Tag: Supreme court

Supreme court

  • RG Kar Rape-Murder: সুপ্রিম-শুনানিতে আরজি করকাণ্ডে উঠে এল এক মহিলার নাম! কে তিনি?

    RG Kar Rape-Murder: সুপ্রিম-শুনানিতে আরজি করকাণ্ডে উঠে এল এক মহিলার নাম! কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর আসল কারণ ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) থেকে হাইকোর্টে একাধিক প্রশ্নে রাজ্য সরকার কাঠগড়ায়। হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাও বিচারকেদের ক্ষোভের মুখে পড়েছে। ঠিক এর মধ্যেই শীর্ষ আদালতের শুনানিতেই উঠে এসেছে এক মহিলার নাম। কে এই মহিলা?

    বিচারপতির ঠিক প্রশ্ন কী ছিল (RG Kar Rape-Murder)?

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি চলাকালীন আইনজীবী কপিল সিব্বলকে বিচারপতি পার্দিওয়ালা প্রশ্ন করেন, “কে এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার (RG Kar Rape-Murder)? তিনি মহিলা না পুরুষ?” জবাবে আইনজীবী বলেন, “তিনি একজন মহিলা।” আবার বিচারপতি বলেন, “তাঁর আচরণ অত্যন্ত সন্দেহজনক। তিনি কেন এরকম আচরণ করলেন? সন্দেহ শুধু একটা বিষয়ে নয়, ময়নাতদন্ত হওয়ার পর কেন ইউডি কেস বা অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করা হল? অস্বাভাবিক মৃত্যু না হলে ময়নাতদন্ত করলেন কেন?” উল্লেখ্য যাঁর সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট একথা বলেছে, তাঁর পক্ষে থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। কোন আচরণ ছিল তাও স্পষ্ট হয়নি। যদিও সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখে বিচারপতি ওই প্রশ্ন করেছিলেন।

    আত্মহত্যার তত্ত্ব দেওয়া হয়েছিল

    মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু (RG Kar Rape-Murder) নিয়ে প্রথমে যে আত্মহত্যার তত্ত্ব দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন এই আরজি করের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। ৯ অগাস্ট তিনি নির্যাতিতার বাড়িতে প্রথমে ফোন করে বলেছিলেন যে, তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এই সংবাদ শুনে মৃতার মা-বাবা হাসপাতলে ছুটে যান। ফলে প্রশ্ন উঠছে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনাকে কীভাবে বললেন আত্মহত্যা! একই কথা সুপ্রিম কোর্টে শুনানির দিনেও উঠেছিল। তবে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের নাম জানা যায়নি, শুধু পদ জানা গিয়েছেন এবং তিনি একজন মহিলা। মৃতার বাবা জানিয়েছেন, আরজি কর থেকে প্রথম ফোন ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারই করেছিলেন। যদিও হাসপাতালে ৪-৫ জন রয়েছেন এই পদে। ফলে কে ফোন করেছিলেন সেই নাম এখনও সমানে আসেনি।

    আরও পড়ুনঃ প্রতিবেশী পার্থ-বালু, প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পহেলা বাইশ’ সেলে ধৃত সঞ্জয়

    এফআইআর দেরিতে কেন?

    রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের পেশ করা নথি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, একটি মুখবন্ধ খামে এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ টালা থানাকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বিভাগীয় চিকিৎসক সুমিত রায় তপাদারকে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটির দেহ (RG Kar Rape-Murder) উদ্ধারের কথা তিনি জানিয়েছিলেন। প্রশ্ন হল সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঘটনার কথা জানার পর দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে এফআইআর করার জন্য কেন আবেদন করা হল? এখানেই বড় প্রশ্ন। আবার ময়নাতদন্ত হয় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে। রিপোর্ট অফিসিয়ালি আপলোড করা হয় রাত ১০টা ২৫ মিনিটে। আর এফআইআর হয় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। ফলে এতো সময় কেন বিলম্ব হল, এটাও একটা বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • OBC List in Bengal: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক মুসলিম শ্রেণিকে ‘ওবিসি’ তকমা! সুপ্রিম কোর্টে ‘স্বীকার’ রাজ্যের

    OBC List in Bengal: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক মুসলিম শ্রেণিকে ‘ওবিসি’ তকমা! সুপ্রিম কোর্টে ‘স্বীকার’ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পর থেকে পাওয়া রাজ্যের সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC List in Bengal) বাতিল করে দিয়েছে। ঘটনাচক্রে, ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। ফলে আদালতের নির্দেশ মূলত কার্যকর হতে চলেছে তৃণমূল আমলে ইস্যু করা ওবিসি শংসাপত্রের উপরেই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে রাজ্য। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রাজ্য সরকার এ নিয়ে হলফনামা জমা দেয়। সেই হলফনামায় উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি মুসলিম জাতিকে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে! এমনকী, অনেককে তো আবেদনের আগেই অন্তর্ভুক্ত করেছে রাজ্য সরকার! অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসন যে ৭৭টি জাতিকে ওবিসি শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এদের মধ্যে ৭৫টি মুসলিম সম্প্রদায়।

    জটিল তিন-স্তরের অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া 

    সরকার দাবি করেছে যে, ওবিসি তালিকা (OBC List in Bengal) সম্প্রসারণ একটি জটিল তিন-স্তরের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়েছে, যার মধ্যে দুটি জরিপ এবং অনগ্রসর শ্রেণির কমিশনের একটি শুনানি অন্তর্ভুক্ত ছিল। সাধারণত, ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য প্রথম ধাপে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আবেদন করতে হয়।শ্রেণি, জনসংখ্যা, বসবাসের স্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আর্থিক অবস্থার মতো বিভিন্ন তথ্য দিতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। সেই আবেদনপত্র পাওয়ার পরে সমীক্ষা চালায় কমিশন। 

    জানা গিয়েছে, কিছু মুসলিম গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে সম্পন্ন হয়েছে, যা সরকারের জটিল কাজের প্রকৃতি বিবেচনায় কার্যত অসম্ভব। হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ২০১০ সালের পরে যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে, তা যথাযথ আইন মেনে বানানো হয়নি। এর ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে পাঁচ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট, যার অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের।

    কবে থেকে শুরু

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে মুসলিমদের ওবিসি সংরক্ষণের (OBC List in Bengal) আওতায় আনা হয়েছিল বামফ্রন্ট জমানায়। এরপর পশ্চিমবঙ্গে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার। আদালত জানিয়েছে, মূলত ‘নির্বাচনি মুনাফার’ জন্য ওই ৭৭টি শ্রেণিকে ওবিসি তালিকায় যোগ করা হয়েছিল। যা শুধুমাত্র সংবিধানের লঙ্ঘনই নয়, মুসলিমদের অবমাননাও। ২০০৯ সালের ১৩ নভেম্বর খোট্টা মুসলিম সম্প্রদায় আবেদন করে এবং সেদিনই তারা ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। একইভাবে, ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল জমাদার মুসলিম গোষ্ঠী আবেদন করে এবং সেদিনই তাদের ওবিসি শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া, গায়েন এবং ভাটিয়া মুসলিম গোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও একইভাবে দ্রুত অন্তর্ভুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে, সাব-ক্যাটাগোরাইজেশন জরিপ এমন গোষ্ঠীগুলোর জন্যও সম্পন্ন হয়েছে, যারা এখনও কমিশনের কাছে আবেদনই করেনি। যেমন, কাজি, কোটাল, হাজারি, লায়েক, খাস এবং কিছু অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর জন্য জরিপ ২০১৫ সালের জুনে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তাদের আবেদন অনেক পরে জমা দেওয়া হয়।

    কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    এই বছরের মে মাসে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ বাম ও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দ্বারা ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ওবিসি শংসাপত্র (OBC List in Bengal) জারি করা ৭৭টি গোষ্ঠীর শংসাপত্র বাতিল করে। বিচারকরা লক্ষ্য করেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০০৬ সালের সাচার কমিটির রিপোর্ট “বিস্তৃতভাবে” ব্যবহার করেছে, যা মুসলিমদের পিছিয়ে থাকার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু আদালত এই রিপোর্টের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অনগ্রসর জাতির তালিকায় নতুন ভাবে কয়েকটি সম্প্রদায়কে অন্তুর্ভুক্ত করা এবং ওবিসি শংসাপত্র জারি করার ক্ষেত্রে অনগ্রসর জাতি সংরক্ষণ আইন মানা হয়নি। নিয়মমাফিক জাতিগত সমীক্ষা হয়নি, খসড়া তালিকা সামনে আসেনি, কোন রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সংরক্ষণ তাও জানানো হয়নি। কেন কয়েকটি শ্রেণিকে ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হল, সে বিষয়েও সঠিক তথ্য পেশ করতে পারেনি রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তির সেতুবন্ধনই লক্ষ্য ভারতের’, কিয়েভে বার্তা মোদির, আজই জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক

    বিতর্কের পটভূমি

    ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে ২০১০ সালের বাম জমানায় সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। ওই বছর মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর জন্য তখন ক্ষমতায় থাকা বামপন্থীরা ‘ওবিসি-এ’ ক্যাটেগরি তৈরি করেছিল। সে সময় অনগ্রসর জাতি (OBC List in Bengal) কমিশনের তরফে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির তালিকায় ৪২টি শ্রেণিকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ জানানো হয়। এর মধ্যে ৪১টি ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর সরকার ক্ষমতায় এলে ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি ক্যাটেগরি মিলিয়ে আরও ৩৭টি শ্রেণিকে ওই তালিকায় যোগ করে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় ২০১২ সালে। যার মধ্যে ৩৫টি মুসলিম জাতি-গোষ্ঠী। এরাই পরবর্তী সময়ে ভোট রাজনীতির কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সুপ্রিম অনুরোধেও অটল, কর্মবিরতি চলবে, জানিয়ে দিলেন চিকিৎসকরা

    RG Kar Incident: সুপ্রিম অনুরোধেও অটল, কর্মবিরতি চলবে, জানিয়ে দিলেন চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মামলার (RG Kar Incident) শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন চিকিৎসকরা যেন কাজে ফেরেন। সেইমতো কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাধিক চিকিৎসক সংগঠন। তবে কর্মবিরতির পথ থেকে সরছে না জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। বাংলার এই চিকিৎসক সংগঠন তদন্তের অগ্রগতি জানা না পর্যন্ত ‘সিজওয়ার্ক’-জারি থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার, সিবিআই দফতরে গিয়ে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইবেন চিকিৎসকরা। এরপরই কর্মবিরতি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা

    বাংলার জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের অবস্থানে অনড়। এখনই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন না তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাতে জেনারেল বডি বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালেই কর্মবিরতি চলবে। আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) ৩১ বছর বয়সি তরুণী ট্রেনি চিকিৎসকের খুনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করলে তবেই কর্মবিরতি উঠবে। তাঁদের কথায়, সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি এখন‌ও স্পষ্ট নয়। জিজ্ঞাসাবাদের তালিকা দীর্ঘ হলেও নতুন করে কোন‌ও গ্রেফতার নেই। সন্দীপ ঘোষের ভূমিকাও স্পষ্ট নেই। তদন্তের গতিপ্রকৃতি ইতিবাচক না হ‌ওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি জারি থাকবে। তদন্তের গতিধারা নিয়ে কথা বলতেই শুক্রবার সিবিআই দফতরে যাবেন চিকিৎসকরা।

    আরও পড়ুন: বিমানে নয়, ১০-ঘণ্টা ট্রেনে চেপে ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি, জানেন এর বিশেষত্ব?

    সুপ্রিম-আর্জি

    সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে চিকিৎসকদের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল যাতে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়। এই আবহে দিল্লির এইমস-এ চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাকি দেশেও আন্দোলনরত চিকিৎসকরা (RG Kar Incident) সেই পথেই হাঁটছেন। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) অনুরোধে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। দেশের সব হাসপাতালের রেসিডেন্স ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন বা আরডিএ-ও সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিন আরডিএ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তাদের উপর ভরসা রাখতে, কাজে ফিরতে। সেই ভরসাতেই কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি নিয়ে এদিন শীর্ষ আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করে। চিকিৎসকদের উপযুক্ত নিরাপত্তা প্রদানের কথাও বলা হয়। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আহ্বান জানায়, চিকিৎসক সংগঠনগুলি যেন তাদের কর্মবিরতি তুলে নেয়। চিকিৎসায় ফেরে। সেই ডাকেই সারা দিয়েছে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে একাধিক সংগঠন। ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: মুসলিমদের ওবিসি সংরক্ষণ, শীর্ষ আদালতে রাজ্যের হলফনামা, একাধিক অনিয়ম ধরা পড়ল

    Supreme Court: মুসলিমদের ওবিসি সংরক্ষণ, শীর্ষ আদালতে রাজ্যের হলফনামা, একাধিক অনিয়ম ধরা পড়ল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণে অধিকাংশ মুসলিম সম্প্রদায়কে ওবিসি কোটায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল মমতা সরকার। তবে এক্ষেত্রে শুধু মমতা সরকারকে দোষ দিলেও ভুল হবে, তার পূর্ববর্তী বামপন্থী সরকারও একই পথে হেঁটেছিল এবং তাদের নীতিকে বহাল রাখার সঙ্গে আরও অনেক নতুন কিছু যোগ করে মমতা সরকার। ৭৭টি জাতিকে ওবিসি কোটায় আনেন মুখ্যমন্ত্রী, ক্ষমতায় আসার পরপরই যার মধ্যে ৭৫টি জাতিই ছিল মুসলিম সম্প্রদায়। ২০১০ সালের ৫ মে থেকে ২০১২ সালের ১১ মে পর্যন্ত এই ৭৭ সম্প্রদায়কে ওবিসি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, রাজ্য সরকারের জমা দেওয়া হলফনামায়। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) গত ৫ অগাস্ট দেওয়া নির্দেশ মতো মমতা সরকার যে হলফনামা জমা দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক জাতি ওবিসি কোটার জন্য আবেদন না করলেও তাদের সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া না মেনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক মুসলিম জাতিকে (West Bengal) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ওবিসি কোটায়।

    ধর্মই একমাত্র মাপকাঠি বলে মনে হচ্ছে জানিয়েছিল হাইকোর্ট

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রদায়িক তোষণের কারণেই (West Bengal) মমতার এমন সিদ্ধান্ত। অত্যন্ত সুকৌশলে ৭৭টি সম্প্রদায়ের মধ্যে মাত্র ২টি সম্প্রদায়কেই হিন্দু রাখা হয়, যাতে বিতর্ক না ওঠে যে শুধুমাত্র ধর্মীয় মাপকাঠিতেই মুসলিমদের ওবিসি তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু ঝুলি থেকে বিড়াল বের হয়ে পড়ে, চলতি বছরের ২২ মে। ঐদিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে অর্থাৎ তৃণমূল জমানায় দেওয়া সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে, সংখ্যায় গুণতে গেলে যা প্রায় ৫ লাখ। কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের পরিষেবা এবং পদগুলিতে এই ধরনের সংরক্ষণকে বেআইনি বলে জানায়। হাইকোর্ট সেসময় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে। ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘এই সম্প্রদায়গুলিকে ওবিসি হিসেবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে ধর্মই একমাত্র মাপকাঠি বলে মনে হচ্ছে ।’’

    সুপ্রিম নির্দেশ (Supreme Court)

    হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করে। তারই শুনানিতে গত ৫ অগাস্ট প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ বলে, এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আদালতের সামনে একটি হলফনামা দাখিল করবে, যাতে ৭৭টি সম্প্রদায়কে ওবিসি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ কোন পদ্ধতিতে করা হয়েছে তার ব্যাখা থাকবে। এখানেই ধরা পড়ল অনিয়ম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • RG Kar Rape-Murder: হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি আদৌ লাগাননি সন্দীপ! ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে

    RG Kar Rape-Murder: হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি আদৌ লাগাননি সন্দীপ! ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হাসপাতালে সিসিটিভি লাগানোর জন্য ১৪ লক্ষ টাকার অর্ডার দেওয়া হলেও সেই সিসিটিভি লাগানোই হয়নি। ঠিক এমনটাই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) অভিযোগ উঠেছে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার মামলায় প্রথম থেকেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তিনি তৃণমূল নেত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এমনটাই অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ করেছে।

    ক্যামেরা থাকলে খোঁজ করা যেত (RG Kar Rape-Murder)

    চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে (Supreme Court) স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়েছে। আইনজীবী করুণা নন্দী অভিযোগ করে বলেন, “প্রাক্তন অধ্যক্ষ আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি ক্যামেরা বসাননি। ক্যামেরা থাকলে ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে খোঁজখবর করা সম্ভব হত। আমরা পাঁচ চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলকে সামনে এনেছি। তাঁরা সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য দেবেন। একই ভাবে খুন এবং ধর্ষণ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য দেবেন তাঁরা। এই সমস্ত ঘটনার পিছনে প্রাতিষ্ঠানিক সমঝোতা রয়েছে। রাজ্য সরকারের গঠিত সিটের তদন্তে নজর দেওয়া উচিত। কারণ এই সিট তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে।”

    আরও পড়ুনঃ অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করে মন জয়ের চেষ্টা

    অবিলম্বে বোর্ড থেকে সন্দীপ ঘোষের নাম মুছে দিতে হবে

    আরজি কর হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) রাজ্যের সঙ্গে সারা দেশ এখন উত্তাল। সমাজের সকল স্তরের প্রতিবাদীদের দাবি, অবিলম্বে দোষীর শাস্তি চাই। এদিকে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ পড়াশুনা করেছিলেন বনগাঁ উচ্চ বিদ্যালয় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুলে। সেখানে কৃতি ছাত্রদের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। এবার ওই স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা, প্রধান শিক্ষককে চিঠি লিখে বলেন, অবিলম্বে বোর্ড থেকে সন্দীপ ঘোষের নাম মুছে দিতে হবে। এক প্রাক্তনী সৌম্যদীপ সরকার বলেন,“সন্দীপ ঘোষ কোনও না কোনও ভাবে স্কুলের সঙ্গে যুক্ত। আজ তাঁকে রাজ্য পুলিশ ডাকছে, সিবিআই তলব করছে। সেই কারণে আমাদের আর্জি স্কুলের কাছে ওঁর নাম কৃতি ছাত্রদের বোর্ডে যেন না থাকে। বনগাঁ হাইস্কুলের গৌরব নষ্ট করেছেন তিনি।” অপর দিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুণাল দে বলেছেন, “প্রাক্তন ছাত্ররা একটা আবেদন জমা দিয়েছে। সন্দীপ ঘোষ যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তখন স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, প্রাক্তন ছাত্র ও স্কুল পরিচালন সমিতির সঙ্গে বৈঠক করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘কেন ছড়িয়ে পড়ল নির্যাতিতার ছবি-নাম?’’ আরজি কর কাণ্ডে প্রশ্ন উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    RG Kar Incident: ‘‘কেন ছড়িয়ে পড়ল নির্যাতিতার ছবি-নাম?’’ আরজি কর কাণ্ডে প্রশ্ন উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে গোটা দেশ। সকলেই সুবিচারের জন্য লড়ছেন। আরজি কর কাণ্ডের এই ঘটনার প্রায় দেড় সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মাধ্যমে সামনে এসেছে নির্যাতিতার নাম। ছড়িয়ে পড়েছে ছবিও। এবার তা নিয়েই প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেই মামলা চলাকালীন কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

    কী নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত? (RG Kar Incident) 

    এ প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়েছে, ‘‘আমরা নির্দেশ দিচ্ছি মৃতের নাম ছবি প্রকাশ করা যাবে না। সমস্ত স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে মৃতের ছবি সরাতে হবে।’’ আসলে এদিন মামলা চলাকালীন দুজন আইনজীবী অভিযোগ করেছিলেন যে, মৃতের ছবি-নাম কোথাও কোথাও প্রকাশ করা হচ্ছে। এর পরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, “নির্যাতিতার নাম ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকী ময়নাতদন্তের আগের ও পরের ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেহ দেখা যাচ্ছে। একটা প্যারামিটার আছে, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনও আছে। তারপর কীভাবে এটা হল?” এরপরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘একজন তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে, তাঁকে এইটুকু মর্যাদা দেওয়া উচিত।’’ প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে আইনজীবী (রাজ্য সরকারের তরফে) কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘পুলিশ যাওয়ার আগেই ছবি তোলা হয়েছে। আমরা পুরো জায়গাটা ঘিরে রেখেছিলাম।’’

    আরও পড়ুন: এক বছরে ভারতে ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে ৭.৩ কোটি! বৃদ্ধি ব্রডব্যান্ড সংখ্যাতেও

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) গাইডলাইনই শুধু নয়, নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইনও আছে। ভারতীয় আইনে ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার ঘটনায় নির্যাতিতার নাম, পরিচয় বা ছবি প্রকাশ করা যায় না। এমন কোনও তথ্য যা প্রকাশ করলে নির্যাতিতার পরিচয় জানা যেতে পারে, তাও প্রকাশ করা যায় না। আসলে আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় কলকাতা সহ গোটা রাজ্য। এই আবহে মানুষ প্রতিবাদ করছেন রাস্তায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। এহেন পরিস্থিতিতে অনেকেই নির্যাতিতার ছবি পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। জাস্টিস দাবি সহ নাম দিয়ে তৈরি হয়েছে হ্যাশট্যাগ। তাই আইন অনুযায়ী নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা বন্ধ করতে এই নির্দেশ দিল আদালত।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    RG Kar Incident: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে তরুণী শিক্ষানবিশ ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়াচ্ছে বঙ্গ বিজেপি (BJP Protest)। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ, বুধবার থেকে ৫ দিনের জন্য শ্যামবাজারে ধর্না কর্মসূচি করবে বিজেপি। দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ধর্না চলবে। গতকাল ধর্না মঞ্চ প্রস্তুত করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ধর্না মঞ্চ থেকেই রাজ্যে প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হতে পারে গেরুয়া শিবির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পদত্যাগের দাবিও জানাতে পারে বঙ্গ বিজেপি।

    ধর্না মঞ্চ পরিদর্শন

    আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে ধারাবাহিক ভাবে পথে নামার কথা রবিবার ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য বিজেপির (BJP Protest) সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আরজি কর হাসপাতালের অদূরে শ্যামবাজারে পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্না কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করা হয় বিজেপির পক্ষে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। মঙ্গলবার শ্যামবাজারে বিজেপিকে ধর্না কর্মসূচির অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই ধর্না স্থল পরিদর্শন করেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর কথায়, স্বাস্থ্য ভবন হল ঘুঘুর বাসা। তাই এই প্রতিবাদ। অবিলম্বে আসল অপরাধীদের গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছে বিজেপি। পুলিশ এবং আরজিকর প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যে টেলিফোনিক কথাবার্তায় নজর দিক সিবিআই, তাহলেই সত্যি সামনে আসবে।

    আরও পড়ুন: দাবি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, এবিভিপির স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র সল্টলেক

    বিজেপির দাবি 

    আজ, বুধবার আরজি কর ইস্যুকে (RG Kar Incident) হাতিয়ার করে এক মঞ্চে পাশাপাশি বসতে চলেছেন সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপরা (BJP Protest)। একযোগে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানাবেন। মঙ্গলবার সুকান্ত জানান, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ থেকে স্পষ্ট রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের উপর সুপ্রিম কোর্টের আস্থা নেই। আরজি কর-এর নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নারী নিরাপত্তার ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য। ধর্না কর্মসূচির পাশাপাশি বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাকও দিয়েছে বিজেপি। শুক্রবার শ্যামবাজারের বিজেপির ধর্না কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছিল পুলিশ। মঞ্চ খুলে দেওয়া হয়। তাই এবার আদালতের অনুমতি নিয়ে ধর্নায় বসতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি।  কর্মসূচিগুলোতে বিভিন্ন সময়ে থাকবেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ব্যর্থ রাজ্য, আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    RG Kar Incident: ব্যর্থ রাজ্য, আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা দায়িত্বে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্বাধীনতার দিন রাতেই ভাঙচুর হাসপাতালে, পরপর এ ধরনের ঘটনা কী করে সম্ভব! আরজি কর নিয়ে বিস্মিত শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। আরজি কর নিয়ে মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানিতে একাধিক বিষয় নিয়ে পর্যবেক্ষণ এবং গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেয় দেশের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

    শীর্ষ আদালতের অভিমত

    মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর (RG Kar Incident) মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘আমরা আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছি।’’ চিকিৎসকেরা যাতে আবার কাজে ফিরতে পারেন, তাই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানায় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এদিন নির্দেশ দেয়, হাসপাতাল এবং হস্টেলে নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআরপিএফ বা সিআইএসএফের মতো আধা সামরিক বাহিনীকে নিতে হবে। এত দিন আরজি করে নিরাপত্তা দিচ্ছিল পুলিশ, এবার আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    চিকিৎসকদের নিরাপত্তাহীনতা

    মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল আরজি কর (RG Kar Incident)। বিক্ষোভ চলছে হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আন্দোলনকারীরা যেমন ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচারের দাবি তুলছেন, তেমনই নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের কথাও বলছেন। মঙ্গলবারের শুনানিতে সেই বিষয়টি উঠে আসে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এদিন পর্যবেক্ষণে জানায়, আমাদের দেশে জুনিয়র ডাক্তাররা নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন, চিকিৎসকদের কোনও ডিউটিরুম নেই। শুধু তাই নয়, ডিউটি রুম, পৃথক রেস্টরুম নেই, টানা ৩৬ ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে জানায় শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: এফআইআর করতে দেরি কেন? প্রশ্ন রাজ্যকে, মামলার স্টেটাস রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের

    পুলিশের লজ্জা!

    এদিন শুনানি চলাকালীন আরজি করের (RG Kar Incident) নিরাপত্তা নিয়ে ১৪ অগাস্টের কথা উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। আরজি করের সামগ্রিক ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতি বলেন, “প্রথমে ঠিক ভাবে এফআইআর করা হয়নি। পুলিশ কী করছিল? একটা হাসপাতালের মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ কি হাসপাতাল ভাঙচুর করার অনুমতি দিচ্ছিল?” স্বাধীনতা দিবসের রাতে কোনও রাজ্যে এই ঘটনা কীভাবে ঘটে তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সলিসিটর জেনারেলের যুক্তি, “৫০০ লোকের জমায়েত হলে আমরা বলি ভালো লোক এসেছে। সেখানে সাত হাজার লোক হাসপাতাল ভাঙচুর করল। এটা কি আইনশৃঙ্খলার নমুনা?”

    নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ (RG Kar Incident) 

    প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন প্রশ্ন করেন, মহিলারা নিরাপদে কাজে যেতে না পারলে, সমাজে সবার অধিকার থাকবে কী ভাবে? তাঁর মন্তব্য, “মৃতার নাম ও ছবি ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে।” আগামী ২৩ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি (Supreme Court) রয়েছে। দেশ জুড়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা যাতে কাজে ফেরেন, সেই অনুরোধও করেন প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: এফআইআর করতে দেরি কেন? প্রশ্ন রাজ্যকে, মামলার স্টেটাস রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের

    RG Kar Incident: এফআইআর করতে দেরি কেন? প্রশ্ন রাজ্যকে, মামলার স্টেটাস রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে চাপের মুখে রাজ্য। শুরু থেকেই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। দেহ দেখার পর কার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম এফআইআর? দেহ হস্তান্তরের তিন ঘণ্টা পর কেন এফআইআর? রাজ্যকে প্রশ্ন করলেন প্রধান বিচারপতি। একই সঙ্গে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, কলকাতা হাইকোর্টে নয়, আরজি কর মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টেই। আরজি কর কাণ্ডে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিবিআইকে মামলার তদন্ত সংক্রান্ত স্টেটাস রিপোর্ট জমা করতে হবে দেশের শীর্ষ আদালতে। ২২ অগাস্ট, এই মামলায় পরবর্তী শুনানি।

    সুপ্রিম-প্রশ্নে জেরবার রাজ্য

    এদিন আরজি কর এর ঘটনার ভয়াবহতা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। রাজ্যের তরফে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভি-সহ অন্য আইনজীবীরা। এদিন প্রথমেই বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা জানতে চান, এই ঘটনায় কার অভিযোগের ভিত্তিতে এবং কখন প্রথম এফআইআর দায়ের হয়েছিল? এর পরই প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন করেন, “সৎকারের জন্য মৃতদেহ কখন পরিবারকে দেওয়া হয়? এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেহ দিয়ে দিলেন?” পরিবারের তরফে এফআইআর দায়ের হয়েছে শুনে আরও ক্ষুব্ধ হন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানতে চান, কেন পরিবারের তরফে প্রথম এফআইআর দায়ের হল? প্রিন্সিপ্যাল, ভাইস প্রিন্সিপ্যাল কী করছিলেন? প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “বিকালে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় খুন। এফআইআর দায়ের হয়েছিল বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে। সে সময়ে নির্যাতিতার বাবা-মা ছিলেন না, তখন হাসপাতালেরই দায়িত্ব ছিল এফআইআর দায়ের করা।” শীর্ষ আদালতের এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেনি রাজ্য।

    স্বাধীনতার দিন রাতে ভাঙচুর!

    স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজ্য কী ভাবে হাসপাতাল ভাঙচুর করতে দিল?” সেই প্রশ্নও তোলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “চিকিৎসা পেশায় হিংসা রুখতে হবে। অনেকে মনের মধ্যে গেঁথে রয়েছে, এই সমাজ পুরুষশাসিত। সেখানে মহিলারা আরও বেশি করে নিশানা হচ্ছেন। এটা দুঃখজনক।” সন্দীপ ঘোষ আরজি করের অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দেওয়ার পর কী ভাবে আবার অন্য কোথাও যোগ দিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    সিবিআইকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

    কলকাতার সরকারি হাসপাতালে মহিলা শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। এদিন বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিবিআইয়ের থেকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, একটি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখবে সেই টাস্ক ফোর্স। মহিলারা যাতে আরও বেশি করে কাজে যোগদানে উৎসাহ পান, সে দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: কিশোরীদের যৌন সংযম নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় বাতিল সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: কিশোরীদের যৌন সংযম নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় বাতিল সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘কিশোরীদের যৌন ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত’’। কলকাতা হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত মন্তব্য ও রায়কে সোমবার বাতিল করল সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court)। এদিনই বিচারপতি এএস ওকার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কিশোর-কিশোরীদের সম্পর্কিত মামলায় কীভাবে রায় লিখতে হবে, সে বিষয়েও বিচারকদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, এ সংক্রান্ত মামলার রায় দানের ক্ষেত্রে অবশ্যই সংবেদনশীল হতে হবে। থাকতে হবে সতর্কও।

    শাস্তির ক্ষেত্রে কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)

    প্রসঙ্গত, গত বছর কলকাতা হাইকোর্ট এক নাবালিকা কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত এক দোষীকে খালাস করে। কিশোরীর সঙ্গে ওই ব্যক্তির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায়কেই বাতিল করেছে এবং সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এ দিন জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হবে। এই কমিটি ওই নাবালিকা ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তের শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

    প্রকৃত ঘটনা

    গত বছরই এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলা উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। নাবালিকার সঙ্গে অভিযুক্তের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়। সেই মামলায় অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়ার পাশাপাশি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিচাপতি চিত্তরঞ্জন দাস এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেন। কিশোরীদের যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সাময়িক সুখের জন্য কিশোরী সমাজের চোখে গুরুত্ব হারাবে বলেও হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছিল। 

    সংবিধানের ২১ নং ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে রায়ে, আগেই বলে শীর্ষ আদালত

    এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের করা হয়েছিল স্বতঃপ্রণোদিত মামলা। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই রায় নিয়েই গত জানুয়ারি মাসে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ে সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় উল্লেখিত স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকারও লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে তখন জানায় সুপ্রিম কোর্ট। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতিদের করা মন্তব্য সহ গোটা রায় খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share