Tag: s jaishankar

s jaishankar

  • Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবাইয়ে আটকে থাকা বাংলার শ্রমিকদের নামের তালিকা সোমবারই বিদেশমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রসঙ্গত, দুবাইয়ে বর্তমানে আটকে পড়ে রয়েছেন এ রাজ্যের ১৩ জন শ্রমিক। সেই তালিকা এদিন বিদেশ মন্ত্রকের হাতে তুলে দিয়ে তাঁদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার বিষয়েও কথা বলেন তিনি। এরপরে সংবাদ মাধ্যমকে সুকান্ত মজুমদার জানান, বিষয়টি ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    ১ ডিসেম্বর দুবাইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দেন দক্ষিণ দিনাজপুরের শ্রমিকরা

    জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর এবং অন্যান্য এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন শ্রমিক দুবাইয়ে কাজের খোঁজে যান। অভিযোগ, কাজের প্রলোভন দেখিয়েই তাঁদেরকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা ৬ ডিসেম্বর দুবাইয়ে পৌঁছান। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার কোনওটাই পূরণ করছে না সংস্থা। এবং প্রয়োজনের থেকে কম পারিশ্রমিকও দেওয়া হচ্ছে। বদলে অতিরিক্ত সময় ধরে তাঁদেরকে কাজ করানো হচ্ছে। এরপরেই তাঁরা দেশে ফিরে আসতে চান। কিন্তু এখানেও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তাঁরা জোরপূর্বক আটকে রেখেছেন ওই শ্রমিকদের। কোনও ভাবেই তাঁদের দেশে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। ইতিমধ্যে একটি ভিডিওর মাধ্যমে তাঁরা (শ্রমিকরা) একথা জানিয়েছেন।

    সুকান্তর সঙ্গে যোগাযোগ করেন শ্রমিকদের পরিবারবর্গ

    এরপরেই বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতির (Sukanta Majumdar) সঙ্গে গঙ্গারামপুর সমেত বাকি এলাকার শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন দেখা করেন এবং তাঁর কাছে সাহায্য চান। তাঁদের অভিযোগ শোনার পরে প্রয়োজন মতো সাহায্যের আশ্বাসও দেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি তখনই জানান, এ বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলা হবে। এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করে তাঁর দফতরে গিয়ে আমি সমস্ত বিষয়টি তাঁকে জানাই। উনি আশ্বস্ত করেছেন, সেই দেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলে খুব শীঘ্রই ওনাদের ভারতে তথা পশ্চিমবঙ্গে ফেরানো হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।” শনিবার নাম না করে এই ভাষায়ই পাকিস্তানকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন সিঙ্গাপুরে নিজেরই লেখা বই ‘হোয়াই ভারত ম্যাটারর্স’ সংক্রান্ত এক বক্তৃতায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করেন জয়শঙ্কর।

    প্রসঙ্গ সন্ত্রাসবাদ (S Jaishankar)

    ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের ওই অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিবেশীর এই বিষয়টি যেখানে গোপন নেই, তখন আপনি সেই প্রতিবেশীর মোকাবিলা করবেন কীভাবে? এটি কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, তারা (পাকিস্তান) এটিকে একটি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে…সেক্ষেত্রে আমাদের কী করণীয়? আমাদের এর মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কারণ সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া কোনও সমাধান নয়, সেটা শুধু সমস্যাকে আরও ডেকে আনে।” তিনি বলেন, “প্রত্যেক দেশই চায় যাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক থাকে। যদি আর কিছু নাও হয়, যাতে অন্তত প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ভারতের ক্ষেত্রে সে রকম নয়।”

    ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি 

    সন্ত্রাসবাদকে যে ভারত আর বরদাস্ত করবে না, এদিনও তাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। একদিকে সন্ত্রাসবাদীমূলক কার্যকলাপ চলবে, অন্যদিকে সমানতালেও চলতে থাকবে আলোচনা, এটা যে হতে পারে না, এদিন তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কখনওই তাদের বলতে যাব না যে, আচ্ছা, এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে, আসুন আমরা আলোচনা করি।”

    আরও পড়ুুন: “এটাই হল মোদি কা গ্যারান্টি”, কেন বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী?

    পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কোনও দেশকেই ফ্রি পাস দেব না। তারা বলবে, এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। এটা কোনও কঠিন সমস্যাও নয়। আবার আমরা বিষয়টিকে উপেক্ষাও করতে পারি না।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ ভারত করেছে আগেও। এবারও ফের সুযোগ পেয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে কার্যত ধুয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “একসঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি”, পুতিনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন মোদি

    PM Modi: “একসঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি”, পুতিনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনার সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি।” সোমবার রাশিয়ার পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এই কথাগুলিই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৮৭ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন পুতিন।

    পুতিনকে শুভেচ্ছা মোদির (PM Modi)

    ষষ্ঠবারের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। ৪ শতাংশের সামান্য কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন পুতিনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী নিকোলাই খারিতনভ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের জন্য পুতিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি (PM Modi) লিখেছেন, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে শুভেচ্ছে জানাই। আগামী বছরগুলিতে ভারত-রাশিয়া মৈত্রী ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি।”

    রাশিয়ার সংবিধান

    রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ ছ’বছর। ২০১৮ সালে ৭৭ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন পুতিন। তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের পর আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকবেন না তিনি। যদিও এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী টানা দু’বারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকা যেত না। ফের প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করতে ২০২১ সালেই এই আইন পরিবর্তন করেছিলেন কেজিবির প্রাক্তন প্রধান পুতিন। প্রথম মেয়াদে টানা দু’বার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তিনি। আর দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্রেসিডেন্ট হলেন টানা তৃতীয়বার। অর্থাৎ ২০৩০ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার কর্তা তিনিই।

    প্রসঙ্গত, পুতিনের আগে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট পদে দীর্ঘ সময় ধরে ছিলেন জোসেফ স্তালিন ও লিওনিদ ব্রেজনেভ। টানা ২৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তাঁরা। তাঁদের সেই রেকর্ড ভেঙে নয়া রেকর্ড গড়তে চলেছেন পুতিন। এহেন পুতিনকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুতিনের মুখে মোদি-স্তুতি শোনা গিয়েছে বহুবার। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মোদির সাফল্যও কামনা করেছিলেন পুতিন। গত ডিসেম্বরে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সময় রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছিলেন এবার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে ভারতে অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরি করবে রাশিয়া (PM Modi)।

    আরও পড়ুুন: বিহারে আসনরফা চূড়ান্ত, কত আসনে লড়বে বিজেপি, জানেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: “দায়বদ্ধতা থেকেই সিএএ চালু করা হয়েছে”, আমেরিকাকে ‘বার্তা’ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “দায়বদ্ধতা থেকেই সিএএ চালু করা হয়েছে”, আমেরিকাকে ‘বার্তা’ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশভাগের সময় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত এবং হতাশ হয়েছিলেন, তাঁদের প্রতিও আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই সিএএ চালু করা হয়েছে।” সিএএ নিয়ে আমেরিকার প্রতিক্রিয়ার প্রত্যুত্তরে এ কথাই বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। গত সোমবার সন্ধ্যায় দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে মাঠে নেমে পড়েছেন বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতারা। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আমেরিকাও। জো বাইডেনের দেশ এ বিষয়ে প্রকাশ করেছে উদ্বেগও। বাইডেন প্রশাসনের সেই প্রতিক্রিয়ারই জবাব দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    আমেরিকাকে বার্তা জয়শঙ্করের (S Jaishankar)

    সিএএ লাগু হওয়ার পর ভারতের নীতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন এ দেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গার্সেটি। তার প্রেক্ষিতেই নাম না করে আমেরিকাকে একহাত নিয়েছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “আমারও নীতি রয়েছে। দেশভাগের সময় যেসব মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, সেই সব মানুষের জন্যই সিএএ।” সিএএতে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তারও জবাব দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কেবল আমাদের দেশে নয়, অন্য দেশেও ধর্ম ও জাতির ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।”

    সিএএ-র ক্ষমতা

    জয়শঙ্কর বলেন, “আমি কারও নীতি বা গণতন্ত্রের আদর্শ নিয়ে কিছু বলছি না। কিন্তু আমার মনে হয়, আমাদের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে অনেকের সঠিক ধারণা নেই। বিশ্বের অনেক জায়গা থেকে এমন অনেক মন্তব্য করা হচ্ছে, তা শুনে মনে হচ্ছে ভারতে কোনওদিন দেশভাগ হয়নি। দেশভাগের সময় এমন কোনও সমস্যা হয়নি, যার সমাধান সিএএ করতে পারবে না।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “তাদের (আমেরিকার) গণতন্ত্রে যে অসম্পূর্ণতা রয়েছে, তা নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলছি না। তাদের নীতি কিংবা নীতির অভাব নিয়েও তো আমি প্রশ্ন করছি না। আমাদের দেশের ইতিহাস কতটা তারা বুঝেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন করছি না।” তিনি বলেন, “আপনি যদি বিশ্বের বিভিন্ন অংশের মন্তব্য শোনেন (সিএএ নিয়ে), তাহলে মনে হবে ভারতে কখনও দেশভাগের মতো ঘটনা ঘটেনি।” এর পরেই বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “দেশভাগের সময় এমন কোনও সমস্যা হয়নি, যার সমাধান সিএএ করতে পারবে না।”

    আরও পড়ুুন: “১০০ দিনের রোডম্যাপ তৈরি করুন”, নির্বাচনের আগেই মন্ত্রীদের নির্দেশ প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Amitabh Bachchan: “দারুন বলেছেন”, মুইজ্জুর উদ্দেশে করা জয়শঙ্করের মন্তব্যের প্রশংসায় বিগ বি

    Amitabh Bachchan: “দারুন বলেছেন”, মুইজ্জুর উদ্দেশে করা জয়শঙ্করের মন্তব্যের প্রশংসায় বিগ বি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সম্প্রতি করা এক মন্তব্যের প্রশংসা করলেন বিগ-বি অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। সম্প্রতি দিল্লিতে একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিদেশমন্ত্রী৷ সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে ভারতীয় উপমহাদেশ এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে বুলি হিসাবে ভারত কাজ করছে কি না । সেই প্রশ্নের উত্তরে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেও ভারতের সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন জয়শঙ্কর।

    অমিতাভের প্রশংসা

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) কথার সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করে অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, “ওয়াহ!! ভালো বলেছেন স্যার ৷” বিগ বি-র এই পোস্টের পরই সোশাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে ৷ একাধিক প্রতিক্রিয়া এসেছে ৷ কেউ কেউ আবার বিগ বি রাজনীতিতে যোগদান করছেন বলে অনুমান করেছে । আবার অনেকে জয়শঙ্করকে দেশের সেরা কূটনীতিক এবং বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে একজন হিসাবে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন । তবে এই প্রথম নয়, আগেও প্রধানমন্ত্রী থেকে অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ভিডিয়ো শেয়ার করতে দেখা গিয়েছে অমিতাভকে ৷

    প্রতিবেশীদের পাশে ভারত

    ভারত যেহেতু বেশি শক্তিধর দেশ, তাই তারা কি মলদ্বীপকে “বুলি” বা হেনস্থা করছে? এমনটাই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে (S Jaishankar)। স্পষ্ট ভাষায় বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দেন,  “ক্ষমতাশালী, হেনস্থাকারী দেশ বিপদের সময় প্রতিবেশীদের ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের সাহায্যে করে না। নিজের দেশে কোভিডের প্রকোপ থাকা সত্ত্বেও অন্য দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে না কিংবা নিজেদের নিয়মে পরিবর্তন এনে খাদ্য, জ্বালানি বা সারের চাহিদা পূরণ করে কারণ বিশ্বের অন্য কোনও প্রান্তে যুদ্ধের জেরে সাধারণ মানুষের জীবন জটিল হয়ে গিয়েছে।” প্রতিবেশী দেশগুলির কঠিন সময়ে ভারত কীভাবে তাদের পাশে থেকেছে এবং সাহায্য করেছে, তা তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত করে তোলার উদাহরণ দেন তিনি।  বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্যের যে হার রয়েছে, যা বিনিয়োগ রয়েছে, তাতে খুব খুব ভাল গল্প বলা যায়। শুধুমাত্র নেপাল বা বাংলাদেশ নয়, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, এমনকী আমি বলব মলদ্বীপের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “আমেরিকা করলেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি কানাডা”, ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “আমেরিকা করলেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি কানাডা”, ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে আমেরিকা। করছে তদন্তও। তবে এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষপ করছে না কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। গত কয়েক মাসে কানাডা ও আমেরিকায় ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। হামলা চালানো হয়েছে হিন্দু মন্দিরেও। তার পরেই বাইডেন সরকার পদক্ষেপ করলেও, করেনি ট্রুডো সরকার। সোমবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন জয়শঙ্কর। ভারত-কানাডা সম্পর্ক এবং খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী সমস্যা নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আমাদের রাষ্ট্রদূতদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাঁদের প্রাণহানির ঝুঁকি ছিল। তাই আমরা কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এখন অবশ্য ভিসা দেওয়া ব্যবস্থা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। আসলে বাক স্বাধীনতার নামে কূটনীতিকদের ভয় দেখানো যায় না।” তিনি বলেন, “এটা বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার বলে আমি মনে করি।  হাইকমিশনারদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। তাঁদের কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না। ভারতের পতাকা নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হল, এটাকে কী বাক স্বাধীনতা বলা যায়?”

    বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে

    তিনি বলেন, “আমেরিকায়ও একই ধরনের হামলা হয়েছিল। সেই দেশে এই ঘটনার তদন্ত চলছে। যদি কানাডা কোনও পদক্ষেপ না করে, তবে সেটাকে একটা বার্তা হিসেবেই পড়তে হবে। যারা আমাদের কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছে, যারা তাঁদের বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটিয়েছে, সেই সব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: কেষ্ট গড়ে ধাক্কা খেল শাসক দল, তৃণমূলের যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা আশা করি, সানফ্রান্সিসকোয় যেসব কালপ্রিট আমাদের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছিল, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। আমরা আশা করি লন্ডনে আমাদের হাইকমিশনে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এও আশা করি, কানাডায় যারা আমাদের কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    প্রসঙ্গত, গত বছর ১৯ মার্চ লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীরা। ওই বছরেরই জুলাই মাসে সান সানফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় দূতাবাসে হামলা হয়েছিল। আর সেপ্টেম্বরে কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের হুমকি দিয়েছিল (S Jaishankar) বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “রাশিয়া কখনওই ভারতের ক্ষতি করেনি”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “রাশিয়া কখনওই ভারতের ক্ষতি করেনি”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাশিয়া কখনওই ভারতের ক্ষতি করেনি। বহু পশ্চিমি দেশই দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করে এসেছে।” কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক জার্মান দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিত্র দেশ রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বোঝাতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেন তিনি।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত যদি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কিনত সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে হইচই পড়ে যেত। অতীতের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে প্রত্যেকে একটা সম্পর্ক তৈরি করে। আমি যদি স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব রাশিয়া কখনও আমাদের ক্ষতি করেনি। আমাদের সব সময় একটা স্থায়ী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই অভিজ্ঞতার ভিতের ওপরই দাঁড়িয়ে রয়েছে মস্কোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক।”

    পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করত পশ্চিমি বিশ্ব?

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “বহু পশ্চিমি দেশই ভারত নয়, পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করত। তবে গত ১০-১৫ বছরে ব্যাপারটা বদলেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আমেরিকার কথা। আর রাশিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্স ও ইজরায়েল আমাদের প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে।” প্রসঙ্গত, মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করেন। এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে ভারত। এটা যে যুদ্ধের সময় নয় পুতিনকে তা বলেওছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেও বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই আবহেই রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে চলেছে ভারত। তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্নও। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল ও গ্যাস কেনার যে কোনও বিকল্প নেই, তাও জানিয়ে দেন জয়শঙ্কর। তিনি এও জানান, ইউরোপের দেশগুলি চড়া দরে অপরিশোধিত তেল ও গ্যাস কেনে মধ্য এশিয়া থেকে। জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত বিশ্ব বাজার থেকে বাজার দরেই তেল কিনেছে। কেউ যদি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল না কিনত, সবাই যদি অন্য দেশগুলি থেকে তেল কিনত, তাহলে তেলের বাজার দর কোথায় চড়ত (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: “ভারতের সমালোচনা নয়, প্রশংসা করা উচিত”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “ভারতের সমালোচনা নয়, প্রশংসা করা উচিত”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একাধিক অপশন থাকায় ভারতের সমালোচনা করা উচিত নয়।” শনিবার কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই জবাব দেন বিদেশমন্ত্রী।

    মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স

    মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানে এক প্যানেল ডিশকাসনে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও জার্মানির বিদেশমন্ত্রী আন্নালেনা বেরবক। সেখানে জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়, কীভাবে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও আমেরিকার সঙ্গে একই সঙ্গে জোট বজায় রাখতে পারছে নয়াদিল্লি? উত্তরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এটা কি কোনও সমস্যা? কেন এটাকে কোনও সমস্যা হিসেবে দেখা হবে? আমি যদি একাধিক বিষয় সামলে নিতে পারি, তাহলে তো আপনার আমাকে সম্মান জানানো উচিত।” তিনি বলেন, “আজকের দিনে কোনও দেশের কাছেই এমন প্রত্যাশা করা উচিত নয়, যে তারা একমাত্রিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলবে।”

    জয়শঙ্করের জবাব

    ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনে রাশিয়ার পাশে না দাঁড়িয়েও কীভাবে সে দেশ থেকে অপরিশোধিত তেল কিনছে ভারত? এর উত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “এটা কেন কোনও সমস্যা হবে? আমি যথেষ্ট স্মার্ট, আমার কাছে একাধিক অপশন রয়েছে। এটাকে শ্রদ্ধা করা উচিত, সমালোচনা করা নয়। এটা কি অন্য কারও কোনও সমস্যা হতে পারে? আমার তো মনে হয় না।” এই সময় হাসতে দেখা যায় ব্লিঙ্কেনকে। জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের দেশের ওপর কী কী চাপ রয়েছে, সেগুলি আমরা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি। একমাত্রিক সম্পর্ক রাখা এ যুগে বড্ড কঠিন।”

    আরও পড়ুুন: শিবু গ্রেফতারে খুশির হাওয়া সন্দেশখালিতে, ফ্রিতে মিষ্টি-চা বিতরণ

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাকে চাই না, এমনকি অসাবধানতাবশতও। এই ধারণাও দিতে চাই না যে আমরা সৎভাবে ট্রানজেকশনাল। আমরা তেমন নই। আমরা মানুষের সঙ্গে থাকি। আমরা কাজে বিশ্বাসী, কোনও কিছু ঘটলে আমরা তা শেয়ারও করি। কিন্তু এমন সময়ও আসে, যখন আপনি বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন, উন্নয়নের বিভিন্ন স্তর রয়ছে, অভিজ্ঞতাও ভিন্ন ভিন্ন। আসলে জীবন হল জটিল, প্রত্যেকের জীবন আলাদা আলাদা।” তিনি বলেন, “যারা ভালো বন্ধু তারা তাদের পছন্দগুলো জানিয়ে দেয়। আর যারা স্মার্ট বন্ধু, তারা এর কিছু পছন্দ গ্রহণ করে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদি-ডোভাল-জয়শঙ্কর, ত্রয়ীর চালেই বাজিমাত, দেশে ফিরলেন কাতারের আট বন্দি

    PM Modi: মোদি-ডোভাল-জয়শঙ্কর, ত্রয়ীর চালেই বাজিমাত, দেশে ফিরলেন কাতারের আট বন্দি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাজা হয়েছিল মৃত্যুদণ্ড। সেখান থেকে একেবারে মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরা। কাতারের জেলবন্দি নৌবাহিনীর ৮ প্রাক্তন আধিকারিক দেশে ফিরে গাইছেন মোদি-স্তুতি (PM Modi)। তবে কেবল মোদি নন, এই আটজনের বেঁচে ফেরার নেপথ্যে রয়েছেন আরও দুজন। একজন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অন্যজন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এই ত্রয়ীর চালেই হয় বাজিমাত। দেশে ফেরেন কাতারে মৃত্যু দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত আটজন।

    চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার

    ওমান ভিত্তিক দারা গ্লোবালে কাজ করছিলেন ওই আটজন। চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হন ২০২২ সালের ৩০ অগাস্ট। তার পর থেকে বন্দি ছিলেন সে দেশের জেলে। পরের বছর ২৬ অক্টোবর তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেয় কাতারের আদালত। এর পরেই নৌসেনার প্রাক্তন এই আট আধিকারিককে বাঁচাতে প্রাণপণ করে ভারত সরকার (PM Modi)। ২০২২ সালের অগাস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে তাঁদের মুক্তির বিষয়ে কাতার সরকারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। বিদেশমন্ত্রক জানায়, গ্রেফতার হওয়ার প্রথম দিন থেকেই তাঁদের মুক্ত করতে উঠেপড়ে লাগে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই জয়শঙ্কর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত ছয় কূটনীতিককে নিয়ে একটি দল গঠন করেন। মধ্য প্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়ার যাবতীয় তথ্য এঁদের নখদর্পণে।

    কাতার সরকারের সঙ্গে আলোচনা

    কাতার সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন এঁরাই। ধৃতদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ভারতও। জানা যায়, চরবৃত্তির যে অভিযোগ এই আটজনের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যে। এর পাশাপাশি নয়াদিল্লি ওমানের দারা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস এলএসসির সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। ওমানের সুলতান, যাঁর সঙ্গে মোদির সম্পর্ক খুবই ভালো, তিনিও এই আটজনকে কাতার যাতে মুক্তি দেয়, সে ব্যাপারে সওয়াল করেন। কাতার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন লন্ডন ভিত্তিক এক ব্যবসায়ীও। এর পাশাপাশি ভারত ইরানকেও এ বিষয়ে কাতারের সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করে। এমতাবস্থায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এঁদের মুক্তির বিষয়ে চিঠি লেখেন কাতারকে। দু দিনের সফরে তিনি চলে যান দোহা। সেখানে বৈঠক করেন সে দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ মহম্মদ বিন আহমেদ আল মুসনাদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: দুবাইতে স্কুল খুলছে সিবিএসই, আবু ধাবিতে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ডোভাল মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকেও এ ব্যাপারে অনুরোধ করেন। কাতারের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক বেশ ভালো। সেই কারণেই অনুরোধ করা হয় ব্লিঙ্কেনকে। ভারতের হয়ে সওয়াল করেন তাঁরা। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে কাতার হামাসদের পক্ষে। এমতাবস্থায় ভারত কথা বলে দোহা, ওয়াশিংটন, তেহরান এবং ম্যাসকটের সঙ্গে। মোদি (PM Modi) স্বয়ং কথা বলেন সে দেশের আমির আল থানির সঙ্গে। এই আটজনকে ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। এঁরা যে চরবৃত্তি করছিলেন না, তার অকাট্য প্রমাণ তুলে ধরেন ডোভাল।

    কাতারে যে প্রচুর ভারতীয় রয়েছেন, ভারত যে সে দেশে ১৫.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য করতে চায়, প্রধানমন্ত্রী এসবই জানান আমিরকে। সেদেশে যে ছ’ হাজার ভারতীয় কোম্পানি রয়েছে, তাও জানান প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকের পরেই গলে বরফ। ক্ষমা করে দেওয়া হয় জেলবন্দি আটজনকে। তার পরেই মেলে কাঙ্খিত মুক্তি (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: গত ৬ বছরে কানাডায় ৯১ ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, লোকসভায় জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: গত ৬ বছরে কানাডায় ৯১ ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, লোকসভায় জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ছ’বছরে বিদেশে পড়তে গিয়ে সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪০৩ ছাত্রের। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কানাডা। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়, কয়েকজনের মেডিক্যাল কন্ডিশনের কারণ এবং কয়েকজনের ন্যাচারাল কারণে।

    কানাডায় মৃত্যু ৯১ জন ছাত্রের

    জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত কানাডায় মৃত্যু হয়েছে ৯১ জন ছাত্রের। তার পরেই রয়েছে ব্রিটেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। শুক্রবার লোকসভায় এই তথ্য জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভিন দেশে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রদের কল্যাণই রয়েছে সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায়।” জয়শঙ্কর বলেন, “মন্ত্রকের তরফে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ৪০৩ জন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বিদেশে পড়তে গিয়ে। ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই ছাত্রদের মৃত্যু হয়েছে।”

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    বিদেশমন্ত্রী জানান, বিদেশে পড়তে গিয়ে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, সেগুলির সমাধানই আশু লক্ষ্য সরকারের। এই ছ’বছরে যেসব পড়ুয়ার বিভুঁইয়ে মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের তালিকাও দিয়েছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, কানাডায় মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের, ব্রিটেনে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। রাশিয়ায় পড়তে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ জন। আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। অস্ট্রেলিয়ায় মারা গিয়েছেন ৩৫ জন। ইউক্রেনে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। আর জার্মানিতে মারা গিয়েছেন ২০ জন। সাইপ্রাসে মারা গিয়েছেন ১৪ জন ভারতীয়। ফিলিপিন্স ও ইটালিতে মারা গিয়েছেন ১০ জন করে। কাতার, কিরঘিস্তান এবং চিনে মৃত্যু হয়েছে ৯ জন করে ভারতীয়ের।

    আরও পড়ুুন: “আব কি বার ৪০০ পার…”! খাড়্গের মুখে বিজেপির স্লোগান শুনে কী করলেন মোদি?

    বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ বলেন, “প্যালেস্তাইনের প্রতি ভারতের নীতি দীর্ঘ মেয়াদি এবং একই রয়েছে।” তিনি বলেন, “ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের সমাধান হোক আলোচনার মাধ্যমে। প্যালেস্তাইন একটি সার্বভৌম, স্বাধীন রাষ্ট্র হোক। নির্দিষ্ট সীমান্তও তৈরি হোক। পড়শি দুই দেশই থাকুক শান্তিতে।” তিনি জানান, অক্টোবরের সাত তারিখে হামাস যে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তাতে যে বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার প্রতিবাদ করেছে ভারত। মন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “প্রতিবেশী দুই দেশের দ্বন্দ্বের অবসানে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও আলাপ-আলোচনা ও কূটনৈতিক স্তরে কথাবার্তা চলুক।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share