Tag: s jaishankar

s jaishankar

  • Khalistani: লন্ডনে জয়শঙ্করকে হেনস্থার চেষ্টা, তিরঙ্গা ছিঁড়েও ছাড়! ব্রিটেন কি এখন খালিস্তানিদের ‘আপন দেশ’?

    Khalistani: লন্ডনে জয়শঙ্করকে হেনস্থার চেষ্টা, তিরঙ্গা ছিঁড়েও ছাড়! ব্রিটেন কি এখন খালিস্তানিদের ‘আপন দেশ’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেন সফরে রয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর সফরে খালিস্তানপন্থী (Khalistani) উগ্রপন্থীরা তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভারতজুড়ে। উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। বিদেশমন্ত্রীর গাড়িকে লক্ষ্য করে ছুটতে দেখা যায় খালিস্তানপন্থী এক উগ্রপন্থীকে। সেখানে ভারতের জাতীয় পতাকাও ছিঁড়ে ফেলা হয়। ব্রিটিশ (United Kingdom) পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাদেরকে বড়ই অসহায় মনে হতে থাকে। যখনই ঘটনা ঘটছিল তারা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। তবে খালিস্তানপন্থীদের এমন আচরণ আরও একবার প্রশ্ন তুলল যে ব্রিটেন কি খালিস্তানপন্থীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে? এর পাশাপাশি এই ঘটনা আরও একবার সামনে আনল সে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক কতটা দুর্বল। যদি একটি দেশের বিদেশমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাহলে কল্পনা করাই যেতে পারে সাধারণ মানুষের জন্য ব্রিটেনে নিরাপত্তার ঠিক কী অবস্থা।

    নিন্দা জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক খালিস্তানপন্থীদের (Khalistani) এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী চরমপন্থীদের উস্কানিমূলক কার্যকলাপ বলে এই ঘটনাকে অভিহিত করেছে বিদেশমন্ত্রক। একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমরা বিদেশমন্ত্রীর সফরে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ফুটেজ দেখেছি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি ব্রিটিশ সরকার তাদের কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা সম্পূর্ণভাবে পালন করবে।’’

    এমারজেন্সি সিনেমার প্রদর্শনের সময় চলে বিক্ষোভ

    প্রসঙ্গত, ভারত বারবার বলে আসছে যে ব্রিটেনে খালিস্তানপন্থীদের (Khalistani) কার্যকলাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু খালিস্তানপন্থী উগ্রপন্থীকে দেখা যায় যে ব্রিটেনে এমারজেন্সি সিনেমার প্রদর্শনের সময় তার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে। থিয়েটারের বাইরে এই বিক্ষোভ চললেও, ব্রিটেন প্রশাসন এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপই করেনি। পরবর্তীকালে ওই বিক্ষোভের পরে পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। তারা জানায় যে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু যখন তাদের বলা হয় যে ভারতীয়রা সিনেমা হলের ভিতরে আছে, তখন কেন এই খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের মামলা রুজু করা হল না? তখন আশ্চর্যজনকভাবে ব্রিটিশ পুলিশ উত্তর দেয় যে খালিস্তানপন্থী নিজেদের অধিকারের দাবিতে এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।

    খালিস্তানপন্থীদের আপন দেশ ব্রিটেন?

    খালিস্তানপন্থী (Khalistani) জঙ্গিদের কার্যকলাপ নিয়ে সম্প্রতি সামনে এসেছে এক রিপোর্টে। ১৬৫ পাতার এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে কীভাবে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে ব্রিটেন এবং ব্রিটিশ প্রশাসনের নাকের ডগাতেই তারা ভারত বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই রিপোর্টে ৩৩ বার উল্লেখ করা হয়েছে খালিস্তান শব্দ। কিন্তু পরবর্তীকালে রিপোর্টটি ধামাচাপা পড়ে যায়। অনেকের ব্যাখ্যা, চাপের কারণেই ধামাচাপা পড়েছে ওই রিপোর্ট। খালিস্তানপন্থীরা ব্রিটেনে এতটাই প্রভাবশালী যে তাদের চাপে এই রিপোর্টকে ধামাচাপা দিতে হয় ব্রিটিশ সরকারকে। প্রসঙ্গত, রিপোর্টটি তৈরি করেছিলেন ব্রিটেনের পাঁচজন মন্ত্রী, চারজন সেক্রেটারি। ধামাচাপা পড়লেও এই রিপোর্টেই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে কীভাবে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত চলছে ব্রিটেনে। ওই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে আর বেশ কিছু শিখ ও উগ্রপন্থী গ্রুপ নিজেদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে চলেছে ফান্ডিং এর জন্য। এই ফান্ডিং তারা কাজে লাগাচ্ছে ঘৃণার প্রচার ও সাম্প্রদায়িকতায়। এই আবহে মনে হচ্ছে ব্রিটেন যেন খালিস্তানপন্থীদের নিজের দেশ হয়ে উঠেছে।

    হেনস্থার চেষ্টা বিদেশমন্ত্রীকে, নিরাপত্তাহীনতায় প্রবাসী ভারতীয়রা

    প্রসঙ্গত ব্রিটেনে ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে হেনস্তা করার এমন প্রচেষ্টায় যে কোনও ব্যক্তি খুব ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারছেন যে খালিস্তানপন্থীদের সমস্যা ব্রিটেনে ঠিক কোন জায়গায় পৌঁছেছে! খালিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভ হামলার একাধিক ঘটনা সাম্প্রতিককালে ঘটেছে। এই সমস্ত ঘটনায় যখন তদন্তের দাবি উঠেছে সেই সময় ব্রিটেনের প্রশাসন বারবার এগুলোকে ধামাচাপা দিয়েছে। তাদের যুক্তি এগুলো নাকি বাক স্বাধীনতার অধিকার। ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়রাও ভয় পাচ্ছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের এমন কাজে। এই প্রবাসী ভারতীয়রা এতটাই ভীত হয়ে রয়েছেন যে তাঁরা জানাচ্ছেন যে, কোনও মুহূর্তে তাঁদের ওপরে বড়সড় ধরনের হামলা শুরু হতে পারে এবং তাঁদেরকে ভারতে ফেরত যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে। শুধুমাত্র তাই নয়। যে সমস্ত শিখ পরিবার এই খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের সমর্থন করেন না, তাঁরাও ব্রিটেনে নিরাপদ নয়। একটি শিখ পরিবার সম্প্রতি একটি ভিডিও আপলোড করে টিকটকে এবং তারপর থেকেই তাঁরা জানায় যে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা লাগাতার খুনের হুমকি দিচ্ছে তাঁদের।

    হামলা-ভাঙচুরও ব্রিটেনে বাক স্বাধীনতা?

    ২০২৩ সালে একদল খালিস্তানপন্থী (Khalistani) উগ্রপন্থী ভারতীয় দূতাবাসের উপর হামলা চালায় ভয়ঙ্কর সেই হামলায় দুজন কর্মী আহত হন। কিন্তু তারপরেও নিশ্চুপ ছিল ব্রিটিশ প্রশাসন। এত সাহস খালিস্তানপন্থীরা পাচ্ছে কোথা থেকে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, এর কারণ হল তাদের পিছনে রয়েছে একটি বড় শক্তি। যে শক্তি সরকারের নির্ণায়ক শক্তি। যাদেরকে রাজনীতির পরিভাষায় বলা যায় চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী। ব্রিটিশ সরকারের একটাই কথা এগুলো সবটাই বাক স্বাধীনতা। কিন্তু বিদেশমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, তাঁর গাড়িতে হামলা চালানোর প্রচেষ্টা, ভারতের দূতাবাসে হামলা চালানো-এগুলো কোন মাপকাঠিতে বাক স্বাধীনতা?

  • S Jaishankar: ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশ জুড়তে পারলেই সমাধান হবে কাশ্মীর সমস্যার’’, স্পষ্ট কথা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশ জুড়তে পারলেই সমাধান হবে কাশ্মীর সমস্যার’’, স্পষ্ট কথা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীর যদি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় তবেই মিটে যাবে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ সংঘাত! ব্রিটেন সফরে গিয়ে এমনই দাবি করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তাঁর মন্তব্য, ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশটুকু জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে জুড়ে দিতে পারলেই সমস্যার সমাধান হবে।’’ অর্থাৎ পাকিস্তানই যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কাশ্মীর সমস্যাকে জিইয়ে রেখেছে। এদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সে কথাই ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    পাক-অধিকৃত কাশ্মীর কি ফেরত আসছে?

    লোকসভা ভোটের সময় থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ইস্যুতে জোর চর্চা শুরু হয়। ২০২৪ সালের মে মাসে দুদিন জয়শঙ্করকে এনিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আশা করব দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মনে করেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ এবং তা আমাদের কাছে ফের আসা উচিত।’’ সেসময় একাধিক জনসভায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে মন্তব্য করতেও শোনা যায়, অধিকৃত কাশ্মীর খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে ভারতে। এই আবহে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে জয় শঙ্করের এমন মন্তব্যে ফের একবার চর্চা শুরু হয়েছে এই ইস্যুতে। মোদি সরকার পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত আনতে কোনও পদক্ষেপ শুরু করে কিনা সেটাই এখন দেখার। গতকাল বুধবার ব্রিটেনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) সাফ জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) থেকে পাকিস্তান সরে গেলেই কাশ্মীর সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হবে। গতকাল বুধবার লন্ডন-থিঙ্কট্যাঙ্ক অনুষ্ঠানে এক অতিথির প্রশ্নের জবাবে তিনি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে এই মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    ব্রিটেনে কী প্রশ্ন করা হয়েছিল বিদেশমন্ত্রীকে (S Jaishankar)

    বুধবার বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন? এর উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমি মনে করি, যে অংশটির জন্য আমরা অপেক্ষা করছি তা হল কাশ্মীরের অধিকৃত হওয়া অংশের প্রত্যাবর্তন, যা অবৈধভাবে পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। যখন এই সমস্যা সমাধান হবে, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, কাশ্মীর সমস্যারও সমাধান করা হবে।’’

    বিদেশমন্ত্রীর জবাবে উঠে এল ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গ

    কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘৩৭০ ধারা বাতিল করা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের আয়োজন সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ।’’ ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন প্রশাসন বহুমুখীতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যা ভারতের স্বার্থের ক্ষেত্রে খুবই অনুকূল ৷ দুই দেশই ইতিমধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সম্মত হয়েছে ৷

    জয়শঙ্করের মন্তব্যকে সমর্থন বিজেপি-কংগ্রেসের

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে এস জয়শঙ্করের এমন মন্তব্যের পরেই বিজেপি এবং কংগ্রেস- এই দুই দলই এই মন্তব্যের সমর্থন করেছে। প্রত্যেক দলই দাবি করেছে যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর হল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিজেপির নেতা মুক্তার আব্বাস নখভি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ভারতীয় সংসদ ১৯৯৪ সালে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে যে জম্মু-কাশ্মীর এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর এই দুটোই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রায় কুড়ি বছর আগে পাশ হওয়া এই প্রস্তাবটি আজও একটি ভিত্তিপ্রস্তর এবং এখানেই ভারতের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।’’ এই আবহে মোদি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলিকেও তুলে ধরেন তিনি। বিশেষত জম্মু কাশ্মীরের সীমানা নির্ধারণ ও রাজ্যের বিধানসভায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য ২৪টি আসন সংরক্ষণের কথা বলেন তিনি। একই কথা শোনা গিয়েছে বিজেপি বিধায়ক বিক্রম রান্ধোয়ার গলাতে। তিনিও বলেন যে কাশ্মীরের যে অংশ বর্তমানে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তা আমাদের ছিল আছে এবং থাকবে। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিধায়ক রিজওয়ান আরশাদ বিদেশমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত হয়েছেন এবং তাঁর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন।

    অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘ভারতের উত্থান এবং বিশ্বে ভূমিকা’

    প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় লন্ডনের চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্কে ‘ভারতের উত্থান এবং বিশ্বে ভূমিকা’ শীর্ষক একটি সম্মেলনেই বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডে ছয় দিনের সফরে রয়েছেন জয়শঙ্কর ৷ অতিথিদের করা প্রশ্নে চিন সম্পর্কেও মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী। চিনের সম্পর্ক বলতে গিয়ে তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে তিব্বতে কৈলাস পর্বত তীর্থযাত্রার পথ খোলা-সহ বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।

    ব্রিটেন সফরে জয়শঙ্কর বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে

    ব্রিটেন সফরে গিয়ে বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আলোচনা হয় দু’দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া ওই বৈঠকে ছিলেন সে দেশের বিদেশসচিব ডেভিড ল্যামি এবং অন্যান্য বর্ষীয়ান নেতা। বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।

  • S Jaishankar: “বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এটা ভারতের জন্য…”, বড় বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এটা ভারতের জন্য…”, বড় বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমেরিকায় এখন আমরা একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসন দেখছি যারা বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে এটা বেশ উপযোগী।” কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishankar)

    লন্ডনে চ্যাথাম হাউসের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ব্রোনওয়েন ম্যাডক্সের সঙ্গে এক আলোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, “ট্রাম্পের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে (Donald Trump) দিল্লি আশ্চর্য হয়নি। বেশিরভাগ সময় রাজনৈতিক নেতারা যা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার বেশিরভাগটাই করেন বা অন্তত চেষ্টা করেন। তাঁরা সব সময় সফল হন না, বা সব সময় যা চান, তা পান না। কিন্তু সব রাজনৈতিক নেতাদের নিজেদের একটা অ্যাজেন্ডা থাকে। এই আবহে আমি মনে করি, গত কয়েক সপ্তাহে আমরা যা দেখেছি এবং শুনেছি, তার বেশিরভাগটাই প্রত্যাশিত ছিল। তাই আমি একটু অবাক হয়েছি যে অন্যরা তা দেখে অবাক হচ্ছেন।”

    বহু মেরুকরণ

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকায় এখন আমরা একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসন দেখছি যারা বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে এটা বেশ উপযোগী। আমাদের কখনও মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের সঙ্গে কোনও সমস্যা হয়নি, অন্তত সাম্প্রতিক সময়ে। আমাদের ওপর এমন কোনও বোঝা নেই যা আমরা বহন করে চলেছি।” ব্রিকস দেশগুলি আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের বদলি খুঁজছে বলে কিছুদিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প। সে প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আন্তর্জাতিক মুদ্রারূপে মার্কিন ডলারের বদলি খোঁজার কোনও নীতি ভারতের নেই।” তিনি বলেন, “মার্কিন ডলার মুদ্রা রূপে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উৎস। আর আমরা বিশ্বে আরও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই। বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপন করার ব্যাপারে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির মধ্যে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেই।”

    বুধ-সন্ধ্যায় চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আয়োজিত ‘বিশ্বে ভারতের উত্থান ও ভূমিকা’ শীর্ষক এক অধিবেশনেও যোগ দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেখানেও তিনি ট্রাম্পের বহু মেরুকরণের উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের মধ্যে একটি বড় যৌথ উদ্যোগ হল কোয়াড, যা এমন একটি বোঝাপড়া যেখানে প্রত্যেকে তাদের ন্যায্য অংশ প্রদান করে। এখানে ফ্রি রাইডার্স কেউ নেই। এটি (Donald Trump) একটি ভালো মডেল, কার্যকরীও বটে (S Jaishankar)।”

  • S Jaishankar: কানাডার পথে ব্রিটেন! লন্ডনে জয়শঙ্করের কনভয়ে হামলার চেষ্টা খালিস্তানপন্থীদের

    S Jaishankar: কানাডার পথে ব্রিটেন! লন্ডনে জয়শঙ্করের কনভয়ে হামলার চেষ্টা খালিস্তানপন্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেন সফরে থাকা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) কনভয়ে হামরা চেষ্টা করল খালিস্তানপন্থীরা (Khalistani Extremists)। এর ফলে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিঘ্নও ঘটে। বুধবারে বৈঠক শেষে বিদেশমন্ত্রী যখন চ্যাথাম হাউস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই এক ব্যক্তি তাঁর গাড়ির দিকে ছুটে যায় এবং ব্রিটেনের পুলিশের সামনেই ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। এই ঘটনার ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে খালিস্তানপন্থী ওই ব্যক্তি মন্ত্রীর (S Jaishankar) কনভয়ের দিকে ছুটছে এবং ভারতের তিরঙ্গা পতাকা ছিঁড়ে ফেলছে। এর পাশাপাশি তাকে খালিস্তানের দাবিতে স্লোগান দিতেও শোনা যায়। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে এবং অন্যান্য উগ্রপন্থীদের সরিয়ে নেয়।

    বৈঠকস্থলের বাইরে বিক্ষোভ খালিস্তানপন্থীদের

    আরেকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) যেখানে বৈঠক করছিলেন, তার ঠিক বাইরেই খালিস্তানপন্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সেখানে খালিস্তানের পতাকা ওড়ানো হয়। দেওয়া হয় খালিস্তানের দাবিতে স্লোগানও। অতীতে দেখা গিয়েছে, কানাডায় এধরনের ভারত-বিরোধী প্রচার করছে খালিস্তানপন্থীরা। সেখানে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানো হয়েছে। সেই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে ব্রিটেনেও। বিশেষ করে, ব্রিটেনের বর্তমান কিথ স্টার্মার প্রশাসন বরাবরই ভারত-বিরোধীদের প্রতি আশ্চর্যজনকভাবে উদাসীন। গত কয়েক বছর ধরে ব্রিটেনে খালিস্তানপন্থী ও ইসলাম-মৌলবাদীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যে কারণে, অনেকেই মনে করতে শুরু করেছেন, ব্রিটেনের অবস্থাও ধীরে ধীরে কানাডার মতো হচ্ছে।

    কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিদেশমন্ত্রী

    ৪ মার্চ থেকে ব্রিটেন সফর করছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর এই সফর চলবে আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত। বুধবার দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) চেভেনিং হাউসে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করনে। জানা গিয়েছে, ওই আলোচনায় বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি, কৌশলগত সমন্বয় সহ নানা দিক উঠে এসেছে। চ্যাথাম হাউসের এই আলোচনার শেষে এক সাংবাদিক এস জয়শঙ্করকে (S Jaishankar) জিজ্ঞাসা করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন? এই প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং জানান, এক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। তিনি আরও জানান যে, ভারত ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ৩৭০ ধারা বাতিল এবং কাশ্মীরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এদিন তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি জানান, কাশ্মীরের অমীমাংসিত অংশটি বর্তমানে ভারতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান।

  • S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়,” বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়।” এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি (Bangladesh crisis) বলেন, “ঢাকা একদিকে ভালো সম্পর্ক চাওয়ার কথা বলবে, আর অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ সব সমস্যার জন্য ভারতকে দোষারোপ করবে — এ ধরনের অবস্থান গ্রহণ করা যায় না।”

    নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বান (S Jaishankar)

    ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকার কর্তৃপক্ষকে দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচকতা না ছড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রতিদিন যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ উঠে ভারতের ওপর সব কিছুর জন্য দোষারোপ করে, তার মধ্যে কিছু বিষয় রিপোর্ট অনুযায়ী একেবারেই অযৌক্তিক। আপনি একদিকে বলতে পারেন যে আপনি ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চান, কিন্তু প্রতিদিন সকালে উঠে সব সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেন — এটা তো একসঙ্গে চলতে পারে না। এটি তাদেরই একটি সিদ্ধান্ত, যা তাদের নিতে হবে।”

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    তিনি (S Jaishankar) বলেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্যাগুলির দুটি দিক রয়েছে, প্রথমটি হল সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা। আর দ্বিতীয় দিকটি হল তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়।” জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা, অবশ্যই এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে এবং এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমাদের কথা বলা প্রয়োজন — যা আমরা করেছি। দ্বিতীয় দিকটি হল, তাদের নিজেদের রাজনৈতিক বিষয়। তবে দিনের শেষে, দুই দেশ প্রতিবেশী।”

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “তাদের (বাংলাদেশকে) সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে তারা কী ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খুবই বিশেষ একটি ইতিহাস রয়েছে, যা ১৯৭১ সালের সময় থেকে চলে আসছে।” প্রসঙ্গত, গত (Bangladesh crisis) ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে উঠেছে সে দেশে। তার জেরেই অবনতি ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে (S Jaishankar)।

  • Trump Modi: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো”, বললেন জয়শঙ্কর

    Trump Modi: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির কেমিস্ট্রি খুব ভালো।” শনিবার কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Trump Modi) আমেরিকা সফর খুব ভালো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চলতি মাসেই দুদিনের সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (Trump Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর এই সফর সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, “আমি এটা আমার পুরো জীবন ধরে করে আসছি, তাই আমার কিছু রেফারেন্স পয়েন্ট আছে এবং তুলনামূলক মূল্যায়নের জন্য কিছু অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সঙ্গে বলব, আমার মনে হয়েছে, সফরটি খুব ভালো হয়েছে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “লোকেরা জানে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন খুব শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী এবং তিনি সেই জাতীয়তাবোধকে বিকিরণ করেন।”

    ট্রাম্প-প্রশস্তি

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে তিনি বলেন, “ট্রাম্প একজন আমেরিকান জাতীয়তাবাদী। আমার মনে হয় অনেকভাবে জাতীয়তাবাদীরা একে অপরকে সম্মান করেন। তাঁরা খুব স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রাখেন। তাঁরা তাঁদের দেশের জন্য কাজ করেন, ট্রাম্প স্বীকার করেন যে মোদি ভারতের জন্য কাজ করছেন, মোদিও স্বীকার করেন যে ট্রাম্প আমেরিকার জন্য কাজ করছেন (Trump Modi)।” জয়শঙ্কর বলেন, “আমি অনুভব করেছিলাম… রসায়নটি (মোদি-ট্রাম্পের) ভালো ছিল। আবারও, ট্রাম্প কিছুটা অস্বাভাবিক, বিশ্বে অনেক অন্যান্য নেতা রয়েছেন, যাঁদের সঙ্গে তাঁর ইতিবাচক ইতিহাস নেই। কিন্তু মোদিজির ক্ষেত্রে বিষয়টি তা নয়। তিনি (ট্রাম্প) ভারতে দুর্দান্ত একটি সফর করেছিলেন, যা তিনি মনে রেখেছিলেন।”

    জয়শঙ্কর এদিন ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের ওপর একটি ছবির বইয়ের উল্লেখ করেন। বলেন, “তাঁকে জানানো হয়েছিল যে ট্রাম্প নিজেই তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ছবি বেছে নিয়েছিলেন। বেশিরভাগ ছবিই ছিল ভারত সম্পর্কে।এতে ২০২০ সালে তাঁর সফরের সময় আমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘নমস্তে ট্রাম্প’ ইভেন্টের একটি ছবিও ছিল।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনে হয় আমেরিকার স্বার্থ সম্পর্কে একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, তিনি কী চান এবং আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে কী চান। আমাদেরও একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমরাও আমেরিকার সঙ্গে সুযোগ এবং চাহিদা নিয়ে কথা বলছি (S Jaishankar)। তাই আমি মনে করি, এ নিয়ে খুব খোলামেলা আলোচনা হয়েছে এবং আমি বলতেই পারি, এটি খুব ভালো মনোভাব, আন্তরিকতা এবং সৌহার্দ্যের সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে (Trump Modi)।”

  • Modi Govt: দেশ, প্রধানমন্ত্রী নিয়ে রাহুলের ‘মিথ্যাচার’, স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনছে বিজেপি?

    Modi Govt: দেশ, প্রধানমন্ত্রী নিয়ে রাহুলের ‘মিথ্যাচার’, স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনছে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগে সংসদে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চলেছে বিজেপি। ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা ও বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের মার্কিন সফর প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু গান্ধীর মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতা দেশের সম্মান, প্রধানমন্ত্রীপদ এবং সংসদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছেন।’’

    জয়শঙ্করের মার্কিন সফর প্রসঙ্গ

    সোমবার সংসদে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর বন্দোবস্ত করানোর জন্য আমাদের বিদেশমন্ত্রীকে আমেরিকায় পাঠাব না।’’ বিজেপির অভিযোগ, গত বছর ডিসেম্বরে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ওয়াশিংটন সফরকেই ইঙ্গিত করেছেন রাহুল। বোঝাতে চেয়েছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ জানুয়ারির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্যই ছিল ওই সফর। সোমবার বিকেলে জয়শঙ্কর সরাসরি রাহুলকে নিশানা করে এক্স পোস্টে লেখেন— ‘‘বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী আমার ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের আমেরিকা সফর সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা কথা বলেছেন ৷’’

    ক্ষমা চান রাহুল

    বিদেশমন্ত্রীর দাবি, তিনি আমেরিকার তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভানের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি ভারতের কনসাল জেনারেলের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করার জন্য ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কোনও পর্যায়েই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এটা সকলেই জানেন যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন না। সাধারণত ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁর বিশেষ দূতেরা।’’ প্রসঙ্গত, ২০ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে মোদির দূত হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর নিজেই। এ প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রিজিজু বলেন, ‘‘তিনি কীভাবে এমন কথা বলতে পারেন? প্রধানমন্ত্রী এবং পুরো সরকার এক। রাহুল গান্ধী সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের বিপরীতে কথা বলেছেন, তা চ্যালেঞ্জ করা উচিত।’’

    চিনা আগ্রাসন নিয়ে মিথ্যাচার রাহুলের

    লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে এ দিন লোকসভায় মুখর হন রাহুল গান্ধী। প্রথমে অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের এই সাংসদের প্রশ্ন, ‘‘লাদাখ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবির সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বক্তব্যের অ-মিল রযেছে। দু’পক্ষের দাবি পরস্পর-বিরোধী। প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলছেন চিনা আগ্রাসন হয়নি। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, আমাদের ৪,০০০ বর্গ কিমি এলাকা চিন দখন করে রেখেছে। কোনটা ঠিক?’’ এ প্রসঙ্গে রিজিজু বলেন, ‘‘বিজেপি সাংসদরা গান্ধীকে তাঁর দাবির প্রমাণ দিতে বলবেন। তিনি মিথ্যা বলছেন। রাহুল গান্ধী যতটা চিনকে প্রশংসা করেছেন, তা আগে কেউ করেনি। তিনি এমন একটি দলের সদস্য, যাদের পরিবার ১৯৫৯ ও ১৯৬২ সালে চিনকে আমাদের জমি দখল করতে দিয়েছে। তাঁর পরিবারের ভুলের জন্য তাঁকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’’

  • S Jaishankar: “কন্ট্যাক্ট, কেমিস্ট্রি, ক্রেডিবিলিটি”! সাফল্যের তিনটি চাবিকাঠির কথা বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “কন্ট্যাক্ট, কেমিস্ট্রি, ক্রেডিবিলিটি”! সাফল্যের তিনটি চাবিকাঠির কথা বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পেশাগত কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, সাফল্যের শর্ত ব্যাখ্যা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শুক্রবার ‘লিভ হোয়াইল ইউ আর অ্যালাইভ’ বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে সফলতার তিনটি ‘সি’ নিয়ে কথা বললেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কন্ট্যাক্ট (যোগাযোগ), কেমিস্ট্রি (সম্পর্কের সুমধুরতা) এবং ক্রেডিবিলিটি (বিশ্বাসযোগ্যতা) হল সফলতার চাবিকাঠি।” 

    সাফল্যের তিন চাবিকাঠি

    শিব খেরা লিখিত বইটি উদ্বোধন করার সময় জয়শঙ্কর বলেন, “সফলতার জন্য যাদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা যায়, তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ভুল হতে পারে, তবে ভুলের প্রতি ভয় নয়, বরং ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তা সংশোধন করার পরবর্তী ধাপেই সফলতা নিহিত থাকে।” মজার ছলে জয়শঙ্কর জানান, বইটি ক্রনিক স্ট্রেস (অতিরিক্ত মানসিক চাপ) এড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। তাঁর কথায়, “কেরিয়ার হিসাবে মন্ত্রী হওয়া এবং ক্রনিক স্ট্রেস এড়ানো একসঙ্গে চলে না।” বিদেশমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ছয় বছরের অভিজ্ঞতা এবং ৪১ বছরের কূটনৈতিক জীবন থেকে তাঁর অভিমত, জীবন খুবই অপ্রত্যাশিত, তবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তা পরিচালনা করা সম্ভব।

    আরও পড়ুন: ১৭৯টি সম্প্রদায়কে এসসি, এসটি এবং ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ নীতি আয়োগের

    জীবন থেকে শিক্ষা

    জয়শঙ্করের কথায়, “কোনও মানুষই নিখুঁত নয়”, আর বিশেষ করে তরুণদের তিনি নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। জয়শঙ্কর জানান, তিনি যেমন ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) পরীক্ষায় পাস করেছেন, তেমনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT)-এর প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করেননি। প্রায় ৩০ মিনিটের বক্তৃতায়, কূটনৈতিক এই অভিজ্ঞ নেতা তাঁর পেশাগত জীবনের নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং কোভিড সময়কালে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার এবং ইউক্রেন সংকটের সময় ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি সফলতার তিনটি ‘সি’ এর উপর জোর দেন— এক) কন্ট্যাক্ট (যোগাযোগ), দুই) কেমিস্ট্রি (সম্পর্কের সুমধুরতা) এবং তিন) ক্রেডিবিলিটি (বিশ্বাসযোগ্যতা)। শিব খেরার বই সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, “ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রয়েছে এই বইয়ে— ১. অপ্রত্যাশিত পরিকল্পনার জন্য প্রস্তুত থাকুন, ২. সম্পর্ক বিনিয়োগ করুন, ৩. আপস নয়, ৪. বিষাক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলুন, ৫. সময়ের মূল্য বুঝুন এবং ৬. ভালো ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘মোদির বিশেষ দূত’’, ট্রাম্পের শপথ গ্রহণে প্রথম সারিতে বসা নিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত জবাব জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘মোদির বিশেষ দূত’’, ট্রাম্পের শপথ গ্রহণে প্রথম সারিতে বসা নিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত জবাব জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধুর সম্পর্কের কথা সবাই জানে। সেই সম্পর্কের রসায়ণ ধরেই ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রথম সারিতে বসেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুকৌশলী অভিমত জয়শঙ্করের। তাঁর মতে, প্রথম ট্রাম্প সরকার যেভাবে ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল, সেই ভিত থেকেই আবারও তৈরি হবে ইন্দো-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। তিনি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূতের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই ভালো আচরণ করা হয়।’’

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধি হয়ে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। ওয়াশিংটন সফর এবং পরবর্তীকালে ট্রাম্প প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের বিস্তারিত এদিন বর্ণনা করেছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “যদি আমি আমার সামগ্রিক অনুভূতি তুলে ধরি তাহলে বলব, এটা খুবই স্পষ্ট ছিল যে ট্রাম্প প্রশাসন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতকে উপস্থিত রাখতে আগ্রহী ছিল। তারা স্পষ্টতই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। দ্বিতীয়ত, বৈঠকগুলিতে এটাও স্পষ্ট ছিল যে তারা সম্পর্কের ভিত গড়ে তুলতে চায়, এমন একটি ভিত যা তৈরিতে প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনও অনেক অবদান রেখেছিল।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘তৃতীয়ত, আমার দৃঢ় ধারণা যে নতুন ট্রাম্প প্রশাসনও আমাদের মতোই কোয়াডকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং এর কার্যক্রম তীব্র করতে আগ্রহী।” 

    এমনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে এশিয়ায় মহাদেশে ভারতের গুরুত্ব যে অপরিসীম তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে আমেরিকা। তাই চিনের বাড়াবাড়িতে লাগাম টানতে ভারতকে আরও কাছে পেতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। কোয়াড শক্তিশালী করার প্রস্তাব দিয়ে জয়শঙ্করের কাছেও পরিষ্কার এই বার্তা দেওয়া হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে। বুধবার মার্কিন বিদেশ সচিব মারো রুবিও ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। সেই বৈঠক সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের বিষয়ে খুবই উৎসাহী। ভারতকে পাশে চাই, সেটা প্রথম থেকেই পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে তারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাঁরা বৈধ উপায়ে আমেরিকায় যান, তাঁদের ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা (US Visa Delay) করতে হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এই সমস্যার কথা তুলে ধরলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। পরে ভারতীয় দূতাবাস থেকে তিনি বলেন, “যদি সাধারণ নাগরিকদের ভিসা পেতে এতদিন সময় লেগে যায়, তাহলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঠিকভাবে পালিত হয় না। ভিসায় এই দেরির কারণে ব্যবসায়, পর্যটনে প্রভাব পড়ে। আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হল মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ। ভিসায় দেরি হলে এই প্রক্রিয়া সীমিত হয়।”

    বিদেশমন্ত্রী কী বললেন? (S Jaishankar)

    অভিবাসন প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “অভিবাসনের ক্ষেত্রে আমাদের একটি নীতিগত অবস্থান রয়েছে, যা প্রতিটি দেশের জন্যই প্রযোজ্য। আমরা বৈধ অভিবাসনে সব সময় সমর্থন করি। আমরা বিশ্বাস করি বৈশ্বিক কর্মস্থলে। আমরা চাই, ভারতীয়দের প্রতিভা ও দক্ষতা বিশ্বে সর্বোৎকৃষ্ট সুযোগ পাক।” ভারত যে অবৈধ অভিবাসন সমর্থন করে না, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। বলেন, “আমরা অবৈধ যাতায়াত এবং অভিবাসনের তীব্র বিরোধিতা করি। কারণ যখনই কোনও একটি অবৈধ ঘটনা ঘটে, তার সঙ্গে আরও অনেক অবৈধ কার্যকলাপ জুড়ে যায়। এটি দেশের সুনামের দিক থেকে কখনওই ভালো নয়।”

    ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকায় বসবাসকারী প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে চিহ্নিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠাতে চায় আমেরিকা (S Jaishankar)। (যদিও, ট্রাম্প প্রশাসনের সেই নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করেছে সেদেশের আদালত।) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও জানান, অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে নয়াদিল্লির সহযোগিতা নিচ্ছে ওয়াশিংটন। জয়শঙ্কর বলেন, “যদি কোনও দেশে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী থাকেন এবং যদি দিল্লি নিশ্চিত হয় যে তিনি ভারতীয় নাগরিক, তাহলে তাঁকে ভারতে ফেরাতে কেন্দ্র সব সময় প্রস্তুত।” তিনি বলেন, “এটি কেবল আমেরিকার জন্য নয়, সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এর ফলে বৈধ উপায়ে সংশ্লিষ্ট দেশে ভারতীয়দের (US Visa Delay) যাতায়াত আরও সহজ হবে।” তিনি বলেন, “তবে ওঁরা ভারতীয় নাগরিক কিনা, তা যাচাই করে দেখতে হবে (S Jaishankar)।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share