Tag: ssc scam

ssc scam

  • Amit Shah Suvendu Meet: “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    Amit Shah Suvendu Meet: “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দিল্লিতে অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক করলেন শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। এসএসসি দুর্নীতির (SSC scam) তদন্তের বিষয়ে জানানোর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Union Home Minister) বাংলার প্রায় ১০০ জন তৃণমূল (TMC) নেতার নাম জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (West Bengal Opposition Leader)। এছাড়া ওই বৈঠকে কথা হয়েছে বাংলায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) প্রয়োগ নিয়েও। এদিন বেলা বারোটায় সংসদ ভবনে অমিত শাহের অফিসে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু৷ প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে দু’ জনের মধ্যে একান্তে কথা হয়৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা ট্যুইট করে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা৷ তিনি নিজেই জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড এবং সিএএ নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে৷

    আরও পড়ুন: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    বৈঠক শেষ করে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল নেতা-নেত্রী-সহ ১০০ জনের নাম জমা দিয়েছি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। ৪ বিধায়কের লেটারপ্যাড-সহ বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ জমা দিয়েছি’। বৈঠকের পর অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। তিনি আরও বলেন, ‘ আমি ১০০’র বেশি বিধায়ক এবং তৃণমূলের কালেক্টরের নাম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েছি। যারা বাংলায় এই ঘুষের চক্র চালিয়েছে, এবং টাকা তুলেছে।’ পরে ট্যুইটারে শুভেন্দু লেখেন, ‘সংসদ ভবনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ৪৫ মিনিট ধরে কথা বলতে পেরে আমি সম্মানিত৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারী কীভাবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে, তা তাঁকে জানিয়েছি৷ যত দ্রুত সম্ভব সিএএ চালু করার জন্যও তাঁকে অনুরোধ করেছি৷’

     

    সূত্রের খবর, বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফাতারি ও এসএসসি দুর্নীতি শাসকদলকে চাপে ফেলতে বিজেপির আগামীদিনের কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিজেপি (BJP) চাইছে রাজ্যের এসএসসি দুর্নীতি ইস্যুকে জাতীয় স্তরে নিয়ে যেতে। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির ঘটনাকে অস্ত্র করে কীভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা যায়, তা নির্ধারণ করার জন্য বিরোধী দলনেতাকে পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর সংসদে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) সহ বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু৷ এরপর প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু৷

    আরও পড়ুন: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

    আগামী ৭ অগাস্ট নীতি আয়োগের (Niti Aayog) বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দিল্লি (Delhi) সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আলাদা বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বাংলায় (West Bengal) ইডি সক্রিয় হয়ে ওঠায়, গোপন বোঝাপড়ার জন্য দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যখন উনি সংকটে পড়েন, ত্রাহি মধুসূদনম বলে দিল্লি চলে যান। নিজের লোকেরা বিগড়ে যাচ্ছে এইসব দেখতে ভালো লাগে না তাই একটু শান্তির জন্য দিল্লি যাচ্ছেন।

  • Partha-Arpita: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    Partha-Arpita: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জানিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়  (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) মধ্যে ‘যোগাযোগ’ ২০১২ সাল থেকে চলে আসছে। তখন থেকেই দুজন মিলে আর্থিক বোঝাপড়া তখন থেকেই চলছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের। তদন্তকারীদের দাবি, শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট (Primary TET) দুর্নীতিতেও। 

    এসএসসি কাণ্ডে পার্থ-অর্পিতার হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইডি (ED)। ভুবনেশ্বর এইমসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলায় ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রীকে। অন্যদিকে, ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ ইডি আদালতে সশরীরে হাজির ছিলেন অর্পিতা। সেখানে, পার্থ-অর্পিতার হেফাজতের আবেদন চেয়ে তদন্তকারী সংস্থার তরফে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি পেশ করা হয়।

    ইডি-র তরফে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সূর্যপ্রকাশ ভি রাজু দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। দু-জনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।  মন্ত্রীর বাড়ি থেকে অর্পিতার বেশকিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। এমনকি পার্থ ও অর্পিতার এই ‘যুগলবন্দি’ যে ২০১২ সাল থেকে চলছিল, তাও আদালতে জানায় ইডি। তদন্তকারীদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, তল্লাশি অভিযানে ২০১২ সালের একটি দলিল মিলেছে, যা থেকে জানা গেছে তাঁরা দু’জনে মিলে একটি জমি কিনেছিলেন।

    আরও পড়ুন: সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হল মন্ত্রীকে, আজই মুখোমুখি জেরা পার্থ-অর্পিতাকে?

    শুধু তাই নয়, ইডি-র তরফে আরও বলা হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে গ্রুপ-ডি কর্মীর প্রচুর পরিচয়পত্র এবং প্রাথমিক শিক্ষকদের নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তা থেকেই স্পষ্ট হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র গ্রুপ-ডি ও এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতিতে নন, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত। এর সঙ্গেই, ইডি-র তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় এই মর্মে যে, অবৈধভাবে চাকরি বিক্রির টাকা দিয়ে চলত বিভিন্ন ধরনের আর্থিক তছরুপ কর্মকাণ্ড। 

    ইডি জানিয়েছে, প্রথম থেকেই তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না মন্ত্রী। উল্টে, একবার ইডি-র তরফে এও দাবি করা হয়, এসএসকেএমে পৌঁছনোর পর একেবারে ‘ডন’-এর মতো আচরণ শুরু করেছিলেন পার্থ। ইডি আধিকারিকদের হুমকি দিচ্ছিলেন। ইডি-র দাবি, তৃণমূল মহাসচিব বলেছিলেন— ‘এটা আমার হাসপাতাল। এখানে আমি যা খুশি করব। যেমন খুশি রিপোর্ট বার করব।’

    আরও পড়ুন: ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা, ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরলেন মন্ত্রী

  • Arpita Mukherjee: টালিগঞ্জের পর বেলঘরিয়া! অর্পিতার আরেকটি ফ্ল্যাটেও মিলল বিপুল টাকার হদিশ!

    Arpita Mukherjee: টালিগঞ্জের পর বেলঘরিয়া! অর্পিতার আরেকটি ফ্ল্যাটেও মিলল বিপুল টাকার হদিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টালিগঞ্জের পর এবার বেলঘরিয়া। ফের ইডি-র হাতে এল ‘কুবেরের ধন’। এবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে মিলল বিপুল টাকার হদিশ। টাকা গুনতে মেশিন সমেত এসেছেন ব্যাঙ্ককর্মীরা।

    মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেতে কলকাতার একাধিক জায়গায় একযোগে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বেলঘরিয়ার অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কসবায় সংস্থার অফিস— সর্বত্র তল্লাশি চালায় তদন্তকারীরা।

    এদিন দুপুরে রথতলা এলাকায় অভিজাত ক্লাবটাউন হাইটসে পৌঁছে যায় ইডি তদন্তকারী দল। সেখানে রয়েছে অর্পিতার ২টি ফ্ল্যাট। একটি ১১০০ ও আরেকটি ১৪০০ স্কোয়ার ফিটের। ২টি ফ্ল্যাটের একটি রয়েছে ব্লক-২ তে, আরেকটি ব্লক-৫ তে। ২টি ফ্ল্যাটই ছিল  তালাবন্ধ। তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে তল্লাশি শুরু করে ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

    সূত্রের খবর, দুটি ফ্ল্যাটে আলমারি থেকে শুরু করে একাধিক ওয়ার্ড্রোব ও লকারের সন্ধান পায় ইডি। সেগুলো খুলতেই বেরিয়ে পড়ে টাকার পাহাড়। এখনও পর্যন্ত ইডির তরফে জানানো হয়নি, ঠিক কত পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে, চারটি নোট গোনার মেশিন আনা হয়েছে। ফলে, সহজেই অনুমেয়, টালিগঞ্জের মতো এখানেও ‘যক্ষের ধন’ রাখা ছিল। 

    এর আগে, গত শুক্রবার, টালিগঞ্জে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেখান থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ৭৯ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না। এছাড়া ৫৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার হয় ফ্ল্যাট থেকে। একেবারে, ২ হাজার ও ৫০০-র নোটের ২ বস্তা ভর্তি বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা উদ্ধার করা হয়। 

    আরও পড়ুন: জোকা ইএসআই-তে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পার্থ-অর্পিতার, কী খেতে দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রীমশাইকে?

    ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অর্পিতা জানিয়েছেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বাড়িটিকে ‘মিনি ব্যাঙ্ক’ হিসাবে ব্যবহার করতেন। কিন্তু ঘর ভর্তি টাকা থাকলেও সেই ঘরে যেতে পারতেন না তিনি। নিষেধ ছিল মন্ত্রীমশাইয়ের। অর্পিতার দাবি, প্রতি সপ্তাহে কিংবা প্রতি ১০ দিন অন্তর মন্ত্রী তাঁর বাড়িতে যেতেন। কিন্তু কোনদিনও পার্থ প্রকাশ করেননি যে ওই ঘরে কত টাকা রয়েছে। 

  • Partha Arpita: জোকা ইএসআই-তে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পার্থ-অর্পিতার, কী খেতে দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রীমশাইকে?

    Partha Arpita: জোকা ইএসআই-তে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পার্থ-অর্পিতার, কী খেতে দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রীমশাইকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশমতো ইডি (ED) হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) আজ মেডিক্যাল চেক-আপ (Partha Arpita Medical checkup) করানো হচ্ছে। এর জন্য পার্থ-অর্পিতাকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে (Joka ESI Hospital) নিয়ে গেছেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য প্যারামিটার পরীক্ষা করা হবে। 

    আদালতের নির্দেশে এর আগে, সোমবার ভুবনেশ্বর এইমস-এ (Bhubaneswar AIIMS) স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় বর্তমান শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিবের। সেখানে মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওজন এখন ১১১ কিলো। ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন পার্থ। মন্ত্রীমশাইয়ের রয়েছে ডায়াবেটিস, প্রেসার, থাইরয়েডের সমস্যা। তবে, অসুস্থতা তেমন গুরুতর নয়। ফলে হাসপাতালে ভর্তি করার কোনও প্রয়োজন নেই। বাড়ি থেকেই নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।

    আরও পড়ুন: বিধানসভায় ফিরল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি, ছাড়তে চলেছেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনা

    এরপরই সোমবার রাতে এসএসসি কাণ্ডে প্রাক্তন শিফামন্ত্রী পার্থ ও অর্পিতাকে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই সঙ্গে ইডি-কে নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রতি ৪৮-ঘণ্টা অন্তর পার্থ ও অর্পিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে। আদালতের নির্দেশে অনুযায়ী, আজ বুধবার, পার্থ-অর্পিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। 

    ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নেবুলাইজার দেওয়া হয়। এর জন্য ইডি’র তদন্তকারী অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে ফোন করে নেবুলাইজার এবং স্লিপ কার্ট ম্যাট্রেস চেয়ে পাঠান। এই বিশেষ ম্যাট্রেসেই ঘুমোন পার্থ।  সেগুলি রাতেই পৌঁছে যায় সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex)। ইডি সূত্রে খবর, ভুবনেশ্বরের এইমস নেবুলাইজার ও স্লিপ কার্ট মন্ত্রীর জন্য সুপারিশ করেছিল। সেই মতো মন্ত্রীর বাড়ি থেকে আনানো হয় নেবুলাইজার ও স্লিপ কার্ট।

    আরও পড়ুন: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    এদিকে, ভুবনেশ্বর এইমস থেকে পার্থকে ‘ডায়াবেটিক চার্ট’ (Diabetic Diet chart) তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ইডি হেফাজতে খেতে দেওয়া হচ্ছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। ইডি সূত্রের খবর, সোমবার পার্থকে লাঞ্চে দেওয়া হয় রুটি, ডাল, সবজি, টকদই। সন্ধেয় লিকার চা। রাতে দেওয়া হয় রুটি, তরকারি।

  • Arpita Mukherjee: যকের ধন! অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২৮ কোটি নগদ, ৪ কোটি মূল্যের সোনা

    Arpita Mukherjee: যকের ধন! অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২৮ কোটি নগদ, ৪ কোটি মূল্যের সোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)  ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement DIrectorate) ১৮-ঘণ্টার অভিযান শেষ। ৮টি ট্রাঙ্ক ভর্তি নগদ ও গয়না নিয়ে বেরোলেন তদন্তকারীরা। 

    বুধবার বেলায় এসএসসি-কাণ্ডে (SSC scam) ধৃত, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি (ED)। তালা ভেঙে শুরু হয় তল্লাশি। তারপরই সেখানেও লেগে যায় জ্যাকপট। টালিগঞ্জে হরিদেবপুরের পরে অর্পিতার বেলঘরিয়ায় রথতলার ফ্ল্যাটেও টাকার পাহাড়ের হদিশ। ইডি সূত্রে খবর, ১৮ ঘণ্টার অপারেশনে ক্লাবটাউন হাইটসের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৮ কোটি নগদ। এছাড়াও, মিলেছে প্রায় ৬ কেজি বেশি সোনা। যার মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর রুপোর কয়েনও। অর্পিতার ফ্ল্যাটে শোওয়ার ঘর ও শৌচাগার থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা ও সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। 

    আরও পড়ুন: ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

    এর আগে, অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ২২ কোটি নগদ। যা নিয়ে গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটে লিখেছিলেন, “টান টান উত্তেজনা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর কে জিতবে, বেলঘরিয়া না টালিগঞ্জ?…” শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করল বেলঘরিয়াই। এখানেও ২ হাজার ও ৫০০-র নোটে করা ছিল বাণ্ডিল। রাতভর গণনা শেষে বৃহস্পতিবার ভোরে ১০টি ট্রাঙ্ক নিয়ে যাওয়া হয় ফ্ল্যাটে। বৃহস্পতিবার সকালে নামিয়ে আনা হয় ট্রাঙ্কগুলি। মোট ৭টি ট্রাঙ্কে টাকা ও একটি ট্রাঙ্কে সোনা বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয়।  সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া টাকা ও নগদ রাখা হবে স্ট্র্যান্ড রোডে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কলকাতা সদর দফতরে। 

    ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অর্পিতা জানিয়েছেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বাড়িটিকে ‘মিনি ব্যাঙ্ক’ হিসাবে ব্যবহার করতেন। কিন্তু ঘর ভর্তি টাকা থাকলেও সেই ঘরে যেতে পারতেন না তিনি। নিষেধ ছিল মন্ত্রীমশাইয়ের। অর্পিতার দাবি, প্রতি সপ্তাহে কিংবা প্রতি ১০ দিন অন্তর মন্ত্রী তাঁর বাড়িতে যেতেন। কিন্তু কোনদিনও পার্থ প্রকাশ করেননি যে ওই ঘরে কত টাকা রয়েছে। বিরোধীদের দাবি, এটা স্রেফ হিমশৈলের চূড়া মাত্র। সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাচ্ছে এই বাস্তব ঘটনা। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে, ইডি একেকটা ফ্ল্যাটে হানা দিচ্ছে, আর উদ্ধার হচ্ছে পাহাড় প্রমাণ কোটি কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: জোকা ইএসআই-তে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পার্থ-অর্পিতার, কী খেতে দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রীমশাইকে?

    রথতলা এলাকায় অভিজাত ক্লাবটাউন হাইটসে পৌঁছে যায় ইডি তদন্তকারী দল। সেখানে রয়েছে অর্পিতার ২টি ফ্ল্যাট। একটি ১১০০ ও আরেকটি ১৪০০ স্কোয়ার ফিটের। ২টি ফ্ল্যাটের একটি রয়েছে ব্লক-২ তে, আরেকটি ব্লক-৫ তে। এদিন দ্বিতীয় ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় তদন্তকারী দল। ইডি সূত্রে দাবি, টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটের মতো এই ফ্ল্যাটেও একটি ঘরে অনেক ওয়ার্ড্রোব ছিল। সেই ওয়ার্ড্রোবগুলি খুলতেই দেখা যায়, তার ভিতরে থরে থরে সাজানো দু’হাজার এবং পাঁচশো টাকার নোটের বান্ডিল।  ইডি সূত্রে দাবি, একটি-দু’টি ওয়ার্ড্রোব নয়, সবক’টি ওয়ার্ড্রোবেই ঠাসা ছিল নগদ টাকা! টাকা গুনতে নিয়ে আসা হয় ৫টি অত্যাধুনিক বড় মেশিন। এক-একটি মেশিনে মিনিটে ৪ হাজার নোট গোনা যায়।

  • Partha Chatterjee: বিধানসভায় ফিরল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি, ছাড়তে চলেছেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনা

    Partha Chatterjee: বিধানসভায় ফিরল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি, ছাড়তে চলেছেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী নিজে ইডি হেফাজতে। অথচ, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তাঁর গাড়ি! সত্যিই তো, না কি চোখের ভুল? মঙ্গলবার এমন দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন গুটিকয়েক মানুষ। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? ওইদিন বিকেলে আচমকা বিধানসভায় দেখা মেলে ডাব্লিউ বি ১০-০০০৬ নম্বর প্লেটের গাড়ির। বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংবাদিককূল— যাঁরা বিধানসভায় নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাঁরা সকলেই জানেন, এই গাড়ির সওয়ারি কে। কিন্তু তাঁর এখানে আসাটা কী করে সম্ভব? কারণ যিনি চড়েন, সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো এখন সিজিও কমপ্লেক্সে, ইডি হেফাজতে। 

    পরে জানা যায়, পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে বিধানসভা থেকে তাঁকে যে গাড়ি দেওয়া হয়েছিল, তা ফেরত পাঠিয়েছেন পার্থ। ২০১১ সালের ২০ মে শপথগ্রহণের পর থেকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন পার্থ। বিধানসভার দস্তুর অনুযায়ী, পরিষদীয় মন্ত্রীর গাড়ির ব্যবস্থা হয় বিধানসভা থেকে। সেই মতো, পার্থকে এই গাড়ি দিয়েছিল বিধানসভা।

    আরও পড়ুন: “বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড এত নরম নয় যে…”, কী প্রেক্ষিতে বললেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী?

    সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলেই পার্থর দফতর থেকে বিধানসভাকে জানানো হয়, মন্ত্রী গাড়ি ফেরত দিতে বলেছেন। সেই মতো, মঙ্গলবার বিকেলে সেই গাড়িই ফেরে বিধানসভার গ্যারাজে। গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয় বিধানসভা কর্তৃপক্ষের হাতে। চালক গাড়িটি বিধানসভা চত্বরে রেখে বিধানসভার কেয়ারটেকারের হাতে চাবি ফেরত দেন।

    কিন্তু কেন গাড়ি ফেরত দিলেন পার্থ? এই প্রশ্ন ঘিরে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। বর্তমানে পরিষদীয় দফতর ছাড়াও শিল্প ও বাণিজ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের দায়িত্বে আছেন পার্থ। একাংশের মতে, হতে পারে মন্ত্রীমশাই বুঝে গিয়েছেন, তিনি এখন কবে বের হবেন, তা ঠিক নেই। তাই গাড়ি ফেরত দিয়ে দেওয়াই শ্রেয়। 

    আবার অন্য অংশের মতে, সম্ভবত দলের মনোভাব টের পেয়ে গিয়েছেন পার্থ। হতে পারে, তাঁকে পরিষদীয় নেতার পদ খোয়াতে হতে পারে। তা বুঝতে পেরেই হয়ত তিনি গাড়ি ফেরত দিয়েছেন। এমনও হতে পারে, সরানোর আগেই, তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন পার্থ। তাই আগেভাগে গাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিলেন।

    আরও পড়ুন: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

  • Cash Recovered: ফের উদ্ধার মোটা অঙ্কের টাকা, পুলিশ হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক

    Cash Recovered: ফের উদ্ধার মোটা অঙ্কের টাকা, পুলিশ হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার পর এবার হাওড়া (Howrah)। ফের উদ্ধার প্রচুর নগদ টাকা (Cash)। পুলিশের (Police) জালে ভিন রাজ্যের তিন কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক। তাঁদের গাড়ি থেকেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে বান্ডিল বান্ডিল নোট। কার টাকা, নিয়েই বা যাওয়া হচ্ছিল কোথায়, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    শনিবারই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) পার্থ-অর্পিতা ইস্যুতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) নেতৃত্বে পথে নেমেছিল কংগ্রেস। এদিন রাতে তাঁদেরই দলের তিন বিধায়কের কাছ থেকে উদ্ধার হল বিপুল নগদ অর্থ। এ নিয়ে টুইটে সরব বাংলার শাসকদল তৃণমূল। তাদের প্রশ্ন,  ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলা ও ঘোড়া কেনাবেচার গুঞ্জনের মধ্যেই বাংলায় তিন কংগ্রেস বিধায়কের কাছ থেকে বিপুল নগদ উদ্ধার হল। এই টাকার উৎস কি খতিয়ে দেখবে ইডি? স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করবে?  নাকি এই তৎপরতা শুধুমাত্র বাছাই করা কয়েকজনের জন্যই?

    পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে জামতাড়াগামী একটি কালো গাড়িতে করে টাকা পাচার হচ্ছিল বলে সূত্র মারফত খবর পেয়েছিল হাওড়া পুলিশ। সেই সূত্রেই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন পাঁচলার রানিহাটি মোড়ের কাছে তল্লাশি চালায় পাঁচলা ও সাঁকরাইল থানার পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের বিধায়কের স্টিকার লাগানো একটি কালো গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নোট ভরতি দু’টি কালো ব্যাগ। সেই গাড়িতে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক- রাজেশ কচ্ছপ, নমন বিকসাল এবং ইরফান আনসারি। পুলিশ সূত্রে খবর, চালক-সহ মোট ৫ জন ছিলেন গাড়িতে। এত নগদ কোথায়, কী উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তার স্বপক্ষে কোনও নথি দেখাতে পারেননি তাঁরা। এরপরেই তিন কংগ্রেস বিধায়ককে আটক করা হয়।

    আরও পড়ুন :এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    জানা গিয়েছে, এদিনই দমদম বিমানবন্দরে নেমে সড়কপথে ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। আপাতত পাঁচলা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই বিধায়কদের। তাঁদের কাছে উদ্ধার হওয়ার টাকার পরিমাণ জানতে আনা হয়েছে চারটি কারেন্সি কাউন্টিং মেশিন। দু’টি ব্যাগে এখনও পর্যন্ত ৪৯ লক্ষ টাকা মিলেছে বলে পুলিশের একটি সূত্রের খবর। হাওড়া জেলার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) স্বাতী ভাঙারিয়া জানান, আমাদের কাছে আগাম খবর ছিল। সেই সূত্র ধরেই কালো গাড়িটি আটক করা হয়। 

    এদিন টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সরব তৃণমূল। গাড়ির ডিকিতে থাকা নোটের বান্ডিলের ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূলের প্রশ্ন, ইডি কি শুধুমাত্র কয়েকজন ব্যক্তির ক্ষেত্রেই তৎপর?  বিষয়টি ইডির নজরে এনে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিকে ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দল বিজেপির তরফে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন : এসএসসি-র বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে গোছা গোছা ‘নকল’ নিয়োগপত্র, মাথা কে?

  • SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। সেই টাকার উৎস খুঁজতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এদিন ইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) দাবি করলেন, ওই টাকা তাঁর নয়। তবে টাকাটা কার, তাও খোলসা করেননি তিনি।

    স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এদিন পার্থ এবং অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে ঢোকার মুখে পার্থ জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও টাকা নেই। কার টাকা?  জবাবে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, সময় এলেই বুঝবেন। বেরনোর সময় ফের উদ্ধার হওয়া টাকা সম্পর্কে একই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি  টাকার ওপর। ঘটনাটিকে পার্থ ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন। টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। হতে হয়েছে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডও। এসব সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিলেও, টাকা নিয়ে কোনও কথা এতদিন বলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। এদিন বললেন। দু’বার দু’রকম। হাসপাতালে ঢোকার মুখে বললেন আমার কোনও টাকা নেই। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় বললেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    পার্থের এই প্রতিক্রিয়ার পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাইপো টাকাটা রাখতে দিয়েছেন। অপা সিন্ডিকেটের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নির্দেশ দিতেন ভাইপো, কয়লা ভাইপো। শুভেন্দুর কথায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অপা ওই টাকার কাস্টডিয়ান বা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তাঁর দাবি, ভাইপোর নিজের, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বহু কালেক্টর রয়েছেন, যাঁরা টাকা সংগ্রহ করেন। শুভেন্দু বলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায় বিনয় মিশ্রের মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন। ব্যানার্জি-চ্যাটার্জির যৌথ ষড়যন্ত্র এসব।

    এদিকে, পার্থ-অর্পিতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এদিন আরও ৮ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

  • SSC Scam: ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

    SSC Scam: ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বাড়ি ছিল মিনি ব্যাঙ্ক। সেখানে টাকা জমা করে রাখা হত। কিন্তু সেই টাকায় হাত দেওয়ার অধিকার ছিল না তাঁর। ইডির জেরায় এমনই দাবি করলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ইডির জেরায় একথা জানান পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। তিনি বলেন, “আমার বাড়িতে টাকা রাখা থাকলেও, সেই টাকায় হাত দেওয়ার অধিকার একমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর সঙ্গী সাথীদেরই ছিল। আমার ফ্ল্যাটের একটি ঘরে থাকত ওই সমস্ত টাকা। কিন্তু ওই ঘরে প্রবেশের অধিকার আমার ছিল না।”

    ইডি সূত্রে খবর, ক্রমশ মুখ খুলছেন অর্পিতা। একে একে ইডি আধিকারিকদের তথ্য দিতে শুরু করেছেন তিনি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বাড়িটিকে ‘মিনি ব্যাঙ্ক’ হিসাবে ব্যবহার করতেন। কিন্তু ঘর ভর্তি টাকা থাকলেও সেই ঘরে যেতে পারতেন না তিনি। নিষেধ ছিল মন্ত্রীমশাইয়ের। অর্পিতার দাবি, প্রতি সপ্তাহে কিংবা প্রতি ১০ দিন অন্তর মন্ত্রী তাঁর বাড়িতে যেতেন। কিন্তু কোনদিনও পার্থ প্রকাশ করেননি যে ওই ঘরে কত টাকা রয়েছে। অর্পিতা জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে পার্থ এবং অর্পিতার ঘনিষ্ঠতা। এক বাঙালি অভিনেতার মারফত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের হাতে কখনওই কোনও টাকা ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে আসেননি। সমস্ত টাকাই আসত তাঁর সঙ্গী-সাথীদের মারফত।

    আরও পড়ুন: ইডি দফতরে হাজির মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

    জানা গিয়েছে, অর্পিতার আইনজীবী এই সমস্ত তথ্যকে সামনে রেখেই আগামী শুনানিতে তাঁর জামিনের জন্য লড়াইয়ে নামবেন। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা। ইডির আধিকারিকরা অর্পিতার বাড়ি থেকে একটি কালো ডাইরিও উদ্ধার করেছেন। ওই ডাইরিতে কী রয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ, ওই ডায়েরিতেই দুর্নীতির টাকার বিস্তারিত হিসাব লিখে রাখতেন অর্পিতা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, এই টাকা এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার টাকা এবং এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এরপরেই পার্থ এবং অর্পিতাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। আপাতত ৩ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁরা দুজনেই ইডির হেফাজতে থাকবেন। 

  • Partha Chatterjee: ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা, ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরলেন মন্ত্রী

    Partha Chatterjee: ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা, ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরলেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC recruitment scam) শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) আগামী ৩ অগাস্ট পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। একইসঙ্গে একই সময় পর্যন্ত ইডি (ED) হেফাজতে পাঠানো হল তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। 

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে শুক্রবার অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেখান থেকে শিক্ষা দফতরের খামে মোড়া প্রায় নগদ ২২ কোটি টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে উদ্ধার হয় বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ সোনা। এরপরই, এই কাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে পার্থ ও অর্পিতাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইডি।

    আরও পড়ুন: ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন পার্থ, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল এইমস

    আদালতে ইডি দাবি করে, পার্থ ও অর্পিতার যৌথ সম্পত্তি রয়েছে। মন্ত্রীর বাড়ি থেকেও অর্পিতার নামে বিভিন্ন সংস্থার নথি ও সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্টে জানিয়েছে ইডি। ইডি-র মতে, এই দুজন বেআইনি আর্থিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, বেআইনি নিয়োগের এই দুর্নীতি-চক্রে বহু প্রভাবশালীই জড়িত। গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন যে, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ২২ কোটি টাকা কিছুই নয়, বরং এর থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে বাংলাদেশে হাওয়ালার মাধ্যমে ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে।

    ফলে, তদন্তের সুবিধার্থে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের তাদের হেফাজতে পাঠানো হোক। অর্পিতার জন্য ১৩ দিনের হেফাজতের আর্জি জানানো হয়। অন্যদিকে, জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থর আইনজীবী। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি-র বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শেষে পার্থর আবেদন খারিজ করেন বিচারক। মন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠকে ১০ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় আদালত। শুনানির সময় আদালতের লক-আপেই ছিলেন অর্পিতা। রায় বেরনোর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানে ইডি লক-আপে রাখা হয় অর্পিতাকে। 

    আরও পড়ুন: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

    অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশে ভুবনেশ্বর এইমসে (AIIMS Bhubaneswar) যাওয়া পার্থকে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়েছিল। এদিনই, ভুবনেশ্বর এইমসে যাওয়া পার্থকে ‘ফিট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে মেডিক্যাল রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে, মন্ত্রীর যা সমস্যা রয়েছে তা ক্রনিক। যে ওষুধ তিনি খাচ্ছেন তা চালিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই কারণ, ভর্তি করার মতো অবস্থা নয়। 

    হাসপাতালের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার কিছু পরেই কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়। পার্থকে আজই ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কলকাতায় বিশেষ আদালতের রায় বের হতে দেরি হওয়ায়, রাতে ভুবনেশ্বরেই থাকতে হয় পার্থকে। মঙ্গলবার, ভোরের বিমানে করে কলকাতায় ফিরেছেন তৃণমূল মহাসচিব। সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামে পার্থ-র বিমান। 

LinkedIn
Share