Tag: Supreme court

Supreme court

  • Triple Talaq: ‘তিন তালাক বিপজ্জনক’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    Triple Talaq: ‘তিন তালাক বিপজ্জনক’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘তিন তালাক (Triple Talaq) প্রথা বিবাহ নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বিপজ্জনক। এটা মুসলমান মহিলাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।’ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা জমা দিয়ে একথা জানাল কেন্দ্র।

    সুপ্রিম-শুনানিতে কী বলল কেন্দ্র? (Triple Talaq)

    শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, যাঁরা তিন তালাকের শিকার হন, তাঁদের পুলিশের কাছে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু আইনে শাস্তিমূলক ধারা না থাকলে পুলিশকর্মীরা নিরুপায় বোধ করতেন। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারত না। তাই বেআইনি হলেও, অবাধে চলছিল এই প্রথা। যা কোনওভাবেই কাম্য নয়। এটা বন্ধ করতেই দ্রুত কঠোর আইনি ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল।

    তিন তালাক বন্ধ করতে দরকার শাস্তির বিধান

    কেন্দ্র আরও জানায়, দেশের শীর্ষ আদালত বারবার বলেছে আইন তৈরি করার কাজ আদালতের নয়, সংসদের। তাই আইন কী হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংসদ, আদালত নয়। দেশবাসীর জন্য কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ তা নির্ধারণ করেই আইন তৈরি করে সংসদ। অপরাধের ক্ষেত্রে তার উপযুক্ত শাস্তি নির্ধারণ করাই সরকারের প্রধান কাজ। কেন্দ্রের তরফে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, সায়রা বানুর ঘটনার পর তিন তালাক (Triple Talaq) অবৈধ ঘোষণা হলেও, সমাজে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। কারণ এখানে শাস্তির বিধান ছিল না।

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানের ডাক, ফের ঝান্ডাহীন আন্দোলনের পক্ষে সওয়াল শুভেন্দুর

    কীসের ভিত্তিতে মামলা চলছে?

    ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক আখ্যা  দেয়। ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হয় মুসলিম মহিলা (বিবাহের নিরাপত্তা অধিকার) আইন। এই প্রথাকে শাস্তিযোগ্যঠ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। যার জেরে কেউ তিন তালাক দিলে তাঁর তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেরলের জমাইতুল উলেমা নামে একটি সংগঠন। শীর্ষ আদালতে দায়ের করা মামলায় বলা হয়, ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হওয়া আইন অসাংবিধানিক। তাই বাতিল করা হোক। এই (Supreme Court) আইন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। ধর্মের ভিত্তিতে তিন তালাককে (Triple Talaq) অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় না। সেই মামলার শুনানিতেই কেন্দ্র নিজের অবস্থান ও মনোভাব স্পষ্ট করল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: একাধিক আঘাতের চিহ্ন, যৌন নিগ্রহ স্পষ্ট! চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কী মিলল?

    RG Kar Incident: একাধিক আঘাতের চিহ্ন, যৌন নিগ্রহ স্পষ্ট! চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের নিহত তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই তাঁকে, এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে রিপোর্টে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার পড়ুয়া-চিকিৎসকের শরীরে ব্যাপক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, যা সবই মৃত্যুর আগে ঘটেছে বলে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

    কী কী বলা হল রিপোর্টে (RG Kar Incident)

    ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী—

    গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। মৃতের মাথা, মুখ, গলা, বাহু এবং যৌনাঙ্গে ১৪টিরও বেশি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যৌনাঙ্গেও রক্ত পাওয়া গিয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

    অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল ওই তরুণীর দেহ। চার তলার ওই সেমিনার হলের কাছে কোনও নিরাপত্তারক্ষীও ছিল না বলে জানা গিয়েছে। 

    ধর্ষণের আগে বীভৎস মারধর করা হয়েছিল তরুণীকে। তার পরেও তিনি প্রতিরোধ করলে, প্রবল বল প্রয়োগ করা হয়েছিল তাঁর উপর। তরুণীর বুকে আঘাত লাগে, শ্বাসরোধ করে দমবন্ধ করার প্রমাণ মিলেছে। 

    চশমার কাচ ভেঙে চোখে গভীর ক্ষত হয় তরুণীর। অপরাধীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রবল ধস্তাধস্তিতেই কাচ ভেঙে যায় এবং চোখে ঢুকে রক্ত বেরিয়ে যায়। মাথাতেও আঘাত রয়েছে তাঁর। মাথায় কোনও হাড় ভাঙার চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

    তাঁর যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত রয়েছে। এতই ভয়ানক পেনিট্রেশন হয়, যার জেরে বিপুল রক্তপাত ঘটে এবং হাইমেন ফেটে যায়! মৃতের যৌনাঙ্গে “সাদা, ঘন, আঠালো তরল” পাওয়া গিয়েছে। ফুসফুসে রক্তক্ষরণ এবং শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ মিলেছে। রক্ত এবং অন্যান্য শারীরিক তরল নমুনা আরও বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল যুবভারতী, সমর্থকদের গ্রেফতারি আটকে ‘নায়ক’ কল্যাণ চৌবে

    সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

    আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রশিক্ষণার্থী মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। দেশ ছাড়িয়ে এই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর প্রতিবাদে সর্বত্র একটাই সুর ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার (২০ অগাস্ট), কলকাতার এই ধর্ষণ-খুনের ঘটনার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ছাড়া এই বেঞ্চে থাকছেন বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: আরজি করকাণ্ডে সুয়োমোটো মামলা সুপ্রিম কোর্টে, শুনানি মঙ্গলেই

    Supreme Court: আরজি করকাণ্ডে সুয়োমোটো মামলা সুপ্রিম কোর্টে, শুনানি মঙ্গলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় (RG Kar Case) সুয়োমোটো মামলা দায়ের করল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। ৯ অগাস্ট ধর্ষণ করে খুন করা হয় বছর একত্রিশের এক মহিলা ট্রেনি চিকিৎসককে। তার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। প্রতিবাদ-প্রতিরোধ, ধর্মঘট কী হয়নি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে! এই ঘটনায়ই এবার দায়ের হল সুয়োমোটো মামলা।

    সুপ্রিম কোর্টে শুনানি (Supreme Court)

    মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে থাকবেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, সোমবার বন্ধ থাকছে আদালত। পরের দিন আদালত খুললেই শুনানি হবে এই মামলার। সূত্রের খবর, আরজি করকাণ্ডের পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখতেই সরাসরি মামলা হাতে নিয়েছে দেশের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ওই ঘটনায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি, হাসপাতাল ও রাজ্যের ভূমিকা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। কর্মস্থলে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও শুনানি করতে পারে দেশের শীর্ষ আদালত।

    তদন্তে সিবিআই

    হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তখনই উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। ভারতে মেডিক্যাল প্রোফেশনালদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশেষত মহিলা চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে। আরজি করে যে মহিলা চিকিৎসক ও নার্স ইন্টার্নদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না, তা জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। কমিশনের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জমা দেন প্রাথমিক রিপোর্টও। সেই রিপোর্টেও জানা গিয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ফোকরের কথা।

    আরও পড়ুন: নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে ফাঁসি হয়েছিল ৭ বছর পর! কবে হবে তিলোত্তমার খুনের বিচার?

    আরজি করকাণ্ড (Supreme Court) মামলায় হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ‘পুরস্কৃত’ পদে নিয়োগ করা নিয়েও রাজ্যের সমালোচনা করে হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মন্তব্য করেছিলেন, “আরজি করের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ (RG Kar Case) হয়েছে।” প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই পুলিশমন্ত্রী (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ashwini Vaishnaw: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    Ashwini Vaishnaw: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিআর আম্বেডকরের দেওয়া সংবিধানে এসসি-এসটিদের জন্য সংরক্ষণে ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই।” উপশ্রেণি সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। গত সপ্তাহে সাব কোটা মামলায় রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Supreme Court), রাজ্যগুলির এই ক্ষমতা রয়েছে যে, সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীগুলিকে আরও উন্নীত করার লক্ষ্যে তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত বিভাগের মধ্যে কোটা বরাদ্দ করতে পারবে।

    কী বললেন অশ্বিনী বৈষ্ণব? (Ashwini Vaishnaw)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সংবিধানের প্রদত্ত এসসি এবং এসটিদের জন্য সংরক্ষণের উপ-শ্রেণিকরণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ওপর বিশদ আলোচনা করেছে। তবে, তাকে এখনই কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” এর পরেই মন্ত্রী বলেন, “বিআর আম্বেডকরের দেওয়া সংবিধান অনুযায়ী, এসসি-এসটি সংরক্ষণে ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, রাজ্যগুলিকে অবশ্যই এসসি-এসটিতে ক্রিমি লেয়ার চিহ্নিত করতে হবে। সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ দিতে হবে তাদের। কিন্তু এনডিএ সরকার সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ।” তিনি বলেন, “এসসি-এসটি সংরক্ষণের বিধান হওয়া উচিত সংবিধান মেনে।”

    বৈঠকে মন্ত্রিসভা

    দেশের শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই বৈঠকেই সংবিধানে প্রদত্ত এসসি-এসটিদের জন্য সংরক্ষণের উপ শ্রেণিকরণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এই বৈঠকেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু আম্বেডকরের সংবিধানে এসসি-এসটি’র জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থায় ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই, সেহেতু সংবিধান অনুযায়ীই সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা উচিত।

    আরও পড়ুন: ৮টি বড় রেল প্রকল্পের অনুমোদন দিল মোদি সরকার, খরচ হবে ২৪,৬৫৭ কোটি

    চলতি মাসের শুরুর দিকে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে (Ashwini Vaishnaw) সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির বেঞ্চ এসসি-এসটি বিভাগে কোটা যুক্ত করার অনুমোদন দেয়। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এসসি-এসটি ক্যাটেগরির মধ্যে একটি নয়া সাব ক্যাটেগরি তৈরি করা যেতে পারে। এর অধীনে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য আলাদা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে (Supreme Court)। শুক্রবার, বিজেপির এসসি-এসটি সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দল দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি সাংসদ ফাগ্গান সিং কুলাস্তে। সেখানে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি ক্রিমি লেয়ার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবেন না।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমাদের বৈঠকের সময় আমরা এসসি/এসটি সংরক্ষণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের দ্বারা প্রকাশিত ব্যক্তিগত মতামত নিয়ে  আলোচনা করেছি, যা এসএস/এসটি সম্প্রদায়ের ক্রিমি লেয়ারকে চিহ্নিত করার ও তাদের সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।”

    তিনি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করার জন্য অনুরোধ করেছি। বৈঠকে আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মতামতের সঙ্গে এক মত হয়েছেন। এবং এটি বাস্তবায়ন না করার অঙ্গীকার করেছেন।” তিনি বলেন, “আমরা এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। বৈঠকে আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছি।”

    অশ্বিনীর মতো প্রায় একই বক্তব্য শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের গলায়ও। শুক্রবার লোকসভায় তিনি বলেন, “এসসি/এসটির উপ শ্রেণিবিভাগে ক্রিমি লেয়ারের উল্লেখটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের একটি পর্যবেক্ষণ, সিদ্ধান্তের অংশ নয়। সদস্যদের সমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা উচিত নয়।”

    ২০০৫ সালের এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, এসসি-এসটির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনের এক্তিয়ার কোনও রাজ্যের সরকারের নেই। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সেই রায় খারিজ করে দিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও এসসি-এসটির মধ্যে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, উপশ্রেণি চিহ্নিতকরণের বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সমতার নীতি লঙ্ঘন করছে না। তবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই রায়ের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছায়নি বৃহস্পতিবার। বেঞ্চের ছয় বিচারপতি এসসি-এসটির মধ্যে অতি পিছিয়ে পড়া অংশকে চিহ্নিত করে কোটার মধ্যে কোটার সুবিধা দেওয়ায় ছাড়পত্র দিলেও (Supreme Court) ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন (Ashwini Vaishnaw) বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় ধাক্কা, রাজ্যকে হলফনামা দিতে সুপ্রিম-নির্দেশ

    Supreme Court: ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় ধাক্কা, রাজ্যকে হলফনামা দিতে সুপ্রিম-নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওবিসি (OBC) সার্টিফিকেট বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য। সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court) হাইকোর্টের রায়ে তো কোনও স্থগিতাদেশ দেয়ইনি, উল্টে রাজ্যের থেকে হলফনামা চেয়ে পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্ট যায় রাজ্য সরকার। সোমবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ না দিয়ে রাজ্যের থেকে হলফনামা চাওয়া হয়েছে।

    কী নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত? (Supreme Court)

    প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে সোমবার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই বিষয়ে হলফনামা দিতে হবে। রাজ্যের বক্তব্য শোনার পরই এই মামলায় পরবর্তী নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। তবে তার আগে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওবিসি তালিকাভুক্ত ৭৭টি সম্প্রদায় নিয়ে কী ধরনের সমীক্ষা করা হয়েছিল, তা শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে রাজ্যকে। পাশাপাশি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের কোনও আলোচনা হয়েছিল কি না, সে কথাও জানাতে হবে হলফনামায়। রাজ্যের বক্তব্য জানার পর আগামী সপ্তাহের শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল!

    ২০১০ সালের পর যে ওবিসি (OBC) শংসাপত্রগুলি তৈরি হয়েছিল, সেগুলি আইন না মেনেই তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গত ২২ মে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের জন্য। ওই নির্দেশের ফলে রাজ্যে ২০১০ সালের পর ইস্যু হওয়া প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়েছিল। উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও চাকরির সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বা অন্য কোনও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ওই শংসাপত্র ব্যবহার করা যাবে না। রাজ্য সরকারের আশা ছিল, সুপ্রিম কোর্টে গেলে স্থগিতাদেশ  মিলবে। সেখানেও ধাক্কা খেল মমতার সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘‘লম্বা বিচার প্রক্রিয়ায় বিরক্ত সাধারণ মানুষ’’, মত দেশের প্রধান বিচারপতিরই

    Supreme Court: ‘‘লম্বা বিচার প্রক্রিয়ায় বিরক্ত সাধারণ মানুষ’’, মত দেশের প্রধান বিচারপতিরই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘আদালতের লম্বা বিচার প্রক্রিয়ায় মানুষজন বিরক্ত হয়ে পড়ছেন এবং কোর্টের বাইরে সেই সমস্ত মামলাগুলির নিষ্পত্তি করতে চাইছেন তাঁরা।’’ শনিবার এমনই মন্তব্য করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি আরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কীভাবে আদালতের লম্বা প্রক্রিয়া নিজেই একটা শাস্তি হয়ে উঠছে, বিচার প্রার্থীদের কাছে। এই আবহে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন লোক আদালতের ভূমিকাও। প্রসঙ্গত, শনিবারই বিশেষ লোক আদালত সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এই কথাগুলি বলেন।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি (Supreme Court)

    দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘বিচারপতি হিসেবে আমি লক্ষ্য করেছি যে মানুষ এতটাই বিরক্ত হয়ে পড়েন কোর্টের প্রক্রিয়াতে যে তাঁরা আদালতের বাইরেই সেই মামলা নিষ্পত্তি করতে চান।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মানুষ চায় শুধু আদালতের বাইরে মামলাটা চলে যাক, তাহলেই তাঁরা শান্তি পান।’’ এক্ষেত্রে আদালতের প্রক্রিয়া (Supreme Court) মানুষের কাছে দিন দিন শাস্তি হয়ে উঠছে বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সপ্তাহ ব্যাপী একটি অনুষ্ঠান নেওয়া হয়েছে। লোক আদালত নিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) আরও বলেন, ‘‘আমরা মাত্র সাতটি বেঞ্চ নিয়ে এই লোক আদালত শুরু করেছিলাম কিন্তু বৃহস্পতিবারই আমরা লক্ষ্য করলাম যে কাজ এত বেশি যে আমাদের ১৩টি বেঞ্চের প্রয়োজন হল।’’

    সংবিধানের ১৩৬ নং ধারা

    প্রধান বিচারপতি (CJI) আরও বলেন, ‘‘অনেকেই আমাকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন যে সুপ্রিম কোর্ট এই ধরনের ছোটখাট মামলাগুলিতে কেন হস্তক্ষেপ করে? কোন উদ্দেশ্যে? এটা কি সুপ্রিমকোর্টের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য? আমি তাঁদেরকে বলি, যখন সংবিধান রচনা করেছিলেন বিআর আম্বেদকর তখন ১৩৬ নম্বর ধারাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই ধারার উদ্দেশ্য একটাই ছিল যে সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র সমাজের মধ্যেও ন্যায়বিচারকে পৌঁছে দেওয়া।’’

    প্রতিটা মানুষের ঘরে ঘরে ন্যায় বিচারকে পৌঁছে দেওয়া 

    দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) আরও বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের সত্যিকারের উদ্দেশ্য হল প্রতিটা মানুষের ঘরে ঘরে ন্যায় বিচারকে পৌঁছে দেওয়া। আমরা মানুষকে মনে করে দিই যে আমরা তাঁদের জীবনের একটি অবিচ্ছিন্ন অংশ।’’ এদিন দেশের প্রধান বিচারপতি ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটিকে বা নালসাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাদের মাধ্যমেই লোক আদালতের কাজ সহজ হয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালেই নালসা প্রায় ৮.১ কোটি মামলার সমাধান করতে সমর্থ হয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশের প্রধান বিচারপতি যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সেখানে এদিন হাজির ছিলেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল ও সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতিও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Electoral Bonds Scheme: নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি! সিট গঠনের আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতে

    Electoral Bonds Scheme: নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি! সিট গঠনের আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতির (Electoral Bonds Scheme) খোঁজে তদন্তে সিট গঠনের আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত। এর আগে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতের নজরদারিতে বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা করেছিল দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিল।

    কী জানিয়েছে শীর্ষ আদালত?  

    এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছিল, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bonds Scheme) সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুবিধে পাওয়ার জন্য বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলকে টাকা দিয়েছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। তাই নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি হয়েছে কিনা তার তদন্ত হোক। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে এবার শীর্ষ আদলত বলেছে, ”নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া এবং নেওয়ার সময় তা ‘কুইড প্রো কো’ (কোনও কিছুর বিনিময়ে কাউকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া) বা ‘ক্ষতিকারক’ ছিল কি না, তা নিয়ে এখন তদন্ত হতে পারে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়।”   

    আরও পড়ুন: ভোট লুটের বিরুদ্ধে ফের আদালতে বিজেপি, এবার সাংসদ দেবকে নোটিশ হাইকোর্টের

    এর আগে কী হয়েছিল? 

    প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে ‘অসাংবিধানিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে বন্ড (Electoral Bonds Scheme) কেনাবেচা সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করতে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেই জনস্বার্থ আবেদনে বলা হয়, মূলত তিন ধরনের লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। প্রথমত, কাজের বরাত, লাইসেন্স, কাজের অনুমতি পাওয়ার জন্য অনুদান। এই সব কাজের বরাতের মূল্য অনেক ক্ষেত্রে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। দ্বিতীয়ত, ইডি, আয়কর দফতর বা সিবিআইয়ের অভিযানের ঠিক আগে বন্ডে অনুদান দিয়েছে অনেক সংস্থা। অনেক ক্ষেত্রে অনুদানের বিনিময়ে ড্রাগ কন্ট্রোলারের মতো সংস্থা উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণের কাজ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয়ত, সংস্থার পক্ষে অনুকূল নীতি তৈরির জন্য বন্ডে অনুদান দিয়েছে কয়েকটি সংস্থা। ফলে এই সমস্ত অভিযোগের ভত্তিতেই সিট গঠনের আবেদন জানিয়েছিল ওই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তবে, এদিন মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সেই আবেদন খারিজ করে দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকেছিল একজন গুন্ডা!’ স্বাতী মালিওয়ালকাণ্ডে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকেছিল একজন গুন্ডা!’ স্বাতী মালিওয়ালকাণ্ডে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভার আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল নিগ্রহকাণ্ডে (Swati Maliwal Assault Case) অভিযুক্ত বিভব কুমারকে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সহযোগী বিভব কুমারের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। মামলায় নোট নেওয়ার সময় আদালত জানিয়েছে, তারা ‘শকড’। বিভবকে ‘গুন্ডা’ বলেও অভিহিত করেছে শীর্ষ আদালত। বলেছে, একজন গুন্ডা বাসভবনে প্রবেশ করেছিল এবং মালিওয়ালকে আক্রমণ করেছিল।

    বিভবকে তিরস্কার (Supreme Court)

    স্বাতী মালিওয়াল মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চে। এই বিচারপতিরা হলেন সূর্য কান্ত, দীপঙ্কর দত্ত এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়া। এদিন আদালতে শুনানি হচ্ছিল বিভবের জামিনের। সম্প্রতি তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। তার পরেই বিভব দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। সেখানে তিরস্কার জোটে বিভবের ভাগ্যে।

    কী বলল আদালত?

    বেঞ্চ বলে, বিভবকে তাঁর ওপর নিগ্রহ বন্ধ করতে অনুরোধ করেছিলেন মালিওয়াল। তার পরেও অব্যাহত ছিল আক্রমণ। শীর্ষ আদালত (Supreme Court) বলে, ‘‘তিনি নিজেকে কী ভাবেন? তাঁর মাথায় কী ক্ষমতা রয়েছে? দেখে মনে হচ্ছে যেন একটা গুন্ডা প্রাঙ্গণে ঢুকেছে। বিভব কুমারের কি লজ্জা আছে? স্বাতী মালিওয়াল একজন তরুণী।’’ আদালত বলে, ‘‘আপনি প্রাক্তন সচিব ছিলেন। ভিক্টিমের যদি সেখানে থাকার কোনও অধিকার না থাকে, তাহলে তো আপনারও সেখানে থাকার কোনও অধিকার ছিল না। আপনার কি মনে হয়, ওই ঘরে উপস্থিত কারওরই বিভবের বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস ছিল?’’

    আরও পড়ুন: এসসি-এসটির মধ্যে আলাদা উপশ্রেণি সংরক্ষণ করা যাবে, বড় রায় শীর্ষ আদালতের

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৩ মে দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে ঢুকতে গিয়ে আক্রান্ত হন দলীয় সাংসদ স্বাতী। সেই সময় তিনি রজঃস্বলা ছিলেন বলে এফআইআরে উল্লেখ করা হয়। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় বিভবকে। আদালতের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীর বাংলো কি ব্যক্তিগত কোনও রেসিডেন্স? সেই অফিসে কি এই রকম গুন্ডা রাখা প্রয়োজন (Swati Maliwal Assault Case)? এটাই কি পন্থা? আমরা শকড। প্রশ্ন হল, কীভাবে এটা ঘটল (Supreme Court)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: এসসি-এসটির মধ্যে আলাদা উপশ্রেণি সংরক্ষণ করা যাবে, বড় রায় শীর্ষ আদালতের

    Supreme Court: এসসি-এসটির মধ্যে আলাদা উপশ্রেণি সংরক্ষণ করা যাবে, বড় রায় শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেউ যদি একবার একটা কমার্টমেন্টে ঢুকে পড়েন, তাহলে অন্যরা যাতে সেখানে ঢুকতে না পারেন অনবরত তার চেষ্টা করতে থাকেন তিনি।” কথাগুলি বললেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি বিআর গাভাই। সংরক্ষণের (Quota Ruling) ক্ষেত্রে এসসি-এসটির মধ্যে আরও নিখুঁত শ্রেণি বিভাজনের পক্ষে রায় দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন গাভাই।

    কী বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

    বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালতের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সম্মতি দেয় শিক্ষা ও চাকরিতে সংক্ষণের ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি-উপজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনে। যাঁরা আক্ষরিক অর্থে পিছিয়ে পড়া, শিক্ষা ও চাকরিতে তাঁরা যাতে সুযোগ পান, তাই এই রায় বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এও জানিয়েছে, তফশিলি জাতি-উপজাতির মধ্যে ‘ক্রিমি লেয়ার’ বা উপশ্রেণিকে সংক্ষরণের আওতায় আনার ক্ষমতা থাকবে রাজ্য সরকারের হাতে।

    কী বললেন গাভাই?

    এই রায় দিতে গিয়েই বিচারপতি গাভাই বলেন, “কেউ যদি একবার একটা কমার্টমেন্টে ঢুকে পড়েন, তাহলে অন্যরা যাতে সেখানে ঢুকতে না পারেন অনবরত তার চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। সামাজিক ন্যায়ের কারণে তাঁরা নিজেরা সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু যখন রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেয় যে, প্রতিনিধিত্বহীন ব্যক্তিদের সেই সুবিধা দেওয়া হবে, তখন আর তা অস্বীকার করা যায় না।”

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি (Supreme Court) গাভাই স্বয়ং দলিত সম্প্রদায়ের। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পর তিনিই বসবেন ওই পদে। আগামী বছর প্রধান বিচারপতি পদে অভিষিক্ত হবেন তিনি। গাভাই ওই পদে বসলে, তিনিই হবেন দেশের দ্বিতীয় দলিত প্রধান বিচারপতি, কেজি বালকৃষ্ণণের পরে। এদিনের রায়ে গাভাই জানান, তফশিলি জাতি ও উপজাতির মধ্যে একটা ছোট্ট অংশই সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করতে পারছেন। বাকিরা বঞ্চনার শিকার হন। এপ্রসঙ্গে গাভাই বলেন, “বিআর আম্বেডকর বলেছিলেন, সামাজিক গণতন্ত্র না থাকলে, রাজনৈতিক গণতন্ত্র থেকে কোনও লাভ নেই। তফশিলি জাতির প্রতিটি শ্রেণির প্রতিবন্ধকতা আলাদা।”

    আরও পড়ুন: জাত বিতর্কে অখিলেশকে পাল্টা আক্রমণ অনুরাগ, কঙ্গনার

    সাত সদস্যের এই বেঞ্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, “অনেক সময়ই বৈষম্যের কারণে তফশিলি জাতি-উপজাতির সদস্যরা উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারেন না। ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে জাতির এই শ্রেণিবিন্যাসের অনুমতি দেওয়া (Quota Ruling) হয়েছে। ইতিহাসে প্রমাণ রয়েছে, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি কখনওই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না (Supreme Court)।” সাত সদস্যের বেঞ্চের বাকি সদস্যরাও এসসি-এসটি সংরক্ষণের মধ্যে ‘ক্রিমি লেয়ার’ পৃথকীকরণের ওপর সহমত পোষণ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NEET Row: ক্ষমা চাইতে বললেন রাহুলকে, নিট নিয়ে সুপ্রিম-নির্দেশের পরই বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

    NEET Row: ক্ষমা চাইতে বললেন রাহুলকে, নিট নিয়ে সুপ্রিম-নির্দেশের পরই বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট (NEET Row) বাতিলের দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালতের অভিমত, পরীক্ষায়  এমন ব্যাপক দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি, যে কারণে পুনরায় নিট পরীক্ষা নিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)৷ তাঁর মতে, আদালতে সত্যের জয় হয়েছে৷ একইসঙ্গে বিরোধীদের, যারা দিনকয়েক আগেই সংসদে একযোগে তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন, তাদেরও পাল্টা জবাব দিতে ভোলেননি শিক্ষামন্ত্রী।

    শীর্ষ আদালতের অভিমত

    মঙ্গলবার নিট-ইউজি (NEET Row) নিয়ে একগুচ্ছ মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। শুনানি শেষে দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের গঠিত বেঞ্চ নিট-ইউজি বাতিল এবং ফের পরীক্ষা নেওয়া সংক্রান্ত সব মামলা খারিজ করে দেয়৷ বেঞ্চ জানায়, পরীক্ষায় এমন কোনও বিস্তর অনিয়ম নজরে আসেনি, যার জন্য ফের নিট পরীক্ষা নিতে হবে।   

    কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী  

    শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তে দারুণ খুশি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। তিনি বলেন, “এটা দেশের যুবদের জয়। সুপ্রিম কোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ের পর আমি একটাই কথা বলতে চাই, সত্যমেব জয়তে। যখন নিটের (NEET Row) প্রসঙ্গটি সামনে আসে, তখন আজকের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই বিরোধীদের ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে গেল। গতকাল পর্যন্ত লোকসভার বিরোধী দলনেতার আচরণ যা ছিল…দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ‘রাবিশ’ বলা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই ওনার মানসিক অবস্থা স্পষ্ট করে।” নিটের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী। 

    বিরোধীদের রাজনীতি

    নিট (NEET Row) নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করছে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। তিনি বলেন, “দেশের পড়ুয়াদের বিভ্রান্ত করে, ভুল পথে চালনার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এগুলি সবই তাদের রাজনীতির অংশ ছিল। আমি বিরোধী পক্ষে থাকা সকলকে, যারা এই ধরনের দায়িত্বহীন আচরণে যুক্ত ছিলেন, তাদের বলছি, দেশের পড়ুয়া, যুব সমাজ ও অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তোমরা দেশের ক্ষতি করেছো, দেশে অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করেছো। দেশ কখনও ক্ষমা করবে না। রাজনৈতিক শত্রুতা আলাদা বিষয়, কিন্তু পড়ুয়ারা দেশের ভবিষ্যত।”

    রাহুলকে আক্রমণ

    এদিন এক্স হ্যান্ডলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (Dharmendra Pradhan) লেখেন, “লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং তাঁর ক্ষুদ্র চক্রীদল মায়াকান্না করছে। কিন্তু, বাস্তব বলছে, কেন্দ্রে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের সময় এবং উত্তর প্রদেশের মসনদে অখিলেশ যাদব থাকাকালীন যা প্রশ্নফাঁস হয়েছে, তাতে রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদবের জন্য পোকাভর্তি পাত্র খুলে যাবে।” লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করে ধর্মেন্দ্র প্রধান আরও লেখেন, “হতে পারে অন্যায্য কাজের মৌলিক বিষয়গুলি খুব ভাল জানেন রাহুল গান্ধী। সেজন্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অপকর্ম রুখতে বিল বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। কোন চাপে এবং কোন সমঝোতায় বেনিয়ম রুখতে কংগ্রেস আইন আনতে অস্বীকার করেছিল, সেটা কি বিরোধী দলনেতা বলবেন?”

    দুদিনের মধ্যে ফল প্রকাশের ঘোষণা

    পাশাপাশি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী জানান, দু’দিনের মধ্যেই ২০২৪ সালের নিট-ইউজি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হবে ৷ তিনি এ-ও জানান, এনটিএ পুনর্গঠনের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গঠন করেছে কেন্দ্র। ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘এনটিএ-কে সম্পূর্ণ রূপে ত্রুটিমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। আগামী দু’দিনের মধ্যে এনটিএ নিট-ইউজির চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে পরীক্ষার মেধাতালিকা স‌ংশোধন করা হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share