Tag: ssc scam

ssc scam

  • Partha Chatterjee: ‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    Partha Chatterjee: ‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই (CBI)। তারপর শনিবার থেকেই চলছে দফায় দফায় জেরা। এবার জেরায় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় পার্থ বলেছে, “আমি শুধু ফাইলে সই করতাম। নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) আমার বিশেষ কোনও ভূমিকা ছিল না, আমার কাছে ফাইল পাঠানো হত, আর সেই ফাইলে সই করতাম আমি।”

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    কেন না পড়ে ফাইলে সই করতেন সে বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা প্রশ্ন করলে উত্তরে পার্থ বলেন, “আমি ওদের বিশ্বাস করতাম। এই বিষয়ে আমার ভূমিকা সামান্যই। ” এবার প্রশ্ন উঠছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জবানবন্দীতে এই ‘ওরা’ কারা? সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান ‘ওরা’ বলতে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের কথাই বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।  

    অন্যদিকে, একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Kalyanmay Ganguly) হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই (CBI Custody)। জেরা করা হচ্ছে তাঁকেও। জেরা করা হচ্ছে, তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকেও। জানা গিয়েছে এবার তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করতে পারে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জের, সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে আরও জোরদার হচ্ছে কেস। আজই বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জীর ফ্ল্যাটে নগদ কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পরই ইডি দুমাস আগে গ্রেফতার করেছিল পার্থ-অর্পিতাকে। আপাতত জেলেই রয়েছেন অর্পিতা। গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এরপর সিবিআই হেফাজতে যান পার্থ। মনে করা হচ্ছে, চার্জশিটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেশ করতে পারে ইডি। দুর্নীতির টাকা বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে বলেও সন্দেহ রয়েছে ইডি গোয়েন্দাদের। চার্জশিটে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হতে পারে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

      

      

  • Partha Chatterjee CBI Custody: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    Partha Chatterjee CBI Custody: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) সিবিআই হেফাজতের (CBI Custody) নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। ২১ শে সেপ্টেম্বর অবধি সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ। এদিন এসএসসি দুর্নীতির (SSC Scam) মামলা আদালতে ওঠে। এতদিন ইডির হেফাজতে (ED Scam) ছিলেন পার্থ। এদিন জামিনের আর্জি জানান রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Kalyanmay Ganguly) সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। 

    আদালত থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, আরও তদন্তের জন্য কাস্টডিতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। এটি একটি বড় চক্রান্ত। এদিন আদালতেও একই কথা বলেছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। 

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    সিবিআই গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, এসএসসি দুর্নীতির মূল চক্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে ঘাড় থেকে যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলার মরিয়া চেষ্টা করেছেন পার্থ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, “এসএসসি আলাদা সংস্থা। আমি মন্ত্রী থাকলেও এসএসসির কোনও কাজে আমার নিয়ন্ত্রণ ছিল না।” নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে এদিন বার বার জামিনের আর্জি জানান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু এদিনও জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় সিবিআই- এর বিশেষ আদালত।   

    এদিন আদালতে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পারিবারিক কৌলিন্যের কথাও বিচারকের সামনে তুলে ধরেন পার্থ। তিনি বলেন, “আমি শিক্ষিত, ইকনমিক্সে স্নাতক, এমবিএ। আমার মামার নাম শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এখন আরও এক সংস্থা নতুন করে তদন্ত করতে চাইছে। আমি খুবই অসুস্থ। কে সাহায্য করবে? আপনি আপনার মতো বিচার করবেন। আপনার কাছে বিচারের আশায় আছি।” তিনি আরও বলেন, “ইডি দুমাস ধরে জেলে রেখেছে। এবার সিবিআই হেফাজতে চাইছে। ২৮টি ওষুধ খাই, আমি খুব অসুস্থ, জামিন দেওয়া হোক।” 

    আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জের, সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় 

    সিবিআই- এর আইনজীবী আদালতে পাল্টা বলেন, সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে জানান, ২০১৬-তে গ্রুপ সি পরীক্ষা হয়। রেজাল্ট বের হয় ২০১৭-তে। কিন্তু ২০১৯-এ নিয়ম না মেনে ৪০০ চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। অযোগ্যদের নিয়োগ করা হয়েছে অনৈতিকভাবে। 

    অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, “কোনও এফআইআর-এ আমার মক্কেলের নাম নেই। সিবিআই, ইডি ষড়যন্ত্র করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখতে চাইছে। সিবিআই যখনই ডেকেছে আমার মক্কেল তখনই গেছেন। ইডি গ্রেফতার করার পর ৬০ দিন হয়ে গেছে। ইডি চার্জশিট দিতে না পারলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেয়ে যেতে পারেন, তাই এবার এফআইআর-এ নাম না থাকলেও সিবিআই তাঁকে হেফজতে নিতে চাইছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহাকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Partha Manik Connection: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    Partha Manik Connection: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) আরও জড়িয়ে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং পলাশিপাড়ার বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। পার্থ এবং মানিকের মেসেজ চালাচালির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। তার পরেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে বেড়াল!

    পার্থের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে কয়েকটি মেসেজের। তার একটি হল, এক ব্যক্তি পার্থকে লিখেছেন, দাদা মানিক ভট্টাচার্য ইজ টেকিং মানি যা তা ভাবে। কোভিডের সময় প্রাইভেট কলেজগুলো থেকে ছাত্র পিছু ও ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। ছাত্ররা দিতে না পারলে কলেজকে ধমকি দিয়েছে, তাদের হয়রান করছে। নদিয়ায় টেটের ইন্টারভিউ শেষ হয়েছে। কিন্তু ও চেয়ারম্যানকে বলেছে, ফাঁকা সাইন করা ডকুমেন্ট মাস্টার শিট জমা দিতে। ইন্টারভিউয়ের কোনও নম্বর লিখতে বারণ করছে। আবার ও টাকা নিয়ে করবে। আবার কেস হবে। আবার পার্টি খাস্তা হবে। প্লিজ এটা দেখুন। লাভ। ইডির দাবি, পরে এই মেসেজটি পার্থ রি-ফরোয়ার্ড করেন।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতার করে ইডি। মানিককে গ্রেফতার করা না হলেও, তাঁকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তার পরেই উঠে আসছে পার্থ-মানিক মেসেজ চালাচালির কথা। আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এরকম কয়েকটি মেসেজের উল্লেখ করেছে ইডি। চার্জশিটে ইডির তদন্তকারীরা বলেছেন, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একটি মেসেজ পাঠান মানিক। পলাশিপাড়ার বিধায়ক লেখেন, দশ মিনিট দিস, কাল বাড়ি যাব। মেসেজ পেয়ে পার্থ লেখেন ওকে। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি পার্থকে অন্য একটি মেসেজে মানিক লেখেন, ইন্টারভিড স্টার্টেড অল ওভার দ্য স্টেট। পার্থ লেখেন টিকেএস। তদন্তকারীদের দাবি, টিকেএস লিখে মানিককে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন পার্থ।

    জনৈক ব্যক্তি মানিক সম্পর্কে পার্থকে সতর্ক করে দিলেও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ। উল্টে তিনি মেসেজটি ফরওয়ার্ড করে দেন বলে ইডির দাবি। এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী, গ্রেফতারির ৬০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হয় চার্জশিট। এক্ষেত্রে গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল ইডি। ব্যাংকশাল কোর্টে বিশেষ সিবিআই আদালতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে মেসেজের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • SSC Scam: রাজসাক্ষী হচ্ছেন অর্পিতা! চার্জশিটে কী বলল ইডি?

    SSC Scam: রাজসাক্ষী হচ্ছেন অর্পিতা! চার্জশিটে কী বলল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) রাজসাক্ষী হতে চাইলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এই দাবি করেছে ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) সূত্রে খবর,তদন্তকারী আধিকারিকরা আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে অর্পিতাকে জেরা করতে যান। সেখানেই এই তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। অর্পিতার এই আর্জি যদি ইডি মেনে নেয় তাহলে তদন্তে নয়া মোড় আসতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জানা যেতে পারে কোটি কোটি টাকার উৎসও। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তাই যতই বলুন, যে তিনি শুধু স্বাক্ষর করেছেন, তাঁর দফতরের কর্মীরা বিষয়টি জানেন, তা আদপে ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। অর্পিতার বয়ান যদি সত্যি হয় তাহলে কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে বিশদে বলতে পারবেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীই। এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, পার্থের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে বিভিন্ন কোম্পানিতে বাবলির শেয়ার অর্পিতার নামে হস্তান্তর করা হয়েছিল। পার্থ-ঘনিষ্ঠ এক হিসাবরক্ষক অর্পিতাকে চাপ দিয়ে ওই শেয়ার হস্তান্তর করার বিষয়ে সম্মতি আদায় করেছিলেন, বলে লিখিত বয়ানে জানিয়েছেন অর্পিতা। ওই হিসাবরক্ষক তাঁকে বলেছিলেন, ‘পার্থের মেয়ে বিদেশে আছেন। কলকাতায় ফিরলে ওই শেয়ার তাঁর নামে ফেরত দেওয়া হবে। আপাতত অর্পিতার নামে হস্তান্তর করা হচ্ছে।’

    আরও পড়ুন: একে অপরকে দিচ্ছেন দোষ, নিজামে পার্থ-সুবীরেশদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই

    অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৪৯.৮০ কোটি টাকা এবং পাঁচ কোটি টাকার গয়না মিলেছিল। এই বিষয়ে অর্পিতা জানিয়েছেন, এগুলি সবই পার্থের। নেপাল, তাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া এবং আমেরিকার প্রচুর মুদ্রাও মিলেছিল অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে। যা নানা সময়ে নানা ব্যক্তি এসে রেখে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন অর্পিতা। তিনি এই টাকা-পয়সার উৎস সম্পর্কে কিছুই জানেন না যা জানেন প্রাক্তন মন্ত্রীই জানেন, বলে দাবি অর্পিতার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফরেনসিক রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই (CBI)। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ নিয়ে চারটি রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এতদিন শুধু অভিযোগ ছিল যে, নম্বর অদল-বদল করা হয়েছে। কিন্তু ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ‘হার্ড ডিস্কে থাকা উত্তরপত্র ও এসএসসির সার্ভারে থাকা উত্তরপত্রে নম্বর মিলছে না। হার্ডডিস্কে দেখা গিয়েছে কেউ ‘০’ বা ‘১’ নম্বর পেয়েছেন, কিন্তু এসএসসি সার্ভারে থাকা উত্তরপত্রে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ‘৫০’ কিংবা ‘৫৭’। গ্রুপ সি-তে ৩ হাজার ৪৮১ জনের নম্বর এবং গ্রুপ ডি-তে ২ হাজার ৮২৩ জনের নম্বর বদল হয়েছে। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত ৩টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে’।

    আরও পড়ুন: হদিশ মিলল সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানো ‘নিখোঁজ’ মানিকের! কোথায় তিনি?

    সিবিআই দাবি করেছে, নবম ও দশমের নিয়োগ মামলায় ৯০৭ জনের ওএমআর শিট জালিয়াতি করা হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়েছে এমন প্রার্থীদের নামের পাশেও বসেছে ৫৩ নম্বর। এসএসসি-র সার্ভারে সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য সেই সময় চেয়ারম্যান ছিলেন। সিবিআই জানিয়েছে, ধৃতরা মুখ খুলতে চাননি। কারণ তাঁরা জানেন সিবিআই থার্ড ডিগ্রি ব্যবহার করে না। এমনকী একজন ভয়েস স্যাম্পেল দিতেও রাজি হননি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এই নিয়োগ দুর্নীতিতে যে শিক্ষা দফতরও জড়িয়ে, সিবিআই রিপোর্টে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি শকড!’ ওদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘আমি স্পিচলেস!’

    আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    সিবিআই-এর কথা শোনার পর বিচারপতি কড়া ভাষায় বলেন, “যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন তাঁরা নিজেরা খুব ভালো মতন জানেন। তাঁদের অনুরোধ করব, চাকরি থেকে পদত্যাগ করুন। তা না হলে কড়া পদক্ষেপ করবে আদালত। যাঁরা পদত্যাগ করবেন না তাঁরা কোনও দিন সরকারি চাকরিতে আবেদনও করতে পারবেন না। বেআইনি চাকরি প্রাপকদের আলাদা সার্ভার ডেটা তৈরি করবে সিবিআই বা অন্য কেউ।” বিচারপতি আরও বলেন,”সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক সিবিআই। আমি এসএসসি ল-ইনচার্জ থাকার সময় সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি জানতাম তিনি জেন্টলম্যান। এখন সিবিআই তদন্তে যখন সামনে আসছে তাঁর সময়কালে  এতো অনিয়ম। বেআইনি চাকরি হয়েছে। আমার স্থির বিশ্বাস সুবীরেশ ভট্টাচার্য কোনও বড় প্রভাবশালী অঙ্গুলিহেলনে এই কাজ করেছেন। সেই প্রভাবশালীদের নাম জানাক সুবীরেশ ভট্টাচার্য।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: বোনকে চাকরি, স্ত্রীর নামের শেয়ারও অর্পিতাকে দেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    SSC Scam: বোনকে চাকরি, স্ত্রীর নামের শেয়ারও অর্পিতাকে দেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় আরও বেকায়দায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ইডির (ED) চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বোনকে চাকরি দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। অর্পিতার অনুরোধেই তাঁর চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন পার্থ। স্কুল শিক্ষা অধিকর্তার অফিসে চাকরি করেন তিনি। নাম সঙ্গীতা ধর। তাঁর আসল নাম সঙ্গীতা মুখোপাধ্যায়। বিয়ের পরে ধর হয়েছেন। ইডির দাবি, জেরায় সঙ্গীতাকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করে নিয়েছেন পার্থ। সঙ্গীতাকে অর্পিতার বোন হিসেবেই চিনতেন তিনি। স্ব-ক্ষমতাবলে তিনি সঙ্গীতার চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বলেও জেরায় স্বীকার করেছেন অর্পিতা-ঘনিষ্ঠ পার্থ। 

    ইডির আরও দাবি, অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটি টাকা পার্থের বলেও জেরায় স্বীকার করেছেন অর্পিতা। ওই টাকা রাখার জন্য অর্পিতা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ব্যবহার করতে দিতেন পার্থকে। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতার মতো সঙ্গীতাও পার্থের অফিস, বাড়ি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতেন। ভুয়ো নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টিও সঙ্গীতা জানতেন। চার্জশিটে ইডির আরও দাবি, শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন চাকরি বিক্রিতে যুক্ত ছিলেন পার্থ। কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করা হয় চারটি সংস্থাকে সামনে রেখে।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    অর্পিতার দাবি, তাঁর নামে যে অংশীদারি কোম্পানি খোলা হয়েছিল, সেই সংস্থায় অর্পিতার কোনও বিনিয়োগ ছিল না। তাঁর এও দাবি, অনন্ত টেক্সফ্যাব প্রাইভেট লিমিটেড নামে পার্থর কোম্পানির রেজিস্টার্ড অফিস যে তাঁর ক্লাবটাউনের ফ্ল্যাট, সেটাই জানা ছিল না তাঁর। অর্পিতার আরও দাবি, ওই সংস্থায় পার্থের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের শেয়ার ছিল। বাবলি প্রয়াত হওয়ার পরে সেই শেয়ার তাঁর নামে হস্তান্তর করা হয়। চার্জশিটে ইডিও এও জানিয়েছে, অর্পিতা একটি ফর্মাল আবেদন করেছেন। এসব ব্যাপারে যে তাঁর দায় নেই, তা বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। অর্পিতার এই আবেদন থেকেই কেউ কেউ মনে করছেন রাজসাক্ষী হতে চাইছেন অর্পিতা। তবে তিনি রাজসাক্ষী হবেন কিনা, তা বলবে সময়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ED Chargesheet: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    ED Chargesheet: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল ইডি (ED Filed Chargee sheet on SSC Case)। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। সূত্রের খবর, তাতে রয়েছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।পার্থ-অর্পিতার (Arpita Mukherjee) ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। দু দফায় অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সেই টাকার উৎস কী, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে পার্থ ও অর্পিতার নামে থাকা একাধিক সম্পত্তির হদিশ পান ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: কুয়েটের সঙ্গে জেইই এবং নীট সংযুক্তিকরণের পথে ইউজিসি? জানুন বিস্তারি‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    ইডির পেশ করা চার্জশিট সম্পর্কে এই বিষয়গুলি জেনে নিন:

    • মোট ১৭২ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি।
    • ট্রাঙ্কে ভরে নথি নিয়ে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
    • চার্জশিটে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম।
    • নিয়োগ দুর্নীতিতে ১০৩ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে বলে হয়েছে।
    • ৪০ টি অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি। যার মোট মূল্য ৪০.৩৩ কোটি টাকা।
    • মোট ৪৮.২২ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
    • বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, যাতে টাকার পরিমান ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা রয়েছে।
    • বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, জমি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
    • বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে অনেকগুলিই রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। এ ছাড়া শেল কোম্পানির নামেও রয়েছে বেশ কিছু সম্পত্তি।
    • গত ২৭ ও ২৮ জুলাই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০ কোটি নগদ টাকা ও প্রায় ৫ কোটি টাকার সোনা ও গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: শিক্ষক দিবসের দিন ‘যন্ত্রণা’ দিবস পালন করলেন বিক্ষোভরত হবু শিক্ষকরা 

    SSC Scam: শিক্ষক দিবসের দিন ‘যন্ত্রণা’ দিবস পালন করলেন বিক্ষোভরত হবু শিক্ষকরা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫৪০ দিন পার করেছে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান। রোদে-ঝড়ে-জলে ঠায় রাস্তায় বসে রয়েছেন একদল শিক্ষিত যুবক- যুবতী। তাও দু বছর হতে চলল। দাবি একটাই। নিজেদের হকের চাকরি। আর তার দাবিতেই বেছে নিয়েছেন এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পথ। কিন্তু সরকারের ঘুম ভাঙেনি। গত দুবছরেও সময় হয়নি তাঁদের সমস্যার সুরাহা করার। 

    আজ শিক্ষক দিবসের দিনে ৫৪০ দিন পার করেছে হবু শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভ। আজকের দিনে‌ তাঁদের অভিযোগ, নিয়োগ ঠিকঠাক হলে আজ তাঁরাও শিক্ষক হতেন। আজ তাঁরাও স্কুলে গিয়ে শিক্ষক দিবস পালন করতেন। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি তা হতে দেয়নি। তাই কলকাতার আজ পথে আজ প্রায় দু বছর ধরে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। রাস্তার ধারে ঝড়ে-জলে-কাদায় জীবন ওষ্ঠাগত। মায়া হয়নি প্রশাসনের। তাই তারই প্রতিবাদে এই শিক্ষক দিবসকে ‘‌যন্ত্রণা দিবস’‌ (Suffering) হিসেবে পালন করলেন বিক্ষোভরত এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত  

    এদিন সকাল থেকেই গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন এসএসসি–র (SSC SCAM) চাকরিপ্রার্থীরা। সবার মাথায় বাঁধা রয়েছে কালো কাপড়। হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‌চোখের জলে পালিত হচ্ছে শিক্ষক দিবস, আজ হবু শিক্ষকদের যন্ত্রণা দিবস।’‌ 

    যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো-অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল বলেছেন, ‘”খুবই কষ্টে কাটছে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের প্রতিটি দিন। যাদের নিয়োগ অগ্রাধিকার ছিল,তারা আজ বঞ্চিত হয়েছে। যারা সমাজ গঠনের কারিগর, আজ তাঁরা চোখের জলে ভাসছেন। কবে বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রার্থীরা (SSC SCAM) তাঁদের ন্যায্য চাকরি ফিরে পাবেন।’”

    আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! আদালতে কী বললেন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী?

    এক বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীর কথায়, তাঁদের জীবন থেকে ৬টা বছর নষ্ট হয়ে গেছে। সামনে দুর্গাপুজো আসছে। বাংলার ঘরে ঘরে খুশির উৎসব পালিত হবে, শুধু চোখের জলে ভাসবেন তাঁরাই। তাঁদের দাবি, দুর্গাপুজোর আগেই মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত সকলকেই নিয়োগপত্র দিতে হবে।  

    বৃষ্টি-রোদ মাথায় নিয়েও চলছে ধর্না। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। নেই পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা। নেই মহিলা টয়লেট। চাকরির দাবিতে তবুও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। পুজোর আগেই নিয়োগের দাবিতে সোচ্চার তাঁরা। 

    এছাড়া আরও এক অনন্য প্রদিবাদে শামিল হলেন হবু শিক্ষকরা। শিক্ষক দিবসের দিন আন্দোলনে শিক্ষকরা। বৃত্তিমূলক শিক্ষাদানকারী চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরা হাওড়া স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বাটি হাতে ভিক্ষা করে প্রতিবাদ করলেন। বিভিন্ন সরকারি ও সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে কারিগরি শিক্ষা দেন এই শিক্ষকরা। এজেন্সি মারফত রাজ্য সরকারের কারিগরি দপ্তর থেকে নিয়োগ করা হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এই শিক্ষকদের এই আন্দোলন পথচারীদের নজর কেড়েছে। ১৩০০ জন কর্মীর মধ্যে ৩৫০ জন ল্যাব কর্মীকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে নিয়মমতো বেতন না মেলার অভিযোগ।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SSC Scam: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসার দাদার নামে বিপুল জমির হদিশ! বেনামে মালিক প্রাক্তন মন্ত্রী-ই?

    SSC Scam: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসার দাদার নামে বিপুল জমির হদিশ! বেনামে মালিক প্রাক্তন মন্ত্রী-ই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC scam) ধৃত ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠের নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার তরফে আশঙ্কা করা হয়েছে যে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Teachers Recruitment Scam) প্রায় ১০০ কোটিরও বেশি দুর্নীতি হয়েছে। ফলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে আরও সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যাবে বলে মনে করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। তাই শুধুমাত্র জেলবন্দি পার্থ নয়, প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তিও খুঁজে বের করতে তৎপর তদন্তকারী সংস্থা।

    সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে সিবিআই এবার একাধিক জমির খোঁজ পেয়ছে, যা পার্থ ঘনিষ্ঠ মোনালিসা দাসের (Monalisa Das) দাদা, মানস দাসের বলে উঠে এসেছে। জানা যায়, শনিবার রানাঘাট-২ ব্লকের ভূমিরাজস্ব দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। সেখানে বিভিন্ন নথি ঘেঁটে রানাঘাট ২ ব্লকের পাঁচটি জায়গা— বৈদ্যপুর-১, বৈদ্যপুর-২, আনুলিয়া, পায়রাডাঙা ও শ্যামনগরে মানস দাসের নামে বেশ কয়েকটি জমির খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা।

    সিবিআই সূত্রে আরও জানা যায়, পায়রাডাঙার জমির মালিক দু’জন। মানস দাস ও তাঁর সহকারী মনোজ ঘোষ। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে যে এইসব জমিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও বিনিয়োগ আছে কি না। আর এই তথ্য খুঁজে বের করতেই তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এজন্য রানাঘাটে রেজিস্ট্রি অফিসেও কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এমনকি সেখান থেকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথি-দলিল। রেজিস্ট্রি অফিসের পাশাপাশি রানাঘাট এডিএসআর অফিসেও তদন্তকারীরা হানা দেন। আর সেখান থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক সহ বেশ কিছু নথি। আর এই সব নথিতেই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। কারণ নথিতে মানস দাসের পরিচয়ে একজন সমাজসেবী বলে উল্লেখ করা আছে। ফলে একজন সমাজসেবী হয়ে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হতে পারে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এর পেছনের রহস্য বের করতে সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখবে তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত

    অন্যদিকে এই মানস দাস ও মনোজ ঘোষের নামেও একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। বৈদ্যপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, মানস ও তাঁর সহকারী মনোজ নিজেদের পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচয় দিয়ে প্রচুর জমি ‘জবরদখল’ করেছেন। মন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ হওয়ার কারণে তাঁরা ভয়ে অভিযোগও জানাতে পারেননি। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, কেউ সাহস করে অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও এইক্ষেত্রে পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছে।

    যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলেই জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক মোনালিসা দাসের দাদা। এমনকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেউ যোগাযোগ করেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকাতে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, এইসব শুনে তিনি সমস্ত কিছু অস্বীকার করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত

    SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়কে চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। ৯ সেপ্টেম্বর আবার হাজিরা দেওয়ার কথা প্রসন্নর। ২৬ অগস্ট নিউটাউন থেকে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন প্রসন্ন কুমার রায়। শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত এসএসসি-র (SSC Scam তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং মিডলম্যান প্রদীপ সিং-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিউ টাউনের এই কোটিপতি প্রসন্ন রায়ের হদিশ পায় সিবিআই (CBI custody)। সেই মতোই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ।

    আরও পড়ুন: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    সোমবার, সকালে তাকে সিবিআইয়ে বিশেষ আদালতে তোলা হলে আদালতের তরফে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়নি। সিবিআইয়ের আইনজীবী তাঁকে আরও  জিজ্ঞাসাবাদ করার আর্জি জানায়। আদালতে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, এসএসএসি নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত রয়েছে। বহু টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। তদন্তে উঠে আসছে অনেকের নাম। কয়েকজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তাই তাঁরা আরও পাঁচদিনের জন্য প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে চায়। এমনকি প্রসন্ন রায় তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলেও সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়। সিবিআইয়ের আর্জি মেনে আদালত প্রসন্নকে চারদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠায়।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার মতো প্রসন্নরও রয়েছে ফিল্মি-যোগ? পার্থ-ঘনিষ্ঠদের ‘অপ’-কর্মেও মিল!

    অভিযোগ, সল্টলেকে প্রসন্নর একটি গাড়ি ভাড়ার অফিস রয়েছে। সূত্রের খবর, এই অফিস থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক তথ্য এবং নথি উদ্ধার করেছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, এই অফিসেই বসেই নাকি হত এসএসসি কাণ্ডের টাকার লেনদেন।  তদন্ত করে সিবিআই জানতে পেরেছে, প্রায়ই রাতে একাধিক গাড়ি করে আসত টাকা। সেই টাকা কোথা থেকে আসত, কে পাঠাত, কোথায় যেত, কার কাছে যেত— এই সব প্রশ্নের উত্তর বিশদে জানতে প্রসন্নকে আরও কিছুদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
LinkedIn
Share