Tag: ssc scam

ssc scam

  • Partha Chatterjee: “বাঁচতে দিন”, পার্থর করুণ আর্তি শুনল না আদালত, বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ

    Partha Chatterjee: “বাঁচতে দিন”, পার্থর করুণ আর্তি শুনল না আদালত, বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ”আমাকে বাঁচতে দিন”, আদালতে বিচারকের সামনে এভাবেই আর্তি জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Parth Chatterjee)। কিন্তু তাতেও গলল না বিচারকের মন। জামিন পেলেন না পার্থ। সিবিআই মামলায় ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে প্রাক্তন মন্ত্রীকে। জেলে থাকতে হবে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam) গ্রেফতার হওয়া সকলকেই! জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়, অশোক সাহা, প্রসন্ন রায়, প্রবীর সিং – এর। 

    প্রথমে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে পার্থকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। সোমবার, আলিপুর জাজেস কোর্টে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন পার্থ। নিজেই জামিনের আবেদন জানান। এদিন আদালতে পার্থের হয়ে তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানানোর পরেও পার্থ নিজেও বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন জানান। পার্থের আইনজীবী এদিন বলেন, “পার্থর মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। একজন নেতা হিসেবে ওঁর কাজে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। উনি একজন শিক্ষিত মানুষ। পালিয়ে যাবেন না। দরকার পড়লে দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে জামিন দেওয়া হোক।”

    আরও পড়ুন: কখন দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ? ভারতে কোথায় দেখা যাবে? 

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বিচারককে বলেন, “আমার শরীর দিচ্ছে না, সব কেস একসঙ্গে আনা হচ্ছে। কিছুই পাওয়া গেল না, তাও এরকমভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে।ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা চলছে, আমাকে বাঁচতে দিন।” 

    এদিকে এদিন পরিবারের লোকজনকে কাছে পেয়ে কেঁদে ফেলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় মাথা সুবীরেশ। তিনি সব জানতেন। সিবিআই দাবি করেছে, পদ যাওয়ার পরেও এখনও যথেষ্ট প্রভাবশালী সুবীরেশ। তাই তাঁকে জামিন দিলে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। এদিন জামিন পাননি সুবিরেশও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • SSC Scam: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?

    SSC Scam: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিবিআইএসএসসি নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম চার্জেশিট দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা । হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই চলতি বছরের এপ্রিলে এই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে। ওই চার্জশিটে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহ, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ মোট ১২ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ জন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: দৈনিক ৫ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোচ্ছেন? নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো! 

    সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটে শান্তিপ্রসাদ, সুবীরেশ, কল্যাণময় ছাড়াও নাম রয়েছে এসএসসির সহকারী সচিব অশোককুমার সাহা, প্রাক্তন প্রোগ্রাম অফিসার পর্ণা বসু এবং সমরজিৎ আচার্যের নামও। অশোককুমার বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। এছাড়া চার্জেশিটে উল্লেখ রয়েছে  ৬ জন ‘প্রাইভেট পার্সন’-এর নাম। এই তালিকায় রয়েছেন প্রসন্ন কুমার রায়,  প্রদীপ সিংহ, জুঁই দাস, আজাদ আলি মির্জা , ইমন মোমিন ও রোহিত কুমার ঝা। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, অযোগ্য প্রাথীদের মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করেছিল ধৃত ও চার্জশিটে নাম-থাকা অভিযুক্তরা। পর্ষদের  পদাধিকারীদের সঙ্গে  প্রাইভেট পার্সনরা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করে নিয়োগ দুর্নীতি করেছে বলে চার্জেশিটে উল্লেখ  সিবিআইয়ের। 

    আরও পড়ুন:উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম

    প্রসঙ্গত, এর আগেই তদন্তে সিবিআই জানিয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতির আসল কাজটা হয়েছে সফটওয়্যার প্রোগ্রামিংয়েই। সেখানেই দিনকে রাত করা হয়েছে। তাই চার্জশিটে প্রোগ্রামিং অফিসার সমরজিৎ আচার্য, পর্ণা বসুর নাম রয়েছে। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগেই জানিয়েছিল, এই দুর্নীতির জাল বোনা হয়েছিল সংগঠিতভাবে। ধরা পড়লে কীভাবে নিজেদের বাঁচানো যাবে তারও ছক কষে রেখেছিলেন অভিযুক্তেরা, দাবি সিবিআইয়ের। অভিযোগ, কল্যাণময়, শান্তিপ্রসাদদের আগে যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাঁদের কাছ থেকে এঁরা আগে থেকেই জেনে নিতেন, সিবিআই কী কী প্রশ্ন করছে, কী তথ্য চাইছে। সেই মতো আগে থেকে বাঁচার রাস্তা তৈরি করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পড়তেই হল, কারণ অপরাধ কাউকেউ ছাড়ে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে গরুপাচারের যোগ? এবার প্রসন্নর স্ত্রী-ভাইকে তলব সিবিআইয়ের

    SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে গরুপাচারের যোগ? এবার প্রসন্নর স্ত্রী-ভাইকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝে সামনে এল আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রসন্ন রায়ের (Prasanna Roy) ভাই ও স্ত্রীকে গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় তলব করল সিবিআই। আগামী সপ্তাহে প্রসন্নর ভাই ও স্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। আর এতেই দুয়ে দুয়ে চার করে ফেলেছেন অনেকেই। অনেকেই মনে করছেন, এসএসি দুর্নীতি ও গরু পাচারের নিবিড় যোগ রয়েছে। 

    সিবিআই জানিয়েছে, প্রসন্নকে গ্রেফতার করার পর বেশ কিছু শেল কোম্পানির হদিশ মিলেছে। যেগুলির অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসএসসির টাকা এদিক-ওদিক হয়েছে। আবার গরু পাচার মামলাতেও এমন বেশ কিছু শেল কোম্পানি সিবিআই- এর নজরে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, একাধিক শেল কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন প্রসন্নর স্ত্রী ও ভাই। সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান, প্রসন্নর কাজটাই ছিল প্রভাবশালীদের টাকা শেল কোম্পানির মাধ্যমে ঘুরিয়ে এদিক ওদিক করা। গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতি সব টাকাই প্রসন্নগর পরিবারের ঘাতে কোনও না কোনও সময় এসেছে।   

    আরও পড়ুন : শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির 

    প্রসন্নকে ২ মাস আগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে চাকরি বিক্রির দালাল প্রসন্ন রায় ও তার সহযোগী প্রদীপ সিং- কে। একদা রঙের ছোট ঠিকাদার প্রসন্ন যে ভাবে গত সাত-আট বছরে ধন কুবের হয়ে উঠেছে তাতে অবাক হয়েছেন অনেকেই। নিউটাউন সল্টলেকে একাধিক সম্পত্তি, লাটাগুড়িতে রিসর্ট। প্রসন্ন হঠাতই রাজা হয়ে উঠেছিলেন। এসএসসি দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রসন্নর ভাই ও স্ত্রীকে এবার গরু পাচার মামলায় ডাকল সিবিআই।   

    গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বিধাননগরে একটি ছোট্ট অফিস থেকে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করতেন প্রসন্ন। সেই অফিসেই চাকরিও বিক্রি করা হত। উত্তর ২৪ পরগনার প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকা আদায়ের দায়িত্ব ছিল প্রসন্নর ওপর। নিজের অফিসে বসেই ভুয়ো প্রার্থীদের তালিকা বানাত সে। তার পর তা প্রদীপ সিংয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিত শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছে। মূলত প্রদীপকে সামনে রেখেই নথিপত্র এবং টাকার লেনদেন করত প্রসন্ন। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের যাবতীয় মেল প্রসন্নর সল্টলেকের কার রেন্টাল অফিসের কম্পিউটার থেকে করা হত। এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Naihati: নৈহাটি স্টেশনে উদ্ধার ৬০ লক্ষ টাকা, যুবক গ্রেফতার, সঙ্গে ছেঁড়া নোট কেন?

    Naihati: নৈহাটি স্টেশনে উদ্ধার ৬০ লক্ষ টাকা, যুবক গ্রেফতার, সঙ্গে ছেঁড়া নোট কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের মিলল বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা (Cash Recovery)। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি (Naihati) রেল স্টেশনে এক যুবকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৬০ লক্ষ টাকা। তার সঙ্গে মিলেছে একটি ছেঁড়া ১০ টাকার নোট। ওই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যুবকটি কোথায় যাচ্ছিল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি সে।টাকার উৎস সন্ধানে ওই যুবককে জেরা করছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে।

    সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে নৈহাটি (Naihati) রেল স্টেশনে রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিল জিআরপি থানার পুলিশ। ওই সময় আপ কল্যাণী লোকাল থেকে ব্যাগ হাতে নামে দেখা যায় এক যুবককে। ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই সন্ধান মেলে রাশি রাশি টাকার। রেল পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। নিয়ে আসা হয় টাকা গোণার মেশিন। দেখা যায়, ওই যুবকের ব্যাগে রয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। ১০ টাকার একটি ছেঁড়া নোটও ছিল ওই যুবকের সঙ্গে। ওই যুবকের নাম অভিষেক সোনকর।বছর চব্বিশের অভিষেকের দাবি, তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে। তবে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে সে কোথায় যাচ্ছিল, তার কোনও যথাযথ উত্তর সে দিতে পারেনি। পুলিশের অনুমান, লেনদেনের সংকেতের জন্য ওই ছেঁড়া দশ টাকার নোট ব্যবহার করা হচ্ছিল। সম্ভবত, যাকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল তার কাছে ওই ১০ টাকার নোটের বাকি অংশটি রয়েছে। এদিন রাতে জেরা করা হলেও ওই যুবক মুখ খোলেনি। সে সত্যিই টিটাগড়ের বাসিন্দা কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    দিন কয়েক আগেও একবার বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। হাওড়া (Howrah) স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের চার ও পাঁচ নম্বর গেটের কাছে দুই যুবককে কালো ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানদের। ব্যাগ পরীক্ষা করতেই বেরিয়ে আসে নগদ ৩৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এরই কিছু দিন আগে হাওড়া স্টেশনেই রাজকুমার সোনি নামে এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩৫ লক্ষ টাকা। তার আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। তার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়েও কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • SSC Scam: সুবীরেশের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বদল! ফের জেল হেফাজত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের

    SSC Scam: সুবীরেশের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বদল! ফের জেল হেফাজত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আরও এক অভিযোগ উঠে আসল। এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের মার্কশিটের নম্বর বদল করা হয়েছে, সোমবার এই অভিযোগ তোলা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে ভার্চুয়ালি আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। গতকাল মেয়াদ শেষে আলিপুর আদালতে ভার্চুয়ালি শুনানি হয়। সেখানেই এই অভিযোগ তোলেন সিবিআই-এর আইনজীবী। শুধু তাই নয়, অভিযোগের পাশাপাশি তাঁর হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনও করছিলেন তিনি। অন্যদিকে সুবীরেশের জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল আদালতে। কিন্তু তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করা হয় ও তাঁকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুরের আদালতের বিচারক।

    আদালত সূত্রে খবর, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায়ের তরফে সুবীরেশের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। মূলত তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথাকেই তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী। বলা হয়, সুবীরেশের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, সুবীরেশ জেলের খাবার খেতে পারছেন না- এ সব দিক বিচার করে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। একইসঙ্গে তাঁর আইনজীবী বলেন, জেলের খাবার খেতে না পারায় তাঁকে ডায়েট চার্ট মেনে খাবার দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    অন্যদিকে, সিবিআই-এর আইনজীবী এই শুনানি চলাকালীন অভিযোগ করেন যে, এসএসসি পরীক্ষায় চাকরীপ্রার্থীদের মার্কশিটের নম্বর তাঁর নির্দেশেই পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে এই ঘটনার পেছনে তিনিই মূল ষড়যন্ত্রকারী। বিভিন্ন ‘ডকুমেন্ট’ পরীক্ষা করাও বাকি আছে। তাই এই পর্যায়ে জামিন সম্ভব না বলে জানিয়েছেন সিবিআই।

    এছাড়াও সিবিআইয়ের আইনজীবী সাফ দাবি করেছেন, এই এসএসসি কেলেঙ্কারির ব্যাপারে পুরোপুরি জানতেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর কথাতেই সবকিছু করা হত। ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী সুবীরেশের জামিনের বিরোধিতা করে সুবীরেশের জেল হেফাজত বাড়ানোর আবেদন করেছেন। কারণ তাঁদের মতে, সুবীরেশ বৃহত্তর ষড়যন্ত্রকারী। তিনি প্রভাবশালী। জামিনের আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতে পাঠানো হোক তাঁকে। বিভিন্ন তথ্য যাচাই করা বাকি আছে। তাই এই পর্যায়ে জামিন সম্ভব না। এরপর দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখেন বিচারক ও সিদ্ধান্ত নেন যে, এখনই জামিন দেওয়া হবে না এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে। তাই আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক আমান সিংহাল।

    প্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subirtesh Bhattacharya)। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮-র মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

  • Manik Bhattacharya: শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Manik Bhattacharya: শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল। ইডির দাবি, শিক্ষক বদলিতেও রয়েছে মানিকের হাত। টাকার বিনিময়ে পছন্দের স্কুলে শিক্ষক বদলি হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের হাত ধরেই। এর পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে যে, নিজের সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য, এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি।

    নিজের সম্পত্তি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এবার পেশ করল ইডি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ ভুল। অর্থাৎ নদিয়ার পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যখন তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন তখন তিনি কমিশনকে যে সম্পত্তি সংক্রান্ত যে তথ্য দিয়েছিলেন তা ভুল বলে মনে করে ইডি। এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সামনে এই তথ্য এসেছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্য তাঁর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি- সব মিলিয়ে সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি টাকার কিছু বেশি ছিল বলে জানিয়েছিলেন হলফনামায়। কিন্তু একটি সংবাদ সংস্থাকে ইডির এক আধিকারিক বলেন, “তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই পরিস্কার হচ্ছে যে মানিক ভট্টাচার্য তাঁর হলফনামায় সম্পত্তির পরিমাণ কমিয়ে দেখিয়েছেন। তাঁর সম্পত্তি অনেক বেশি।”

    অন্যদিকে আরও জানা গিয়েছে, মানিকের (Manik Bhattacharya)বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির নথি থেকেই মিলেছে শিক্ষক বদলির সুপারিশ, যা মানিক ভট্টাচার্যের নামে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। আর এই শিক্ষক বদলিতে মাথাপিছু আর্থিক লেনদেন হয়েছে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই সেই টাকা এখন কোথায়? তারই তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে মমতার নাম ইডির নথিতে, সব জানতেন মুখ্যমন্ত্রী

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকার বদলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। এছাড়াও কয়েকদিন আগেই তাঁর ছেলের সংস্থার সঙ্গেও মানিকের যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, মানিক পুত্র শৌভিকের কনসালটেন্সি কোম্পানি হলেও এটি পশ্চিমবঙ্গের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডি.এল.ইডি (D. El. Ed) কলেজ থেকে পরামর্শ দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে এই সংস্থা। ফলে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা এইভাবে মোট তুলেছে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা। এই টাকার কথাও তিনি তাঁর সম্পত্তির পরিমাণে উল্লেখ করেননি। এছাড়াও তদন্ত করতে গিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য সামনে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ ও টেক্সট মেসেজে। এবং এই অভিযোগগুলির পাশাপাশি এবার যুক্ত হল টাকার বিনিময়ে শিক্ষক বদলির অভিযোগও।

    ইডি সূত্রে খবর, যে সমস্ত নথি সামনে এসেছে তাতে বদলি সংক্রান্ত সুপারিশ মিলেছে। এগুলোতে কয়েকজন শিক্ষকের নাম পাওয়া গিয়েছে, যারা পছন্দের স্কুলে বা বাড়ির কাছে স্কুলে বদলির জন্য আবেদন করেছে ও তাদের জন্য সুপারিশ এসেছে মানিকের (Manik Bhattacharya) কাছে। এই শিক্ষকদের পছন্দ মত স্কুলে ট্রান্সফার করানোর জন্য মাথাপিছু নিত ৬-৭ লক্ষ টাকাও। তবে কে এই সুপারিশ করত, কে নির্দেশ দিত, তা নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে ইডি।

  • Primary Teacher Recruitment: মামলার পথে ১৪০০ চাকরি প্রার্থী! প্রাথমিক নিয়োগে অতীতে এত আবেদন জমা পড়েনি

    Primary Teacher Recruitment: মামলার পথে ১৪০০ চাকরি প্রার্থী! প্রাথমিক নিয়োগে অতীতে এত আবেদন জমা পড়েনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চাই, চাকরি! পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক-যুবতীদের এটাই যেন এখন একমাত্র স্লোগান। টেট পাস করে মেরিট লিস্টে নাম থাকা সত্ত্বেও অনেকে চাকরি থেকে বঞ্চিত। আবার পাস না করেও চাকরি করছেন অনেকে। যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা দিনের পর দিন ধর্না দিয়েছেন। আবেদন জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের কাছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এবার তাই মামলার পথ বেছে নিলেন ১৪০০ চাকরি প্রার্থী। আরও ২০০০ চাকরি প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় একদিনে কলকাতা হাইকোর্টে এক সঙ্গে এত আবেদন অতীতে জমা পড়েনি। তাই এটা এক নজিরবিহীন ঘটনা।

    আরও পড়ুন: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    যাঁরা নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে প্রাইমারি টেট (Primary TET) পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন, তাঁদের দু’বার নিয়োগও হয়েছে। ২০১৬ সালের পরীক্ষায় নিয়োগ হয়েছে চার বছর পর পর অর্থাৎ ২০২০ সালে। তবে মজার ব্যাপার হল, ২০২২ শেষ হতে চলল, কিন্তু ২০২০ প্রাইমারি টেট পরীক্ষার্থীরা এখনও চাকরি পাননি। আর সেই কারণেই এত সংখ্যক চাকরি প্রার্থী একসঙ্গে সুবিচারের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন।

    সব কিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২০ সালে প্রাথমিকে ১৬৫০০ পদ নিয়োগের পর শূন্য থাকা ৩৯২৯টি আসনও দ্রুত পূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিচারপতি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, মেধা ও যোগ্যতার বিচারেই চাকরি দিতে হবে ৭ নভেম্বরের মধ্যে। ১১ নভেম্বর বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে আদালতকে।

    আরও পড়ুন: টেট নিয়োগ ঘিরে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, আইনি জটিলতায় থেমে যাবে না তো প্রক্রিয়া?

    এই রায়ের পরেই শ’য়ে শ’য়ে মামলা হচেছ কলকাতা হাইকোর্টে। চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘আমার কাছে প্রায় হাজার তিনেক আবেদন এসেছে। ইতিমধ্যে ১৪০০ মামলা দায়ের হয়েছে। আদলত অনুমতি দিলে বাকি মামলাও দায়ের করা হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik hattacharya) বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্দেশে লেখা চিঠি। আদালতে এমনই দাবি করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) মানিকের বাড়ি থেকে একটি চিঠি মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিটি একটি অভিযোগপত্র। চিঠিতে কেউ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন যে, ৪৪ জনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে। চাকরির বিনিময়েই এই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইডির। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    ইডি সূত্রে খবর, এই চিঠি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করা হলে, তিনি পরস্পরবিরোধী উত্তর দেন। মানিকের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। মঙ্গলবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালতেই এই চিঠির কথা জানান ইডির আইনজীবী। তিনি জানান, এই টাকা যুব তৃণমূলের কোনও একজন সাধারণ সম্পাদক সংগ্রহ করছিলেন। ইডির হাতে পাওয়া নথি থেকে জানা যাচ্ছে, মানিক ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিক ভট্টাচার্যের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাইরের লোকেদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অপরিচিতদের সঙ্গেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে প্রচুর টাকা রয়েছে। এই টাকা কোথা থেকে এবং কীভাবে এসেছে তা খতিয়ে দেখছে ইডি।  

    আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগেও বেনিয়ম? শিক্ষার সর্বস্তরের লজ্জা প্রকট আদালতে!

    এছাড়াও ইডির তরফে জানানো হয়, মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি ফোল্ডার। যারমধ্যে ৬১ জন প্রার্থীর নাম পাওয়া গিয়েছে। যারমধ্যে ৫৫ জনের কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। পাশপাশি,মানিক ভট্টাচার্যের মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। অনুমান এই মোবাইল থেকেই মিলতে পারে প্রাইমারি টেট দুর্নীতির নানান তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে বিতর্কিত সেই চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা। ‘RK’ নামে সেভ থাকা একটি নম্বর থেকে সেই মেসেজ আসে। যাতে লেখা ছিল, চূড়ান্ত লিস্টে অনুমোদন দিয়েছেন ‘DD’। এই ‘RK’ ও ‘DD’কে তা জানতে চায় ইডি। এর উত্তর মিললেই অনেক প্রশ্নের জট খুলে যাবে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রতিমাসে ‘হফতা’ যেত মানিক-পুত্রের কাছে! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    Manik Bhattacharya: ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রতিমাসে ‘হফতা’ যেত মানিক-পুত্রের কাছে! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সোমবার রাতেই ইডির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এরপরে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকাল ব্যাংকশাল আদালতে হাজির করানোর সময় সেখানেই তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার হদিস পাওয়ার তথ্য আদালতে জানায় ইডি।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মানিক (Manik Bhattacharya)পু্ত্র শৌভিকের রয়েছে একটি কোম্পানি, আর সেই কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই এই টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের (Souvik Bhattacharya) নামে একটি প্রোপ্রাইটরশিপ তথা ব্যক্তি মালিকানার কোম্পানি ছিল। তার নাম ছিল অ্যাকুয়ার কনসালটেন্সি (Acuere Consultancy)। নামে বোঝা যাচ্ছে এই সংস্থা ম্যানেজমেন্ট ও কনসালটেন্সি পরিষেবা দিত কিন্তু আদতে কি তাই ছিল?

    ইডির দাবি, এটি একটি কনসালটেন্সি কোম্পানি হলেও পশ্চিমবঙ্গের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডি.এল.ইডি (D. El. Ed) কলেজ থেকে পরামর্শ দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিত এই সংস্থা। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা এইভাবে মোট তুলেছে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা।

    আরও পড়ুন: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    প্রাইমারি চাকরিতে উত্তীর্ণ হতে প্রয়োজন প্রার্থীর প্রশিক্ষণ। ফলে পশ্চিমবঙ্গের এই বেসরকারি কলেজগুলোর সঙ্গে মানিকের (Manik Bhattacharya) সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। এছাড়াও তারা অনুমান করেছে যে, হয়তো এইসব কলেজ থেকেই এক দুজন প্রার্থীকে টাকার পরিবর্তে চাকরিও দেওয়া হয়েছে। ফলে মানিকের ছেলের এই কোম্পানির সঙ্গে মানিকের সম্পর্ক ও টাকার এই লেনদেনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইডি।

    তবে এখানেই থেমে নয়, গতকাল আদালতে আরও অনেক তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, তল্লাশিতে একটি সিডি পাওয়া গিয়েছে, যাতে দুটি ফোল্ডার আছে। মানিকের (Manik Bhattacharya) কম্পিউটারের ২টি ফোল্ডারে ৬১ জনের নাম পাওয়া গেছে। ৬১ জনের মধ্যে ৫৫ জনের থেকে চাকরির জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা ঘুষ দিয়েছে, তাঁরাই চাকরি পেয়েছে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে ইডির তরফে।

    এও দাবি করা হয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যর বাড়ি থেকে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। যে চিঠি মানিক ভট্টাচার্য ও মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল। মাথাপিছু ৭ লক্ষ টাকা করে নিয়ে ৪৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, এমনও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। তাই ইডি সূত্রে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, প্রাইমারিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা কত জানতে ফের বৈঠকে বসছে এসএসসি

    SSC Scam: ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা কত জানতে ফের বৈঠকে বসছে এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভুয়ো শিক্ষক খুঁজতে বৈঠক ডাকল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। ১৮ অক্টোবর বিকেল পাঁচটায় ওই বৈঠক হবে। গ্রপ সি, গ্রুপ ডি ও নবম দশমে ভুয়ো শিক্ষকের প্রকৃত শিক্ষকের সংখ্যা কত, তা খুঁজে বের করতেই হবে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবীরা। ভুয়ো নিয়োগের (SSC Scam) সংখ্যা খুঁজে বের করে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে (High Court)।

    ব্যাপক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল এসএসসির নিয়োগে (SSC Scam)। তার জেরে হয় মামলা। তদন্তে নামে সিবিআই। সিবিআইয়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত জানিয়েছে, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রচুর সাদা উত্তরপত্র জমা পড়েছিল। কোনও কোনও উত্তরপত্রে মাত্র পাঁচ-ছটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে কমিশন এবং পর্ষদকে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, কতজনকে বেআইনিভাবে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে এবং কতজন অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, সিবিআইয়ের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে কমিশনকে সেই সংখ্যা খুঁজে বের করতে হবে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মামলাকারীদের আইনজীবীরাও।

    আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারমাইন্ড পার্থই, কী বলছে সিবিআই চার্জশিট?

    নবম দশমে ঘুরপথে কতজন চাকরি পেয়েছেন, তা খুঁজে বের করতে গত মাসের শেষের দিকে একবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন কমিশন, পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবীরা। কমিশনের তরফে হাজির ছিলেন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও। ওই বৈঠকে ১৩ হাজার নামের তালিকা দিয়েছিল পর্ষদ। সেই তালিকার ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করেছিল কমিশন। ওই রিপোর্টই পেশ করা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেয় আদালত। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও ফিরদৌস শামিম জানান, তদন্তে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া ভুয়ো নিয়োগ (SSC Scam) সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে সিবিআই (CBI)। ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যাটা ঠিক কত, তা খুঁজে বের করাই উদ্দেশ্য এই বৈঠকের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share