Tag: Supreme court

Supreme court

  • RG Kar Incident: বাড়িতে সাত ঘণ্টা তল্লাশির পর ইডির হাতে আটক সন্দীপের ‘পিএ’ প্রসূন

    RG Kar Incident: বাড়িতে সাত ঘণ্টা তল্লাশির পর ইডির হাতে আটক সন্দীপের ‘পিএ’ প্রসূন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Incident) আর্থিক দুর্নীতি মামলায় কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে আটক করল ইডি ৷ সন্দীপ ঘোষের পিএ বলে পরিচিত প্রসূনের সুভাষগ্রামের বাড়িতে শুক্রবার সকালে হানা দেয় ইডি। সেখানে প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রসূনকে আটক করা হয়েছে ৷ সূত্রের খবর, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ক্যানিংয়ের নারায়ণপুর মৌজায় সন্দীপের দ্বিতল ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’ বাংলোয়।

    ৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর আটক

    শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামে প্রসূনের বাড়িতে যান ইডির বেশ কয়েক জন আধিকারিক। তার পর টানা তল্লাশি শুরু হয়। দুপুর ২টো নাগাদ প্রসূনকে আটক করে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসা হয়। প্রায় ৭ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে আটক করা হয়েছে। প্রসূনের বাড়ির বাইরে স্থানীয় কয়েক জন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দেন। 

    কে এই প্রসূন?

    ‘সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন প্রসূন। প্রসূন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন। প্রসূন নিজেকে সন্দীপ ঘোষের পিএ বলে পরিচয় দিতেন। অভিযোগ, তিনি নাকি ন্যাশনাল মেডিক্যালে রেজিস্টার খাতায় নিজের নাম এন্ট্রি করে চলে যেতেন আরজি করে। ঘটনার দিনও খাতায় তাঁর সই ছিল বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে ঘটনার দিন যাঁদের ক্রাইম সিনে দেখা গিয়েছিল, সেই তালিকায় ছিল প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের নাম। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: আরজি কর আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে চলবে সিবিআই তদন্ত, সুপ্রিম-ধাক্কা সন্দীপ ঘোষের

    প্রসূনের প্রতিপত্তি

    সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে প্রসূনের সম্পর্ক প্রায় সবারই জানা। একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের এত প্রতিপত্তি কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামে তিনতলা বাড়ি রয়েছে প্রসূনের। সেখানেই এদিন তল্লাশি চালানো হয়। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মাত্র কয়েক বছরেই প্রসূনে সম্পত্তি বাড়ে উল্লেখযোগ্যভাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Corruption Case: আরজি কর আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে চলবে সিবিআই তদন্ত, সুপ্রিম-ধাক্কা সন্দীপ ঘোষের

    RG Kar Corruption Case: আরজি কর আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে চলবে সিবিআই তদন্ত, সুপ্রিম-ধাক্কা সন্দীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Corruption Case) জেরে সামনে আসা আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের উপর হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। সিবিআইকে স্টেটাস রিপোর্টও জমা দিতে বলে আদালত।

    সুপ্রিম দুয়ারে প্রত্যাখ্যান সন্দীপের আর্জি

    আরজি করে (RG Kar Corruption Case) আর্থিক দুর্নীতির ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সন্দীপ ঘোষের ফাইল করা আবেদন খারিজ হয়ে গেল শুক্রবার। সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) আবেদন ছিল, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং মূল যে ধর্ষণের মামলা, পুরো বিষয়টি একসঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। তাতেই আপত্তি তাঁর। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের আলাদা স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। আদালত জানিয়েছে, এই মুহূর্তে এই মামলার কোনও গুরুত্ব নেই। তাই শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে গেল আবেদন।

    আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা ইডির, তালা খুলে ঢুকলেন অফিসাররা

    কেন খারিজ সন্দীপের (Sandip Ghosh) আবেদন

    শুক্রবার সন্দীপের মামলায় (RG Kar Corruption Case) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, সিবিআই তদন্তের উপর এখনই তারা হস্তক্ষেপ করছে না। এই ঘটনার তদন্ত যে স্বচ্ছভাবে হচ্ছে, তা নিশ্চিত করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে। এদিন সন্দীপের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ। এদিন সন্দীপের (Sandip Ghosh) আইনজীবী জানান, তাঁরাও চান সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করুক বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে।  জবাবে, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা- দু’জনেরই পর্যবেক্ষণ, একজন অভিযুক্ত কখনওই তদন্তের গতিপ্রকৃতি কীভাবে এগোবে তা নিয়ে নির্দেশ দিতে পারেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar: আরজি কর মামলার শুনানি ৯ সেপ্টেম্বর, জানাল শীর্ষ আদালত

    RG Kar: আরজি কর মামলার শুনানি ৯ সেপ্টেম্বর, জানাল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু বুধবার, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ না বসায় সেই শুনানি পিছিয়ে যায়। এর পর বৃহস্পতিবার বিকেলে আরজি কর মামলার নতুন শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ধার্য করে। শীর্ষ আদালতের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, আরজি কর মামলা শোনা হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার। প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের পর থেকে উত্তাল হয়েছে সারা বাংলা। প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও। এই আবহে আরজি কর মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ সমেত প্রবাসী ভারতীয়রাও।

    ঘটনার একমাস পূর্ণ হওয়ার দিনই সুপ্রিম শুনানি

    উল্লেখ্য ৯ সেপ্টেম্বর ঘটনার একমাস পূর্ণ হবে, সেদিনই রয়েছে মামলার শুনানি। ৫ সেপ্টেম্বর শুনানি হবে, এমনটা জানতে পেরে আগে থেকে আন্দোলনকারীরা প্রদীপ জ্বালানো ও রাত দখলের কর্মসূচিও গ্রহণ করেন ৪ সেপ্টেম্বর। ঠিক হয়, ৫ সেপ্টেম্বর আরজি কর হাসপাতালে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে দেখা হবে মামলার শুনানি। কিন্তু, বুধবারে হঠাৎ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ওই দিন বসছেন না। প্রসঙ্গত আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। প্রসঙ্গত, স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা সুপ্রিম কোর্ট গ্রহণ করে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো আরজি করে মোতায়েন হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও।

    শুনানি পিছিয়ে যেতে হতাশ আন্দোলনকারীরা 

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি সামনে আসতেই হতাশা (RG Kar) ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারী এবং প্রতিবাদকারীদের মধ্যে। কারণ দীর্ঘ ৯ অগাস্ট থেকে এই আন্দোলন চলছে। বিক্ষোভ, অবরোধ, নবান্ন অভিযান, লালবাজার অভিযান, রাত দখলের কর্মসূচি, মানব বন্ধন সব কিছুই সম্পন্ন হয়েছে আরজি কর ইস্যুকে কেন্দ্র করে। চলছে একাধিক কর্মসূচিও। সবাই তাকিয়ে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। তার মধ্যে নির্ধারিত দিন পিছিয়ে যাওয়ায় কিছুটা হতাশ হন প্রতিবাদীরা। যদিও, আন্দোলকারী চিকিৎসকরা একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, তাঁরা নিজেদের অবস্থানেই অনঢ় রয়েছেন। তাঁদের কথায়, সুপ্রিম কোর্টে যত মামলা পিছবে, মিছিল তত এগোবে। কোনও অবস্থাতেই আর মিছিল ও বিক্ষোভ থামবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁদের দাবিগুলি মানা হবে তখন পর্যন্ত মিছিল এগিয়ে যাবে। তবে, এরই মধ্যে সামনে এল শুনানির নয়া দিনক্ষণ। এবার দেখার সোমবার কী হয়! 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সুপ্রিম কোর্টে আজ শুনানি হচ্ছে না আরজি করকাণ্ড মামলার

    RG Kar Incident: সুপ্রিম কোর্টে আজ শুনানি হচ্ছে না আরজি করকাণ্ড মামলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি হচ্ছে না আরজি করকাণ্ড (RG Kar Incident) মামলার। এদিন যে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বসছে না, তা আগেই জানানো হয়েছিল। এবার জানা গেল, অন্য বেঞ্চেও রাখা হয়নি আরজি কর মামলা। শীর্ষ আদালতে নয়া শুনানির যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেই তালিকায় রাখা হয়নি আরজি কর মামলা। তবে কবে পরবর্তী শুনানি হবে, তা আজ, বৃহস্পতিবার জানানো হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তি (RG Kar Incident)

    বুধবার সন্ধেয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। তাতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বসবে না প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। এই বেঞ্চের দুই সদস্য বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র আলাদা করে ১০ নম্বর কোর্টের কিছু মামলা শুনবেন। তবে কোন মামলা শুনবেন, তা স্পষ্ট নয়। পরে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে শীর্ষ আদালত। সেখানে ১০ নম্বর কোর্টে কোন কোন মামলার শুনানি হবে, তার তালিকা প্রকাশিত হয়। এই তালিকায় দেখা যায়, আরজি কর মামলা নেই। আরজি করের (RG Kar Incident) বিচারের দাবিতে দিন গুণছেন সাধারণ মানুষ। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররাও তাকিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে। শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ তাঁরা।

    আরও পড়ুন: ৫২ বাড়িয়ে ৮০! কার চাপে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ানো হত নম্বর?

    সুয়োমটো কগনিজেন্স

    জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই আদালতে আসছেন না প্রধান বিচারপতি। অসুস্থতার কারণেই তাঁকে কোর্টে দেখা যাচ্ছে না বলে খবর। বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বরও তিনি কোর্ট গরহাজির থাকছেন। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বলা হয় ‘মাস্টার অফ রস্টার’। কোন মামলার শুনানি কোন বেঞ্চে হবে, তা ঠিক করেন তিনিই। তবে আরজি কর মামলার (RG Kar Incident) সুয়োমটো কগনিজেন্স নিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তাই মামলাটি অন্য বেঞ্চে পাঠানো হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার একটি পরিবর্তিত মামলার তালিকা আসতে পারে। তখনই জানা যাবে এই মামলার ভবিষ্যত কী হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘মন চায় না গরমের ছুটিতে বেতন নিতে’, মন্তব্য দেশের হবু প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতির

    Supreme Court: ‘মন চায় না গরমের ছুটিতে বেতন নিতে’, মন্তব্য দেশের হবু প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৭ সালেই দেশ পেতে চলেছে প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতিকে (Supreme Court)। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতিদের মধ্যে একজন হলেন বিভি নাগরত্না (Justice BV Nagarathna)। সম্প্রতি বিচারপতি নাগরত্না মন্তব্য করেছেন, বিচার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা প্রত্যেক বছরই গরমের সময় লম্বা ছুটি নেন, সবেতন ছুটি নেন, কাজ না করে এমনভাবে বেতন নিতে তাঁর অন্তরাত্মা সায় দেয় না, কিন্তু চাইলেই বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।

    মধ্যপ্রদেশের একটি মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি নাগরত্না (Supreme Court)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিভি নাগরত্না এই মন্তব্য করেন। মামলাটি ছিল মধ্যপ্রদেশের চারজন বিচারকের বরখাস্ত সংক্রান্ত। মধ্যপ্রদেশের সরকার একটি বিবাদের কারণে নিম্ন আদালতের এই বিচারকদের বরখাস্ত করেছিল। সেই বিচারকদের বিচারপতি নাগরত্না (Justice BV Nagarathna) মাস কয়েক আগে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে পুনরায় চাকরিতে বহাল করেন। চাকরিতে বহাল হওয়ার পরে ওই বিচারকরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন, বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে তাঁর বেতনের দাবিতে। তাঁদের অভিযোগ ছিল রাজ্য সরকার তাঁদের দাবি মানছে না তাই শীর্ষ আদালতে এই ব্যাপারে তার নির্দেশ দিক। এই শুনানিতেই বিভি নাগরত্না (Justice BV Nagarathna) মামলাকারীর আইনজীবীকে বলেন, মধ্যপ্রদেশ সরকারের বরখাস্তের আদেশকে সুপ্রিম কোর্ট বেআইনি বলেনি। শুধু বরখাস্তের মেয়াদ কমিয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে। বরখাস্ত থাকাকালে ওই ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করেননি। বিনা কাজে বেতন দাবি করেন কীভাবে? এই প্রেক্ষিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘কাজ না করে এমনভাবে বেতন নিতে আমার মন সায় দেয় না।’’

    ২৭ দিনের জন্য হবেন প্রধান বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, ২০২৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রধান বিচারপতি হবেন তিনি (Supreme Court)। সে ক্ষেত্রে তিনিই হবেন দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। অবশ্য তা মাত্র ২৭ দিনের জন্য। বিচারপতি বিভি নাগরত্না আদতে কর্নাটকের বাসিন্দা, তাঁর পিতা ভেঙ্কটারামাইয়া শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। বিচারপতির এমন মন্তব্যে একাধিক আইনজীবীর ভিন্ন মত শোনা গিয়েছে। কোনও কোনও আইনজীবীর মত হল, ছুটি মানেই কাজ বন্ধ এমনটা নয়। আইনজীবীদের লম্বা সময় কাটে মামলার কাগজপত্র পড়তেই। প্রচুর পড়াশোনা করতে হয় তাঁদের সুষ্ঠু বিচারের আশায়। তারপরও বিচারপতি নাগরত্নার এমন মন্তব্য বহু মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করে সিআইএসএফ-এর সঙ্গে অসহযোগিতা রাজ্যের, সুপ্রিম কোর্টে গেল শাহের মন্ত্রক

    RG Kar: আরজি করে সিআইএসএফ-এর সঙ্গে অসহযোগিতা রাজ্যের, সুপ্রিম কোর্টে গেল শাহের মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার সরকারের (Mamata Government) বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের কাছে অমিত শাহের মন্ত্রক জানিয়েছে, আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ও হামলার পরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে। অথচ, তাঁদের থাকা বা খাওয়ার কোনও ব্যবস্থাই করেনি রাজ্য সরকার। আরও অভিযোগ, জওয়ানদের ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকুও করেনি মমতার সরকার। শুধু তাই নয়, আরজি কর হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মেটাল ডিটেক্টর-এর মতো একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসও দেওয়া হয়নি জওয়ানদের (RG Kar)। শীর্ষ আদালতে যে হলফনামা জমা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাতে এই ঘটনাকে ‘অমার্জনীয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠির জবাব দেয়নি রাজ্য (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, সিআইএসএফ জওয়ানদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতার উপকণ্ঠে এক জায়গায়। সেখান থেকে তাঁদের আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছাতেই সময় লাগছে এক ঘণ্টা। এর ফলে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিআইএসএফ (Supreme Court) কীভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবে সে প্রশ্ন উঠছে, আর এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে রাজ্যকে। এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নজরে আসার পরেই গত ২ সেপ্টেম্বর এই মর্মে মমতা সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়, তাতে অনুরোধ জানানো হয় জওয়ানদের সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য। কিন্তু অভিযোগ, রাজ্যের তরফে কোনও উত্তরই দেওয়া হয়নি।

    আদালত অবমাননা তার সঙ্গে সংবিধান বিরোধী কাজ করছে রাজ্য

    প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে ৯ অগাস্টের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা এবং ১৪ অগাস্ট হাসপাতালে হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ২০ অগাস্ট আরজি কর মামলার শুনানিতে ওই হাসপাতালে সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েনের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ মতো ২২ অগাস্ট থেকে ২ কোম্পানি সিআইএসএফ মোতায়েন করা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। এরপর থেকেই জওয়ানদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতার অভিযোগ উঠতে থাকে রাজ্যের বিরুদ্ধে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে এই অসহযোগিতা করেছে রাজ্য সরকার যা শুধুমাত্র আদালতের অবমাননা নয় সংবিধান বিরোধীও বটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘বন্ধ রেখে ঘরের আলো, রাজ্যজুড়ে প্রদীপ জ্বালো’, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সমর্থন বিজেপির

    BJP: ‘বন্ধ রেখে ঘরের আলো, রাজ্যজুড়ে প্রদীপ জ্বালো’, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সমর্থন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Rape Murder) প্রতিবাদে আজ বুধবার জুনিয়র চিকিৎসকরা অভিনব আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের ফোরামের পক্ষ থেকে রাত ন’টা থেকে দশটা পর্যন্ত ঘরের আলো বন্ধ রেখে (Turn Off Lights) প্রদীপর জ্বালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। চিকিৎসকদের এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিচার পেতে আলোর পথে’। এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। 

    ডাক্তারদের কর্মসূচিকে সমর্থন সুকান্ত-শুভেন্দুর

    চিকিৎসক সংগঠনের এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে নতুন স্লোগান বাঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘বন্ধ রেখে ঘরের আলো- রাজ্যজুড়ে প্রদীপ জ্বালো।’’ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্মতলায় বিজেপির (BJP) ধর্না মঞ্চে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই আজ বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের এই অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে সকলকে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি। বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কথায়, ‘‘এই আন্দোলনে আমাদের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। রাজনীতির বাইরে থেকেই আমরা চাই, গোটা রাজ্যে বুধবার রাতের এক ঘণ্টা আলো নেভানো থাকুক। জ্বলুক আশার প্রদীপ।’’ 

    ২৯টি জায়গায় হবে রাত দখলের কর্মসূচিও (BJP)

    আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Rape Murder) শুনানি রয়েছে। তার আগে এই কর্মসূচির ডাক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল (BJP)। প্রসঙ্গত, আজ বুধবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আলো নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালানোর (Turn Off Lights) কর্মসূচি যেমন চলবে তেমনই রাজ্যের মোট ২৯টি জায়গায় রাত দখলের ডাকও দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রাত্রি ১১টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে।

    সুপ্রিম শুনানি শোনা হবে জায়ান্ট স্ক্রিনে

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Rape Murder) ন্যায় বিচারের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয় তাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে সারা রাজ্য। দিকে দিকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ কর্মবিরতি চলতে থাকে। এই ডাক্তারদের আন্দোলনের মূল ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠে আরজি কর। সেখানে রাত দখলে রাতে ১৪ অগাস্ট ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীদের বড় দল। এরপর ফের প্রশ্নের মুখে ওঠে আরজি করের নিরাপত্তা। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন, বড় জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানো হবে আরজি করে। সেখানেই লাইভ শোনা হবে আরজি করের (RG Kar Rape Murder) শুনানি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম শুনানির পরে জুনিয়র ডাক্তারদের পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক হবে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘সায়নের জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত’’, রাজ্যের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    RG Kar Incident: ‘‘সায়নের জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত’’, রাজ্যের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ির জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম (Supreme Court) দুয়ারে কড়া নেড়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই মামলা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। বহাল রইল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। শীর্ষ আদালত জানাল, ওই ছাত্রনেতার (সায়ন) জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত। সোমবার বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে শুনানি ছিল সেই মামলার। শুনানিতে জামিনের বিরোধিতা করা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Incident) বিচারের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন সায়নরা (Sayan Lahiri)।

    শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ

    ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে অশান্তির অভিযোগে সায়ন লাহিড়িকে (Sayan Lahiri) গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন। তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে আজ, সোমবার বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে শুনানি ছিল ওই মামলার। সেখানেই সায়নের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি পারদিওয়ালা জানতে চান, ১০০ জনের মধ্যে ওই ছাত্রনেতাকে পুলিশ কেন গ্রেফতার করল? পাশাপাশি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ উল্লেখ করে বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, ‘ওই ছাত্রনেতার জামিন মঞ্জুর হওয়াই উচিত। কিন্তু এফআইআর খারিজের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।’

    আরও পড়ুনঃ ‘‘আপনার মা-বোনেদের…’’! কুরুচিকর মন্তব্য তৃণমূল নেতার, তুলোধনা সুকান্তর

    হাইকোর্টের রায়ে শিলমোহর

    প্রসঙ্গত হাইকোর্টেই (Calcutta High Court) জামিন মামলার শুনানিতে আদালত প্রশ্ন করেছিল, নবান্ন অভিযানে সায়নকে কোনও রকম অশান্তি করতে বা কারও উপর হামলা করতে দেখা গিয়েছে কি না। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, কোনও অশান্তির সঙ্গেই সায়ন যুক্ত ছিলেন না। কেবল কর্মসূচির ডাক দেওয়ার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের কাছে জানতে চায় সায়নের বিরুদ্ধে কতগুলো এফআইআর দায়ের হয়েছে। রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে জানায়, ১১টি এফআইআর দায়ের হয়েছে সায়নের বিরুদ্ধে।  সায়নের গ্রেফতারির পক্ষে যুক্তি সাজাতে, ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বও সংযোজনের চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। তবে বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন একজন ছাত্রনেতা (Sayan Lahiri) এত প্রভাবশালী হতে পারেন নাকি। হাইকোর্টের নির্দেশমতো শনিবারই সায়ন মুক্তি পায়। শীর্ষ আদালতও সায়নের মুক্তির নির্দেশে শিলমোহর দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: আরজি করকাণ্ডে সিব্বলকে নিশানা ধনখড়ের, কী বললেন জানেন?

    Jagdeep Dhankhar: আরজি করকাণ্ডে সিব্বলকে নিশানা ধনখড়ের, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা মানবতাকে লঙ্ঘিত করেছে। কিছু বিচ্ছিন্ন কণ্ঠ এই যন্ত্রণাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।” কথাগুলি বললেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। ধনখড় এক সময় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন। তাই শহর (RG Kar Incident) কলকাতা এবং এ রাজ্যের রাজনৈতিক আবহ তাঁর চেনা।

    সিব্বলকে আক্রমণ (Jagdeep Dhankhar)

    উপরাষ্ট্রপতির নিশানায় যিনি, তিনি প্রবীণ আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল। সিব্বল সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের হয়ে ধর্ষণ হত্যা মামলা লড়ছেন তিনি। এদিনের আগেও একবার ধনখড়ের চাঁদমারি ছিলেন সিব্বল। এক জনসভায় উপরাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, “সুপ্রিম কোর্টের বারের একজন সদস্য ও সংসদেরও একজন সদস্য বলছেন যে কলকাতার ঘটনা একটি লক্ষণীয় ব্যাধি। এমন ঘটনা সাধারণত ঘটে থাকে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।”

    কী বললেন ধনখড়?

    রবিবার এইমস হৃষিকেশের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড় বলেন, “কলকাতার ঘটনার মতো ঘটনাগুলি সমগ্র সভ্যতাকে লজ্জায় ফেলে দেয়।” এর পরেই উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “যখন মানবতা লজ্জিত হয়েছে, তখন কিছু বিচ্ছিন্ন কণ্ঠস্বর ওঠে। এই কণ্ঠস্বর উদ্বেগের কারণ হয়। তারা কেবল আমাদের অসহনীয় যন্ত্রণাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। সংক্ষেপে বলতে গেলে, তারা আমাদের আহত বিবেকের ওপর নুনের ছিটে দিচ্ছে।” তারা বলে, “এটি একটি লক্ষনীয় অসুস্থতা, আকছার ঘটে এমন ঘটনা। যখন এমন মন্তব্য কারও কাছ থেকে আসে, যিনি একজন সাংসদ, একজন প্রবীণ আইনজীবী, তখন দোষের মাত্রা অত্যন্ত গুরুতর।”

    আরও পড়ুন: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “এই ধরনের শয়তানি চিন্তার কোনও অজুহাত হতে পারে না। আমি এমন ভুল পথে হাঁটা আত্মাগুলিকে তাদের চিন্তাভাবনা পর্যালোচনা করার এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্বান জানাই।” তিনি (Jagdeep Dhankhar) বলেন, “এটা এমন একটা মুহূর্ত নয়, যেখানে আপনাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। এই রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ একটি বিপজ্জনক। এটি আপনার পক্ষপাতিত্বকে হত্যা করে।”

    কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন উপরাষ্ট্রপতি। বলেন, “একজন চিকিৎসক নিজেকে ঈশ্বরের পর্যায়ে রূপান্তরিত করতে পারেন না। তিনি কেবল একটি সীমা পর্যন্ত সাহায্য করতে পারেন। তিনি ঈশ্বরের নিকটস্থ।” ধনখড় বলেন, “চিকিৎসক, নার্স, কম্পাউন্ডার ও স্বাস্থ্যযোদ্ধাদের নিরাপত্তা অটুটভাবে (RG Kar Incident) সুরক্ষিত রাখা উচিত (Jagdeep Dhankhar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    RG Kar Rape-Murder: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে বলেছিল ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হত্যা মামলায় এবার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করল সুচরিতা মজুমদারকে। নিহত চিকিৎসকের পরিবারকে তিনিই ফোন করে প্রথমে অসুস্থ এবং পরে আত্মহত্যার তথ্য দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রথম থেকেই গোটা ঘটনাটিকে আড়াল করেছিল অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে মৃত চিকিৎসকের পরিবার। ন্যায় বিচারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন।  

    মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের বক্তব্য (RG Kar Rape-Murder)

    সুপ্রিম কোর্টে, আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা বলেছেন, “তাঁর আচরণ খুব সন্দেহজনক।” বৃহস্পতিবার ইতিমধ্যে তিনটি অডিও ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। এই অডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ও মৃতার পরিবারের মধ্যে কথপোকথনের। অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন দেহ উদ্ধারের পর অনেক ছাত্র-ছাত্রী এবং আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন ওখানে। চেস্ট বিভাগের প্রধান  সুচরিতাকে মৃতার বাড়িতে ফোন করতে বলা হয়। যেহেতু তাঁর বাড়িতে বয়স্ক লোক রয়েছেন, তাই বিচলিত না হওয়ার জন্য প্রথমে অসুস্থতার কথা বলা হয়। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুবার ফোন করে আবার অসুস্থার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু অনেক সময় ধরে পরিবার হাসপাতালে না আসায়, এরপর আবার ফোন করা হয়।

    আরও পড়ুনঃ ঘটনার দিন কাকে কাকে ফোন? সন্দীপের বয়ানের সঙ্গে কল রেকর্ড মেলাচ্ছে সিবিআই

    ঘাবড়ে গিয়ে আত্মহত্যার বার্তা!

    সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার নিজে ঘটনায় ঘাবড়ে গিয়ে আত্মহত্যার বার্তা দিয়েছিলেন। এখন প্রশ্ন হল, সত্যিই কি ঘাবড়ে গিয়েছিলেন, নাকি কেউ তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন? সুপ্রিম কোর্ট বলেছে ‘অত্যন্ত সন্দেহজনক’। তাই সিবিআই স্ক্যানারেই রেখেছে ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে। গোটা ঘটনায় পুলিশের এফআইআর দায়ের করার সময়, ময়নাতদন্তের সময়, ঘটনাস্থলের ক্রাইম সিন এবং সেই সেমিনার হল-সহ ইত্যাদি নিয়ে অনেক অস্পষ্টতা রয়েছে। পুলিশ এবং হাসপাতাল (RG Kar Rape-Murder) কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share