Tag: s jaishankar

s jaishankar

  • S Jaishankar: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একপেশে সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে (American Media) একহাত নিলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টও। মার্কিন মিডিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশমন্ত্রীর অভিযোগ, ভারতের খবর করতে গিয়ে তারা অযথা এক পেশে সংবাদ পরিবেশেন করছে। রবিবার ইন্ডিয়া-আমেরিকান জমায়েতে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আমি সংবাদমাধ্যমের দিকে দেখি। আপনারা জানেন, কিছু সংবাদ পত্র রয়েছে তারা ঠিক কী লিখছে, তাদের নিজেদের সম্পর্কেই বা কী লিখছে…।

    এদিন বিখ্যাত মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টকেও নিশানা করেন জয়শঙ্কর। আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রতিদিন প্রকাশিত হয় সংবাদপত্রটি। একপেশে খবর প্রকাশ করার জন্যও তাকে আক্রমণ করেন জয়শঙ্কর। দেশে ভারত বিরোধী শক্তি ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, একপেশে  খবর পরিবেশন হচ্ছে। ভারত যত তাঁর নিজের পথে ও নিজের গতিতে এগিয়ে চলেছে, বহির্বিশ্বের কিছু শক্তি, যারা এতদিন নিজেদের ভারতের অভিভাবক বলে মনে করত, তাদের পায়ের তলার জমি সরে যাচ্ছে। যে কারণে, তারা প্রকাশ্যে এসে এধরনের (বিরূপ) মন্তব্য করতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন : মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    তিনি বলেন, এই জাতীয় গোষ্ঠী ভারতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। তারা বরং চেষ্টা করেই চলবে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই সব বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। প্রতিযোগিতা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সিংহভাগ আমেরিকান জানেন না যে কিছু শক্তিশালী গোষ্ঠী কীভাবে বিশৃঙ্খলা এবং জটিলতার সৃষ্টি করছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা পিছনের সারিতে থাকব না। অন্যকে আমাকে বিচার করতে দেব না। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আমেরিকায় অপব্যাখ্যা হচ্ছে কিনা, সে প্রশ্নও ওঠে এদিন। জয়শঙ্কর বলেন, যদি সেখানে(কাশ্মীরে) জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে প্রশ্ন ওটা উচিত নয়, জঙ্গি হামলায় যিনি নিহত হলেন, তিনি কোন ধর্মাবলম্বী। জয়শঙ্কর বলেন, এটা প্রতিযোগিতার বিশ্ব। এই সময় বিশ্বে পৌঁছে দিতে হবে আমাদের বার্তা। আপনাদের প্রতি আমারও বার্তা এটাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য  দেশ নয় ভারত (India)। এটা যে কেবল ভারতের পক্ষে কাম্য নয়, তা নয়, বিশ্বের পক্ষেও ভাল বার্তা নয়। বুধবার একথাই জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে ভারতের কতদিন সময় লাগবে? এই প্রশ্নের উত্তরেই জয়শঙ্কর জানান ভারতের সদস্য না হওয়ার বিষয়টি বিশ্বের পক্ষেও ভাল নয়।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে ভারতের। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। উল্লেখ্য যে, অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক, কবে জানেন?

    কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নীতি আয়োগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরবিন্দ পনাগারিয়ার সঙ্গে কথপোকথন হচ্ছিল জয়শঙ্করের। সেখানেই ওঠে ওই প্রশ্ন। তার জবাবও দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে পরেই গঠিত হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ। জয়শঙ্কর বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত হয়েছিল দীর্ঘ ৮০ বছর আগে। তখনকার বিশ্ব ও এখনকার বিশ্বের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই সময়সীমায় বিশ্বে স্বাধীন দেশের সংখ্যা হয়েছে তিনগুণ। তিনি জানান, বিশ্বের একটা বিরাট অংশই রয়ে গিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের বাইরে। জয়শঙ্কর জানান, অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে। বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল সমাজেও পরিণত হবে এই দেশ। বিদেশমন্ত্রী বলেন, এরকম একটা দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়। এটা আমাদের পক্ষেও যেমন ভাল নয়, তেমনি ভাল নয় তামাম বিশ্বের পক্ষেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • UN Security Council: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হবে ভারত! বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে জল্পনা 

    UN Security Council: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হবে ভারত! বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে জল্পনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর অস্থায়ী সদস্যপদ নয়। এবার কি তবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UN Security Council) স্থায়ী সদস্যপদ পেতে চলেছে ভারত? এমনই জল্পনা উসকে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র ভারত। পরমাণুশক্তিধর আমাদের দেশ এখন পৃথিবীর পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতির অধিকারী। সেই জায়গা থেকে ভারত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্য।” এই মুহূর্তে সৌদি আরবে (Saudi Arabia) রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাই ভারতকে এই পদ দেওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার কথা ভেবে রাষ্ট্রসংঘের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। তবেই বিশ্বশান্তি রক্ষায় সক্ষম হবে এই সংস্থা।”

    আরও পড়ুন: ভোট রাজনীতি দেশের স্বার্থকে প্রভাবিত করবে, সেই দিন আর নেই, বললেন এস জয়শঙ্কর  

    শনিবার থেকে ৩ দিনের সৌদি আরবে সফরে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রবিবার সৌদির রাজপুত্র মহম্মদ বিন সালমানের (Crown Prince Mohammed Bin Salman) সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর হাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) লিখিত বার্তা তুলে দেন বিদেশমন্ত্রী। ভারত এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির বিষয়েও কথা হয় সেই  বৈঠকে। বর্তমানে ভারত এবং সৌদি আরবের মধ্যে ২৮০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবসা হয়। মধ্য প্রাচ্যের এই দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে অপরিশোধিত তেল কেনে ভারত। ভবিষ্যতে এই ব্যবসা ৪২০ কোটি মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে ভারতে। পাল্লা দিয়ে রফতানি বৃদ্ধির পরিকল্পনাও রয়েছে দেশের। 

     

    আরও পড়ুন: আবু ধাবিতে ‘সম্প্রীতির প্রতীক’ হিন্দু মন্দির নির্মাণ খতিয়ে দেখলেন জয়শঙ্কর

    এবারের সৌদি আরব সফরে গিয়ে সেখানকার বিদেশমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদর সঙ্গে বৈঠক করেছেন এস জয়শঙ্কর। ভারত-সৌদি আরব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশ্ব রাজনীতি, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর। গত কয়েক মাসে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহ একাধিক বিষয়ে দুই দেশের সচিব পর্যায়ে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দেশই রাষ্ট্রসংঘ, জি-২০ এবং জিসিসি-তে তাদের সহযোগিতা এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের মহাসচিব এইচ. ই. নায়েফ ফালাহ মুবারক আল-হাজরাফের সঙ্গে জয়শংকরের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan: পাকিস্তানে শিখ মহিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণ, জয়শঙ্করের হস্তক্ষেপ দাবি

    Pakistan: পাকিস্তানে শিখ মহিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণ, জয়শঙ্করের হস্তক্ষেপ দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার পাকিস্তানের (Pakistan) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। দিনা কৌর (Dina Kaur) নামে এক শিখ (Sikh) মহিলাকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ (Convertion) করতে বাধ্য করা হয়। ২০ অগাস্ট ঘটনাটি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখার বানার জেলায়। প্রথমে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়, তারপর সেই অপহরণকারীর সঙ্গে পুলিশ এবং প্রশাসনের সামনেই জোর করে ওই মহিলার বিয়ে দেওয়া হয়। 

    এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শিখ সম্প্রদায় বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। সোমবার এই নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন। বিবৃতিতে বলা হয়, যেসব শিখরা ভারতের বাইরে থাকছেন, তাঁরা খারাপ অবস্থায় রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: তিনদিনের স্বস্তি, আগাম জামিন মঞ্জুর ইমরান খানের, গ্রেফতার করা যাবে না ২৫ অগাস্ট অবধি

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের (NCM) চেয়ারম্যান ইকবাল সিং লালপুরা ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে (S Jaishankar) বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন। এরকম ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে সে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাকিস্তানে শিখদের সুরক্ষাকে নিশ্চিত করা হোক।” 

    সংখ্যালঘু সংগঠনের তরফ থেকে এই বিবৃতি আসার আগে, ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) নেতা মনজিন্দর সিং সিরসা (Manjinder Singh Sirsa) বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব জেপি সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। দিনা কৌরকে অপহরণ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার বিষয়ে পাকিস্তান হাইকমিশনারকে তলব করার অনুরোধ করেন।

    আরও পড়ুন: বিলম্বিত বোধোদয় পাকিস্তানের! কাশ্মীর নিয়ে কী বললেন শাহবাজ শরিফ জানেন? 

    সিরসা বলেন, “আমরা পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি আন্তর্জাতিকস্তরে উত্থাপন করার জন্য বিদেশ মন্ত্রককে অনুরোধ করেছি। জেপি সিং জি আমাদের এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।” 

    বিজেপি নেতা আরও বলেন, “নির্যাতিতার বাবা গুরুচরণ সিং থানায় গেলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। শিখ সম্প্রদায়ের চাপ সত্ত্বেও, পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি পুলিশ, মেয়ের সঙ্গে বাবা- মাকে দেখা করতেও বাধা দেয়।”

  • India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) সীমান্ত চুক্তি (Border Pacts) উপেক্ষা করেছে। গালওয়ান উপত্যকায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আর এতেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। 

    আরও পড়ুন: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২
     
    জয়শঙ্কর বলেন, “১৯৯০ সালে চিনের সঙ্গে ভারতের যে চুক্তি হয়েছিল তা মানছে না চিন। সেই সময়ের চুক্তিতে সীমান্ত এলাকায় প্রচুর সৈন্যের জমায়েত না করার কথা হয়েছিল। কিন্তু পুরনো সেই চুক্তির শর্ত উপেক্ষা করছে  বেজিং। গালওয়ান উপত্যকায় কী ঘটছে – তা এখন সকলেই জানা। এই সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।” 

    ভারত ও চিনের মধ্যে বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এস জয়শঙ্কর বলেন, “এটি একমুখী সম্পর্ক হতে পারে না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা জরুরি। চিন আমাদের প্রতিবেশী। প্রত্যেকেই তাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু এই অনুভূতি দুই দেশের তরফেই থাকা উচিৎ। কিছু শর্ত আছে। আপনি আমাকে সম্মান করলে, তবেই আমি আপনাকে সম্মান করতে পারব।” তিনি আরও বলেন, “ভারত এই দৃষ্টিকোন থেকেই চিনসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রস্তুত। কিন্তু চিন সম্পূর্ণ উল্টোপথে হাঁটছে। সেখানে চিন নিজের শর্ত আরোপ করছে। ভারতের শর্ত উপেক্ষা করছে।”

    আরও পড়ুন: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল
     
    ফিঙ্গার এরিয়া, গালওয়ান উপত্যকা, হট স্প্রিংস এবং কংরুং নালা সহ একাধিক এলাকায় চীনা সেনাবাহিনী সীমালঙ্ঘন করায় ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে ভারত-চিন সম্পর্কে ফাটল ধরে। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “যেকোনও সম্পর্কই দ্বিমুখী। একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক একমুখী হতে পারে না। আমাদের সেই পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক সংবেদনশীলতা প্রয়োজন। ভারত-চিন সম্পর্ক যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, এটা আর লুকোনোর বিষয় না।”  
      
    অন্যদিকে এস জয়শঙ্কর ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে সম্পর্কে আরও যাতে উন্নত হয় তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন দুই দেশের সদিচ্ছা, ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার কারণেই ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে সুসম্পর্ক অব্যহত রয়েছে।  

    এই সফরে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তিন দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তেমনই জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। প্যারাগুয়েতে ভারতে একটি দূতাবাসও উদ্বোধন করবেন বিদেশমন্ত্রী।

     

     

     

     

  • SCO Summit: এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে উজেবেকিস্তান যাচ্ছেন জয়শঙ্কর

    SCO Summit: এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে উজেবেকিস্তান যাচ্ছেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু দিনের উজবেকিস্তান (Uzbekistan) সফরে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী (Foreign Minister) এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ২৮-২৯ জুলাই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের, সংক্ষেপে এসসিও (SCO)-র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে যোগ দিতেই উজেবেকিস্তান যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। বৈঠকে আসন্ন এসসিও কাউন্সিলের বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে।

    সেপ্টেম্বর মাসের ১৫-১৬ উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের  প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মুখোমুখি হবেন আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা।

    চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। চলতি বছরের প্রথম দিনে তিন বছরের মেয়াদে এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নয়া সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন ঝাং মিং। তিনি জানান, সংগঠনের সম্ভাবনা ও কর্তৃত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করা, দারিদ্র হ্রাস এবং খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাও।

    আরও পড়ুন : এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    পূর্ণ সদস্যদের রাষ্ট্রপ্রধানরা মুখোমুখি হওয়ার আগে ফি বার হয় বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। এবারও তা হবে। তাতেই যোগ দিতে জয়শঙ্কর উড়ে যাচ্ছেন উজবেকিস্তান। সেখানে আঞ্চলিক এবং বিশ্ব উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান মন্ত্রী।  উজবেকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ভ্লাদিমির নরভের সঙ্গে সঙ্গে জয়শঙ্কর চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক করতে আগ্রহী। আর যদি তা হয়, তবে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার হবে জয়শঙ্কর-ওয়াং বৈঠক।

    আরও পড়ুন : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    প্রসঙ্গত, গলওয়ানে ভারত-চিন যুদ্ধের পর থেকে দু দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। সমস্যা মেটাতে দু দেশের মধ্যে সেনা পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে ১৬ বার। এসসিও সামিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বৈঠকে বসেন কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে তামাম বিশ্ব।  

    আরও পড়ুন : পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে মুখিয়ে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে আজ সর্বদল বৈঠকের ডাক কেন্দ্রের

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে আজ সর্বদল বৈঠকের ডাক কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে (Sri Lanka Crisis) সর্বদলীয় বৈঠকে (All-Party Meeting) ডাক দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ, মঙ্গলবার, হতে চলেছে সেই বৈঠক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। 

    অর্থনৈতিক মন্দায় ডুবে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী তামিলদের স্বার্থে শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে ভারতের হস্তক্ষেপের দাবি করেছে তামিলনাড়ুর প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ডিএমকে (DMK) এবং এআইএডিএমকে (AIADMK)।

    আরও পড়ুন: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া?  

    সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে এক বৈঠকে, ডিএমকে এবং এআইএডিএমকে সরকারের সামনে শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গ তুলেছিল। সেখানে বসবাসকারী তামিল জনজাতির পরিস্থিতির উন্নতিতে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে। ডিএমকে নেতা টিআর বালু এবং এআইএডিএমকে নেতা এম থাম্বিদুরাই তাঁদের দাবি সংবাদমাধ্যমকেও জানান।

    আরও পড়ুন: মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, মেলেনি আশ্রয়, যাবেন কোথায়?       

    এর আগেই দ্বীপ রাষ্ট্রের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কার পড়ন্ত অর্থনীতির কথা মাথায় রেখেই ইতিমধ্যেই সে দেশকে ৩৮০ কোটি  মার্কিন ডলার দিয়ে সাহায্য করেছে মোদি সরকার। এছাড়াও জ্বালানি, খাবার, জামাকাপড়ের মতো ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ভারত থেকে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়েছে।    

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ বিষয়ে বলেন, “কোনও দেশের উন্নতি, শান্তি বজায় রাখতে, সবার আগে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখা প্রয়োজন। আমরা শ্রীলঙ্কার গণতন্ত্র বজায় রাখার লড়াইয়ে তাদের পাশে আছি।”  

    তিনি আরও বলেন, “আমরা শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে খুব সুক্ষ্মতার সঙ্গে নজর রাখছি। আমাদের শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সুসম্পর্ক ইতিহাস প্রাচীন। আমরা তা বজায় রাখব। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, আমরা এখন সেটাই দেখছি।”

    শ্রীলঙ্কার আন্দোলন রবিবার শততম দিন পার করেছে। কিন্তু অবস্থার কোনও রকম উন্নতি হয়নি। গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের দখল নেয়। তারপরেই প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপ পালান রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর পৌঁছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি সামলাতে কার্যকরী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।  এই আর্থিক সংকটের জন্য সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। আর্থিক মন্দার কারণে গত বছর থেকে দ্বীপ রাষ্ট্রের ২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ খাবার, জ্বালানি ও ওষুধের সংকটে ভুগছেন।   

        

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বদলীয় সরকার (All Party Government) গড়তে সহমত হল শ্রীলঙ্কার (Srilanka) সমস্ত বিরোধী দল (Oppositions)। আগামী বুধবার রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বর্তমান রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে (President Gotabaya Rajapaksa)। রাষ্ট্রপতির ইস্তফার পর দেশ চালানোর জন্য সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের রাজনৈতিক দলগুলি। রবিবার একটি বৈঠকের পর এই কথা জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি।

    দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি ভেঙে (Sri Lanka Economic Crisis) পড়েছে। ভারতের এই প্রতিবেশী দেশজুড়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন নেতা, ক্রিকেটার থেকে সাধারণ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক সঙ্কট থেকে টেনে তুলতে ব্যর্থ সরকার। বিক্ষোভ কর্মসূচী হিসেবে রাষ্ট্রপতির বাসভবনের দখলও নিয়েছে দেশের জনতা। এই পরিস্থিতিতে সরকার চালানোর বিষয়ে রবিবার বৈঠকে বসে বিরোধী দলগুলি। তার পরেই শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা (SLPP) দলের নেতা বিমল বীরাবানসা বলেন, ‘‘কিছু সময়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ সরকার গড়তে আমরা সব দল সম্মত হয়েছি।’’ 

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় গণবিদ্রোহ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন, রাষ্ট্রপতির বাড়ির দখল নিল জনতা  

    বিমল আরও বলেন, ‘‘এই সরকারে সব দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।’’ এসএলপিপির আরেক নেতা বাসুদেব নানাইয়াক্কারার বলেন, “১৩ জুলাই গোতাবায়ার ইস্তফার জন্য অপেক্ষা করা উচিত নয়। তার আগেই সরকার গড়া উচিত।” 

    শনিবার বিক্ষোভ শুরু হতেই বিরোধী নেতারাও রাষ্ট্রপতির ইস্তফা দাবি করেন। সেই বার্তা গোতাবায়ার কাছে পৌঁছে দেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা। তারপরেই ১৩ জুলাই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন গোতাবায়া । ইস্তফা দেবেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমেসিঙ্ঘে।

    আরও পড়ুন: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    প্রধান বিরোধী দল সমাগী জন বলাওয়েগায়া দলের নেতা র়ঞ্জিত মাদ্দুমা বানদারা বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গড়ায় সম্মত হয়েছি আমরা। এর পর দেশে সংসদীয় নির্বাচন হবে।’’

    হাল ছাড়েননি রাষ্ট্রপতি: তবে এখনও হাল ছাড়েননি রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। জনরোষের ভয়ে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে থেকেও দিচ্ছেন সরকারি নির্দেশ। রবিবার শ্রীলঙ্কার সেনাপ্রধান জেনারেল শেভেন্দ্র সিলভা জানান, রাষ্ট্রপতি সরকারি আধিকারিকদের জনগণের মাঝে রান্নার গ্যাস বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের পথ এখনও খোলা রয়েছে, এতে জনতার সমর্থন কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। রাজাপক্ষের এই পদক্ষেপে ফের বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তাহলে এখনও কী পদে থাকার আশা ছাড়েননি তিনি! সত্যিই কী ইস্তফা দেবেন?  

    শ্রীলঙ্কার জনগণের পাশে ভারত: এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের জনগণের পাশে থাকার বার্তা দিল ভারত সরকার। শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিদেশ মন্ত্রকের (Ministry of External Affairs) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) বলেন, “ভারত শ্রীলঙ্কার নিকটতম প্রতিবেশী। দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধন রয়েছে। আমরা শ্রীলঙ্কা এবং তার জনগণ যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সে সম্পর্কে অবগত। অরিন্দম বাগচি আরও বলেছেন, “আমরা চাই শ্রীলঙ্কা খুব অল্প সময়ে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসুক। ভারত এই বছর শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ অর্থনৈতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে সেই দেশকে প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা দিয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবিষয়ে বলেন, “ভারত সরকার শ্রীলঙ্কার বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলার ক্ষেত্রে সমস্ত সম্ভাব্য সাহায্য করবে।”

    শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠাচ্ছে ভারত? সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হচ্ছিল যে ভারত নাকি সেনা পাঠাচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। তবে কলম্বোতে ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের রিপোর্ট ভারতের অবস্থানের সঙ্গে মেলে না। বিদেশ দফতরের মুখপাত্রও জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত শ্রীলঙ্কার মানুষের পাশে রয়েছে। তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মাধ্যমে দেশের উন্নতি চাইছেন। 

  • Jaishankar On LAC: সীমান্ত আগ্রাসন নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের, কী বললেন তিনি?

    Jaishankar On LAC: সীমান্ত আগ্রাসন নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (line of actual control) চিনের (China) এক তরফা আগ্রাসন মেনে নেবে না ভারত (India)। শনিবার এক অনুষ্ঠানে একথা সাফ জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। দিন কয়েক আগেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। মোদি সরকারের বর্ষপূর্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানে ভারতের মত ব্যক্ত করেছিলেন জয়শঙ্কর। সেই অনুষ্ঠানে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে তিনি বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বিষয়ে ভারত কখনও তার অবস্থান বদলাবে না। ১৯৬২ সালের পর নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর প্রচুর ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। দেশের সুরক্ষার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন :পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত?

    শনিবার ইস্টার্ন লাদাখ বর্ডার বিবাদ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের একতরফা আগ্রাসন ভারত মেনে নেবে না। তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও আমরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা আগ্রাসন রুখে দিয়েছিলাম। বিদেশমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর তারা সেনা মোতায়েন করলে, আমরাও পাল্টা সেনা মোতায়েন করি। তার পর থেকে আমরা দু দেশটি বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করেছি। এবং তার ফলে দু দেশের মধ্যে বিতর্কিত অনেক সমস্যাই মেটানো গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে মুখিয়ে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    তিনি বলেন, কোনও কোনও ক্ষেত্রে তারা পিছু হটেছে। কখনও আবার আমরা। এপ্রিল মাসের আগে আমাদের দু দেশের সম্পর্ক যেমন ছিল, এখন আমরা তার থেকে ঢের বেশি এগিয়ে এসেছি। সমস্যা মেটাতে আমাদের উপযুক্ত সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, কাজটা কঠিন। ধৈর্যের কাজ। কিন্তু একটা বিষয়ে আমরা একমত, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের একতরফা আগ্রাসন আমরা কখনওই মেনে নেব না।

     

  • S Jaishankar: পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে মুখিয়ে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে মুখিয়ে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (nuclear suppliers group) বা পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে মুখিয়ে রয়েছে ভারত (India)। মোদি (modi) সরকারের অষ্টম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত কূটনৈতিক স্তরের এক বিশেষ বৈঠকে যোগ দিয়ে একথা জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (s Jaishankar)। তাঁর মতে, সব রকম রাজনৈতিক বাধা দূর করে বিশ্বের বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (NSG) যোগ দিতে চায় ভারত।

    বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারতের মতো দেশ নিয়ম-ভিত্তিক নির্দেশকে মজবুত করাকেই পছন্দ করে। ভারত সর্বদা এসব ক্ষেত্রে যে কোনও অবদান রাখার সুযোগকে মর্যাদা দেয়। এমটিসিআর, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ ও ওয়াসেনার চুক্তিতে ভারতের সদস্যপদ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ সবকটি গোষ্ঠীই হল বহুপাক্ষিক পরমাণু রফতানি নিয়ন্ত্রণ সংগঠন। ফলে, এর থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, ভারত একটি  দায়িত্বশীল দেশ। তাই, পরমাণু অস্ত্রপ্রসার রোধ চুক্তিতে ভারত স্বাক্ষর না করলেও, আমরা এনএসজি-তে জায়গা পাওয়ার যোগ্য অধিকারী।”

    আরও পড়ুন : “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

    বিদেশ মন্ত্রক আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের মতো একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে আমরা মুখিয়ে রয়েছি। এজন্য যাবতীয় রাজনৈতিক বাধা দূর করে ওই গোষ্ঠীতে আমরা যোগ দিতে চাই। বিশ্বে পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ৪৮। এর মধ্যে ভারত নেই। অথচ ভারত পরমাণু শক্তিধর দেশ। চিনের (China) বিরোধিতার কারণে ভারত ওই গোষ্ঠীর সদস্য হতে পারছে না। চিনের বক্তব্য, ভারত পরমাণু অস্ত্র প্রসাররোধ চুক্তিতে (NPT) সই করেনি। তাই তাকে এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরেই বারবার চেষ্টা করেও ওই গোষ্ঠীর সদস্য হতে পারছে না ভারত।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের বিদেশনীতিতে কোন কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তাও স্পষ্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর বলেন, আপনি যে ভারতে বাস করছেন, তা আগের চেয়ে ঢের আলাদা। দেশ কিংবা বিদেশনীতিতে এই দেশ তার মূল লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছে। নিত্য যার প্রমাণ মিলছে গণতন্ত্রের উন্নতিতে। তিনি বলেন, দেশের মানব উন্নয়ন সূচক ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। বিদেশমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ভারত তার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালন করছে। এই সময় দেশ তার জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতার বিষয়টিও মাথায় রেখেছে। তাই দেশের কল্যাণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঙ্গলের দিকটিও দেখছে ভারত।

     

LinkedIn
Share