Tag: Supreme court

Supreme court

  • Jammu Kashmir Assembly Election: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু, ভোট কবে?

    Jammu Kashmir Assembly Election: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু, ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত দফায় অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন সাঙ্গ হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হবে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই। দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশে জানিয়েছিল, ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন (Jammu Kashmir Assembly Election)।

    ভূস্বর্গে নির্বাচন (Jammu Kashmir Assembly Election)

    ৪ জুন অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পর পরই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছিলেন, শীঘ্রই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। সেখানে লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটের হার প্রমাণ করেছে নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎসাহ। তাই কমিশনও উপত্যকায় দ্রুত বিধানসভা নির্বাচন আয়োজনে আগ্রহী। যদিও তার ঢের আগেই ভূস্বর্গে শুরু হয়েছিল নির্বাচনের সলতে পাকানোর কাজ। শুরু হয়েছিল সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। সেই কাজ শেষ হয়েছে। এবার বিধানসভা নির্বাচন (Jammu Kashmir Assembly Election) আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন।

    আবেদন গ্রহণ শুরু

    উপত্যকায় নির্বাচনে লড়ার প্রতীকের আবেদন গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার এই মর্মে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিও। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী প্রতীক (সংরক্ষণ ও বরাদ্দ) আদেশ, ১৯৬৪-র ১০বি অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতীক চিহ্ন বরাদ্দের আবেদন গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।’ লোকসভায় ভূস্বর্গের আসন সংখ্যা পাঁচ। নির্বাচন হয়েছে পাঁচ দফায়। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবার জম্মুতে ভোট পড়েছে ৫৮.৫৮ শতাংশ। আর উপত্যকায় ৫১.০৫ শতাংশ। ভূস্বর্গে ভোটদানের এই হারেই সন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশনও।

    আর পড়ুন: রাত পোহালেই শপথ প্রধানমন্ত্রীর, সংসদের প্রথম অধিবেশন কবে?

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে শেষবারের মতো বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল অবিভক্ত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই মোদি সরকার অগাস্ট মাসে ভূস্বর্গ থেকে রদ করে ৩৭০ ধারা। লোপ পায় বিশেষ রাজ্যের মর্যাদাও। রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে অবশ্য এর বছর তিনেক আগেই ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। এবার কাঠি পড়তে চলেছে সেই বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকেই (Jammu Kashmir Assembly Election)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maniktala: মানিকতলায়  উপনির্বাচনের জট কাটল, শীঘ্রই ভোটের দিন ঘোষণা

    Maniktala: মানিকতলায়  উপনির্বাচনের জট কাটল, শীঘ্রই ভোটের দিন ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট গণনার প্রস্তুতির মধ্যেই  মানিকতলা উপনির্বাচনের (Maniktala By Election) তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল। উপনির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ এবং সংশ্লিষ্ট সূচি মুখবন্ধ খামে সুপ্রিমকোর্টে জমা দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও সময় নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ও বিধি ঘোষণা হতে পারে।

    বিধায়ক শূন্য মানিকতলা কেন্দ্র

    কলকাতা উত্তর লোকসভার মধ্যে পড়ে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র (Maniktala By Election)। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াত হন মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। সেই থেকে মানিকতলা কেন্দ্রটি বিধায়ক শূন্য। অথচ ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইন বলে, কোনও বিধানসভা কেন্দ্র বিধায়ক শূন্য হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাতে হবে। তবে মানিকতলার ক্ষেত্রে তা হয়নি।

    আরও পড়ুন: ভোট গণনার দিন বৃষ্টি! উত্তরে বর্ষা ঢুকলেও দক্ষিণে এখনও অপেক্ষা

    কেন দেরিতে উপনির্বাচন

    ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন কল্যাণ চৌবে। নির্বাচনের পর তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। বিষয়টি শীর্ষ আদালতে পৌঁছায়। মামলার কারণে ওই কেন্দ্রের বিধায়ক সাধন পাণ্ডে মারা যাওয়ার পর থমকে থাকে নির্বাচন। সম্প্রতি বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, একটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কেন এত দেরি হচ্ছে, যেখানে চব্বিশের লোকসভা ভোটের সঙ্গে বরানগর ও ভগবানগোলা বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে, সেখানে মানিকতলায় (Maniktala By Election) কেন ভোট নেওয়া হচ্ছে না? কমিশন ও মামলাকারীদের থেকে হলফনামা চায় শীর্ষ আদালত এবং দুমাসের মধ্যে উপনির্বাচনের সময়সীমাও বেঁধে দেয়। মামলাকারীর আবেদন ছিল, ৩০ জুনের মধ্যে উপনির্বাচন হলে ভালো হয়। ৩১ মে সুপ্রিম কোর্টের মুখবন্ধ খামে মানিকতলা উপনির্বাচনের প্রস্তাবিত দিনক্ষণ জানায় কমিশন। বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন জানান, কমিশনের সক্রিয়তা সন্তোষজনক। এই মামলার আর ভিত্তি নেই, তাই তা খারিজ করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ কেজরির আবেদন, আপ সুপ্রিমো ফিরছেন তিহাড়েই!

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ কেজরির আবেদন, আপ সুপ্রিমো ফিরছেন তিহাড়েই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কি ফিরে যেতে হবে জেলের অন্ধকার কুঠুরিতেই? আপাতত এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ কেজরিওয়ালের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন শুনতে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করার বিষয়ে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই তাঁর আবেদন শুনতে নারাজ দেশের শীর্ষ আদালত।

    তালিকাভুক্তই হয়নি মামলা (Supreme Court)

    বুধবারই মামলাটি তালিকাভুক্ত করতে অস্বীকার করেছেন আদালতের রেজিস্ট্রার। প্রসঙ্গত, পয়লা জুন দেশে রয়েছে সপ্তম তথা শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এদিনই শেষ হচ্ছে কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ। তাই পরের দিনই তাঁকে ফিরতে হবে তিহাড় জেলে (Supreme Court)। ১০ মে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সময়ই ২ জুন আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে।

    কেন চেয়েছিলেন জামিন?

    কী কারণে জামিনের আবেদন করেছিলেন, ভাটিন্ডার এক জনসভায় তাও জানিয়েছিলেন আপ সুপ্রিমো। বলেন, “আমার অনেকটা ওজন কমে গিয়েছে। এটা গুরুতর অসুস্থতার উপসর্গ। একাধিক মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই চেকআপ করাতেই আমি দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে সাতদিন অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছি।” মামলাটি দ্রুত শুনানির আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সেই আর্জি খারিজ করে দেয় বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই আবেদনটি তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতিই। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার সাফ জানিয়ে দেন, এই মামলাটি তালিকাভুক্ত করা হবে না।

    আর পড়ুন: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় ২১ মার্চ গ্রেফতার করা হয় কেজরিওয়ালকে। যেহেতু ইডিই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল, তাই সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ইডি। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কেন গ্রেফতার করা হল, সে প্রশ্নও তোলে সুপ্রিম কোর্ট। ১৯ এপ্রিল দেশে শুরু হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারের জন্য জেলের বাইরে আসতে চেয়ে কেজরিওয়াল আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত। জামিন পান ১০ মে (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে ভোট দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার

    Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে ভোট দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভোটগ্রহণ পর্বে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) হার সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ের পর সেই বিষয়েই মন্তব্য করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajib Kumar)। শনিবার ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে ভোট দিতে এসে রাজীব কুমার জানান, এ বছর লোকসভা ভোট যথেষ্ট শান্তিপূর্ণভাবে এগোচ্ছে। এর মধ্যে ভোট দানের হার প্রকাশিত না হওয়ায়াই ভালো। এতে ভোটারদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।

    তিন প্রজন্মের একসঙ্গে ভোটদান 

    এদিন রাজীব কুমার তাঁর বাবা, স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে এসে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন প্রতিটি নাগরিকের জন্য ভোট দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে তিনি জানান তার বাবার সাথে প্রথম ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “তিন প্রজন্ম একসঙ্গে ভোট দেওয়াটা গর্বের বিষয়।” একই সঙ্গে তিনি এ দিন সেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত প্রত্যেকজন ভোটারকে ভোটদানে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন।

    আরও পড়ুন: প্রথম কোনও ভারতীয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রী হলেন, ইতিহাস কলকাতার অনসূয়ার

    কমিশনের প্রশংসা 

    এদিন রাজীব কুমার জানান প্রথম পাঁচ দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) যথেষ্ট ভালোভাবে নিজের দায়িত্ব সামলেছে কমিশন। একই সঙ্গে কমিশনের প্রশংসা করে  তিনি বলেন, ভোটের জন্য কমিশনের নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপ রাজ্যে ভোটদানের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জানা গিয়েছে, ষষ্ঠ দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) দেশের ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৮৮৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেছে ১১.১৩ কোটিরও বেশি ভোটার। ষষ্ঠ দফায় বিহারের ৮টি, হরিয়ানার ১০টি, জম্বু কাশ্মীরের ১টি, ঝাড়খণ্ডের ৪টি, দিল্লির ৭টি, ওড়িশার ৬টি, উত্তরপ্রদেশের ১৪ টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮ টি আসনে ভোটগ্রহন হয়েছে। একই সঙ্গে ওড়িশার ৪২ টি বিধানসভা কেন্দ্রেও এদিন ভোটগ্রহণ হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: বুথভিত্তিক ভোটদানের তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, স্বস্তিতে কমিশন

    Supreme Court: বুথভিত্তিক ভোটদানের তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, স্বস্তিতে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারাদেশে ৫ দফায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখনও ২ দফায় ভোটগ্রহণ বাকি। নির্বাচন যতই শেষের দিকে যাচ্ছে ততই রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। আর রাজ্যে ভোটের আবহের মাঝেই এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে বড় স্বস্তি মিলল কমিশনের। সম্প্রতি লোকসভা ভোট চলাকালীন কমিশন (Election Commission) যেন তার ওয়েবসাইটে বুথভিত্তিক ভোটদানের হার সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে এমনই দাবিতে কোর্টে আবেদন জানানো হয় অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস-র তরফে। ওই এনজিও-র তরফে দায়ের করা সেই আর্জি এদিন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশ দিলে, কমিশনের ঘাড়ে ভোটের মধ্যে অতিরিক্ত বোঝা চাপবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Supreme Court)

    ২৪ মে শুক্রবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার অবকাশকালীন বেঞ্চ জানিয়েছে, পাঁচ দফার ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র দুই দফা বাকি আছে। এই অবস্থায়, প্রতিটি বুথের ভোটদানের তথ্য কমিশনের (Election Commission) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলে, প্রয়োজনীয় লোকবল সংগ্রহ করা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “আমাদের বাস্তব পরিস্থিতিও মাথায় রাখতে হবে। নির্বাচনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে অতিরিক্ত বোঝা চাপানো ঠিক হবে না। তাও আবার, মাঝপথে নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই চ্যালেঞ্জ করে।”

    আরও পড়ুন: প্রতি বুথে ভোটদানের হার প্রকাশে বিভ্রান্তি বাড়বে, সুপ্রিম কোর্টে কমিশন

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ লোকসভা ভোটে প্রথম দুই দফার ভোটগ্রহণ পর্বে ভোটের হার সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে দেরি হওয়ার পর এক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। আর্জি ছিল লোকসভা ভোট চলাকালীন কমিশন যেন তার ওয়েবসাইটে প্রতি বুথে ভোটদানের হার সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে, তার জন্য নির্দেশ যেন সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে দেয়। তবে এ প্রসঙ্গে কমিশন বলেছিল, নির্বাচনী আইনে কোথাও ভোটদানের তথ্য় প্রকাশ করতেই হবে, এমন কথা বলা নেই। তাছাড়া, এই বিপুল সংখ্যক বুথের তথ্য এত দ্রুত প্রকাশ করা সম্ভব নয়। নির্বাচনের পরই এই তথ্য তারা প্রকাশ করতে পারবে। কমিশনের (Election Commission) এই বক্তব্যের পর ওই এনজিও-র তরফে দায়ের করা সেই আর্জি এদিন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: মামলা চললে পিএমএলএতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    ED: মামলা চললে পিএমএলএতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির (ED) পায়ে বেড়ি পরাল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, বিশেষ আদালতে বিচারাধীন বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন মামলার ১৯ নম্বর ধারায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি। তেমন কোনও অভিযু্ক্তকে হেফাজতে রাখতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে ইডিকে।

    ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ (ED)

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ‘যদি একজন অভিযুক্ত সমনে সাড়া দিয়ে আদালতে হাজির হন, তবে তাঁকে গ্রেফতার করতে হলে ইডিকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট আদালতেই আবেদন করতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া হাজিরা দেওয়া অভিযুক্তকে হেফাজতে নিতে পারবে না ইডি (ED)’। ডিভিশন বেঞ্চের আরও নির্দেশ, পিএমএলএ মামলায় অভিযুক্ত যদি সমন মেনে আদালতে হাজিরা দেন, তবে তাঁর আদালাভাবে জামিনের আবেদন করার কোনও প্রয়োজন নেই।

    কী বলল আদালত?

    আদালত জানিয়েছে, এই আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী জামিন পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। কারণ এক্ষেত্রে বিচারককে ধরে নিতে হয়, অভিযুক্ত এই অপরাধ করেননি এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের অপরাধ করবেন না। যা অত্যন্ত কঠিন একটি বিষয়। প্রসঙ্গত, জনৈক তারসেম লাল বনাম ইডি মামলায় এমন রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

    আর পড়ুন: ‘‘এমন নেতার প্রয়োজন’’, মোদিকে সমর্থন উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের

    রায়ে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট আইনের ৪৪ নম্বর ধারায় কোনও একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পিএমএলএ-র ধারা ৪ এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের স্বীকৃতি নেওয়ার পরে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো ব্যক্তিকে ১৯ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করার ক্ষমতা ইডির নেই। শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের না হওয়া পর্যন্ত ইডি যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করে থাকে, তবে বিশেষ আদালত মামলায় স্বীকৃতি নেওয়ার সময় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমন জারি করতে পারবে, ওয়ারেন্ট নয়। আসামি জামিনে থাকলেও, সমন জারি করতে হবে (ED)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি নিয়ে ফের নতুন আবেদন সুপ্রিম কোর্টে, কী বলছেন মামলাকারীরা?

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি নিয়ে ফের নতুন আবেদন সুপ্রিম কোর্টে, কী বলছেন মামলাকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়ে সুপ্রিম দুয়ারে আর্জি জানিয়েছিলেন সেখানকারই মহিলাদের একাংশ। মঙ্গলবার সেই আবেদন গ্রহণ করল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ মূল মামলার সঙ্গে সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশের মামলা যুক্ত করার অনুমতি দিয়েছে। আগামী জুলাই মাসে সন্দেশখালির মামলার শুনানি রয়েছে। তখনই এই আর্জি শুনবে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। 

    শীর্ষ আদালতের অভিমত

    সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিও-তে কিছু অনৈতিক দাবি করা হয়েছে।  সন্দেশখালির ওই ভিডিও নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সেখানকার স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল। ভাইরাল ভিডিওর বিষয় নিয়ে আবার সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছেন সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ। তারা নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন তদন্ত চান। সূত্রের খবর, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো সন্দেশখালির মূল মামলার সঙ্গে গঙ্গাধর কয়ালের ভিডিও সংক্রান্ত মামলাটিও যুক্ত হতে পারে। সন্দেশখালি সংক্রান্ত মূল মামলাটির শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে চলছে। সন্দেশখালিতে সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তার বিরোধিতা করে সু্প্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি আপাতত স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের রায়েও কোনও হস্তক্ষেপ করেনি সু্প্রিম কোর্ট। এই মামলার শুনানি আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বঙ্গে পঞ্চম দফায় ৭৬২, ষষ্ঠ দফাতে ১০২০ কোম্পানি বাহিনী!

    সাজানো ঘটনা দাবি শুভেন্দুর 

    গত ৪ মে-র পর থেকে এখনও পর্যন্ত সন্দেশখালি নিয়ে একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সোমবারই সন্দেশখালি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ”এইসব ভিডিও করার পিছনে ভাইপোর মস্তিষ্ক রয়েছে। আইপ্যাককে দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছে।” রাজ্যের পুলিশও এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত বলে দাবি শুভেন্দু। পরপর ভাইরাল হওয়া ভিডিওকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তপ্ত হয়েছিল সন্দেশখালি। ওই ঘটনায় চারজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি, ধৃত এই চারজন বিজেপি কর্মী গোলমালের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। তৃণমূল পরিকল্পনা করিয়ে পুলিশকে দিয়ে তাদের গ্রেফতার করিয়েছে! সোমবার ভোট শেষের পর বিকেলে সেই গ্রেফতারির প্রতিবাদেই পথে নামেন সন্দেশখালির মহিলারা। উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে শুরু চাকরিহারাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ, ‘অযোগ্য’দের সিবিআই তলব

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে শুরু চাকরিহারাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ, ‘অযোগ্য’দের সিবিআই তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) অভিযুক্ত ‘অযোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তলব করতে শুরু করল সিবিআই। ‘কোথাও নাম নেই, কীভাবে চাকরি পেলেন?’, ‘কাকে টাকা দিলেন?’, এরকমই সিবিআইয়ের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে ঘুরপথে চাকরি পাওয়া ওই ব্যক্তিদের। আদালতের নির্দেশ মেনে প্রার্থীর পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ও বেতন পাওয়ার নথি যাচাই সহ নিজাম প্যালেসে ‘অযোগ্য’দের তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।  

    সিবিআই তদন্ত চলছে

    শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ার যাবতীয় তথ্য ও নথি সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে সিবিআই। ‘দুর্নীতি’র (SSC Scam) অভিযোগে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেলটিই বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এক ধাক্কায় চাকরি যায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই পরীক্ষায় অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের খুঁজে বার করার কথাও বলেছে শীর্ষ আদালত। তাই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই এবার তদন্ত শুরু করল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিধিভঙ্গ! প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে মামলা খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    উঠতে পারে কোনও নাম

    সূত্রের খবর, ওএমআর যাচাইকারী সংস্থা নাইসা থেকে সিবিআই যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করেছে, সেখানেই রয়েছে কারা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, কাদের ওএমআরে ম্যানুপুলেশন হয়েছে তার সম্পূর্ণ তালিকা রয়েছে এসএসসিও (SSC Scam) অনেককে চিহ্নিত করেছে। অনেকের চাকরি বাতিল হয়েছে। তবে অনেকে চাকরিও করছেন। এই অযোগ্যদেরই এবার তলব করেছে নিজাম প্য়ালেস। তালিকা ধরে ধরে প্রায় ৪৩২৭ জন ‘অযোগ্য’কে তলব করা শুরু করেছে সিবিআই। অযোগ্যদের মোট ৬টি তালিকা সিবিআইয়ের হাতে। প্রত্যেক তালিকা থেকেই বেশ কয়েকজনকে তলব করা হয়েছে বলে খবর। এদেরকে জেরা করে কোনও বড় নামও মিলতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment Scam: দেড় বছর জেলে, শীর্ষ আদালত থেকে খালি হাতে ফিরলেন মানিক

    Primary Recruitment Scam: দেড় বছর জেলে, শীর্ষ আদালত থেকে খালি হাতে ফিরলেন মানিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাময়িক স্বস্তি স্বরূপ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেও ভাগ্য খোলেনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Manik Bandyopadhyay) । কেজরি ফিরেছেন বাড়িতে। কিন্তু দেড় বছরের বেশি জেলবন্দী থেকেও বাড়ি ফেরা হল না প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) মামলায় ধৃত পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিনের আবেদন করেছিলেন মানিকবাবু। তার মামলা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিল শীর্ষ আদালত (SC) ।

    কলকাতা হাইকোর্টে মেলেনি জামিন (Primary Recruitment Scam)

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বহুবার দরবার করেও মেলেনি জামিন। অগত্যা সুপ্রিম কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিকবাবু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও খালি হাতেই ফিরতে হল তাঁকে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল জামিন পেতে গেলে হাইকোর্টেই দরবার করতে হবে। এই মামলায় তাঁর পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যকে আগেই জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মানিক হয়ত আশা করেছিলেন ছেলের মত তাঁকেও হয়ত জামিন দেওয়া হতে পারে। কিন্তু কপাল খুলল না। মানিকবাবুর বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। বেশ কিছু নথিও জমা দিয়েছিলেন মানিকবাবুর আইনজীবী। তাঁর দাবি এই নথি গুলি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়নি। শীর্ষ আদালত মানিক বাবুর আইনজীবীকে নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করতে বলেছেন। সেখানেই চলবে মামলা (Primary Recruitment Scam)। ইডির আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন মামলাটি হাইকোর্টে ফেরানো হলে তাঁদের তরফে কোন আপত্তি নেই।  

    আরও পড়ুন: বাংলায় বিজেপির ক্লিন স্যুইপ, ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    ২০২২ সাল থেকে জেলে মানিক

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Recruitment Scam) দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেল হেফাজতের আবেদন জানায়। তার পর থেকে জেলেই আছেন মানিক। কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণের নির্দেশও দিয়েছিলেন। একই মামলায় মানিক বাবুর স্ত্রী ও পুত্রকেও হেফাজতে নিয়েছিল ইডি। মানিক বাবুর স্ত্রী হাইকোর্টে জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সৌভিক ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পান। কিন্তু মানিক বাবুর আর ভাগ্য খুললো না। আপাতত জেলেই থাকতে হবে প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ৩২৫ জন প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় ফেল করলেও তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন মানিক বাবুর নির্দেশে। তাঁদের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন মানিকবাবু। এছাড়া আরো ১০ জন পরীক্ষার থেকে পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এখানেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সীমিত নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাথমিক শিক্ষকের ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে ভুয়া সেন্টার চলছিল তাঁর অঙ্গুলিহেলনে এমনটাই অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme court: টেটের শূন্যপদ নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    Supreme court: টেটের শূন্যপদ নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার বড় নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। প্যানেলের মেয়াদ শেষে কোনও নিয়োগ নয়, নির্দেশে সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ ২০২০ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রয়ে যাওয়া শূন্যপদে নতুন করে কোনও নিয়োগ নয়, এমনটাই নির্দেশ বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চের।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Supreme court) 

    ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে একটি ২০১৬ সালে এবং অপরটি ২০২০ সালে। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের তরফে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। কিন্তু, বিভিন্ন কারণের জন্য ৩৯২৯ টি পদ শূন্যই থেকে গিয়েছিল। এই প্রায় ৪ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Recruitment) ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার কাদের রয়েছে? এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা ২০১৪ সালে টেট পাশ করে তাঁদের দাবি ছিল বাকি পদগুলিতে রয়েছে তাঁদের অগ্রাধিকার। উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা গিয়েছিল তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। তিনি সেই সময় মেধার উপর ভিত্তি করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) সেই নির্দেশকে মান্যতা দিল না। 

    শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ 

    বৃহস্পতিবার মামলাটি আদালতে (Supreme court) উঠতে সেখানেই এই দাবি খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের (Primary Recruitment) ক্ষেত্রে যে পদগুলি বাকি রয়েছে সেগুলি আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে বলে জানানো হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme court) তরফে। অর্থাৎ ২০২২ সালের যে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল তার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেই মতোই করা হবে নিয়োগ।

    আরও পড়ুন: ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমেছে ৮ শতাংশ, তরতরিয়ে বেড়েছে সংখ্যালঘুরা

    অন্যদিকে আবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জলও গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটিই বাতিল করে দেয়। আর এই নির্দেশে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি যায়। আর অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের সুদ সমেত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সেই মামলায় আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share