Tag: Supreme court

Supreme court

  • DA Case: ফের পিছল ডিএ মামলার শুনানি, আদালত বলল ‘বড় সময় প্রয়োজন’

    DA Case: ফের পিছল ডিএ মামলার শুনানি, আদালত বলল ‘বড় সময় প্রয়োজন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পিছল ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি। আজ, শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু এদিন শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তী শুনানি কবে হবে, তা এখনও স্থির হয়নি। আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি বলেন, মামলাটি মিসলেনিয়াস ডে-তে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হওয়া প্রয়োজন।

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ

    গত বছর মে মাসে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের যুক্তি, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ (DA Case) দিতে হলে ব্যয় হবে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে এই মুহূর্তে বহন করা কঠিন। এদিন রাজ্যের তরফে অভিষেক মনুসিংভি বলেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের দাবি অনুযায়ী ৩ লক্ষেরও বেশি কর্মচারিকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হলে ৪১ হাজার কোটি টাকার প্রভাব পড়বে কোষাগারের ওপর। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিএ সংক্রান্ত নিজস্ব নিয়ম আছে।

    ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য

    এদিন বেলা আড়াইটে নাগাদ মামলাটি উঠলে সরকারি কর্মীদের তরফে উপস্থিত আইনজীবী দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন জানান। যদিও বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি মিত্তলের বেঞ্চ জানায়, যে সব মামলার শুনানিতে সময় লাগে, সেই ধরনের মামলা সোম ও শুক্রবার শোনা হয় না। তাই আজ আর এই মামলার শুনানি করা সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুুন: ‘‘বামপন্থী সরকারের অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা’’, তোপ রবিশঙ্কর প্রসাদের

    ৫ ডিসেম্বর প্রথমবার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ওঠে মামলাটি (DA Case)। এই মামলা শুনানির জন্য বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়। কিন্তু শুনানির দিনই মামলাটি থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দত্ত। তাই মামলার শুনানি হয়নি। তার পর থেকে যতবারই শুনানির দিন ধার্য হয়েছে, ততবারই কোনও না কোনও কারণে মামলাটি পিছিয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মতলার শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীরা। আন্দোলন হচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে। দিল্লিতেও ধর্না দিয়েছিলেন তাঁরা। তার পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় রাজ্য সরকার। দ্বারস্থ হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: ৩৫০ কোটির নিয়োগ দুর্নীতি! হাইকোর্টে জমা পড়ল রিপোর্ট, তালিকা পেশের নির্দেশ

    Recruitment Scam: ৩৫০ কোটির নিয়োগ দুর্নীতি! হাইকোর্টে জমা পড়ল রিপোর্ট, তালিকা পেশের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) সঙ্গে যুক্ত ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে একটি রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন জানতে চান, ‘এত টাকা যদি এই দুর্নীতি থেকে উঠে থাকে, তাহলে আপনারা এখনও এই দুর্নীতির কিংপিন কে, তাকে কেন খুঁজে পাচ্ছেন না?’ এদিন, সিবিআইয়ের তদন্তের ‘ধীর গতি’ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    সাড়ে ৩০০ কোটির দুর্নীতি

    আদালত সূত্রে খবর, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীল ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ১৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত এবং ৪৩টি স্থাবর সম্পত্তি প্রসিড অব ক্রাইম হিসাবে অ্যাটাচ করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বাংলা সিনেমা থেকে স্থাবর সম্পত্তি, অস্থাবর সম্পত্তিতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেই ইডির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং নগদ অ্যাটাচ করা হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই রিপোর্ট জমা পড়ে। বিচারপতি অর্ডার দেওয়ার সময় ওই রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে টাকার কথা বলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    কিংপিন কে? 

    এদিন মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতকে বলেন, ‘৪২ হাজারের বেশি নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা মূল সুবিধা পেয়েছে, এখনও সিবিআই সেটা খুঁজে বের করতে পারেনি। সিবিআইকে সেটা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হোক।’ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ (Recruitment Scam) মামলায় যে চাকরিপ্রাপকদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের নামের তালিকা আদালতে জমা দিতেও বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলায় দুই তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলাতে তাঁকে ‘চাপ’ দেওয়া হচ্ছে— কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়ে জেলে বসে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল ঘোষ। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের সেই ‘বিতর্কিত’ চিঠির অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে শুক্রবার দাবি করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370: ‘‘পাথর ছোড়ার ঘটনা অতীত, ছন্দে ফিরেছে কাশ্মীর’’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

    Article 370: ‘‘পাথর ছোড়ার ঘটনা অতীত, ছন্দে ফিরেছে কাশ্মীর’’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা (Article 370)। তিন বছর আগে সংবিধানের ওই ধারা রদ করে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। সম্প্রতি ফের মামলাটি উঠেছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সাংবিধানিক বেঞ্চে। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ২ অগাস্ট থেকে সোম ও শুক্রবার ছাড়া শুনানি হবে প্রতিদিন।

    ৩৭০ ধারা রদ

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে হলফনামা জমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। বেঞ্চের সদস্যরা হলেন, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউল, সঞ্জীব খান্না, বিআর গাভাই এবং সূর্য কান্ত। সোমবার আদালতে জমা দেওয়া অতিরিক্ত হলফনামায় কেন্দ্র দাবি করেছে, ৩৭০ ধারা (Article 370) রদ করার পর জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে।

    ভূস্বর্গে অভাবনীয় উন্নতি 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হলফনামায় জানিয়েছেন, ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পরে জম্মু-কাশ্মীরে অভাবিত স্থিতাবস্থা, উন্নয়ন, অগ্রগতি দেখা দিয়েছে। সেই পাথর ছোড়ার দিন এখন অতীত। তিন দশকের অশান্তির পরে স্বাভাবিক জীবন ফিরে এসেছে কাশ্মীরে। স্কুল-কলেজ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান চলছে স্বাভাবিকভাবেই। গত তিন বছর ধরে এটাই দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Supreme Court) হলফনামায় জানিয়েছেন, গত তিন দশক ধরে জম্মু-কাশ্মীর সন্ত্রাসবাদের আগুনে পুড়ছিল। এটা দমন করার একমাত্র উপায় ছিল ৩৭০ ধারা (Article 370) রদ। বর্তমানে ছন্দে ফিরেছে কাশ্মীর। শিল্পের বিকাশ হয়েছে। যাঁরা এক সময় উপত্যকায় বাস করতেন ভয়ে ভয়ে, তাঁরাই এখন শান্তিতে বসবাস করছেন।

    আরও পড়ুুন: “আগামী দিনেও মৃত্যু হবে, সেটাও একতরফা হবে না”, বিস্ফোরক দিলীপ

    হলফনামায় জানানো হয়েছে, শিক্ষার অধিকার, তফশিলি জাতি-উপজাতি সংরক্ষণ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে সন্ত্রাসের নেটওয়ার্ক বড় ধাক্কা খেয়েছে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার (Supreme Court) সূচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন কাউন্সিলের ভোট হচ্ছে। এছাড়াও ধারা বিলোপের পরে কাশ্মিরী, ডোগরি, উর্দু, হিন্দির মতো ভাষা সরকারি ভাষা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের দাবি মেনেই এটা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জমা পড়েছে ২০টি পিটিশন। এই পিটিশনগুলি এবার খতিয়ে দেখবে সাংবিধানিক বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ নয়! কুন্তল মামলায় ‘সুপ্রিম’ রক্ষাকবচ পেলেন না অভিষেক

    Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ নয়! কুন্তল মামলায় ‘সুপ্রিম’ রক্ষাকবচ পেলেন না অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  সোমবার শুনানিতে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ পেলেন না তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।  এই সময় হস্তক্ষেপ করলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রভাব পড়তে পারে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজির হতে হবে বলে জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, প্রয়োজনে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে আবেদন করতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    অভিষেকের বিপক্ষে রায়

    কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে জেরা করার নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সোমবার সেই মামলার রায় সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) অভিষেকের বিপক্ষেই গেল। ইডি এবং অভিষেকের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, এ ব্যাপারে হাইকোর্টের একক বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করলে তদন্তে বাধা সৃষ্টি করা হতে পারে। তাই আদালত এ ব্যাপারে নাক গলাবে না বলে রায় দেয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে অভিষেকের বিপদ আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জেরার ব্যাপারে ছাড়পত্র দিলেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অভিষেককে এই মামলায় জরিমানা দিতে হবে না।

    আরও পড়ুুন: “পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রহসন”, কটাক্ষ শুভেন্দুর, দিলেন ‘প্রমাণ’ও

    গত ৮ জুন নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) তলব করে ইডি। ১৩ জুন হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। কিন্তু ইডির তলবে হাজিরা দেননি অভিষেক। তবে তার আগে থেকেই রক্ষাকবচ চেয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। সেই মামলার রায়ে অভিষেককে ইডি জেরা করতে পারবে বলে জানান বিচারপতি সিনহা। এর পর সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন অভিষেক। সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘সাময়িক’ স্বস্তি পেলেন চাকরিহারা সেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘সাময়িক’ স্বস্তি পেলেন চাকরিহারা সেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি পেলেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। এঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই পদগুলিতে নতুন করে নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

    এনসিটিই-র নিয়ম

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট নেওয়া হয় ২০১৪ সালে। তার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। নিয়োগপত্র পান ৪২ হাজার ৫০০ জন। সেই সময় এনসিটিই-র নিয়মে বলা হয়েছিল, নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের। তার পরেও শূন্যস্থান থাকলে, সুযোগ পাবেন প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা। অবশ্য দু বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিতে হবে তাঁদের। নিয়োগ-পর্ব শেষ হওয়ার পরেই অভিযোগ ওঠে, চাকরি পাননি বহু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীই। তার বদলে চাকরি পেয়েছেন (Supreme Court) প্রশিক্ষণহীন বহু প্রার্থী। প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাপটিটিউড টেস্টও হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি গড়ায় আদালত অবধি।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। জানা যায়, সেবার কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্টই হয়নি। অনেকে আবার জানান, টেস্ট নিয়ে কোনও নির্দেশ ছিল না। এর পরেই মে মাসে (Supreme Court) ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে অবশ্য জানা যায়, ৩৬ হাজার নয়, ৩২ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছেন তিনি। চার মাসের মধ্যে ওই পদগুলিতে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশও তিনি দিয়েছিলেন পর্ষদকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, চাকরিহারারা এই চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে তাঁরা বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের সম হারে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, পর্ষদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন এই চাকরিহারারা।

    আরও পড়ুুন: ভোটের আগে অনুব্রতর গড়ে উদ্ধার ২০০ তাজা বোমা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশ। এবার শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত জানায়, ওই শিক্ষকরা যেমন ছিলেন, তেমনিই থাকবেন। তবে পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তাতে অংশ নিতে পারবেন ওই চাকরিহারারা। সেখানে ব্যর্থ হলে, চাকরি খোয়াবেন তাঁরা।

    ডিভিশন বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যান চাকরিহারাদের একাংশ। এদিন আদালত জানায়, এই শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট এতদিন যা যা নির্দেশ দিয়েছে, তা খারিজ করা হচ্ছে। হাইকোর্টের নয়া ডিভিশন বেঞ্চে নতুন করে মামলার শুনানি হবে। তাঁরাই নতুন করে বিচার করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Primary recruitment case: প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ৩৯২৯টি পদে শুনানি পিছল সুপ্রিম কোর্টে

    Primary recruitment case: প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ৩৯২৯টি পদে শুনানি পিছল সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পিছিয়ে গেল প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা (Primary recruitment case)। প্রাথমিকে ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সিটি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন অবশ্য শুনানি হয়নি। বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই মামলার শুনানি হবে ১২ জুলাই। প্রাথমিকে নিয়োগের মূল মামলার সঙ্গে জুড়ে যাবে এই মামলাটিও।

    শিক্ষা পর্ষদের দাবি

    ২০২০ সালে প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় শিক্ষা পর্ষদ। যদিও অভিযোগ ওঠে, সব পদ পূরণ হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির সময় জানা যায়, ১৬ হাজার ৫০০ পদের মধ্যে নিয়োগ হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ পদে। যার অর্থ হল, ঘোষণা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হয়নি ৩৯২৯ পদে। 

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
    মামলাটি (Primary recruitment case) প্রথমে উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৩৯২৯টি শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে পর্ষদকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় মামলাকারীদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের একাংশ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে, নির্দেশ আদালতের

    ডিভিশন (Primary recruitment case) বেঞ্চ সাফ জানায়, সকলকেই চাকরি দিতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। মে মাসে হাইকোর্টের ওই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন জানানো হয় মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় মূল মামলাগুলির সঙ্গে জুড়ে যাবে এই মামলাটিও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teesta Setalvad: সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি তিস্তা শেতলবাদের

    Teesta Setalvad: সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি তিস্তা শেতলবাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল গুজরাট (Gujarat) হাইকোর্ট। এরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিন মিলল সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের (Teesta Setalvad)। দেশের শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ গুজরাট হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর দেয় স্থগিতাদেশও।

    তিস্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ২০০২ সালে গুজরাট হিংসায় তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে তিস্তার বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তিস্তার জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। তাঁকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণের নির্দেশও দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিস্তা। তিস্তার বিরুদ্ধে ওঠে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগও। তার জেরে ২০২২ সালের ২৫ জুন মুম্বই থেকে তিস্তাকে (Teesta Setalvad) গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ।

    অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ

    ওই বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসে তিস্তার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানান তিস্তা। সেই আবেদন খারিজ করে তাঁকে দ্রুত আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিস্তা। তিস্তার আবেদনের শুনানি হয় বিচারপতি বিআর গাবাই, বিচারপতি এএস বোপন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে। আবেদন দেখে আদালতের প্রশ্ন, “যদি অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়া হয়, তাহলে কি আকাশ ভেঙে পড়বে! হাইকোর্ট যা করেছে, আমরা তা দেখে অবাক হচ্ছি। এত তাড়াহুড়োর কী আছে?” প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশে এক সপ্তাহ পর মামলাটির শুনানি হবে একটি নিয়মিত বেঞ্চে। যার অর্থ, আগামী এক সপ্তাহ গ্রেফতার করা যাবে না তিস্তাকে (Teesta Setalvad)।

    আরও পড়ুুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার লজ্জার! ট্যুইট-বার্তায় বলছেন বীরেন্দ্র সেহবাগ

    এর আগে তিস্তার জামিনের আর্জির বিরুদ্ধে গুজরাট হাইকোর্টে সওয়াল করেছিল সে রাজ্যের সরকার। হাইকোর্টে গুজরাট সরকারের কৌঁসুলি জানিয়েছিলেন, তিস্তাকে জামিন দেওয়া হলে তিনি প্রমাণ লোপাট করতে পারেন। গুজরাট সরকারের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী মিতেশ আমিন। তাঁর অভিযোগ, প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেলের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিস্তা (Teesta Setalvad)। তাঁর বিনিময়ে তিনি ২০০২ সালের গুজরাট হিংসার পর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন গুজরাটের বিজেপি সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: হাইকোর্টের বাহিনী-নির্দেশের পরই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    Panchayat Election 2023: হাইকোর্টের বাহিনী-নির্দেশের পরই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা নিয়ে বুধবার যে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট সেই প্রেক্ষিতে ফের সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্টের দেওয়া বাহিনী সংক্রান্ত নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে কমিশন, রাজ্যও। তা আঁচ করে আগেভাগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন শুভেন্দু।

    আগেও হয়েছে। এবারও হতে পারে!

    আগেও হয়েছে। এবারও হতে পারে! সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার দেখা গিয়েছে, হাইকোর্টের কোনও রায় বিপক্ষে গেলেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে। একই কথা প্রযোজ্য হচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ক্ষেত্রেও। গত সপ্তাহে রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) করানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে পৌঁছে যায় রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন– দুজনই। যদিও, মঙ্গলবার সেখানেও ধাক্কা খেতে হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি সু্প্রিম কোর্ট। 

    আরও পড়ুন: নাটকীয় পরিবর্তন! রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল

    এরপর বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া আরেকটি নির্দেশে হাইকোর্ট জানিয়েছে, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েতে যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল, তার থেকে এবারের নির্বাচনে (Panchayat Election 2023)  কোনওভাবে কম বাহিনী মোতায়েন করা চলবে না। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ন্যূনতম ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। 

    ক্যাভিয়েট করে রাখলে কী লাভ?

    এই প্রেক্ষিতে, বিরোধীদের তরফ থেকে মনে করা হচ্ছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে আরও একবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারে রাজ্য ও রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আশঙ্কা করছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধেও সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অন্তত, বিগত ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সে ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ আদালত যাতে একপাক্ষিক ভাবে রাজ্য বা কমিশনের বক্তব্য শুনে কোনও নির্দেশ না দেয়, তার জন্যই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, যদি কমিশন সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও থাকে, তাহলে যেন বিরোধীদের কথা না শুনে, কেবল এক পক্ষের কথা শুনেই বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত না নেন বিচারপতি। 

    হাইকোর্টের তিরস্কার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করা হয়নি এই অভিযোগে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন বিরোধীরা। বিজেপির তরফে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালু ওই মামলা করেন। বুধবারের শুনানিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা-অশান্তি রুখতে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কার্যত তিরস্কার করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এমনকি, বিচারপতি এও মন্তব্য করেন, ‘‘দায়িত্ব সামলাতে না পারলে কমিশনার পদ থেকে সরে যান।’’ আদালতের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, বিরোধীরা প্রথম থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Panchayat Election 2023: জেলা পিছু এক কোম্পানি! ‘নামকাওয়াস্তে’ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন

    Panchayat Election 2023: জেলা পিছু এক কোম্পানি! ‘নামকাওয়াস্তে’ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলা প্রতি মাত্র এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার পর কটাক্ষ বিরোধীদের। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রতি জেলায় মাত্র এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে। এর ফলে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতও জানায়, সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে রাজ্যে ভোট করতে হবে। তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর সেখানেই আপত্তি বিরোধীদের।

    ২২ জেলায় মাত্র ২২০০ জওয়ান

    এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সাধারণত ১০০ থেকে ১০৫ জন সদস্য থাকেন। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজে লাগানো হয় কম-বেশি ৮০ জনকে। ধরে নেওয়া যাক, ১০০ জন জওয়ান থাকবেন প্রত্যেক কোম্পানিতে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের ২২ জেলায় মাত্র ২২০০ জওয়ান নিযুক্ত হবেন। এদিকে, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) হতে চলেছে মোট ৬১ হাজার বুথে। এরকম হলে মাত্র একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের দায়িত্বে থাকতে পারে ২৮ টি বুথ! বিরোধীদের দাবি, এটা মোটেই যথেষ্ট নয়। তাই আবার আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। 

    বিজেপির দাবি

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘প্রতি জেলায় ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। আদালতের নির্দেশের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে ভোটে বুথ, সেক্টর, থানা, স্ট্রং-রুম এবং গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে যৌথ ভাবে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। কোনও বাহিনীর বিরুদ্ধেই যাতে অভিযোগ না ওঠে, তাই এই সিদ্ধান্ত। তাই আদালতের নির্দেশ যাতে সঠিক ভাবে প্রয়োগ হয়, সেই দাবিই আমরা হাইকোর্টে জানাব।’’ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্বেচ্ছাচারিতা, দখলদারি এবং নির্লজ্জতার বেনজির দৃষ্টান্ত রাজীব সিংহ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জনবিচ্ছিন্ন তৃণমূলকে বাঁচাতে চাইছেন। তবু আমরা বলছি যে, প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে তৃণমূলকে।’’ শমীকের সংযোজন, ‘‘নামকাওয়াস্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলকে রক্ষা করতে পারবেন না। আর গোটা বিষয়টাই আদালতের নজরদারিতে হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মতো বাহিনী পাঠানোর নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। এই ২২ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে বিএসএফের ৮, সিআরপিএফের ৬, এসএসবির ৪ এবং আইটিবিপির ৪ কোম্পানি। এই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয় সেই জন্য এস সি বুদাকোটিকে নোডাল অফিসার হিসাবে রাজ্যে নিযুক্ত করেছে কেন্দ্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election 2023: সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের! কমিশন, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দু-সুকান্তর

    Panchayat Election 2023: সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের! কমিশন, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দু-সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেখানেও মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। ধাক্কা খেয়েছে কমিশনও। দেশের শীর্ষ আদালতও বহাল রেখেছে হাইকোর্টের রায়। সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়কে স্বাগত জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    মঙ্গলবার বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলার দফতরে বসে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে। আর যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামছে, তাই বাহিনীর কমান্ডান্টদের ওপরেও যাতে রাজ্য সরকার তাদের বসিয়ে রাখতে না পারে। এটা কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের সুপারিশে হচ্ছে না, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। আমরা সেটা করাব। কারণ ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামটা হচ্ছে অমিত শাহ।”

    আক্রমণ কমিশনকে

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আইনজীবী মারফত যা খবর পেয়েছি, তাতে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (Panchayat Election 2023) নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আদালত। রাজ্য সরকারের কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে, কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরোধিতার কারণ কী? তারা তো যত বেশি বাহিনী পাবে, তত নির্বিঘ্নে নির্বাচন করাতে পারবে। রাজ্য সরকার কোথা থেকে বাহিনী এনে দিল, তা দেখা তো তাদের কাজ নয়। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের কাজকর্মের ওপর নজর রাখব। দরকারে প্রতিদিন আদালতে লড়াই হবে।”

    এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল নিজে গোলমাল পাকিয়ে এখন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। নির্বাচন (Panchayat Election 2023) কমিশনার হিসেবে যে তিনজনের নাম জমা পড়েছিল, তা নিয়ে রাজ্যপাল সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। তা না করে তিনি নিজে থেকে রাজীব সিনহাকে নিয়োগ করেছেন। যার ফলে এতগুলো মানুষের প্রাণ গেল।”

    এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

    তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার যাওয়ার আগেই আমি জানিয়েছিলাম, রাজ্যের মুখ পুড়বে। যা এদিন চূড়ান্ত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পরেই প্রথমে এক গালে চড় খেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এবার সুপ্রিম রায়ে দু গালেই চড় খেয়ে লাল হয়ে ফিরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা দেশ মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী”! পশ্চিমবঙ্গ দিবসে তোপ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share