Tag: s jaishankar

s jaishankar

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশ সেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, জানালেন জয়শঙ্কর

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশ সেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের নাটকীয় পতনের (Bangladesh Crisis) পর ভারত সরকার বাংলাদেশের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    আন্দোলনের জেরে হাসিনা সরকারের পতন (Bangladesh Crisis)

    সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্ররা জুলাই মাস থেকে আন্দোলন শুরু করে। তাতে যোগ দেয় জামাত এবং বিএনপি। এরপর আন্দোলনের মোড় ঘুরে যায়। হাসিনা প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ বিভিন্ন গোষ্ঠী এই বিক্ষোভ এবং হিংসায় যোগ দেওয়ার কারণে আন্দোলন উগ্র রূপ নেয় (Bangladesh Crisis) এবং অবশেষে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে চলে আসেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে টানা চতুর্থবারের জন্য জয়ী হাসিনাকে ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।

    বিদেশমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাজ্যসভায় বলেন, “স্থিতিশীলতা এবং শান্তি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯ হাজার ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলেও, অনেকেই ওখানে থেকে গিয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান সামরিক নেতৃত্বের সামনে তাঁদের নিরাপত্তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার চলছে, মন্দির (Bangladesh Crisis) ভাঙচুর হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সেটাও বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, ভারতের উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং হিংসা বন্ধ করতে অনুরোধ করেছেন দরকার।

    সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত

    ভারতের (S Jaishankar) তরফে জানানো হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় রাখতে তাঁদের প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে ভারত প্রস্তুত। হাসিনার ভারতে আগমনের পর এখনও পরিস্থিতির বদল হচ্ছে। ফলে ভারত নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর সোমবার থেকে এ পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি মানুষ খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে খুন করার পর তালিবানি কায়দায় রাস্তায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। সারাদিনের অস্থিরতা এবং উত্তেজনার পর ধীরে ধীরে মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জ্বলছে বাংলাদেশ! আওয়ামি নেতার হোটেলে আগুন, মৃত ২১, খুন অভিনেতাও

    বাস ও যানবাহন রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা অল্প হলেও কিছু দোকানপাট খুলেছেন। ব্যাংক খুলেছে ফের। তবুও মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতি এখনও থমথমে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ভারতেই হাসিনা, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর কেন্দ্রের, সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর

    Bangladesh Crisis: ভারতেই হাসিনা, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর কেন্দ্রের, সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। তারপরেও নেভেনি হিংসার আগুন। হিংসার শিকার হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারত। এখনও অবস্থা অতটা জটিল নয় তবে, প্রয়োজন পড়লেই বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হবে। কেন্দ্রে সর্বদল বৈঠকে এমনই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শেখ হাসিনা আপাতত ভারতেই গোপন ঠিকানায় রয়েছেন। তাঁকে সরকার সময় দিয়েছে জানান বিদেশমন্ত্রী।

    সর্বদল বৈঠক 

    মঙ্গলবার সংসদে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজেজু। এনডিএ-র সাংসদদের পাশাপাশি বিরোধী জোটের একাধিক সাংসদও উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের তরফে বৈঠকে যোগ দেন রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়্গে। গান্ধী ছাড়াও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কে সি বেনুগোপাল, ডিএমকে নেতা টি আর বালু, জনতা দল (ইউনাইটেড) নেতা লল্লন সিং, সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মিশা ভারতী, শিবসেনার (উদ্ধব ঠাকরে) অরবিন্দ সাওয়ান্ত, বিজু জনতা দলের সম্বিত পাত্র, এনসিপির (শরদ পাওয়ার) সুপ্রিয়া সুলে এবং তেলুগু দেশম পার্টির রাম মোহন নাইডু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মোদি সরকারকে সব রকমের সমর্থন জানাবে বলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত

     বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) এই অশান্তি-হিংসার পিছনে কি অন্য কোনও দেশ, বিশেষ করে পাকিস্তানের হাত রয়েছে? সর্বদলীয় বৈঠকে এই প্রশ্নই তুলেছেন বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এর জবাবে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। কিছু জায়গায় ভারত-বিরোধী মনোভাব দেখা যাচ্ছে, যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, ভারত সরকার সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।” জয়শঙ্কর জানান, বাংলাদেশে ভারতীয়দের পরিস্থিতি কী, সে দিকে নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এখনই ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে আনা হচ্ছে না। প্রয়োজন হলে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।

    ভারতীয়দের অবস্থা

    সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানিয়েছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে কথা হয়েছে। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আপাতত তাঁদের বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে আনা হবে না। তবে ভারত যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকবে। প্রয়োজন হলেই দ্রুত যাতে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে আনা যায়, সেই বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতির দিকেও নজর রয়েছে ভারতের। তবে সূত্রের খবর, জয়শঙ্কর সর্বদল বৈঠকে জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি ‘তেমন গুরুতর নয়’। 

    আরও পড়ুন: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    ভারতেই হাসিনা

    বৈঠকে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানিয়েছেন হাসিনার কথাও। তাঁর বক্তব্য, হাসিনা এই মুহূর্তে রয়েছেন দিল্লিতে। তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তাই তাঁকে বেশ কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছে। হাসিনা নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা এখনও ভারত সরকারকে জানাননি। সময় নিয়ে তিনি সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ভারত সরকার তাঁর বক্তব্য শুনে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে। জয়শঙ্করের তাঁর বিবৃতিতে বলেন, “খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের কাছে হাসিনা আবেদন করেন এ দেশে আসার জন্য। আমরা তাতে সাড়া দিই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: রাষ্ট্রপতি ভারতে আসার পর এবার মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কবে জানেন?

    S Jaishankar: রাষ্ট্রপতি ভারতে আসার পর এবার মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে এবার ভারত- মলদ্বীপ সম্পর্কে (India-Maldives Relationship) বরফ কিছুটা গলতে শুরু করেছে। এবার মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। দেশে তৃতীয়বার মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন বিদেশ মন্ত্রী। সাম্প্রতিক ঘটনা পরম্পরার নিরিখে তাঁর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    কবে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী? (S Jaishankar)

    গত তিন থেকে চার মাসে মলদ্বীপের প্রচেষ্টার কারণেই বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের (S Jaishankar) মলদ্বীপ সফরের ভিত্তি তৈরি হয়েছে। মে মাসে বিদেশমন্ত্রী মুসা জমির ভারত সফরে এসেছিলেন। তারপরে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু নিজে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মলদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সাল ভারতে রয়েছেন। মূলত, ভারতীয় পর্যটকদের মলদ্বীপে যাওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। কারণ, পর্যটনের মাধ্যমে সবথেকে বড় বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন হয় মলদ্বীপে। আর এতদিন ভারতীয়রা মলদ্বীপে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পরের মাসে মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন। সেখানে দুই থেকে তিন দিন তিনি থাকবেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি মলদ্বীপের প্রতিপক্ষ মুসা জমির এবং রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর সঙ্গে দেখা করবেন।

    আরও পড়ুন: ইতিহাসের সামনে লক্ষ্য, ভারতের প্রথম পুরুষ শাটলার হিসেবে অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে চিড়!

    মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী এবং ভারত-বিরোধী হিসাবে পরিচিত। তিনি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের (India-Maldives Relationship) অবনতি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল মুইজ্জুর তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। মুইজ্জু তার ভারত-বিরোধী এজেন্ডার অধীনে, ভারতের সঙ্গে একটি হাইড্রোগ্রাফিক চুক্তি বাতিল করে। ভারত বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও চিনা গুপ্তচর জাহাজগুলিকে মলদ্বীপের জলসীমায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও জরিপ চালানোর অনুমতি দেয়। তারপরই ভারতের সমাজমাধ্যমে মলদ্বীপ বয়কটের ডাক ওঠে। ভারতীয়দের অনেকেই মলদ্বীপে যাওয়ার টিকিট বাতিল করে দেন। যার ফলে দেশটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ইতিমধ্যে চিনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন মুইজ্জু। এমনকী, মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর নির্দেশও দেন তিনি। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এই আবহের মধ্যে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতির ভারত সফর, পর্যটনমন্ত্রীর মলদ্বীপ যাওয়ার জন্য ভারতীয় পর্যটকদের আহবান জানানোর ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Criticize Mamata: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’! মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    BJP Criticize Mamata: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’! মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। সেই বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের (BJP Criticize Mamata)। পুরো বিষয়টির উপরে নজর রাখছে কেন্দ্র সরকার। বাংলাদেশিদের (Unrest Bangladesh) রাজ্যে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সমালোচনা করল বিজেপি।

    মমতার মন্তব্যের সমালোচনা মালব্যের

    বাংলাদেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে ফেরাবেন না, রবিবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশে। গত কয়েক দিনে সেই আন্দোলনে (Unrest Bangladesh) হিংসা ছড়িয়েছে। মমতার এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির (BJP Criticize Mamata) তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর প্রশ্ন, মমতাকে সেই অধিকারটা কে দিয়েছেন? কোনও রাজ্যের হাতে নাগরিকত্ব বা অভিবাসন সংক্রান্ত কোনও ক্ষমতা নেই। পুরো বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে আছে। সেইসঙ্গে মালব্য অভিযোগ করেন, ভোটে জেতার জন্য বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে প্রবেশ করা লোকজনদের নিজেদের রাজ্যে ঠাঁই দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তৃণমূল-সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতা-নেত্রীরা। মালব্যের কথায়, ‘বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার যে ভয়ংকর পরিকল্পনা আছে, তার একটা অংশ হল এই বিষয়টি, যাতে ওরা নির্বাচনে জিততে পারে।’

    মমতার মন্তব্যে অসন্তুষ্ট কেন্দ্র

    মমতার এই মন্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (BJP Criticize Mamata)। সরাসরি কেন্দ্রের তরফে কোনও বিবৃতি জারি না করা হলেও মমতার কথায় মোদি, জয়শংকররা যে প্রসন্ন হননি, তা বুঝিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এক সূত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘এগুলি এমন বিষয়, যেগুলি সামলায় কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তো কোনও এক্তিয়ারই নেই। এসব মন্তব্য (মমতা যে কথা বলেছেন) সম্পূর্ণভাবে ভুল।’ আর মমতার কথায় যে কোনও পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না, সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশে (Unrest Bangladesh) পড়ুয়াদের যে বিক্ষোভ চলছে, তা নেহাতই সেই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী চিন

    India-China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন (India-China Relation) সুস্থ সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা দু’দেশকেই মেনে চলতে হবে।  চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই কে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিদশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানের রাজধানী অস্তানায় আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর এক সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi)। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীর এই আলোচনায় সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।

    সীমান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান (India-China Relation)

    বৈঠকের পরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ‘‘তিনটি নীতি ভারত এবং চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এই তিন নীতি হল পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা এবং স্বার্থ বজায় রাখা।’’ চিনা (India-China Relation) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকারের বিদেশমন্ত্রী তথা একদলীয় চিনের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ওয়াংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে সীমান্তের বকেয়া সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। গালওয়ান পরবর্তী পর্বে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোয় এসসিও বৈঠকের সময়েই এলএসি-তে উত্তেজনা কমাতে আলোচনায় বসেছিলেন দুই বিদেশমন্ত্রী। সেই সময়ে পাঁচ দফা পরিকল্পনা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সেই পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে পর্যালোচনাও করেন জয়শঙ্কর-ওয়াং।

    জয়শঙ্কর যা বললেন (India-China Relation)

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এক্সে লিখেছেন, “আস্তানায় সিপিসি পলিটব্যুরো সদস্য এবং বিদেশমন্ত্রী ওয়াংয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অবশিষ্ট সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতেও দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে৷” ভারত বরাবরই বলে আসছে, সীমান্ত এলাকায় শান্তি না-থাকলে চিনের (India-China Relation) সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কোনওভাবেই স্বাভাবিক হতে পারে না। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “দুই মন্ত্রী উভয় পক্ষের কূটনৈতিক এবং সামরিক আধিকারিকদের বৈঠক চালিয়ে যেতে এবং দ্রুত সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য তাদের আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন। ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজমের (ডব্লিউএমসিসি) একটি প্রাথমিক বৈঠক করা উচিত বলেও তারা সম্মত হয়েছে ৷”বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, দুই মন্ত্রী একমত হয়েছেন যে, সীমান্ত এলাকায় বর্তমান পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত করা দুই দেশের জন্যই ভালো নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদ কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়”, ‘কনিষ্কে’ হামলার বর্ষপূর্তিতে বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদ কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়”, ‘কনিষ্কে’ হামলার বর্ষপূর্তিতে বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদ কখনওই সমর্থন করা উচিত নয়।” যাত্রিবাহী বিমান ‘কনিষ্কে’র ওপর হামলার ৩৯তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। দিনটিকে ইতিহাসে জঘন্যতম দিন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    কনিষ্কে বিস্ফোরণ (S Jaishankar)

    ১৯৮৫ সালের ২৩ জুন লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণের মিনিট পঁয়তাল্লিশ আগে বিস্ফোরণ ঘটে কনিষ্কে। বিমানে থাকা ৩২৯ জনেরই মৃত্যু হয়। এঁদের সিংহভাগই ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান। অভিযোগ, এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রিবাহী ওই বিমানে হামলা চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা। ‘অপারেশন ব্লুস্টারে’র প্রতিবাদেই তারা এই হামলা চালিয়েছিল (S Jaishankar)। রবিবার এই ঘটনাকেই জয়শঙ্কর সন্ত্রাসবাদের জঘন্যতম দিন বলে উল্লেখ করেন।

    জঘন্যতম দিন

    কানাডার মাটিতে ধীরে ধীরে ঘাঁটি গাড়ছে খালিস্তানপন্থীরা। তা নিয়ে নানা সময় প্রতিবাদও জানিয়েছে ভারত। তার পরেও খালিস্তানপন্থীদের আনাগোনা বন্ধ হয়নি কানাডায়। সম্প্রতি কানাডার সংসদে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের স্মৃতিতে নীরবতা পালন করা হয়। তারও প্রতিবাদ করেছে ভারত। এহেন আবহে জয়শঙ্করের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লিখেছেন, “কেন সন্ত্রাসবাদ সহ্য করা যায় না, এই বিস্ফোরণের ঘটনাই (কনিষ্কে বিস্ফোরণ) তা মনে করিয়ে দেয়।” তিনি লিখেছেন, “ইতিহাসে সন্ত্রাসবাদের জঘন্যতম দিনের ৩৯তম বর্ষপূর্তি আজ। এআই ১৮২ কনিষ্কর ৩২৯ জন মৃতের প্রতিই শ্রদ্ধা জানাই। ১৯৮৫ সালে এঁদের হত্যা করা হয়েছিল। মননে আমি সর্বদাই তাঁদের পরিবারের পাশে রয়েছি।”

    আর পড়ুন: হিজাব নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুসলিম দেশ তাজিকিস্তানে!

    প্রসঙ্গত, গত বছরের জুন মাসে কানাডায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় জঙ্গি নিজ্জর। তার পরে পরেই সে দেশের প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাবি করেছিলেন খুনের নেপথ্যে রয়েছে ভারতের হাত। অভিযোগ অস্বীকার করে ভারত। ট্রুডোর দাবির স্বপক্ষে প্রমাণও চায় নয়াদিল্লি। এখনও সে প্রমাণ দিতে পারেনি কানাডা সরকার। নিজ্জর খুনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কানাডার সংসদে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সংসদে সংখ্যালঘু ট্রুডো সরকার চলছে খালিস্তানপন্থী কয়েকজন শিখ সাংসদের সমর্থনে। তাই নিজের গদি বাঁচাতে ট্রুডোর সামনে এছাড়া আর অন্য কোনও পথ ছিল না। তবে ঘটনাটিকে মোটেই ভালো চোখে দেখছে না ভারত। সন্ত্রাসবাদে লাগাম না টেনে কানাডা সরকার যেভাবে বিষবৃক্ষের গোড়ায় জল দিচ্ছে, তাতে বিস্মিত ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশও (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kuwait Fire: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, কুয়েতের বহুতলে জীবন্ত দগ্ধ ৪০ ভারতীয়

    Kuwait Fire: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, কুয়েতের বহুতলে জীবন্ত দগ্ধ ৪০ ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুতলে ভয়াল আগুন (Kuwait Fire)। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ৪০ জন ভারতীয় সহ মোট ৪১ জনের। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কুয়েতের মাঙ্গাফ শহরে। এই বহুতলটিতে অনেক শ্রমিক বাস করতেন। অনুমান, একতলায় থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে কোনওভাবে আগুন লাগে। সেখান থেকেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যান ৪০ জন ভারতীয়।

    শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদির (Kuwait Fire)

    বিদেশে কাজ করতে গিয়ে যে ভারতীয়দের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই দক্ষিণ ভারতীয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে বহুতলটিতে আগুন লেগেছে, সেখানে কেরলের অনেক মানুষ বাস করতেন (Kuwait Fire)। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “কুয়েত শহরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। যাঁরা তাঁদের পরিবার-পরিজনদের হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাই। প্রার্থনা করি, আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। কুয়েতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। আহতদের সাহায্য করতে সহায়তা করছেন সে দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে (Kuwait Fire)।

    দুঃখ প্রকাশ জয়শঙ্করেরও

    দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “কুয়েতের ঘটনায় আমি শোকাহত। ঘটনায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি। আমাদের রাষ্ট্রদূত ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন।”

    বহুতলে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ। অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। কুয়েতের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। জানা গিয়েছে, ছ’তলার ওই বহুতলে প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক বাস করতেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান কুয়েতের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সাউদ আল-সাভ। ৪১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তিনিই।

    আর পড়ুন: প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ রাষ্ট্রপতির, ফাঁসি নিশ্চিত লালকেল্লা হামলায় দোষী আরিফের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “মোদির বিদেশনীতিই ভারতকে খ্যাতি এনে দিয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “মোদির বিদেশনীতিই ভারতকে খ্যাতি এনে দিয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) গলায়। তিনি জানালেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে বিদেশনীতি নিয়েছে ভারত, তা দেশকে খ্যাতি দিয়েছে। এই বিদেশনীতির কারণেই তামাম বিশ্বে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে নয়াদিল্লি। শিমলায় বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে আলাপচারিতার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। সেখানেই তিনি মোদির উচ্চকিত প্রশংসা করেন।

    মোদির বিদেশনীতি (S Jaishankar)

    বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে বিদেশনীতি ভারত গ্রহণ করেছে, তা আমাদের দেশকে সম্মান দিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বিশ্বগুরুর ভূমিকা পালন করবে।” গত কয়েক বছর ধরে ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে যে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে তা মেনে নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তবে সীমান্তের নিরাপত্তার বেষ্টনী যে আগের চেয়ে অনেক আঁটসাঁট, অত্যাধুনিক পরিকাঠামোয় সুসজ্জিত, তাও মনে করিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    তিনি বলেন, “মোদি সরকার চিন সীমান্তের পরিকাঠামোর উন্নয়ন খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। ৩ হাজার কোটি টাকা থেকে এটা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। চিন সীমান্তে থাকা সমস্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চওড়া এবং অল-ওয়েদার রাস্তা এবং সুড়ঙ্গ বানিয়েছি। দ্রুত যাতে সীমান্তে পৌঁছানো যায়, তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।” বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় যখন ভারত রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত জ্বালানি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন বিশ্বের নানা অংশের চাপ আমাদের ওপর ছিল। কিন্তু আমরা সেগুলোর তোয়াক্কা করিনি। আমরা যখন কোয়াড গোষ্ঠীতে যোগ দিলাম, তখনও একই চাপ আসছিল চিনের কাছ থেকে। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমাদের দেশের স্বার্থের কথা ভেবে। তাতে আমরা সফলও হয়েছি।” এর পরেই তিনি বলেন, “এসবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে।”

    সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। তাই দেশবাসীর দায় একটা স্থায়ী সরকার নির্বাচন করার। এভাবে বিশ্ববাসীকে একটা বার্তা দিতে হবে।” দশ বছর আগের ভারতের সঙ্গে ‘বিকশিত ভারতে’র তুলনাও টেনেছেন বিদেশমন্ত্রী। বলেন, “দশ বছর আগে আমার মতো যাঁরা বিদেশ যেতেন, তাঁদের অনেক কথা শুনতে হত। আর আজ, বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের একটা নয়া ইমেজ তৈরি হয়েছে। উন্নয়নের নিরিখেই এই ইমেজ তৈরি হয়েছে। ‘বিকশিত ভারতে’র জন্যই এই ইমেজ আমাদের তৈরি হয়েছে (S Jaishankar)।”

    আর পড়ুন: ‘পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কোটা গিলে খেয়েছে কংগ্রেস’, দাবি বিজেপির বিজ্ঞাপনী ভিডিওয়

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “তোমরা ওখানেও নিরাপদ নও”! উরি-পুলওয়ামা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “তোমরা ওখানেও নিরাপদ নও”! উরি-পুলওয়ামা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তপারের সন্ত্রাস কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। যদি কেউ বা কারা ভাবে ভারতে সন্ত্রাস চালিয়ে কাঁটাতারের ওপারে পালিয়ে গিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যাবে তারা ভুল ভাবছে উরি, বা পুলওয়ামা (Uri and Pulwama Attacks) এর প্রমাণ, বলে দাবি বিদেশমন্ত্রীর। জয়শঙ্কর জানান, সন্ত্রাস মোকাবিলায় মোদি সরকারের আমলে যে স্টান্স নেওয়া হয়েছে, তা ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার সময় থেকে অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে।

    কড়া জবাব জয়শঙ্করের

    ভারতের মতো বিশাল দেশে নিরাপত্তা যে কতবড় চ্যালেঞ্জ সেই প্রসঙ্গ ধরেই নাম না করে ফের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। নয়া দিল্লির এক অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেন,  “সন্ত্রাস মোকাবিলায় মোদি সরকারের আমলে যে স্টান্স নেওয়া হয়েছে, তা ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার সময় থেকে অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। উরি হামলার পর পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। আগে ভারত সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ সহ্য করত। ওই যুগটা পিছনে রয়েছে। ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর থেকে আমরা কোনও বড় সন্ত্রাসবাদ হামলা দেখিনি দেশে। আজকের ভারতে যেকোনও সন্ত্রাসবাদই হোক..আমাদের জবাব বালাকোট.. উরি (হামলার পাল্টা হামলা)।’

    বোঝানোর জন্যই উরি-বালাকোট

    এদিন, কার্যত নাম না করে পাক সন্ত্রাসবাদীদের নিশানা করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “তোমরা ওখানেও নিরাপদ নও। উরি আর বালাকোট করাই হয়েছিল বোঝানোর জন্য যে, না এভাবে জীবন কেটে যেতে পারে না,… মূল্য চোকাতে হবে। আর ভেবোনা যে তুমি কিছু করেছ বলে, আর ওই প্রান্তে পালিয়ে গিয়েছ বলে তুমি নিরাপদে রয়েছ। তুমি ওই প্রান্তেও নিরাপদ নও। তুমি সীমান্তের কাছেও নিরাপদ নও, তুমি আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করেও নিরাপদ নও। ফলে স্পষ্ট ও সরাসরি বার্তা দেওয়া হয়েছে তাদের , যাদের বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল, আর তারা তা বুঝেছে।” এর ফল স্বরূপ (Uri and Pulwama Attacks) দেশে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা কমেছে বলে দাবি জয়শঙ্করের। 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে খুনের হুমকি-ফোন! চেন্নাইয়ে সতর্ক এনআইএ আধিকারিকরা

    নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী পদ

    এদিন  রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ নিয়ে সম্ভাবনার কথাও বলেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর দাবি, সবকিছু ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে। এই মুহূর্তে  রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য ১৫ টি দেশ। আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ইউকে সহ একাধিক দেশ রয়েছে সেখানে। স্থায়ী পদ পাওয়ার লড়াইতে রয়েছে ভারতও। অচিরেই তা মিলবে বলে মনে করেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: চিনের সঙ্গে ব্যবসা! ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ মাথায় রাখতে উদ্যোগপতিদের ‘প্রস্তাব’ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: চিনের সঙ্গে ব্যবসা! ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ মাথায় রাখতে উদ্যোগপতিদের ‘প্রস্তাব’ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতীয় সংস্থাগুলির উচিত প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ডিল করার সময় ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফিল্টার ব্যবহার করা।” পূর্ব লাদাখে চলতি ভারত-চিন সীমান্ত বিতর্ক প্রসঙ্গে এমনই প্রস্তাব দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিদেশের চেয়ে দেশীয় উৎপাদকের সোর্সের ওপর আরও বেশি করে নির্ভর করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।

     কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishankar)

    কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির ইন্টার-অ্যাকটিভ সেশন চলাকালীন জয়শঙ্কর বলেন, “চিন যখন ক্রমেই আমাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তখন আমি দেশবাসীকে বলব, দেশেই উৎপাদন করুন, ভারতেই সোর্সিং করুন, ভারতেই সংগ্রহ করুন।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা দেশবাসীকে চিনের সঙ্গে পুরোপুরি ডিল করতে নিষেধ করছি না। তবে আপনার সামনে ভারতীয় কোনও সুযোগ খোলা থাকলে, আপনারা বরং ভারতীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে ডিল করুন।” তিনি (S Jaishankar) বলেন, “এটা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে খুবই ভালো। আমি আশা করি, আপনারা বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবেন। মনে রাখবেন, দীর্ঘ মেয়াদে কিন্তু লাভের কড়ি ঘরে তুলবেন আপনারাই।”

    ‘অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে’

    চলতি সীমান্ত বিতর্ক নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “যারা আমাদের ড্রয়িংরুমে ঢুকে পড়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে, সীমান্তের বেড়া ভেঙে দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে ডিল না করাটাই যুক্তিসঙ্গত।” তিনি বলেন, “উভয় দিক থেকেই এ ব্যাপারে একটা কমন প্রস্তাব থাকা উচিত।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “অর্থনৈতিক কাজকর্মের আড়ালে তারা(চিন) আসলে ভার্চুয়ালি অস্ত্রীকরণ অনুমোদন করছে। আমরা দেখেছি, কীভাবে তারা আমদানি ও রফতানি দুই ক্ষেত্রেই এটা করেছে। রাজনৈতিক চাপ জাহির করতেই তারা কাঁচামাল ও ট্যুরিজম স্টেবিলিটিকে ব্যবহার করছে। সাধারণ ব্যবসার চেয়েও ওরা এটা (ভার্চুয়ালি অস্ত্রীকরণ) বেশি করে করছে।”

    আর পড়ুন: ১২ নয়, ১৩ মাসে হয় এক বছর! জানুন সেই বিচিত্র দেশের কথা

    তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাস এবং ভরসা থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ক্রমেই কমছে। এর অন্যতম একটা কারণ হল ঝুঁকি-হীন সাপ্লাই সোর্স। প্রযুক্তির জটিল ও দ্রুত উন্নতিও এর আর একটি কারণ।” তিনি বলেন, “আমরা যদি সমৃদ্ধি ধরে রাখতে চাই তাহলে আমাদের অর্থনীতির সমৃদ্ধির কারণে বৈশ্বিক রিসোর্সকে কাজে লাগাতে হবে।” ভারতের পুরানো বন্ধু রাশিয়া যে ক্রমেই ফের পূবমুখী হচ্ছে, এবং তার ফলে যে অর্থনৈতিক সুযোগের দুয়ার খুলে যাবে, তাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share