Tag: Supreme court

Supreme court

  • Abhijit Ganguly: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ মামলা সরানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Abhijit Ganguly: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ মামলা সরানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) বেঞ্চ থেকে সরানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। মামলার শুনানি এখনও চলছে, এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিতে হবে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোনও সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না কোনও বিচারপতি। তাই সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় বেঞ্চ বদল করা হল নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার বেঞ্চ পরিবর্তনের নির্দেশও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    সোমবারই দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুলে নিয়োগের দুর্নীতির মামলা শোনার সময় সেই মামলা নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। যা শুনে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, বিচারপতিরা কোনওভাবেই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। উনি যদি সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন। সেক্ষেত্রে নতুন কোনও বিচারপতিকে দায়িত্ব দিতে হবে।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছিলেন, তাঁদের একাংশ দ্বারস্থ হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। এঁদের আইনজীবী মীনাক্ষী অরোরা জানান, হাইকোর্টের বিচারপতি সেপ্টেম্বর মাসে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এ ব্যাপারে কী বিশ্বাস করেন। অর্থাৎ, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আগেই বিচার করে ফেলেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘সমলিঙ্গ বিয়েতে কে বাবা, কে মা’? সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুষার মেহতার

    শুক্রবার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার বেঞ্চ বদলের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এই নির্দেশ দেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) পাঠানো নোটও ভালভাবে পড়েন তিনি। প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি নোট পড়েছেন, সাক্ষাৎকারের ট্রান্সক্রিপ্টও শুনেছেন। তার পরেই এই নির্দেশ। এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারকরা খুব কঠিন দায়িত্ব পালন করেন। আমরা কেস পুনরায় বরাদ্দ করার জন্য জিজ্ঞাসা করছি একমাত্র কারণ হল ট্রান্সক্রিপ্ট, অন্য কোনও কারণ নেই।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এমনই পর্যবেক্ষণ ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই মামলার প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। সেই মামলা প্রসঙ্গেই সংবাদ মাধ্যমে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Same Sex Marriage: ‘‘সমলিঙ্গ বিয়েতে কে বাবা, কে মা?’’ সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুষার মেহতার

    Same Sex Marriage: ‘‘সমলিঙ্গ বিয়েতে কে বাবা, কে মা?’’ সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুষার মেহতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ (Same Sex Marriage) বিয়েতে কে বাবা হবেন, আর মা-ই বা হবেন কে। এটা পূর্বাভাসের মাধ্যমে বলা সম্ভব নয়। বিয়ের সময় বলা হয় স্ত্রীর বাসস্থান রয়েছে। তবে এখানে ঠিক করতে হবে কে স্ত্রী। উত্তরাধিকার আইনে বলা হয়, পিতা, মাতা, ভাই, বিধবা। দুজনের মধ্যে একজন মারা গেলে কাকে বিধবা বলা হবে? বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বললেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

    সমলিঙ্গ (Same Sex Marriage) বিয়ে নিয়ে শুনানি…

    সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে চলছে সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে শুনানি। দিন দুয়েক আগে সমলিঙ্গ বিয়েতে ইচ্ছুক এমন সন্তানদের প্রায় ৪০০ অভিভাবক এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চেই চলছে এই মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার এই শুনানি পড়ল ষষ্ঠ দিনে। বুধবার পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে অন্তত ১৫টি আবেদনের শুনানি করে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে ওঠা প্রশ্নগুলি বিবেচনা করতে সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আবেদনও করে।

    সলিসিটর জেনারেল বলেন, সর্বোচ্চ আদালত জটিল একটি বিষয় (Same Sex Marriage) নিয়ে কাজ করছে। যার গভীর সামাজিক প্রভাব রয়েছে। তিনি বলেন, আইন প্রণয়ন ও ব্যাখ্যার মধ্যে সীমানা নিয়ে আলোচনা দুটি বিষয়ের ওপর ফোকাস করার প্রবণতা রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘বন‍্‍ধ স্বতঃস্ফূর্ত ও অত্যন্ত সফল’’! সাড়া দেওয়ায় উত্তরবঙ্গবাসীকে ধন্যবাদ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এর আগেই সমলিঙ্গ বিয়েকে বৈধতা দেওয়ার আবেদনের বিরোধিতা করেছে। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় পরিবারের ধারনার মধ্যে এটা যায় না। কেন্দ্রের মতে, এসব শহুরে বড়লোকদের ধারণা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেওয়া হবে কিনা, সেই বিষয়টি পার্লামেন্টের ওপর ছেড়ে দেওয়া হোক। হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই মামলায় পার্টি করা হোক।

    বৃহস্পতিবার সলিসিটর জেনারেল দেশের শীর্ষ আদালতে বলেন, একটি উদাহরণের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধি দেখুন। ধারা (Same Sex Marriage) ১০-এ পুরুষ ও নারী সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। পুরুষ শব্দে সব পুরুষকে এবং নারী শব্দে সব মহিলাকে বোঝায়। স্পিনস্টার ও ব্যাচেলর সম্পর্কে বলতে গিয়ে তুষার মেহতা বলেন, এই সব শব্দ লিঙ্গ নিরপেক্ষ হতে পারে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LGBT: সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতি চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি অভিভাবকদের

    LGBT: সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতি চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি অভিভাবকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহের (Same Sex Marriage) দাবি উঠেছে দীর্ঘদিন ধরেই। এবার এই বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিলেন এলজিবিটিকিউআইএ (LGBT) গোষ্ঠীভুক্তদের ৪০০-রও বেশি বাবা-মা। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে তাঁরা লিখেছেন, তাঁদের সন্তানরা যাতে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় বিবাহের বৈধতা পায়, সেই বিষয়টি দেখে যেতে চান তাঁরা। সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এদিনের শুনানিতেও এই ধরনের বিবাহের পক্ষে সওয়াল করেছেন এই গোষ্ঠীর পক্ষের আইনজীবীরা।

    সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে শুনানি…

    সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে চলছে সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে শুনানি। মঙ্গলবার শুনানি পড়ল চতুর্থ দিনে। এদিন দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, যদি সমলিঙ্গের বিবাহকে আইনে রূপান্তরিত করতে হয়, তাহলে বহু আইন বদলাতে হবে। তার জন্য কি সুপ্রিম কোর্ট বসে রয়েছে? প্রশ্ন আদালতের। এদিন আইনজীবী গীতা লুথরা বলেন, জি-২০ গোষ্ঠীর ১২টি দেশ ইতিমধ্যেই সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই ভারতেরও পিছিয়ে থাকা উচিত নয়।

    প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে এলজিবিটিকিউআইএ (LGBT) গোষ্ঠীভুক্তদের বাবা-মায়েরা লিখেছেন, সন্তানদের জীবন ও যৌনতার ভাবনার কথা অনুভব করে একে গ্রহণ করেছেন তাঁরা। এখন এই বিবাহের আইনি বৈধতা চাইছেন। চিঠিতে লেখা হয়েছে, যাঁরা এই ধরনের বিবাহের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। কারণ এক সময় আমাদের মধ্যে অনেকে ওই পক্ষেই ছিলাম। তাঁরা লিখেছেন, কিন্তু শিক্ষা, আলোচনা আর ধৈর্যের মধ্যে দিয়ে আমরা বুঝেছি, আমাদের সন্তানদের ভাবনা ও অনুভূতি যথার্থ। আজ যাঁরা সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করেছেন, একদিন তাঁরাও আমাদের শরিক হবেন।

    আরও পড়ুুন: সিবিআই তলবে নিজাম প্যালেসে তাপস! জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বিষয় উঠে এল?

    মোদি সরকার সমলিঙ্গ বিবাহকে অভিজাত শ্রেণির ভাবনা বলেছে। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এলজিবিটিকিউআইএ (LGBT) গোষ্ঠী পক্ষের আইনজীবী মিনাক্ষী গুরুস্বামীকে প্রশ্ন করেন, ভারতে অনেক বৈচিত্র রয়েছে। আপনারা কি এই গোষ্ঠীর সবার কথা তুলে ধরছেন? হয়তো অনেকের কথা শোনা হচ্ছে না। মিনাক্ষীর জবাব, সম্পর্কের নতুন সংজ্ঞায় যাঁরা যোগ দিতে চান, তাঁরা যোগদান করবেন। যাঁরা চান না, তাঁদের এই পথে আসার প্রয়োজন নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguli: ইস্তফা নয়, যে লড়াই শুরু করেছেন, তার শেষ দেখে ছাড়বেন! কেন বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    Abhijit Ganguli: ইস্তফা নয়, যে লড়াই শুরু করেছেন, তার শেষ দেখে ছাড়বেন! কেন বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই, যে লড়াই শুরু করেছেন, তার শেষ দেখে ছাড়বেন, বলে জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। গত এক সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেশ কয়েকটি নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে টিভিতে বিচারপতির সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে হলফনামাও জমা দিতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার এ নিয়ে মুখ খুললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন দুপুর ২টোর সময় এজলাসে এসেছিলেন বিচারপতি। সেখানে বসেই তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘শুনছি কেউ কেউ রটাচ্ছে আমি নাকি ইস্তফা দিচ্ছি…! আমি পদত্যাগ করছি না। যে লড়াই শুরু হয়েছে। সেই লড়াই চলবে।’’

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিমত

    মঙ্গলবার প্রথমে বিচারপতি বলেন, ‘‘যে লড়াই শুরু হয়েছে, তা চলবে। যত মিথ্যা কথা বলা হয়েছে, সেগুলির ব্যাখ্যা দিতে হবে। আমি হয়তো সব দিন থাকব না। কিন্তু আমি থাকি বা না থাকি লড়াই বন্ধ হবে না।’’তাঁর টিভিতে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে  বিচারপতি বলেন, ‘‘ইন্টারভিউ যখন আমি দিয়েছি, তখন উত্তরও আমাকেই দিতে হবে।’’ তবে একই সঙ্গে বিচারপতি বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার কপি এখনও আপলোড হয়নি শুনলাম। অর্ডার আসুক। উত্তর দেব।’’

    সুপ্রিম নির্দেশ

    এদিন সকালে হাইকোর্টে পৌঁছলেও প্রথমার্ধ্বে এজলাসে যাননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরই হাইকোর্ট পাড়ায় রটে যায় যে তিনি ইস্তফা দিতে চলেছেন। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কিনা তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে শুক্রবার মধ্যে সর্বোচ্চ আদলতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টে শিক্ষা বিষয়ক মামলাগুলো দেখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, আদৌ কি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের এজলাসের মামলা নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন?

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট করে বলেছে, “কোনও বিচারপতি তাঁর এজলাসের মামলা নিয়ে কখনওই সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। এমনটা যদি সত্যি ঘটে থাকে তাহলে সেই সব মামলা তাঁর এজলাস থেকে অন্য এজলাসে সরিয়ে দেওয়াই ভাল।” এ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে বেশ কিছু আইনজীবী ভুল বোঝাচ্ছেন, যা কাম্য নয়”। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: কুন্তলের বিস্ফোরক চিঠিকাণ্ডে শুনানি হবে ‘সুপ্রিম’ রায়ের পর, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Kuntal Ghosh: কুন্তলের বিস্ফোরক চিঠিকাণ্ডে শুনানি হবে ‘সুপ্রিম’ রায়ের পর, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) বিস্ফোরক চিঠি মামলা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারাধীন। তাই এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর। বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের পক্ষ থেকে ৩টি হার্ড ডিস্ক ও অরিজিনাল ভিজিটর রেজিস্টার খাতা জমা দেওয়া হয় আদালতে। এইসব নথি সিল কভারে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ ছিল, সংশোধনাগারের সিসি টিভি ফুটেজ ও অরিজিনাল ভিজিটর রেজিস্টার খাতা পেশ করার।

    কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)…

    ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের এক সভায় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, সারদা মামলায় হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তলও (Kuntal Ghosh) একই অভিযোগ করেন। প্রেসিডেন্সি জেলে বসে ইডি এবং সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল। সেই চিঠির মূল বক্তব্য হল, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছেন ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। কুন্তলের অভিযোগ, অভিষেকের নাম না বলায় তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচারও চালিয়েছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু নেতাদের খুন করতে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল পিএফআই?

    কুন্তলের  (Kuntal Ghosh) বিস্ফোরক চিঠি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রয়োজনে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। সেই মামলায় হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছিলেন, ২১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারের প্রবেশ ও বাহিরপথের সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে কারা গিয়েছিলেন, তা জানাতে ভিজিটর্স রেজিস্টার খাতা জেল কর্তৃপক্ষকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এদিনই ছিল সেই মামলার শুনানি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশ মোতাবেক এদিন তিনটি হার্ডডিস্ক, ভিজিটর রেজিস্টার খাতা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেন প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Same Sex Marriage: ‘কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধু যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না!’ অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Same Sex Marriage: ‘কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধু যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না!’ অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন পুরুষ কিংবা একজন মহিলা বলতে ঠিক কী বোঝায়, তার সম্যক ধারণা আমাদের কাছে নেই। কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধুমাত্র যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না। ব্যাপারটা আরও অনেক জটিল। সমলিঙ্গ বিয়ে (Same Sex Marriage) নিয়ে মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে এমনই বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আপত্তির কথা আগেই শীর্ষ আদালতে জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সময় সাংবিধানিক বেঞ্চে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের উদ্দেশ্য হল, শারীরিকভাবে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা। এর জবাব দিতে গিয়েই প্রধান বিচারপতি বলেন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে পুরুষ ও মহিলার কথা বলা হয়েছে ঠিকই, তবে একজন পুরুষ বা একজন মহিলা বলতে কী বোঝায়, সেই ধারণা পুরোপুরি জননাঙ্গের উপর নির্ভর করে না।

    আরও পড়ুন: নাগরিকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে! সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপত্তি জানাল কেন্দ্র

    সেইসঙ্গে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, ব্যক্তিগত আইনের ক্ষেত্রে আপাতত কোনও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। ওই বিষয় নিয়ে আপাতত রাজ্যের বক্তব্য শোনার কোনও প্রয়োজন নেই। সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি প্রদানের জন্য একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেইসব মামলার শুনানির বিরোধিতা করে কেন্দ্রের প্রতিনিধি তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সওয়াল করেন, সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংসদ। প্রধান বিচারপতি অবশ্য জানিয়ে দেন, কোন বিষয়ে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তা আদালতকে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। আদালত সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আর্জি শুনতে আগ্রহী। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের পরিধির মধ্যেই এই বিষয়টি বিচার-বিবেচনা করতে চাইছেন তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Same Sex Marriage: নাগরিকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে! সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপত্তি জানাল কেন্দ্র

    Same Sex Marriage: নাগরিকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে! সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপত্তি জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহকে (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি দিলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বলে মনে করে কেন্দ্র সরকার। সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, শহুরে অভিজাত শ্রেণির কিছু মানুষ সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা পেতে সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। 

    কেন্দ্রের অভিমত

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের দাখিল করা হলফনামায় আরও জানানো হয়েছে যে, বিয়ে এমন একটা বিষয় যে তার সঙ্গে গ্রামীণ, আধা গ্রামীন এবং শহরের মানসিকতা ভিন্ন ভিন্ন। দেশে বিয়ে নিয়ে ভিন্ন ধর্মের ভিন্ন আইনও রয়েছে। সেখানে এই ধরনের বিয়ের কোনও স্থান ও স্বীকৃতি নেই। আদালত এই বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিলে প্রচলিত আইনগুলি ধাক্কা খাবে। গোটা বিষয়টি দেশের ক্ষতিসাধন করবে। তাই সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ তাঁরা যেন এই বিষয়টি সংসদের হাতেই ছেড়ে দেয়। আদালত এই নিয়ে যেন কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়। সমলিঙ্গের (Same Sex Marriage) মানুষদের অধিকার, সম্পর্কের স্বীকৃতি, সেই স্বীকৃতির আইনি অধিকার এই সব কিছু দেখা ও তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র দেশের সংসদের। সংবিধানের সপ্তম তপশিলের ৩ নম্বর তালিকার পঞ্চম স্থানে এই বিষয়ে সংসদকে পূর্ণ অধিকার দেওয়া আছে। সুপ্রিম কোর্ট সেই ধারাও লঙ্ঘণ করছে। সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতা বা স্বীকৃতির দাবি কখনওই মৌলিক অধিকার হতে পারে না, বলে মত কেন্দ্রের।

    বিবাহ একটি ‘অসমকামী প্রতিষ্ঠান’

    বিবাহকে চরিত্রগত দিক থেকে একটি ‘অসমকামী প্রতিষ্ঠান’ বলেও উল্লেখ করেছে কেন্দ্র। তাদের যুক্তি ভিন্ন দুই লিঙ্গের মানুষের মধ্যে বিবাহই এ দেশ সামাজিক ভাবে স্বীকৃত। এর অন্যথা কাম্য নয়। সুপ্রিম কোর্টে আসা সমলিঙ্গের বিবাহ (Same Sex Marriage) নিয়ে একাধিক পিটিশনের নিরিখে বিরোধিতার রাস্তায় হেঁটে নিজের অবস্থান জানিয়েছে জমিয়ত- উলেমা-ই-হিন্দ-ও। একটি ইন্টারভেনশন আর্জিতে এই ধর্মীয় সংগঠন জানিয়েছে, সমলিঙ্গের বিবাহ পরিবারের ব্যবস্থাপনাকে হামলা করে। এটি পশ্চিমী সংস্কৃতির আমদানি বলেও উল্লেখ করে সংগঠন।

    সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান

    প্রসঙ্গত, এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট, ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়েছে দেশে সমলিঙ্গের সম্পর্ক বৈধ। সেই সূত্র ধরেই এই বিবাহ যাতে মান্যতা পায়, সেই নিরিখেই আর্জি জমা পড়েছে। সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি জানানোর দাবিতে শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সব মামলাগুলিকে একত্র করে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে মতামত জানাতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে আগেই নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। সোমবারও তারা জানায়, এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত আইনবিভাগের, বিচারবিভাগের নয়। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তলব! অভিষেককে নোটিস পাঠাল সিবিআই

    ইতিমধ্যেই এই মামলা শুনতে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই বেঞ্চে রয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এসকে কউল, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসীমহা। আগামী কাল, মঙ্গলবার মামলাটি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তলব! অভিষেককে নোটিস পাঠাল সিবিআই

    Abhishek Banerjee: মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তলব! অভিষেককে নোটিস পাঠাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মিললেও নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস ধরাল সিবিআই। আগামী কাল, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অভিষেককে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দরকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জেরা করা যেতে পারে বলে সম্প্রতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তার পরেও সোমবার দুপুরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস ধরাল সিবিআই।

    কী রয়েছে নোটিসে

    কুন্তল ঘোষের চিঠি স‌ংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদককে(Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, দুপুর দেড়টা নাগাদ ইমেল মারফত নোটিস পৌঁছয় অভিষেকের কাছে। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) নির্দেশেই সোমবারই স্বস্তি পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সম্প্রতি হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশনামায় উল্লেখ ছিল, কুন্তল ঘোষের চিঠির বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদি মনে করে, তাহলে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। এদিন শীর্ষ আদালত ওই মামলায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ (Interim Stay) দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়,  কুন্তলের চিঠির বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না সিবিআই। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৪ এপ্রিল।

    সুপ্রিম স্থগিতাদেশ নিয়ে সুকান্তের মত

    এখন প্রশ্ন উঠছে, সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সূত্রের খবর, স্থগিতাদেশ থাকার পরেও এই নোটিসের কারণে আগামী কয়েকদিনের মধ্য়েই অভিষেকের আইনজীবীরা আদালত অবমাননার মামলা করতে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বড় বড় উকিলদের ধরে সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ পেয়েছেন তিনি। প্রচুর টাকাও খরচ করেছেন। আমাদের প্রশ্ন এখানেই… এই সামান্য সামান্য ব্যাপারে সিবিআই বা ইডি যদি প্রশ্ন করতে চায়, তাতে ভয়ের কী আছে? সাময়িকভাবে তিনি স্বস্তি পেয়েছেন, কিন্তু এই স্বস্তি চিরস্থায়ী নয়।’

    আরও পড়ুন: উদ্ধার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল, কীসের খোঁজে ফের তল্লাশি পুকুরে?

    কুন্তল-অভিষেকের কথায় মিল

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ করছেন যে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তাঁকে অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছেন। জেল থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সে প্রসঙ্গে নিম্ন আদালতের বিচারককে চিঠিও লিখেছিলেন কুন্তল। গত বুধবার কুন্তলের অভিযোগের বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে তুলেছিল ইডি। গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেকও (Abhishek Banerjee) দাবি করেছিলেন, সারদা মামলায় হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনাচক্রে, কুন্তলও তার পরে একই অভিযোগ করেন। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ওই সভায় অভিষেকের মন্তব্যের সঙ্গে কুন্তলের চিঠির কোথায় সাযুজ্য রয়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। সেই প্রসঙ্গেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: নিশীথকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতের, মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    Nisith Pramanik: নিশীথকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতের, মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ২৮ মার্চ এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, পুনরায় রায় বিবেচনা করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। রাজ্যের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি আদালতে জানান, রাজ্য পুলিশই এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু অপর পক্ষের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে জানান, কনভয়ে হামলার ঘটনায় তৃণমূল সমর্থকরা অভিযুক্ত হলেও পুলিশ বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদেরই গ্রেফতার করেছে। গাড়িতে হামলা ও মারধরের অভিযোগে কতগুলি এফআইআর করা হয়েছে, সেই তথ্যও এদিন আদালতে পেশ করা হয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, আপাতত রাজ্য পুলিশ ওই মামলায় তদন্ত করবে। পরবর্তীতে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তা হাইকোর্ট ঠিক করবে।

    আরও পড়ুন: তাপমাত্রার পারদ চড়ছে প্রতিদিন! জানেন কীভাবে সুস্থ রাখবেন আপনার সন্তানকে?

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ বোমা, গুলি এবং পাথর ছুড়ে হামলা চালানো হয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ওই দিন দিনহাটায় গিয়েছিলেন নিশীথ। সেখানেই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, বুড়িরহাট এলাকায় তাঁর কনভয় পৌঁছলে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। যার জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের পরামর্শ, পুলিশের নথি খতিয়ে দেখে তবেই তদন্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কলকাতা হাইকোর্টের। পুলিশ এই ঘটনার সাম্প্রতিক রিপোর্ট আদালতের হাতে তুলে দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: ‘আরএসএস সদস্যরা অপরাধী নন’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের, দিল মিছিলের অনুমতিও  

    RSS: ‘আরএসএস সদস্যরা অপরাধী নন’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের, দিল মিছিলের অনুমতিও  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) সদস্যরা অত্যাচারের শিকার, অপরাধী নন। এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। সেই সঙ্গে আরএসএসের মিছিল নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) এমকে স্ট্যালিন সরকারের আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় এবার আর মিছিল করতে কোনও বাধা রইল না আরএসএসের। প্রসঙ্গত, সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় আরএসএসের মিছিল বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্ট্যালিন সরকার। সেখানেই পুড়ল মুখ।

    আরএসএস (RSS)…

    আজাদি কা অমৃত মহোৎসব ও গান্ধী জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য গত অক্টোবরে রুট মার্চ করার জন্য স্ট্যালিন সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল আরএসএস (RSS)। এই মিছিলকে ঘিরে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে, এই আশঙ্কায় সেই আবেদন খারিজ করে দেয় তামিলনাড়ুর স্ট্যালিন সরকার। স্ট্যালিন সরকারের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নভেম্বর মাসে মাদ্রাজ হাইকোর্টে যায় আরএসএস। সংঘ পরিবারের এই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এই বেঞ্চের বিচারপতি সংঘের কর্মসূচি বন্ধ রাখার নির্দেশও দেন।

    আরও পড়ুুন: ‘ব্রাহ্মণরা ইব্রাহিমের বংশধর’! বিতর্কিত মন্তব্য করে ক্ষমা চাইলেন লাকি আলি

    সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফেব্রুয়ারি মাসে ফের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় আরএসএস। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ করে আরএসএসকে মিছিল করার অনুমতি দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে বাকস্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব তামিলনাড়ু সরকারের ওপর চাপিয়ে দেন বিচারপতিরা। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তামিলনাড়ু সরকার। সংঘের (RSS) মিছিলের জেরে রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করে মামলা দায়ের করে তামিলনাড়ু সরকার।

    আরএসএসের মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত বলেও জানানো হয়েছিল আবেদনে। সেই মামলায় তামিলনাড়ু সরকারের আপত্তি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টও। বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণিয়ন ও পঙ্কজ মিথালের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রাজ্য সরকার যে চার্ট দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে আরএসএসের সদস্যরাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যাচারের শিকার হয়েছে। তারা কখনওই অপরাধী ছিল না। তাই আগের বিচারপতিরা যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা কোনও ত্রুটি খুঁজে পাচ্ছি না। তাই এই আবেদন খারিজ করা হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share