Tag: Supreme court

Supreme court

  • Lokpal: ভারতের পরবর্তী লোকপাল হতে চলেছেন খানউইলকার, তিনি কে জানেন?

    Lokpal: ভারতের পরবর্তী লোকপাল হতে চলেছেন খানউইলকার, তিনি কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পরবর্তী লোকপাল (Lokpal) হতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএম খানউইলকার। লোকপাল নির্বাচনের জন্য বুধবার উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়েছিল। কমিটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই বৈঠকেই খানউইলকারের নামে শিলমোহর পড়েছে। প্রসঙ্গত, দুর্নীতি রোধের জন্য তৈরি এই চেয়ারে ২০২২ সালের পর থেকে পূর্ণ সময়ের জন্য কেউ বসেননি।

    গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন খানউইলকার

    ২০২২ সালের ২৯ জুলাই অবসর নিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি খানউইলকার (Lokpal)। সেই সময় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন। ২০০২ সালে গুজরাট হিংসা সংক্রান্ত ঘটনায় নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিন চিট দেওয়ার বিরোধিতা করে দাখিল করা পিটিশন খারিজও করে দিয়েছিলেন তিনি। বিচারপতি হিসেবে প্রথমে বম্বে হাইকোর্টের দায়িত্ব সামলেছেন খানউইলকার। পরে হন হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। হয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিও। ২০১৬ সালে হন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।

    লোকপাল বিল 

    নয়াদিল্লিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা ও নয়া সংসদ ভবন তৈরির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মামলা করেছিলেন বেশ কয়েকজন সমাজকর্মী ও পরিবেশবিদ। সেই মামলা যে বেঞ্চে ছিল, সেই বেঞ্চেরও নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন বিচারপতি খানউইলকার। সেই বেঞ্চের নির্দেশেই কেটে যায় সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরির শেষ আইনি বাধা। শবরীমালা মামলার বেঞ্চেও ছিলেন তিনি (Lokpal)। ২০১৩ সালে পাশ হয় লোকপাল বিল। ভারতের প্রথম লোকপাল হন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পিনাকিচন্দ্র ঘোষ।

    আরও পড়ুুন: ব্যালটের পর এবার বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খেলেন তৃণমূল কর্মী!

    ২০২২ সালের ২৪ জুন বিচারপতি খানউইলকার সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ ও জাকিয়া জাফরির পিটিশন খারিজ করে দেন। পিটিশনে মেরিটের অভাব রয়েছে বলে সেটি খারিজ করে দেওয়া হয়। আদালতের রায়ের পরের দিনই আমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে গ্রেফতার হন তিস্তা শেতলবাদ।

    সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে অবসর নেওয়ার ঠিক আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রায় দিয়েছিলেন খানউইলকারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। পিএমএলএর কড়া ধারাগুলিতে সম্মতি দিয়েছিল সেই বেঞ্চ। তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা, গ্রেফতার করার ক্ষমতা, সম্পত্তি অ্যাটাচ করার মতো ক্ষমতা দেওয়ার ধারা নিয়ে মামলা ছিল সেটা (Lokpal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপীর তেহখানায় চলবে পুজো, মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপীর তেহখানায় চলবে পুজো, মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের তেহখানায় পুজোর অনুমতি মেলে বারাণসী আদালতের নির্দেশে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যায় মুসলিম পক্ষ। কিন্তু, সেখানে তাদের আর্জি খারিজ হয়ে গেল। অর্থাৎ বহাল থাকল জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) তেহখানায় হিন্দুদের পুজোর অধিকার। এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই মর্মেই জানিয়ে দিয়েছে যে যেমন মন্দির প্রাঙ্গণে পুজো চলছে, সেভাবেই চলবে।

    আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি যাবে সুপ্রিম কোর্টে

    প্রসঙ্গত, বারাণসী আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যায় আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Gyanvapi Mosque)। এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল মুসলিম পক্ষের এই আর্জিকে খারিজ করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি জ্ঞানবাপী (Gyanvapi Mosque) চত্বরে আইন-শৃঙ্খলার কোনও অবনতি যাতে না হয় সেই জন্য অ্যাডভোকেট জেনারেলকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি মাসের ৬ ফেব্রুয়ারি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি।

    বুধবার মধ্যরাতে হয় প্রথম পুজো

    প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহের বুধবারই বারাণসী আদালত জ্ঞানবাপীর বেসমেন্ট বা নীচের তলায় ‘ব্যস কী তহখানা’য় হিন্দুদের পুজোর অনুমতি দেয়। ওই দিনই মধ্যরাতে কড়া নিরাপত্তায় পুজো হয় বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ‘ব্যাস কা তেহখানা’য়। প্রসঙ্গত, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে মধ্য রাতে হয় পুজো। পুজো করেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের সদস্য গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়। হয় মঙ্গল আরতিও। পুজোর সময় উপস্থিত ছিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন ও বর্তমান কর্তারা। বারাণসীর জেলাশাসক কৌশল রাজ শর্মাও উপস্থিত ছিলেন। পুজোর আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় পুজোস্থল। সরানো হয় ব্যারিকেড। তার পরেই নিয়ম মেনে হয় পুজো। পুজোর আগে রাত ১২টা নাগাদ বৈঠকে বসেন বারাণসীর জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার। চলে ঘণ্টা দুয়েক ধরে। কাশী বিশ্বনাথ ধামের একটা হলে হয় এই বৈঠক। তার পরেই হয় মঙ্গল আরতি, পুজোপাঠ। তারপর থেকেই চলছে পুজো।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত

    Hemant Soren: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। এরপরেই ঝাড়খণ্ডের বিশেষ আদালত হেমন্ত সোরেনকে পাঁচদিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল।

    বৃহস্পতিবারই কোর্টে তোলা হয় হেমন্তকে

    বুধবার সন্ধ্যায় হেমন্তকে (Hemant Soren) গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবারই রাঁচির বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে ইডির তরফ থেকে ১০ দিনের হেফাজত চাওয়া হয় হেমন্তকে। তবে বৃহস্পতিবার আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন জেএমএম নেতা। হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) মামলার শুনানির জন্য তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সদস্য হিসেবে ছিলেন বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। বেঞ্চ তাঁর মামলা খারিজ করায়, শুক্রবার পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত। 

    ৬০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ

    প্রসঙ্গত হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) বিরুদ্ধে বিপুল আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাঁচিতে তাঁর বাসভবনে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ চালায় ৭ ঘণ্টা। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। হেমন্তর গ্রেফতারির পরে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা তখন বিধানসভায় পরিষদীয় দলের নেতা ঠিক করে চম্পাই সোরেনকে। প্রসঙ্গত, প্রথমে দিল্লির বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানেও চলে তল্লাশি। পরবর্তীকালে তাঁর বহু মূল্যের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর থেকেই বেপাত্তা হয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। জানা গিয়েছে, বুধবার তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতারির সময় কেন্দ্রীয় সংস্থা বাজেয়াপ্ত করে নগদ ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা। এর পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত বহু নথিও উদ্ধার হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা হেমন্তের, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন চম্পাই সোরেন

    Hemant Soren: সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা হেমন্তের, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন চম্পাই সোরেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। এরপরেই তিনি সুপ্রিম কোর্টে তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দারস্থ হন। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলাটি ঝাড়খণ্ডের হাইকোর্টে ফেরত পাঠিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, হেমন্তর মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিলেন। এই বেঞ্চের নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে। এছাড়াও ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। হেমন্তের (Hemant Soren) আইনজীবী ছিলেন কপিল সিব্বাল। তিনি এদিন সুপ্রিম কোর্টের সওয়াল করেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন হেমন্ত সোরেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই আমরা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইছি।

    কী বললেন বিচারপতি?

    এ নিয়ে পাল্টা বিচারপতি খান্না বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে তো কী হয়েছে? আদালতের কাছে সবাই সমান। আজ আপনাকে কোনও সুবিধা দিলে আগামিকাল সবাইকে দিতে হবে। এটা তো হয় না। কেন আপনারা হাইকোর্টে আবেদন না করে সুপ্রিম কোর্টে আসবেন? নতুন করে আবার হাইকোর্টে আবেদন করুন।’’

    বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে হেমন্ত

    প্রসঙ্গত, টানা (Hemant Soren) সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। তার আগে দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হেমন্ত। গ্রেফতারির আঁচ পেয়েই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। হেমন্তকে পাঠানো হয়েছে বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে। হেমন্ত ছিলেন মহাগঠবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী।

    শপথ নিলেন চম্পাই সোরেন

    এদিকে, হেমন্ত ইস্তফা দেওয়ায় শুক্রবার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন জেএমএম নেতা তথা দলের সহ সভাপতি চম্পাই সোরেন। এদিন রাঁচির রাজভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন কংগ্রেস বিধায়ক তথা দলের পরিষদীয় নেতা আলমগির আলম এবং লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির সত্যানন্দ ভোগতা। দুজনই হেমন্তের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে চম্পইকে। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণণ বৃহস্পতিবারই চম্পইকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে হেমন্ত সোরেন

    Hemant Soren: ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে হেমন্ত সোরেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বৃহস্পতিবার সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হেমন্ত। হেমন্তের হয়ে লড়ছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, শীর্ষ আদালত হেমন্তের আবেদন গ্রহণ করেছে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হবে আবেদনের। তবে রাঁচি হাইকোর্টকে এড়িয়ে হেমন্ত কেন সটান সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন, সে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

    ভুয়ো নথির মাধ্যমে জমি কেনাবেচা

    হেমন্তের (Hemant Soren) বিরুদ্ধে সেনার জমি ভুয়ো নথির মাধ্যমে কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, এই দুর্নীতি মামলার অধিকাংশ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সব বেআইনি আর্থিক লেনদেনের হদিশও মিলেছে। ইডির হাতে এ সংক্রান্ত সব তথ্যপ্রমাণ এসেছে। বেআইনিভাবে কেনা জমিগুলির ওপর হেমন্তের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগ রয়েছে। সে সংক্রান্ত নথিও ইডির হাতে এসেছে।

    বাজেয়াপ্ত বহুমূল্যের বাড়ি

    হেমন্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে আগে ছ’  বার চিঠি দিয়েছিল ইডি। প্রতিবারই নানা অছিলায় হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। সপ্তমবার তলব করার পরে হাজিরা দেন হেমন্ত। টানা জেরার পর এদিন রাতেই করা হয় গ্রেফতার। ২৯ জানুয়ারি হেমন্তের দিল্লির বাসভবনেও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁকে না পেয়ে বহুমূল্য বাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের টানা জেরায় যেসব উত্তর দেন হেমন্ত, তাতে নানা অসঙ্গতি মিলেছে। এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত প্রেম প্রকাশ, অমিত আগরওয়াল এবং তৎকালীন ডিসি ছবি রঞ্জনের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ পেয়েছে ইডি। বেআইনি খননের ক্ষেত্রেও তদন্ত চলাকালীন হেমন্তের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় মধ্যরাতে পুজো হিন্দু পক্ষের

    এদিনই যে তিনি গ্রেফতার হচ্ছেন, তা আগেই আঁচ করে ফেলেছিলেন ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী (Hemant Soren)। অনুগামীদের উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “ইডি আমাকে আজ গ্রেফতার করতে এসেছে। সারাদিন আমায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ওরা আমায় পরিকল্পনামাফিক গ্রেফতার করবে। এমন একটি মামলায় আমায় গ্রেফতার করা হচ্ছে, যার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি। ওরা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Supreme Court: “শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা বিকশিত ভারতের অংশ”, সুপ্রিম কোর্টের জন্মদিনে বললেন মোদি

    Supreme Court: “শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা বিকশিত ভারতের অংশ”, সুপ্রিম কোর্টের জন্মদিনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের ৭৫ বছর পূর্তি। ৭৫ বছর পূর্তি সুপ্রিম কোর্টেরও। সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Supreme Court)। বলেন, “যে তিন ক্রিমিনাল ল’ লাগু করা হয়েছে, তার জেরে ভারতের বৈধ, পলিশিং এবং ইনভেস্টিগেটিভ সিস্টেমগুলি একটি নয়া যুগের সূচনা করেছে।”

    ‘বিকশিত ভারতের অংশ’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আইনের পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল। আগামী একশো বছর এই আইন সংশোধন করা প্রয়োজন হবে না। আমরা ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছি। কর্ম ক্ষমতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।” অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের দক্ষতা বাড়াতেও সুপ্রিম কোর্টকে উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী (Supreme Court) বলেন, “একটি শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা বিকশিত ভারতের অংশ। একটি বিশ্বাসযোগ্য বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে। নিয়ে চলেছে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তও। জন বিকাশ বিল এই দিকে অগ্রসর হওয়ার একটি পদক্ষেপ। অদূর ভবিষ্যতে বিচার ব্যবস্থার ওপর অপ্রয়োজনীয় বোঝা কমাবে এই বিল। সুপ্রিম কোর্ট ভারতের ভাইব্র্যান্ট গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে। বাক স্বাধীনতা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রায় দেবে।”

    ‘উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যতের ভিত্তি’

    তিনি বলেন, “ভারতের আজকের অর্থনৈতিক নীতি উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যতের ভিত্তি। আজ ভারতে যে আইন তৈরি হবে, তা আগামিকালের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে মজবুত করবে। বিশ্বজুড়ে যে পরিবর্তন ঘটছে, তার জেরে তামাম বিশ্বের চোখ ভারতের দিকে। কারণ ভারতের ওপর বিশ্বের বিশ্বাস ক্রমেই বাড়ছে। এমতাবস্থায় ভারতের উচিত, যেসব সুযোগ আমাদের সামনে আসছে, তাকে কাজে লাগানো।”

    আরও পড়ুুন: ‘মোদি, মোদি’ স্লোগানে ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার

    এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। তিনি বলেন, “আজকের দিনেই এই দেশের বাসিন্দারা তাদের সংবিধান তুলে দিয়েছিল এই আদালতের হাতে। সহ নাগরিকের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনই হল এই সংবিধান।” প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের ২৮ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা প্রযুক্তি সমৃদ্ধ একটি ওয়াররুম খুলতে চলেছি। গোটা দেশের রিয়েল টাইম জুডিশিয়াল ডাটার ওপর নজর রাখতেই এটা করা হচ্ছে। সুস্বাগতম ব্যবহার করে ১.২৩ লাখ পাস তৈরি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত ফাইলকে নিরাপদ পরিকাঠামোয় তুলে রাখা হবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে (Supreme Court)।”

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই বিচারপতির দ্বন্দ্ব, দু’তরফেরই বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

    Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই বিচারপতির দ্বন্দ্ব, দু’তরফেরই বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে হস্তক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ও বিচারপতি সৌমেন সেনের সংঘাতের শুনানিতে এ সংক্রান্ত সব বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। স্থগিত করে দিয়েছে সিবিআই তদন্তও।

    পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি সেনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গড়ে সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস। সেখানে আপাতত মেডিকেলে ভর্তি মামলায় হাইকোর্টের সব বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চের কোনও নির্দেশ আপাতত কার্যকর হচ্ছে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। সোমবার ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    সিবিআই তদন্ত স্থগিত

    এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাও স্থগিত থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) সিঙ্গল বেঞ্চ এই মামলায় যে নির্দেশ দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন জানায় রাজ্য সরকার। সেই অনুমতিও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের পাশাপাশি নোটিশ দেওয়া হয়েছে মামলাকারীকেও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, মেডিক্যালে ভর্তি মামলায় সিবিআই তদন্তও আপাতত স্থগিত থাকছে।

    আরও পড়ুুন: খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিজের দফতরের দুর্নীতির কথা ভালোভাবে জানতেন বালু, দাবি ইডির

    কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, “দুই বেঞ্চের কারও বিরোধিতা করা হচ্ছে না। তবে ডিভিশন বেঞ্চে যে আবেদন করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা আমাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জানাতে চাই।” কোনও নথি ছাড়াই কীভাবে ডিভিশন বেঞ্চ অর্ডার পাস করল, সে প্রশ্নও তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল।

    প্রসঙ্গত, মেডিকেল কলেজে ভর্তি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ প্রথমে সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পরে খারিজ করে দেয় সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর। ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। তাঁর নির্দেশনামায় বিচারপতি সেন সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ তোলেন। এই মামলায় তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন সিবিআইকে। দুই বিচারপতির এহেন বেনজির দ্বন্দ্বে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bilkis Bano: বিলকিস বানো মামলায় গুজরাট জেলে আত্মসমর্পণ ১১ দণ্ডিতেরই

    Bilkis Bano: বিলকিস বানো মামলায় গুজরাট জেলে আত্মসমর্পণ ১১ দণ্ডিতেরই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিলকিস বানো (Bilkis Bano) মামলায় গুজরাট জেলে আত্মসমর্পণ করল সাজা প্রাপ্ত ১১ জনই। ধর্ষকদের দু’ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আত্মসমর্পণের জন্য বাড়তি সময় চেয়েছিল গুজরাট হিংসায় খুন ও গণধর্ষণকাণ্ডের অপরাধীরা। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় দেশের শীর্ষ আদালতে।

    আত্মসমর্পণ অপরাধীদের

    তার পর রবিবার রাতে আত্মসমর্পণ করে  ধর্ষকরা। এদিন গুজরাটের পঞ্চমহল জেলা গোধরা সাব-জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে তারা। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দুটি গাড়িতে করে গোধরা জেলের কাছে এসে উপস্থিত হয় বিলকিস বানো মামলার ১১ জন ধর্ষক। তার পরেই করে আত্মসমর্পণ। প্রসঙ্গত, আত্মসমর্পণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের সময়সীমা শেষ হয়েছে রবিবারই।

    মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার

    বিলকিসকাণ্ডে (Bilkis Bano) ১১ জন সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। ৮ জানুয়ারি, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, গুজরাট সরকারের ওই সিদ্ধান্ত এক্তিয়ার-বহির্ভূত। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের পর্যবেক্ষণ ছিল, জালিয়াতি করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে ধর্ষকদের। কারণ ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ারই ছিল না গুজরাট সরকারের। আদালতের নির্দেশ, খুন ও ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১জনকেই জেলে ফিরতে হবে দু’ সপ্তাহের মধ্যে। ধর্ষকদের কয়েকজন শীর্ষ আদালতে জানান, আত্মসমর্পণের জন্য তাঁদের আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক। দোষীদের সেই আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কোনও বাড়তি সময় দেওয়া হবে না। নির্ধারিত দিনেই জেলে ফিরতে হবে তাদের।

    আরও পড়ুুন: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, গুজরাট হিংসা-পর্বে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। তাঁর এক শিশু সন্তান-সহ পরিবারের ৭জনকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় ১২জন। এদের মধ্যে ১১জনকে বাইশের স্বাধীনতা দিবসে জেলে ভালো আচরণ করার যুক্তি দিয়ে মুক্তি দিয়ে দেয় গুজরাট সরকার। তার আগে এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র জোগাড় করে গুজরাট সরকার। পরে শীর্ষ আদালত জানায়, মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার নেই গুজরাট সরকারের। অপরাধীদের ফিরতে (Bilkis Bano) হবে গারদেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিষেকের মামলা পত্রপাঠ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিষেকের মামলা পত্রপাঠ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। পাশাপাশি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের সেই আবেদন শুনানির আগেই খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কোনও যুক্তির ওপর নির্ভর করে মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    কেন খারিজ মামলা

    সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন এক যুব তৃণমূল নেতা। তার প্রতিক্রিয়ায় পালটা প্রকাশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর সম্পত্তির তালিকা প্রকাশের চ্যালেঞ্জ ছোড়েন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আদালতে গিয়ে অভিষেক দাবি করেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য যেন তদন্তকে প্রভাবিত না করে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করছেন। তাই বিচারপতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই মামলা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের অভিমত, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আবেদনে কোনও যুক্তি নেই। মামলাটি খারিজ করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক পাঁচদিনে পেশ করতে হবে, সিবিআইকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী বলল আদালত

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আরও আবেদন, কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলিকে (যেগুলি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে বিচারাধীন) তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে সেখানে স্থানান্তর করা হোক। এই আর্জিও এদিন শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, অভিষেককে নতুন করে মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত এর আগে অভিষেকের আবেদনের ভিত্তিতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির বেশ কয়েকটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলা এখন বিচারপতি সিনহার এজলাসে বিচারাধীন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary TET: সুপ্রিম নির্দেশে ঝুলেই রইল প্রাথমিকের ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া

    Primary TET: সুপ্রিম নির্দেশে ঝুলেই রইল প্রাথমিকের ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের (Primary TET) চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দিল না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। সুপ্রিম নির্দেশের ফলে এখনই কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না পর্ষদ। জানা গিয়েছে, আগামী ২২ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    মামলার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ 

    গত বছরই প্রাথমিকে (Primary TET) স্কুলগুলিতে  প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করে রাজ্য। সেই মতো নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রস্তুতিও শুরু করে দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত বছর সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রশিক্ষণরত ডিএলএড প্রার্থীরা এবং ওই কোর্সের প্রথম বর্ষের উত্তীর্ণরাও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এ নিয়েই চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ কোর্টের দ্বারস্থ হয় (Primary TET)। মামলার জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। তখন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখেন। পরে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করেন। দুই বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনওভাবেই অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে গেলে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে।

    ২৮ জুলাই ২০২৩ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

    মামলার এক পক্ষের মত হল, ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষ শেষ হচ্ছে জুন মাসে। আর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে নভেম্বর মাস থেকে। ফলে ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদের (Primary TET) সুযোগ দেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, এই সংক্রান্ত মামলায় গত বছরের ২৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ জানায়, আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনওভাবেই ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না পর্ষদ। পরবর্তীকালে মামলাটির শুনানি পিছিয়ে যেতে থাকে। চাকরিপ্রার্থীরা এখন তাকিয়ে রয়েছেন ২২ জানুয়ারির দিকে, দেখা যাক সেদিন এই মামলার জট কাটে নাকি!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share