Tag: Supreme court

Supreme court

  • Calcutta High Court: ‘চাকরি আদালতে বিচারাধীন’, ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্তদের নোটিশ দেবে এসএসসি

    Calcutta High Court: ‘চাকরি আদালতে বিচারাধীন’, ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্তদের নোটিশ দেবে এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থী, এসএসসি’র তরফ থেকে নোটিশ পেতে চলেছেন। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের সমস্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৩ হাজার ৫৪৯ জন কর্মী চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৬ সালের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এসএসসি যে নোটিশ দেবে, তাতে লেখা থাকবে যে এই চাকরি আদালতের বিচারাধীন। প্রত্যেক চাকরিজীবী ডিসেম্বর মাসের বেতন পাওয়ার আগেই এই নোটিশ পাবেন এবং তাঁদেরকে এই নোটিশে সইও করানো হবে। প্রসঙ্গত, এসএসসির নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় রায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই পর্যবেক্ষণে এক বড় অংশের চাকরিজীবীদের ওপরে খাঁড়া ঝুলল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী বললেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক?

    বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বলেন, ‘‘এই মামলার রায় যে দিকেই যাক, তার প্রভাব বিশাল সংখ্যক মানুষের ওপর পড়তে চলেছে। অথচ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে বিষয়টা না জেনেও থাকতে পারেন। তাই তাঁদের নোটিশ দিয়ে একথা জানাতে হবে যে তাঁদের নিয়োগ আদালতে (Calcutta High Court) বিচারাধীন রয়েছে। ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়ার আগে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি কর্মী, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষকদের নোটিশ দিয়ে একথা জানাতে হবে। নোটিশে সই করিয়ে তা জমা দিতে হবে আদালতে। সবাইকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে কি না তা আদালতকে জানাবেন নোডাল অফিসার।’’ প্রসঙ্গত, এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আদালত ঘোষণা করেছে আগামী ১২ জানুয়ারি।

    বিশেষ বেঞ্চে চলছে শুনানি

    সুপ্রিম নির্দেশের পরই নিয়োগ দুর্নীতির শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি তাই চলছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নেতৃত্বে গঠিত ২ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত যত মামলা রয়েছে, তার সব কিছুর শুনানি শেষ করতে হবে। এছাড়াও আগামী ৯ জানুয়ারি নিয়োগ-দুর্নীতির সংক্রান্ত মামলার যাবতীয় তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে সিবিআই-কে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ‘‘আমি মাস্টারমাইন্ড নই’’, দাবি কেষ্টর, ‘‘পুলিশ ওনার পকেটে’’, পাল্টা সিবিআই

    Anubrata Mondal: ‘‘আমি মাস্টারমাইন্ড নই’’, দাবি কেষ্টর, ‘‘পুলিশ ওনার পকেটে’’, পাল্টা সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরুপাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রতের জামিনের আর্জি প্রত্যাখ্যাত হল সুপ্রিম কোর্টেও। মঙ্গলবার ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মামলা। ২২ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি। চার্জ গঠনের আগে জামিন মামলার শুনানি নয় বলেই জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    মাস্টারমাইন্ড নই

    এদিন সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি চলাকালীন বিশেষ মন্তব্য করেন কেষ্ট তথা অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা প্রশ্ন তোলেন, ‘গোরু পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল হক জামিন পেয়েছেন। বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার জামিন পেয়েছে। আমি গোটাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড নই। তারপরও আমাকে কেন আটকে রাখা হচ্ছে জেলে?’

    পুলিশ ওনার হাতে

    পাল্টা অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে শীষ আদালতে এদিন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু বলেন, শাসকদলে তাঁর ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জেলায় রাজার মতো থাকেন অনুব্রত। তিনি এই মামলার অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের ভয় দেখিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে সিবিআইয়ের গ্রেফতার ঠেকানোর চেষ্টা হয়েছে। তিনি জেলার পুলিশ অফিসারদের ট্রান্সফার এবং পোস্টিং ঠিক করেন। পুলিশ তাঁর পকেটে। জামিনের জন্য আদালতের স্পেশাল জাজকে ভয় দেখিয়ে চিঠি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হবে।

    আরও পড়ুন: ২০০০ টাকার বেশি জি-পে, ফোন-পে করতে লাগবে ৪ ঘণ্টা! জানেন কেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে নিম্ন আদালতে এই মামলার শুনানি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। অনুব্রতর আইনজীবী জানান, পাঁচটি চার্জশিট ফাইল করা হয়েছে। এখনও ট্রায়াল শুরু হয়নি। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, আগে চার্জ গঠন করা হোক। তারপর জামিনের প্রসঙ্গে ভাবা যাবে। অতএব আরও একটি বছর  জেলেই শেষ হবে অনুব্রতের। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই মামলার তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের। এই মামলাতে তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET: ১৮ মাসের প্রশিক্ষিতরা বসতে পারবেন না প্রাথমিক টেটে, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET: ১৮ মাসের প্রশিক্ষিতরা বসতে পারবেন না প্রাথমিক টেটে, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণভাবে ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ হয় দু’বছরের। তবে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল’ থেকে ‘ওপেন এন্ড ডিসট্যান্স লার্নিং মোড’-এ এই কোর্স ১৮ মাসের হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে জানিয়েছে যে, ১৮ মাসের ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ যারা নিয়েছেন তাঁরা নতুনভাবে কোনও রকমের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (TET) অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র যাঁরা পূর্ণসময়ের এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরাই যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এবার সিদ্ধান্ত নিতে বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, ১৮ মাসের ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ নিয়ে পরীক্ষায় বসতে চান এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার।

    বিচারপতি কী নির্দেশ দিলেন এদিন?

    বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় এদিন নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কোর্টে জানাতে হবে। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। সেটাই ছিল শেষ টেট পরীক্ষা যেখানে অপ্রশিক্ষিতরাও বসার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ ছাড়া নিয়োগ প্রসঙ্গে তখন রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল যে নিয়োগ হওয়ার পরে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ করিয়ে দেওয়া হবে। সেইমতো ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল’ থেকে প্রচুর চাকরিরত শিক্ষক ডিএলএড-এর  ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ নেন। সমস্যা দেখা দেয় যখন তাঁরাই আবার প্রাথমিক টেটে ১৮ মাসের ডিএলএড-কে যোগ্যতা দেখিয়ে আবেদন করতে থাকেন।

    মামলার জল গড়ায় কোর্টে

    এরপরেই ২ বছরের পূর্ণ সময়ের ডিএলএড প্রার্থীদের একাংশ দ্বারস্থ হয় আদালতে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম নির্দেশকে পালন করার কথা এদিন বলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে শিক্ষক (TET) নিয়োগ নিয়ে ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েই চলেছে কোর্টে, কখনও প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ, কখনও বা আবার অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ। এসবের মাঝে নতুন করে এবার প্রশিক্ষণ (TET) নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিল কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DY Chandrachud: “কেউ যেন আদালতে যেতে ভয় না পান”, সংবিধান দিবসে বার্তা চন্দ্রচূড়ের

    DY Chandrachud: “কেউ যেন আদালতে যেতে ভয় না পান”, সংবিধান দিবসে বার্তা চন্দ্রচূড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেউ যেন আদালতে যেতে ভয় না পান।” রবিবার ৭৫তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথাগুলি বলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। দেশের শীর্ষ আদালতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, বিচারপতি সঞ্জয় কাষান কওল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।

    প্রধান বিচারপতির বার্তা

    প্রধান বিচারপতি বলেন, “কেউ যেন কোর্টে যেতে ভয় না পান। আর কোনও উপায় না থাকলে তবেই আদালতে আসবেন, এমনটা যেন না হয়। বরং আমি চাইব, সব শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মানুষ যেন কোর্ট সিস্টেমের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টাই আমাদের করতে হবে।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “গত সাত দশকে সুপ্রিম কোর্ট জনতার আদালত হিসেবে কাজ করেছে। হাজার হাজার মানুষ কোর্টের দরজায় আসেন ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায়। ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে, বেআইনি গ্রেফতারি রুখতে ক্রীতদাসের অধিকার রক্ষায়, জনজাতিদের জমির অধিকার সুরক্ষিত করতে আদালতের দ্বারস্থ হন নাগরিকেরা। এঁরা সকলেই আদালতের দ্বারস্থ হন ন্যায় বিচারের আশায়।”

    ‘সেতুবন্ধনের কাজ করে মিডিয়া রিপোর্ট’

    এর পরেই তিনি বলেন, “কেউ যেন কোর্টে যেতে ভয় না পান। কোর্টের শুনানির মিডিয়া রিপোর্টিং কোর্টরুমের কাজকর্মের সঙ্গে জনতার সেতুবন্ধন করে দেয়।” শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, “আমাদের দেশে সুপ্রিম কোর্টের একটা মৌলিক জায়গা রয়েছে। এখানে প্রধান বিচারপতিকে স্রেফ একটা চিঠি লিখেই গড়িয়ে দেওয়া যায় সাংবিধানিক মেশিনারির চাকা। এক সময় যেটা পোস্টকার্ডে হত, আধুনিক যুগে এখন সেটাই হয় ই-মেইল মারফত।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনাদের বিশ্বাসটাই আমাদেরও বিশ্বাসের জায়গা। তাই আমরা চাই, আপনারা যেন আদালতে আসতে কখনওই ভয় না পান।” তিনি বলেন, “আমরা যখন বলি আমরা সংবিধান গ্রহণকে সম্মান করি, তখন আমরা আসলে বিশ্বাস করি, সাংবিধান আছে এবং তা নিরলসভাবে কাজও করে চলেছে।”

    আরও পড়ুুন: ধর্মতলার সভায় আসছেন শাহ, লাখো মানুষের জমায়েতের প্রস্তুতি বিজেপির

    এদিন একটি ই-এসসিআর পোর্টালেরও উদ্বোধন হয়। এই পোর্টালে হিন্দিতে জানা যাবে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায় সম্পর্কে। এই রায়গুলি যাতে পঞ্জাবি, বাংলা, ওড়িয়া, উর্দু সহ দেশের বিভিন্ন ভাষায় পড়তে পারা যায়, তার ব্যবস্থাও করতে বলেন প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Adani-Hindenburg Case: সেবিকে ছাড়! আদানি-হিন্ডেনবার্গকাণ্ডের রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    Adani-Hindenburg Case: সেবিকে ছাড়! আদানি-হিন্ডেনবার্গকাণ্ডের রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে আপাতত স্বস্তি আদানিদের। আদানি-হিন্ডেনবার্গ (Adani-Hindenburg Case) মামলার রায় আপতত সংরক্ষিত রাখল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের মতো একটি বাজার সমীক্ষা সংস্থায় প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি আদানিদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করবে এমনটা ভেবে নেওয়া ঠিক নয়। 

    কী বলছে শীর্ষ আদালত

    আদানি গোষ্ঠীর (Adani-Hindenburg Case) বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি অভিযোগে তদন্ত করছে সেবি। সেই সংক্রান্ত একটি মামলায় শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, তদন্তকারী সংস্থাগুলোর উপর আস্থা রাখতে হবে। পাশাপাশি, শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বাজার নিয়ন্ত্রকের ‘দুর্নাম’ করার কারণ নেই। আগামী দিনে বাজারে অস্থিরতার কারণে লগ্নিকারীদের যাতে সম্পদ খোয়াতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে সেবি কী করার কথা ভাবছে তা-ও জানতে চেয়েছে আদালত। দুই বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, তাদের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়তে বলা ঠিক হবে না। কারণ সেই নির্দেশ দেওয়ার মতো কোনও তথ্য আদালতের কাছে নেই। রায় ঘোষণার আগে সুপ্রিম কোর্টের এই মত কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে আদানি গোষ্ঠীকে।

    কোন মামলার শুনানি

    এই বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন শেয়ার বিশ্লেষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গ অভিযোগ করে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কারচুপি করে নিজেদের নথিভুক্ত সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। সেবির বিধিকে ফাঁকি দিতে ভুঁইফোঁড় বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের সংস্থার শেয়ার কিনিয়েছে তারা। যার ভিত্তিতে দুটি মামলা গৃহিত হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিনিয়োগকারীদের আস্থার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য গত মার্চে একটি কমিটি গঠন করে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, শেয়ার বাজারে ‘অনিয়মের’ অভিযোগটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয় সেবিকে। তবে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে না পারায় আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন।

    আরও পড়ুন: ১৯৯টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৭০ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী! শুরু রাজস্থানে ভোটগ্রহণ

    সেবিকে ছাড় 

    শুনানি চলাকালীন এক মামলাকারীর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ অভিযোগ করেছিলেন, আদালত নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির দুই সদস্যের ‘স্বার্থের সংঘাত’ রয়েছে। এই আবহে আদালত বলে, ‘আপনাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। অভিযোগ করা খুবই সহজ। আমরা এখানে চরিত্রের সার্টিফিকেট দিচ্ছি না। কিন্তু সমানভাবে আমাদের ন্যায়ের মৌলিক নীতি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।’ এদিকে সেবি কমিটিতে থাকা আইনজীবী সোমশেখর সুন্দরেসন আদানির আইনজীবী বলে অভিযোগ করেছিলেন আবেদনকারীরা। সেই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানায়, ২০০৬ সালে একটি মামলায় সোমশেখর আদানির হয়ে সওয়াল করেছিলেন। তিনি আদানির ইন-হাউজ আইনজীবী নন। এই আবহে সোমশেখর নিয়ে ওঠা আপত্তি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। এরপরই এদিন রায়দান স্থগিত রাখে আদালত (Supreme Court)। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    Justice Abhijit Ganguly: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আর কোনও মামলাই আর আপাতত শুনবেন না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জেরেই এই সিদ্ধান্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। আদালতের  পুজো অবকাশ শেষে সোমবার এজলাসে আসেন তিনি। পরে জানিয়ে দেন, এসএসসি সংক্রান্ত কোনও মামলা আপাতত শুনবেন না। তাঁর জন্য নির্দিষ্ট মামলাগুলির তালিকা থেকে এসএসসি সংক্রান্ত সব মামলা সরিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিপাকে পড়েন অনেকে

    তৃণমূল জমানায় শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Justice Abhijit Ganguly)। এই মামলাগুলির অনেকগুলিতেই কড়া রায় দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ‘ভগবান’ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়েকে শিক্ষিকার পদ খোয়াতে হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে। তাঁর এমন আরও কয়েকটি রায়ের জেরে বিপাকে পড়েন অসাধু উপায়ে চাকরি পাওয়া তরুণ-তরুণীরা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে হতাশ তাঁরা। তবে এসএসসির মামলা না শুনলেও, প্রাথমিকের যে ক’টি মামলা চলছিল তাঁর এজলাসে, সেগুলি শুনবেন তিনি। ২৯ নভেম্বর ওই মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা।

    কী কারণে শুনবেন না মামলা?

    কী কারণে এসএসসি সংক্রান্ত মামলা আপাতত শুনবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)? তিনি জানান, ৯ নভেম্বর এসএসসি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এসএসসির সব মামলা ফেরত পাঠিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করবেন। সেখানেই শুনানি হবে এই মামলাগুলির। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হোক কিংবা নতুন চাকরির সুপারিশ, সব সিদ্ধান্তই নেবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির গড়ে দেওয়া ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে যেসব মামলা সুপ্রিম কোর্ট ফেরত পাঠিয়েছিল, তার মধ্যে ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলাও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হাতে পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এসএসসি (Justice Abhijit Ganguly) নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: “রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না কেন?”, সিবিআইকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের  

    Supreme Court: “রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না কেন?”, সিবিআইকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেন এখনও রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না? যাঁদের জন্য টাকা নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হল না কেন?” শুক্রবার সিবিআইকে এই প্রশ্নই করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এদিন জামিন পেয়েছেন চাকরি বিক্রির অন্যতম দালাল প্রসন্ন রায়। সেই প্রসঙ্গেই সিবিআইকে প্রশ্ন করে শীর্ষ আদালত।

    তদন্তের অনুমতি দেয়নি রাজ্য!

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য, নাইসারের ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস। এবার ছাড়া পেলেন প্রসন্ন। আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই জানিয়েছে, কয়েকজন রাজ্য সরকারি কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি এখনও মেলেনি রাজ্য সরকারের তরফে। ২০২২ সালের অগাস্টে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই।

    রং মিস্ত্রি কয়েক কোটি টাকার মালিক!

    এক সময় রংয়ের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন প্রসন্ন। অথচ সিবিআই যখন তাঁকে গ্রেফতার করে, তখন তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক। পরে জানা যায়, প্রসন্ন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়। এদিন প্রসন্নর হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। এই সওয়াল চলাকালীনই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই। অবশ্য এই প্রথম (Supreme Court) নয়, কলকাতা হাইকোর্টেও একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নিয়োগ কেলেঙ্কারির চাঁইদের এখনও কেন গ্রেফতার করা হয়নি। এদিন সুপ্রিম কোর্টেও সেই একই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল সিবিআইকে।

    আরও পড়ুুন: রাচিনের মুখে জয় শ্রী রাম! নাতির জন্য প্রার্থনা ঠাকুমার

    জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা ও লাগোয়া এলাকায় চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে পার্থর কাছে পাঠাতেন প্রসন্ন। এই কারণে বিধাননগরে একটি পরিবহণ সংস্থার দফতর খুলেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই দফতর থেকেই চলত জালিয়াতির কারবার। যাঁদের চাকরি বিক্রি করা হত, প্রসন্নর পাঠানো তালিকা দেখে সেই অযোগ্যদেরই চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন পার্থ। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল প্রসন্ন রায়ের। প্রসন্নর সল্টলেকের অফিসে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি হত। ওই অফিসেই অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকও হত (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Consent Case: সিবিআই একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র সংস্থা, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    CBI Consent Case: সিবিআই একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র সংস্থা, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র সংস্থা, কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গ নয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই (CBI Consent Case) তদন্তের জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার পরেও রাজ্যের অনুমতি ছাড়া একের পর এক মামলায় এফআইআর করতে শুরু করে সিবিআই। এর পরেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার।

    সলিসিটর জেনারেলের যুক্তি

    এদিন শুনানির জন্য মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গবই ও বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চে। কেন্দ্রের হয়ে শুনানি করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, সিবিআই স্বাধীন ও স্বতন্ত্র একটি সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের করা মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল। শীর্ষ আদালতে তিনি জানান, সিবিআইয়ের (CBI Consent Case) তদন্তের ধরন বা এফআইআর করার সিদ্ধান্তে নাক গলায় না কেন্দ্র। তাই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা যায় না। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল এও জানান, যেসব ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্ত বা এফআইআরের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছে রাজ্য সরকার, সেই তদন্ত সিবিআই শুরু করেছে কলকাতা হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। তাই রাজ্য সরকারের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন কেন হবে?

    ‘সিবিআই আর কেন্দ্রীয় সরকার এক নয়’

    তিনি বলেন, “সিবিআই আর কেন্দ্রীয় সরকার এক নয়। যদি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই মামলা করতে হবে। এই সংস্থার ওপর আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা।” সলিসিটর জেনারেল বলেন, “ভারতীয় সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্যের মতপার্থক্য হলে তবেই অরিজিনাল সিভিল স্যুট দায়ের করা যায়। এ ক্ষেত্রে যেহেতু অভিযোগটা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নয়, তাই এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকাই নেই।”

    আরও পড়ুুন: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসবে ৪ ডিসেম্বর, পেশ হবে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ!

    তাঁর অভিযোগ, সিবিআই পশ্চিমবঙ্গে রেলের জমি থেকে ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডসের কয়লা পাচারের তদন্ত শুরু করেছিল। সেই তদন্তে বিশেষ একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার উদ্যোগ নিতেই এই মামলা করেছে রাজ্য সরকার।” বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তদন্তের বিষয়টা বুঝতে পারছি। সিবিআই স্বাধীনভাবেই কাজ করবে। তবে প্রশাসনিক দিক থেকে সিবিআই কেন্দ্রেরই অধীন। এই মামলার (CBI Consent Case) পরবর্তী শুনানি হবে ২৩ নভেম্বর।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টেই! দু’মাসেই শেষ করতে হবে তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    SSC Scam: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টেই! দু’মাসেই শেষ করতে হবে তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত রাজ্যের সমস্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত সমস্ত তদন্ত সিবিআই এবং ইডিকে দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দেয়। 

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আগামী ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিভিন্ন মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সব মামলা এতদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন ছিল, সেগুলিকেও কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার শুনানিও আগামী ছ’মাসে শেষ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারে সায় এথিক্স কমিটির! পক্ষে থাকলেন মাত্র ৪ জন

    প্রসঙ্গত, এসএসসি সংক্রান্ত অনেকগুলি মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই নিয়ে এর আগে একবার বিরক্তিও প্রকাশ করেছিল বিচারপতি বোস এবং বিচারপতি ত্রিবেদীর বেঞ্চ। বিচারপতিদ্বয় বলেছিলেন, ‘‘২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ সাল-সহ বিভিন্ন বছরের আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এতগুলি মামলার মধ্যে কোনটা আগে শুনব?’’ আদালত সূত্রের খবর, নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী কী পাওয়া গিয়েছে, তা এদিন আদালতকে জানায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এ বিষয়ে এদিন আদালতে চারটি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়। এরপরই এসএসসি মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে বিশেষ নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলে, তাদেরও এসএসসি সংক্রান্ত বাকি থাকা সমস্ত তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন ‘প্রেমিক’ জয়ের, কী জানালেন থানায়?

    Mahua Moitra: এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন ‘প্রেমিক’ জয়ের, কী জানালেন থানায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra)! কিছু দিন আগেই তাঁকে মুখোমুখি হতে হয়েছে সংসদের এথিক্স কমিটির। টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে মহুয়াকে তলব করেছিল এথিক্স কমিটি। এবার তৃণমূলের এই নেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তাঁরই প্রাক্তন ‘প্রেমিক’ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। দায়ের করা অভিযোগে দেহাদ্রাই জানান, ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই তাঁর বাড়িতে ‘অনুপ্রবেশ’ করেছিলেন মহুয়া। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীর অভিযোগ, ৫ ও ৬ নভেম্বর না জানিয়েই তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।

    মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ

    তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে দিল্লি থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে দেহাদ্রাই লিখেছেন, গত ৫ নভেম্বর সকাল ১১টা নাগাদ ও ৬ নভেম্বর সকাল ৯টা নাগাদ সাংসদ মহুয়া মৈত্র কাউকে কিছু না জানিয়েই আমার বাড়িতে আসেন। এভাবে (মহুয়া) মৈত্রর আমার বাড়িতে আসার কারণ হিসেবে মনে হচ্ছে, তিনি আমার বিরুদ্ধে আবার কোনও ভুয়ো প্রতারণামূলক অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ভয় দেখানোর অভিপ্রায় নিয়েই তাঁর বাড়িতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন মহুয়া (Mahua Moitra)। তাঁর সংযোজন, “মহুয়া মৈত্রর প্রতারণামূলক ও মিথ্যে অভিযোগ সম্পর্কে আমি আগেই দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছি। তবে তাঁর এই অনুপ্রবেশে ভয় পেয়েছেন আমার বাড়ির কর্মীরা। আর এই ঘটনা থেকেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে কেন একজন দাবি করেছিলেন আমার সঙ্গে তাঁর একটি উত্তেজনাপূর্ণ অতীত রয়েছে। আমার বাসভবনে ইচ্ছাকৃতভাবে এসেছেন মহুয়া। তাও আবার দু’দিন।”

    আইনজীবীর ভয়ের কারণ

    সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, পিনাকি মিশ্রর গাড়িতে করে একদিন তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন মহুয়া। পরের দিন এসেছিলেন বিধায়ক বিবেক গুপ্তর সাদা ইনোভা গাড়িতে চড়ে। তিনি লিখেছেন, “আমার ভয়ের কারণ হল মহুয়া আমার পোষ্য হেনরির অজুহাতে সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমার বাড়িতে চলে আসছে। বিষয়টি আমার কাছে ধাঁধার মতো লাগছে। কারণ কোনও আমন্ত্রণ ছাড়াই ওঁর এভাবে আমার বাড়িতে চলে আসাটা বেশ রহস্যজনক। মহুয়া মৈত্র ও তাঁর সহচর শারীরিকভাবে আমার ক্ষতি করার চক্রান্ত করছেন বলে মনে হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করেছিলেন, দেহাদ্রাই তাঁকে যে চিঠি দিয়েছিলেন, তার ভিত্তিতেই তিনি মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুুন: জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী-মেয়েকে ডাকবে ইডি! রেশন দুর্নীতির তদন্তে তলবের সম্ভাবনা যে কোনও দিন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share