Tag: ssc scam

ssc scam

  • Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকায় ফের ‘অসন্তুষ্ট’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকায় ফের ‘অসন্তুষ্ট’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর কাজ নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় তিনি প্রশ্ন করেছেন যে, ‘সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী অনুপস্থিত কেন?’ বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই মামলাগুলো সিবিআইয়ের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। আইনজীবীর অনুপস্থিতি সন্তোষজনক পরিস্থিতি নয়।”

    সিবিআই-এর কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    গত ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলার শুনানির সময়ে হাজির ছিলেন না সিবিআইয়ের আইনজীবী। শীর্ষ আদালতের নির্দেশনামায় সিবিআইয়ের আইনজীবীর অনুপস্থিতির কথা নথিবদ্ধ রয়েছে। বুধবার তা দেখেই অসন্তুষ্ট হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এতেই সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    এর পরেই আইজীবীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)। আর এর উত্তরে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, ওই দিন আদালতে ২৬ পাতার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যদিও পরে বিচারপতি এও বলেন যে, সেই রিপোর্টেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। রিপোর্ট অসম্পূর্ণ বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে এদিন এই রিপোর্ট নিয়েও বিচারপতি সিবিআই-কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে ৬ ডিসেম্বর।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটে সুযোগ পাবেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও, জানাল হাইকোর্ট

    এরপরে বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) কটাক্ষের সুরে সিবিআই-কে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন যে, এই মামলাগুলি হাইকোর্টের সিঙ্গল, ডিভিশন বেঞ্চ পেরিয়ে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে। তাছাড়া রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে তদন্ত হচ্ছে। এই বিষয়গুলির কথা মাথায় রেখে বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) বলেছেন, এই মামলাগুলির একটা অন্য গুরুত্ব আছে। সেই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সিবিআই-এর।

    এই প্রথম নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকায় বারবার প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এমনকি নিজের তৈরি করা সিট ভেঙে নতুন সিট গঠন করেছেন তিনি। বদলে দিয়েছিলেন সিটের প্রধানকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Partha Chatterjee: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    Partha Chatterjee: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ফের আদালতে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হল পার্থ-অর্পিতাকে (Partha Chatterjee)। আদালতে জামিনের আর্জি জানাননি পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী। জামিনের আবেদনের রায়দান রিজার্ভে রেখেছে আদালত। আদালতে পার্থর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে ইডি। ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক বেসরকারি ল কলেজ এবং ফার্মা কলেজের অনুমোদন দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কোটি কোটি টাকা কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিশ জানতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখা জরুরি বলেও দাবি করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন একাধিক সাক্ষীকে জেরা করে তাঁরা আরও দুর্নীতির তথ্য পেয়েছেন। সেই সব দুর্নীতির হদিশ পেতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রেখে তাঁরা জেরা করতে চান বলে জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ইজরায়েলি ছবি নির্মাতা নাদাভ লাপিডের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা

    ইডির দাবি 

    পার্থ (Partha Chatterjee) ও অর্পিতার নামে মোট ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইডির তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “পার্থ ও তাঁর সহযোগীর ৪৮.২২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আগেই অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট থেকে মোট ৪৯.৮০ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া সোনাদানার বাজারমূল্য ৫.০৮ কোটি টাকারও বেশি। সব মিলিয়ে মোট ১০৩.১০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে ৭ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। 

    ইডি সূত্রে আরও জানানো হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, পার্থ-অর্পিতার (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪,৬৩০টি নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই নথি সিবিআই- এর বিশেষ আদালতে পেশও করা হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর পার্থর আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ওইদু’জনের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করা হলেও মামলার তদন্তে উঠে আসা কোনও নথিই অভিযুক্তদের দেওয়া হয়নি তদন্তে উঠে আসা নথি অভিযুক্তদের হাতে দেওয়া হয়নি। সমস্ত নথি জমা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন আইনজীবীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
      

  • Recruitment Scam: ‘প্রভাবশালীদের হাত ধরে নিয়োগ?’ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি চাকরি হারানো কর্মীরা

    Recruitment Scam: ‘প্রভাবশালীদের হাত ধরে নিয়োগ?’ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি চাকরি হারানো কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআই-এর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন এসএসসি-র গ্রুপ ডি-র ৫০ জন কর্মী। সিবিআই- এর তরফে এদের তলব করা হলে তাঁরা আজ সকাল সকাল উপস্থিত হন নিজাম প্যালেসে। এই ৫০ জন কর্মীর চাকরি গিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশেই।

    সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি ৫০ কর্মী

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আজ সিবিআই-এর একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে চাকরি যাওয়া কর্মীদের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁদের আজ জিজ্ঞেস করা হয়, কীভাবে তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন? প্রভাবশালী-যোগ বা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন কি না? আজ এদের প্রত্যেককে মার্কশিট ও নিয়োগপত্রও আনতে বলা হয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এদিন নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছিল হাওড়ার আমতা ও বাগনান এলাকার বিভিন্ন স্কুলের এই ৫০ জন কর্মীদের। দুর্নীতি মামলায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই-এর আধিকারিকরা। আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকেই তাঁদের ধাপে ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁদের প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। আবার এই সমস্ত প্রার্থীদের নথির সঙ্গে এসএসসির তরফ থেকে দেওয়া মেধা তালিকা তথ্যে কোনও গরমিল রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন:মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    সিবিআই তদন্তে অসন্তুষ্ট বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, এর আগেই এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) তদন্তের গতি বাড়ায় সিবিআই-এর আধিকারিকরা। এর আগে প্রশ্ন করেছিলেন যে, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের কেন তলব করা হচ্ছে না? এরপরেই সিবিআই তদন্তের গতি বাড়ায় ও হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েই চাকরি হারানো ও চাকরিরত কর্মীদের ধাপে ধাপে তলব করা হচ্ছে। এরপর এসএসসি-র গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে আজ চাকরি বাতিল হওয়া এমন প্রার্থীদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।

    আবার, মানিক মামলাতেও সিবিআই-এর ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। ‘”সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যর মামলায় অনুপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এটা খুব সন্তোষজনক পরিস্থিতি নয়। সিবিআই আধিকারিকদের বলুন এই মামলা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখতে।” সিবিআইয়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ  রাজ্য

    Calcutta High Court: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাতেই ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)আবেদন রাজ্যের। SSC নিয়োগে অতিরিক্ত শূন্যপদে (SSC Case) বেনামি-আবেদনের কৈফিয়ত চেয়ে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে (Manish Jain) হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Judge Abhijit Ganguly)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষাসচিবকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের  

    রাজ্যের আবেদন

    শিক্ষাসচিবের হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার রাতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সকাল সাড়ে দশটার আগেই ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে আবেদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। প্রধান বিচারপতির সচিবালয় মারফত ই-মেইল করে আবেদন করে রাজ্য। সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে ১০টার আগেই ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে রাজ্যের আবেদনের শুনানির আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি, অতিরিক্ত শূন্যপদে বেনামি-আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। গতকাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বেনামি আবেদনের ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত এবং বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে হাজিরার নির্দেশ দেন।  এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    অবৈধ আবেদন

    প্রথমে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে যাদের চাকরি বাতিল হয়, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে পুর্নবহালের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপরেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে কমিশন। এরপরে সেই মামলাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, কার নির্দেশে করা হয় এহেন আবেদন। এবিষয়ে কোনও লিখিত প্রমাণ দেখাতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী। তখনই শিক্ষাসচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SSC Scam: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    SSC Scam: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশন ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই হুমকিতে কাজও হল। রাতারাতি ভোল বদলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানিয়ে দিল, বেআইনিভাবে যাঁরা বিভিন্ন স্কুলে (School) নিয়োগ হয়েছিলেন, তাঁদের কখনওই শূন্য পদে নিয়োগ করা যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) এই ইউ-টার্নে আদালতেরই জয় দেখছেন রাজ্যবাসী।

    অতিরিক্ত শূন্য পদে নিয়োগের মামলায়…

    বৃহস্পতিবারই অতিরিক্ত শূন্য পদে নিয়োগের মামলায় এসএসসি কর্তৃপক্ষকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ মেনে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। চলতি বছরের ১৯ মে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। কমিশনের বক্তব্য ছিল, অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের নিয়োগ করার জন্যই এই শূন্যপদ। এর জেরেই বিচারপতির রোষের মুখে পড়ে কমিশন। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মন্তব্য করেছিলেন, যদি এই অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরির বিষয়ে রাজ্য সরকার ও এসএসসির অবস্থান যদি ভিন্ন হয়, তাহলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক। এমন কী এ বিষয়ে রাজ্য সরকার কমিশনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করছে, তা শুক্রবারের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে রাজ্যকে।

    রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, তাহলে কি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই কমিশন? রাজ্য ও কমিশনের বক্তব্য ও অবস্থান আলাদা হওয়ায় রাজ্য কী পদক্ষেপ করছে, তা শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু। সেই মতো এদিন কমিশন জানিয়ে দিল, বাতিল হওয়া প্রার্থীদের অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার করা হল।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আদালতের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে ওই পদে পুনর্বহালের অগ্রাধিকারের আবেদন করেছিল এসএসসি। সেখানে তিরস্কৃত হয় কমিশন। পরে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, পরিবারের কথা ভেবে তাঁদের জন্য অন্য কাজের ব্যবস্থা করা হোক। তবে শিক্ষক হিসেবে কখনওই নয়। কারণ তাহলে বঞ্চিত হবে শিক্ষার্থীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: সিটের দায়িত্ব নিচ্ছেন না অখিলেশ সিং, আদালতে জানাল সিবিআই

    SSC Scam: সিটের দায়িত্ব নিচ্ছেন না অখিলেশ সিং, আদালতে জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদোন্নতি হয়েছে অখিলেশ সিংয়ের (Akhlesh Singh)। দিল্লি থেকে আসামে বদলি হয়েছেন তিনি। গত ১৫ নভেম্বর তাঁর বদলিতে অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। তাই স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে আসতে পারবেন না সিবিআইয়ের (CBI) প্রাক্তন ডিআইজি। বৃহস্পতিবার আদালতে একথা জানিয়ে দিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। প্রসঙ্গত, বুধবারই সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিংহকে বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) মাথায় বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhya)।

    সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান…

    যেহেতু অখিলেশ আসতে পারছেন না, তাই সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, ডিআইজি পদমর্যাদার দক্ষ এক অফিসার রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে এসে বসানো যেতে পারে সিটের মাথায়। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, একজন নয়, ডিআইজি পদমর্যাদার তিনজন অফিসারের নাম দিন। সেখান থেকে একজনকে বেছে নেবে আদালত। বিচারপতি জানান, শুক্রবার এই বিষয়ে শুনানি হবে। আগের দিনই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সিটেও পরিবর্তন করেছিলেন তিনি। নতুন করে ‘সিট’-এ নিয়োগ করা হয়েছে অংশুমান সাহা (ডেপুটি এসপি), বিশ্বনাথ চক্রবর্তী (ইন্সপেক্টর), প্রদীপ ত্রিপাঠি (ইন্সপেক্টর), ওয়াসিম আকরাম খান (ইন্সপেক্টর)। ২ অফিসারকে বাদ দিয়েছেন তিনি। এঁরা হলেন কে সি ঋষিনামল ও ইমরান আশিক। আদালতের নির্দেশ, এঁরা কোনওভাবেই এই সংক্রান্ত তদন্ত করতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় সিবিআই তদন্তকারী অফিসার কেসি ঋষিনামল। অন্যদিকে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তকারী অফিসার ইমরান আশিক। এঁরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।

    আরও পড়ুন: গ্রুপ-ডি মামলায় সিবিআই তদন্তে অখুশি হাইকোর্ট, সিট পুনর্গঠন বিচারপতির

    এরই পাশাপাশি, সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং-কে ‘সিট’-এর প্রধান করা হয়েছে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়োগ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই তদন্ত থেকে সরে যেতে পারবেন না। অন্য কোনও মামলায় তাঁকে যুক্তও করতে পারবে না সিবিআই। আদালতের অনুমতি ছাড়া বদলিও করা যাবে না। ৭ দিনের মধ্যে দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল অখিলেশের। তার মধ্যেই বদলি হয়ে যাওয়ায় এদিন সিবিআই জানিয়ে দিল, অখিলেশ আসতে পারবেন না।

    সিবিআই সূত্রে খবর, সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং ২০২১ সালের ১৭ মে নারদকাণ্ডে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় (প্রয়াত) এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে গ্রেফতার করেছিলেন। বগটুইকাণ্ড, ভাদু শেখ খুন, হাঁসখালিতে গণধর্ষণ, ঝালদা সহ একাধিক মামলার তদন্তও করেছেন তিনি। কয়লা পাচারকাণ্ড থেকে গরু পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তও করেছিলেন অখিলেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Manik Bhattacharya: নিখোঁজ জেলবন্দি মানিকের স্ত্রী-পুত্র! তিনটি বাড়িতেই তালা, বন্ধ মোবাইল ফোনও

    Manik Bhattacharya: নিখোঁজ জেলবন্দি মানিকের স্ত্রী-পুত্র! তিনটি বাড়িতেই তালা, বন্ধ মোবাইল ফোনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসময় প্রাথমিক টেট দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) নিখোঁজ হওয়া নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। আর এবারে নিখোঁজ মানিকের স্ত্রী-পুত্র! এমনটাই দাবি ইডির। ইডি সূত্রে খবর, তাঁদের যাদবপুরের দু’টি বাড়িতে তালা। নাকাশিপাড়ার বাড়িতেও মা-ছেলের কোনও খোঁজ নেই। জেলে যাওয়ার আগে হঠাৎ উধাও হয়েছিলেন মানিক, তবে পরে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি কলকাতাতেই আছেন। কিন্তু এবারে স্ত্রী-পুত্রের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। এমনকি স্ত্রী–পুত্রের মোবাইল ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কোথায় গেলেন মা-ছেলে?

    আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    মানিকের স্ত্রী-পুত্রকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূলের বিধায়ক মানিক (Manik Bhattacharya) বর্তমানে জেলে রয়েছে। তাঁর বিষয়ে সব খুঁটিনাটি ও আরও তথ্য বিশদে জানতে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে সৌভিককে খুঁজছে ইডির আধিকারিকরা। এছাড়াও তাঁর নামে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে ও তাতে যে টাকা রয়েছে সেই টাকার উৎস কী, এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই তাঁদের তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কোনও মতেই ইডির মুখোমুখি হচ্ছেন না। ইডি সূত্রে খবর, সৌভিককে তলব করা হলেও তা বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন ও তদন্তেও সহযোগিতা করছেন না। এরপর যখন ইডির আধিকারিকরা তাঁদের ফ্ল্যাট ও বাড়িতে গিয়ে পৌঁছেছেন, তখন দেখেছেন যে, দুই জায়গাতেই তালা মারা। তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন যে, মানিক পুত্রের পাশাপাশি স্ত্রী শতরূপাও তদন্তে সহযোগিতা করছেন না।

    একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ

    এর আগেই মানিকের (Manik Bhattacharya) ছেলে সৌভিকের ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একটিতে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ এবং অন্যটিতে ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকার বিষয়ে সৌভিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। আবার মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা দেবীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও তিন কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। এখানেই শেষ নয়, মানিকবাবুর মেয়ে, জামাই এবং মেয়ের শ্বশুরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। কারণ ইডি দাবি করেছে যে, এই বিধায়কের পরিবারের সদস্য–আত্মীয়দের সঙ্গে যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এইসব কারণেই সৌভিক ও শতরূপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে ইডি আইনি পদক্ষেপ নিতে চাইছে ও তাঁদের পলাতক বলে জানিয়ে গ্রেফতার করার জন্য আদালতে পরোয়ানা জারি করার আবেদন করতে চাইছে ইডি।

  • Partha Chatterjee: জল তুলে এনে স্নান করিয়ে দিতে হবে! জেলে নতুন বায়না পার্থর

    Partha Chatterjee: জল তুলে এনে স্নান করিয়ে দিতে হবে! জেলে নতুন বায়না পার্থর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। আর জেলে আসা থেকেই হরেক রকম বায়না জুড়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁকে সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে জেল কর্তৃপক্ষ। প্রায় রোজই নতুন নতুন বায়না জুড়ে বিপদে ফেলেন তাদের। 

    প্রেসিডেন্সি জেলে খাদ্য তালিকা ঠিক করাই রয়েছে। আর সেই নিয়ম মেনেই খাবার দেওয়া হয় বন্দিদের। নিয়ম মেনে বন্দিদের সপ্তাহে তিন দিন দুপুরে আমিষ পদ দেওয়া হয়। মাছ হলে প্রত্যেক বন্দি পান দু টুকরো এবং মাংস হলে চার টুকরো। এ নিয়মের অন্যথা হয় না। কিন্তু সম্প্রতি জেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাঁকে চার টুকরো মাছ এবং মাংস হলে ছ টুকরো দিতে হবে বলে জেদ করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, অন্য বন্দিদের থেকে তাঁকে সব সময় বেশি দিতে হবে।  

    এখানেই থেমে যান নি পার্থ বাবু। খাবার নিয়ে বায়না ছিল শুরু থেকেই। এবার এক নয়া বায়না জুড়েছেন তিনি। তাঁর নতুন দাবি, স্নানের সময় ড্রাম থেকে মগ দিয়ে জল তুলে তাঁর গায়ে ঢেলে দেওয়ারও লোক চাই। নিরাপত্তার কারণে ‘পহেলা বাইশ’ ওয়ার্ডে পার্থের দু নম্বর সেলের সামনে বড় প্লাস্টিকের ড্রামে জল রাখা থাকে। এত দিন তিনি নিজেই মগ দিয়ে সেই ড্রামের জল তুলে স্নান করতেন। কিন্তু এখন আর তাতে রাজি নন প্রাক্তন মন্ত্রী। জেল-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এটা সম্ভব নয়। কারণ, এই ধরনের কোনও আইন বা বিধি নেই। পার্থ অসুস্থ নন। শারীরিক ভাবে তিনি সক্ষম। সে-ক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। কিন্তু তা মানতে নারাজ পার্থ।

    আরও পড়ুন: ‘রোজগার মেলা’য় ফের ৭১ হাজার তরুণের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    এখানেও বায়না থেমে থাকলে তাও হত। কারারক্ষীদের আরও অভিযোগ, তাঁর ফোনের সময় কোনও রক্ষী আশেপাশে থাকা চলবে না। তাঁর সেলের সামনে সর্বক্ষণ রক্ষী রাখা যাবে না, অনুমতি নিয়ে সেলের সামনে আসতে হবে বলে দাবি করেছেন পার্থ। এ দাবিও মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কারারক্ষীরা। উল্লেখ্য, জেলের ফোন থেকে প্রত্যেক বন্দি যে-কোনও তিনটি নম্বরে দশ মিনিট কথা বলতে পারেন। পার্থ দু’টি নম্বর জেল-কর্তৃপক্ষকে দিয়েছেন। একটি তাঁর আইনজীবীর, অন্যটি তাঁর এক আত্মীয়ের। 

    হেফাজতে পার্থ 

    উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২৩ জুলাই নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তারপর একে একে গ্রেফতার হন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়রা। আপাতত প্রত্যেকেই জেলে রয়েছেন। বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। কিন্তু আদালত সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থ-অর্পিতাদের জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই ইডি জানিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক ১৫০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    SSC Scam: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জামিনের আর্জি খারিজ করা হল। এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) জামিন হল না কারোরই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharyya) সহ এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) ধৃত ৭ জনেরই ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল। 

    জামিনের আবেদন খারিজ

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার ফের রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি আদালতে তোলা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসপি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, প্রদীপ সিং ও প্রসন্ন রায়কেও। আর আদালতে পুনরায় তোলার পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তরফে জামিনের আবেদন করে তাঁর আইনজীবীরা। কিন্তু পার্থ-সুবীরেশ-কল্যাণময়-শান্তিপ্রসাদদের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করা হল। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকার নির্দেশ দিল পার্থ, কল্যাণময়, সুবীরেশদের।

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাতর আর্জি

    শীত আসছে, তাই জামিন চেয়ে কাতর আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর কাতর আবেদনেও কাজ হল না। সেই জেলেই যেতে হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এদিন তাঁর আইনজীবী আদালতে বলেন, পার্থবাবুর বয়স হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে। শীত পড়লে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তাই যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক তাঁকে। হাতজোড় করে পার্থবাবু নিজেও বিচারককে বলেন, ”আমার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ।” কিন্তু কিছু করেই জামিন আর হল না (SSC Scam) ।

    আরও পড়ুন: তদন্ত কবে শেষ হবে? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    অন্যদিকে আদালত তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ  করে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলে পার্থর তরফে উল্টে প্রশ্ন করা হয়, “অনন্তকাল ধরে জেলে থাকব নাকি?” যদিও এই প্রশ্ন তিনি নিজে করেননি, তাঁর আইনজীবী সেলিম রহমান করেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “শেষ ১৪ দিনে তদন্তের কী অগ্রগতি হয়েছে যে তাঁকে হেফাজতে রাখতে হবে? কেনই বা সিবিআই-এর তদন্তকারীরা আবার পার্থকে হেফাজতে পাঠাতে চাইছে?” কিন্তু এত কিছু করেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁকে আবার ২৮ নভেম্বর পর্যন্তই জেলে থাকার নির্দেশ দিল (SSC Scam) ।

    বাকি অভিযুক্তদের আইনজীবীরা কী বললেন?

    অন্যদিকে সোমবার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে পার্থর পাশাপাশি আদালতে তোলা হয়েছিল শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশদেরও (SSC Scam) । শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত আদালতকে প্রশ্ন করে, দক্ষ এজেন্সি তদন্ত করার পরও কেন এত দিন লাগছে? সিবিআই-এর কতদিন লাগবে এই মামলায় সেটিও জানাতে বলেন তিনি। আবার অভিযুক্তদের শারীরিক অবস্থা এবং বয়সের কথাও ভেবে জামিনের আবেদনও করেন শান্তিপ্রসাদরে আইনজীবী।

    সুবীরেশের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “তদন্তের কোনও অগ্রগতি হচ্ছে কি? সিবিআই শুধু মুখেই বৃহৎ ষড়যন্ত্রের কথা বলছে, কিন্তু তার প্রমাণ দিতে পাচ্ছে না।’’ ফলে প্রত্যেক অভিযুক্তের আইনজীবীরা নিজেদের বক্তব্য রেখে জামিনের আবেদন করলে আদালত শেষ পর্যন্ত কারোরই আবেদন মঞ্জুর করেনি। এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) অভিযুক্ত প্রত্যেককে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

  • SSC Scam: ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে সুবীরেশের ‘নির্দেশেই’! একাধিক অযোগ্য প্রার্থীদের তলব করল সিবিআই

    SSC Scam: ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে সুবীরেশের ‘নির্দেশেই’! একাধিক অযোগ্য প্রার্থীদের তলব করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ওএমআর শিটে যাদের নম্বর বদল হয়েছিল এমন একাধিক চাকরিপ্রাপকদের তলব করল সিবিআই (CBI)। সিবিআই সূত্রে দাবি, ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে ৬৬৭ জন চাকরিপ্রার্থীর (SSC Scam)।

    সিবিআইয়ের তলব

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই চাকরিপ্রার্থীদের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক (SSC Scam)। ফলে এদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন, এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এরপরেই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তন হওয়া একাধিক চাকরিপ্রাপকদের তলব করেছে সিবিআই। আজ ও আগামীকাল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের ২০ জন চাকরিপ্রাপকদের নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যে এসে হাজিরও হয়েছেন। তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সেটাও রেকর্ড করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।

    ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছিল কার নির্দেশে?

    গতকাল সিবিআই আদাতে দাবি করেছে, ৬৬৭ জনের নম্বর বদলের পিছনে হাত রয়েছে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যর। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) অভিযুক্ত সুবীরেশই একসময় জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সময়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু গতকাল সিবিআই আদালতে দাবি করেন, সুবীরেশের ‘নির্দেশে’ই অযোগ্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। আর এই বিষয়ে আদালতে প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু নথিও পেশ করেছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    গতকাল, সোমবার এসএসসির নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে (SSC Scam)। সিবিআই সূত্রে খবর, সিবিআই-এর তরফে আগেই দাবি করা হয়েছিল যে, এসএসসি মামলায় বেআইনি ভাবে ৬৬৭ জন অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর বাড়ানো হয়েছে। এরপর এই মামলার আরও তদন্ত করে এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ওই ৬৬৭ জনের তালিকা উদ্ধার করেছে সিবিআই। আর এরপরেই জানা গিয়েছে, ৬৬৭ জনের পরীক্ষার ওএমআর শিট বদলের পিছনের মূলচক্রী এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যই। তাঁর নির্দেশে এবং তাঁরই তত্ত্বাবধানেই অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর টাকার বিনিময়ে বদল করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দেওয়া এই তথ্যই নির্দেশনামায় তুলে ধরেছেন সিবিআই আদালতের বিচারক শেখ কালামউদ্দিন।

    আদালতে বিচারকের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সিবিআই-এর উদ্দেশে গতকাল কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছুড়ে দেন আলিপুর কোর্টের বিচারক শেখ কালামুদ্দিন। তিনি প্রশ্ন করেন, যেসব অযোগ্য প্রার্থীরা টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়েছেন, তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? ৬৭৭ জনের মধ্যে কেন শুধু ৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে? বাকিদের কবে বয়ান রেকর্ড করা হবে? তদন্ত কি অনন্তকাল চলবে? আবার তদন্তের গতি বাড়ানোর নির্দেশও দেন বিচারক। আর এসবের পরেই সিবিআই-এর তলব অযোগ্য প্রার্থীদের।

LinkedIn
Share