Tag: sir

  • SIR: মমতা সরকারের আবেদন খারিজ, সোদপুরে শুভেন্দুর সভা-মিছিলে অনুমতি হাইকোর্টের

    SIR: মমতা সরকারের আবেদন খারিজ, সোদপুরে শুভেন্দুর সভা-মিছিলে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ অনুমতি দেয়নি কিন্তু তবুও থেমে থাকেনি বিজেপি। প্রদীপ করের মৃত্যু প্রসঙ্গে তৃণমূলের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে মিছিল করতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন করেছিল বঙ্গ বিজেপি। এবার হাইকোর্ট রাজ্য প্রশাসনের আবেদন খারিজ করে শর্ত সাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। উল্লেখ্য মৃত্যু নিয়ে কোনও রকম তদন্ত করার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ‘এই মৃত্যু আত্মহত্যা! এসআইআর (SIR) আবহে এনআরসির কারণে মানসিক ভাবে ভয় পেয়ে এই কাজ করেছেন। আর এখান থেকেই বিজেপির প্রশ্ন তদন্তের আগে মৃত্যু নিয়ে মমতা এতো নিশ্চিত কীভাবে?

    বিকেল ৩ টে থেকে সন্ধ্যে ৫ টা পর্যন্ত মিছিল (SIR)

    সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলার (Calcutta High Court) শুনানি হয়। বিজেপিকে অনুমতি দিয়ে বিচারপতির নির্দেশ, বিকেল ৩টে থেকে সন্ধ্যে ৫টা পর্যন্ত মিছিল করতে পারবে। মিছিলের শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে পারবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১০০০ লোক নিয়ে মিছিল করা যাবে। তবে আয়োজকদের নিশ্চিত করতে হবে স্থানীয়দের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়। মানুষের ভোগান্তী যেন না হয়। পুলিশকে আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে কড়া নজরদাড়ি রাখতে হবে। মিছিল সোদপুর থেকে আগরপাড়া তেঁতুলতলা বাস স্টপ পর্যন্ত করতে হবে।

    ২০০২ সালে প্রদীপ করের নাম রয়েছে

    রাজ্যে এসআইআর (SIR) আবহে সোদপুরের প্রদীপ করের মৃত্যুকে এনআরসি আতঙ্ক বলে চিহ্নিত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবার তৃণমূলের পক্ষেই পুলিশ তথ্য দিয়ে বলেছে, দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়ায় নোটেও সেরকমই লেখা রয়েছে। যদিও সেই নোটের হাতের লেখা নিয়ে হাজারও সংশয় রয়েছে। ইতিমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক টিম। তবে বিজেপির বক্তব্য, মৃত প্রদীপ বাবুর হাতের চারটি আঙ্গুল নেই। উপরন্তু তিনি তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি কীভাবে আত্মহত্যার নোট লিখবেন? ফলে এটা কী হত্যা নাকি আত্মহত্যা, এই নিয়ে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে। বিজেপির সাফ কথা পুলিশের করা কেস সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা।

    তবে এই প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “যেখানে ২০০২ সালে প্রদীপ করের নাম রয়েছে, তিনি কেন আত্মঘাতী হবেন।” পাল্টা বিজেপির দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। ফলে ঘটনার অপপ্রচার এবং আসল মৃত্যুর কারণ জানতে রাস্তায় নামতে চলেছে বিজেপি। তৃণমূলের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বিজেপি সোদপুর থেকে আগরপাড়া পর্যন্ত মিছিল করবে।

  • Suvendu Adhikari: “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে, এখন সাপ বেরোচ্ছে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে, এখন সাপ বেরোচ্ছে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় নিবিড় সমীক্ষা (SIR) ঘোষণার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়তে শুরু করেছে। অবৈধ বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ৪ নভেম্বর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর-এর কাজ শুরু হবে। তাই অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে পালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি তোপ দেগে বলেন, “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে। এখন সাপ বেরোচ্ছে।”

    বাংলাদেশি মুসলমানদের ডিপোর্ট করবে বিএসএফ (Suvendu Adhikari)

    ৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিএলওরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নিবিড় সংশোধনের কাজ শুরু করবেন। টানা তিন মাস কাজ চলবে। ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। আর তাই কাগজে কলমে ধরা পড়ার আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারত ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) স্পষ্ট কথায় বলেন, “আজকে বলছি পালাও, হাতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা রয়েছে। ৪ তারিখের আগেই পালাও। ৪ তারিখের পর যে ফর্মগুলি রিটার্ন (SIR) আসবে না, বাংলাদেশি মুসলমানদের ডিপোর্ট করবে বিএসএফ। যে রাস্তা দিয়ে এসেছেন সেই রাস্তা দিয়ে পালান। ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটার লিস্টে নাম না থাকলে রাজ্যের পুলিশও বাঁচাতে পারবে না।”

    ২০-২৫ শতাংশ মুসলিম বাংলাদেশি পালিয়েছে

    জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর (SIR) ঘোষণার করার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গত কয়েকদিনে প্রচুর বাংলাদেশি ধরা পড়েছে। আসলে সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে যাতেই এই লোকগুলি ধরা পড়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “২০-২৫ শতাংশ মুসলিম বাংলাদেশি পালিয়েছে। সীমান্ত এলাকার গ্রাম ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। নিউটাউনে কাজের লোকেগুলি নেই। গর্তে কার্বলিক দিলে সাপ বেরোয়। জাতীয় নির্বাচন কমিশন অ্যাসিড দিয়েছে। সাপগুলি এখন বেরহচ্ছে।”

    পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর নিয়ে এতো বিরোধিতা কেন? এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সারা দেশে মোট ১২টি রাজ্যে হচ্ছে। তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিন সাহেবের রাজ্যে হচ্ছে, শুধু অবিজেপি শাসিত নয়, একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যেও এইআইআর হচ্ছে। কোথাও তো কোনও আন্দোলন বা হইচই নেই। সব কিছুতেই যেন গেল গেল রব। এই রাজ্যেই কেন?”

    অপর দিকে বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “এসআইআরে গরিব লোকেরা খুব কষ্টে পড়বে, তাদের কাছে কাগজ কম আছে।” আবার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনকে বিজেপি ব্যবহার করছে।” তবে নরমেগরমে ভোটের আগেই এসআইআর আবহে বঙ্গরাজনীতি এখন বিরাট উত্তাল।

  • SIR: বাংলা ছেড়ে ‘দেশে’ পালাতে গিয়ে সীমান্তে ধৃত অন্তত ৪৮ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী

    SIR: বাংলা ছেড়ে ‘দেশে’ পালাতে গিয়ে সীমান্তে ধৃত অন্তত ৪৮ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআরের (SIR) ঢাকে কাঠি পড়তেই পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে বাংলাদেশে (Bangladeshis) পালানোর হিড়িক অনুপ্রবেশকারীদের! রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা এলাকায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক অন্তত ৪৮ জন অনুপ্রবেশকারী। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর ঘোষণা হতেই সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। এদিন বসিরহাট সীমান্ত থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই অনুপ্রবেশকারীদের।

    বিএসএফের বক্তব্য (SIR)

    বিএসএফের আধিকারিকরা জানান, এসআইআর প্রক্রিয়া জোর কদমে শুরু হওয়ার পর গ্রেফতার বা দেশছাড়া হওয়ার ভয়ে আগেভাগেই বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে অনুপ্রবেশকারীরা। তখনই পড়ছে ধরা। বিএসএফের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “আটক ব্যক্তিদের বেশিরভাগই কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং সংলগ্ন এলাকায় গৃহকর্মী, শ্রমিক এবং ক্ষুদ্র পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সময় পরিচয় ধরা পড়ে যাবে, এই ভয়ে তারা গোপনে সীমান্তে পেরোতে চেয়েছিল।”

    সীমান্তে চলছে গ্রেফতারি

    রবিবার বিএসএফ মোট ৩৩ জনকে আটক করে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেয়। শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরও ১৫জনকে। আদালতে তোলা হলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় তাদের। জানা গিয়েছে, গত তিন দিনে ওই এলাকায় প্রায় ৯০ জন বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাকিমপুরে আরও ৪৫ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছে ১১টি শিশু এবং ১৫ জন নারীও (SIR)।

    বাসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান জানান, রাতে টহল দেওয়ার সময় বিএসএফ তাদের আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে। তিনি বলেন, “তারা কলকাতা ও রাজারহাটে কাজ করছিল। অনুমোদনহীন পথে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।” তাদেরও ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। এসব ঘটনার পর থেকেই ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে টহলদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। এসআইআর প্রক্রিয়ার সময় কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে বা অবৈধভাবে (Bangladeshis) সীমান্ত পার হতে না পারে, তাই নিরাপত্তা সংস্থাগুলি স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে নজরদারি জোরদার করেছে বলেই খবর (SIR)।

  • New Website of EC: চালু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নতুন ওয়েবসাইট, মিলবে ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা

    New Website of EC: চালু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নতুন ওয়েবসাইট, মিলবে ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে একযোগে বাংলাতেও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে এসআইআর। শোরগোল চলছে ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট নিয়ে। যদিও সূত্রের খবর, ওই বছরের ভোটার লিস্টের সঙ্গে সাম্প্রতিক ভোটার লিস্টের ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের পুরনো ওয়েবসাইটও বাতিল হয়ে গিয়েছে। পরিবর্তে চালু হয়েছে নতুন ওয়েবসাইট (New Website of EC)। এই ওয়েবসাইটেই মিলবে ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা।

    কেন চালু হল নয়া ওয়েবসাইট

    গত ২৭ অক্টোবর, সোমবার রাজ্যে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর-এর ঘোষণা হয়। ঘটনাচক্রে, তার পরদিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল রাজ্যের সিইও দফতরের ওয়েবসাইটটি। তা নিয়ে ক্ষোভও তৈরি হয়েছিল জনগণের মধ্যে। কারণ, বহু মানুষই ২০০২ সালের ভোটার তালিকা দেখতে চাইছিলেন, যা ওই ওয়েবসাইট থেকে পাওয়ার কথা ছিল। সেই ওয়েবসাইট অকেজো হয়ে পড়ায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে নতুন ওয়েবসাইট চালু করল সিইও দফতর। ওয়েবসাইটটির নাম— https://ceowestbengal.wb.gov.in/ । সিইও দফতর সূত্রে খবর, এই ওয়েবসাইট থেকেই ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এসআইআর সংক্রান্ত কাজকর্মও হবে এই ওয়েবসাইটে।

    কী ভাবে খুঁজবেন ভোটার তালিকা

    উল্লিখিত ওয়েবসাইটে (New Website of EC) ক্লিক করলেই যে পাতাটি আপনার মোবাইল, কম্পিউটার বা ডিজিটাল স্ক্রিনে খুলবে, সেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলার নাম লেখা থাকবে। আপনি বা আপনার বাবা-মা ২৩ বছর আগে যে জেলার ভোটার ছিলেন, প্রথমে সেই জেলার নামে ক্লিক করতে হবে। তখন খুলে যাবে সংশ্লিষ্ট জেলার বিধানসভাগুলির নাম। তখন আপনি যে বিধানসভা এলাকার ভোটার ছিলেন, সেই বিধানসভা কেন্দ্রের নামে ক্লিক করলে খুলে যাবে ভোটকেন্দ্রের (পোলিং স্টেশন) নাম। ‘স্ক্রল’ করে সেই কেন্দ্রের নামে ক্লিক করলেই আপনি দেখতে পাবেন ভোটার তালিকা।

    কী সমস্যা হতে পারে

    কমিশন সূত্রে খবর, একটি বিষয়ে সমস্যা হতে পারে। অনেক জায়গায় একটি ভোটকেন্দ্রে একাধিক বুথ থাকে। অর্থাৎ, একটি বড় স্কুলে উপরতলা, নীচের তলা মিলিয়ে চারটি-পাঁচটিও বুথ হয়। ২৩ বছর আগের বুথ বা পার্ট নম্বর স্মরণে থাকলে আপনি এক বারেই সেই তালিকা পেতে পারেন। একান্তই মনে না থাকলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সবকটি কক্ষের তালিকাই মিলিয়ে দেখতে হবে।

    পাশে রয়েছে কমিশন

    এসআইআর (SIR) নিয়ে যতরকম জটিলতা তৈরি করা সম্ভব তার চেষ্টা করে যাচ্ছে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস। মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা চলছে জোর কদমে। সোশাল মিডিয়া পোস্টে যে যার মতো ভাসিয়ে দিচ্ছে মিথ্যে। লক্ষ্য একটাই রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করা। কিন্তু এসআইআর নিয়ে সবরকম জটিলতা কাটাতে মানুষের পাশে আছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এসআইআরের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন বিএলও-রা। এই কাজটি শুরু হবে ৪-নভেম্বর, চলবে এক মাস, অর্থাৎ ৪-ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথমেই দেখা হবে ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে কিনা। বিএলও-রা রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে যাবেন। যে বাড়ির ঠিকানা আছে, সেখানেও যাবেন, যে বাড়ির ঠিকানা নেই, সেখানেও যাবেন। অর্থাৎ যেখানেই মানুষ বাস করেন, সেখানেই যাবেন। কেউ বাদ যাবে না। এনুমারেশন ফর্ম ভর্তি করবেন। সেখানে লেখা হবে প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের বয়স, নাম, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য। তার জন্য যাঁরা ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট দেখতে চান, কমিশনের নতুন ওয়েবসাইটে গিয়ে সহজেই তা করতে পারবেন।

  • SIR: নির্বাচন কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ, ১২ রাজ্যে ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনায় ২০০৩-০৪ সালের তালিকাই ‘মূল ভিত্তি’

    SIR: নির্বাচন কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ, ১২ রাজ্যে ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনায় ২০০৩-০৪ সালের তালিকাই ‘মূল ভিত্তি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে জুড়ে শুরু হয়েছে এসআইআর। ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়া চলছে ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, যার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য—উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও গুজরাট। এই প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ২৭ অক্টোবর রাত ১২টার পর। শুরু হতে চলেছে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটার তথ্য যাচাইয়ের অভিযান। ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে চূড়ান্ত সংশোধিত তালিকা প্রকাশের লক্ষ্য নিয়েছে কমিশন। এই উদ্যোগের সবচেয়ে আলোচিত দিক হলো, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত—২০০৩-০৪ সালের ভোটার তালিকাকে “বেসলাইন” বা মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা।

    কেন ২০০৩-০৪ সালকে ভিত্তি ধরা হলো?

    কমিশনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ২০০২-০৩ ও ২০০৩-০৪ সালে দেশব্যাপী শেষবারের মতো একটি ব্যাপক ভোটার যাচাই অভিযান হয়েছিল, যখন প্রথমবার ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরিত হয়। সেই সময়কার ডেটা কমিশনের মতে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও যাচাইযোগ্য নথি। এক কমিশন কর্মকর্তা বলেন, “২০০৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ অভিবাসন, নগরায়ণ ও জনবিন্যাসের ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে পুরনো তালিকার সঙ্গে তুলনা করলেই বোঝা যাবে কোথায় দ্বৈত নাম, মুছে যাওয়া ভোটার বা জনসংখ্যাগত অস্বাভাবিকতা রয়েছে।” তবে কমিশন স্পষ্ট করেছে—২০০৩-০৪ সালের তালিকা শুধুই তুলনামূলক রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে, কোনো নাগরিকের ভোটাধিকার নির্ধারণে এটি চূড়ান্ত ভিত্তি নয়।

    কীভাবে চলছে যাচাই প্রক্রিয়া?

    ১. বিদ্যমান তালিকা ফ্রিজ: ২৭ অক্টোবর মধ্যরাতের পর থেকে বর্তমান ভোটার তালিকায় কোনো পরিবর্তন করা যাবে না।
    ২. ঘরে ঘরে যাচাই: বুথ লেভেল অফিসার (BLO) তিন দফা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বয়স, ঠিকানা, নাগরিকত্ব ও নথিপত্র যাচাই করবেন।
    ৩. পুরনো নাম স্বয়ংক্রিয় নিশ্চিতকরণ: ২০০৩-০৪ সালের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের নতুন করে কোনো নথি দিতে হবে না।
    ৪. নতুন ভোটারদের জন্য কাগজপত্র: ২০০৪ সালের পর যাদের নাম যুক্ত হয়েছে, তাদের বয়স, অভিভাবকত্ব ও নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র দিতে হবে।
    ৫. চূড়ান্ত প্রকাশ: শুনানি ও আপত্তি নিষ্পত্তির পর ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে।

    নাগরিকত্ব বিতর্কের ছায়া

    কমিশন যদিও জানিয়েছে এই পদক্ষেপের সঙ্গে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই, তবু পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও অসমের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয়—যেমন মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা ও কিশানগঞ্জে—এই সিদ্ধান্ত নতুন করে বিতর্ক জাগিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এটি জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (NRC) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)-এর বিতর্ককে ফের উস্কে দিতে পারে। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, “২০০৩-০৪ সালে কারও নাম না থাকায় তাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে না। এটি কেবল তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ, নাগরিকত্ব যাচাইয়ের নয়।”

    উচ্চ সতর্কতায় পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু

    এই ১২ রাজ্যের মধ্যে কয়েকটি রাজ্যকে “হাই স্ক্রুটিনি জোন” হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের ২,২০০ কিমি দীর্ঘ বাংলাদেশ সীমান্ত, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের অভ্যন্তরীণ অভিবাসন, তামিলনাড়ু ও ছত্তিশগড়ের শিল্পাঞ্চলে জনবসতি পরিবর্তন—সবই এই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। কমিশন রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া বজায় রাখতে এবং ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ বা যোগ করার আগে সর্বজনীন শুনানি আয়োজন করতে।

    কমিশনের বার্তা: “এটি রাজনৈতিক নয়, প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ”

    জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো ভারতের ৯৫ কোটির বেশি ভোটারের তালিকাকে আরও নির্ভুল করা। কমিশনের আহ্বান—সব ভোটার যেন এনভিএসপি পোর্টাল বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের নাম যাচাই করেন এবং বিএলও-দের সঙ্গে সহযোগিতা করেন। কমিশন সতর্ক করেছে, নির্ধারিত সময়ে যাচাই না করলে নাম সাময়িকভাবে স্থগিত হতে পারে, তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে আপিলের সুযোগ থাকবে। যদিও নির্বাচন কমিশন বারবার বলছে এটি একটি “ডেটা ভেরিফিকেশন এক্সারসাইজ”, রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে এই পদক্ষেপের সময়কাল এবং প্রেক্ষাপট একে নতুন মাত্রা দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে যদি এই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়, তবে এটি ভবিষ্যতে দেশজুড়ে ভোটার তালিকা রক্ষণাবেক্ষণের নতুন মডেল হয়ে উঠতে পারে—এমনটাই আশা করছে নির্বাচন কমিশন।

  • Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি টেকাতে তৃণমূলের হাতিয়ার সেই এনআরসি জুজু! পানিহাটিতে প্রদীপ কর নামে এক ব্যক্তি এনআরসির ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। রাজ্যে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পানিহাটির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল মিথ্যাচার করছে বলে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্থানীয়দের একাংশেরও দাবি, অযথা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসক দল।

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ (Suvendu Adhikari)

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ খুলতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যিনি মারা গিয়েছেন বা আত্মহত্যা করেছেন, তাঁর নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। তিনি তখন ভোট দিয়েছেন। ফলে এসআইআর হলে তো তাঁর চিন্তার কিছু নেই। তাছাড়া, যে পরিবারের কথা বলা হচ্ছে, তারা তৃণমূল করে। মৃতের আত্মীয় বলতেও তেমন কেউ নেই। দেখা উচিত, সুইসাইড নোট কে লিখেছেন।” তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “ওঁরা বলেছিলেন এসআইআর হতে দেব না, ঘেরাও করা হবে। বাস্তবে দেখা গেল, এসআইআর হচ্ছে এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নামও বাদ পড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপোর রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। মমতা কালীঘাটে বাটি নিয়ে বসবেন, ভাইপো যাবেন জেলে।”

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ নিয়েও একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এক্স হ্যান্ডেলে নথি প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “ফলতার ১৭৬ নম্বর পার্টে চাঁদপালা সন্তোষপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরের ক্ষেত্রে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত দিব্যেন্দু সরকার ফলতা ব্লকের হরিণডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য।” তাঁকে বিএলওর পদ থেকে সরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বিএলওদের বিহারের কথা মনে করাব। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় ৫২ জন এখনও জেলে রয়েছেন। ভাবতে পারেন ওখানে নীতীশ কুমারের পুলিশ বলে জেলে, এখানে কিছু হবে না। কিন্তু আপনাদের জেলে পাঠাতে আমরা সবরকম বন্দোবস্ত করব। তাই বিজেপি কিংবা অন্য কোনও (SIR) পার্টির কথা না শুনে সঠিকভাবে কাজ করুন, কেবল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে (Suvendu Adhikari)।”

  • Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর (SIR) ঘোষণা করেছে এই রাজ্যে। দেশজুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ১২টি রাজ্যে রীতিমতো কাজও শুরু হয়েগিয়েছ। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা এসআইআর-এর বিরোধিতা করে কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, ‘দেখে নেবো। যেখানেই থাকেন খুঁজে বার করব।’ এবার অভিষেককে আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “কাছের আমলাদের নিয়ে তালিকা তৈরি করে কোনও লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারিতেই হবে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন।” এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অবশ্য সাফ কথা কোনও অবৈধ ভোটারদের নাম তালিকায় রাখা যাবে না। পাশাপাশি কোনও বৈধ ভোটারের নামও তালিকা থেকে বাদ যাবে না।

    ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট বানিয়েছে (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হুগলির ভদ্রেশ্বরে দক্ষিণপাড়া সারদাপল্লিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন। এরপর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এসআইআর নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেকের বিরুদ্ধে নাম না করে তোপ দাগেন। আইপ্যাক ও ভাইপো বলে সম্বোধন করেন। শুভেন্দু বলেন, “আইপ্যাক ভাইপো আর ভাইপোর কাছে আইএএস-রা ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট (SIR) বানিয়েছে। তবে কোনও লাভ হবে না। কমিশনের নজরদারি কঠিন থাকবে। আমরাও কড়া ভাবে নজর রাখব। এসআইআর কেউ আটকাতে পারবে না, এসআইআর হলেই ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত হবে।”

    ভারতীয়দের কোনও চিন্তা নেই…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এসআইআর প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আমরা বলেছিলাম এসআইআর হবে। অনুপ্রবশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না। যারা ভারতীয় নয়, তারা কেন ভারতে ভোট দেবে? এই তালিকায় কোনও ভারতীয়দের চিন্তা নেই সে যে দল করুক না কেন। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের কোনও চিন্তা নেই। একইভাবে ভারতীয় মুসলমানদেরও চিন্তার কোনও কারণ নেই। ভারতীয়দের জন্য কোনও ভয় নেই। ভাষা ও জাতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক কারণে আলাদা না হওয়ার কথা বলছি। পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ভোটারদের সংখ্যা কমছে। হিন্দুরা নিজের নিজের ধর্মপালনে সবরকম ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। আমাদের হাজার হাজার বছরের পরম্পরাকে মানতে চরম অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। হিন্দু ধর্ম-উৎসব, পালা-পার্বণে এক অশুভশক্তি বিরাট প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। স্বাধীনতার পর পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশে ৩৩ শতাংশ হিন্দু ছিল। এখন তা কমে মাত্র ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর ভারতে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৮৫ শতাংশ। ২০৩১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা হবে ৬৫ শতাংশে নেমে আসবে।”

    মা কালীকে উনি প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন…

    আবার একই দিনে দুর্গাপুরে স্বপ্ন উড়ান-এর জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হাতে ত্রিশূল নিয়ে রণংদেহী মেজাজে তৃণমূলের অপশক্তির বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “ঠিক ভাবে বাংলায় এসআইআর হলে অনেকেই প্রাক্তন হয়ে যাবে। মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন মমতা। আর ভাতা, ভিক্ষাতে তিনি চটকদারির রাজনীতি করেন। কারণ উনি জানেন, ওনার সঙ্গে সলিড ৩৫% ভোট রয়েছে। আরও ১০%-এর দিকে ভাতা ছুড়ে দেন। তাতে যা আসে। তারপর তো ছাপ্পা আছে। কিন্তু এসআইআর হলে কোনও কিছুই হবে না।”

    তবে বিহারে এসআইআর (SIR) ব্যাপক ভাবে সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন, তাই রাজ্যে যাতে জাল ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ যায় তা নিয়েই তৎপর কমিশন। মমতা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কাজে বাধা দিলে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট হয় কিনা তাই এখন দেখার।

  • SIR: বাংলা-বিহার দুই রাজ্যেরেই ভোটার ভোটকুশলী পিকে! হলটা কী ‘SIR’?

    SIR: বাংলা-বিহার দুই রাজ্যেরেই ভোটার ভোটকুশলী পিকে! হলটা কী ‘SIR’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ভোটকুশলী। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ‘কৌশল’ বেচে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে জেতানোয় তাঁর নাকি (SIR) দারুন হাতযশ! আদতে বিহারের বাসিন্দা এই প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) ওরফে পিকে-কে ২০১৪ সালে বাংলায় ডেকে নিয়ে এসেছিলেন কালীঘাটের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য তথা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। উদ্দেশ্য ছিল, বাংলায় তৃণমূলকে ভোট-বৈতরণী পার করে দেওয়া। জনশ্রুতি এই যে, পিকের সংস্থার দাওয়াইয়ের জেরেই পর পর দু’বার ক্ষমতায় এসে টানা তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে রয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ‘জন সুরাজ পার্টি’ নামে নিজে একটি দলও খুলেছেন পিকে। আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে গুচ্ছের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট-ময়দানে নেমেও পড়েছে তাঁর দল। এহেন পিকেই ফের একবার চলে এলেন খবরের শিরোনামে। না, রাতারাতি বিরাট কিছু করে ফেলেননি তিনি। তবে বাংলায় এসআইআরের ঢাকে কাঠি পড়তেই ‘মুখোশ’ খুলে পড়েছে এই ভোটকুশলীর।

    বাংলায় এসআইআর (SIR)

    ফেরা যাক খবরে। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে এসআইআর করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কেবল এ রাজ্যেই নয়, গোটা দেশেই, যে প্রক্রিয়ার নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে পড়শি রাজ্য বিহারে। সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন বাংলায় এসআইআরের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন। রাত ১২টায় ফ্রিজ করে দেওয়া হয় ভোটার তালিকা। তার পরেই দেখা গেল, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়েছে কেউটে! জানা গেল, বাংলা এবং বিহার দু’রাজ্যেরই ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে ভোটকুশলীর নাম! পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা অনুযায়ী, তিনি কলকাতার বাসিন্দা। ঠিকানা ১২১, কালীঘাট রোড। এই ঠিকানাটি আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষ কমান্ডার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর এলাকার মধ্যে পড়ে। প্রশান্ত কিশোরের নাম রয়েছে বিহারের করহাগর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায়ও। ওই রাজ্যে তাঁর ভোটকেন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কোনার। এই গ্রামই প্রশান্ত কিশোরের পৈতৃক গ্রাম।

    একই সঙ্গে দুই রাজ্যের ভোটার পিকে

    অর্থাৎ একই প্রশান্ত কিশোর একই সঙ্গে দুই রাজ্যের (SIR) ভোটার। একটি রাজ্যে লড়ছে তাঁর দল, আর একটি রাজ্যে তৃণমূলকে জেতাতে মরিয়া তাঁরই হাতে গড়া সংস্থা আই-প্যাক। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানতে চেয়েছে, প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) কি নাম কাটার জন্য আবেদন করেছিলেন? বিষয়টি ইচ্ছাকৃত কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে কমিশন। উল্লেখ্য, কোনও একজন ভোটারের একই সঙ্গে দুই জায়গার ভোটার তালিকায় নাম থাকা নিয়ম বহির্ভূত।

    পিকের টিমের বক্তব্য

    একই সঙ্গে দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম থাকার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পিকে স্বয়ং। তবে তাঁর টিমের এক সদস্য বলেন, “বঙ্গের ভোট শেষ হওয়ার পরই তিনি ভোটার হন বিহারের। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।” তবে সেই আবেদন বর্তমানে কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা স্পষ্ট নয় (SIR)। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিনোদ সিং গুঞ্জিয়াল।

    কী বলছে আইন

    প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম রাখতে পারেন না। ১৮ নম্বর ধারায়ও বলা হয়েছে, একই কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় একাধিকবার নাম তোলা আইন বিরুদ্ধ। তবে, কোনও ভোটার বাসস্থান পরিবর্তন করলে তিনি ফর্ম ৮ পূরণ করে নয়া ঠিকানার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম স্থানান্তর করতে পারেন (SIR)। নির্বাচন কমিশনের মতে, দেশে একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম থাকা নতুন কিছু নয় (Prashant Kishor)। এই কারণেই নির্বাচন কমিশন চালু করেছে এসআইআর, যার নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে বিহারে। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিহারের ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ৬৮.৬৬ লাখ নাম। এর মধ্যে ৭ লাখ ভোটারের নামই ছিল একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, “জন সুরাজের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোরের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার — দুই জায়গায়ই… আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল, রাহুল গান্ধীর সব সহযোগীরাই ‘ভোট চুরি’তে জড়িত। এই কপটতা বিস্ময়কর।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    কলকাতার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১২১, কালীঘাট রোড আমাদের দলীয় কার্যালয়। প্রশান্ত কিশোর তখন এখানে কাজ করতেন এবং প্রায়ই থাকতেন। তবে তিনি এখান থেকে ভোটার হিসেবে নাম তুলেছেন কিনা, তা জানি না (SIR)।” রাজনৈতিক মহলের মতে, কাজরি না জানলেও, বিষয়টি নিশ্চিত জানতেন তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জানতেন পিকের টিমের সদস্যরা। তাছাড়া, পার্টি অফিসের ঠিকানা (Prashant Kishor) দেখিয়ে যে কোনও ‘গৃহস্থে’র নাম (পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী এবং পার্টি অফিসই যাঁর ঘর, তাঁদের কথা অবশ্য আলাদা) ভোটার তালিকায় তোলা যায়, তা দেখিয়ে দিলেন (SIR) ভোটকুশলী স্বয়ং।

    এটাও কি ভোটকৌশলেরই অঙ্গ ‘SIR’?

  • SIR: বাংলায় শুরু এসআইআর, জেনে নিন ভোটার তালিকায় নাম রাখতে গেলে যা করতে হবে

    SIR: বাংলায় শুরু এসআইআর, জেনে নিন ভোটার তালিকায় নাম রাখতে গেলে যা করতে হবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) শুরু গিয়েছে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন, সংক্ষেপে এসআইআরের (SIR) কাজ। এই এসআইআরের চূড়ান্ত তালিকা ধরেই আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবারই বিকেলে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হবে ২৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার থেকে। এর পরেই উঠছে নানা প্রশ্ন। এসআইআর হলে কী কী নথির প্রয়োজন? কাদের নাম তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে? কারাই বা অবৈধ ভোটার?

    ‘এনুমারেশন’ ফর্ম (SIR)

    কমিশন সূত্রে খবর, এসআইআরের জন্য রাজ্যের প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে পৌঁছে যাবে ‘এনুমারেশন’ ফর্ম। ফর্ম পৌঁছে দেবেন বুথ লেভেল অফিসার, সংক্ষেপে বিএলওরা। এই ফর্মের সঙ্গেই কমিশনের বেঁধে দেওয়া নথি জমা দিতে হবে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের কোনও নথিই দিতে হবে না। ওই তালিকায় নাম থাকলেই এসআইআরে তাঁদের নাম উঠে যাবে। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি এবং ২০০২ সালের তালিকায় বাবা অথবা মায়ের নাম রয়েছে, তা প্রমাণ করতে পারলেই নাম উঠবে নয়া তালিকায়।

    যে সব নথির প্রয়োজন

    কমিশন নির্দিষ্ট যে ১১টি নথির প্রয়োজন, সেগুলি হল কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন কিংবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র, ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি, জন্মের শংসাপত্র, পাসপোর্ট, মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র, রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র, ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট, জাতিগত শংসাপত্র, কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার এবং জমি কিংবা বাড়ির দলিল। এর বাইরেও এমন কোনও নথি যা নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারে, তাও গ্রহণ করা হবে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো আধারকার্ড দেখানো গেলেও, তাকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ধরবে না কমিশন (SIR)। অর্থাৎ, আধারের পাশাপাশি উপরের ১১টির মধ্যে যে কোনও একটি দেখাতে হবে। এখনকার ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের জন্য দু’টি করে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হবে। এই ফর্মে ভোটারের এপিক (West Bengal) নম্বর, নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ-সহ ৯০ শতাংশ তথ্য ছাপা থাকবে। এই সব ফর্ম ভোটারদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন বিএলওরা। ফর্মের বাকি অংশ পূরণ করে উপযুক্ত নথি-সহ একটি দিয়ে দিতে হবে বিএলওকে, অন্যটি থাকবে ভোটারের কাছে।

    নাম বাদ যাবে

    প্রশ্ন হল, কাদের নাম বাদ যাবে? মৃত এবং ভুতুড়ে ভোটারের নাম বাদ যাবে প্রথমেই। ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে পরিবারের কারও নাম নেই এবং সংশ্লিষ্ট ভোটার ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ, তাঁর নাম বাদ যেতে পারে। যাঁরা অন্যত্র চলে গিয়েছেন কিংবা যাঁদের নাম দু’টি এপিক নম্বরে দু’জায়গায় রয়েছে, তাঁদের নাম এক জায়গা থেকে বাদ পড়বে। কারচুপি করে তালিকায় নাম তোলা ব্যক্তিরা ‘অবৈধ ভোটার’। ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারলে বাদ পড়বে এদের নামও।

    নতুন করে নাম তোলা

    প্রশ্ন হল, নতুন করে নাম তোলা যাবে কিনা? নতুন নাম অবশ্যই তোলা যাবে। যাঁদের ভোটার তালিকায় নাম নেই, তাঁদের নতুন করে ওই তালিকায় নাম তোলাতে হবে। এঁরা অবশ্য এনুমারেশন ফর্ম পাবেন না। কমিশনের ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করে নথিভুক্ত করতে (West Bengal) হবে নাম। কমিশনের আগের বেঁধে দেওয়া নিয়মেই তোলা যাবে নতুন করে নাম (SIR)।

    ভোটার লিস্ট

    প্রশ্ন হল, ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট কোথায় মিলবে? সিইও দফতরের ওয়েবসাইটে ওই লিস্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সময়কার বিধানসভা এলাকা অনুযায়ী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। এবার সেখান থেকেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্র মিলিয়ে নাম রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে পারবেন ভোটাররা। ভোটাররা প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সাহায্য নিতে পারবেন।

    প্রশিক্ষণের কাজ শুরু 

    মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণের কাজ, চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ৪ নভেম্বর থেকে পরবর্তী এক মাস ধরে চলবে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া-নেওয়ার কাজ। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। কোনও সমস্যা হলে অভিযোগ জানানো যাবে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই পর্বেই শুরু হয়ে যাবে বাড়ি বাড়ি ভেরিফিকেশনের কাজ। এই কাজ শুরু হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে, চলবে নতুন বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা (SIR)।

    ম্যাপিংয়ের কাজ

    বর্তমানে বাংলায় ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬৫ লাখ। ২০০২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৫৮ লাখ। অর্থাৎ ভোটার (West Bengal) বেড়েছে তিন কোটির কিছু বেশি। এর ওপর ভিত্তি করেই এসআইআর করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ২০০২ সালের সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। দুই তালিকায়ই যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা ম্যাপিংয়ের আওতায় আসছেন। এই অর্থ হল, এই ভোটারদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যে ভারতীয়, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত কমিশন। তাঁদের নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে কোনও নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই (SIR)।

    শেষবার এসআইআর

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে, বাম জমানায়। সেবারের সংশোধিত তালিকার (SIR) সঙ্গে রাজ্যের ভোটার তালিকার ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই এসআইআর করেই সব ভোটারের নাম নতুনভাবে নথিভুক্ত করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন এসআইআর করতেই পারে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে রাজ্য তথা দেশের ভোটার তালিকায় কোনও ভুয়ো ভোটার বা ভুতুড়ে ভোটার বা একই নামের ভোটার দু’জায়গায় রয়েছেন কিনা কিংবা তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেউ মারা গিয়েছেন কিনা – এসবই সংশোধন করার এক বিশেষ প্রক্রিয়াই হল এসআইআর।

    এসআইআরে অংশ না নিলে?

    প্রশ্ন হল, এসআইআরে অংশ না নিলে কী সমস্যা হতে পারে? জানা গিয়েছে, এসআইআর হলে ২০২৬ সালে যে নয়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন, তাতে নাম থাকবে না। স্বাভাবিকভাবেই তিনি অংশ নিতে পারবেন না ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে, তাতে নাম রাখতে গেলে অংশ নিতেই হবে এসআইআর প্রক্রিয়ায় (SIR)।

    বাদ পড়তে পারে ১ কোটি নাম

    পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হলে বাদ পড়তে পারে প্রায় এক কোটি নাম। যদিও এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য কমিশনের কাছে নেই। তবে কমিশনের আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, নয়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে কমবেশ এক কোটি নাম। তাঁদের যুক্তি, ২০০২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বছরের হিসেব ধরলে মৃত এবং অন্যত্র চলে গিয়েছেন, এমন ভোটারের সংখ্যা অন্তত ৭৫ লাখ। এর সঙ্গে গত ২৩ বছরে অবৈধ ভোটারের সংখ্যাটা যোগ করলে দেখা যাবে বাদের খাতায় (West Bengal) নামের গণ্ডী ছাড়িয়েছে কোটির ঘর। যদিও এটা নিছকই অনুমান মাত্র। কমিশনের দেওয়া তথ্য নয়।

    কমিশন সূত্রে খবর, বিএলও নিয়োগ নিয়ে কিছু অসুবিধা থাকলেও, বাকি সব প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সিইও মনোজ আগরওয়াল (SIR)।

  • SIR: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার দায়বদ্ধতার কথা জানে, পালনও করবে”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    SIR: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার দায়বদ্ধতার কথা জানে, পালনও করবে”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে এসআইআর (SIR)। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ তথা তৃণমূলের আপত্তি নিয়ে এদিন কমিশনের (Election Commission) সাংবাদিক বৈঠকেই প্রশ্ন উঠেছিল। তবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এখনই কোনও চাপানউতোর বা বিতর্কে ঢুকতে চাননি। শুধু আইনের একটি ধারার কথা মনে করিয়ে দেন।

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য (SIR)

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে প্রশ্ন নিয়ে একটা কথাই বলতে চাই – ভারতের সংবিধানের ৩২৪ (৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি বা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপাল নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী নির্বাচন কমিশনারের কাছে সরবরাহ করতে বাধ্য। এই কর্মীরা নির্বাচন পরিচালনা, ভোটার তালিকা প্রস্তুত ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত থাকেন। আবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য সরকারের। আমি মনে করি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই দায়বদ্ধতার কথা জানে, এবং তা পালন করবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এসআইআর প্রক্রিয়া বাংলায় শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে নীতিগতভাবে আপত্তি জানাচ্ছে বাংলায় শাসক দল তৃণমূল। জোড়াফুলের সাংসদদের একাংশ এবং তৃণমূলের কিছু নেতাও এসআইআর নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত। বিজেপির প্রভাবে কোনওভাবে প্রভাবিত হয়ে যদি কোনও বৈধ ভোটারকে বাদ দিতে চান, তখন সাংবিধানিকভাবে তার প্রতিবাদ হবে।”

    কুণালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে (SIR) বিজেপির মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল এখন যে কথা বলছে, তাতে একটা কথাই বলতে পারি, এসআইআর নিয়েও পাল্টি খেল তৃণমূল। গতকাল পর্যন্ত তৃণমূলের অবস্থান ছিল, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর করতে দেব না। আর আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের ঘোষণার পর তৃণমূল বলছে, এসআইআর নিয়ে বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না। তার মানে আইন মেনে এসআইআরে অংশ নিচ্ছে। বিজেপি কোনওদিন এসআইআর নিয়ে প্ররোচনা দেয়নি (Election Commission)। বিজেপি বলেছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, অবৈধ ভোটারের নাম বাদ দিতে হবে (SIR)।”

LinkedIn
Share