Tag: Supreme court

Supreme court

  • Kamduni: কামদুনিকাণ্ডের শেষ দেখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ টুম্পা-মৌসুমীরা, ফের নিশানা রাজ্যকে

    Kamduni: কামদুনিকাণ্ডের শেষ দেখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ টুম্পা-মৌসুমীরা, ফের নিশানা রাজ্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni) লঘু হয়েছিল দোষীদের সাজা। যাদের ফাঁসির হুকুম হয়েছিল, তাদের হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। কয়েকজন আবার বেকসুর খালাসও পেয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল কামদুনি। সেদিনই জানিয়েছিল, হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম মুখ টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়াল।

    রাজ্যকে নিশানা কামদুনির

    সেই মতো বুধবার সকালের বিমানে দিল্লি উড়ে গেলেন টুম্পা, মৌসুমী এবং নির্যাতিতার দুই ভাই। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কামদুনি গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা সহ মোট ৯ জন। দিল্লির উড়ান ধরার আগে মৌসুমী (Kamduni) বলেন, “হাইকোর্টের রায়ের পর আমাদের মন ভেঙে গিয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি। জানি না, আদৌ সঠিক বিচার পাব কি না।” টুম্পা বলেন, “রাজ্য সরকার এখন সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। শুনেছি, কপিল সিব্বলকে আইনজীবী হিসেবে দাঁড় করাবে। এতদিন সরকার কী করছিল? রাজ্য সরকার আইনের ফাঁক তৈরি করেছিল। এখন অপরাধীরা মুক্তি পেয়ে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে দৌড়চ্ছে।” শঙ্কু বলেন, “রাজ্য সরকারের কাছে সুযোগ ছিল অপরাধীরা যাতে ছাড়া না পায়, তা নিশ্চিত করা। কিন্তু তা হয়নি।”

    মামলা লড়ছেন সুষমা স্বরাজের আইনজীবী মেয়ে

    জানা গিয়েছে, টুম্পা, মৌসুমীদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করছেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের আইনজীবী মেয়ে। কামদুনিকাণ্ডে প্রতিবাদীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের গাফিলতিতেই গণধর্ষণ-খুনের মামলায় মুক্তি পেয়েছে সাজাপ্রাপ্তরা। হাইকোর্ট তার রায়ের কপিতে উল্লেখ করেছে, এই অপরাধ পূর্ব পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রমাফিক ঘটানো হয়েছে, তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে সরকারপক্ষ। ধর্ষণ এবং খুনে সইফুল এবং আনসারের মতো একই উদ্দেশ্য ছিল এনামুল, ভুট্টো, ভোলা এবং আমিন আলির, সরকারের এই যুক্তি নড়বড়ে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এবং তা প্রমাণিত একথা বলা যায় না। উল্লেখ্য, কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকারও। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানে আততায়ীর গুলিতে খতম পাঠানকোট হামলার মাস্টারমাইন্ড শাহিদ লতিফ

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে এক কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তার জেরে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Kamduni Case: আইনি সাহায্যের আশ্বাস শুভেন্দুর, আজ কামদুনিতে বিজেপির মহিলা মোর্চা

    Kamduni Case: আইনি সাহায্যের আশ্বাস শুভেন্দুর, আজ কামদুনিতে বিজেপির মহিলা মোর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যায়ের দাবিতে আজ, মঙ্গলবার কামদুনি (Kamduni Case) যাচ্ছে বিজেপির মহিলা মোর্চা। কামদুনি কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর পরিবার ও বান্ধবী মৌসুমী কয়াল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এ বিষয়ে সাক্ষাৎ করেন।  সম্প্রতি কামদুনিতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তিনি জানান, সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজ বিনা পয়সায় এই মামলা লড়বেন সুপ্রিম কোর্টে। 

    শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাত

    কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni Case) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু। এই বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা বলেন, ‘রাজ্য নাটক করছে। লোক দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করছে আর এখানে ফাঁসির আসামীকে ছেড়ে দিচ্ছে। কামদুনির বোনের পরিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে সাহায্য চান। আইনি সহায়তা সহ সব সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই নিয়ে আরও বড় কর্মসূচি নিতে চলেছে বিজেপি।’

    শীর্ষ আদালতে ধাক্কা

    হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিআইডি। কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni Case) এখনই কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। সোমবার বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি নোটিশ জারি করে। সব পক্ষের জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত। সাতদিন বাদে সুপ্রিম কোর্ট কামদুনি কেসের পরবর্তী শুনানি।

    কামদুনির ঘটনা প্রবাহ 

    ২০১৩ সালে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনির (Kamduni Case) বুকে হওয়া এই ঘটনা গোটা রাজ্যে তোলাপাড় ফেলে দিয়েছিল। ৭ জুন দিনে দুপুরে এক কলেজ পড়ুয়াকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিত্যক্ত কারখানায় ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত তিনজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্তরা হাইকোর্টে যান। সেখানে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের একজনকে বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত। বাকি দু’জনের আমৃত্যু কারাবাস হয়। অন্যদিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিনজনের একজনকে বেকসুর খালাসের পাশাপাশি আরও দু’জনের সাজা রদ করা হয়। তারই প্রতিবাদে ফের গর্জে ওঠে কামদুনি। পুলিশ, সিআইডির ভুল রিপোর্টের কারণে এই রায় বলে দাবি করেন কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল। 

    আরও পড়ুুন: “রাজভবনের সামনে ধর্না হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?”, প্রশ্ন আদালতের

    মামলা লড়বেন বাঁশুরি স্বরাজ

    নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই সুকান্ত বলেন, “নির্যাতিতার মা চাইছেন ওনার মেয়ের সঙ্গে যে জঘন্য অপরাধ হয়েছে তার বিচার হোক। সেই বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্ট যেতে হবে। বিজেপির পক্ষ থেকে আমরা আশ্বস্ত করছি আইনজীবী দিয়ে সাহায্য করব। নাম করা আইনজীবী বাঁশুরি স্বরাজ রাজি হয়েছেন। তিনি বিনা পয়সায় এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে লড়বেন। তাছাড়া আমি বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথাও বলে এসেছি, রাজ্য সরকার ওনাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে আমরা আপাতত ২-৩টি বেসরকারি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব। গ্রামবাসীদের উপর গুলি চলেছে, মার খেয়েছে। তাদের নিরাপত্তা দরকার।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর নমিনি! রাজ্যের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর নমিনি! রাজ্যের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের প্রস্তাব নাকচ করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফ থেকে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আবেদন করেন, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তৈরি সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে একজন নমিনি থাকুক। উচ্চ শিক্ষা কমিটির তরফে একজন নমিনি রাখার কথা বলা হয়। সেই প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বলে দেয়, “আমরা কোনও ইলেকশন কমিটি গঠন করছি না, সার্চ কমিটি গঠন করছি।”

    শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ

    রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে চরমে ওঠে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। তিনি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পডুয়াদের স্বার্থে কাজ করছেন, বলে দাবি করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর উদ্দেশ্যকে লঘু না করে এদিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ‘‘রাজ্যপালের সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্যের কথা মাথায় রাখুন। মহামান্য রাজ্যপাল-আচার্যকে অনুরোধ তিনি সময় বের করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক কাপ কফি নিয়ে আলোচনা করুন। ঐক্যমতের ভিত্তিতে উপাচার্য নিয়োগ সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করুন।’’ তবে, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, এই মামলায় পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আর কোনও নিয়োগ করতে পারবেন না রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: “রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা থাকার কথা”, অভিষেকের ধর্নাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    গত ২১ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল। ১৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টই সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। রাজ্য, রাজ্যপাল, ইউজিসি- তিন পক্ষকেই কমিটির জন্য প্রস্তাবিত নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এদিনের শুনানিতে রাজ্যপালের প্রস্তাবিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলে ভি কে তিওয়ারির নাম অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে আপত্তি জানান রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। ভি কে তিওয়ারি সম্পর্কে হাইকোর্টের কী অবস্থান, তা খতিয়ে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে আবেদন করেন সিংভি। পাল্টা রাজ্যপালের আইনজীবীর তরফে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলে দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করা সম্পর্কে পাল্টা আপত্তি করা হয়। অভিযোগ, এই মামলায় ইন্টারভেনর হিসেবে আছেন তিনি। দু’পক্ষকেই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী নাম দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন আবার আইনজীবীদের তরফেও প্রস্তাব আসে, কোর্টের তরফে একজন নমিনি থাকা উচিত, যিনি সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করবেন। সেই প্রস্তাব অবশ্য খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি। ৩১ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি 

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অক্টোবর থেকে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হবে নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার শুনানি। শুনানি হবে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ থেকে প্রাথমিক সব মামলারই শুনানি হবে পর পর।

    নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা

    এসএসসি, প্রাইমারি সহ একাধিক মামলায় সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল পিটিশন। ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৭ সহ একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির মামলা দায়ের হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠায় বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। বিচারপতি বোস ও ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন ছিল, এতগুলি মামলা, কোনটি আমরা আগে শুনব?

    শুনানি শুরু ৫ অক্টোবর থেকে 

    বৃহস্পতিবার নিয়োগ সংক্রান্ত (Supreme Court) মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। শুনানি শুরু হতেই এদিনের জন্য স্থগিত রাখার আর্জি জানায় রাজ্য। শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এভাবে বারবার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় অযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি করেই চলেছেন।” এরপরই আদালত জানায়, ৫ অক্টোবর থেকে যাবতীয় মামলার শুনানি শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত এই সব মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যা যা রায় দিয়েছে, তারিখ অনুযায়ী সেই সব কপি জমা করতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। দিনের ক্রম অনুসারে সেই সব রায়ের প্রতিলিপি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেত্রীর ঘরেই ইডির সমন! অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর মা-বাবাকেও তলব

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। গত মাসেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কতদূর এগিয়েছে, তা সিবিআইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এ সংক্রান্ত রিপোর্টও পেশ করা হয়। নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগের গোড়ায় পৌঁছতে আলাদাভাবে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। তার জেরে গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    এঁদের মধ্যে যেমন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা রয়েছেন, তেমনি (Supreme Court) রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বর্তমানে জেলে হেফাজতে রয়েছেন এঁরা। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নামও। তাঁকে তো বটেই, তাঁর মা এবং বাবাকেও সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: উপাচার্য নিয়োগ মামলায় এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: উপাচার্য নিয়োগ মামলায় এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রী ও উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি রাখতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়েছিল রাজ্য সরকার। বুধবার দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, এখনই এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না তারা। রাজ্যপালের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তেও এখনই স্থগিতাদেশ দিচ্ছে না সুপ্রিম কোর্ট।

    সার্চ কমিটি গড়বে আদালত

    এর আগে উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গড়ে দেওয়ার কথা বলেছিল আদালত। রাজ্যের তরফে পাঁচজন এবং রাজ্যপালের তরফে পাঁচজনের নাম জমা দিতে বলা হয়। পাঁচজনের নামের তালিকা দিতে বলা হয়েছিল ইউজিসিকেও। তিন পক্ষের থেকে তিনজনকে বেছে নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছিল আদালত। এই কমিটিই প্রস্তাব করবে উপাচার্যের নাম। আইনজীবীরা চাইলেও নাম দিতে পারেন বলেও জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সার্চ কমিটিতে পরিবর্তন আনতে অর্ডিন্যান্স পাশ করে রাজ্য সরকার। তাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজভবন।

    রাজভবনের যুক্তি 

    রাজ্যপালের আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্তের অভিযোগ, নতুন কমিটিতে রাজ্য সরকারের তিনজন প্রতিনিধি থাকার কথা বলা হয়েছে। যার অর্থ হল, রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে ওই কমিটিতে তা সহজেই পাশ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের মতামত উপেক্ষা করার সুযোগ থাকছে। এই মামলায়ই মুখ্যমন্ত্রী ও উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি রাখতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানায় রাজ্য। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এখনই ওই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে না। রাজ্যের অধ্যাদেশ  নিয়ে যে মামলা হয়েছে, সে ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৬ অক্টোবর।

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

    রাজ্য সরকারকে এড়িয়েই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। আচার্যের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। তাদের বক্তব্য ছিল, রাজ্যপাল যে পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, তা বৈধ নয়। এদিকে, উপাচার্য নিয়োগ মামলায় রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকা সহ একাধিক তথ্য জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, রাজ্যে বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে কী নিয়ম রয়েছে, সেই নিয়মে কোনও পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা, তাও জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Delhi High Court: মেয়েরা সেনা হতে পারলে, পুরুষদের নার্স হতে আপত্তি কেন? প্রশ্ন দিল্লি আদালতের

    Delhi High Court: মেয়েরা সেনা হতে পারলে, পুরুষদের নার্স হতে আপত্তি কেন? প্রশ্ন দিল্লি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়েরা সিয়াচেনে গিয়ে সেনাবাহিনীর কাজে যোগ দিলে, ছেলেদের নার্স হতে আপত্তি কোথায়? এক মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার এই প্রশ্নই করেছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। নির্দিষ্ট কোনও একটি পেশা থেকে একটি বিশেষ লিঙ্গের মানুষকে কেন সরিয়ে রাখা হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছে দিল্লির উচ্চ আদালত।

    পুরুষ নার্সদের দূরে রাখা অযৌক্তিক 

    হাসপাতালগুলিতে কেবল মহিলা নার্স রাখার অসাংবিধানিক প্রথার বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা দায়ের হয় দিল্লি হাইকোর্টে। ইন্ডিয়ান প্রফেশনাল নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে হাজার হাজার প্রশিক্ষিত পুরুষ নার্স রয়েছেন। কিন্তু মিলিটারি থেকে তাঁদের দূরে রাখাটা অযৌক্তিক। এদিন ওই অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আইনজীবী অমিত জর্জ জানান, সমস্ত হাসপাতালে এখন পুরুষ নার্স রয়েছে। এমনকী সুপ্রিম কোর্টও বলছে মিলিটারিতেও একটি বিশেষ লিঙ্গকে কোনও কাজ থেকে বিরত করা যাবে না।

    ‘পুরুষও হাসপাতালে কাজ করতে পারেন’

    মামলার (Delhi High Court) শুনানি চলছে বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার ডিভিশন বেঞ্চে। কেন্দ্রের পক্ষে ছিলেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি। আদালতে তিনি জানান, সেনা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কেবল মহিলা নার্স রাখার প্রথা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। তবে সরকার সবে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণের বিল পেশ করেছে। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “এক দিকে আপনারা নারী ক্ষমতায়নের কথা বলছেন, অন্য দিকে আপনারাই বলছেন, পুরুষরা নার্স হিসেবে কাজে যোগ দেন না। একজন মহিলা যদি সিয়াচেনে গিয়ে সেনা অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দিতে পারেন, তবে একজন পুরুষও হাসপাতালে কাজ করতে পারেন।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে মহিলাদের যোগদানের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে ছাড়পত্র দিয়েছিল, সে কথাও মনে করিয়ে দেয় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে নভেম্বর মাসে। প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনীতে যাতে লিঙ্গ বৈষম্য না থাকে, সে ব্যাপারে নানা সময় মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই প্রেক্ষিতে এদিন দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রতর জামিনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    Anubrata Mondal: গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রতর জামিনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ ওই নোটিশ দেয়। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানতেই সিবিআইকে নোটিশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।  

    অনুব্রতর আইনজীবীর বক্তব্য

    অনুব্রতর আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, “এই মামলায় জড়িত অনেকেই ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। পাঁচটি চার্জশিট ফাইল হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল একমাত্র জেলে রয়েছেন। ১৪ মাস ধরে জেলে রয়েছেন উনি। এই মামলায় ‘কিংপিন’ জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তাই অনুব্রতকে জামিন দেওয়া হোক।” গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। উচ্চতর আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত।

    সিবিআইকে নোটিশ আদালতের

    এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি বসু জানান, আদালত সিবিআইকে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিচ্ছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানা দরকার। তার পরেই বিবেচনা করা হবে জামিনের আবেদন। হাইকোর্টে সিবিআই জানিয়েছিল, অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) জামিন দিলে ব্যাহত হতে পারে তদন্ত। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত বছরের পর বছর বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে থেকেছেন। সেই জেলায় চলছে তাঁর একচ্ছত্র অধিকার। সেই প্রভাব কাজে লাগিয়েই গরু পাচারের মতো ঘটনায় যোগ রয়েছে তাঁর।

    গরু পাচার মামলায় গত বছর অগাস্ট মাসে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তাঁকে পাঠানো হয় আসানসোল জেলে। পরে এই মামলায়ই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি নিজেদের হেফাজতে তাঁকে রেখে দু’ সপ্তাহ জিজ্ঞাসাবাদের পর তিহাড় োজেলেই রয়েছেন অনুব্রত। এখানেই বন্দি রয়েছেন অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিও।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত মামলায় কমিশনের বিরুদ্ধে কি রুল জারি করবে আদালত? জানা যাবে বৃহস্পতিবার

    প্রসঙ্গত, গরু পাচারকাণ্ডে বীরভূমের এক চালকল মালিক রবিন টিব্রেওয়ালকে মার্চ মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। গরু পাচারকাণ্ডের কিংপিন এনামুল হকের ‘হক ইন্ডাস্ট্রি’র সঙ্গে টাকার যে লেনদেন হয়েছে, তার বিস্তারিত হিসেব চেয়েছে সিবিআই। কোনও ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছে কিনা, তাও জানাতে (Anubrata Mondal) বলা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এনামুল গ্রেফতার হওয়ার পরেও হয়েছে আর্থিক লেনদেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Supreme Court: স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি, রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে ইতি টানতে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Supreme Court: স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি, রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে ইতি টানতে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সঙ্কট কাটাতে সাহায্য করতে হবে। শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে এমনই বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করার নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। উপাচার্য নিয়োগে প্রধান ভূমিকা নেবে এই সার্চ কমিটিই। এর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির দিকে নজর দেওয়ার জন্য রাজ্য ও রাজ্যপাল দু’ পক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ

    এদিন বিচারপতি সূর্য কান্ত ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের নির্দেশ, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করতে ২৫ সেপ্টেম্বর সার্চ কমিটি গঠন করে দেবে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগেই শীর্ষ আদালতে জমা দিতে হবে প্যানেলের সদস্যদের নাম। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, রাজ্য সরকার পাঁচজন সদস্যের নাম জানাবে। আচার্যও জানাবেন পাঁচজন সদস্যের নাম। ইউজিসির তরফেও দিতে হবে পাঁচজনের নাম। এঁদের মধ্যে থেকেই প্রত্যেক পক্ষ থেকে সমসংখ্যক নাম বেছে নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করে দেবে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই কমিটিই প্রস্তাব করবে স্থায়ী উপাচার্যের নাম।

    ‘রাজ্যপালকে অপমান করা হচ্ছে’

    রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য যে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল, এদিন তা দেয়নি শীর্ষ আদালত। যার অর্থ, আপাতত স্বপদেই বহাল থাকছেন রাজ্যপাল মনোনীত অস্থায়ী উপাচার্যরা। এদিনের শুনানিতে রাজ্যের তরফে সওয়াল  করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। আর রাজ্যপালের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “আদালতের নির্দেশ মোতাবেক রাজ্যের তরফে আলোচনায় ডাকা হলেও, তাতে সাড়া দেননি রাজ্যপাল।” পাল্টা রাজ্যপালের আইনজীবী বলেন, “প্রতিদিন রাজ্যপালকে প্রকাশ্যে অপমান করা হচ্ছে। তাই আলোচনার উপযুক্ত পরিবেশ নেই।”

    আরও পড়ুুন: নির্দিষ্ট সঞ্চালকদের বয়কটের সিদ্ধান্ত ইন্ডি জোটের, ‘স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গি’র পরিচয়, কটাক্ষ বিজেপির

    দু’ পক্ষের সওয়াল শেষে আদালত জানায়, মতপার্থক্য ভুলে এগোনো উচিত রাজ্য ও রাজ্যপালের। আপনাদের ব্যক্তিগত ইগোর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রছাত্রীরা ভুক্তভোগী হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যপালকেও সঙ্কট কাটাতে সহযোগিতা করার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন আচার্য। এর জেরেই রাজভবন-নবান্ন বিবাদের সূত্রপাত। আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যায় রাজ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
  • S Jaishankar on Bharat: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    S Jaishankar on Bharat: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া না ভারতবর্ষ, এই বিতর্কে বিরোধীদের মোক্ষম জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “সংবিধান যেখানে বলছে যা ইন্ডিয়া তাই ভারত, তাহলে বিরোধীদের এত জল ঘোলা করার কী দরকার। বিতর্ক না বাড়িয়ে আমি তাঁদের বলতে চাই সংবিধানটা একবার ভালো করে পড়ুন, তাহলেই ভুল ভেঙে যাবে। স্পষ্ট করে লেখা আছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি২০ সমাবেশে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের একটি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সেই উপলক্ষে আমন্ত্রণপত্রও যাচ্ছে নিমন্ত্রিতদের কাছে। যে আমন্ত্রণপত্র ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। কারণ, ভারতের রাষ্ট্রপতি কাউকে কোনও চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিত ভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ কথাটি। কিন্তু জি২০ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর চিঠিতে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ কথাটি লেখা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’দেখেই জল্পনা তাহলে কি ইন্ডিয়া নাম বদলে শুধুই ভারত হয়ে গেল? এই বিতর্কে তোলপাড় দেশের রাজনীতি ৷ এ বিষয়ে নিজের মত স্পষ্ট করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানালেন  ভারত নাম উচ্চারণ করলে যে ছবি ও ধারণা মনের মধ্যে ভেসে ওঠে সেই একই প্রজ্ঞা নিহিত রয়েছে দেশের সংবিধানে।

    প্রসঙ্গত, এদেশের সংবিধানে ইন্ডিয়া ও ভারত দু’টি শব্দেরই উল্লেখ রয়েছে। সংবিধানের ১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, “India that is Bharat”। ‘সংবিধান তৈরির সময়ও ১ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে মতবিরোধ ছিল। দেশের নাম ভারত অথবা হিন্দুস্তান রাখার পক্ষে একটা বড় অংশের সমর্থন ছিল। তখন তা হয়নি। তবে এখন সময় বদলেছে। ভারতীয় সংস্কৃতি ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেশ কিছু শহরের নাম বদল করা হয়েছে। তাই এই সময়ই আসল নামে দেশের পরিচিতি গড়ে তোলা উচিত, বলে মনে করেন দেশের অনেকেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Article 370: ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরুদ্ধে মামলা, সুপ্রিম কোর্ট শেষ হল শুনানি-পর্ব, রায়দান স্থগিত

    Article 370: ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরুদ্ধে মামলা, সুপ্রিম কোর্ট শেষ হল শুনানি-পর্ব, রায়দান স্থগিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল ৩৭০ ধারা (Article 370)। এই ধারার বিলোপ সাধনের পর থেকেই সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছিল একাধিক আবেদন। প্রত্যেকটি আবেদনেই পুনরায় জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনার দাবি রাখা হয়েছিল। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছিল শুনানি। মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্ট ৩৭০ ধারার বিলোপের (Article 370) বিরুদ্ধে আবেদনগুলির রায়দান স্থগিত রাখল। মামলাকারীরা জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনকেও চ্যালেঞ্জ করে। কারণ ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপ সাধনের পরেই ২০১৯ সালে জম্মু কাশ্মীরকে রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়। ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়।

    পাকিস্তান জিন্দাবাদ দেওয়া সাংসদ ছিলেন এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী 

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় (Article 370) অন্যতম আবেদনকারী ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ মহাম্মদ আকবর লোন। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অভিযোগ রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় পাকিস্তান স্লোগান দেওয়ার। ১৬ দিন ধরে সুপ্রিম কোর্টের এই শুনানি (Article 370) চলছিল। এই মামলার শুনানি করছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না,  বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত। অন্যদিকে সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ মোহাম্মদ আকবর লোনকে একটি হলফনামা দাখিল করতে বলে। ভারতের সংবিধান তথা জম্মু-কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই বিশ্বাসের প্রতি তাঁর আনুগত্য প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়া সংসদ হলফনামা দাখিল করেন সোমবার। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অবশ্য বলেন যে এটা প্রহসন।

    ৩ বছর ধরে ঝুলে থাকার পরে শুরু হয়েছিল শুনানি (Article 370)

    ৩ বছর ধরে ঝুলে ছিল এই মামলা। জানা গিয়েছে পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে ২ অগাস্ট থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল (Article 370) করার আগে পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে মানুষ এক দ্বন্দ্বে ভুগতেন। ভারত না জম্মু-কাশ্মীর, কোথাকার নাগরিক তাঁরা এই প্রশ্ন তাঁদের মনে থাকতো (Article 370)। অনুচ্ছেদগুলি বাতিলের পরে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। রাজ্যের মানুষের প্রতি বৈষম্যের মনোভাব ছিল বলেই পূর্বতন সরকার এই অনুচ্ছেদ (Article 370) বাতিল করেনি বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share