Tag: Supreme court

Supreme court

  • Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি পেলেন না অভিষেক! জেরা করতে পারবে সিবিআই

    Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি পেলেন না অভিষেক! জেরা করতে পারবে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দেয়, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এখনই হস্তক্ষেপ করছে না তারা। অভিষেককে কোনও রক্ষাকবচও দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে তাঁকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ১০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    সুপ্রিম দুয়ারে অভিষেক

    গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অবকাশকালীন বেঞ্চে, দ্রুত শুনানির আর্জি জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেন, ‘অভিষেককে রোজই সমন পাঠানো হচ্ছে। শনিবার সিবিআই তাঁকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।’ অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ না করার আবেদনও জানানো হয়। কিন্তু শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার অবকাশকালীন বেঞ্চ জানায়, তদন্তে এখনই হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। 

    বিচারপতিদের অভিমত

    বিচারপতি জিতেন্দ্র কুমার মাহেশ্বরী বলেন, ‘আমি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। (তৎকালীন) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ পরিবর্তন করেছিলেন। তারা আবেদনের শুনানির সুযোগ দিয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বলেছে যে তারা তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এটা কীভাবে ভুল হতে পারে?’ একইসুরে বিচারপতি নরসীমা বলেন, ‘সবদিক বিবেচনা করে রায় দেওয়া হয়েছে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, শুধুমাত্র ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিষয়টা যুক্তিসংগত নাও হতে পারে। (তাছাড়া) বাকি যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা ন্যায়সংগত। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে শুধুমাত্র জরিমানার বিষয়টা ছাড়া ওই রায়ে কোনও সমস্যা নেই।’

    ‘‘কতদিন ওকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    আর্থিক জরিমানায় স্থগিতাদেশ

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। নির্দেশনামায় বিচারপতি সিনহা উল্লেখ করেন, শাসক দলের শীর্ষনেতা হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তদন্ত প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার কথা নয়। অথচ, আবেদনকারীরা, বিশেষত  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বশক্তি দিয়ে তদন্তের বিরোধিতা করছেন। পাশাপাশি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই ২৫ লক্ষ টাকার আর্থিক জরিমানায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: রক্ষাকবচ মেলেনি সুপ্রিম কোর্টেও, গ্রেফতার হতে পারেন অভিষেক?

    Abhishek Banerjee: রক্ষাকবচ মেলেনি সুপ্রিম কোর্টেও, গ্রেফতার হতে পারেন অভিষেক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI)-ইডির (ED) নাগাল এড়ানোর নানা চেষ্টা করেছেন তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ব্যর্থ হয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। সেখানেও মিলল না রক্ষাকবচ। তাই গ্রেফতারির আশঙ্কায় কাঁটা তৃণমূলের এই দু নম্বর নেতা। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে ওই মামলার শুনানি হয়। সেখানে অভিষেকের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।

    ‘আমাকে (Abhishek Banerjee) গ্রেফতার করা হবে’

    তিনি আদালতে জানান, “অভিষেকের আশঙ্কা পরের বার আমাকে গ্রেফতার করা হবে। আমি প্রচার করছিলাম, সেই অবস্থায় সমন জারি করে। পরের দিন সকালে জেরায় তলব করা হয়েছে। আমি জেরায় যোগ দিয়েছি। তারপরেও হেনস্থা করা হচ্ছে”। অভিষেকও বলেন, “আমাকে বারবার তলব করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার নামে হেনস্থা করা হচ্ছে। প্রতিবার ন’ ঘণ্টা করে জেরা করা হচ্ছে।” অভিষেকের হয়ে এদিন আদালতে যে রক্ষাকবচের আর্জি জানিয়েছিলেন সিংভি, সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ। শুক্রবার ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    সুপ্রিম কোর্টে কেন গেলেন অভিষেক?

    শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। পরে তিনি দাবি করেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নাম বলতে তাঁকে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মামলা যায় হাইকোর্টে। তখনই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা”। পরে ওই একই রায় দেয় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চও। তিনিও বলেন, “কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় তৃণমূল নেতা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই।’’ সেই সঙ্গে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করায় অভিষেক ও কুন্তলের ২৫ লাখ করে মোট ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। এর পর সুপ্রিম কোর্টের দুয়ারে হাজির হন অভিষেক।

    আরও পড়ুুন: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    দেশের শীর্ষ আদালতে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবী এদিন বলেন, “সিবিআই কোনও রকম সময় না দিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করছে।” তিনি বেঞ্চকে স্মরণ করিয়ে দেন, “এর আগের বার যখন অভিষেককে তলব করা হয়, তখন তিনি ছিলেন দার্জিলিংয়ে। তাড়াতাড়ি চলে আসতে বাধ্য হন। শনিবারও যখন তাঁকে তলব করা হয়, তখন তিনি নব জোয়ার কর্মসূচির জন্য বাঁকুড়ায় ছিলেন। সেই কর্মসূচি ফেলেই কলকাতায় ফিরে আসতে বাধ্য হন।” তিনি (অভিষেক) রাজ্যের বাইরে প্রচার করছিলেন বলেও দাবি করেন সিংভি। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, বর্তমানে অভিষেক প্রচার করছেন রাজ্যেই।

    গ্রেফতারি এড়াতেই কি বিভ্রান্ত করা হচ্ছে দেশের শীর্ষ আদালতকে? প্রশ্ন সেটাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Teacher Recruitment: ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Primary Teacher Recruitment: ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justic Abhijit Ganguly) ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher) পদে চাকরি দেওয়ার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ থাকবে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

    কেন এই নিয়োগ?

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের টেট-এর ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬,৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় রাজ্য সরকার তথা পর্ষদ। কিন্তু, পরবর্তীকালে সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে এই তথ্য উঠে আসে। জানা যায় যে, ১৬,৫০০ শূন্যপদের মধ্যে সেই সময় সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। অর্থাৎ, ৩,৯২৯ পদে নিয়োগ করা হয়নি। 

    কী রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    যার প্রেক্ষিতে গত ৮ নভেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। পরে টেটে প্রশ্ন ভুলের দরুণ মামলাকারীদের চাকরি দিতে নির্দেশ দেন তিনি। পরে ১১ নভেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।কিন্তু এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং ২০১৭ সালের টেট উর্ত্তীর্ণদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    কেন এই স্থগিতাদেশ?

    ২০১৭-য় টেট উত্তীর্ণদের প্রশ্ন, কেবল ২০১৪-র উত্তীর্ণরা কেন সুযোগ পাবেন? এক মামলায় শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল, যে কোনও নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। তার ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা। অন্যদিকে, পর্ষদের দাবি, কেবল ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা অনেক জটিল। দু-পক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩,৯২৯ পদে নিয়োগের রায়ের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় বহাল এনআইএ তদন্ত!

    Ram Navami: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় বহাল এনআইএ তদন্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রামনবমীর (Ram Navami) হিংসায় এনআইএ তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের শেষে রাজ্যজুড়ে রামনবমীর মিছিলের উপর হামলার ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডালখোলা, রিষড়া এবং হাওড়ার শিবপুরে রামনবমী মিছিলের উপর হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তে দাবি মেনে নেয় হাইকোর্ট এবং সেই মতো নির্দেশ দেয়।

    হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয় রাজ্য

    হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু এনআইএ (NIA) তদন্তের উপর স্থগিতাদেশের বিষয়ে রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। জানা গেছে এই (Ram Navami) মামলার পরবর্তী শুনানি হবে জুন মাসে গ্রীষ্মের ছুটির পরে। গত মাসের ২৭ এপ্রিল এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে মিছিলে হামলা চালাতে দুর্বৃত্তরা বিস্ফোরক ব্যবহার করেছিল। এই পর্যবেক্ষণের পরে হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয়। রাজ্যের আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি এই জনস্বার্থ মামলায় তদন্তের ভার এনআইকে দেওয়া যায় না বলে সরব হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

    কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন পর্যবেক্ষণ…

    হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ ছিল, কারা এই (Ram Navami) অশান্তির ঘটনায় জড়িত, কারাই বা উসকানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। হাইকোর্টের এও পর্যবেক্ষণ ছিল, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে অশান্তি হয়েছে। পুলিশের রিপোর্টে কোথাও কোনও বোমার উল্লেখ নেই, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। ইসলামপুরের গন্ডগোলে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিশ সুপার সহ অনেক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। মামলা দায়ের হয়েছে, গ্রেফতারও হয়েছে বলে রাজ্য জানিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, এই ধরনের গন্ডগোল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক বছর ৬,৭, ৮টা করে ঘটনা ঘটছে। এটা কীভাবে আটকানো সম্ভব?

    জানা গেছে শিবপুর, রিষড়া এবং ডালখোলার অশান্তির ঘটনায় মোট ছ’টি এফআইআর দায়ের করেছে এনআইএ। এবং এই মামলাগুলিতে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতেও চেয়েছে এনআইএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adani Group: আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে কারচুপির প্রমাণ নেই! সুপ্রিম কোর্টে জানাল বিশেষজ্ঞ কমিটি

    Adani Group: আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে কারচুপির প্রমাণ নেই! সুপ্রিম কোর্টে জানাল বিশেষজ্ঞ কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৌতম আদানির (Adani Group) সংস্থার বিরুদ্ধে শেয়ার দর হেরফের করার অভিযোগের কোনও ভিত্তি এখনও খুঁজে পায়নি সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’-এর রিপোর্টের প্রেক্ষিতে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়েও মেলনি কোনও অনিয়মের নথি। শীর্ষ আদালতে একথা জানাল বিশেষজ্ঞ কমিটি।

    আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত গৌতম আদানির (Adani Group) সংস্থার বিরুদ্ধে কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়ানো এবং কর ফাঁকি-সহ বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এনেছে আমেরিকান লগ্নি গবেষণা সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বেঞ্চ এর সত্যতা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে বলা হয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কারচুপির প্রমাণ তো মেলেনি। বরং খুচরো বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আদানি গোষ্ঠী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে বলেও জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ফাঁসির দড়ি পরার দরকার নেই, তদন্তে সহযোগিতা করুক’’! অভিষেক প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    রাহুলকে নিশানা অমিতের

    দেশের শীর্ষ আদালত গঠিত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির তরফে রাহুল গান্ধীকে নিশানা করা হয়েছে। সুপ্রিম কমিটির রিপোর্টের স্ক্রিনশট পোস্ট করে এদিন অমিত মালব্য বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর স্পিচরাইটারদের কাজ বেড়ে গেল। এখন নতুন নতুন ভিত্তিহীন অভিযোগ খুঁজে বের করতে হবে তাদের।’ উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে আদানির নাম করে বিজেপিকে তোপ দেগে থাকেন রাহুল গান্ধী। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর সেই আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। 

    এদিন অমিত মালব্য টুইটে লেখেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যা স্লোগানের জন্য ভারতের জনগণ রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসকে ডগহাউজে পাঠিয়েছিলেন। রাফাল নিয়ে ভিত্তিহীন প্রচার চালিয়েছিলেন রাহুল। এর জেরে ভারতের বায়ুসেনার আধুনিকীকরণের প্রক্রিয়া সংকটের মুখে পড়েছিল। আর এখন আদানি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়ে দিল যে সেবির থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং অন্যান্য তথ্য খতিয়ে দেখে তারা আদানিদের জালিয়াতির কোনও প্রমাণ পায়নি। নিয়ামক সংস্থার কোনও গলদও নেই এই ঘটনায়। রাহুল গান্ধীর বক্তৃতা যাঁরা লেখেন, তাঁদের এখন আরও অদ্ভুত কিছু সামনে নিয়ে আসতে হবে। তাঁর মিথ্যার যন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: আবার দেখানো যাবে রাজ্যে! ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপর নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    The Kerala Story: আবার দেখানো যাবে রাজ্যে! ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপর নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জোর ধাক্কা খেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। দিন কয়েক আগে বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বৃহস্পতিবার সেই নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, দেশের সব রাজ্যেই প্রদর্শিত হচ্ছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। কোথাও কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। বাংলায়ও যে তিন দিন ছবিটি চলেছে, তাতেও তেমন কোনও অশান্তির নজির নেই। তাই রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এদিন শুনানির সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অসহিষ্ণু আখ্যা দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, “অসহিষ্ণুতা সহ্য করা যায় না। প্রকাশ্যে আবেগ প্রদর্শনের ভিত্তিতে বাক-স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার নির্ধারণ করা যায় না। আবেগের প্রকাশ্য প্রদর্শন রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করতে হবে”।

    ছবি (The Kerala Story) নির্মাতাদের তরফে আইনজীবী বলেন, “এই ছবি সিবিএফসির ছাড়পত্র পেয়েছে। এই ছবির বৈধ ছাড়পত্র রয়েছে। ছবির প্রদর্শন বন্ধ করলে এই ছাড়পত্রকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়”। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “ওটিটিতে দেখানো নিয়ে আমাদের কোনও বিরোধিতা নেই। কিন্তু জনসমক্ষে এই ছবির প্রদর্শন নিয়ে আপত্তি রয়েছে। মোবাইলে এটা দেখা যেতে পারে”।

    অশান্তির খবর মেলেনি

    প্রধান বিচারপতি বলেন, “জনসমাজের ভাবাবেগের ওপর মত প্রকাশের মৌলিক অধিকার নির্ভর করতে পারে না। জনগণের ভাবাবেগের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। আপনার যদি ভাল না লাগে, আপনি দেখবেন না”। তিনি জানান, নির্দিষ্ট করে বাংলার কোথাও এই ছবিকে (The Kerala Story) ঘিরে অশান্তি হলে, সেখানে ছবিটি নিষিদ্ধ করা যেত। কিন্তু কোনও অশান্তি ছাড়াই গোটা রাজ্যে ছবি নিষিদ্ধ করার কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পায়নি আদালত। দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সিনেমাটি নিষিদ্ধ করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। শুধুমাত্র ভাবনার ভিত্তিতে এভাবে মৌলিক অধিকার খর্ব করা যায় না।

    আরও পড়ুুন: অভিষেক-কুন্তলকে কেন ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল হাইকোর্ট? এই হল আসল কারণ

    প্রসঙ্গত, গত ৫ মে মুক্তি পেয়েছে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ছবির বিষয়বস্তু সাম্প্রদায়িকতায় উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যে প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞায় এবার স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। তাই এবার সিনেমা হলে গিয়েই দেখা যাবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)।

    মমতাকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    এই নিয়ে ট্যুইটারে মমতাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে মাইক্রো-ব্লগিং সাইটে বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘‘আপনার দায়িত্ব হল পুলিশকে পরিচালনা করা, নীতি পুলিশের কাজ করা নয়। আপনাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা আগে পালন করুন। কিন্তু তাতে তো রোজ ব্যর্থ হচ্ছেন। মানুষ কাকে গ্রহণ করবেন সেটা বাংলার মানুষের উপরেই ছেড়ে দিন। কোন বিষয়কে মানুষ প্রত্যাখান করবেন সেটাও মানুষের উপর ছেড়ে দিন। বাংলার মহান মানুষরা যথেষ্ট সহনশীল। তাঁদেরকে অন্যভাবে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের জবাব দিল রাজ্য, কী বলল?

    The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের জবাব দিল রাজ্য, কী বলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিষিদ্ধ করার কারণ জানতে চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শেষমেশ সেই নোটিশের জবাব দিল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারকে এই মর্মে নোটিশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিষিদ্ধ করার কারণ…

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র নির্মাতা বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন। ৫ মে মুক্তি পায় ছবিটি। তার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। যার জেরে মুক্তির চার দিনের মাথায় ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। অভিযোগ, দ্য কেরালা স্টোরি সাম্প্রদায়িকতাকে উসকানি দিচ্ছে। অশান্তি এড়াতে ছবিটিকে (The Kerala Story) এ রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ছবির নির্মাতারা। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলায় কেন দেখানো হবে না এই ছবি? কারণ জানতে চান তাঁরা। মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে। পশ্চিমবঙ্গে ছবিটির নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘ভারতের অন্যান্য অংশেও এই ছবি মুক্তি পেতে পারলে পশ্চিমবঙ্গ নয় কেন?’

    আরও পড়ুুন: কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক কেন? প্রশ্ন তোলায় ভারতের নিশানায় রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক

    তার পরেই রাজ্য সরকারকে নোটিশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এর আগেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ছবিটি (The Kerala Story) পক্ষপাতদুষ্ট। এখানে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে যা একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত হানতে পারে। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সরকারের দাবি, মামলাকারী কলকাতা হাইকোর্ট আবেদন করতে পারতেন, কারণ হাইকোর্টে এই সিনেমা সংক্রান্ত আরও চারটি মামলা হয়েছে। রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা করেন আইনজীবী আস্থা শর্মা। সেই হলফনামায় বলা হয়েছে, ওই ছবিতে এমন একাধিক দৃশ্য রয়েছে, যা ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে। এদিন হলফনামায় ফের একবার গোয়েন্দা রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের দাবি, ৫ মে ৯০টি সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পরেই রাজ্যের কাছে খবর আসে, অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরেই নিষিদ্ধ করা হয় ছবিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘শিবলিঙ্গে’র কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘শিবলিঙ্গে’র কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) নিয়ে বড়সড় নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court)। মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি করে হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠন। সেই শিবলিঙ্গের কার্বন ডেটিং সহ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সমীক্ষা করার নির্দেশ ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার মিশ্র। কার্বন ডেটিং করতে গিয়ে কাঠামোর যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque)…

    জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque)  অজুখানায় শিবলিঙ্গ রয়েছে দাবি করে সেখানে পুজো করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল বারাণসী আদালতে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সেই দাবি খারিজ করে পাল্টা মামলার আবেদন জানানো হয়েছিল। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা ফিরে আসে বারাণসী আদালতে। বারাণসী দায়রা আদলতের বিচারক একে বিশ্বাসের একক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মমলা এগোবে। মুসলিম পক্ষ অঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া কমিটির আবেদন খারিজ করেন বিচারক।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় বারাণসী জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যায় আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। সেই সময়ই কার্বন ডেটিংয়ের দাবি জানিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। বারাণসী আদালত কার্বন ডেটিংয়ের আবেদন খারিজ করে রায় দেয়, যদি কার্বন ডেটিং বা গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডারের অনুমতি দেওয়া হয় এবং যদি ‘শিবলিঙ্গে’র কোনও ক্ষতি হয়, তবে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ লঙ্ঘিত হবে এবং এটি সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত করতে পারে। পরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আবেদনকারীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে নিষেধাজ্ঞা কেন? রাজ্যের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

    শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মিশ্র ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কাছে জানতে চান, কোনও রকম ক্ষতি ছাড়া শিবলিঙ্গের (Gyanvapi Mosque)  কার্বন ডেটিং সম্ভব কিনা। পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তরফে আইনজীবী মনোজ কুমার জানান, কাঠামোর ক্ষতি না করেই কার্বন ডেটিং করা সম্ভব। এর পরেই কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ দেন বিচারপতি। কাঠামোর যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে বলেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, মসজিদ কমিটির দাবি, ওজুখানার ওই কাঠামো একটি পুরানো ফোয়ারা। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, সেটি শিবলিঙ্গ। এই ‘শিবলিঙ্গ’টি কত বছরের পুরানো, তা জানতেই কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ আদালতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে নিষেধাজ্ঞা কেন? রাজ্যের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

    The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে নিষেধাজ্ঞা কেন? রাজ্যের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিষিদ্ধ করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য সরকার। গোটা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে সিনেমাটি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা নিষিদ্ধ করা হল কেন? কেন সিনেমাটি চালাতে দেওয়া হচ্ছে না? পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিশ দিয়ে এসব প্রশ্নের জবাব চাইল দেশের শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমার ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। সেখানেই রাজ্য সরকারকে নোটিশ দিয়ে এসব প্রশ্নের জবাব দিতে বলা হয়।

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে (The Kerala Story) নিষেধাজ্ঞা রাজ্যের…

    দিন কয়েক আগে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) এ রাজ্যে নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয় এ রাজ্যে। রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিনেমাটির নির্মাতারা। সেই মামলায়ই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।

    এর পাশাপাশি তামিলনাড়ু সরকারের বক্তব্যও জানতে চেয়েছে আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, “সারা দেশে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সারা দেশের থেকে আলাদা নয়। যদি দেশের অন্যান্য জায়গায় ছবিটি চলতে পারে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে কেন তা নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন পড়ল? যদি মানুষ মনে করে সিনেমাটি দেখার মতো নয়, তাহলে দেখবে না। জনবিন্যাসের নিরিখে অন্যান্য রাজ্যও পশ্চিমবঙ্গের মতোই, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে ছবিটি চালাতে অসুবিধা কোথায়?”

    আরও পড়ুুন: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এদিন সিনেমা (The Kerala Story) নির্মাতাদের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে। তিনি জানান, এক রাজ্য কার্যত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, অপর রাজ্য সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্টের ক্ষমতা ব্যবহার করেছে। বাংলায় জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়ালও করেন সালভে। রাজ্যের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি জানান, সিনেমাটি রাজ্যে চালানো হলে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হতে পারে বলে গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল। কেরল হাইকোর্টও সিনেমাটির নির্মাতাদের নিয়ম মেনে চলার কথা বলেছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল সিনেমাস আইন অনুযায়ী রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেও জানান তিনি। তবে রাজ্যের কথা না শুনে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে না বলেও জানায় সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কেন ওএমআর নষ্ট? বাড়তি নম্বর কীসের ভিত্তিতে? সুপ্রিম-প্রশ্নবাণের মুখে পর্ষদ

    Recruitment Scam: কেন ওএমআর নষ্ট? বাড়তি নম্বর কীসের ভিত্তিতে? সুপ্রিম-প্রশ্নবাণের মুখে পর্ষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের মোবাইলে আচমকা এসএমএস পাঠিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, সেটা ছিল ২০১৭ সালের মে মাস। টেট উত্তীর্ণ নন বলে তাঁরা কেউই চাকরির আবেদন করেন’নি, অথচ শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র নিয়ে বিকাশ ভবনে তাঁদেরকে দেখা করতে হবে, এমনটাই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরে আবার ওই বছরেই ডিসেম্বর মাস নাগাদ জেলা প্রাথমিক পর্ষদ থেকে প্রতিটি প্রার্থীকে ফোন করে জানানো হয়েছিল যাবতীয় নথি যাচাই করা হবে। অভিযোগ এরপরে কোনওরকম ইন্টারভিউ ছাড়াই ওই সমস্ত টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে যান (Recruitment Scam)। এই গোটা ঘটনায় এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সর্বোচ্চ আদালতের প্রশ্ন, ‘‘কেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ওই প্রার্থীদের এসএমএস পাঠিয়েছিল? কেনই বা তাদেরকে ফোন করা হল?’’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ টেট পরীক্ষার একটি প্রশ্নে ভুল ছিল বলে মামলা করা হয় এবং তার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষার্থীদের এক নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরবর্তীকালে। সুপ্রিম কোর্টের আরও প্রশ্ন, ‘‘সেই নম্বরের ভিত্তিতে টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন যাঁরা, সেই তালিকা তখনও তৈরি হয়নি তাহলে কেন বাছাই করা কয়েকজনকে নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হলো?’’ দেখা যাচ্ছে, ২৬৯ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল যারা বাড়তি এক নম্বর নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিতে জয়েন করেছিলেন, কিন্তু সেখানেও দেখা যাচ্ছে জালিয়াতি (Recruitment Scam)। কারণ টেট পরীক্ষা হয় মোট দেড়শো নম্বরের। যেখানে একজন সাধারণ ক্যাটাগরির প্রার্থীকে পেতে হয় ৯০ নম্বর। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ৬৮ বা ৭১ নম্বর পেয়েও জেনারেল ক্যাটাগরির প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ তাদের এক নম্বর করে বাড়ার ফলে যে নম্বর দাঁড়াচ্ছে, তা কখনোই যোগ্যতামানে পৌঁছাচ্ছে না। অপরদিকে দেখা যাচ্ছে শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও একজন প্রার্থী ১৪১ নম্বর পেয়ে আগে চাকরি পাননি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অবশ্য তাদের এই দুর্নীতি কিছুটা হলেও স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয় এদিন। যেখানে তারা বলছে যে, ‘‘২৬৯ জনের মধ্যে ১৮ জনের চাকরি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং সেই  ১৮ জনের মধ্যে ৪ জন এমন আছেন, যাঁরা সত্যিই টেট উত্তীর্ণ নন।’’ এখানেই দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলেন, ‘‘একশোর বেশি নম্বর পেয়েও প্রথমে চাকরি না পাওয়ার উত্তরও জানা দরকার।’’

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চাকরি গিয়েছিল ২৬৯ জনের

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছিল। তাঁরাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং যুক্তি খাড়া করেছিলেন যে প্রশ্নে এক নম্বর বাড়তি পেয়ে তাঁরা চাকরিতে জয়েন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ এদিন আরও প্রশ্ন তোলেন যে, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষক পদে ৪২ হাজারের বেশি শূন্য পদ ছিল তা সত্ত্বেও সেখানে দুই হাজারের বেশি পদ খালি রেখে দেওয়া হল কেন?’’ অভিযোগ উঠছে, এই দুই হাজার পদ বিক্রির জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগকারীদের দাবি সমস্ত রকমের নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ লোপাট করতেই নথি গুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share