Tag: Supreme court

Supreme court

  • Panchayat Election 2023: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Panchayat Election 2023: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও ধাক্কা খেতে হল রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে যে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিভি নাগরত্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ভোটে কোনও ধরনের অশান্তি কাম্য নয়। অতীতে বাংলায় ভোটের সময় হিংসা দেখা গিয়েছে। এই অবস্থায় হাইকোর্ট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছিল। সেই রায়তে কোনও সমস্যা নেই।’’

    শুনানি-পর্বে কী হল?

    পঞ্চায়েতের মনোনয়ন-পর্বকে (Panchayat Election 2023) ঘিরে রাজ্যে যে সীমাহীন হিংসা ও রক্তক্ষয় হয়েছে, তা বিচার করে গত সপ্তাহেই সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিভি নাগরত্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টের রায়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে কমিশন

    বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন বিচারপতি নাগরত্না রাজ্যের আইনজীবীকে বলেন, ‘‘এমনিতে আপনারা পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) জন্য পাঁচ রাজ্যের থেকে পুলিশ চেয়েছেন। এদিকে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হলে তার খরচ কেন্দ্রই বহন করবে। তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়?’’ 

    আবার, রাজ্য কমিশনের (Panchayat Election 2023) আইনজীবী দাবি করেন, ‘‘রাজ্যের পুলিশ যথেষ্ট দক্ষ। তবে সংখ্যায় পুলিশকর্মী কম থাকায় অন্য রাজ্য থেকে বাহিনী চাওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মনোনয়ন পর্বে কমিশন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। মনোনয়ন কেন্দ্রের ১ কিমি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।’’ কমিশনের যুক্তি, ‘‘আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এই আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হলে পরিকল্পনা বদল করতে হবে। তাছাড়া, নিরাপত্তার বিষয়টি রাজ্য দেখে। এখানে কমিশনকে সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।’’

    একথা শোনার পর বিচারপতি বলেন, ‘‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপনাদের উপর নয় যখন, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চিন্তিত কেন? আপনারা আপনাদের কাজ করুন। যেখান থেকেই বাহিনী আসুক, আপনাদের অসুবিধা কোথায়?’’ এই প্রেক্ষিতে এদিন সুপ্রিম কোর্টের কড়া মন্তব্যের মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘নির্বাচন করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election 2023: আইনি চাপে কমিশন! আজ কি সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি?

    Panchayat Election 2023: আইনি চাপে কমিশন! আজ কি সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাধ-শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত  নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) জন্য গোটা রাজ্যের সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে স্পর্শকাতর জেলাগুলিকে দ্রুত চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করেছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন (Election Commission) সূত্রের খবর, সোমবার শীর্ষ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলাটির দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হতে পারে। যদিও ওই দিন মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে উঠবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েই গিয়েছে। অন্যদিকে, একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করতে হবে, মূলত এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সোমবার,  ওই মামলারও দ্রুত শুনানির আবেদন করতে পারে যৌথ মঞ্চ। 

    আদালত অবমাননা কমিশনের

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শনিবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার এই মামলার শুনানি না হলে আইনি চাপে পড়তে পারে কমিশন। গত বৃহস্পতিবার মোটামুটি রাত ৮টা নাগাদ হাই কোর্ট কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে। এই নির্দেশের পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে শনিবারই। এখনও কমিশনের তরফে বাহিনীর ‘রিক্যুইজিশন’ কেন্দ্রের কাছে পৌঁছয়নি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী-আর্জি না জানিয়ে আদালত অবমাননা করেছে কমিশন, ধারণা আইনজীবীদের। 

    আরও পড়ুুন: “২৫ জুন ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়”, মন কি বাতের অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর  দাবি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে (Sangrami Joutho Mancha)। কেন্দ্রীয় বাহিনী না পেলে ভোটের কাজ করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সোমবার এ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে মেল করতে চলেছেন ভোট কর্মীরা। কয়েক লক্ষ মেল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। একইসঙ্গে তাঁরা রাজ্য়পালেরও দ্বারস্থ হতে চলেছেন বলে খবর। মনোনয়ন জমার প্রথম পাঁচ দিনে হিংসার ঘটনাক্রম দেখে গত বৃহস্পতিবার সকালেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তার পরেও মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে ভোটজনিত গোলমালেই দুষ্কৃতীদের হামলায় রাজ্যে কয়েক জনের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েক জন গুরুতর জখমও হন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Vote 2023: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ! সুপ্রিম দুয়ারে যাচ্ছে রাজ্য, কমিশন

    Panchayat Vote 2023: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ! সুপ্রিম দুয়ারে যাচ্ছে রাজ্য, কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote 2023) করানোর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন। উচ্চ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম দুয়ারে (Supreme Court) দায়ের হতে চলেছে মামলা। শনি এবং রবিবার সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকবে। তাই ‘ই-ফাইলিং’ করার ভাবনাচিন্তা চলছে বলে নবান্নর একটি সূত্রের খবর। আগামী সোমবার এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

    নবান্নর ভাবনা

    হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাইতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (State Election)। সেই নির্দেশের পর ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। হাতে রয়েছে কেবলমাত্র শনিবার। তার মধ্যেই কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। নবান্ন সূত্রে খবর, আইন অনুযায়ী পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote 2023) নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্যের উপর। দস্তুর হল, কোথায় কত পুলিশ লাগবে, নির্বিঘ্নে ভোট করাতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী কী পদক্ষেপ করা দরকার, তা রাজ্যের কাছে জানতে চাইবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে নির্বাচনী নিরাপত্তার কাজ সম্পন্ন করবে কমিশন। অর্থাৎ, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত খুঁটিনাটি রাজ্য সরকারই কমিশনকে অবহিত করবে। এক্ষেত্রে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্যকে এড়িয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছে। তাকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে নবান্নের।

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    আদালতের নির্দেশ

    মনোনয়ন পর্বে লাগামছাড়া হিংসা ও গুলিতে চার জনের মৃত্যু নিয়ে বিরোধীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote 2023) করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টসে সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ মেনে চলার কথাই বলেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি কমিশন। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার যে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে তা আঁচ করে আগেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে রাজ্যের, সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করতে প্রস্তুতি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে রাজ্যের, সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করতে প্রস্তুতি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর পর রাজ্য সরকার দ্বারস্থ হতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্য সরকারকে সেই সুযোগ দিতে চান না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অধিকারী। সময় নষ্ট না করে দেশের শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমার কাজ হল, আজ রাতের মধ্যে বা আগামিকাল সকালের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করা। যাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা রাজ্য সরকার একতরফাভাবে সুপ্রিম কোর্টে যেতে না পারে।”

    ক্যাভিয়েট দাখিলের অর্থ

    ক্যাভিয়েট দাখিল করার অর্থ হল, কোনও একটি মামলা নিয়ে যদি অপর কোনও পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে যায়, সেক্ষেত্রে যিনি ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখবেন, তাঁকে ছাড়া সেই মামলার শুনানি হবে না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সন্দেহ, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    ঐতিহাসিক রায়, দাবি শুভেন্দুর

    রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। বৃহস্পতি-সন্ধ্যায় এই নির্দেশ দেয়  কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে ঐতিহাসিক বলে ঘোষণা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, এই রায়ের ফলে মৃত্যুমিছিল থামা উচিত। গ্রামবাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, এই আশা রেখেই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। সুপ্রিম কোর্ট থেকে যাতে রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন একতরফা রায় বের করতে না পারে, তাই ক্যাভিয়েট দাখিল করব।

    আরও পড়ুুন: “সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে হবে”, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, আজও (বৃহস্পতিবার, মনোনয়নের শেষ দিনে) সন্ত্রাস চালিয়ে অনেক জায়গায় বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিল করতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস ১২ থেকে ১৪ হাজার বুথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু-মুসলিম, সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু নির্বিশেষে ওই বুথগুলিতেই অন্তত ৫০০ ভোটে পরাস্ত হবেন লোকসভা নির্বাচনে। তিনি বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরে কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট লুঠের পর দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিমে আর জিততে পারেনি। বহু জায়গায় বিরোধীদের এবার মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি তৃণমূল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Municipal Recruitment Scam: পুর নিয়োগ-দুর্নীতিতেও সিবিআই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

    Municipal Recruitment Scam: পুর নিয়োগ-দুর্নীতিতেও সিবিআই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ-দুর্নীতি (Municipal Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য। উল্লেখ্য, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এজলাশ বদল হলেও সেই নির্দেশই বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টেরই অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু তাতে কোনও সুবিধা হয়নি। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এখনই তদন্তে (Municipal Recruitment Scam) কোনওরকম হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয় ৬ জুন। একই সঙ্গে ইডি-কেও তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, তারই জেরে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এবং মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছে ওই তদন্তকারী সংস্থা। গত ৮ বছরে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় কী পদ্ধতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, কতজনের চাকরি হয়েছে, এই ধরনের বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছে ইডি।

    আগেও মামলা (Municipal Recruitment Scam) ফেরত পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট

    স্কুলের নিয়োগে যে বিরাট দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে তোলপাড় চলছে গোটা রাজ্যে। ওই তদন্ত চলাকালীনই ধরা পড়ে, পুরসভার নিয়োগেও মারাত্মক রকমের দুর্নীতি (Municipal Recruitment Scam) হয়েছে। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশিতে উদ্ধার হয় এই সংক্রান্ত বহু নথি, হার্ডডিস্ক। গত ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Municipal Recruitment Scam) তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। প্রয়োজনে তারা নতুন করে এফআইআর দায়ের করতে পারবে বলেও হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়। এমনকী সিবিআইকে প্রয়োজনে যাবতীয় সাহায্য করার জন্যও রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য গেলেও কিছুই সুবিধা হয়নি। মামলা কলকাতা হাইকোর্টেই ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

    কোথায় কোথায় দুর্নীতি!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, মজদুর, সুইপার, ক্লার্ক, পিওন, অ্যাম্বুলেন্স অ্যাটেন্ড্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট মিস্ত্রি, পাম্প অপারেটর, হেল্পার, স্যানিটারি অ্যাসিস্ট্যান্ট, ড্রাইভার-সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে (Municipal Recruitment Scam) টাকা-পয়সার লেনদেন হয়েছিল। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলকে। অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছিল ইডি। ওই অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। ইডি মনে করছে, অয়নের সংস্থা যে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে, সে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। পুর নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন ৩৫-৪০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরানগর-সহ বহু পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অয়ন জড়িত ছিলেন বলে দাবি ইডির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • New Parliament Building: রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    New Parliament Building: রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দিয়ে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করানোর আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। নয়া সংসদ ভবনের (New Parliament Building) উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (President Draupadi Murmu) কেন আমন্ত্রণ করা হল না, এই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলা এদিন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    এদিন  বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং পিএস নরসিংহ মামলার আবেদনকারী আইনজীবী জয়া সুকিনকে বলে, ‘‘কেন এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট তা বুঝতে পারছে না! সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ মেনে এই আবেদনের শুনানি হতে পারে না।’’ দেশের রাষ্ট্রপতিকে এই ভবন উদ্বোধন করতে আমন্ত্রণ না করে কেন দেশের প্রধামমন্ত্রীকে দিয়ে এই উদ্বোধন করানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যে আর্জি নিয়ে মামলাকারী এসেছেন তার ভিত্তি নেই। কোর্টের সময় নষ্ট করার জন্য কোর্ট যে তাঁকে জরিমানা করেনি, এই বিষয়েও সতর্ক করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। কোর্ট জানিয়েছে, আর্টিক্যাল ৩২ এর মধ্যে নাক গলাতে যাচ্ছে না কোর্ট। তখনই আইনজীবী তাঁর মামলা তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। সেই আর্জি খারিজ করে দেয় কোর্ট। কোর্ট বলে, মামলা তুলে নিলে, সেই মামলা যাবে হাইকোর্টে। ফলে সেটা যুক্তিযুক্ত হবে না। আর তার জেরেই এই মামলা খারিজ করে দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট।  

    আরও পড়ুুন: “৩০০-র বেশি আসনে জিতে ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদি”, আত্মবিশ্বাসী শাহ

    দেশের নয়া সংসদভবন (New Parliament Building) উদ্বোধন হতে চলেছে ২৮ মে। কেন্দ্রের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল আগামী রবিবার ঐতিহাসিক ভবনটির (New Parliament Building) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখনও পর্যন্ত অন্তত ২০টি বিরোধী রাজনৈতিক দল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ বিরোধীরা করছে, তারই প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ-স্বরূপ এই বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী দলগুলি। তবে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠান বয়কটের এই সিদ্ধান্তকে ‘গণতন্ত্রের অবমাননা’ হিসেবেই দেখছে বিজেপি ও তার বন্ধু দলগুলি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি পেলেন না অভিষেক! জেরা করতে পারবে সিবিআই

    Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি পেলেন না অভিষেক! জেরা করতে পারবে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দেয়, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এখনই হস্তক্ষেপ করছে না তারা। অভিষেককে কোনও রক্ষাকবচও দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে তাঁকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ১০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    সুপ্রিম দুয়ারে অভিষেক

    গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অবকাশকালীন বেঞ্চে, দ্রুত শুনানির আর্জি জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেন, ‘অভিষেককে রোজই সমন পাঠানো হচ্ছে। শনিবার সিবিআই তাঁকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।’ অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ না করার আবেদনও জানানো হয়। কিন্তু শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার অবকাশকালীন বেঞ্চ জানায়, তদন্তে এখনই হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। 

    বিচারপতিদের অভিমত

    বিচারপতি জিতেন্দ্র কুমার মাহেশ্বরী বলেন, ‘আমি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। (তৎকালীন) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ পরিবর্তন করেছিলেন। তারা আবেদনের শুনানির সুযোগ দিয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বলেছে যে তারা তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এটা কীভাবে ভুল হতে পারে?’ একইসুরে বিচারপতি নরসীমা বলেন, ‘সবদিক বিবেচনা করে রায় দেওয়া হয়েছে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, শুধুমাত্র ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিষয়টা যুক্তিসংগত নাও হতে পারে। (তাছাড়া) বাকি যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা ন্যায়সংগত। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে শুধুমাত্র জরিমানার বিষয়টা ছাড়া ওই রায়ে কোনও সমস্যা নেই।’

    ‘‘কতদিন ওকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    আর্থিক জরিমানায় স্থগিতাদেশ

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। নির্দেশনামায় বিচারপতি সিনহা উল্লেখ করেন, শাসক দলের শীর্ষনেতা হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তদন্ত প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার কথা নয়। অথচ, আবেদনকারীরা, বিশেষত  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বশক্তি দিয়ে তদন্তের বিরোধিতা করছেন। পাশাপাশি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই ২৫ লক্ষ টাকার আর্থিক জরিমানায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: রক্ষাকবচ মেলেনি সুপ্রিম কোর্টেও, গ্রেফতার হতে পারেন অভিষেক?

    Abhishek Banerjee: রক্ষাকবচ মেলেনি সুপ্রিম কোর্টেও, গ্রেফতার হতে পারেন অভিষেক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI)-ইডির (ED) নাগাল এড়ানোর নানা চেষ্টা করেছেন তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ব্যর্থ হয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। সেখানেও মিলল না রক্ষাকবচ। তাই গ্রেফতারির আশঙ্কায় কাঁটা তৃণমূলের এই দু নম্বর নেতা। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে ওই মামলার শুনানি হয়। সেখানে অভিষেকের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।

    ‘আমাকে (Abhishek Banerjee) গ্রেফতার করা হবে’

    তিনি আদালতে জানান, “অভিষেকের আশঙ্কা পরের বার আমাকে গ্রেফতার করা হবে। আমি প্রচার করছিলাম, সেই অবস্থায় সমন জারি করে। পরের দিন সকালে জেরায় তলব করা হয়েছে। আমি জেরায় যোগ দিয়েছি। তারপরেও হেনস্থা করা হচ্ছে”। অভিষেকও বলেন, “আমাকে বারবার তলব করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার নামে হেনস্থা করা হচ্ছে। প্রতিবার ন’ ঘণ্টা করে জেরা করা হচ্ছে।” অভিষেকের হয়ে এদিন আদালতে যে রক্ষাকবচের আর্জি জানিয়েছিলেন সিংভি, সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ। শুক্রবার ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    সুপ্রিম কোর্টে কেন গেলেন অভিষেক?

    শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। পরে তিনি দাবি করেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নাম বলতে তাঁকে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মামলা যায় হাইকোর্টে। তখনই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা”। পরে ওই একই রায় দেয় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চও। তিনিও বলেন, “কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় তৃণমূল নেতা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই।’’ সেই সঙ্গে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করায় অভিষেক ও কুন্তলের ২৫ লাখ করে মোট ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। এর পর সুপ্রিম কোর্টের দুয়ারে হাজির হন অভিষেক।

    আরও পড়ুুন: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    দেশের শীর্ষ আদালতে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবী এদিন বলেন, “সিবিআই কোনও রকম সময় না দিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করছে।” তিনি বেঞ্চকে স্মরণ করিয়ে দেন, “এর আগের বার যখন অভিষেককে তলব করা হয়, তখন তিনি ছিলেন দার্জিলিংয়ে। তাড়াতাড়ি চলে আসতে বাধ্য হন। শনিবারও যখন তাঁকে তলব করা হয়, তখন তিনি নব জোয়ার কর্মসূচির জন্য বাঁকুড়ায় ছিলেন। সেই কর্মসূচি ফেলেই কলকাতায় ফিরে আসতে বাধ্য হন।” তিনি (অভিষেক) রাজ্যের বাইরে প্রচার করছিলেন বলেও দাবি করেন সিংভি। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, বর্তমানে অভিষেক প্রচার করছেন রাজ্যেই।

    গ্রেফতারি এড়াতেই কি বিভ্রান্ত করা হচ্ছে দেশের শীর্ষ আদালতকে? প্রশ্ন সেটাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Teacher Recruitment: ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Primary Teacher Recruitment: ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justic Abhijit Ganguly) ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher) পদে চাকরি দেওয়ার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ থাকবে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

    কেন এই নিয়োগ?

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের টেট-এর ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬,৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় রাজ্য সরকার তথা পর্ষদ। কিন্তু, পরবর্তীকালে সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে এই তথ্য উঠে আসে। জানা যায় যে, ১৬,৫০০ শূন্যপদের মধ্যে সেই সময় সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। অর্থাৎ, ৩,৯২৯ পদে নিয়োগ করা হয়নি। 

    কী রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    যার প্রেক্ষিতে গত ৮ নভেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। পরে টেটে প্রশ্ন ভুলের দরুণ মামলাকারীদের চাকরি দিতে নির্দেশ দেন তিনি। পরে ১১ নভেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।কিন্তু এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং ২০১৭ সালের টেট উর্ত্তীর্ণদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    কেন এই স্থগিতাদেশ?

    ২০১৭-য় টেট উত্তীর্ণদের প্রশ্ন, কেবল ২০১৪-র উত্তীর্ণরা কেন সুযোগ পাবেন? এক মামলায় শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল, যে কোনও নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। তার ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা। অন্যদিকে, পর্ষদের দাবি, কেবল ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা অনেক জটিল। দু-পক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩,৯২৯ পদে নিয়োগের রায়ের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় বহাল এনআইএ তদন্ত!

    Ram Navami: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় বহাল এনআইএ তদন্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রামনবমীর (Ram Navami) হিংসায় এনআইএ তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের শেষে রাজ্যজুড়ে রামনবমীর মিছিলের উপর হামলার ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডালখোলা, রিষড়া এবং হাওড়ার শিবপুরে রামনবমী মিছিলের উপর হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তে দাবি মেনে নেয় হাইকোর্ট এবং সেই মতো নির্দেশ দেয়।

    হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয় রাজ্য

    হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু এনআইএ (NIA) তদন্তের উপর স্থগিতাদেশের বিষয়ে রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। জানা গেছে এই (Ram Navami) মামলার পরবর্তী শুনানি হবে জুন মাসে গ্রীষ্মের ছুটির পরে। গত মাসের ২৭ এপ্রিল এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে মিছিলে হামলা চালাতে দুর্বৃত্তরা বিস্ফোরক ব্যবহার করেছিল। এই পর্যবেক্ষণের পরে হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয়। রাজ্যের আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি এই জনস্বার্থ মামলায় তদন্তের ভার এনআইকে দেওয়া যায় না বলে সরব হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

    কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন পর্যবেক্ষণ…

    হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ ছিল, কারা এই (Ram Navami) অশান্তির ঘটনায় জড়িত, কারাই বা উসকানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। হাইকোর্টের এও পর্যবেক্ষণ ছিল, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে অশান্তি হয়েছে। পুলিশের রিপোর্টে কোথাও কোনও বোমার উল্লেখ নেই, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। ইসলামপুরের গন্ডগোলে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিশ সুপার সহ অনেক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। মামলা দায়ের হয়েছে, গ্রেফতারও হয়েছে বলে রাজ্য জানিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, এই ধরনের গন্ডগোল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক বছর ৬,৭, ৮টা করে ঘটনা ঘটছে। এটা কীভাবে আটকানো সম্ভব?

    জানা গেছে শিবপুর, রিষড়া এবং ডালখোলার অশান্তির ঘটনায় মোট ছ’টি এফআইআর দায়ের করেছে এনআইএ। এবং এই মামলাগুলিতে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতেও চেয়েছে এনআইএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share