Tag: Supreme court

Supreme court

  • Haryana Violence: ফের উত্তেজনা হরিয়ানায়,  প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ গুরুগ্রামের সাংসদের

    Haryana Violence: ফের উত্তেজনা হরিয়ানায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ গুরুগ্রামের সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে ফের নতুন করে হিংসা ছড়ায় হরিয়ানায় (Haryana Violence)। নুহ জেলায় ঘটা সাম্প্রদায়িক অশান্তির জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন গুরুগ্রামের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইন্দ্রজিৎ সিং। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে, গোটা পরিস্থিতির ছবি প্রকাশ্যে আনেন গুরুগ্রামের সাংসদ। তিনি বলেন, যদি দুই সম্প্রদয়ের হাতেই অস্ত্র থাকে, তাহলে কে তাদের অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে, হরিয়ানা সরকার তা খতিয়ে দেখবে। যদিও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, নুহ-এর হিংসায় মদত দেওয়া হচ্ছে। কারা এর পিছনে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

    অশান্ত হরিয়ানার বিভিন্ন অঞ্চল

    একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আবার মঙ্গলবার রাতে গুরুগ্রামের (Haryana Violence) সেক্টর ৭০-তে একাধিক দোকান এবং বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে আগুন ধরানো হয়, সেটার ঠিক পাশেই একটি আবাসন আছে। তবে শুধু রাতে নয়, মঙ্গলবার অন্ধকার নামার আগেও গুরুগ্রামে অশান্তি ছড়ায়। বাদশাপুরে কমপক্ষে তিনটি দোকানে লুঠপাট চালানো হয়। পতৌদি চকের কাছে একের পর এক দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। হরিয়ানার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দিল্লি (Delhi) ও সংলগ্ন এনসিআর (NCR) এলাকা, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানাতে বিক্ষোভ মিছিলের (rallies) আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ও তাদের শাখা সংগঠন বজরঙ্গ দল (Bajrang Dal)। এই মিছিল আটকাতে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত মিছিলের অনুমতি দিলেও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি না ছড়ায় তা প্রশাসনকে সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়।  বিক্ষোভ মিছিল থেকে যাতে কোনও ঘৃণ্য ভাষণ (hate speeches) বা হিংসা (violence) না ছড়ায় তা দেখার। প্রয়োজনে পুরো এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানোর কথাও বলে শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    দিল্লিতে জারি হাই অ্যালার্ট

    হরিয়ানার হিংসা (Haryana Violence) ছড়িয়ে পড়তে পারে দিল্লিতেও। আগাম সাবধানতা হিসেবে রাজধানী দিল্লিতেও জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। গত তিনদিন ধরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হরিয়ানা। ১১৬ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ঘটনায় ৪১টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। হরিয়ানার নুহ-তে গত পরশু থেকে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। নূহ-র সাইবার ক্রাইম থানা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। একাধিক পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠছে হরিয়ানার একাধিক এলাকা। গুরুগ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে ঘটনা। ইতিমধ্যেই হরিয়ানার একাধিক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নূহ এবং গুরুগ্রামের একাধিক জায়গায় স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WBBPE: ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    WBBPE: ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ (WBBPE) প্রক্রিয়া স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কুহেলি, বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের এদিনের নির্দেশের ফলে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বিশ বাঁও জলে। 

    ১২ হাজারের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের (WBBPE) মধ্যে প্রায় ১২ হাজারের নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশ নেওয়ার আর্জি নিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, প্রশিক্ষণের (WBBPE) কোর্স যে শেষ হয়নি, তার দায় পর্ষদের। তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান। এই মর্মে আগেই  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশ নিতে দিতে হবে। এরপরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০২০-২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল।

    মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়েকে চ্যালেঞ্জ জানায় ২০২০ সালের আগের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। নির্ধারিত কোর্স শেষ না করে কেন এই প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছে বোর্ড (WBBPE)? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২০২০ সালের আগের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। এই মর্মে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশ নেওয়া যাবে না। পরবর্তীতে ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ যাঁদের বেশিরভাগই ২০২০-২২ সালের প্রশিক্ষণ (WBBPE) নিয়েছিলেন। এই মর্মে শুক্রবার উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, আগে এই ২০২০-২২ সালের প্রশিক্ষণরতরা নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশ নিতে পারবেন কিনা সেই বিষয়ে নির্দেশ দেবে আদালত। তারপর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার আগে পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: বিদেশ সফরের এক সপ্তাহ আগে ইডিকে নোটিশ দিতে অভিষেককে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Abhishek Banerjee: বিদেশ সফরের এক সপ্তাহ আগে ইডিকে নোটিশ দিতে অভিষেককে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিদেশ যাত্রা নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল, ইডির অনুমতি না নিয়েই কি তিনি দেশ ছেড়েছেন? নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও বড় রহস্য? শুক্রবার শীর্ষ আদালতে ইডি জানায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এর বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। যা শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি কিষাণ কউল ও সুধাংশু ধুলিয়ান অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে জারি হওয়া লুক আউট নোটিশ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিদেশ যাত্রার সাত দিন আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সচিব ও তাঁর স্ত্রীকে। 

    সুপ্রিম অভিমত

    চিকিৎসার জন্য স্ত্রী রুজিরার সঙ্গে আমেরিকায় গিয়েছেন অভিষেক। তাঁর বিদেশ যাত্রা নিয়ে মামলাটি শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। সুপ্রিম কোর্টে ইডির আইনজীবী এস ভি রাজু বলেন, “বিদেশযাত্রার এক সপ্তাহ আগে ইডি-কে জানাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে ইডি। বিদেশযাত্রায় কোনও বাধা দেওয়া হবে না।” একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে জেরা করা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই সেই বিষয় নিয়ে মেধার ভিত্তিতে শুনানি করা হবে। খতিয়ে দেখা হবে সিআরপিসি এবং পিএমএলএ ধারা। সমস্ত পক্ষকে জমা দিতে হবে হলফনামা। দুই মাস পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে।

    আরও পড়ুুন: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    এরপরই শীর্ষ আদালত জানায়, বিদেশ যাত্রার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তদন্তকারী এজেন্সির থেকে অনুমতি নিতে হবে। এদিন শীর্ষ আদালতে ইডির আইনজীবী এস ভি রাজু সওয়াল করেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভাবশালী, ক্ষমতাশালী সাংসদ। প্রায়ই দিল্লিতে আসেন, তাহলে ইডি অফিসে এসে জেরায় অংশ নিতে সমস্যা কোথায়?” তিনি আরও বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আর এই অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে চায় ইডি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Enforcement Directorate: ‘দেশের স্বার্থে’ ইডি ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট

    Enforcement Directorate: ‘দেশের স্বার্থে’ ইডি ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের আবেদন মেনেই ইডি প্রধান (Enforcement Directorate Chief) হিসাবে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সঞ্জয় কুমার মিশ্র ইডি-র প্রধান পদে থাকতে পারবেন বলে নির্দেশ জারি করেছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি আরএস গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের কৌঁসুলি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার আবেদনে সাড়া দেন। ‘দেশের স্বার্থে’ই সঞ্জয় কুমারের মেয়াদ কিছুটা বাড়ানো হল বলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে।

    কেন বাড়ানো হল মেয়াদ

    আদালত সূত্রে খবর, ইডি-র (Enforcement Directorate) ডিরেক্টর পদে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত করার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র। এব্যাপারে কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, সঞ্জয় কুমার মিশ্রের ইডি-র অধিকর্তা পদে থাকার বিষয়টি দেশের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। তাঁর অনুপস্থিতি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর পর্যালোচনার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কেন্দ্রের এই যুক্তির প্রেক্ষিতেই সঞ্জয় কুমার মিশ্রের ইডি অধিকর্তা পদে মেয়াদ বাড়ানোর অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই নিয়ে চতুর্থ বার ইডির ডিরেক্টর পদে মেয়াদ বাড়ল সঞ্জয়ের। 

    আরও পড়ুন: হুবহু মিলে গেল মোদির ‘ভবিষ্যদ্বাণী’! সেই বাদল অধিবেশনেই অনাস্থা পেশ বিরোধীদের

    ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের অফিসার সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে ২০১৮ সালে প্রথম বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর (Enforcement Directorate) ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। সে বার দু’বছরের জন্য তাঁকে ওই দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্র। এর পর ২০২০ সালে তাঁর মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করা হয়। আর্থিক দুর্নীতির বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে জড়িত রয়েছে ইডি। ফলে সে সব তদন্তের স্বার্থেই ডিরেক্টর হিসাবে সঞ্জয়ের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে, বৃহস্পতিবার বিচারপতি গাভাই বলেন, ‘‘কোনও অবস্থাতেই ১৫ সেপ্টেম্বরের পরে সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে ইডির ডিরেক্টর পদে রাখা যাবে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হাইকোর্টের এফআইআর-নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম দুয়ারে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: হাইকোর্টের এফআইআর-নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম দুয়ারে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ থাকলে এফআইআর দায়ের করা যাবে। সে ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে না। গত বৃহস্পতিবার এমন নির্দেশই দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শুভেন্দু। তবে তাঁর দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালতে আগামী ৪ অগাস্ট রয়েছে শুভেন্দুর মামলার শুনানি।

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জনৈক সুমন সিংয়ের দায়ের করা এক জনস্বার্থ মামলায় গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন। তাতে জানানো হয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে আইনানুগ পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। ওই দুই বিচারপতি আরও জানান, অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হলে পুলিশ এফআইআর দায়ের করতে পারবে। তবে গ্রেফতার বা কড়া পদক্ষেপ করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরই শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। গত ২৫ জুলাই প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোহনপুর থানায়। 

    আরও পড়ুন: এবার বুলেট ট্রেনের মানচিত্রে জুড়ল বাংলা! লোকসভায় ঘোষণা অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    সুপ্রিম কোর্টে আবেদন

    এরপর হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউলের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে সওয়াল করবেন আইনজীবী বাঁশুরি স্বরাজ। আইনজীবী জানিয়েছেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ২৬টি এফআইআর হয়েছে। সেগুলি থেকে অব্যাহতি চান তিনি। আইনজীবী দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে বলেছিলেন, এক সপ্তাহ একটু বেশি সময় হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাঁর সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ রক্ষাকবচ দিয়েছিল শুভেন্দুকে। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া ২৬টি এফআইআর-এর ক্ষেত্রেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও, মামলা আবার ফেরানো হয় হাইকোর্টেই। এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আর্জির ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ আদালত কী ব্যবস্থা নেয় তার অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: ‘মোদি’ পদবি মামলায় পূর্ণেশ ও গুজরাট হাইকোর্টকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘মোদি’ পদবি মামলায় পূর্ণেশ ও গুজরাট হাইকোর্টকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মোদি’ পদবি মামলায় সাজার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই মামলায় এবার বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদিকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএস গাভাই ও বিচারপতি পিকে মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলায় অবস্থান জানতে শীর্ষ আদালতের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছে গুজরাট সরকারকেও। ৪ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। শুক্রবার বেঞ্চ জানিয়েছে, এই পর্যায়ে মামলার দীর্ঘায়িত শুনানির প্রয়োজন নেই। সাজার ওপর স্থগিতাদেশ হবে না রায় বহাল থাকবে, শুনানি হবে তা নিয়েই।

    রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকের কোলারের এক জনসভায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। চলতি বছর ২৩ মার্চ সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা দু বছর জেলের সাজা দেন রাহুলকে। উচ্চতর আদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে ৩০ দিন সময়ও দিয়েছিলেন বিচারক।

    দু বছরের কারাদণ্ড

    দু বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা হওয়ায় রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। বাংলোর অধিকারও খোয়ান রাহুল। সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাহুলের আর্জি ৭ জুলাই খারিজ করে দেয় গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চ। এর আগে রাহুল আবেদন করেছিলেন সুরাটের দায়রা আদালতও। গুজরাট হাইকোর্টের সাজার রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন রাহুল। আবেদনে বলা হয়, যদি গুজরাট হাইকোর্টের ৭ জুলাইয়ের রায় স্থগিত করা না হয়, তাহলে তা বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশ, স্বাধীন চিন্তাভাবনার কণ্ঠরোধের পরিবেশ তৈরি করবে।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি নেতাদের বাড়ি ‘ঘেরাও’য়ের ডাক মমতা-অভিষেকের, তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    আইনজীবীদের একাংশের মতে, সুপ্রিম কোর্ট যদি সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়, তবে হারানো সাংসদ পদ ফিরে পেতে পারেন রাহুল। সাজার ওপর স্থগিতাদেশ দিলে জেলে যেতে না হলেও, সাংসদ পদ ফিরে পাবেন না। আর গুজরাট হাইকোর্টের রায় বহাল থাকলে জেলে যাওযার আশঙ্কা বাড়বে রাহুলের। কেবল তা-ই নয়, আগামী ছ বছর তিনি নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: “কংগ্রেস চায় না সংসদ সুষ্ঠুভাবে চলুক”, মণিপুরকাণ্ডে তোপ রবিশঙ্করের

    Manipur: “কংগ্রেস চায় না সংসদ সুষ্ঠুভাবে চলুক”, মণিপুরকাণ্ডে তোপ রবিশঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরের (Manipur) পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত সরকার। মণিপুরের মানুষের নিরাপত্তায় সচেষ্ট সরকার। কংগ্রেস চায় না সংসদ সুষ্ঠুভাবে চলুক। সেই জন্যই হইহট্টগোল করছে। মণিপুরের লজ্জাজনক ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।” কথাগুলি বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “মণিপুরের ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত। আজ আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কড়া ভাষায় এর নিন্দাও করেছেন, মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে দেশকে জাগ্রত করার কথা বলেছেন। মণিপুরের সঙ্গে সঙ্গে রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের কথাও বলেছেন। নরেন্দ্র মোদির সরকার মা-বোনদের সম্মানের বিষয়ে সংবেদনশীল। কংগ্রেসের কাছে এই ঘটনা জরুরি নয়, অশান্তি জরুরি। যখন সকাল সকাল প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে কথা বলেছেন, তখন দেশের সকলের কাছে সংকেত যাওয়া উচিত ছিল।”

    মণিপুরকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন

    এদিকে, দুই মহিলাকে (Manipur) নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিও প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হল আরও তিন অভিযুক্তকে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মণিপুর পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ বলেন, “আমি সকলের কাছে আবেদন করতে চাইছি যেন মহিলা, বোন, দিদির বিরুদ্ধে এটাই শেষ অপরাধ হয়। আমাদের মা, বোন ও বড়দের সম্মান দেওয়া উচিত।”

    রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    লজ্জাজনক এই ঘটনায় মণিপুরের মুখ্য সচিব ও ডিজিপির কাছে রিপোর্ট চেয়ে নোটিশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে চার সপ্তাহের মধ্যে। তদন্তের অগ্রগতি সহ নির্যাতিতাদের শারীরিক অবস্থা ও সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    আরও পড়ুুন: ‘ভোট-সন্ত্রাস’-এর তদন্তে ফের রাজ্যে বিজেপির প্রতিনিধি দল

    এদিকে, মণিপুর (Manipur) নিয়ে বৃহস্পতিবারই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্টও। দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানায়, সংসদীয় গণতন্ত্রে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সুপ্রিম কোর্ট এদিনই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়ে দিয়েছিলেন, মামলাটির শুনানি হবে শুক্রবার। সেখানে সরকারকে জানাতে বলা হয়েছে, তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: “সরকার পদক্ষেপ না করলে আদালত বাধ্য হবে”, মণিপুরকাণ্ডে বললেন চন্দ্রচূড়

    Manipur: “সরকার পদক্ষেপ না করলে আদালত বাধ্য হবে”, মণিপুরকাণ্ডে বললেন চন্দ্রচূড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই ঘটনায় (Manipur) আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যদি সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।” বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আগামিকাল, শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। শুনানিও হবে এদিন। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “সরকারের অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত। গণতন্ত্রে এই ধরনের ঘটনা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।”

    প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা

    মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। “মণিপুরের (Manipur) ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার। ওই ঘটনায় দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।” বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে এই ভাষায়ই মণিপুরের ঘটনার নিন্দা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় তিনি যে ব্যথিত ও ক্রুদ্ধ, তাও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইট-বার্তায় ঘটনার নিন্দা করেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি লেখেন, মণিপুরে ২ মহিলার যৌন নির্যাতনের ভয়াবহ যে ভিডিও সামনে এসেছে, তা নিন্দনীয় ও সম্পূর্ণ অমানবিক।

    চিন্তিত চন্দ্রচূড় 

    সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “গতকাল ভিডিও দেখার পর আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, চিন্তিত। আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সময় হয়েছে সরকারের পদক্ষেপ করার। এই ঘটনা অনস্বীকার্য, এটা মানা যায় না।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “কেন্দ্রকে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি। যদি সরকার পদক্ষেপ না করে, তবে আদালত পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে। এই ধরনের অপরাধের ঘটনা ঘটানোর জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকার কী পদক্ষেপ করছে, তার দিকে নজর রাখছে আদালত। সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও দেখা গিয়েছে, তা সংবিধান উল্ঘনের প্রমাণ।”

    আরও পড়ুুন: ফের রাজভবন-নবান্ন সংঘাত! বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    প্রসঙ্গত, ৩ মে থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে উত্তর পূর্বের পাহাড়ি এই রাজ্যে (Manipur)। হিন্দু মেইতেই এবং খিস্টান কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। পোড়ানো হয়েছে ঘর-বাড়ি-গাড়ি। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। তার পরেও ঘটে চলেছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Supreme Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Rama Navami) শোভাযাত্রায় ব্যাপক হিংসা হয়েছিল এ রাজ্যে। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলাও। পরে আদালত অভিযোগের তদন্তভার দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।

    সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

    সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে হয় এই মামলার শুনানি। হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায় পাঁচটি এফআইআর দায়ের করেছিল এনআইএ। এদিন আদালত জানতে চায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় অশান্তির ঘটনা নিয়ে দায়ের হওয়া পাঁচটি এফআইআরের বিবরণ একই কিনা। ওই বিবরণ বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এনআইএকে। শুক্রবার সকালের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই রিপোর্ট জমা দেবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন শুনানিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা জানান, রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা ছোড়া হলেও, বিস্ফোরক আইনে মামলা করেনি পুলিশ।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছিল এই মামলার। তখন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির ঘটনায় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। তার জের টেনে এদিন শুভেন্দুর আইনজীবীর প্রশ্ন, এরপরও কেন রাজ্য পুলিশ বিস্ফোরক আইনে কোনও মামলা রুজু করল না? তিনি (Supreme Court) বলেন, হিংসার ঘটনায় দোষীদের আড়াল করতেই বিস্ফোরক আইনে এফআইআর দায়ের করেনি রাজ্য পুলিশ। মামলাকারীদর বিজেপি নেতা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা ভুল। এঁদের মধ্যে সমাজকর্মী, আইনজীবীরাও রয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    হাইকোর্ট দেখেছে, একজন পুলিশ আধিকারিকই অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে ৫টি সিজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। ভিডিও ফুটেজে দুষ্কৃতীদের দেখা গিয়েছিল, তারপরেও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, সঠিক তদন্ত হয়নি। রামনবমীর মিছিলে নির্বিচারে পাথর, বোমা ছোড়া হয়েছে, তারপরেও বিস্ফোরক আইনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি। প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাওড়া ও হুগলি। কোথাও শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কোথাও আবার ট্রেন বন্ধ করে কার্যত তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: ‘মোদি’ পদবি মন্তব্যের জেরে কারাদণ্ড, সাজা মকুব করতে সুপ্রিম কোর্টে রাহুল

    Rahul Gandhi: ‘মোদি’ পদবি মন্তব্যের জেরে কারাদণ্ড, সাজা মকুব করতে সুপ্রিম কোর্টে রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (Rahul Gandhi) পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দু বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। গুজরাটের সুরাটে ফৌজদারি আদালতের রায় বহাল রেখেছিল গুজরাট হাইকোর্ট। গুজরাট হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন রাহুল। রাহুল সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন আঁচ করেই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছিলেন মামলাকারী প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপির পূর্ণেশ মোদি। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।

    রাহুলের বিতর্কিত মন্তব্য

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কর্নাটকের এক জনসভায় প্রচার করতে গিয়ে মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। তিনি বলেছিলেন, “সব চোরেদের পদবি মোদি হয় কেন?” আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদি, ব্যাঙ্ক ঋণ মামলায় পলাতক নীরব মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা টেনেছিলেন তিনি।

    মানহানির মামলা

    রাহুলের বিরুদ্ধে সুরাটের একটি আদালতে মানহানির মামলা করেন পূর্ণেশ। চলতি বছর ২৩ মার্চ সুরাট আদালতের বিচারক এইচএইচ ভার্মা রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করেন। দু বছরের কারাদণ্ডও দেন। সুরাট আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাটেরই দেওয়ানি আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেখানে বহাল রাখা হয় সুরাট আদালতের রায়কেই। এর পর রাহুল যান গুজরাট হাইকোর্টে। সেখানে রাহুলের শাস্তির ওপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেন বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক। তিনি বলেন, রাহুলের বিরুদ্ধে অন্তত ১০টি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন। এই মামলা ছাড়াও আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে। রাহুলের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি বলেন, সুরাট আদালতের নির্দেশের ওপর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুুন: “তিন তালাক নিষিদ্ধ হওয়ায় মুসলমানদের মধ্যে ডিভোর্সের হার কমেছে”, বললেন কেরলের রাজ্যপাল

    রাহুলকে (Rahul Gandhi) দোষী সাব্যস্ত করার পরে পরেই খারিজ হয়ে যায় তাঁর সাংসদ পদ। কেড়ে নেওয়া হয় সরকারি বাংলোও। গুজরাট হাইকোর্টে রাহুলের সাজা বহাল থাকায় কংগ্রেসের এই নেতা দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। সেখানেও যদি দু বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল থাকে, তাহলে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াতেই পারবেন না তিনি। সেক্ষেত্রে ঘোর বিপাকে পড়বে কংগ্রেস। কারণ গান্ধী পরিবারের বাইরে যে কিছুই ভাবতে পারে না গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share