Tag: s jaishankar

s jaishankar

  • S Jaishankar: আমি রস টেলরের ভক্ত! ভারত-নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট নিয়ে কী বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: আমি রস টেলরের ভক্ত! ভারত-নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট নিয়ে কী বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর ক্রিকেটপ্রেম অজানা নয়। স্কুল, কলেজ জীবনে ব্যাট-বল নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতেন সবুজ গালিচায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে অনেক কিছু। কর্মক্ষেত্রে বেড়েছে দায়দায়িত্ব। বিদেশমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলানোর পাশাপাশি ক্রিকেটের যাবতীয় খবর যে তিনি এখনও সমানভাবে রাখেন, তা ধরা পড়ল এস জয়শঙ্করের কথায়। ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে ক্রিকেটকে মাধ্যম করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেট সিরিজের প্রশংসা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। জয়শঙ্কর বলেন, ‘বাইশ গজে দুই দেশের সুষ্ঠু লড়াই সকলেই উপভোগ করে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের কথা উঠলেই অনেক মুখ চোখের সামনে ভিড় করে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে ক্রিকেটের সুবাদে।’

    আরও পড়ুন: ভারতীয়দের মার্কিন ভিসা পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন জয়শঙ্করের   

    ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ জন রাইটের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘জন রাইটের কোচিংয়ে ভারতীয় ক্রিকেট নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। স্টিফেন ফ্লেমিং এখন চেন্নাই সুপার কিংসের কোচ। আমিও যেহেতু ওই অঞ্চলের মানুষ, তাই চেন্নাইয়ের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ফ্লেমিংরে জনপ্রিয়তা টের পাই। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন। অত্যন্ত ভদ্র ক্রিকেটার। তবে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের মধ্যে আমি রস টেলরের ভক্ত।’

    আরও পড়ুন : ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    এটা জয়শঙ্করের দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়া সফর। তাঁকে স্বাগত জানাতে তেরঙ্গা পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল রাজপথ। যা দেখে অভিভূত ভারতের বিদেশমন্ত্রী। পরে তিনি ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে ভারত কি ভোট দেবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে? এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁর দিকে। তবে টেস্ট ক্রিকেটের ধাঁচেই বাউন্সার সামলে তিনি বলেন, ‘ভোট দানের ক্ষেত্রে আগে থেকে কোনও কিছুই বলা সম্ভব নয়।’ ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে রাশিয়ার তৈরি অস্ত্রের বাড়বাড়ন্ত প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের জবাবে মাঠের বাইরে ছক্কা মারেন জয়শঙ্কর। তাঁর সোজা জবাব, ‘পশ্চিমি দেশগুলি তো তখন ভারতে অস্ত্র সরবরাহ করত না। তাই বিকল্প ভাবা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, এর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত ছিল ভারত। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, সেই কারণেই ভোটদানের ব্যাপারে আগেভাগে মুখ খুলতে চাননি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। একই সঙ্গে তিনি অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছে স্টুডেন্ট ভিসা আরও সরলীকরণের দাবি জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • India Military: পশ্চিমী বিশ্ব থেকে ভারত কোনও সাহায্য পায়নি, রুশ অস্ত্র ইস্যুতে সাফ কথা জয়শঙ্করের

    India Military: পশ্চিমী বিশ্ব থেকে ভারত কোনও সাহায্য পায়নি, রুশ অস্ত্র ইস্যুতে সাফ কথা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ত্রের জন্য ভারতের (India) রাশিয়ার (Russia) ওপর নির্ভরতা কয়েক দশকের পুরানো। কারণ আমেরিকা এবং পশ্চিমী বিশ্ব থেকে ভারত কোনও অস্ত্র সাহায্য পায়নি। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানেবেরায় সোমবার একথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারতকে ছেড়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোয়ও এদিন আমেরাকিকে একহাত নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সম্প্রতি পাকিস্তানকে এফ ১৬ যুদ্ধাস্ত্রের সরঞ্জাম দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এদিন তাকেই কটাক্ষ করেছেন জয়শঙ্কর।

    অস্ট্রেলিয়ায় এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে ভারতের অস্ত্র ভাণ্ডারে (India Military) রাশিয়ার তৈরি প্রচুর অস্ত্র রয়েছে। এই অস্ত্র ভাণ্ডার ক্রমেই স্ফীত হয়েছে নানা কারণে। শুধুমাত্র যে অস্ত্রগুলো ভাল, তা নয়, বিগত কয়েক দশক ধরে পশ্চিমের দেশগুলি ভারতকে অস্ত্র সরবহার করেনি। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা সব সময়ই তা নিয়ে কাজ করি, যা আমাদের কাছে উপলব্ধ রয়েছে। বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।

    অস্ত্রের জন্য রাশিয়ার ওপর ভারতের নির্ভরতা আমেরিকা-ভারতের বন্ধুত্বের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকার এস ৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনছে ভারত। মার্কিন আইন অনুযায়ী, এর জেরে ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই ভারত রাশিয়া থেকে কিনেছে ওই অস্ত্র।

    আরও পড়ুন : আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, নানা কারণে ভারতকে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনতে হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল রাশিয়ার অস্ত্র ভাণ্ডারের কার্যক্ষমতা। কিন্তু পশ্চিম বিশ্বের দেশগুলি যেভাবে ভারতের বদলে সামরিক শাসনে থাকা অন্য একটি দেশকে অস্ত্র সরবরাহ করছে, তাতে রাশিয়া থেকে ভারতের অস্ত্র আমদানির প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বদলে গিয়েছে বিশ্ব রাজনীতির চালচিত্র। যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে রাষ্ট্রসংঘে একাধিক রেজলিউশন পাশ করার চেষ্টা করেছে আমেরিকা। যদিও প্রতিবারই ভোটাভুটিতে বিরত থেকেছে ভারত। প্রত্যাশিতভাবেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Swaminarayan Mandir: মৌলবাদী শক্তিগুলি স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে, কানাডার খালিস্থান সমর্থকদের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    Swaminarayan Mandir: মৌলবাদী শক্তিগুলি স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে, কানাডার খালিস্থান সমর্থকদের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা প্রশাসনের সামনে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী সম্পর্কিত সমস্যাগুলি উত্থাপন করেছে ভারত। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় এমনটাই জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওংয়ের পাশে বসে একথা বলেছেন জয়শঙ্কর। সম্প্রতি কানাডায় ভারত বিরোধী কার্যকলাপ (Swaminarayan Mandir) বেড়েছে। সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই এই কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী।   

    এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া সফরে আছেন এস জয়শঙ্কর। এটি তাঁর চলতি বছরের অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিতীয় সফর। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও গিয়েছিলেন মেলবোর্ন-এ চর্তুদেশীয় অক্ষ বা কোয়াড-এর বৈঠকে যোগ দিতে।

    কিছুদিন আগেই কানাডার টরোন্টোর স্বামীনারায়ণ মন্দিরে (Swaminarayan Mandir) ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতিরা। খালিস্তানের দাবিতে একদল দুষ্কৃতি গ্রাফিটি দিয়ে মন্দিরটিকে বিকৃত করে। মন্দিরে গায়ে নানান জায়গায় ভারত বিরোধী স্লোগান দেখা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর আগে অন্টারিওর ব্রাম্পটনে খালিস্তানকে কেন্দ্রে করে একটি গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই কানাডায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে কানাডা সরকারের কাছে তদন্তের আবেদন করা হয়েছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়তেই এর নিন্দায় সরব হয় ভারতীয় হাইকমিশন। ভারত সরকারও এই ঘটনাযর তীব্র নিন্দা করেছে ।   

    জয়শঙ্কর ক্যানবেরায় বলেন, “সব সময় আমরা কানাডিয়ান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা গণতান্ত্রিক সমাজে স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছি। যা আসলে সহিংসতা, সহিষ্ণুতার জন্ম দেয়। মৌলবাদী শক্তি যেন এর অপব্যবহার না করে।” তিনি আরও বলেন, “প্রতিটা দেশের এটা বোঝা উচিৎ, নিজের ঘরে গণতন্ত্র বজায় রাখলেই শুধু চলবে না। এক গণতন্ত্রের অন্য গণতন্ত্রের প্রতিও দায়িত্ব থাকে।”

    আরও পড়ুন: ‘সজাগ থাকুন’, কানাডাবাসী ভারতীয়দের সতর্ক করল বিদেশমন্ত্রক

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে ভারতীয় হাইকমিশন বিবৃতি করে জনিয়েছে “আমরা টরন্টোতে অবস্থিত স্বামী নারায়ণ মন্দিরের ক্ষতি এবং মন্দিরের দেওয়ালে ভারতবিরোধী স্লোগান লেখার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। কানাডা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।” 

    কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সজাগ করে বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এখনও পর্যন্ত এই সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি কানাডা। এই ধরণের ঘটনা ক্রমে বাড়ছে। তাই কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক ও শিক্ষার্থী এবং যাঁরা ভ্রমণের জন্যে কানাডা যাচ্ছেন তাঁরা সজাগ থাকুন এবং সতর্কতা অবলম্বন করুন।” 

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “একটি মিত্র দেশে যেভাবে চরমপন্থীদের এমন একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কার্যকলাপ করতে দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত আপত্তিজনক।” বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, ভারত কানাডা কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এই বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কানাডাকে সমানে চাপ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে ভারতকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে ভারতকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য হওয়া খুব সহজ নয়। তবে ভারতের (India) মতো শক্তিকে চিরকাল উপেক্ষা করাও যাবে না। বুধবার সাফ জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব রকম যোগ্যতাও ভারতের রয়েছে বলেও জানিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। নিরাপত্তা পরিষদের পুনর্গঠনের জন্য ভারত যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। ভারতের হয়ে সম্প্রতি সওয়াল করেছে রাশিয়াও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই।এই অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    এদিন জয়শঙ্কর বলেন, আমরা কখনওই ভাবি না যে রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য হওয়া সহজ। তবে আমরা এটাও বিশ্বাস করি, এর সংস্কার প্রয়োজন। আমাদের চিরকাল ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সংস্কার প্রয়োজন বলে সম্প্রতি জানিয়েছিল আমেরিকাও। কেবল রাষ্ট্রসংঘ নয়, তার নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সাধনও প্রয়োজন। ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, এটা কোনও একটি দেশের দায়িত্ব নয়, সে দেশ যতই শক্তিশালী হোক না কেন। আমি মনে করি, এটি একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা যা সফল করতে হবে রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্যদের। সংস্কার সাধনের চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। কোথা থেকে বাধা আসছে, তা আপনারা জানেন।

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের স্থান হবে ওই তালিকার তিন নম্বরে। সেই কারণেই ভারতকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন জয়শঙ্কর।

     

     

  • S Jaishankar: ভারতীয়দের মার্কিন ভিসা পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ভারতীয়দের মার্কিন ভিসা পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেখানে পাকিস্তান বা চিন ১-২ দিনেই মার্কিন ভিসা (US Visa) পেয়ে যাচ্ছে, সেখানে ভারতীয়দের ৮০০- রও বেশি দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে কেন? মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের (Antony Blinken) সঙ্গে এক বৈঠকে এই প্রশ্ন করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এর উত্তরে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে আশ্বস্ত করে বলেন এই সমস্যার দ্রুত সমাধান পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট  অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ভারতীয়দের ভিসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৮৪৮ দিন, বিশেষ ক্ষেত্রে সেই সময়কাল ৪০০ দিন। সেখানে পাকিস্তানকে ভিসা দেওয়া হয় ৪৫০ দিনে এবং চিনকে ২ দিনে। ভারতীয়দের স্টুডেন্ট ভিসার জন্যে অপেক্ষা করতে হয় ৪৩০ দিন। পাকিস্তানিরা স্টুডেন্ট ভিসা এক দিনেই পেয়ে যায় এবং চিন পায় ২ দিনে। 

    আরও পড়ুন: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা
     
    মঙ্গলবার মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের এক আলোচনায় ভিসার সমস্যার বিষয়টি উঠে আসে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভিসা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলায় সব রকমের সাহায্যে আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।    

    এ বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, “এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। দ্রুত এর সমাধান হওয়া প্রয়োজন। ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা মূলত অতিমারির কারণে হয়েছে।” ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনার সময় বিশ্বজুড়ে ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল এটি মূলত তারই ফল। ব্লিঙ্কেন এদিন আরও বলেন, “আমি ভিসা ইস্যুতে খুবই সংবেদনশীল। এই সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    বিদেশের দক্ষ প্রযুক্তি কর্মীদের H-1B ভিসা দেয় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। এর মধ্যে ৭০%- ই পায় ভারতীয়রা। জয়শঙ্কর এদিন বলেন, “কিছু সমস্যা ছিল তা নিয়ে আমি মার্কিন বিদেশমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমি নিশ্চিত যে তাঁরা এই সমস্যাগুলির গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে বলেছিলেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।এবার সেই একই পথ অনুসরণ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাসীর গায়ে লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির ছ্যাঁকা, টান পড়েছে খাদ্যশস্যের ভাঁড়ারে। বাড়ন্ত সার এবং জ্বালানি।

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভাষণ দিতে গিয়ে ইউক্রেন প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর বলেন, অভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বের অবসান এখন সময়ের দাবি। সমস্যার সমাধান হোক আলোচনার টেবিলে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই নিরাপত্তা পরিষদ কূটনীতির সব চেয়ে শক্তিশালী প্রতীক। এটি লক্ষ্য পূরণে সদা সচেষ্ট। এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে পুতিনকে তিনি বলেছিলেন, এখন যুদ্ধের সময় নয়। এদিন সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন জয়শঙ্কর।

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা ১০। অস্থায়ী দেশগুলি নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য। এদিনের বৈঠকে ভারতের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। জয়শঙ্কর বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। বিশেষত বিশ্বের দক্ষিণ অংশ তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করছে। এই যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতির ওপরও। তিনি বলেন, সেই কারণেই ভারত যুদ্ধ বন্ধে জোর দিচ্ছে।এর পরেই মোদির প্রসঙ্গ টানেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়। যুদ্ধ করে মানবাধিকার কিংবা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার কোনও যাথার্থ্যতা নেই বলেও সওয়াল করেন জয়শঙ্কর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে রয়েছে…’, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী

    S Jaishankar: ‘রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে রয়েছে…’, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভাষণ দিতে গিয়ে ইউক্রেন প্রসঙ্গ টেনে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) থামাতে হবে। এরপর আবার তিনি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় (UN General Assembly) বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, ভারত সবসময় শান্তির পক্ষে রয়েছে এবং সেখানেই অনড় থাকবে। গতকাল, ২৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৭তম অধিবেশনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

    তিনি বলেন, “ইউক্রেনের সংঘাত ক্রমাগত উদ্বেগ সৃষ্টি করার কারণে, আমাদের প্রায়ই জিজ্ঞাসা করা হয় যে আমরা কার পক্ষে। আমরা প্রতিবার সহজ, সরল ও সৎ উত্তর দিয়ে এসেছি। ভারত শান্তির পক্ষে আছে এবং দৃঢ়ভাবে সেখানে থাকবে। আমরা সেই পক্ষে রয়েছি যারা রাষ্ট্রসংঘের সনদ এবং এর নীতিগুলিকে সম্মান করে। আমরা যুদ্ধ নয়, আলোচনা এবং কূটনীতিকে একমাত্র উপায় হিসেবে মনে করি।” অর্থনীতিতে যুদ্ধের প্রভাবের উপর জোর দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “চলমান ইউক্রেন সংঘাতের প্রভাব অর্থনৈতিক চাপকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, বিশেষ করে খাদ্য ও জ্বালানীর ওপর।” ফলে এইসব কথা উল্লেখ করে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশ্ব জুড়ে শান্তির জন্য এবং কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘের ৭৭ তম সাধারণ অধিবেশনে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, কীভাবে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করছে। তিনি এদিন পাকিস্তানের নাম না নিয়ে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযানে চিনের ষড়যন্ত্রকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন তিনি। তিনি বলেন, দশকের পর দশক ভারত আন্তঃসীামান্ত সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে। ফলে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।

    তিনি এদিন আরও জানিয়েছেন যে, সন্ত্রাসবাদের কোনও যৌক্তিকতা হয় না। সন্ত্রাসবাদ কখনও কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না।  রক্ত কখনও কোনও সমস্যার উত্তর হতে পারে না বলেও তিনি মনে করেন। যাঁরা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেন, তাঁরা আদতে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনেন। কারণ যাই হোক না কেন, সন্ত্রাসবাদকে কখনও সমর্থন করা যায় না।

    উল্লেখ্য, চলতি মাসেই চিন লস্কর-ই- তৈবার জঙ্গি সাজিদ মীরকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী ঘোষণা করার আহ্বানে বাধা দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানা যায় যে ভারত এই আহ্বানে সমর্থন করেছিল। উল্লেখ্য, মীর ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মামলায় ওয়ান্টেড।

    তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারত জি-২০ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে ঋণ, খাদ্য এবং জ্বালানী সুরক্ষার গুরুতর সমস্যাগুলি মোকাবেলায় নয়াদিল্লি গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কাজ করবে।

  • S Jaishankar: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    S Jaishankar: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) সফর শেষ করলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (s Jaishankar)। এই সময় সীমায় তিনি বৈঠক করেছেন ৫০টিরও বেশি। এর মধ্যে ৪০টি বৈঠক হয়েছে মুখোমুখি। বাকিগুলির মধ্যে রয়েছে দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক এবং গ্রুপ মিটিংও। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলি হয়েছে তাঁর সম পর্যায়ের মন্ত্রী বা সচিবের সঙ্গে।

    সোমবার ওয়াশিংটনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বৈঠক করেন মার্কিন বাণিজ্য সচিব জিনা রায়মান্ডোর সঙ্গে। সেখানে ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামোর পাশাপাশি দু দেশের মধ্যে উচ্চ প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেন জয়শঙ্কর। এই সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিনের সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পেন্টাগনের মতে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এটি নয়াদিল্লির একটি পদক্ষেপ।

    চলতি সফরে পাঁচ বাণে আমেরিকাকে বিদ্ধ করেছেন জয়শঙ্কর। এফ-১৬ বিমানের যন্ত্রাংশ প্রদান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, এগুলো বলে আপনি কাউকে বোকা বানাচ্ছেন না। প্রত্যেকেই জানেন কোথায় এবং কার বিরুদ্ধে এফ-১৬ ফাইটার জেট ব্যবহার করা হয়। একপেশে সংবাদ পরিবেশন করায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিশেষত ওয়াশিংটন পোস্টকেও একহাত নেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আমি সংবাদ মাধ্যমের খবরে চোখ রাখি। আপনারা জানেন, কিছু সংবাদপত্র রয়েছে, তারা জানে না তারা কী সংবাদ পরিবেশন করছে। এমন কী তার নিজের শহরের খবরও কীভাবে পরিবেশন করছে। পাক-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, সততার সঙ্গে বলছি, এটা এমন একটা সম্পর্ক যাতে পাকিস্তানেরও ভাল হবে না, আমেরিকারও লাভ হবে না। আমেরিকার কাছে এই সম্পর্কের মানে কী, এই সম্পর্ক থেকে তারা কীই বা পাবে?

    আরও পড়ুন : একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাওয়া প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সাল থেকে গত চল্লিশ বছর ধরে ভারতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ছিল না। আমি হলফ করে বলতে পারি আমার আত্মীয়, আমার বাবা, দাদু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে কাজ করেছেন। তাই আমি ভাল করেই জানি ভারতের সঙ্গে আমেরিকার গাঁটছড়া বাঁধলে আদতে যে আমেরিকারই লাভ হবে সেকথা আমেরিকাকে বোঝাতে কত বেগ পেতে হয়েছে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, যখন নাচ-গান চলছে তখন যদি আচমকাই ইন্টারনেট কেটে যায়… আপনি যখন মঞ্চে গেলেন আপনি বললেন মানুষের প্রাণহানির চেয়েও বেশি ক্ষতিকর ইন্টারনেট কেটে যাওয়াটা, তখন আমি আর কীইবা বলতে পারি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • S Jaishankar: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একপেশে সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে (American Media) একহাত নিলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টও। মার্কিন মিডিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশমন্ত্রীর অভিযোগ, ভারতের খবর করতে গিয়ে তারা অযথা এক পেশে সংবাদ পরিবেশেন করছে। রবিবার ইন্ডিয়া-আমেরিকান জমায়েতে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আমি সংবাদমাধ্যমের দিকে দেখি। আপনারা জানেন, কিছু সংবাদ পত্র রয়েছে তারা ঠিক কী লিখছে, তাদের নিজেদের সম্পর্কেই বা কী লিখছে…।

    এদিন বিখ্যাত মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টকেও নিশানা করেন জয়শঙ্কর। আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রতিদিন প্রকাশিত হয় সংবাদপত্রটি। একপেশে খবর প্রকাশ করার জন্যও তাকে আক্রমণ করেন জয়শঙ্কর। দেশে ভারত বিরোধী শক্তি ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, একপেশে  খবর পরিবেশন হচ্ছে। ভারত যত তাঁর নিজের পথে ও নিজের গতিতে এগিয়ে চলেছে, বহির্বিশ্বের কিছু শক্তি, যারা এতদিন নিজেদের ভারতের অভিভাবক বলে মনে করত, তাদের পায়ের তলার জমি সরে যাচ্ছে। যে কারণে, তারা প্রকাশ্যে এসে এধরনের (বিরূপ) মন্তব্য করতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন : মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    তিনি বলেন, এই জাতীয় গোষ্ঠী ভারতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। তারা বরং চেষ্টা করেই চলবে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই সব বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। প্রতিযোগিতা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সিংহভাগ আমেরিকান জানেন না যে কিছু শক্তিশালী গোষ্ঠী কীভাবে বিশৃঙ্খলা এবং জটিলতার সৃষ্টি করছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা পিছনের সারিতে থাকব না। অন্যকে আমাকে বিচার করতে দেব না। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আমেরিকায় অপব্যাখ্যা হচ্ছে কিনা, সে প্রশ্নও ওঠে এদিন। জয়শঙ্কর বলেন, যদি সেখানে(কাশ্মীরে) জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে প্রশ্ন ওটা উচিত নয়, জঙ্গি হামলায় যিনি নিহত হলেন, তিনি কোন ধর্মাবলম্বী। জয়শঙ্কর বলেন, এটা প্রতিযোগিতার বিশ্ব। এই সময় বিশ্বে পৌঁছে দিতে হবে আমাদের বার্তা। আপনাদের প্রতি আমারও বার্তা এটাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য  দেশ নয় ভারত (India)। এটা যে কেবল ভারতের পক্ষে কাম্য নয়, তা নয়, বিশ্বের পক্ষেও ভাল বার্তা নয়। বুধবার একথাই জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে ভারতের কতদিন সময় লাগবে? এই প্রশ্নের উত্তরেই জয়শঙ্কর জানান ভারতের সদস্য না হওয়ার বিষয়টি বিশ্বের পক্ষেও ভাল নয়।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে ভারতের। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। উল্লেখ্য যে, অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : দিল্লিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক, কবে জানেন?

    কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নীতি আয়োগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরবিন্দ পনাগারিয়ার সঙ্গে কথপোকথন হচ্ছিল জয়শঙ্করের। সেখানেই ওঠে ওই প্রশ্ন। তার জবাবও দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে পরেই গঠিত হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ। জয়শঙ্কর বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত হয়েছিল দীর্ঘ ৮০ বছর আগে। তখনকার বিশ্ব ও এখনকার বিশ্বের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এই সময়সীমায় বিশ্বে স্বাধীন দেশের সংখ্যা হয়েছে তিনগুণ। তিনি জানান, বিশ্বের একটা বিরাট অংশই রয়ে গিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের বাইরে। জয়শঙ্কর জানান, অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে। বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল সমাজেও পরিণত হবে এই দেশ। বিদেশমন্ত্রী বলেন, এরকম একটা দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়। এটা আমাদের পক্ষেও যেমন ভাল নয়, তেমনি ভাল নয় তামাম বিশ্বের পক্ষেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share