Tag: s jaishankar

s jaishankar

  • S Jaishankar: রাহুলের ‘পিটাই’ শব্দের তীব্র প্রতিবাদ জয়শঙ্করের, কংগ্রেস সাংসদকে কী বললেন জানেন?

    S Jaishankar: রাহুলের ‘পিটাই’ শব্দের তীব্র প্রতিবাদ জয়শঙ্করের, কংগ্রেস সাংসদকে কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) আমাদের জমি কেড়ে নিয়েছে। আমাদের সেনাদের প্রহার করছে। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াংয়ে ভারতীয় সেনা ও চিনা ফৌজের হাতাহাতি প্রসঙ্গে কথাগুলি বলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সোমবার লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদের ওই বক্তব্যের জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তাঁর মতে, সেনা জওয়ানদের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রাহুলের ‘পিটাই’ (প্রহার) শব্দটি ব্যবহার করা উচিত হয়নি। জয়শঙ্কর বলেন, রাজনৈতিক সমালোচনা নিয়ে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু আমাদের জওয়ানদের অশ্রদ্ধা করা উচিত নয়। তিনি বলেন, লোকে বলে, আমার নিজের উপলদ্ধি আরও গভীর হওয়া উচিত। যিনি এই পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁর প্রতি আমার মনে শ্রদ্ধা ছাড়া কিছু নেই। এর পরেই জয়শঙ্কর বলেন, জওয়ানদের সম্পর্কে পিটাই শব্দটি ব্যবহার করা ঠিক হয়নি।

    রাহুল উবাচ…

    প্রসঙ্গত, গত ৯ ও ১১ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিন ও ভারতীয় সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনা অল্পবিস্তর জখম হয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গেই রাজস্থানের জয়পুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রসে সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, চিন আমাদের জমি কেড়ে নিয়েছে। আমাদের সেনাদের প্রহার করছে। চিনের হুমকি স্পষ্ট। কিন্তু, সরকার এটা গোপন করে যাচ্ছে, অবজ্ঞা করছে। লাদাখ ও অরুণাচলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন। আর সরকার ঘুমিয়ে আছে।

    আরও পড়ুন: ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারেন মমতা, কেন জানেন?

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, আমরা যদি চিনা হুমকি অস্বীকারই করে থাকি, তাহলে সেনা জওয়ানরা নিয়ন্ত্রণরেখায় কী করছেন? রাহুল গান্ধী বলেছেন বলে তাঁরা সেখানে যাননি। সেনা জওয়ানরা ওখানে গিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন বলে। তিনি বলেন, আমরা চিনকে একতরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিবর্তন করতে দেব না। তিনি বলেন, আমাদের সেনারা সমুদ্রস্পৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ফুট ওপরে ইয়াংসি সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন। সেই সেনাদের সম্মান করা উচিত এবং তাঁদের প্রশংসা করা উচিত। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় চিনা ও ভারতীয় সেনার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের ‘এপিসেন্টার’ এখনও সক্রিয়। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ফের একবার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে (Pakistan) বেআব্রু করলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তান ও চিনের দ্বিচারিতা নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে অংশ নিয়ে বুধবার তিনি বলেছিলেন, যে দেশ ওসামা বিন লাদেন এবং প্রতিবেশী দেশের সংসদে হামলাকারীদের আশ্রয় দেয়, অন্যদের উপদেশ দেওয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাই নেই তাদের। মানুষকে বিভ্রান্ত না করে ভালো প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে হিলারি ক্লিনটনের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে জয়শঙ্কর বলেন, এক দশক আগে হিলারি ক্লিনটন তাঁর পাকিস্তান সফর চলাকালীন বলেছিলেন, যদি তুমি নিজের বাগানে সাপ রাখ, তাহলে সেই সাপ শুধুমাত্র আপনার প্রতিবেশীদেরই কামড়াবে, এই আশা করতে পারেন না। তিনি বলেন, পাকিস্তান পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থ। সেই কারণেই গোটা বিশ্ব পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার বলে মনে করে।

    ইসলামাবাদকে নিশানা করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, পাকিস্তানের মন্ত্রীরা রয়েছেন, তারা বলতে পারবেন পাকিস্তান কতদিন সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ চালু রাখার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, বিশ্ব বোকা নয়, তারা ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত দেশ ও সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, আমার পরামর্শ হল, নিজেদের কার্যকলাপ শোধরান ও একজন ভাল প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করুন।

    আরও পড়ুন: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    চিন ও পাকিস্তান যেভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সন্ত্রাসবাদীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে, এদিন সে প্রসঙ্গও টানেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। দুই প্রতিবেশী দেশের নাম না করেই তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ কোনও সীমান্ত, নাগরিকত্ব বা জাতি মানে না। সন্ত্রাসবাদের বিপদ যে দিন দিন বাড়ছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি বা হুমকি বর্তমানে আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। আমরা দেখেছি আল কায়দা, দয়েশ, বোকো হারাম ও আল সাবাব সহ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি কীভাবে নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধি করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে (Pakistan) মুখের মতো জবাব দিল নয়াদিল্লি (New Delhi)। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলেছিল শাহবাজ শরিফের দেশ। তার পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ২০০১ সালের সংসদ হামলার ঘটনা এবং আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বিঁধলেন পাকিস্তানকে।

    কাশ্মীর ইস্যু…

    দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীর ইস্যুর আন্তর্জাতিকীকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। তারই অঙ্গ হিসেবে এবার নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু তোলে পাকিস্তান। তার পরেই প্রতিবেশী দেশটিকে একহাত নেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। লাদেন এবং সংসদ হামলার প্রসঙ্গ তুলে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সক্রিয়তার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, রাষ্ট্রসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে সমসাময়িক প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির কার্যকরভাবে মোাকাবিলার ওপর। তা অতিমারি, জলবায়ু পরিবর্তন বা সন্ত্রাস হতে পারে। কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সাজানো তথ্য এবং গুরুত্বহীন অভিযোগ নতুন কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, বিশ্ব যাকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে না, তাকে জাস্টিফাই করার প্রশ্নও ওঠে না। জয়শঙ্কর বলেন, এটা অবশ্যই সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এর পরেই ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের সংসদের হামলার প্রসঙ্গ টানেন জয়শঙ্কর।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    এদিন জয়শঙ্করের (S Jaishankar) আগে বলতে ওঠেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। তার পরেই তাঁকে কার্যত বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, আজ থেকে আঠারো বছর আগে ১৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লক্সর-ই-তইবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের কয়েকজন সদস্য হামলা চালায় পার্লামেন্টে। প্রকাশ্যে গুলিও চালায় তারা। ঘটনায় মৃত্যু হয় ন’ জনের। পাকিস্তানের মদতেই সংসদে হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চলতি মাসের বৈঠকে সভাপতিত্ব করছে ভারত। মঙ্গলবার তাই রাষ্ট্রসংঘে যান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ইভেন্টে বক্তৃতা দেন। সেখানেই পাকিস্তানকে নিশানা করেন জয়শঙ্কর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • S Jaishankar: কম্বোডিয়ার অঙ্করভাট বিষ্ণু মন্দিরের সংস্কারে আর্থিক সাহায্য করবে ভারত, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: কম্বোডিয়ার অঙ্করভাট বিষ্ণু মন্দিরের সংস্কারে আর্থিক সাহায্য করবে ভারত, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্বোডিয়ার ঐতিহ্যশালী অঙ্করভাট বিষ্ণু মন্দির সংস্কারে আর্থিক সাহায্য করবে ভারত। রবিবার এমনটাই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। উত্তরপ্রদেশে গিয়ে কাশীতে তামিল সঙ্গম আয়োজিত ‘সমাজ ও জাতি গঠনে মন্দিরের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে একথা ঘোষণা করেছেন তিনি। 

    কী বলেন বিদেশমন্ত্রী? 

    তিনি বলেন, “শুধু একটি দেশেই সীমাবদ্ধ নয় ভারতীয় সভ্যতা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে রয়েছে নিদর্শন।”অঙ্করভাট মন্দির প্রসঙ্গ তুলে এদিন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। বর্তমানে আমরা সেই মন্দিরের সংস্কারে আর্থিক সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ ভারতীয় সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের প্রয়োজন রয়েছে। সরকার সেই লক্ষ্যে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”  

    আরও পড়ুন: ছাত্রী সেজে কলেজ- র‍্যাগিং- এর পর্দাফাঁস মহিলা পুলিশ অফিসারের

    কাশীর আলোচনা সভায় প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার কথা তুলে ধরেন এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তাঁর কথায়, “মন্দির কিন্তু শুধু ভারত বা এই উপমহাদেশে রয়েছে, এটা ভাবলে ভুল হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারতীয় মন্দির ছড়িয়ে রয়েছে। তাই আমরা যখন ভারতীয় সভ্যতার পুনরুদ্ধারে নেমেছি, তখন কিন্তু সেটা শুধু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। আমাদের বিশ্বজুড়ে কাজ করতে হবে। যে দেশগুলিতে ভারতীয় সভ্যতা ছড়িয়ে পড়েছিল সেখানেই শুধু তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা হবে এমনটা নয়। আমাদের দেশের মানুষরা বিশ্বের যেখানে যেখানে গিয়েছেন, সেখানেও ভারতীয় সভ্যতাকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।”   

    এদিনে চিনে রাষ্ট্রদূত থাকার সময়কার অভিজ্ঞতাও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “আপনারা তো অনেকেই জানেন আমি চিনে রাষ্ট্রদূত ছিলাম। চিনের পূর্ব প্রান্তে বহু হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখেছি আমি।” অযোধ্যা ও কোরিয়ার মধ্যে বিশেষ সম্পর্কের কথাও এদিন উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “কোরিয়ার বাসিন্দারা অযোধ্যার উন্নয়নে আগ্রহী।”  

    বাহারিনের শ্রীনাথ মন্দিরের কথাও এদিন উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বলেন, “বিদেশের এই মন্দিরগুলির প্রতিষ্ঠাতা ভারতীয়রাই। এটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। আমরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে একটি মন্দির তৈরি করেছি। বাহারিনেও মন্দির তৈরির অনুমতি পেয়েছি আমরা। এছাড়া ভিয়েতনামেও ভারত অনেক কাজ করছে। এই  কাজগুলির মধ্যে দিয়ে ভারতীয় মূল্যবোধ ও দর্শনকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jaishankar: ‘মোদি বিশ্বের কণ্ঠস্বর, উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বর ভারত’, বললেন জয়শঙ্কর

    Jaishankar: ‘মোদি বিশ্বের কণ্ঠস্বর, উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বর ভারত’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে শুক্রবার ফের একবার সুর চড়ালেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এশিয়া কাপ ২০২৩ নিয়ে বিসিসিআই (BCCI) এবং পিসিবি (PCB)-র বিতর্ক চলছে। কারণ বিসিসিআইয়ের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে যাবেন না। এই প্রসঙ্গেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, টুর্নামেন্ট হবে। এ নিয়ে আপনারা সরকারের অবস্থান জানেন। দেখা যাক, কী হয়!

    জয়শঙ্কর উবাচ…

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, আমি আবারও বলতে চাই যে আমাদের এটা গ্রহণ করা উচিত হবে না যে কোনও একটি দেশের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অধিকার রয়েছে। এটাকে বৈধতা দিতে হবে। আর তা করতে গেলে ওই দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে। এই চাপ ততক্ষণ জারি থাকবে যতক্ষণ না সন্ত্রাসবাদের বলি যাঁরা হয়েছেন, তাঁদের পরিবার সুর চড়াবেন। জয়শঙ্কর বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। কারণ সন্ত্রাসবাদের কারণে আমরা রক্তাক্ত হয়েছি।

    প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত এখনই কোনও আলোচনায় যেতে রাজি নয় বলে এদিন ফের একবার জানিয়ে দেন জয়শঙ্কর। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এটা একটা জটিল বিষয়। প্রতিবেশী যদি লজ্জা না করে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, তাহলে কী করবেন? মাথায় বন্দুক ধরলে আপনি কী করবেন? যদি আপনার প্রতিবেশী প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়…এবং এ ব্যাপারে কোনও রহস্য নেই, কারা এর নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাদের শিবিরই বা কোথায়। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, আমাদের কখনওই ভাবা উচিত নয় যে সীমান্তপারের সন্ত্রাস স্বাভাবিক।

    আরও পড়ুন: ‘রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে দু’ রকম কথা বলছে পশ্চিম’, বললেন জয়শঙ্কর

    তিনি বলেন, আমাকে আর একটা উদাহরণ দিন, যেখানে আর কোনও প্রতিবেশী দেশ তার পড়শি দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে। জয়শঙ্কর বলেন, এমন কোনও উদাহরণ নেই। এক দিক থেকে এটা অস্বাভাবিক নয়, তবে ব্যতিক্রম। তিনি বলেন, আমরা চাই পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের রাস্তা থেকে সরে আসুক। কারণ কোনও দেশের অধিকার নেই সন্ত্রাস করার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, আমরা চাই শান্তি আসুক। যুদ্ধ থামুক। তেলের দাম, অন্য পণ্যের দাম কমুক। তিনি বলেন, ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের কণ্ঠস্বর হয়ে গিয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বর হয়েছে ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Jaishankar: ‘রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে দু’ রকম কথা বলছে পশ্চিম’, বললেন জয়শঙ্কর

    Jaishankar: ‘রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে দু’ রকম কথা বলছে পশ্চিম’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) শুরু হওয়ার পর ভারত (India) মস্কো থেকে যে পরিমাণ জ্বালানি কিনেছে, ইউরোপিয় ইউনিয়নের তেল আমদানির পরিমাণ তার চেয়েও ছ গুণ বেশি। সোমবার সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Jaishankar)। জ্বালানি কেনা নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলি দু রকম কথা বলছে বলেও জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এদিন তিনি বৈঠক করেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে। তার পরেই পশ্চিমের দেশগুলির দু রকম কথার প্রসঙ্গ টানেন জয়শঙ্কর।

    পরিসংখ্যান দিয়েও প্রমাণ…

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এই দাবি যে নেহাতই কথার কথা নয়, এদিন তা পরিসংখ্যান দিয়েও প্রমাণ করে দেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি ২৪ (এদিনই শুরু হয়েছিল ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ) থেকে নভেম্বরের ১৭ তারিখ পর্যন্ত ইউরোপিয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে যে জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি করেছে, তা বিশ্বের ১০টি দেশের সম্মিলিত ক্রয় পরিমাণেরও বেশি। এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী (Jaishankar) বলেন, ভারত রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করেছে, তার ছ গুণ বেশি করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। আমরা গ্যাস আমদানি করি না। তবে তারা কত গ্যাস আমদানি করেছে, তা গুণে বলা যাবে না। তারা প্রায় ৫০ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের গ্যাস আমদানি করেছে। জয়শঙ্কর বলেন, রাশিয়া থেকে ভারত যে পরিমাণ কয়লা কিনেছে, ইউরোপিয় ইউনিয়ন কিনেছে তার চেয়েও ৫০ শতাংশ বেশি। জয়শঙ্কর যখন এই পরিসংখ্যান পেশ করছেন, তখন তাঁর পাশে বসেছিলেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী (Jaishankar) বলেন, রাশিয়ার তেল নিয়ে ভারতের বাধ্যবাধকতার দিকটি জার্মানি বুঝেছে। আমি আশা করব ইউরোপের প্রচারমাধ্যমও তা বুঝবে। প্রসঙ্গত, ভারতের বিদেশমন্ত্রী অনেক আগেই একবার বলেছিলেন, ইউরোপ একটি বিকেলে যত তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে, ভারত তা করে গোটা মাসে। এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, শক্তির উৎস যখন সীমাবদ্ধ, তখন ইউরোপ এক রকম ভাবে চলবে আর ভারতকে অন্য রকম উপদেশ দেবে, এটা হতে পারে না। এদিন দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি তথা গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mumbai Terror Attack: আজ মুম্বই হামলার ১৪ বছর! নিহতদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি, বিদেশমন্ত্রী

    Mumbai Terror Attack: আজ মুম্বই হামলার ১৪ বছর! নিহতদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি, বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার (Mumbai Attack) আজ ১৪তম বছর। ২৬/১১-য় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu), বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকতার আব্বাস নকভি-সহ বহু নেতারা। 

    নিহতদের স্মরণে ট্যুইট

    ২০০৮ সালে আজকের দিনেই দেশের বাণিজ্য নগরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার ১০ জঙ্গি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বোমা-গুলি ও বন্দুক নিয়ে নাশকতা চালায়। প্রাণ হারান ১৬৬ জন নিরীহ মানুষ। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশিও ছিলেন। জখম হন ৩০০-র বেশি মানুষ। বিশ্বের বহু দেশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে।

    মুম্বই হামলার এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১৪টা বছর। কিন্তু, তার ভয়বহতা এখনও পিছু ছাড়েনি। সেই দিন যাঁরা ডিউটিতে থাকাকালীন প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর তরফে ট্যুইটারে লেখা হয়েছে, ‘সেদিন আমরা যাঁদের হারিয়েছি, তাঁদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে গোটা দেশ। তাঁদের পরিবারের অশেষ যন্ত্রণা আমরা অনুভব করতে পারি। বীরত্বের সঙ্গে যে সব নিরাপত্তারক্ষী লড়াই করেছিলেন এবং কর্তব্যের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁদের সম্মান জানায় গোটা দেশ।’

    ট্যুইটারে বিদেশমন্ত্রী লিখলেন, ‘মানবতার পক্ষে বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদ। আজ ২৬/১১-য় নিহতদের স্মরণে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। যারা এই হামলার পরিকল্পনা ও তদারকি করেছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। গোটা বিশ্বে যারা জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন, এটা তাঁদের কাছে আমাদের ঋণ।’

    ট্যুইট করে শ্রদ্ধা জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হিন্দিতে তিনি লেখেন, “মুম্বইয়ে ২৬/১১-র জঙ্গি হামলায় নিরীহ নাগরিকদের হারায় দেশ। আমাদের সাহসী জওয়ানরা প্রত্যেককে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে তাঁদের প্রাণ হারান। তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানাই। যাঁরা কাছের মানুষকে হারানোর মতো অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।”

     

     

     

  • S Jaishankar: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়রা কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে সুবিধা পাবে, তা দেখা সরকারের সাংবিধানিক কর্তব্য, অভিমত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। রাশিয়া থেকে তেল কেনা প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনবে। নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে চায় যে কোনও দেশই। ভারতীয়দের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, চাহিদা মেটাতে রাশিয়া থেকে কম খরচে তেল কিনছে ভারত। দেশের মানুষের স্বার্থ নিশ্চিত করতে এটা সরকারের সাংবিধানিক বাধ্যতা।” ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনের পর রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল সংগ্রহ করে ভারত। গত সেপ্টেম্বরে তার পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি।

    মস্কো সফরে গিয়ে মঙ্গলবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিশন অন ট্রেড,ইকনমিক,সায়েন্টিফিক, টেকনিকাল ও কালচারাল কো অপারেশন সংক্রান্ত মিটিংয়েও অংশ নেন জয়শঙ্কর। দুদেশই বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে আলোচনা করেছে। পাশাপাশি সারাবিশ্বে খাদ্য ও শক্তিসম্পদের সুরক্ষাকে নিশ্চিত করার জন্য ভারত  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানার কথাও বলেছে।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

     মঙ্গলবারের ওই বৈঠকের পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন,‘‘আজকের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে মূল্যায়ন ও মত বিনিময় হয়েছে।’’রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভারভ জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ১৩০ শতাংশ ছুঁয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অঙ্ক প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে অন্তত ৩০ বিলিয়নে স্পর্শ করাতে হবে। ডলারের পরিবর্তে রুপি-রুবেল বিনিময়ে বাণিজ্য প্রসারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    অতিমারি পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে ধাক্কা এসেছে তাতে বিশ্ব জুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এ কথা জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা শুধু জাতীয় স্বার্থটা দেখছি তেমনটা নয়, জি ২০ অর্থনীতির অঙ্গ হিসাবে আমরা বিশ্ব অর্থনীতিকেও স্থিতিশীল করতে চাইছি। যুদ্ধ নয়, ভারত সব সময়ই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী।” বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব জুড়ে জ্বালানি সঙ্কটের আবহে কত সস্তায় অশোধিত তেল রাশিয়া থেকে ভারত আমদানি করতে পারে, তা নির্ধারিত করতেই জয়শঙ্করের এই সফর। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পরে বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় জয়শঙ্কর এবং লাভরভ এই নিয়ে পাঁচ বার বৈঠক করলেন।

  • S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু দিনের সফরে রাশিয়া (Russia) পৌঁছলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে। এই বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পরিবহণ, লজিস্টিক, এনার্জি সেক্টর, বিশেষত আর্কটিক সেল্ফ এবং রাশিয়ান ফার ইস্ট (Russian Far East) নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সফর নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয়েছে একটি বিবৃতি। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতার মূল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। অর্থনীতির উন্নতি, অর্থনৈতিক, এনার্জি, মিলিটারি-টেকনিক্যাল, হিউম্যানিটেরিয়ান, সায়েন্টিফিক এবং টেকনিক্যাল কোঅপারেশন নিয়ে আলোচনা হবে। মূল বিষয়গুলিতে কীভাবে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হবে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, জাতীয় মুদ্রা বিনিময় নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘ, এসসিও, জি-২০ এবং আরআইসি নিয়েও মত বিনিময় করবে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং লাভরভের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসতে পারে এসসিও, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ও। ইরানিয়ান নিউক্লিয়ার প্রবলেম সহ অন্যান্য কয়েকটি বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দুই দেশই বহন করে প্রিভিলেজড ও স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্ব। দুই দেশের সম্পর্কও বেশ কয়েক দশকের পুরানো।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে এখনও। এমতাবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মসৃণ হলেও, ইউক্রেনের সঙ্গে নয়াদিল্লর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। কারণ যুদ্ধ চলাকালীনও ভারত জ্বালানি কিনেছে রাশিয়ার কাছ থেকে। রাষ্ট্রসংঘেও ভারতকে থাকতে দেখা গিয়েছে রাশিয়ার পাশেই। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে ভারত মধ্যস্থতা করবে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, সে প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রক বলেছে, আমরা তখনই সফল হব, যখন দু পক্ষই আমাদের কূটনৈতিক সততা সম্পর্ক নিঃসন্দেহ হবে। এ ক্ষেত্রে আস্থার অভাব রয়েছে। আর পুতিনকে বাদ দিয়ে কোনও মধ্যস্থতা কার্যকর হবে না। প্রসঙ্গত, এর আগে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাশিয়া গিয়েছিলেন ২০২১ সালের জুলাই মাসে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: দু’দিনের সফরে রাশিয়া গেলেন এস জয়শঙ্কর! দেখা হতে পারে পুতিনের সঙ্গে?

    S Jaishankar: দু’দিনের সফরে রাশিয়া গেলেন এস জয়শঙ্কর! দেখা হতে পারে পুতিনের সঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে ভারত। আশা আন্তর্জাতিক মহলের। এই আবহেই, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) আজ, সোমবার (৭ নভেম্বর) দুদিনের সফরে রাশিয়া যাচ্ছেন। যেখানে তিনি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভের সঙ্গে এক বৈঠক করবেন। তাঁর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) দেখা হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা চলছে। সারা বিশ্বের নজর এখন জয়শঙ্করের মস্কো সফরের দিকে।

    আরও পড়ুন: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    বিদেশমন্ত্রীর এই সফরে উভয় দেশের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসতে পারে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নের বিষয়ে দুদেশের মধ্যে মতামত বিনিময় হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। আগামী দিনে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে ভারত, রাশিয়া, আমেরিকা-সহ নানা দেশ। সেখানে ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কীরকম অবস্থান নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হবে বিদেশমন্ত্রীর এই সফরে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, “রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সামগ্রিকভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে দুই দেশ।” রুশ বাণিজ্যমন্ত্রী ডেনিস মান্তুরোভের সঙ্গেও আলাদা ভাবে বৈঠক করবেন জয়শঙ্কর। তবে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গে এখনও কিছু জানায়নি বিদেশমন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    সম্প্রতি ৪,নভেম্বর একতা দিবস উপলক্ষে পুতিন ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর ভাষণে পুতিন বলেন, “ভারত তার সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দারুণ ফলাফল অর্জন করবে, এতে কোনও সন্দেহ নেই এবং প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মানুষের কাছে এখন এই সম্ভাবনা রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও প্রশংসা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয়, যেভাবে মোদির নেতৃত্বে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন পুতিন। পাশাপাশি ভারতের বিদেশনীতির প্রশংসাও শোনা যায় তাঁর মুখে। আর এরপরেই জয়শঙ্করের রাশিয়া সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share