চিন্তায় পড়লেও এখনও প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সাউথ ব্লক অফিসিয়ালি কিছু বলেনি। চলতি সপ্তাহে আমেরিকা সফরে গিয়ে ট্রাম্প সরকারের বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটকিনের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিরের ভবিষ্যৎমুখী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনাও করেন তিনি। শুক্রবার গোয়েল জানান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ এর ‘বিকশিত ভারত’-এর পাশাপাশি সার্বিক রণকৌশলগত বোঝাপড়ার নীতি মেনে চলা হবে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ছেঁটেছে মোদি সরকার (Global Order)। জয়শঙ্করের মন্তব্যের পরে অনেকে মনে করছেন, আগামী দিনে সেই তালিকা দীর্ঘতর হতে চলেছে (S Jaishankar)।

  • Jaishankar: জয়শঙ্করের ওপর হামলায় পুড়েছে মুখ, ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে নিন্দা জানাল ব্রিটেন

    Jaishankar: জয়শঙ্করের ওপর হামলায় পুড়েছে মুখ, ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে নিন্দা জানাল ব্রিটেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে (London) ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (Jaishankar) ওপর হামলার ঘটনায় মুখ পুড়েছে ব্রিটেনের। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে পড়েছে ব্রিটিশ প্রশাসন। কার্যত বাধ্য হয়ে ২৪-ঘণ্টা পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সেদেশের প্রশাসন। একইসঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংসদেও এই ঘটনা উত্থাপন করা হয়েছে। এই আবহে ভারতের বিদেশমন্ত্রক তলব করে ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি ক্রিস্টিনা স্কটকে। এই ঘটনা সম্পর্কে তাঁর কাছেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ব্রিটেন বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল হল লেবার পার্টি। বিরোধী আসনে রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। দুই দলই এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শাসক দল প্রতিশ্রুতি দেয়, এমন ঘটনা আগামীদিনে ঘটবে না। ব্রিটিশ সংসদে এবিষয়ে প্রথম বক্তব্য রাখেন ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান। তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেন ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা লুসি পাওয়েল। একইসঙ্গে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে এসেছে ব্রিটেনের বিদেশ, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন দফতরের।

    ব্রিটেনের বিদেশ, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন দফতরের বিবৃতি

    ব্রিটেনের বিদেশ, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন দফতর এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তারা বলে, ‘‘বুধবার ভারতের বিদেশমন্ত্রীর ব্রিটেন সফরের (Jaishankar) সময় চ্যাথাম হাউসের বাইরে যে ঘটনাটি ঘটে, তার তীব্র নিন্দা জানাই।’’ এর পাশাপাশি ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘যদিও ব্রিটেন শান্তিপূর্ণ যেকোনও প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করে, তবুও এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলিতে ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া বা বাধা দেওয়ার যেকোনও রকমের প্রয়াস কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ করেছে এবং আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা অনুসারে আমাদের সমস্ত কূটনৈতিক অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’

    ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যানের বিবৃতি

    ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান সে দেশের সংসদ হাউস অফ কমন্স-এ বিদেশ মন্ত্রী (Jaishankar) এস জয়শঙ্করের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং তীব্র নিন্দা করেন। বৃহস্পতিবারই বব ব্ল্যাকম্যান হাউস অফ কমন্স-এর অধিবেশন চলাকালীন খালিস্তানি উগ্রপন্থীদের এমন আচরণে কড়া নিন্দা করেন এবং এই ঘটনাকে তিনি গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননা বলে মন্তব্য করেন। এর পাশাপাশি ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব ইভেট কুপারের কাছে বব ব্ল্যাকম্যান আবেদন জানান যাতে তাঁদের দেশে যে অতিথিরা আসবেন, তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা যেন সুনিশ্চিত করা যায়। জয়শঙ্করের (Jaishankar) কনভয়ে যেভাবে খালিস্তানি উগ্রপন্থী ঢুকে পড়ে এবং ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে দেয় সে নিয়েই ব্ল্যাকম্যান সংসদে বলেন, ‘‘খালিস্তানি উগ্রপন্থীরা যেভাবে আক্রমণ করেছে, তা জেনেভা কনভেনশনের বিরোধী। মনে হচ্ছে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী জনশঙ্করের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে এ ধরনের ঘটনা যেন আগামী দিনে না ঘটে।’’

    ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির বিবৃতি

    এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়ায় সে দেশের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির হাউস অফ কমেন্স-এর নেতা লুসি পাওয়েল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,‘‘ভারতের একজন সরকারি অতিথির ওপর এমন গুরুতর আক্রমণের প্রচেষ্টা শুনে আমি খুবই দুঃখিত। এটা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা আমাদের অতিথিদের সঙ্গে যেমন ধরনের ব্যবহার করতে চাই এটা তা নয়।’’ এর পাশাপাশি লেবার পার্টির ওই নেতা বব ব্ল্যাকম্যানকে পূর্ণ আশ্বাস দেন যে আগামীদিনে এধরনের ঘটনা ঘটবে না। এদিকে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এই ঘটনায় ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি ক্রিস্টিনা স্কটকে তলব করে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর পাশাপাশি ব্রিটিশ সরকারকে তাদের কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা পালন করার আহ্বানও জানিয়েছে।

    লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ কী জানাল?

    লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। তারা জানিয়েছে যে একজন বিক্ষোভকারী বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের (Jaishankar) দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির সামনে চলে আসে। কিন্তু পুলিশ ওই ব্যক্তিকে দ্রুত বাধা দেয় এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রীর পথ থেকে সরিয়ে দেয়। লন্ডনের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এরপরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী আর কোনও বাধা পাননি। এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেও জানিয়েছে লন্ডন পুলিশ। প্রসঙ্গত, এই ঘটনাটি ঘটে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অফিস চ্যাথাম হাউসে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ড সফরে রয়েছে। তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিনেই ঘটে এমন ঘটনা।

  • Khalistani: লন্ডনে জয়শঙ্করকে হেনস্থার চেষ্টা, তিরঙ্গা ছিঁড়েও ছাড়! ব্রিটেন কি এখন খালিস্তানিদের ‘আপন দেশ’?

    Khalistani: লন্ডনে জয়শঙ্করকে হেনস্থার চেষ্টা, তিরঙ্গা ছিঁড়েও ছাড়! ব্রিটেন কি এখন খালিস্তানিদের ‘আপন দেশ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেন সফরে রয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর সফরে খালিস্তানপন্থী (Khalistani) উগ্রপন্থীরা তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভারতজুড়ে। উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। বিদেশমন্ত্রীর গাড়িকে লক্ষ্য করে ছুটতে দেখা যায় খালিস্তানপন্থী এক উগ্রপন্থীকে। সেখানে ভারতের জাতীয় পতাকাও ছিঁড়ে ফেলা হয়। ব্রিটিশ (United Kingdom) পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাদেরকে বড়ই অসহায় মনে হতে থাকে। যখনই ঘটনা ঘটছিল তারা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। তবে খালিস্তানপন্থীদের এমন আচরণ আরও একবার প্রশ্ন তুলল যে ব্রিটেন কি খালিস্তানপন্থীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে? এর পাশাপাশি এই ঘটনা আরও একবার সামনে আনল সে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক কতটা দুর্বল। যদি একটি দেশের বিদেশমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাহলে কল্পনা করাই যেতে পারে সাধারণ মানুষের জন্য ব্রিটেনে নিরাপত্তার ঠিক কী অবস্থা।

    নিন্দা জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক খালিস্তানপন্থীদের (Khalistani) এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী চরমপন্থীদের উস্কানিমূলক কার্যকলাপ বলে এই ঘটনাকে অভিহিত করেছে বিদেশমন্ত্রক। একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমরা বিদেশমন্ত্রীর সফরে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ফুটেজ দেখেছি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি ব্রিটিশ সরকার তাদের কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা সম্পূর্ণভাবে পালন করবে।’’

    এমারজেন্সি সিনেমার প্রদর্শনের সময় চলে বিক্ষোভ

    প্রসঙ্গত, ভারত বারবার বলে আসছে যে ব্রিটেনে খালিস্তানপন্থীদের (Khalistani) কার্যকলাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু খালিস্তানপন্থী উগ্রপন্থীকে দেখা যায় যে ব্রিটেনে এমারজেন্সি সিনেমার প্রদর্শনের সময় তার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে। থিয়েটারের বাইরে এই বিক্ষোভ চললেও, ব্রিটেন প্রশাসন এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপই করেনি। পরবর্তীকালে ওই বিক্ষোভের পরে পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। তারা জানায় যে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু যখন তাদের বলা হয় যে ভারতীয়রা সিনেমা হলের ভিতরে আছে, তখন কেন এই খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের মামলা রুজু করা হল না? তখন আশ্চর্যজনকভাবে ব্রিটিশ পুলিশ উত্তর দেয় যে খালিস্তানপন্থী নিজেদের অধিকারের দাবিতে এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।

    খালিস্তানপন্থীদের আপন দেশ ব্রিটেন?

    খালিস্তানপন্থী (Khalistani) জঙ্গিদের কার্যকলাপ নিয়ে সম্প্রতি সামনে এসেছে এক রিপোর্টে। ১৬৫ পাতার এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে কীভাবে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে ব্রিটেন এবং ব্রিটিশ প্রশাসনের নাকের ডগাতেই তারা ভারত বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই রিপোর্টে ৩৩ বার উল্লেখ করা হয়েছে খালিস্তান শব্দ। কিন্তু পরবর্তীকালে রিপোর্টটি ধামাচাপা পড়ে যায়। অনেকের ব্যাখ্যা, চাপের কারণেই ধামাচাপা পড়েছে ওই রিপোর্ট। খালিস্তানপন্থীরা ব্রিটেনে এতটাই প্রভাবশালী যে তাদের চাপে এই রিপোর্টকে ধামাচাপা দিতে হয় ব্রিটিশ সরকারকে। প্রসঙ্গত, রিপোর্টটি তৈরি করেছিলেন ব্রিটেনের পাঁচজন মন্ত্রী, চারজন সেক্রেটারি। ধামাচাপা পড়লেও এই রিপোর্টেই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে কীভাবে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত চলছে ব্রিটেনে। ওই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে আর বেশ কিছু শিখ ও উগ্রপন্থী গ্রুপ নিজেদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে চলেছে ফান্ডিং এর জন্য। এই ফান্ডিং তারা কাজে লাগাচ্ছে ঘৃণার প্রচার ও সাম্প্রদায়িকতায়। এই আবহে মনে হচ্ছে ব্রিটেন যেন খালিস্তানপন্থীদের নিজের দেশ হয়ে উঠেছে।

    হেনস্থার চেষ্টা বিদেশমন্ত্রীকে, নিরাপত্তাহীনতায় প্রবাসী ভারতীয়রা

    প্রসঙ্গত ব্রিটেনে ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে হেনস্তা করার এমন প্রচেষ্টায় যে কোনও ব্যক্তি খুব ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারছেন যে খালিস্তানপন্থীদের সমস্যা ব্রিটেনে ঠিক কোন জায়গায় পৌঁছেছে! খালিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভ হামলার একাধিক ঘটনা সাম্প্রতিককালে ঘটেছে। এই সমস্ত ঘটনায় যখন তদন্তের দাবি উঠেছে সেই সময় ব্রিটেনের প্রশাসন বারবার এগুলোকে ধামাচাপা দিয়েছে। তাদের যুক্তি এগুলো নাকি বাক স্বাধীনতার অধিকার। ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়রাও ভয় পাচ্ছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের এমন কাজে। এই প্রবাসী ভারতীয়রা এতটাই ভীত হয়ে রয়েছেন যে তাঁরা জানাচ্ছেন যে, কোনও মুহূর্তে তাঁদের ওপরে বড়সড় ধরনের হামলা শুরু হতে পারে এবং তাঁদেরকে ভারতে ফেরত যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে। শুধুমাত্র তাই নয়। যে সমস্ত শিখ পরিবার এই খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের সমর্থন করেন না, তাঁরাও ব্রিটেনে নিরাপদ নয়। একটি শিখ পরিবার সম্প্রতি একটি ভিডিও আপলোড করে টিকটকে এবং তারপর থেকেই তাঁরা জানায় যে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা লাগাতার খুনের হুমকি দিচ্ছে তাঁদের।

    হামলা-ভাঙচুরও ব্রিটেনে বাক স্বাধীনতা?

    ২০২৩ সালে একদল খালিস্তানপন্থী (Khalistani) উগ্রপন্থী ভারতীয় দূতাবাসের উপর হামলা চালায় ভয়ঙ্কর সেই হামলায় দুজন কর্মী আহত হন। কিন্তু তারপরেও নিশ্চুপ ছিল ব্রিটিশ প্রশাসন। এত সাহস খালিস্তানপন্থীরা পাচ্ছে কোথা থেকে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, এর কারণ হল তাদের পিছনে রয়েছে একটি বড় শক্তি। যে শক্তি সরকারের নির্ণায়ক শক্তি। যাদেরকে রাজনীতির পরিভাষায় বলা যায় চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী। ব্রিটিশ সরকারের একটাই কথা এগুলো সবটাই বাক স্বাধীনতা। কিন্তু বিদেশমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, তাঁর গাড়িতে হামলা চালানোর প্রচেষ্টা, ভারতের দূতাবাসে হামলা চালানো-এগুলো কোন মাপকাঠিতে বাক স্বাধীনতা?

  • S Jaishankar: ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশ জুড়তে পারলেই সমাধান হবে কাশ্মীর সমস্যার’’, স্পষ্ট কথা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশ জুড়তে পারলেই সমাধান হবে কাশ্মীর সমস্যার’’, স্পষ্ট কথা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীর যদি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় তবেই মিটে যাবে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ সংঘাত! ব্রিটেন সফরে গিয়ে এমনই দাবি করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তাঁর মন্তব্য, ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশটুকু জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে জুড়ে দিতে পারলেই সমস্যার সমাধান হবে।’’ অর্থাৎ পাকিস্তানই যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কাশ্মীর সমস্যাকে জিইয়ে রেখেছে। এদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সে কথাই ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    পাক-অধিকৃত কাশ্মীর কি ফেরত আসছে?

    লোকসভা ভোটের সময় থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ইস্যুতে জোর চর্চা শুরু হয়। ২০২৪ সালের মে মাসে দুদিন জয়শঙ্করকে এনিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আশা করব দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মনে করেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ এবং তা আমাদের কাছে ফের আসা উচিত।’’ সেসময় একাধিক জনসভায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে মন্তব্য করতেও শোনা যায়, অধিকৃত কাশ্মীর খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে ভারতে। এই আবহে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে জয় শঙ্করের এমন মন্তব্যে ফের একবার চর্চা শুরু হয়েছে এই ইস্যুতে। মোদি সরকার পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত আনতে কোনও পদক্ষেপ শুরু করে কিনা সেটাই এখন দেখার। গতকাল বুধবার ব্রিটেনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) সাফ জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) থেকে পাকিস্তান সরে গেলেই কাশ্মীর সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হবে। গতকাল বুধবার লন্ডন-থিঙ্কট্যাঙ্ক অনুষ্ঠানে এক অতিথির প্রশ্নের জবাবে তিনি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে এই মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    ব্রিটেনে কী প্রশ্ন করা হয়েছিল বিদেশমন্ত্রীকে (S Jaishankar)

    বুধবার বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন? এর উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমি মনে করি, যে অংশটির জন্য আমরা অপেক্ষা করছি তা হল কাশ্মীরের অধিকৃত হওয়া অংশের প্রত্যাবর্তন, যা অবৈধভাবে পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। যখন এই সমস্যা সমাধান হবে, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, কাশ্মীর সমস্যারও সমাধান করা হবে।’’

    বিদেশমন্ত্রীর জবাবে উঠে এল ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গ

    কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘৩৭০ ধারা বাতিল করা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের আয়োজন সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ।’’ ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন প্রশাসন বহুমুখীতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যা ভারতের স্বার্থের ক্ষেত্রে খুবই অনুকূল ৷ দুই দেশই ইতিমধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সম্মত হয়েছে ৷

    জয়শঙ্করের মন্তব্যকে সমর্থন বিজেপি-কংগ্রেসের

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে এস জয়শঙ্করের এমন মন্তব্যের পরেই বিজেপি এবং কংগ্রেস- এই দুই দলই এই মন্তব্যের সমর্থন করেছে। প্রত্যেক দলই দাবি করেছে যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর হল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিজেপির নেতা মুক্তার আব্বাস নখভি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ভারতীয় সংসদ ১৯৯৪ সালে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে যে জম্মু-কাশ্মীর এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর এই দুটোই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রায় কুড়ি বছর আগে পাশ হওয়া এই প্রস্তাবটি আজও একটি ভিত্তিপ্রস্তর এবং এখানেই ভারতের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।’’ এই আবহে মোদি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলিকেও তুলে ধরেন তিনি। বিশেষত জম্মু কাশ্মীরের সীমানা নির্ধারণ ও রাজ্যের বিধানসভায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য ২৪টি আসন সংরক্ষণের কথা বলেন তিনি। একই কথা শোনা গিয়েছে বিজেপি বিধায়ক বিক্রম রান্ধোয়ার গলাতে। তিনিও বলেন যে কাশ্মীরের যে অংশ বর্তমানে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তা আমাদের ছিল আছে এবং থাকবে। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিধায়ক রিজওয়ান আরশাদ বিদেশমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত হয়েছেন এবং তাঁর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন।

    অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘ভারতের উত্থান এবং বিশ্বে ভূমিকা’

    প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় লন্ডনের চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্কে ‘ভারতের উত্থান এবং বিশ্বে ভূমিকা’ শীর্ষক একটি সম্মেলনেই বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডে ছয় দিনের সফরে রয়েছেন জয়শঙ্কর ৷ অতিথিদের করা প্রশ্নে চিন সম্পর্কেও মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী। চিনের সম্পর্ক বলতে গিয়ে তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে তিব্বতে কৈলাস পর্বত তীর্থযাত্রার পথ খোলা-সহ বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।

    ব্রিটেন সফরে জয়শঙ্কর বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে

    ব্রিটেন সফরে গিয়ে বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আলোচনা হয় দু’দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া ওই বৈঠকে ছিলেন সে দেশের বিদেশসচিব ডেভিড ল্যামি এবং অন্যান্য বর্ষীয়ান নেতা। বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।

LinkedIn
Share