Tag: s jaishankar

s jaishankar

  • S Jaishankar: রাষ্ট্রসংঘের সর্বোচ্চ স্ট্যাটিসটিক্যাল বডিতে নির্বাচিত ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: রাষ্ট্রসংঘের সর্বোচ্চ স্ট্যাটিসটিক্যাল বডিতে নির্বাচিত ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিরাট জয় ভারতের (India)! রাষ্ট্রসংঘের (UN) সর্বোচ্চ স্ট্যাটিসটিক্যাল বডিতে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হল ভারত। বুধবার একথা জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ট্যুইট-বার্তায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সর্বোচ্চ স্ট্যাটিসটিক্যাল বডিতে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ভারত। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ওই মেয়াদ শুরু হবে। নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।

    এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানান…

    বিদেশমন্ত্রী জানান, স্ট্যাটিসটিক্স এবং ডেমোগ্রাফির ক্ষেত্রে ভারতের দক্ষতার জেরে রাষ্ট্রসংঘের স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশনে জায়গা হয়েছে ভারতের। সব মিলিয়ে ৫৩টি ভোটের মধ্যে ভারত পেয়েছে ৪৬টি। ভারতের ঢের পিছনে রয়েছে চিন, আরব আমিরাত। সূত্রের খবর, মাত্র দুটি আসনের জন্য লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন চারজন প্রার্থী। তবে শেষ হাসি হেসেছে ভারত (S Jaishankar)। ১৯৪৭ সালে গঠিত হয় ইউনাইটেড নেশনস স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশন। তামাম বিশ্বের স্ট্যাটিসটিক্যাল সিস্টেমের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির মধ্যে থেকে নির্বাচিত হন এই কমিশনের সদস্যরা। আন্তর্জাতিক স্ট্যাটিসটিক্যাল কাজকর্মের ক্ষেত্রে এরাই সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিষ্ঠান। স্ট্যাটিসটিক্যাল স্ট্যান্ডার্ডও তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠান।

    জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এগুলিকে কার্যকরও করে এই সংস্থা। রাষ্ট্রসংঘের এই স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশনের সদস্য সংখ্যা ২৪। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির মধ্যে থেকে এই সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত করে ইউনাইটেড নেশনস ইকনোমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিল। এই কমিশনে (S Jaishankar) পাঁচজন সদস্য আফ্রিকান দেশগুলি থেকে, চারজন এশিয়া পেসিফিক দেশগুলি থেকে, ইস্টার্ন ইউরোপের দেশগুলি থেকে চারজন, লাতিন আমেরিকার দেশগুলি থেকে চারজন এবং ক্যারিবিয়ান দেশগুলি থেকে চারজন, ওয়েস্টার্ন ইউরোপীয়ান এবং অন্য দেশগুলি থেকে সাতজন সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে এশিয়া প্যাসিফিক দেশগুলির মধ্যে রয়েছে জাপান, সামোয়া, কুয়েত এবং সাউথ কোরিয়া। এই দেশগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে চলতি বছরই।

    আরও পড়ুুন: মহাকাশ অর্থনীতিতে চিনকে টেক্কা দিচ্ছে মোদির ভারত, জানেন কীভাবে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলানোর বদভ্যাস রয়েছে’, পশ্চিমকে নিশানা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলানোর বদভ্যাস রয়েছে’, পশ্চিমকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমি (West) বিশ্বের একটা বদভ্যাস আছে। তারা মনে করে অন্যদের বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে তাদের ঈশ্বরপ্রদত্ত অধিকার রয়েছে। নাম না করে এই ভাষায়ই ইউরোপ ও আমেরিকার (America) সমালোচনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মোদি (Modi) পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার দায়ে দু বছরের কারাদণ্ড হয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর। গুজরাটের সুরাট আদালত ওই সাজা দেয় রাহুলকে। সঙ্গে করা হয়েছে জরিমানাও। রাহুল যাতে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন, সেজন্য তাঁকে ৩০ দিন সময়ও দেওয়া হয়েছে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) উবাচ…

    কারাদণ্ড হওয়ায় লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায় রাহুলের। এর পরেই ইউরোপের কয়েকটি দেশ এবং আমেরিকা এনিয়ে প্রশ্ন তোলে। সেই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, সত্যি কথা বললে বলতে হয়, পশ্চিমি বিশ্বের একটা বদভ্যাস আছে। তারা মনে করে অন্যদের বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে তাদের ঈশ্বরপ্রদত্ত অধিকার রয়েছে। তিনি বলেন, অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলালেও, নিজেদের দেশ সম্পর্কে অন্য কেউ মন্তব্য করুক, সেটা পশ্চিমি বিশ্ব ভালভাবে নেয় না।

    রবিবার কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য ও সাংসদ পিসি মোহনের উদ্যোগে আয়োজিত সাক্ষাৎ ও আলোচনা শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানেই পশ্চিমি বিশ্ব সম্পর্কে কটাক্ষ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে তর্কে আপনি অন্যদের মন্তব্য করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। এতে আরও আরও মানুষ মন্তব্য করতে উৎসাহিত হবে। আমাদের বিশ্বকে খোলা আমন্ত্রণ জানানো বন্ধ করতে হবে যে ভারতে সমস্যা রয়েছে, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশ কেন চুপ করে রয়েছে? কিছু করছে না কেন? তিনি (S Jaishankar) বলেন, যদি কেউ একথা বলেন, তাহলে তাঁরাও স্বাভাবিকভাবেই মন্তব্য করবেন। তাই সমস্যার কিছুটা অংশ তারা, আর কিছুটা অংশ আমরাও। দু পক্ষকেই নিজেদের সংশোধন করতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো?’, হাওড়াকাণ্ডে মন্তব্য সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন মোদি সরকারের। গত রবিবার তা নিয়ে নাম না করে রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সংসদের চলতি অধিবেশনও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাহুল ইস্যুতে। রাহুলের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তোলেন বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিংহ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলা, মুখ খুললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলা, মুখ খুললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার লন্ডনে (London) ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা। দূতাবাস থেকে নামিয়ে দিয়েছিল ভারতের (India) তেরঙ্গা পতাকা। এবার সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, দূতাবাসের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা দেশগুলির দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তার প্রতিফলন ধরা পড়ছে না। লন্ডনের ঘটনাকে ভারত যে হালকাভাবে নিচ্ছে না, তা ধরা পড়েছে জয়শঙ্করের কথায়ই। তিনি বলেন, এই বিষয়ে (খালিস্তানপন্থীদের হামলার বিষয়ে) আমরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি।

    খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল…

    প্রসঙ্গত, রবিবার খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহের নামে স্লোগান দিয়ে বেশ কয়েকজন হামলা চালায় লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে। দূতাবাস থেকে টেনে নামিয়ে দেওয়া হয় ভারতের জাতীয় পতাকা। লন্ডনের ওই ঘটনার পরে পরেই ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূতকে জরুরি তলব করা হয়। চাওয়া হয় ব্যাখ্যাও। ব্রিটিশ প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। ঘটনার জেরে শুক্রবারই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, ভারত আশ্বাস চায় না, চায় উপযুক্ত পদক্ষেপ। তারপর এদিন ভারতের তরফে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিদেশমন্ত্রীও।

    লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনার পরে পরেই যানজটের (S Jaishankar) কারণ দেখিয়ে ভারতের ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয়। তার পর তড়িঘড়ি আঁটসাঁট করা হয় লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কেবল লন্ডন নয়, চলতি সপ্তাহেই খালিস্তানপন্থীরা হামলা চালিয়েছিল আমেরিকার সান ফ্রন্সিসকোয় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসেও। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার ভারত ও আমেরিকার তরফে শান্তি মিছিল করা হয় সান ফ্রান্সিসকোয়, ভারতীয় দূতাবাসের সামনে। বহু মানুষ যোগ দিয়েছিলেন এদিনের শান্তি মিছিলে। তাঁদের হাতে ছিল ভারতের তিরঙ্গা পতাকা।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    প্রসঙ্গত, গত রবিবারই খালিস্তানপন্থী একদল লোক সান ফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালায়। খালিস্তানের পক্ষে স্লোগানও দিতে (S Jaishankar) থাকেন তাঁরা। কল্পিত খালিস্তানের দুটি পতাকাও তাঁরা টাঙিয়ে দেন দূতাবাসের সামনে। পরে অবশ্য ওই পতাকা দ্রুত সরিয়ে দেন দূতাবাসের দুই কর্মী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই…শান্তিই মূল লক্ষ্য’, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই…শান্তিই মূল লক্ষ্য’, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক নয়। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে, সেজন্য দুই দেশকে ‘প্রকৃত সমস্যা’-র সমাধান করতে হবে। নয়াদিল্লিতে চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে এমনটাই বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। জি-২০ বৈঠকের ব্যস্ত সূচির মধ্যেই চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গাংয়ের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে আলোচনা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি নিয়ে আলোচনা করেন। ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা মূলত জি-২০ বৈঠকের ফাঁকেই হয়েছে। ২০১৯ সালের পরে ফের কোনও চিনা বিদেশমন্ত্রী ভারত সফরে এলেন। উল্লেখ্য, ভারত সফরের আগে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন গ্যাং।

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)?

    গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় এস জয়শঙ্কর ট্যুইট করে জানান “আজ বিকেলে জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সীমান্ত এলাকায় শান্তি প্রশান্তির পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে যেসব চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়েও কথা হয়েছে।” এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, “চিনা মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটাই ছিল তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম বৈঠক। আমরা সম্ভবত প্রায় ৪৫ মিনিট একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতিই ছিল আজকের বৈঠকের প্রধান অংশ। জানানো হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে আসল সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি ভাবে, কোনও জড়তা ছাড়াই আলোচনা করতে হবে। তা না-হলে সম্পর্কে স্বাভাবিকতা ফিরবে না। আমাদের কথাবার্তার মূল লক্ষ্য সীমান্তে শান্তি ফেরানো।” উল্লেখ্য, ডিসেম্বরে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন কিন গ্যাং। তারপর এটাই জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সঙ্গে তাঁর প্রথম বৈঠক।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

    ভারত ও চিন সম্পর্ক

    বার বার শান্তির কথা বলা হলেও ভারত এবং চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে গেড়ে বসেছে চিনা ফৌজ। গত আড়াই বছর ধরে ভারতের টহলদারির এলাকাও তারা দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ। ফলে এবারে সীমান্তে শান্তি ফেরানো নিয়ে তিনি গ্যাংয়ের উপরে চাপ তৈরি করেছেন বলে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকেই ভারত ও চিন সীমান্তে অস্থিরতা দেখা গেছে। চিনা সেনার লাদাখ ও অরুণাচপ্রদেশ সীমান্ত এলাকায় আগ্রাসনের কারণে গালওয়ানের সংঘর্ষও ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছিল ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ানের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই দেশই একাধিক বৈঠক করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাধান সূত্র অধরাই রয়ে গেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই চলতি বছরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং অঞ্চলে ফের চিনা আগ্রাসনের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে চিনের কড়া সমালোচনা করেছিল নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    ২০২০ সালের পর অরুণাচল প্রদেশে চিনা আগ্রাসনে পর ভারত-চিন সম্পর্কের অবস্থা স্বাভাবিক নেই, ফলে এবারে বৈঠকে চিনের বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা দিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানিয়ে দিয়েছেন যে, সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • S Jaishankar: ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কে সেনা পাঠিয়েছিল? রাহুল গান্ধী?’, কংগ্রেসকে নিশানা জয়শঙ্করের   

    S Jaishankar: ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কে সেনা পাঠিয়েছিল? রাহুল গান্ধী?’, কংগ্রেসকে নিশানা জয়শঙ্করের   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কে সেনা পাঠিয়েছিল? রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)?  মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) সাংসদকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, কংগ্রেসের নেতা নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা পাঠিয়েছিলেন। চিন যখন সেনা মোতায়েন করেছিল, তখন পাল্টা ভারতও সেনা মোতায়েন করেছিল সীমান্তে। তিনি বলেন, ১৯৬২ সালে কী হয়েছিল, সেটা বিরোধীরা মনে করে দেখুন। জয়শঙ্কর জানান, সীমান্তে উন্নত পরিকাঠামো গড়তে মোদি সরকার বাজেট বরাদ্দ পাঁচ গুণ বাড়িয়েছে।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    গত বছর প্যাংগং লেকের ওপর ব্রিজ তৈরির চেষ্টা করেছিল চিন। এ নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হয়েছিল কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল। সে প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ১৯৬২ সালের যুদ্ধ থেকেই ওই জায়গাটি চিন জোর করে দখল করে রেখেছে। জয়শঙ্কর বলেন, কখন ওই জায়গাটি চিনের নিয়ন্ত্রণে এল? আসলে ‘সি’ দিয়ে কোনও শব্দ শুরু হলে, বুঝতে সমস্যা হয় কংগ্রেসের। আমার মনে হচ্ছে, তারা বার বার বিষয়টির অপব্যাখ্যা করে। চিনারা প্রথমে ওই জায়গায় এসেছিল ১৯৫৮ সালে। এর পর ’৬২ সালের অক্টোবর মাসে তারা জায়গাটি দখল করে।

    আরও পড়ুুন: ‘গোর্খারা বহিরাগত…’, শোভনদেবের মন্তব্যের প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    তিনি বলেন, আর এখন ২০২৩ সালে আপনি মোদি সরকারকে ব্রিজ নিয়ে দুষছেন? বিদেশমন্ত্রী বলেন, ১৯৬২ সালেই ওই জায়গাটি দখল করেছিল ওরা। এখন আপনাদের সেটা স্বীকার করার মতো সততাও নেই। জয়শঙ্কর বলেন, রাজীব গান্ধী ১৯৮৮ সালে বেজিং গিয়েছিলেন। ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালে তিনি চুক্তি সই করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি এটা মনে করছি না যে সেই চুক্তি ভুল ছিল। এটা কোনও রাজনৈতিক দিক নয়। সেই সময় এটা করা হয়েছিল সীমান্তে স্থিতাবস্থা আনার জন্য। এর পরেই রাহুলকে নিশানা করে বিদেশমন্ত্রী বলেন, কে সীমান্তে সেনা পাঠিয়েছিলেন? রাহুল গান্ধী পাঠাননি। সীমান্তে সেনা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রচুর ব্যয় করে আমরা সেখানে সেনা মোতায়েন করে রাখি। তিনি বলেন, আমরা সীমান্তে প্রতিরক্ষায় ব্যয় বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করেছি বাজেটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • S Jaishankar: ‘প্রযুক্তির প্রভাব বেড়েছে, তাই বাড়ছে ক্যাশলেস লেনদেন’, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘প্রযুক্তির প্রভাব বেড়েছে, তাই বাড়ছে ক্যাশলেস লেনদেন’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের মানসিকতার মধ্যে প্রযুক্তির প্রভাব বেড়েছে। তাই ক্যাশলেস লেনদেন (Cashless Transactions) ক্রমশ বেড়ে চলেছে। অস্ট্রেলিয়ায় এক আলোচনা সভায় কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তাঁর আরও দাবি, ক্যাশলেস লেনদেনে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ স্থান দখল করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। শনিবার রাইসিনা-সিডনি বিজনেস ব্রেকফাস্টে অংশ নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আপনি যদি আমাদের ক্যাশলেস লেনদেনগুলির নির্দিষ্ট ইউপিআই আইডি দেখেন, আমি মনে করি আমরা বিশ্বের সব চেয়ে বেশি সংখ্যক ক্যাশলেস লেনদেনে রেকর্ড করতে চলেছি। জয়শঙ্কর বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে ক্যাশলেস লেনদেনের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে।

    রাইসিনা-সিডনি বিজনেস ব্রেকফাস্ট…

    রাইসিনা-সিডনি বিজনেস ব্রেকফাস্টের আয়োজন করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনসটিটিউট এবং ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে। সিডনির ইন্টার-কন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজন করা হয়েছিল ওই আলোচনা সভার। ওই সভায়ই জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, মানুষের মানসিকতার মধ্যে প্রযুক্তির প্রভাব বেড়েছে। তাই ক্যাশলেস লেনদেন ক্রমশ বেড়ে চলেছে। তিনি জানান, ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, আমরা মানুষকে ক্যাশলেস লেনদেনের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উৎসাহিত করি। তিনি বলেন, আমরা মানুষকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে উৎসাহিত করি। কখনও কখনও তা করি খরচ ছাড়াই। সোশিও-ইকনোমিক ডেলিভারির জন্য বর্তমানে যে বেসিক মেকানিজম হল ডিজিটাল গভনেন্স, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ভারত যাতে একটা সোশ্যাল, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সিস্টেম গড়ে তুলতে পারে সে জন্য আমরা নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছি। স্কেল অফ ইনকামও বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছি।

    আরও পড়ুুন: উত্তরপ্রদেশে তৈরি কামান গর্জে উঠলে, উধাও হবে পাকিস্তান! বিস্ফোরক যোগী আদিত্যনাথ

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, জ্বালানি কাঠের বদলে সিংহভাগ ভারতবাসী এখন গ্যাসে রান্না করেন। আমরা সে ব্যবস্থা করেছি। দরিদ্র এবং অসহায়দের প্রথমবার আমরা গ্যাস দিচ্ছি বিনামূল্যে। তিনি জানান, আমাদের  দেশের ৮০ মিলিয়ন মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের আবাস যোজনা রয়েছে। এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ৩০ মিলিয়ন মানুষকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ভারতে যে পরিকাঠামোর বদল ঘটছে, তা আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। ইন্টিগ্রেটেড ইনফ্রাকস্ট্রাকচার পলিসির কারণেই এটা হয়েছে বলেও জানান জয়শঙ্কর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • S Jaishankar: ‘এই শিল্পপতি একজন বৃদ্ধ, একগুঁয়ে’, সোরসকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কেন জানেন?

    S Jaishankar: ‘এই শিল্পপতি একজন বৃদ্ধ, একগুঁয়ে’, সোরসকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গ-আদানি বিতর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নিশানা করেছিলেন মার্কিন ধনকুবের শিল্পপতি জর্জ সোরস (George Soros)। শনিবার তাঁকে একহাত নিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সোরস সম্পর্কে তাঁর অভিমত, এই শিল্পপতি একজন বৃদ্ধ, একগুঁয়ে, যিনি মনে করেন তাঁদের মতামত অনুযায়ী গোটা দুনিয়া চলবে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই সব মানুষ চান তাঁদের সমর্থিত দল ক্ষমতায় আসুক। উল্টোটা হলেই গণতন্ত্র ত্রুটিযুক্ত বলে চিৎকার করতে থাকেন। জয়শঙ্কর বলেন, মিস্টার সোরস একজন বৃদ্ধ, একগুঁয়ে মানুষ। নিউইয়র্কে বসে যিনি ভাবেন তাঁর মতামত মেনেই গোটা বিশ্বের চলা উচিত। তিনি বলেন, এই জাতীয় লোক সম্পদ লগ্নি করেন তাঁদের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার জন্য। বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, এই সব লোক মনে করেন নির্বাচন ভাল, যদি তাঁরা যাকে ক্ষমতায় দেখতে চান, তিনি জয়ী হন। কিন্তু ভোটের ফল যদি উল্টো হয়, তখন তাঁরা গণতন্ত্রের দোষ ধরতে ব্যস্ত হন। জয়শঙ্কর বলেন, এসবই করা হয় মুক্ত সমাজের দাবির অছিলায়।

    জয়শঙ্কর…

    বর্তমানে জয়শঙ্কর রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, গত তিন দশকে ভারতে একটা বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনটা হল আমাদের বাণিজ্যের সিংহভাগ হচ্ছে পূর্বমুখী। বর্তমানে ৫০ শতাংশেরও বেশি ব্যবসা হয় ভারতের পূর্ব দিকের দেশগুলির সঙ্গে। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়েও এদিন মুখ খোলেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতের বিদেশনীতিরও বড়সড় পরবর্তন হয়েছে। ভারত সম্পর্কে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাচ্ছে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে স্ট্র্যাটেজিক কনসেপ্ট বদলেছে, নয়া ভূরাজনৈতিক থেরাপি হয়েছে, কোয়াডের মতো নয়া মেকানিজমও হয়েছে।

    সোরসকে নিশানা করেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদীদের একটা অংশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ছোট করতে চাইছে, ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর আক্রমণ হানতে চাইছে। জর্জ সোরস তাদেরই কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত আগেও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে পরাস্ত করেছে। ভবিষ্যতেও করবে। স্মৃতি বলেন, আমি অনুরোধ করব দেশের সমস্ত মানুষ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলিকে একযোগে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে, গর্জে উঠতে।

    আরও পড়ুুন: ‘কর ফাঁকি দিয়েছে বিবিসি’, সমীক্ষা শেষে বিবৃতি আয়কর দফতরের

    প্রসঙ্গত, জার্মানির মিউনিখে এক সিকিউরিটি কনফারেন্সে সোরস বলেছিলেন, মোদি এ বিষয়ে (আদানিকাণ্ডে) এখনও নীরব। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে ও সংসদে তাঁকে জবাব দিতেই হবে। তিনি বলেন, এই ঘটনা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মোদির রাশকে দুর্বল করবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের দরজা খুলে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • S Jaishankar: জয়শঙ্করের মুখে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রশস্তি, কেন জানেন?  

    S Jaishankar: জয়শঙ্করের মুখে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রশস্তি, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Behari Bajpayee) ভূয়সী প্রশংসা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ১৯৯৮ সালে নিউক্লিয়ার টেস্টের (Nuclear Test) পর বাজপেয়ী কীভাবে নিজস্ব কৌশলে কূটনৈতিক সমস্যার সমাধান করেছিলেন, এদিন তা-ই মনে করিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দেন, ওই নিউক্লিয়ার টেস্টের পর দু বছরের মধ্যেই বিশ্বের প্রধান দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে ফেলেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী।

    অটল বিহারী বাজপেয়ী…

    নয়াদিল্লিতে অটল বিহারী বাজপেয়ী স্মারক বক্তৃতায় যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তাঁর আগে বলতে উঠেছিলেন সিঙ্গাপুরে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত বিলাহারি কৌশিকান। তাঁর পরে বক্তৃতা দিতে উঠে জয়শঙ্কর অটল বিহারী বাজপেয়ীর অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন। তিনি জানান বাজপেয়ী বিদেশমন্ত্রী হিসেবেও সফল। আমেরিকা ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের গাঁটছড়া শক্ত করতে তাঁর কী ভূমিকা ছিল, তাও মনে করিয়ে দেন। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক সংবেদনশীলতা এবং পারস্পারিক স্বার্থের যে মৌলিক বিষয়গুলি নিয়ে এখন চিনের সঙ্গে কথা হচ্ছে, তার সিংহভাগ কৃতিত্ব অটল বিহারী বাজপেয়ীর।

    আরও পড়ুুন: মঙ্গলে কুন্তল-তাপসকে বসিয়ে মুখোমুখি জেরা! নীলাদ্রির ‘পরিচয়’ মিলবে এদিনই?

    জয়শঙ্কর জানান, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে ভয় পেতেন না বাজেপয়ী। তাঁর বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গিরও এদিন অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন বিদেশমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদ দমন করতে তিনি সমস্ত রকম পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। ১৯৯৮ সালে পোখরানে নিউক্লিয়ার টেস্ট করে ভারত। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর বলেন, ওই পরীক্ষা নিয়ে ভাবতে হবে না। সেই পরীক্ষার পর কীভাবে দৌত্য সফল করেছিলেন বাজপেয়ী, সেটাই আমাদের স্মরণ করতে হবে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ওই পরীক্ষার মাত্র দু বছরের মধ্যেই আমরা বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে ফেলেছিলাম। তাদের আমরা পাশে পেয়েছিলাম। জয়শঙ্কর বলেন, সেই সময় আমি জাপানে পোস্টিং ছিলাম। ওই পরীক্ষার জেরে জাপানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে প্রভাব পড়েছিল। কিন্তু আমরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সাহস পাচ্ছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমরা কোনও না কোনও পথ (সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে) খুঁজে পেয়ে যাব। তিনি বলেন, তাঁর সেই কথা আমি আজও ভুলিনি। তাঁর প্রজ্ঞা এবং দূরদৃষ্টির কথা ভাবলে আমি আজও বিস্মিত হই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • S Jaishankar: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যা দরকার, ভবিষ্যতে তার সবই করবে ভারত (India)। শনিবার চেন্নাইয়ের তুঘলকের ৫৩তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে ফের চিনকে (China) এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারি চলার সময়ও চিন যে বারংবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, উত্তর সীমান্তে বিশাল বাহিনী এনে আমাদের চুক্তি ভঙ্গ করে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে চিন। জয়শঙ্কর বলেন, মনে করুন, কোভিড অতিমারির সময় ২০২০ সালের মে মাসেও এ রকমই হয়েছে। আমরাও যোগ্য এবং কঠিন জবাব দিয়েছিলাম। এবং এর কৃতিত্ব বিদেশমন্ত্রী দিলেন সেনাবাহিনীকে। তিনি বলেন, কঠিন ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে চরম আবহাওয়ার মধ্যেও আমাদের বাহিনী সীমান্ত রক্ষা করেছে।

    সংঘর্ষ…

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসে পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষ হয় চিন ও ভারতীয় সেনার। ২০২২ সালের শেষের দিকেও অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙে চিনা ফৌজ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করার চেষ্টা করলে প্রতিরোধ করে ভারতীয় সেনা। তার জেরে দু পক্ষে সংঘর্ষ হয়। দু পক্ষের কেউ নিহত না হলেও, জখম হন বেশ কয়েকজন। পরে ভারতীয় সেনার তাড়া খেয়ে বাঙ্কারে ফিরে যায় লালফৌজ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ২০ ডিসেম্বর চুশুল-মলডো সীমান্তে চিনের দিকে ১৭তম বার বৈঠকে বসেন চিন ও ভারতের সেনা কর্তারা।

    আরও পড়ুুন: ‘দেশ বাঁচাতে আমাদের একমাত্র পথ হল…’, কী বললেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট?

    এদিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ভারত এমন এক দেশ, যে কোনও দেশকে আঘাত করে না। তবে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যা দরকার, তার সবটাই করে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ভারতের ক্ষেত্রে ইতিহাসের পাশাপাশি ভৌগোলিক অবস্থানও এই দেশের গুরুত্ব বাড়িয়েছে। ভারতের নামে যে মহাসাগর, তার কেন্দ্রে রয়েছে ভারতীয় উপদ্বীপ। তিনি (S Jaishankar) বলেন, আমাদের অংশগ্রহণ ছাড়া এশিয়ার মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। ভারত মহাসাগরের ভৌগলিক গুরুত্ব আজ আরও বেশি। সেই কারণে গোটা দুনিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ভারত। জয়শঙ্কর বলেন, ভারত যত বেশি অংশগ্রহণ করবে, তত তার গুরুত্ব বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’! ‘‘পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া কথা বলতে পারি’’, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’! ‘‘পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া কথা বলতে পারি’’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) নাম উচ্চারণ না করেই আমি আবারও এই কথা বলতে পারি। সন্ত্রাসের এপিসেন্টারের (Epicentre) চেয়েও কর্কশ কথা আমি বলতে পারি। এক অস্ট্রিয়ান সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে একথা বললেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘে বক্তৃতা দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে এক হাত নিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    এদিন সেই প্রসঙ্গেই প্রশ্ন করেন এক অস্ট্রিয়ান সাংবাদিক। তিনি জয়শঙ্করকে বলেন, আপনি একজন কূটনীতিক। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে আপনি পাকিস্তানকে, আপনার প্রতিবেশী দেশকে সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার বলেছিলেন। এটা কূটনীতিসুলভ শব্দ নয়। তাই না? অস্ট্রিয়ান ওই সাংবাদিকের এহেন প্রশ্নের উত্তরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, পাকিস্তানের নাম না করেই আমি আবার এই শব্দটি ব্যবহার করতে পারি। তিনি বলেন, একজন কূটনীতিক হওয়ার মানে এই নয় যে আপনি অসত্য বলবেন। এর পরেই জয়শঙ্কর যোগ করেন, আমি এপিসেন্টারের চেয়েও কর্কশ শব্দ প্রয়োগ করতে পারি। তিনি বলেন, আমাদের প্রতি যা ঘটছে, তাতে আমার মনে হয় এপিসেন্টার কূটনৈতিক শব্দই।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) মনে করিয়ে দেন, কীভাবে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে হামলা চালিয়েছিল। ২০০৮ সালে হামলা চালিয়েছিল মুম্বইয়ে। তিনি বলেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে নিত্য অনুপ্রবেশের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে তারা। জয়শঙ্কর বলেন, পাকিস্তান হল সেই দেশ যারা মুম্বই শহরে হামলা চালিয়েছে। মুম্বইয়ের হোটেলে বিদেশি পর্যটকদের ওপর হামলা করেছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, যদি দিনের আলোয় কোনও দেশে সন্ত্রাসবাদীদের শিবির চলতে থাকে, তাতে অর্থায়ন করা হয়, তার পরেও কি বলা যায়, পাকিস্তান এর বিন্দুবিসর্গও জানে না। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ওই দেশে যে সন্ত্রাসবাদ চলছে, তা নিয়ে গোটা বিশ্ব রয়েছে উদ্বেগে। তারা এটা দেখছেও। বিশ্ব এটাও ভাবে, যে এটা আমাদের সমস্যা নয়, কারণ এটা ঘটছে অন্য একটি দেশে।

    আরও পড়ুুন: ‘মোদি বিশ্বের কণ্ঠস্বর, উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বর ভারত’, বললেন জয়শঙ্কর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

LinkedIn
Share