Tag: s jaishankar

s jaishankar

  • S Jaishankar: ‘প্রয়োজনে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকেই মারব’! সন্ত্রাস দমনে কঠোর ভারত, বুঝিয়ে দিলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘প্রয়োজনে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকেই মারব’! সন্ত্রাস দমনে কঠোর ভারত, বুঝিয়ে দিলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে ‘ভৌগোলিক সীমারেখায়’ বাঁধা থাকবে না ভারত। সন্ত্রাসবাদীরা যদি পাকিস্তানের গভীরে গিয়েও লুকিয়ে থাকে, তাহলেও প্রত্যাঘাত হবে। পাকিস্তান নয়, লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। আর সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য ভবিষ্যতে আরও প্রবল প্রত্যাঘাতের পথে হাঁটতে পারে ভারত। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেন এবং ভাইস প্রেসিডন্ট কাজা কাল্লাসের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়া

    সন্ত্রাস দমনে কোনও ভূমিকা না নেওয়ায় পাকিস্তানকে ফের সরাসরি আক্রমণ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মঙ্গলবার ব্রাসেলস সফরে গিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডন্ট কাজা কাল্লাসের সঙ্গে একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানকে ‘টেররিস্তান’ বলে আক্রমণ করেন জয়শঙ্কর। তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিকে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব হিসেবে না দেখে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা উচিত। এ বিষয়টিকে ‘ভারত বনাম পাকিস্তান’ না ভেবে ‘ভারত বনাম সন্ত্রাসিস্তান’ হিসেবেই দেখা উচিত।’ এই মন্তব্য করে তিনি সরাসরি পাকিস্তানকে একটি ‘সন্ত্রাসপ্রেমী রাষ্ট্র’ বলে আখ্যা দেন এবং সন্ত্রাস ও পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলার আহ্বান জানান। জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ দমনে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার প্রয়োজন।’’ এর পাশাপাশি পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধের আহ্বান জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহনশীলতা থাকা উচিত নয়। এটাও অপরিহার্য যে আমরা কখনওই পারমাণবিক ব্ল্যাকমেলের কাছে নতি স্বীকার করি না। গোটা বিশ্ব এটি একটি চ্যালেঞ্জ, এবং এই বিষয়ে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বোঝাপড়া থাকা অপরিহার্য।’’

    পাকিস্তানের একদম ভিতরে ঢুকে আঘাত

    বিদেশমন্ত্রী মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘যদি সন্ত্রাসবাদীদের তরফে কোনও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ করা হয়, তবে ভারত এর পর পাকিস্তানের একদম ভিতরে ঢুকে আঘাত হানবে।’’ গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর জবাবে ৭ মে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ন’টি সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামোয় হামলা চালিয়েছিল। ইউরোপীয় কমিশনের দুই শীর্ষ আধিকারিকের কাছে জয়শঙ্কর সন্ত্রাস দমনের বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত আর এই ধরনের হামলা সহ্য করবে না। যদি এপ্রিলের মতো বর্বরতা আবার হয়, তাহলে তার কঠিন জবাব দেওয়া হবে। সেই জবাব হবে শুধু জঙ্গি গোষ্ঠী নয়, জঙ্গি নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও।’ তিনি সাফ জানান, ভারতের জবাব ‘ভৌগোলিক সীমারেখায়’ বাঁধা থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘ওরা যদি পাকিস্তানের গভীরে গিয়েও লুকিয়ে থাকে, আমরাও গভীরে ঢুকেই আঘাত করব।’ ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার পুনর্ব্যক্ত তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও সময়, যে কোনও জায়গায়, যদি তারা আমাদের জনগণের ক্ষতি করে থাকে, তাহলে আমদের অধিকার রয়েছে তাদের জবাব দেওয়ার।’’

    পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ সন্ত্রাস

    জয়শঙ্কর বলেন, ‘পাকিস্তান সেই রাষ্ট্র যারা রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হিসেবে সন্ত্রাসকে ব্যবহার করে।’ প্রশ্ন আসে, তাহলে কি উত্তেজনার পেছনে থাকা কারণগুলো এখনও জিইয়ে রয়েছে? জয়শঙ্করের জবাব, ‘আপনি যদি সন্ত্রাসের প্রতি প্রতিশ্রুতিকে সংঘাতের উৎস বলেন, তবে হ্যাঁ, সেটা এখনও আছে।’ ভারতের পাল্টা আক্রমণ নিয়েও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। তিনি জানান, ‘আমার মতে, রাফালের কার্যকারিতা হোক বা ভারতের সামরিক ক্ষমতার প্রমাণ, পাকিস্তানের যে আটটি মূল বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে, তা গুগল স্যাটেলাইট চিত্রেও স্পষ্ট।’ জয়শঙ্কর আরও জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। কিন্তু ভারতের সমস্যা হল পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে প্রকাশ্যে ব্যবহার করে। তিনি বলেন, ‘‘ইউরোপে সন্ত্রাসবাদ ঘটে, কিন্তু কোনও প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশ সন্ত্রাসবাদকে ঘোষিত রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ব্যবহার করে না।’’

    ছ’দিনের ইউরোপ সফরে জয়শঙ্কর

    ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের কূটনৈতিক উদ্যোগে ৩৩টি দেশের রাজধানীতে সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়, যাঁরা পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদতের তথ্য সহ ভারতের সংযত কিন্তু দৃঢ় প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে অবগত করেন। এর পরে সোমবার ছ’দিনের ইউরোপ সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ-সহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নেরর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করাই এই সফরের লক্ষ্য। সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিক সক্রিয়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি জয়শঙ্কর-উরসুলা বৈঠকে ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

  • S Jaishankar: “দিনের আলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছে জঙ্গিরা, সব জানে পাক সরকার”, বিস্ফোরক জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “দিনের আলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছে জঙ্গিরা, সব জানে পাক সরকার”, বিস্ফোরক জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কুখ্যাত জঙ্গিরা সকলে পাকিস্তানেই (Pakistan) রয়েছে। দিনের আলোয় তারা বড় শহরগুলিতে সক্রিয়। তাদের ঠিকানা সকলেই জানেন। তাদের কাজকর্মও সকলেই জানেন। ওদের সঙ্গে কাদের যোগ রয়েছে, তাও সকলের জানা। তাই পাকিস্তান জড়িত নয়, এটা বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই। এই রাষ্ট্রও জড়িত। তাদের সেনাও জড়িত।” এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলে গেলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তার পরেই তাঁর হুঁশিয়ারি, “পাকিস্তান এই জঙ্গি হামলা বন্ধ না করলে ফল ভুগতে হবে।”

    জয়শঙ্করের প্রশ্ন (S Jaishankar)

    পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, বিশ্বের দরবারে তা তুলে ধরতে পৃথিবীর ৩৩টি দেশে ঘুরবে ভারতের ৭টি প্রতিনিধি দল। এহেন আবহে নেদারল্যান্ডসে রয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানকার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের শহরে দিনের আলোয় জঙ্গিরা ঘুরে বেড়ায়। সে দেশে জঙ্গিদের ঠিকানা সকলেই জানেন। পাকিস্তান সরকারের অজান্তে এটা কি আদৌ সম্ভব?” ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে দেশগুলির সঙ্গে ভারত বাণিজ্য করে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল নেদারল্যান্ডস। দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করতেই নেদারল্যান্ডস সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র। আমি এ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি না, বিবৃতি দিচ্ছি।” এ বিষয়ে পাক সরকার যে অবহিত, তাও ফাঁস করে দেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ধরা যাক, “আমস্টারডামের মতো শহরের মধ্যভাগে সেনাকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ সেনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আর আপনার সরকার কিছু জানে না, এটা কি বলতে পারেন? অবশ্যই নয়।”

    পহেলগাঁও হামলার কথা

    জয়শঙ্করের সাক্ষাৎকারে অনিবার্যভাবেই উঠে আসে পহেলগাঁও হামলার কথা। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “ওই ঘটনায় ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। বেশিরভাগই পর্যটক। জঙ্গিরা কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পকে নিশানা করেছে। নিজেদের স্বার্থে তারা কাশ্মীরের জিনিস ধ্বংস করছে। ইচ্ছা করেই হামলার সঙ্গে ধর্মীয় বিষয়ও জড়িয়ে দিয়েছে। এ ধরনের কাজকে গোটা বিশ্বের মেনে নেওয়া উচিত নয়।”

    তবে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কাশ্মীর বিষয়ক আলোচনার যে কোনও সম্পর্ক নেই, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। ভারত যে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মানবে না, তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে বসে আমরাই কথা বলব।”

  • India Pakistan Conflicts: পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’! বিস্ফোরক বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    India Pakistan Conflicts: পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’! বিস্ফোরক বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জন্য পাক সেনাপ্রধান (India Pakistan Conflicts) আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’ই দায়ী। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নেদারল্যান্ডসের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পাক সেনাপ্রধানের সমালোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আসিম মুনিরের চরমপন্থী ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিই জঙ্গিদের পহেলগাঁও হামলায় আরও বেশি করে উস্কে দিয়েছে৷’’ এখানেই শেষ নয়, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, তাকে ‘বর্বরোচিত কাজ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন বিদেশমন্ত্রী৷ জানিয়েছেন, উপত্যকায় পর্যটন শিল্পে ধাক্কা দিতে এবং ধর্মীয় বিভেদ ছড়াতেই এই হামলা চালানো হয়েছে৷

    ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দিয়েছিলেন মুনির

    এদিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত ওই হামলার লক্ষ্যই ছিল কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পকে পঙ্গু করে দেওয়া এবং ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দেওয়া। ধর্ম দেখে বেছে বেছে ২৬ জনকে তাঁদের পরিবারের সামনেই হত্যা করা হয়েছিল। এটি এমন ভাবে করা হয়েছিল যাতে পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা কাশ্মীরের অর্থনীতির মূলভিত্তি।’’ উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার কয়েক দিন আগেই মুনির দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রসঙ্গ তুলে ধর্মীয় বিভেদ ‘উস্কে’ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কথাপ্রসঙ্গে এসেছিল কাশ্মীর সমস্যার বিষয়টিও। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিষয়টা বুঝতে হলে আপনাকে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে, বিশেষ করে তাদের সেনাপ্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আসিম মুনিরের দৃষ্টিভঙ্গি চরম ধর্মীয়। পহেলগাঁওয়ে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে এ হেন মতাদর্শের স্পষ্টতই যোগসূত্র রয়েছে।’’

    মুনিরের মন্তব্যের পরই হামলা টিআরএফ-এর

    পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে, ১৬ এপ্রিল, পাক সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির কাশ্মীর ইস্যুতে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন৷ বলেছিলেন, ‘‘কাশ্মীর হল ভারতের যুগুলার ভেইন৷’’ তিনি দুই দেশ তত্ত্বের সমর্থনেও কথা বলেছিলেন সেদিন, যে তত্ত্ব স্বাধীনতা পরবর্তী দেশভাগের জন্য দায়ী৷ এছাড়াও, পাকিস্তানের নাগরিকদের তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে তাঁরা তাঁদের সন্তানকে শেখান যে, ‘‘তারা হিন্দুদের থেকে আলাদা৷’’ এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই জয়শঙ্কর কথাগুলো বলেন। ডাচ মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময়, জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘টিআরএফ অনেক দিন ধরেই আমাদের নজরে ছিল। আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরে এনেছি৷” তিনি জানান, ভারতের কাছে টিআরএফের সাথে হাফিজ সইদের লস্কর-ই-তৈবার সংযোগের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং ভারত তাদের কম্যান্ড সেন্টার এবং অবস্থান সম্পর্কে অবগত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা জানি কম্যান্ড সেন্টারগুলো কোথায় – এবং ৭ মে আমরা সেই জায়গাগুলোকেই লক্ষ্য করেছিলাম।” এই টিআরএফ-ই পহেলগাঁওয়ে হামলার দায় স্বীকার করে।

     

     

     

     

  • India-US Relationship: পাকিস্তান নিয়ে মধ্যস্থতা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ট্যারিফ নিয়ে করা ট্রাম্পের জোড়া দাবি ওড়াল ভারত

    India-US Relationship: পাকিস্তান নিয়ে মধ্যস্থতা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ট্যারিফ নিয়ে করা ট্রাম্পের জোড়া দাবি ওড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান নিয়ে মধ্যস্থতা হোক বা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ট্যারিফ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবিতে সায় দিলেন না বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar to Donald Trump)। সরাসরি বিরোধিতাও করলেন না। বৃহস্পতিবার তিনি বললেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক শুল্ক নিয়ে ভারত এবং আমেরিকার জটিল আলোচনাপর্ব চলছে।’’ এখনও বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি বলেই বিদেশমন্ত্রীর দাবি। আর পাকিস্তান প্রসঙ্গে বারবার ট্রাম্পের অভিমত প্রকাশ নিয়েও প্রত্যক্ষভাবে কিছু বলেননি জয়শঙ্কর। তবে তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের (India-US Relationship) সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক।’’

    শুল্ক মকুবের প্রস্তাব প্রসঙ্গে ট্রাম্পের দাবি

    বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় ভারতের ‘শুল্ক মকুবের প্রস্তাব’ সম্পর্কে ট্রাম্প দাবি করেন, আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে সব ধরনের শুল্ক বাতিল করার বার্তা দিয়েছে ভারত (India-US Relationship)! তিনি বলেন, ‘‘ভারতে শুল্কের হার খুব বেশি। তাই ভারতে পণ্য বিক্রি করা খুব কঠিন। তবে ভারত আমাদের জন্য এমন একটি নীতি নিয়েছে যেখানে তারা আসলে কোনও শুল্কই নিতে চায় না।’’ এই মর্মে আমেরিকাকে নাকি প্রস্তাবও দিয়েছে নয়াদিল্লি। তবে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেও বিশদে এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি ট্রাম্প।

    জয়শঙ্করের জবাব

    ট্রাম্পের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar to Donald Trump) সাফ জানান, এখনও বাণিজ্যনীতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, “ভারত এবং আমেরিকার (India-US Relationship) মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা চলছে। এগুলো অত্যন্ত জটিল আলোচনা। সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত পুরোটা বলা কঠিন। তবে যে কোনও বাণিজ্য চুক্তি দুপক্ষের কাছেই লাভবান হওয়া উচিত। অন্তত এই চুক্তি থেকে আমরা সেটাই আশা করি। তাই যতক্ষণ না চুক্তি সম্পন্ন হচ্ছে ততক্ষণ এই বিষয়ে মতামত দেওয়া উচিত নয়।” প্রসঙ্গত, তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই শুল্কবাণে গোটা পৃথিবীকে নাজেহাল করেছেন ট্রাম্প। এপ্রিল মাসে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এর পরে ট্রাম্প তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেন। আগামী ৯ জুলাই ওই সময়সীমা শেষ হবে। তার আগে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি খসড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ভারত এবং আমেরিকা আলোচনা চালাচ্ছে।

    ভারত পাকিস্তান সম্পর্ক

    বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে হন্ডুরাসের দূতাবাস উদ্বোধনের ফাঁকে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্প বা আমেরিকার (India-US Relationship) কথা না বললেও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে দিল্লি যে তৃতীয় পক্ষের কথা শুনবে না তা-ও স্পষ্ট করে দেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক ৷ গোটা দেশ এমনটাই মনে করে৷ বহু বছর ধরে এটা চলে আসছে এবং সেখানে কোনও পরিবর্তন হয়নি৷” জয়শঙ্কর জানান, পহেলগাঁওয়ে হামলার জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ৷ ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের মধ্য দিয়ে ভারত সেটাই করে দেখিয়েছে৷ ৬-৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা ৷ এরপর ৮, ৯ ও ১০ মে পাকিস্তানও ভারতীয় সেনাঘাঁটি এবং সাধারণ মানুষের বসবাসের জায়গাগুলিকে নিশানা করে৷ ভারত তার যথাযোগ্য জবাবও দিয়েছে ৷ এরপরই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আর্জি জানায়। ভারত কখনওই যুদ্ধের পক্ষে নয় তাই সম্মত হয়।

    সন্ত্রাস বন্ধই একমাত্র পথ

    বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বিষয়গুলি পরিষ্কার৷ এই আবহে আমাদের বিরোধীদেরও আমি আমাদের অবস্থান জানিয়ে দিতে চাই৷ পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক, কাজকর্ম সবকিছু দ্বিপাক্ষিক এবং কঠোরভাবেই দ্বিপাক্ষিক৷ বিগত বহু বছর ধরে এই বিষয়ে দেশে ঐকমত্য আছে৷ এর কোনও বদল হয়নি৷” জয়শঙ্করের কথায়, ভারতের একটাই দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের অধিকৃত ভারতের জমি ছেড়ে দিতে হবে পাকিস্তানকে৷ পাকিস্তানের সঙ্গে এই বিষয়েই আলোচনা হতে পারে৷ এদিন সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা নিয়ে ভারতের অবস্থান একই রয়েছে বলে জানান বিদেশ মন্ত্রী৷ গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরদিন মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি বৈঠক করে৷ সেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ পাঁচটি পদক্ষেপ করে ভারত৷ এর ফলে পাকিস্তান জল সংকটের সম্মুখীন হবে৷ এই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রয়েছে৷ পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ না করা পর্যন্ত তা স্থগিতই থাকবে৷”

  • India-Afghanistan Relation: প্রথমবার তালিবানের সঙ্গে কথা জয়শঙ্করের, ভারতের এই নীতিতে চাপে পাকিস্তান?

    India-Afghanistan Relation: প্রথমবার তালিবানের সঙ্গে কথা জয়শঙ্করের, ভারতের এই নীতিতে চাপে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) কথা বললেন তালিবানের (India-Afghanistan Relation) ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে। এই প্রথম ভারতের কোনও মন্ত্রী তালিবান প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি কথা বললেন। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা বাড়তেই কৌশলে কূটনৈতিক চাল দিল মোদি সরকার। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার প্রকাশ্যে নিন্দা করেছিল কাবুল। তার জন্যই আফগানিস্তানকে ধন্যবাদ জানান বিদেশমন্ত্রী।

    তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা

    আফগান (India-Afghanistan Relation) মুলুকে তালিবান ফের ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি কথা হল। চলতি ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই মন্ত্রীর এই কথোপকথনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর তার নিন্দায় সরব হয়েছিল তালিবান সরকার। সমাজমাধ্যমে বিদেশমন্ত্রী লেখেন, “পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার নিন্দা জানানোর জন্য তাঁকে (তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী) ধন্যবাদ জানাই।” এর পাশাপাশি আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের ‘চিরন্তন’ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে দুই দেশের বোঝাপড়া আরও নিবিড় করার বার্তাও দিয়েছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এরই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের মাধ্যমে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। পাকিস্তানের তরফে এই চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই প্রচেষ্টাকে আমল দেয়নি আফগানিস্তান।

    কী বলল আফগানিস্তান

    ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট তালিবান (India-Afghanistan Relation) ফের একবার দখল নেয় আফগানিস্তানের। শুরু হয় তালিবান শাসন। এখনও পর্যন্ত ভারত এই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। সেখানেই এবার সরাসরি আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar)। তালিবানের জনসংযোগ আধিকারিক হাফিজ জিয়া আহমেদ জানিয়েছেন, আফগান বিদেশমন্ত্রী মুত্তাকি ভারতের বিদেশমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন যে আরও আফগান নাগরিকদের যেন ভিসা দেওয়া হয়, বিশেষ করে যারা চিকিৎসা করাতে ভারতে আসতে চান। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ভারতে বন্দি আফগানদের মুক্তি দেওয়া এবং ইরানের চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে তাঁদের সঙ্গে জয়শঙ্করের কথা হয়েছে।

    কৌশলী চাল ভারতের

    নয়া তালিবান শাসনে পাকিস্তানের (Pakistan) মাথাব্যথা বেড়েছে আফগানিস্তানকে (India-Afghanistan Relation) নিয়ে। পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশ একাধিক বার বিদ্রোহী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান -এর হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে। তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে এই গোষ্ঠীকে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ইসলামাবাদ। অন্য দিকে, এখনও কূটনৈতিক স্বীকৃতি না-দিলেও তালিবান সরকারের সঙ্গে আলোচনার দরজা বন্ধ করে দেয়নি ভারত। এই আবহে পাকিস্তানকে আরও কোণঠাসা করতে নয়াদিল্লি কাবুলকে কাছে টানতে চাইছে, বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের।

  • S Jaishankar: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়,” ইউরোপকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়,” ইউরোপকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়।” রবিবার ঠিক এই ভাষায় ইউরোপের (Europe) দেশগুলিকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার জেরে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। জয়শঙ্করের মতে, ইউরোপকে এখন বাস্তবে ফিরে আসতে হবে। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে তাদেরও কিছু সংবেদনশীলতা দেখানো প্রয়োজন। শুধুই পরামর্শ দিলে হবে না। আদর্শগত মতাপর্থক্য সরিয়ে পারস্পরিক সাহায্যের মাধ্যমেই আমেরিকার সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখা যাবে বলেও জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে বার্তা (S Jaishankar)

    সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, সংঘাত মেটাতে ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক পথে সমাধানের পথ খোঁজা উচিত। সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই জয়শঙ্করের এদিনের বক্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা কাউকে বলি না, এটা করো বা ওটা করো না। এটাই স্বাভাবিক সৌজন্য। কিন্তু আমাদের সঙ্গে এই ব্যবহার করা হয় না। তাই আমাদের কী করা উচিত, তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।” তিনি বলেন, “যখন আমরা বিশ্বের দিকে তাকাই, আমরা অংশীদার খুঁজি। আমরা পরামর্শদাতা খুঁজি না। বিশেষ করে সেই সব পরামর্শদাতা যারা নিজের দেশে আচরণ না করে বিদেশকে উপদেশ দেয়। আমার মনে হয়, ইউরোপের কিছু অংশ এখনও সেই সমস্যার সঙ্গে সংগ্রাম করছে। এর কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।” তিনি বলেন, “ইউরোপ বাস্তবতা যাচাইয়ের একটি পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এখন তারা এটির মুখোমুখি হতে পারবে কিনা, সেটা আমাদের দেখতে হবে।” জয়শঙ্কর বলেন, “কিন্তু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, যদি আমরা একটি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাই, তাহলে অবশ্যই কিছু বোঝাপড়া থাকতে হবে, সংবেদনশীলতা থাকতে হবে, পারস্পরিক স্বার্থ থাকতে হবে এবং বিশ্ব কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে উপলব্ধি থাকতে হবে। আমার মনে হয়, ইউরোপের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে এই বিষয়গুলো বিভিন্ন মাত্রায় অগ্রগতি হচ্ছে। তাই কেউ কেউ বেশি এগিয়েছে, কেউ বা কিছুটা কম (Europe)।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ভারতের রাশিয়া বাস্তববাদের প্রতি ধারাবাহিক সমর্থনের কথা উল্লেখ করে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে গভীর সামঞ্জস্য ও পরিপূরকতার দিকটি তুলে ধরেন, যেখানে একপক্ষ সম্পদের জোগানদার এবং অন্যপক্ষ ভোক্তা হিসেবে কাজ করছে। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব সমাধানে রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়াই পশ্চিমি বিশ্বের পূর্ববর্তী প্রচেষ্টারও সমালোচনা করেন। যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “এ ধরনের পদ্ধতি বাস্তববাদের মৌলিক নীতিকেই চ্যালেঞ্জ করেছিল।” জয়শঙ্কর বলেন, “যেভাবে আমি রাশিয়ান বাস্তববাদের পক্ষে, সেভাবেই আমেরিকান বাস্তববাদেরও পক্ষপাতী। বর্তমান সময়ে আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগের সর্বোত্তম উপায় হল মতাদর্শগত পার্থক্যকে প্রাধান্য না দিয়ে বরং সাধারণ স্বার্থের মিল খুঁজে বের করা, যা একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনাকে ম্লান হতে দেয় না।”

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “সম্পদ প্রদানকারী ও ভোক্তা হিসেবে দু’দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামঞ্জস্য ও পরিপূরকতা রয়েছে। রাশিয়ার ক্ষেত্রে, আমরা সবসময়ই রাশিয়া বাস্তববাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি (Europe)। ২০২২-২০২৩ সালের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী ও পরিস্থিতি কল্পনা করা হয়েছিল, যা সময়ের পরীক্ষায় সঠিক বলে প্রমাণিত হয়নি।” এদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাত মেটাতে আলোচনার ওপরই জোর দিয়েছে রাশিয়া। পহেলগাঁওয়ে হামলার বিষয়ে গত শুক্রবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জয়শঙ্কর। তিনি লাভরভকে জানান, পহেলগাঁও হামলায় ষড়যন্ত্রকারী, সাহায্যকারী, সাহায্যকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতেই হবে। লাভরভ তাঁকে অনুরোধ করেন, যুদ্ধের বদলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পথেই ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে সংঘাত মিটিয়ে নিক। এই প্রসঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক নিয়েও লাভরভ ও জয়শঙ্করের মধ্যে আলোচনা হয়।

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতি

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে (S Jaishankar), দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে রাশিয়া ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার (Europe) পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতির বিষয়ে দুজনে কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণা অনুসরণ করে দুই দেশকে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন লাভরভ (S Jaishankar)।

  • S Jaishankar: ‘‘ভারতের ব্র্যান্ড প্রযুক্তি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ’, ২৬/১১ হামলা টার্নিং পয়েন্ট’’, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘‘ভারতের ব্র্যান্ড প্রযুক্তি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ’, ২৬/১১ হামলা টার্নিং পয়েন্ট’’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার পাকিস্তানকে তোপ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar)। পাকিস্তানকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তাঁর বক্তব্য, পাকিস্তানের পিছনে সময় নষ্ট করার কোনও মানে নেই। তিনি বলেন, “একটা সময় ছিল যখন হামলা হত এবং আমরা শুধু নিন্দা করতাম, তারপর নীরব বসে থাকতাম। কিন্তু ২৬/১১ মুম্বই হামলা এমন এক টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। এটা ভারতের নীতি, চিন্তাভাবনা ও স্টাইল পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল। মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলা ছিল ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। এরপর ভারত বুঝেছিল, পাকিস্তানের মতো দেশের পিছনে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না।”

    পাকিস্তান এখনও পুরনো পথে চলছে

    চারোতর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গত এক দশকে ভারত যে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গিয়েছে তা তুলে ধরেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ২০০৮ সালের মুম্বই সন্ত্রাসী হামলা একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কারণ সে সময় ভারতীয়রা সম্মিলিতভাবে অনুভব করেছিল যে প্রতিবেশী দেশের এ ধরনের আচরণ আর সহ্য করা হবে না। এখনও পাকিস্তান আগের মতোই আছে। তবে আমি আশা করি তাদের মধ্যে কিছু পরিবর্তন হবে।” জয়শঙ্করের কথায়, গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত অনেক এগিয়ে গিয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান এখনও তাদের খারাপ অভ্যাস থেকে বেরোতে পারেনি। তিনি বলেন, “ভারত বদলেছে। কিন্তু পাকিস্তান, দুর্ভাগ্যবশত, এখনও পুরনো পথে চলছে। ভারতের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই নেতিবাচক।”

    পাকিস্তানের পিছনে সময় নষ্টের মানে নেই

    বর্তমানে ভারত সরকার প্রকাশ্যে খুব একটা পাকিস্তান প্রসঙ্গ তোলে না, খুব কমই আলোচনা করে, কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) স্পষ্ট করে বলেন, “পাকিস্তান নিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনও প্রয়োজন নেই।” বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “ভারত বদলে গিয়েছে। এদিকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তান নানাভাবে অন্যায় কাজে লিপ্ত থেকেছে। আমি বলব, ২৬/১১ মুম্বই হামলা ছিল টার্নিং পয়েন্ট। আমার মনে হয়, সে সময় ভারতের জনগণ এবং সব রাজনৈতিক দল বলেছিল, এটা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।” ২০০৮ সালে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে পরোক্ষ কটাক্ষ করে জয়শঙ্কর বলেন,“আমার মনে হয় সমাজে এই অনুভূতি খুব প্রবল ছিল, কিন্তু সেই সময় সরকার হয়তো এটা পুরোপুরি বুঝতে পারেনি, সেটা আলাদা বিষয়।” রাজ্যসভার সাংসদ জয়শঙ্কর জানান, ২০১৪ সালে সরকার বদলের পর পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলতে থাকলে, তাদের এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ভারত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে গিয়েছে। বিশ্বে ভারতের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান পুরনো নীতি অনুসরণ করে চলেছে।

    ভারতের ব্র্যান্ড হল প্রযুক্তি, পাকিস্তানের সন্ত্রাস

    আফগানিস্তানে আমেরিকার উপস্থিতির সময় পাকিস্তানের ‘দ্বিচারিতা’ নিয়েও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, যে সন্ত্রাসের অবকাঠামো পাকিস্তান গড়ে তুলেছিল, তা পরে তাদের বিরুদ্ধেই ফিরে এসেছে। জয়শঙ্করের কথায়, “আজকের দিনে ভারতের ব্র্যান্ড হল প্রযুক্তি। আর ওদের ব্র্যান্ড হয়ে গেছে সন্ত্রাসবাদ। আমরা সন্ত্রাসের জবাব দেব, কিন্তু কেন তাদের নিয়ে সময় নষ্ট করব?” তবে, সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে ভারত যে একচুলও জমি ছেড়ে কথার বলার মেজাজে নেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ উঠতেই বিদেশমন্ত্রী নিরাপত্তার চ্য়ালেঞ্জকে কী ভাবে নরেন্দ্র মোদি সরকার পার করেছে তার খতিয়ানও তুলে ধরেন।

    সন্ত্রাসের জবাব দিতেই হবে

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সংযোজন, “২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মতো হামলা যদি বর্তমান সময়ে হত, আর আমরা যদি জবাব না দিতাম তাহলে পরবর্তী হামলার সময় কী ভাবে আমরা নিজেকে রক্ষা করতাম? সন্ত্রাসবাদীদের এটা কখনও ভাবতে দেওয়া চলবে না যে তারা সীমান্তের বাইরে রয়েছে বলেই তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পরে, এমন একজন ব্যক্তিও ছিল না যে মনে করেছিল যে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত। তখনকার ইউপিএ সরকার শুধু দফায় দফায় আলোচনা করেছিল। অথচ কোনও সিদ্ধান্তেই পৌঁছতে পারেনি। শুধুমাত্র এটা ভাবতে ভাবতেই সময় কাটিয়ে দেয় যে পাকিস্তান আক্রমণের খরচ পাকিস্তান আক্রমণ না করার খরচের চেয়েও বেশি।”

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নীতিতেই শক্তিশালী ভারত

    সন্ত্রাস মোকাবিলায় মোদি সরকারের আমলে যে কৌশল নেওয়া হয়েছে তা ২০০৮ সালের মুম্বইয় হামলার সময় থেকে পালটে গিয়েছে অনেকটাই। বিদেশমন্ত্রী মনে করিয়েছেন, “উরি হামলার পর ভারত কী ভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছিল সকলের নিশ্চই মনে আছে। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ধরন পালটে গিয়েছে অনেকটাই। আগে ভারত সীমান্তের উপর সন্ত্রাসবাদ সহ্য করত। তবে সেসব এখন অতীত। ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর থেকে কোনও বড় সন্ত্রাসবাদ হামলা হয়নি দেশে। বর্তমান ভারতে যে কোনও সন্ত্রাসবাদের যোগ্য জবাব দেবে।” চিন সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিক্রিয়া ছিল “দ্রুত, জোরালো এবং সুসংগঠিত”—যা একটি শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রতিফলন।

  • S Jaishankar: “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে,” ইউনূসকে মনে করালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে,” ইউনূসকে মনে করালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে স্থলবেষ্টিত আখ্যা দেওয়ায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) কড়া সমালোচনা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “নয়াদিল্লি বিশ্বাস করে, সহযোগিতা হল একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গী, এটি কোনওভাবেই পছন্দ-অপছন্দের বিষয় নয়।” সরকারি বিবৃতিত বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনে (বিমস্টেক) তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন।” তিনি বলেন, “ভারত বিমস্টেকে তার দায়িত্ব উপলব্ধি করে এবং অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্ক অবগত।” তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বাস করে যে আঞ্চলিক সহযোগিতা একটি সমন্বিত পদ্ধতি এবং এটি নির্বাচিত বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে।”

    ইউনূসের দাবি (S Jaishankar)

    গত সপ্তাহে চার দিনের চিন সফরে গিয়েছিলেন ইউনূস। সেখানে তিনি দেখা করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। চিনকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর আর্জি জানান তিনি। সেই সূত্রেই চিনকে বাংলাদেশের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “সমুদ্রের (বঙ্গোপসাগর) একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য ইউনূসের দাবির প্রতি পরোক্ষ খোঁচা।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর বলেন, “বঙ্গোপসাগরে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কিলোমিটারের উপকূলরেখা রয়েছে ভারতের। বঙ্গোপসাগরে এটিই দীর্ঘতম উপকূলরেখা। বিমস্টেকের পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে এবং সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগ দেশকেই যুক্ত করে ভারত। কেবল তাই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশ ও অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স গোষ্ঠীর দেশগুলির মধ্যে সমন্বয়ও রক্ষা করে ভারত।” বিশেষ করে উত্তরপূর্বের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বিদেশমন্ত্রী জানান, এই যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল হিসেবে উঠে এসেছে উত্তরপূর্ব ভারত। তিনি (S Jaishankar) জানান, ভারত বিশ্বাস করে সহযোগিতা একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়, শুধুমাত্র একটি লাভদায়ক বা সুবিধাজনক বিষয় বেছে নেওয়া নয়।

    জয়শঙ্কর বলেন, “বৃহত্তর ভৌগোলিক অবস্থানে পণ্য, পরিষেবা ও মানুষের সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য আমাদের সহযোগিতা ও পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভৌগোলিক স্ট্র্যাটেজি মাথায় রেখেই আমরা বিগত এক দশক (Muhammad Yunus) ধরে বিমস্টেককে শক্তিশালী ও মজবুত করছি (S Jaishankar)।”

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে আর বিদেশ সফরের অনুমতি নয়, জয়শঙ্করকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতাকে আর বিদেশ সফরের অনুমতি নয়, জয়শঙ্করকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর যাতে সরকারি সফরে বিদেশে যেতে অনুমতি দেওয়া না হয়, সেজন্য আমি বিদেশমন্ত্রীকে (S Jaishankar) অনুরোধ করেছি।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। লন্ডন সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য পেশ করেছেন, তাকে ‘দেশ ও জাতীয়তাবাদী বিরোধী’ বলে দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। সেই কারণেই বিদেশমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। এদিন সন্ধ্যায় বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান শুভেন্দু।

    জয়শঙ্করকে চিঠি (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি জয়শঙ্করজিকে একটা চিঠি লিখেছি। ভারত সরকারের অনুমোদন নিয়ে হাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় উনি যেভাবে ভারতকে ছোট করেছেন, সেই প্রসঙ্গে। সাংবাদিক যখন বলছেন, ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে যাবে, তখন উনি বলছেন, না, না, আমি মানি না। উনি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়েছেন, না ভারতকে ছোট করতে গিয়েছেন?” এর পরেই শুভেন্দু বলেন, “আমি জয়শঙ্করজিকে বলেছি ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে আপনার। আপনি ব্যবস্থা নিন। আর এর পরে আর ওঁকে অনুমতি দেবেন না।”

    মমতাকে নিশানা

    মমতাকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “এছাড়াও, ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শাসনকে উনি দারুনভাবে গ্লোরিফাই করেছেন। আমার বাড়ির লোক ব্রিটিশের জেলে ছিল। বিপিন অধিকারী। আমি সেটা মেনে নেব না কি আমরা তো মেদিনীপুর স্বাধীন করে দিয়েছিলাম ১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার করেছিলাম। আমরা পাঁচ বছর আগে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছি। আর আপনি গিয়ে বললেন, ব্রিটিশরা ১৯০ বছর ধরে অনেক কিছু করে দিয়ে গিয়েছে!”

    বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, “ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরার আত্মবলিদানের মূল্য নেই যে মাটিতে বন্দে মাতরম তৈরি (S Jaishankar) হয়েছে, যে মাটি জাতীয় সঙ্গীত দিয়েছে, সেই মাটি থেকে গিয়ে আপনি ব্রিটিশের প্রশংসা করছেন?” তিনি বলেন, “কালাপানিতে যাঁরা অত্যাচারিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি বাঙালি ছিলেন। একটা দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, জাতীয়তাবাদ বিরোধী, স্বাধীনতা আন্দোলন বিরোধী মানুষ। ওঁর বিরুদ্ধে সর্বত্র দেশপ্রেমিকদের আন্দোলনে নামা উচিত।”

    মমতার ব্রিটেন-প্রেম!

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে দেওয়া তাঁর বক্তৃতার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “আমি ব্রিটেনকে ভালোবাসি। কারণ আমাদের মধ্যে একটি আবেগগত সম্পর্ক রয়েছে, একটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে…ঐতিহ্যের দিক থেকে আমাদের ও তোমাদের।” তিনি বলেন, “১৯০ বছর ধরে তোমরা ভারত শাসন করেছ, আর বাংলা শাসন করেছ…আমরা কি তা ভুলে যাব ভারত তোমাদের সব সময় মনে রাখে, আর বাংলাও তোমাদের মনে রাখে (S Jaishankar)।”

    স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে অবজ্ঞা!

    শুভেন্দুর অভিযোগ, “লন্ডনে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য দেশের ঔপনিবেশিক শাসকদের প্রতি অতিরিক্ত প্রশংসার প্রতিফলন ঘটায়।” তিনি এই ধরনের মন্তব্যকে একজন বাঙালির জন্য ‘অচিন্ত্যনীয়’ বলেও অভিহিত করেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ শাসন প্রতিরোধে বাংলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।” তিনি যুক্তি দেন, ঔপনিবেশিক অতীতকে মহিমান্বিত করা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে অবজ্ঞা করার সমতুল।

    বিদেশের মাটিতে ভারতের সুনাম নষ্ট

    অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে কেলগ কলেজ। সেখানেই বক্তৃতা দিতে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই বক্তৃতায় তিনি ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে খাটো করে দেখানোর অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের পদ্ম-বিধায়ক। শুভেন্দু বলেন, “একজন বক্তা যখন জোর দিয়েছিলেন যে, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা ২০৬০ সালের মধ্যে বৃহত্তম হয়ে উঠবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কিন্তু ব্যানার্জি তার বিরোধিতা করে বলেন, আমি এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করব।” মমতার বক্তব্যকে শুভেন্দু কেবলমাত্র বিশ্বাসঘাতকতা ও সমস্ত বাংলার এবং ভারতীয়দের জন্য লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ব্যানার্জি ইচ্ছাকৃতভাবে বিদেশের মাটিতে ভারতের সুনাম নষ্ট করেছেন। শুভেন্দু মমতার মন্তব্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করার ও ভবিষ্যতে তাঁকে সরকারি বিদেশ সফরে যাওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য বিদেশমন্ত্রকের প্রতি আহ্বান জানান।

    প্রসঙ্গত (Suvendu Adhikari), মুখ্যমন্ত্রীর ব্রিটেন সফর বিতর্কমুক্ত ছিল না। কেলগ কলেজেও বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। বিক্ষোভকারীরা পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-সম্পর্কিত হিংসা এবং আরজি করকাণ্ডে (S Jaishankar) তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্ল্যাকার্ড ধরেছিলেন (Subhendu Adhikari)।

  • S Jaishankar: “ভারত চেষ্টা করেও প্রতিবেশীর মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না”, পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারত চেষ্টা করেও প্রতিবেশীর মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না”, পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নয়াদিল্লি বারংবার স্পষ্টভাবে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু একটি প্রতিবেশী দেশের (পড়ুন, পাকিস্তান) উন্মত্ত ও সংকীর্ণ মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে (Pakistan) না।” শুক্রবার লোকসভায় কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে জয়শঙ্কর পাকিস্তানে ফেব্রুয়ারি মাসে হিন্দুদের ওপর হওয়া ১০টি হামলার ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর মধ্যে সাতটি ঘটনায় অপহরণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, দুটি ঘটনায় অপহরণ এবং একটি ঘটনায় হোলি উদযাপনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

    শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন ঘটনা (S Jaishankar)

    জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানে শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তিনটি ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনায় একটি শিখ পরিবারকে আক্রমণ করা হয়। অন্য ঘটনায় একটি পুরানো গুরুদ্বার পুনরায় খোলার কারণে একটি শিখ পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। ওই সম্প্রদায়ের একটি মেয়ের অপহরণ ও ধর্মান্তরকরণের সমস্যাও ছিল। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি মামলাও ছিল। একটি ঘটনায় একটি মসজিদ সিল করে দেওয়া হয় এবং অন্য ঘটনায় ৪০টি কবর ভেঙে ফেলা হয়। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলাও ছিল, যেখানে একজন খ্রিস্টানকে, ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর কঠোর অবস্থানের মতো কোনও কঠোর পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “একটি সরকার ও দেশ হিসেবে আমরা প্রতিবেশীর ধর্মান্ধ ও সংকীর্ণ মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারি না। ইন্দিরা গান্ধীও তা পারেননি (Pakistan)।” ২৬ মার্চ হিউম্যান রাইটস ফোকাস পাকিস্তান ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে সংস্থাটি এই ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে বলে যে, সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাবের কারণে সাহায্য ও ন্যায়বিচার এখনও অধরা রয়েছে।

    হিউম্যান রাইটস ফোকাস (S Jaishankar) পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নাভিদ ওয়াল্টার বলেন, “পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা হামলা, হত্যা, ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগ, অপহরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও জোরপূর্বক বিয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য। তাদের দুর্দশা ও অবহেলার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ না দেওয়া আরও বেশি বেদনাদায়ক (Pakistan)।”

LinkedIn
Share