Tag: Supreme court

Supreme court

  • Supreme Court: “রাজনীতি করবেন না”, বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: “রাজনীতি করবেন না”, বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট চলাকালীন সুপ্রিম (Supreme Court) দুয়ারে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে-র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে যে মামলা হয়েছিল, তা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ ওই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। এর পাশাপাশি ওই মামলার শুনানিতেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এফআইআর করতে রাজ্যকে নিষেধ করেছে শীর্ষ আদালত। 

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    একটি পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠে বিচারপতি সিনহার স্বামীর বিরুদ্ধে। এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। পরে ওই অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডি-কে। সিআইডি আধিকারিকরা আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে-কে ডেকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদও করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। চিঠির ছত্রে ছত্রে সিআইডি-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে’র অভিযোগ ছিল, তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকা, দামী গাড়ি, বাড়ি-সহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখানো হয়। তাঁকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি রাজ্যে, কলকাতা ছাড়া আরও আট জেলায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস

    ৬৪ বছরের এক বিধবা এবং তাঁর মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পরে অবশ্য এই মামলায় বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়েছিল তারা। তার পর ডিসেম্বরে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আবার জানায়, পুলিশ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে। শুক্রবার খারিজ হয়ে গেল সেই মামলাই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এফআইআর করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে আদালত। যদিও শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, মামলাটিতে পুলিশের স্ট্যাটাস রিপোর্ট এবং চার্জশিট নিয়ে কোনও মন্তব্য করছে না তারা। এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন, রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এফআইআর দায়ের নিয়ে রাজনীতি করবেন না। চার্জশিট দাখিল হয়ে গিয়েছে, আইনকে আইনের পথে চলতে দিন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ৫২৫০ নাকি ৮৮৬১! এসএসসি দুর্নীতিতে অযোগ্য প্রার্থী কতজন? সুপ্রিম কোর্টে সংখ্যা বদল কমিশনের

    SSC Scam: ৫২৫০ নাকি ৮৮৬১! এসএসসি দুর্নীতিতে অযোগ্য প্রার্থী কতজন? সুপ্রিম কোর্টে সংখ্যা বদল কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) যোগ্যদের তালিকা প্রমাণ-সহ প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। গত ২২ এপ্রিল এসএসসি কাণ্ডে ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল, মঙ্গলবারই তার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ শীর্ষ আদালত বলেছে, যদি যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থী ভেদ করা যায় তাহলে পুরো প্যানেল বাতিল করা ঠিক নয়। এসএসসি ইতিমধ্যেই ৫২৫০ জনের বেআইনি নিয়োগের কথা বলেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই-কে উদ্ধৃত করে এসএসসি জানিয়েছে, ২০১৬ সালে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে ৮৮৬১টি। আর এই সংখ্যা আলাদা হওয়া নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা। 

    সংখ্যার তারতম্য নিয়ে প্রশ্ন

    ২০১৬-তে বেআইনি নিয়োগ নিয়ে এসএসসি-র (SSC Scam) কাছ থেকে অযোগ্যদের তালিকা চেয়ে না-পেয়ে সে বারের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে এসএসসি, রাজ্য সরকার এবং চাকরি হারা শিক্ষকেরা। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের রায়ে স্পষ্ট, ১৬ জুলাই পর্যন্ত চাকরি বহাল থাকবে ২০১৬-তে এসএসসির চাকরি পাওয়া শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। তারপর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট। এদিনের শুনানির আগে শীর্ষ আদালত এসএসসি-র কাছে জানতে চেয়েছিল, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের পৃথকীকরণ সম্ভব কি না৷ এসএসসি-র পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে সেই তথ্য রয়েছে৷ সেই মতো এদিন শীর্ষ আদালতে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা হলফনামা আকারে জমা দেয় এসএসসি৷ সেখানেই দেখা যায়, এসএসসি সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে, ২০১৬ সালে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে ৮৮৬১টি। কিন্তু এর আগে এসএসসি বলেছিল  ৫২৫০ জনের বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। এরপরই প্রশ্ন ওঠে সংখ্যাটা পাল্টে যাওয়া নিয়ে। কী করে অযোগ্যদের সংখ্যা পাল্টে গেল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি।

    আরও পড়ুন: বাংলায় করলেন কবিতাপাঠ, কবিগুরুর জন্মদিনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর

    এসএসসি-র দাবি

    এদিন শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতে এসএসসি-র (SSC Scam) আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৬ সালের ওই প্যানেলের মধ্যে ১৯ হাজার নিয়োগই বৈধ ছিল৷ তার স্বপক্ষে যাবতীয় তথ্য এসএসসির হাতে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন এসএসসি-র আইনজীবী৷ ফলে কয়েক হাজার অবৈধ নিয়োগের জন্য কেন যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিল হবে, শীর্ষ আদালতে সেই প্রশ্ন তোলে এসএসসি৷ একই সঙ্গে এসএসসি-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের হয়ে কোনও সওয়াল এসএসসি আদালতে করবে না৷ এসএসসি দাবি করে, নাইসা-র থেকে পাওয়া তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ জুলাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রীম কোর্টে এসএসসি মামলা শুনানিতে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নাম ওঠায় তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন এই প্রাক্তন বিচারপতি। মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালা সুপ্রিম কোর্টে উঠলে কয়েকজন আইনজীবী অভিজিৎবাবুর নাম নিয়ে তাঁর রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু এই নাম নেওয়ায় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। পাল্টা বিজেপি প্রার্থী এই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তৃণমূলের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি (Abhijit Ganguly)?

    মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের বেঞ্চে এসএসসি মামলার শুনানি ছিল। শুনানির সময় কিছু তৃণমূল সমর্থিত আইনজীবীর পক্ষ থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নাম তোলা হয়। এমনকী তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন এই বিষয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়। এখানেই থেমে থাকেননি আইনজীবীরা, প্রয়োজনে এই প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থীকে শাস্তি দেওয়ার দাবিও করা হয়। এমন কথা শুনেই তীব্র ভর্ৎসনার মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা মূল বিষয় থেকে সরে যাচ্ছি। এখানে কোনও প্রাক্তন বিচারপতির আচরণ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে না।”

    আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর চাপেই চাকরিহারাদের পাশে এসএসসি, তোপ শুভেন্দুর

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য

    ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “আজ তৃণমূলের উকিলরা আমার নাম করে সুপ্রিম কোর্টে বলতে গিয়েছিল, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলে একজন ছিলেন, তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তখন প্রধান বিচারপতি তাঁদের মুখের ওপরে বলে দিয়েছেন, কাদা ছোড়াছুড়িত জায়গা এটা নয়। এখানে কাদা ছুড়বেন না। এতে তৃণমূলের খুব মন খারাপ হয়েছে। কারণ চোরগুলোকে আমিই ধরা শুরু করেছিলাম।”

    এদিন শুনানিতে ২৫৭৫৩ জনের চাকরি খারিজের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদলত। চাকরিতে এখন বহাল থাকবেন। একই সঙ্গে অযোগ্যদের বেতন ফেরতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদলাত। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে যোগ্য এবং অযোগ্যদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারলে সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের প্রয়োজন নেই।     

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে তারকা, প্রভাবীরাও সমানভাবে দায়ী, জানাল শীর্ষ আদালত

    Supreme Court: প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে তারকা, প্রভাবীরাও সমানভাবে দায়ী, জানাল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে এল পতঞ্জলি মামলা। নিষিদ্ধ করার পরেও বেশ কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দেখা যাচ্ছে সেই নিষিদ্ধ বিজ্ঞাপন। তাই পতঞ্জলিতে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ও অনলাইন বিজ্ঞাপন সরানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাশাপাশি বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের (Misleading Ads Case) মুখ হওয়ার জন্য মোটা টাকা নিলে তারকারাও সমানভাবে দায়ী থাকবেন বলে মঙ্গলবার এমনই জানায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। 

    সুপ্রিম কোর্টের রায় (Supreme Court)

    কোনও পণ্যের বিষয়ে সমপ্রচারিত বিজ্ঞাপন যদি প্রতারণামূলক (Misleading Ads Case) প্রমাণিত হয়, তাহলে এর সঙ্গে জড়িত তারকা এবং ইনফ্লুয়েন্সাররাও (প্রভাবী) সমানভাবে দায়ী থাকবেন। ৭ মে মঙ্গলবার পতঞ্জলি মামলার শুনানিতে এই রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এদিন পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলেছে, কোনো বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়ার আগে সম্প্রচারকদের একটি স্ব-ঘোষণা ফর্ম ফাইল করতে হবে, যেখানে বিজ্ঞাপনে প্রাসঙ্গিক নিয়মাবলী মেনে চলার কথা উল্লেখ থাকবে।

    শুনানি চলাকালীন বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন (Misleading Ads Case) প্রতিরোধের নির্দেশিকা, ২০২২ সালের কথা উল্লেখ করেন বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি এ আমানুল্লাহর বেঞ্চ। তারা বলেন, কোনো পণ্য বা দ্রব্যের প্রচারণার সঙ্গে জড়িত হওয়ার আগে কোনো ব্যক্তিকে অবশ্যই সেগুলো সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য বা অভিজ্ঞতা থাকতে হবে যে, সেটি প্রতারণামূলক নয়।  

    আরও পড়ুন: “স্টিং ভিডিওটি পুরোটাই সাজানো,” বলছেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা

    পতঞ্জলি মামলা

    উল্লেখ্য সম্প্রতি কোভিড-১৯ টিকাকরণ অভিযান এবং আধুনিক ওষুধের বিরুদ্ধে পতঞ্জলি এবং তার প্রতিষ্ঠাতাদের প্রচারের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)  দ্বারা দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানিতে এমনটা জানায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আইএমএ অভিযোগ করে, অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়েছে পতঞ্জলীর বিজ্ঞাপনে। আইএমএ আরও বলেছিল, পতঞ্জলীর বিজ্ঞাপনে (Misleading Ads Case) ক্রমাগত পদ্ধতিগতভাবে ভুল তথ্য প্রচার করা হয়। পতঞ্জলি পণ্যগুলির ব্যবহার করে, নির্দিষ্ট কিছু রোগ নিরাময় হয় বলে, মিথ্যা দাবি করা হয়। এবার সেই মামলার শুনানিতেই তারকা ও ইনফ্লুয়েন্সারদের সাবধান করল সুপ্রিম কোর্ট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য, আপাতত চাকরি বাতিল নয়

    SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য, আপাতত চাকরি বাতিল নয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট গত ২২ এপ্রিল দিয়েছিল, তার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পুরো প্যানেল বাতিল করা শেষ পদক্ষেপ হওয়া উচিত। যোগ্য-অযোগ্য পৃথকীকরণ সম্ভব হলে, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র অযোগ্যদেরই চাকরি বাতিল হওয়া উচিত।  তবে এই নির্দেশ চূড়ান্ত নয়। এই স্থগিতাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন। ১৬ জুলাই এই মামলার চূড়ান্ত  নির্দেশ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিন এদিন শুনানি পর্বে বার বারই সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকার এবং এসএসসি-কে৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ক্ষোভের সঙ্গে মন্তব্য করে, ‘এমনিতেই সরকারি চাকরি খুব কম৷ তার উপরে সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও দুর্নীতি হলে মানুষের ভরসা উঠে যাবে৷ প্রচুর গরিব মানুষ সরকারি চাকরির দিকে তাকিয়ে থাকেন৷’

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    এসএসসি মামলায় (SSC Scam) বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ,এসএসসি যদি যোগ্য অযোগ্যদের বিভাজন করতে পারে, তাহলে গোটা প্যানেল বাতিল ন্যায্য নয়৷ পাশাপাশি, প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে তার অভিঘাত অনস্বীকার্য বলেও স্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷  তাই এখনই চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না। আপাতত প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল থাকছে৷ তবে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছিল সেই শিক্ষকদের মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে ভবিষ্যতে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হলে তাঁদের হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ফেরত দিতে হবে৷ 

    প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুনানি শুরু হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। বিকেল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে চলে এসএসসি মামলার (SSC Scam) শুনানি পর্ব। রাজ্য সরকার, এসএসসি, মধ্য শিক্ষা পর্ষদ, চাকরিহারাদের আইনজীবী, বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী সকলেই নিজেদের বক্তব্য আদালতে পেশ করেন। এদিন বারবার আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এসএসসি ও রাজ্য সরকারকে। পৃথকীকরণ যেখানে সম্ভব সেখানে শুধু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। রাজ্য ও এসএসসি কেউ সেই পর্যায়ে নেই যে ভবিষ্যতের দুর্নীতি রুলড আউট করা যাবে? প্রশ্ন করে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানায় বহু মানুষ সরকারি চাকরির দিকে তাকিয়ে থাকে, সেখানে এই ধরনের দুর্নীতি কখনওই কাম্য নয়। 

    আরও পড়ুন: এক লহমায় পারদ নামল ৮ ডিগ্রি, আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা-সহ জেলায় জেলায়

    পরবর্তী শুনানি

    শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বেতন ফেরতের নির্দেশের উপরও এদিন অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। যার অর্থ অযোগ্য বলে চিহ্নিত চাকরি প্রাপকদেরও আপাতত ১২ শতাংশ সুদ সহ বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে না৷ এর পাশাপাশি সুপার নিউমেরারির তদন্তে মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে এখনই সিবিআই কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। যদিও সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি৷ ওই দিনই এই মামলার (SSC Scam) চূড়ান্ত রায়দান করবে শীর্ষ আদালত৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal Bail: “জামিন হলেও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারবেন না”, কেজরিওয়ালকে সুপ্রিম নির্দেশ

    Arvind Kejriwal Bail: “জামিন হলেও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারবেন না”, কেজরিওয়ালকে সুপ্রিম নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে আপ প্রধান। আবগারি মামলায় (Delhi Liquor Policy Case) ধৃত অরবিন্দ কেজরীওয়ালের জামিনের (Arvind Kejriwal Bail) আর্জি মঞ্জুর করল না দেশের শীর্ষ আদালত। নয় নয় করে টানা ৪৭ দিন ধরে আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে শুনানি করলেও, মঙ্গলবার কোনও রায় দিল না শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ কেজরিওয়ালের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করল না। 

    বিচারপতির মন্তব্য 

    এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গ্রেফতাররি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন কেজরিওয়াল। ধৃত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সেই আবেদন মামলায় (Arvind Kejriwal Bail) ইডির কাছে এবার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। আম আদমি পার্টির প্রধানের দায়ের করা মামলা কোনও সাধারণ মামলা নয়, মঙ্গলবার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। একই সঙ্গে বেঞ্চ ইডিকে বলে, “কারও জীবনের অধিকার থেকে আপনি বঞ্চিত করতে পারেন না।” শীর্ষ আদালত আরও বলে, কেজরিওয়াল এক জন মুখ্যমন্ত্রী। যদি কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তিকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয়, তা হলেও তিনি কোনও সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না।    

    কেজরিওয়ালের জামিনের বিরোধিতা ইডির (Arvind Kejriwal Bail) 

    এর আগে, গত সপ্তাহে কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার ইঙ্গিত দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু মঙ্গলবার শুাননি শুরু হলে ইডির সঙ্গে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব চলে আদালতে। কেজরিওয়ালের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে ইডি। শেষ পর্যন্ত আদালত জানায়, বৃহস্পতিবার অথবা আগামী সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে, তাতে জামিন পেতেও পারেন কেজরিওয়াল, আবার নাও পেতে পারেন। জামিন পেলে কেজরিওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে হবে, তিনি কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না বলেও জানায় শীর্ষ আদালত। 

    আরও পড়ুন: মালদা উত্তরে একী কাণ্ড! ভোট না দিয়ে বুথের বাইরে দিনভর অবস্থানে ভোটাররা

    উল্লেখ্য আগামী ৯ মে এই মামলা (Arvind Kejriwal Bail) নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীনই আবার এদিন ২০ মে পর্যন্ত কেজরিওয়ালের হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছে দিল্লির রাউস এভেনিউ কোর্ট।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সোমেই ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি এসএসসি মামলার, খোঁজ মিলবে অযোগ্যদের?

    Supreme Court: সোমেই ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি এসএসসি মামলার, খোঁজ মিলবে অযোগ্যদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগ্য-অযোগ্যদের পৃথক করা যায়নি। তাই এক ধাক্কায় চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। গত সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এই শুনানিতে চাকরি বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। তবে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। সোমবার ফের মামলাটির শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। যোগ্যদের আইনি সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তাই সোমবারের দিকেই তাকিয়ে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষই।

    চাকরি বাতিল (Supreme Court)

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়ান ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। মামলা দায়ের করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় চাকরিখোয়ানোদের একাংশও। সোমবার এ সংক্রান্ত ১০টি মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। গত শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ওই প্যানেল থেকে কীভাবে যোগ্যদের খুঁজে বের করা হবে, তাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। এমতাবস্থায় সোম-সকালে শীর্ষ আদালতে যোগ্য এবং দাদা ধরে চাকরি পাওয়াদের নিয়ে বিস্তারিত শুনানি হতে পারে বলে আইনজীবীদের একাংশের ধারণা।

    আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি

    কেলেঙ্কারির গন্ধ থাকায় এমনিতেই মামলাটির দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। এর ওপর আবার যোগ্যদের আইনি সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারই বর্ধমানের একটি নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেছিলেন, “যোগ্যদের আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি। আমি দলের রাজ্য সভাপতিকে বলেছি, রাজ্য বিজেপির তরফে একটি আইনি সহায়তা সেল ও সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হোক। যাঁরা ঠিক নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন, তাঁদের সেই সেল থেকে সাহায্য করা হবে।” তিনি এও বলেছিলেন, “যারা দুর্নীতি করেছে, তারা সাজা পাবে। কিন্তু যোগ্যদের জন্য বাংলায় বিজেপি কাজ করবে। এটা মোদির গ্যারান্টি।” সোমবার এই মামলায় মূল চাকরি প্রার্থীদের হয়ে সওয়াল করবেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজ্যের হয়ে দেখা যেতে পারে আইনজীবী কপিল সিব্বল ও রাকেশ দ্বিবেদী। অংশ নিতে পারেন আইনজীবী হরিশ সালভেও (Supreme Court)।

    আরও পড়ুুন: “আগুন নিয়ে খেলছে কংগ্রেস”, বিস্ফোরক রাজনাথ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • DY Chandrachud: স্কুলে বেধড়ক মার খেয়েছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি, কেন জানেন?

    DY Chandrachud: স্কুলে বেধড়ক মার খেয়েছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, মারের নাম মধুসূদন! এই মধুসূদনের কৃপায় কত মানুষ নির্বিঘ্নে পার হয়েছেন বা হচ্ছেন জীবন নদী। যাঁরা সাফল্যের চূড়ায় বসে রয়েছেন, তাঁরাও রেহাই পাননি শিক্ষকের বেত্রাঘাত থেকে। এই যেমন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)।

    মার খেয়েছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি

    স্কুলজীবনে তিনিও বেধড়ক মার খেয়েছিলেন। যে মারের কথা প্রৌঢ়ত্বের চৌকাঠ পেরিয়েও ভোলেননি দেশের প্রধান বিচারপতি। ছাত্রদের শৃঙ্খলার পাঠ দিতে গিয়ে শিক্ষকের বেত্রাঘাত বর্তমানে ‘নৃশংস’ অভিধায় ভূষিত হয়েছে। শনিবার এক সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে ছোট্ট একটা ভুলের জন্য তিনি যে শিক্ষকের হাতে মার খেয়েছিলেন, তা জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) বলেন, “আপনি শিশুদের কীভাবে ট্রিট করবেন, তা তাদের মনে থেকে যাবে সারাজীবন। আমি আমার স্কুল জীবনের একটি দিনের কথা কখনও ভুলব না। যখন আমায় বেত্রাঘাত করা হয়েছিল, তখন আমি শিশু অপরাধী ছিলাম না। আমি ক্র্যাফ্ট শিখছিলাম। আমায় যে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছিল, সেই আকারটা আমি ঠিকঠাক আনতে পারিনি। আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি।”

    আরও পড়ুুন: রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক! প্রশ্ন তুলে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অভিযোগ দায়ের

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি? 

    তিনি বলেন, “সেই সময় যেভাবে শিশুদের ট্রিট করা হত, তার প্রভাব থেকে যেত সারা জীবন। আমি এখনও মনে করতে পারি, আমি ওই শিক্ষককে অনুরোধ করেছিলাম, আমার হাতে মলম লাগানোর দরকার নেই, বেতটায় মলম দিন। মার খাওয়ার সেই লজ্জার কথা আমি বাড়িতে বলতে পারিনি। দশ দিন ধরে ডান হাতের চেটোর ক্ষত লুকিয়ে রেখেছিলাম, যাতে কেউ দেখতে না পায়।” তিনি বলেন, “শারীরিক ক্ষত সেরে যায়। কিন্তু মন এবং আত্মায় তার একটি চিরকালীন ক্ষত রয়ে যায়। আমিও মনে সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি। যখনই কোনও কাজ করি, তখনই মনে পড়ে। এই ধরনের অত্যাচার শিশু মনে গভীর ছাপ ফেলে।” তিনি (DY Chandrachud) বলেন, “কিশোর মনের গতিপ্রকৃতিটা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের বিভিন্ন গতিপ্রকৃতি এবং আন্তর্সম্পর্কটাও তাকে বুঝিয়ে দেওয়া জরুরি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC: “যোগ্য অযোগ্য বাছাই সম্ভব”, শীর্ষ আদালতে জানাল কমিশন, নজর সোমবারের শুনানিতে

    SSC: “যোগ্য অযোগ্য বাছাই সম্ভব”, শীর্ষ আদালতে জানাল কমিশন, নজর সোমবারের শুনানিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এসএসসি’র (SSC) বক্তব্যে চাকরি হারাদের মধ্যে ফুটল আশার আলো। একই সঙ্গে তৈরি হল বিতর্ক। এসএসসি’র বক্তব্য, “অভিযোগহীন চাকরি প্রার্থীদের চিহ্নিত করা সম্ভব।”

    যোগ্য অযোগ্য বাছাই সম্ভব?

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় অভিযোগহীন শিক্ষকদের তালিকা দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন কমিশনের (SSC) সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার। তবে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা কমিশন আদালতে জমা দিবে কি না সেই প্রশ্ন আপাতত এড়িয়ে গিয়েছেন সিদ্ধার্থ বাবু। কমিশনের অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের (SC) কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আন্দোলনকারীদের মনে। একই সঙ্গে সিদ্ধার্থ বাবুর বক্তব্যে এই প্রশ্ন উঠেছে যে যদি কমিশনের কাছে অভিযোগহীন শিক্ষকদের তালিকা থাকে অর্থাৎ কমিশন যদি যোগ্য এববগ অযোগ্য শিক্ষক বাছাই করতে সক্ষম হয় তাহলে এতদিন সে বিষয়ে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন? এমনকি সেই তালিকা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়নি কেন?

    কমিশনের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত শুক্রবার চাকরিহারা শিক্ষকরা এসএসসি দফতরের (Acharya sadan) সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় চাকরিপ্রার্থীদের। কমিশনের দপ্তরের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এদিনই কমিশনের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সিদ্ধার্থবাবু বলেন, “আদালতে (Calcutta Highcourt) সাম্প্রতিক একটা রায়কে কেন্দ্র করে এসএসসি দফতরের সামনে একটা বড় জমায়েত হয়েছে। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে আদালত। তাদের একটা অংশ যাদের সম্পর্কে কোন অভিযোগ নেই তাঁরা আজ জমায়েত হয়েছেন এবং আমার সঙ্গে ওদের আলোচনা হয়েছে। আমি তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছি। যারা যোগ্য তাদের পাশে রয়েছে কমিশন (Recruitment Scam)।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরির প্রতিশ্রুতি

    প্রসঙ্গত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সকলের জন্য চাকরি তৈরি রয়েছে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন ২ লক্ষ চাকরি তৈরি রয়েছে। একইসঙ্গে প্যানেল বাতিলের জন্য আদালত ও বিজেপিকে (BJP) দায়ী করেছিলেন তিনি। কিন্তু ওএমআর শিট কেন খোয়া গেল এনিয়ে কমিশন কিংবা মুখ্যমন্ত্রী কেউ রা কাটেনি। কমিশনের সভাপতি দাবি করেন, তাঁরা সুপ্রিমকোর্টকে আশ্বস্ত করতে একটি তালিকা প্রকাশ করবেন। যেই তালিকাতে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব (Recruitment Scam)। কিন্তু সেই যোগ্য অযোগ্য বিচারের ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবং এই বাছাই পর্ব কিভাবে করা হবে সে বিষয়ে কমিশনের তরফে কিন্তু কোন উত্তর মেলেনি।

    প্রকাশিত হল মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষার নির্দেশিকা, পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে কী কী মাথায় রাখতে হবে ?

    বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া

    এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর প্রশ্ন, “ওদের কাছে যদি যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা থাকে, তাহলে কলকাতা হাইকোর্টে কেন ওরা জমা দেয়নি। সেই তালিকা ডিভিশন বেঞ্চ বারংবার জমা দিতে বলেছিল। অযোগ্যদের রক্ষা করতে গিয়ে যোগ্যদের বিপদের মুখে ঠেলেছে রাজ্য সরকার (Recruitment Scam)। এখন বিপদ বুঝে একটা তালিকা দেওয়ার কথা বলছেন” মন্তব্য আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের। প্রসঙ্গত শীর্ষ আদালত জানতে চেয়েছিল যেহেতু ওএমআর শিট নষ্ট হয়ে গেছে তাই কী উপায়ে যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব।  আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেদিন আদালতে কী বক্তব্য পেশ করে কমিশন সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে সিম্বল লোডিং ইউনিট সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে সিম্বল লোডিং ইউনিট সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিভিপ্যাটের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে পদক্ষেপ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সিম্বল লোডিং ইউনিট সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Lok Sabha Election 2024)। সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের এই মর্মে নির্দেশও দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ (Lok Sabha Election 2024)

    ফল ঘোষণার পরে পঁয়তাল্লিশ দিন সংরক্ষণ করা হবে ওই ইউনিট। সিম্বল লোডিং ইউনিটকে গোলাপি কাগজে করে ট্রাঙ্কে সংরক্ষিত করে রাখতে হবে। সিলের ওপর স্বাক্ষর করবেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সব প্রার্থী। ওই সব ইউনিটকে সুরক্ষিত রাখবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার কিংবা জেলা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। পুরো প্রক্রিয়াটির ভিডিওগ্রাফি করতে হবে।

    কী বলছেন আধিকারিক?

    রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের এক আধিকারিক (Lok Sabha Election 2024) বলেন, “সিম্বল লোডিং ইউনিটে প্রার্থীদের নাম ও নির্বাচনী প্রতীক থাকে। সেখান থেকে তথ্য প্রবেশ করানো হয় ভিভিপ্যাটে। পরে সেই ভিভিপ্যাটগুলি পাঠানো হয় বুথে। এর অর্থ হল, সিম্বল লোডিং ইউনিট ও ভিভিপ্যাটের তথ্য এক হবে। তাই ভিভিপ্যাট নিয়ে সংশয় থাকলে সিম্বল লোডিং ইউনিট যাচাই করলেই সঠিক তথ্য মিলবে। এমতাবস্থায় ভিভিপ্যাটের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সিম্বল লোডিং ইউনিট সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল সিবিআই, কী বলল তদন্তকারী সংস্থা?

    প্রসঙ্গত, ইভিএমের সঙ্গে সব ভিভিপ্যাট গণনার দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল অ্যাসেসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস নামের একটি সংগঠন। ২৬ এপ্রিল ওই মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ভিভিপ্যাট নিয়ে সংশয় দূর করতে সিম্বল লোডিং ইউনিট সংরক্ষণ করতে হবে। গণনায় দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রার্থী তা যাচাই করার আবেদন করতে পারবেন। শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছিল, ইভিএমে প্রতীক আপলোড করার পর তা একেবারে সিলড ও নিরাপদ রাখতে হবে মেশিনে। সিলে স্বাক্ষর করতে পারেন প্রার্থী ও তাঁদের এজেন্টরা। সিলড মেশিনটি ফল ঘোষণার পর পঁয়তাল্লিশ দিন পর্যন্ত স্টোররুমে সংরক্ষিত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ মেনেই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share