Tag: SC

SC

  • SSC: অযোগ্যদের নিয়োগ ‘কবুল’, ৩ হাজার ৫১২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    SSC: অযোগ্যদের নিয়োগ ‘কবুল’, ৩ হাজার ৫১২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডির অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সব মিলিয়ে ওই তালিকায় নাম রয়েছে ৩ হাজার ৫১২ জনের (Tainted Staff)। সোমবার সন্ধে ৭টার পর এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।

    অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ (SSC)

    এদিনই এসএসসির তরফে প্রকাশ করা হয় গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডির জন্য আলাদা অযোগ্যদের তালিকা। এসএসসির তরফে প্রকাশিত ওই তালিকায় গ্রুপ-সিতে ১ হাজার ১৬৩ জন এবং গ্রুপ-ডিতে ২ হাজার ৩৪৯ জন অযোগ্যের নাম রয়েছে। এঁদের মধ্যে গ্রুপ-সিতে ওএমআর শিটে জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছিলেন ৭৮৩ জন। সুপারিশপত্র ছাড়া চাকরি পেয়েছিলেন ৫৭ জন অযোগ্য। গ্রুপ-ডির তালিকায় দাগি রয়েছেন ১ হাজার ৭৪১ জন। ওএমআর শিটে জালিয়াতির পাশাপাশি র‌্যাঙ্ক জাম্পেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। অযোগ্যদের নাম ও রোল নম্বর দিয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। এদিনের তালিকায় যাঁদের নাম প্রকাশিত হয়েছে, তাঁরা আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডির নয়া নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

    নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর গত অগাস্ট মাসে অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৮০৪জনের নাম ছিল ওই তালিকায়। এবার গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডির অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি (SSC)। এই তালিকা প্রকাশ করে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্তদের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল কমিশন। শীর্ষ আদালতের রায়ে গত ৩ এপ্রিল চাকরি খুইয়েছিলেন ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। পুরানো প্যানেল বাতিল করে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এজন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়ও। সেই সব নিয়ম মেনেই আপাতত চলছে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। এবার পালা শিক্ষাকর্মী নিয়োগের। এই মর্মে ১০ অক্টোবরহ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছিল এসএসসি। আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে সোমবার থেকে, চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে এতে অংশ নিতে পারবেন না দাগিরা।

    উল্লেখ্য, এই দাগিদের (Tainted Staff) তালিকায় রয়েছেন কোচবিহারের তৃণমূল যুব সভাপতি, বাঁকুড়ার তৃণমূল বুথ সভাপতি, শিলিগুড়ির যুব তৃণমূল নেতা, দুর্গাপুরের তৃণমূল শ্রমিক নেতার ছেলে। তৃণমূল কর্মী কিংবা তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের নামও ওই তালিকায় রয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর (SSC)।

  • Baba Kartik Oraon: দেশজুড়ে পালিত হল বাবা কার্তিক ওরাঁওয়ের জন্মশতবার্ষিকী

    Baba Kartik Oraon: দেশজুড়ে পালিত হল বাবা কার্তিক ওরাঁওয়ের জন্মশতবার্ষিকী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৯ অক্টোবর দেশজুড়ে পালিত হল বাবা কার্তিক ওরাঁওয়ের (Baba Kartik Oraon) জন্মশতবার্ষিকী। মহান, অথচ বিস্মৃত-প্রায় এই নেতাকে স্মরণ করল দেশ। ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সমাজ থেকে উঠে আসা এই মানুষটি সংসদে হয়ে উঠেছিলেন ভারতের বনবাসী (Vanvasi) সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর। কার্তিক ওরাঁও শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রনায়ক এবং জাতীয়তাবাদী চিন্তক। তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের জন্য। স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের অস্থির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ধারাবাহিকতার পক্ষে লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি।

    ধর্মনিষ্ঠ নেতা (Baba Kartik Oraon)

    জাতীয় কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা ছিলেন ধর্মনিষ্ঠ। জাতীয় আদর্শের প্রতি তাঁর দৃঢ় মানসিকতার কারণে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে নানা সময় মতবিরোধ হয়েছে তাঁর। কার্তিকের উত্তরাধিকার কেবল মধ্য ভারতের আদিবাসী উন্নয়নের কর্মকাণ্ডেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তিনি ধর্মান্তরণ আন্দোলনেরও বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর মতে, ধর্মান্তরণ আন্দোলন ভারতের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বন্ধনকে বিপন্ন করেছিল।কার্তিকের অন্যতম সাহসী পদক্ষেপগুলির একটি ছিল ১৯৬৭ সালে, যখন তিনি সংসদে একটি ব্যক্তিগত সদস্য বিল উত্থাপন করেন। বিলটির নাম “তফসিলি জাতি ও তফসিলি জনজাতি (অর্ডার) সংশোধন বিল, ১৯৬৭ (Baba Kartik Oraon)।”

    তফসিলি জাতি ও তফসিলি জনজাতি (অর্ডার) সংশোধন বিল, ১৯৬৭

    এই বিলটি সংবেদনশীল হলেও, জরুরি সমস্যার সমাধান চেয়েছিল। প্রস্তাবিত সংশোধনের মূল কথা ছিল সহজ, যদিও তার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। বিলটির নির্যাস হল, যাঁরা তাঁদের প্রথাগত আদিবাসী ধর্ম ছেড়ে খ্রিস্টান কিংবা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, তাঁরা আর তফসিলি জনজাতির জন্য নির্ধারিত সরকারি সুবিধা পাওয়ার অধিকারী নন। তাঁর মতে, ইতিবাচক পদক্ষেপের লক্ষ্যই ছিল হিন্দু সমাজের অন্তর্গত সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীগুলিকে উন্নীত করা, ধর্মীয় সমতার ছদ্মবেশে নতুন ধরনের শোষণকে উৎসাহিত করা নয়।

    বিলটি সংসদের যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছিল। দু’বছর নিবিড় আলোচনা ও পর্যালোচনার পর ১৯৬৯ সালের নভেম্বর মাসে কমিটি (Vanvasi) তাদের রিপোর্ট জমা দেয়। সেখানে কার্তিকের অবস্থানকেই সমর্থন করা হয়। কার্তিক বিশ্বাস করতেন, আদিবাসী ধর্ম ও হিন্দু ধর্ম একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেই কার্তিককেই এদিন স্মরণ করল গোটা দেশ (Baba Kartik Oraon)।

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাহুলের, ‘ভোট চুরি’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা শুনলই না আদালত

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাহুলের, ‘ভোট চুরি’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা শুনলই না আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভোট চুরি’ নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT) গঠন করে তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলাও। সেই মামলায় হস্তক্ষেপই করল না দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যেখানে ইচ্ছা প্রতিকার চান। এখানে জনস্বার্থ মামলা শোনা হবে না। আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে বেঞ্চ। মামলাকারীর আবেদন, এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট সময় বেঁধে দিক নির্বাচন কমিশনকে। তাতেও না করে দিয়েছে বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “আমরা আবেদনকারীর কথা শুনেছি। জনস্বার্থ মামলার আকারে দায়ের হওয়া এই মামলা আমরা শুনতে ইচ্ছুক নই। আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন।”

    জনস্বার্থ মামলা (Supreme Court)

    দেশের শীর্ষ আদালতে যিনি দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা, তিনি তাতে উল্লেখ করেছিলেন রাহুলের সাংবাদিক বৈঠকের কথা। তিনি জানিয়েছেন, রাহুল ৭ অগাস্ট জানিয়েছিলেন ভোটার তালিকায় অপরাধমূলক জালিয়াতি হয়েছে। কর্নাটকের একটি লোকসভা কেন্দ্রে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগও করেছিলেন রাহুল। আবেদনকারী জানান, সংবিধানেই অবাধ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। প্রশাসনিক পদক্ষেপের কারণে সংবিধানের এই প্রাথমিক নীতি লঙ্ঘিত হতে পারে না। রাহুলের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তাঁকে এ সংক্রান্ত সমস্ত প্রামাণ্য নথি দিতে বলেন মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ১৭ অগাস্ট দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার পরের সাতদিনের মধ্যে রাহুলকে হলফনামা জমা দিতে বলেন। মামলাকারী সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জমা করা নিজের আবেদনে জানান, ভোটপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হোক। সেই আবেদনও শুনতে রাজি হয়নি দেশের শীর্ষ আদালত।

    রাহুলের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে রাহুল বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল আসনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে একহাত নেন। তাঁর দাবি, ভোটে জালিয়াতি করার পাঁচটি ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। রাহুল (Rahul Gandhi) মহাদেবপুরা বিধানসভা এলাকার কংগ্রেসের তদন্তের ফলও তুলে ধরেন। এটি ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য, ওই আসনে বিজেপি ৩২ হাজার ৭০৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল (Supreme Court)।

  • Supreme Court: ‘অযথা জামিনের আবেদন ঝুলিয়ে রাখা যাবে না’, সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ‘অযথা জামিনের আবেদন ঝুলিয়ে রাখা যাবে না’, সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অযথা জামিনের আবেদন ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। অপ্রয়োজনীয়ভাবে জামিন না-দেওয়া অবিচার এবং তা অভিযুক্তের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে।’ এক মামলার (Bail Petitions) প্রেক্ষিতে শুক্রবার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একই সঙ্গে দেশের সমস্ত হাইকোর্ট এবং ট্রায়াল কোর্টকেও দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, কোনও অভিযুক্ত জামিন পাবেন কিনা, তা নির্ধারণ করতে সর্বোচ্চ দু’মাস সময় দেওয়া হবে। অন্তর্বর্তী জামিন এবং মামলার প্রথম শুনানির জন্যও এই সময়সীমা ধার্য করা হচ্ছে।

    জামিনের আবেদনে দীর্ঘসূত্রিতা (Supreme Court)

    ২০১৯ সালে বম্বে হাইকোর্টে করা হয়েছিল একটি জামিনের আবেদন। শুনানি পিছোতে পিছোতে হয়ে যায় ২০২৫। ৬ বছর পরে হাইকোর্ট অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। এই দীর্ঘসূত্রিতা এবং হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আবেদনকারী। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন এমন নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। বম্বে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট নির্দেশ বহাল রাখলেও, দীর্ঘসূত্রিতার জেরে হাইকোর্টকে ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    খর্ব করা যাবে না নাগরিকের অধিকার

    শীর্ষ আদালতের বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রেখে খর্ব করা যাবে না নাগরিকের অধিকার। এই প্রেক্ষিতে বম্বে হাইকোর্টকে আক্রমণ শানায় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, ‘ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সম্পর্কিত আবেদনগুলি বছরের পর বছর মুলতুবি রাখা যায় না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিচ্ছে, জামিনের মামলা হোক বা অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সে সব শুনতে হবে। কারণ শুনানির জন্য দীর্ঘ মেয়াদি অপেক্ষা কেবল ওই মামলার গতি রোধ করে না, বিচারব্যবস্থার পক্ষেও তা হতাশাজনক। এভাবে সংবিধানের ১৪ (সমতার অধিকার) এবং ২১ (জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার) ধারা খর্ব করা যায় না।’ এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে আদালতগুলিকে। তবে আবেদনকারী বা মামলাকারী কোনওভাবে দেরি করলে সেটা আলাদা বিষয়।

    এদিনের পর্যবেক্ষণে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) মন্তব্য, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সম্পর্কিত আবেদনগুলি বছরের পর বছর মুলতুবি রাখা যায় না। এর ফলে শুধু বিচারপ্রক্রিয়ার গতি ব্যাহত হয় না, বরং নাগরিকের মৌলক অধিকারও খর্ব হয়। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় দেশের বিচার ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে। বহু অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে জামিনের (Bail Petitions) অপেক্ষায় থাকেন। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ কার্যকর হলে তাঁদের অধিকার রক্ষিত হবে, গতি আসবে বিচার প্রক্রিয়ায় (Supreme Court)।

  • Assam Govt: ১ লাখ ৬৮ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি! অসমে শুরু হয়ে গেল অনুপ্রবেশকারী বিতাড়নের কাজ

    Assam Govt: ১ লাখ ৬৮ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি! অসমে শুরু হয়ে গেল অনুপ্রবেশকারী বিতাড়নের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মঙ্গলবারই। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু অসমে শুরু হয়ে গেল অবৈধ অনুপ্রবেশকারী (Declared Foreigners) বিতাড়নের কাজ। অসমের (Assam Govt) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার শুরু করেছে ১ লাখ ৬৮ হাজার বাংলাদেশিকে, যাদের ট্রাইব্যুনাল অবৈধ অভিবাসী ঘোষণা করেছে, শনাক্ত করার প্রক্রিয়া। এই ঘোষিত বিদেশিদের প্রায় ৯০ শতাংশই এই মুহূর্তে নিখোঁজ। বহু শুনানির পর অসমে বসবাসকারী এই অনুপ্রবেশকারীদের বিদেশি ঘোষণা করেছিল ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু অধিকাংশই আদালতের রায়ের পর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবার কেউ কেউ হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও আপিল করেছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (Assam Govt)

    প্রসঙ্গত, ৯ সেপ্টেম্বর অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “নয়া ‘অসম অভিবাসী নির্বাসন বিধিমালা, ১৯৫০’-এর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী, রাজ্য সরকার নির্বাসনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করবে।” তিনি বলেছিলেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত ৩০হাজার ১২৬ জন বিদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছি। কিন্তু নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর প্রণয়ন হলে সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার ট্রাইব্যুনাল দ্বারা ঘোষিত ১ লাখ ৬৮ হাজার বিদেশিকে নির্বাসিত করতে পারবে। যাঁরা আদালতে মামলা করেছেন কিংবা যেসব মামলায় স্থগিতাদেশ রয়েছে, তাঁদের ছাড়া। এই মামলাগুলি আর ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে না। বরং সন্দেহভাজন ব্যক্তি তাঁর নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য জেলাশাসকের সামনে ১০ দিনের মধ্যে হাজির হবেন। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে জেলাশাসক নির্বাসনের নির্দেশ জারি করবেন।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়

    উল্লেখ্য যে, যখন সুপ্রিম কোর্ট ২০০৫ সালে সর্বানন্দ সোনোয়াল বনাম ভারত সরকার মামলায় বিতর্কিত আইএমডিটি (অবৈধ অভিবাসী নির্ধারণ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আইন) বাতিল করে, তখন কংগ্রেস সরকার অসমে অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে বিদেশি ট্রাইব্যুনাল ব্যবস্থা চালু করে। এটি প্রক্রিয়াটিকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে (Assam Govt)। সম্প্রতি এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রাজ্য সরকার অসম থেকে অভিবাসী নির্বাসন আইন, ১৯৫০ প্রয়োগ করে (Declared Foreigners) শনাক্ত হওয়া অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য থেকে বিতাড়িত করতে পারে। হিমন্ত বলেন, “এখন এটি দেশের আইন। কারণ এটি সুপ্রিম কোর্টের সংবিধানিক বেঞ্চ দ্বারা অনুমোদিত এবং রাজ্য সরকার এই আইন অনুযায়ীই কাজ করবে।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, অসমে বসবাসকারী বাঙালি হিন্দু জনগণ আত্মবিশ্বাসী কারণ তাঁদের অধিকাংশই ১৯৭১ সালের আগে এ রাজ্যে এসেছেন। শুধুমাত্র ১২ জন বাঙালি হিন্দু অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। তাই অসমে এই আইনের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই (Assam Govt)।

  • Supreme Court: ‘আধার কার্ড নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ হতে পারে না’, ফের জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ‘আধার কার্ড নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ হতে পারে না’, ফের জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার (AADHAAR) কার্ড নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ হতে পারে না। নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়ার দাবি তুলেছিল বিহারের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ওই দাবি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “আইন অনুসারে আধারের মর্যাদা নির্ধারিত হয়েছে। সেই মর্যাদা বাড়ানো সম্ভব নয়।”

    ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য (Supreme Court)

    সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) সংক্রান্ত মামলায় এর আগে জানিয়েছিল, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অন্য নথির সঙ্গে আধার কার্ডকেও পরিচয়পত্র হিসেবে গণ্য করা হতে পারে। সোমবারের শুনানিতে তা আরও স্পষ্ট করে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যাচাইয়ের জন্য অনেক নথির মধ্যে আধারও একটি নথি হতে পারে। আধার আইনের ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, আধার নম্বর বা অথেনটিকেশন ধারকের নাগরিকত্ব বা বাসস্থানের প্রমাণ হবে না। ২০১৮ সালেও সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ পুত্তস্বামী মামলায় জানিয়েছিল, “আধার নম্বর কারও নাগরিকত্বের অধিকার অধিষ্ঠিত করতে পারে না।”

    বিরোধী দলগুলির দাবি

    এসআইআর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিহারের বিরোধী দলগুলির আইনজীবীরা একাধিকবার শুনানির সময় সওয়াল করেছিলেন এই বলে যে, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য একমাত্র আধারকেই প্রমাণ হিসেবে ধরা হোক। এ প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “আধারে এত জোর দেওয়া হচ্ছে কেন নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ আধার – আমরা কখনওই সেই নির্দেশ দেব না।” নির্বাচন কমিশনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সওয়াল করেন রাকেশ দ্বিবেদী। সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আধারকে (AADHAAR) প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তার কারণ বিহারের কয়েকটি জেলায় আধার কার্ড রয়েছে ১৪০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করা হয়েছে, বহু বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা অবৈধভাবে এ দেশে প্রবেশ করে আধার কার্ড বানিয়েছে কিছু রাজ্যে।

    ৬৫ লাখ লোকের নাম বাদ

    প্রসঙ্গত, বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লাখ লোকের নাম বাদ যাওয়া নিয়ে মামলা শুনছে শীর্ষ আদালত। এর আগে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন ভোটাররা। তালিকায় বাদ পড়া ভোটারদের অভিযোগ জানানোর সময়সীমা বৃদ্ধি করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল বিহারের বিরোধী দলগুলি (Supreme Court)। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেই শুনানি হয় সেই মামলার। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লাখ নাম বাদ গিয়েছে (AADHAAR)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকলেও, আধারকে পরিচয়ের একমাত্র প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে না (Supreme Court)।”

  • Supreme Court: “দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেই ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: “দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেই ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একজনও দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলে ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে (SSC)।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অযোগ্যদেরও পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসএসসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তার জেরেই এদিন কমিশনকে ভর্ৎসনা করে দেশের শীর্ষ আদালত। এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, “যদি অভিযোগকারীর আইনজীবী প্রমাণ করতে পারেন যে আবারও অযোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে, তাহলে আপনাদের কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে।”

    প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছিল (Supreme Court)

    এর পরেই তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে অযোগ্য (এঁরাই তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাকে টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছিলেন বলে অভিযোগ।) প্রার্থীদের তালিকা রয়েছে। আপনারা যদি ওই প্রার্থীদের ছাড় দেন, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে।” বিচারপতির প্রশ্ন, “অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য কেন হাইকোর্টে গিয়েছে এসএসসি? যদি না কিছু মন্ত্রী চান যে ওই প্রার্থীরা থাকুন, তাহলে কোনও যুক্তিই এর জন্য যথেষ্ট নয়।” শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছিল, কারণ কিছু মন্ত্রী চেয়েছিলেন তাঁদের প্রার্থীরা থাকুক। ত্রুটিপূর্ণ বাছাই প্রক্রিয়ার জন্য বোর্ড, এসএসসি এবং রাজ্য সরকার দায়ী।” বিচারপতি বলেন, “আপনাদের জন্যই যোগ্যরা চাকরি হারিয়েছেন। তাঁদের জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন। আপনারাই বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন, আর আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে, এটা কি ঠিক?” বিচারপতি বলেন, “এসএসসির কাজের ওপর কড়া নজর রাখছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ নিয়ে কারচুপি করা হলেই হস্তক্ষেপ করবে সুপ্রিম কোর্ট।”

    অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ

    এর আগের শুনানিতে বিচারপতি বলেছিলেন, “স্বচ্ছতার স্বার্থেই পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছিল। এখন দাগিরাও আবেদন করছেন, এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক।” এর পরেই এসএসসিকে (SSC) সতর্ক করে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, এটা যেন কোনওভাবেই না হয়। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন (Supreme Court)। প্রশ্ন তোলা হয়, “কেন এখনও অযোগ্যদের নাম প্রকাশ করেনি এসএসসি? কেন অযোগ্যদের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন? এর পরেই সঞ্জয় কুমারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী সাত দিনের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে অযোগ্যদের তালিকা। আদালত অবশ্য এও জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই পরীক্ষা হবে ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। এসএসসির তরফে আইনজীবী তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়, সাত দিনের মধ্যেই যাতে তালিকা প্রকাশ করা হয়, সে ব্যাপারে।

    আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সাতদিনের সময় সীমা দিয়েছে। তবে আমি আপনাদের বলতে পারি ওরা এখনও সততার সঙ্গে সেই লিস্ট পাবলিশড করবে না। কারণ ওরা জানে, যাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, তাঁদের (SSC) নাম প্রকাশ্যে এলে ঘোর বিপদ। তাই কোনও কাজই ওরা সততার সঙ্গে করবে না (Supreme Court)।”

  • Mumbai Train Blasts Case: ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস ১২ জনই, সুপ্রিম কোর্টে গেল মহারাষ্ট্র সরকার

    Mumbai Train Blasts Case: ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস ১২ জনই, সুপ্রিম কোর্টে গেল মহারাষ্ট্র সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৬ সালের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় (Mumbai Train Blasts Case) অভিযুক্ত ১২ জনকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট। ২১ জুলাই ওই রায় দেয় বোম্বে হাইকোর্ট। উচ্চতর আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধেই এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত পশ্চিম রেলওয়ের উপনগর ট্রেনে সাতটি আরডিএক্স বোঝাই বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন ১৮৯ জন। জখম হয়েছিলেন ৮০০-র বেশি মানুষ। ওই মামলায় অভিযুক্ত ১২ জনকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট।

    মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ৫জনকে (Mumbai Train Blasts Case)

    অথচ, ২০১৫ সালে বিশেষ মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ৫জনকে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ৭জনকে। প্রায় এক দশক ধরে তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর পরিকল্পিত ওই জঙ্গি হামলায় অভিযুক্তদের ভূমিকা খতিয়ে দেখে ওই রায় দেয় নিম্ন আদালত। সেই মামলাই যখন বোম্বে হাইকোর্টে উঠল, তখন বেকসুর খালাস পেয়ে গেল অভিযুক্ত ১২ জনই। ২১ জুলাই হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, যুক্তিযুক্ত সন্দেহের ঊর্ধ্বে গিয়ে দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে প্রসিকিউশন। তারা জানিয়েছে, মামলায় নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাব ছিল এবং এটিএসের তদন্তে ছিল পদ্ধতিগত ত্রুটি।

    সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য

    ২২ জুলাই, মঙ্গলবার (Mumbai Train Blasts Case) সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে তুলে ধরেন। জরুরি শুনানির আবেদন জানান স্পেশাল লিভ পিটিশনের। তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রস্তুত রয়েছে। দয়া করে আগামিকালই তালিকাভুক্ত করুন। এটি জরুরি।” সলিসিটর জেনারেলের সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে এই আবদেনের শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

    প্রসঙ্গত, এর আগে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেছিলেন, “বোম্বে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তা আমাদের কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব (Maharashtra)। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হবে সুপ্রিম কোর্টে।” তার পরেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মহারাষ্ট্র সরকার (Mumbai Train Blasts Case)।

  • Bihar Electoral Rolls: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস,” সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন

    Bihar Electoral Rolls: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস,” সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস, সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রও ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।” বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Electoral Rolls) আগে তালিকা সংশোধনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) সাফ জানিয়ে দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের মতে, সেই কারণে এই সব নথি ভোটার তালিকায় নাম থাকার জন্য বাধ্যতামূলক প্রমাণ হতে পারে না।

    নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার আছে কমিশনের (Bihar Electoral Rolls)

    শীর্ষ আদালতকে নির্বাচন কমিশন এও জানিয়েছে, বিহারের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার ও কর্তৃত্ব তাদের আছে। একগুচ্ছ আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের তলব করা প্রতি-হলফনামায় একথা জানিয়েছে কমিশন। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে কমিশন নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছে। তার জবাবে কমিশন বলেছে, একমাত্র ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন এবং তা দেখা, পর্যালোচনার একমাত্র বিধিবদ্ধ দায়বদ্ধতা রয়েছে কমিশনেরই।

    ভোটার তালিকায় নাম থাকার ন্যূনতম যোগ্যতা

    কমিশন দেশের শীর্ষ আদালতকে এও জানিয়েছে, দেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকার (Bihar Electoral Rolls) ন্যূনতম যোগ্যতা হচ্ছে তাঁকে ভারতের নাগরিক হতে হবে। যে কারণে কমিশনের কর্তব্য ও দায়িত্ব হল, সেই শর্ত পূরণ হচ্ছে কিনা, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করা। ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে বহু নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের জবাবে কমিশন আদালতকে জানিয়েছে, ভোটার রেজিস্ট্রেশন অফিসার যখন দেখছেন কোনও ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকার কোনও যোগ্যতা নেই, তখনই তাঁদের নাম বাদ যাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে বৈষম্যের যে অভিযোগ উঠছে, তার কোনও ভিত্তিই নেই।

    দেশের শীর্ষ আদালতে কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হল ভারতের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। এই কাজের জন্য নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ মোতাবেক তাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে। ভোটার কার্ড সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “সচিত্র পরিচয়পত্র তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, কেবলমাত্র ভোটার তালিকার বর্তমান অবস্থা প্রতিফলিত করে এবং এটি নিজে থেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আগের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে না।”

    কমিশনের সওয়াল শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট এই (Supreme Court) মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ২৮ জুলাই (Bihar Electoral Rolls)।

  • Devendra Fadnavis: “প্রতারণার মাধ্যমে তফশিলি জাতির শংসাপত্র পেলে তা বাতিল করা হবে,” সাফ জানালেন ফড়নবীশ

    Devendra Fadnavis: “প্রতারণার মাধ্যমে তফশিলি জাতির শংসাপত্র পেলে তা বাতিল করা হবে,” সাফ জানালেন ফড়নবীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দু, বৌদ্ধ অথবা শিখ ধর্ম ছাড়া অন্য কোনও ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি প্রতারণার মাধ্যমে তফশিলি জাতির শংসাপত্র পেয়ে থাকেন, তবে তা বাতিল করে দেওয়া হবে।” আইন পরিষদে এমনই মন্তব্য করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis)। তিনি বলেন, “এমনকি কেউ যদি এই জাল শংসাপত্রের ভিত্তিতে সরকারি চাকরির মতো ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যদি এই ধরনের ভুয়ো তফশিলি জাতির শংসাপত্র ব্যবহার করে কোনও নির্বাচনে জিতে থাকেন, তাহলে তাঁর সেই জয়ও বাতিল বলে গণ্য করা হবে।” মনোযোগ আকর্ষণের মোশনের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকার জোরপূর্বক ও প্রতারণার মাধ্যমে ধর্মান্তরের ঘটনাগুলির মোকাবিলায় কঠোর আইন আনার পরিকল্পনা করছে (Supreme Court)।”

    ধর্মীয় স্বাধীনতার অপব্যবহার (Devendra Fadnavis)

    প্রসঙ্গত, বিজেপির অমিত গোরখে দাবি করেছিলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হচ্ছে “ক্রিপ্টো খ্রিস্টান”দের দিয়ে। তাঁর কথায়, “কিছু মানুষ তফশিলি জাতি শ্রেণির অধীনে সংরক্ষণের সুবিধা নিচ্ছেন, অথচ তাঁরা অন্য ধর্মের অনুসারী।” প্রসঙ্গত, “ক্রিপ্টো খ্রিস্টান” বলতে বোঝানো হয় এমন লোকদের, যাঁরা বাইরে থেকে অন্য কোনও ধর্মের অনুসারী বলে পরিচিত, কিন্তু গোপনে খ্রিস্টান ধর্ম পালন করেন। তিনি বলেন, “বাইরে থেকে দেখতে গেলে তাঁরা এসসি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত এবং সেই হিসেবে তাঁরা সরকারি চাকরির মতো ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করেন।”

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উল্লেখ

    ফড়নবীস বলেন, “২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছিল। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে তফশিলি জাতিভুক্ত (SC) সংরক্ষণের সুবিধা পেতে পারেন কেবলমাত্র হিন্দু, বৌদ্ধ ও শিখ ধর্মাবলম্বীরাই। অন্য কোনও ধর্মাবলম্বী এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।” তিনি বলেন, “যদি হিন্দু, বৌদ্ধ বা শিখ ছাড়া অন্য কোনও ধর্মের কেউ তফশিলিভুক্ত জাতির শংসাপত্র বা সংরক্ষণ সুবিধা নিয়ে থাকেন, তাহলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাঁদের বৈধ শংসাপত্র ও জাতি শংসাপত্র বাতিল করা হবে। কেউ যদি এই মিথ্যা শংসাপত্র ব্যবহার করে সরকারি চাকরির সুবিধাও পেয়ে থাকেন, তাহলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে (Devendra Fadnavis)।”

    ভুয়ো জাতি শংসাপত্র

    তিনি বলেন, “যাঁরা ভুয়ো জাতি শংসাপত্র ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকেও সেই অর্থ ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।” বিজেপি নেত্রী চিত্রা ওয়াঘ বলেন, “এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে স্বামীর ধর্ম গোপন করে নারীদের প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করা হয়েছে।” সাঙ্গলির একটি ঘটনার উল্লেখ করেন তিনি বলেন, “সেখানে এক নারী এমন একটি পরিবারে বিয়ে করেছেন যাঁরা গোপনে খ্রিস্টধর্ম পালন করত। ওই নারীকে নির্যাতন করা হয় এবং ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়। যার ফলে সাত মাসের গর্ভাবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর (Supreme Court)।”

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একজন ব্যক্তি যে কোনও ধর্ম অনুসরণ করতে পারেন। তিনি অন্য কাউকে সম্মতির ভিত্তিতে ধর্মান্তরিতও করতে পারেন, তবে বলপ্রয়োগ, প্রতারণা বা প্রলোভনের মাধ্যমে ধর্মান্তর করার অনুমতি আইন আমাদের দেয়নি।” তিনি বলেন, “ধর্মান্তরের জন্য জোরজবরদস্তি বা প্রলোভনের অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, এই ধরনের ঘটনার মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার পুলিশের ডিজিপি-র নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সরকার সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে এবং এমন নতুন আইন আনবে, যাতে জোর করে বা প্রতারণার মাধ্যমে ধর্মান্তর করা না হয় (Devendra Fadnavis)।

    ফড়নবীশের বক্তব্য

    ফড়নবীশ বলেন, “এই ধরনের ঘটনায় ‘ভারতীয় বিচার সংহিতা’-র আওতায় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। তবে কঠোর আইন প্রস্তাবের জন্যই একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। রাজ্য সরকার এরকম ঘটনাগুলির মোকাবিলায় কঠোর আইন আনতে চায় এবং আমরা এই বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেব।” প্রসঙ্গত, সোমবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ ভোয়ার বলেছিলেন, “আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্য সরকার একটি ধর্মান্তর-বিরোধী আইন আনবে, যা অন্যান্য রাজ্যের অনুরূপ আইনগুলির চেয়ে কঠোর হবে।” বিজেপি বিধায়ক প্রবীণ দারেকারের দাবি, দরিদ্র বস্তি ও অনুন্নত এলাকায় মানুষকে গোপনে ধর্মান্তরিত করার প্রচার চালানো হচ্ছে (Supreme Court)। মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন, এই ধরনের ঘটনা বস্তিতে ঘটে থাকে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, সম্মতির ভিত্তিতে ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কোনও ইচ্ছেই নেই (Devendra Fadnavis)।

LinkedIn
Share