Tag: Supreme court

Supreme court

  • Supreme Court: ঘৃণা ভাষণ নিয়ে কত মামলা দায়ের, রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ঘৃণা ভাষণ নিয়ে কত মামলা দায়ের, রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘৃণা ভাষণ (Hate Speeches) নিয়ে কতগুলি মামলা দায়ের হয়েছে, সে ব্যাপারে দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ঘৃণা ভাষণের ঘটনা ঘটলে কোনও অভিযোগ জমা না পড়লেও, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর করতে হবে। যাঁরা ঘৃণা ভাষণ দেবেন, ধর্ম নির্বিশেষে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। সংবিধান বর্ণিত ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রাখতেই এটা করা প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের আরও নির্দেশ, ঘৃণা ভাষণ নিয়ে মামলা নথিভুক্ত করতে দেরি হলে, তা আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য করা হবে। দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রভাবিত করতে পারে ঘৃণা ভাষণ। এটি একটি গুরুতর অপরাধ বলেও উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মন্তব্য…

    প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সাফ জানিয়েছিল, ঘৃণা ছড়ানোর ঘটনায় প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করা হবে। ঘৃণা ভাষণ সংক্রান্ত ওই মামলায় বিচারপতিরা মন্তব্য করেছিলেন, আমরা এখন একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে রয়েছি। ধর্মের নামে কোথায় পৌঁছে গিয়েছি আমরা? এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কেএম জোসেফ ও বিচারপতি বিভি নাগারত্নর বেঞ্চ তাঁদের রায়ে জানিয়েছেন, আমরা এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, এই ধরনের পদক্ষেপের সময় যেন কোন ধর্মের মানুষ এই ভাষণ দিচ্ছেন, তা দেখা না হয়। সেই সঙ্গে বেঞ্চ এও জানিয়েছে, বিচারপতিরা অরাজনৈতিক।

    আরও পড়ুুন: উদাসীন রাজ্য, জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    কোনও পার্টি এ বা পার্টি বি নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। একমাত্র ভারতীয় সংবিধানকেই মাথায় রাখা হয়। মার্চ মাসে বেঞ্চ জানিয়েছিল, ঘৃণাভাষণ সংক্রামক ব্যাধির মতো। যে মুহূর্তে রাজনীতি আর ধর্ম পরস্পরের ঘেরাটোপমুক্ত হবে, সেই মুহূর্তে ঘৃণা ভাষণের প্রবণতারও ইতি হবে। যে মুহূর্তে রাজনীতিবিদরা কথায় কথায় রাজনীতিতে ধর্মকে টেনে আনবেন না, সেই মুহূর্তে ঘৃণা ভাষণ বন্ধ হবে। এর আগের এক শুনানিতে বেঞ্চের (Supreme Court) মন্তব্য ছিল, ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে ঘৃণা ভাষণের মতো ঘটনা অবিশ্বাস্য। তা আটকানোর দায়িত্ব আমাদেরই। আমরা যদি সেই দায়িত্ব পালন না করি, তা হলে কর্তব্যে গাফিলতি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: ‘‘প্রতিলিপি পাঠাতে বলেছি, রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চেম্বারে থাকব’’, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ‘‘প্রতিলিপি পাঠাতে বলেছি, রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চেম্বারে থাকব’’, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলা চলাকালীন একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সেই কারণে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা তাঁর এজলাস থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। এর পরেই সাক্ষাৎকারের ট্রান্সক্রিপ্ট ও যে হলফনামা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়েছিল, তা চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলকে ওই নথি পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশ…

    তিনি জানান, এদিন রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নিজের চেম্বারে অপেক্ষা করবেন। এই সময়ের মধ্যে তাঁকে ওই প্রতিলিপি পাঠাতে হবে। তাঁর এই নির্দেশনামা অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টে পাঠাতে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের ‘ভগবান’। স্বচ্ছতার স্বার্থেই নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি। এদিন প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত দুটি মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হাতে না আসা পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনও মামলা শুনবেন না বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    প্রসঙ্গত, সোমবারই দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুলে নিয়োগের দুর্নীতির মামলা শোনার সময় সেই মামলা নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। যা শুনে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, বিচারপতিরা কোনওভাবেই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। উনি যদি সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন। সেক্ষেত্রে নতুন কোনও বিচারপতিকে দায়িত্ব দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের ভগবান, ওঁকে ফেরাতে হবে’’, বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা

    শুক্রবার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার বেঞ্চ বদলের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এই নির্দেশ দেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) পাঠানো নোটও ভালভাবে পড়েন তিনি। প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি নোট পড়েছেন, সাক্ষাৎকারের ট্রান্সক্রিপ্টও শুনেছেন। তার পরেই এই নির্দেশ। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারকরা খুব কঠিন দায়িত্ব পালন করেন। আমরা কেস পুনরায় বরাদ্দ করার জন্য জিজ্ঞাসা করছি একমাত্র কারণ হল ট্রান্সক্রিপ্ট, অন্য কোনও কারণ নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: ‘‘সুপ্রিম রায় ‘দুর্ভাগ্যজনক’, তবে…’’! অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণে বললেন সুকান্ত

    Abhijit Ganguly: ‘‘সুপ্রিম রায় ‘দুর্ভাগ্যজনক’, তবে…’’! অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা থেকে অপসারণের সুপ্রিম নির্দেশকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে তিনি ওই মামলাগুলি অন্য কোনও বিচারপতির এজলাসে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।

    সুকান্তর অভিমত

    এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এই রায় অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছেন তা থামবে না। উনি যে স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়েছেন তাতে আলোকিত হয়ে অন্যরা এই লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে তৃণমূল নেতাদের আনন্দিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাদের জেলে যেতেই হবে। দু দিন আগে, আর দু দিন পরে। জেলে যেতেই হবে।’ বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে মামলা থাকবে কী থাকবে না, সেটা বিতর্কের বিষয় নয়। তবে এতে এটা প্রমাণ হয় না যে দুর্নীতি হয়নি। দুর্নীতি তো দৃশ্যমান।” বিজেপি নেতা শুঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোথাও বলা নেই, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলিতে যে রায় দিয়েছে, তা ঠিক ছিল না। প্রসেডিংয়ে সমস্যা ছিল।”

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ মামলা সরানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    আর কে কী বললেন?

    বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে মামলা থাকবে কী থাকবে না, সেটা বিতর্কের বিষয় নয়। তবে তাতে এটা প্রমাণ হয় না যে দুর্নীতি হয়নি। দুর্নীতি তো দৃশ্যমান।” অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ শুভময় মৈত্র বলেন, “এই রায় বাংলার রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এবার দ্বন্দ্বটা হচ্ছে, এই রায়ে সামাজিক ন্যায়বিচারে কোনও অসুবিধা হবে কিনা? সে তো আইনি ব্যবস্থা রয়েছে। এর বিরুদ্ধেও কেউ আদালতে যেতে পারেন। রায় সদ্য হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই নিয়ে অনুসিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে না।”

    পুর নিয়োগেও সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

    পুর-দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-ইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এক সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, ২১ এপ্রিল পুর-দুর্নীতি মামলায় একযোগে সিবিআই-ইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২২ এপ্রিল এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। সেই তদন্তে এদিন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারকে রিভিউ পিটিশন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। রিভিউ পিটিশন দাখিলের এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের ভগবান, ওঁকে ফেরাতে হবে’’, বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা

    Abhijit Ganguly: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের ভগবান, ওঁকে ফেরাতে হবে’’, বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) আমাদের ভগবান। তাই ওঁকে ফেরাতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার ‘সুপ্রিম’ (Supreme Court) নির্দেশের পরে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর তাঁরা যে চূড়ান্ত হতাশ, তাও জানাতে ভোলেননি তাঁরা। দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে তাঁদের আবেদন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে যেন পুনরায় স্বমহিমায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের তরফে হীরু ধাড়া বলেন, আমরা স্পষ্টতই এই ঘটনা শোনার পর হতাশ হয়েছি। আমাদের কাণ্ডারী, আমাদের আলোর দিশারি জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সূত্র ধরেই আমরা এই তদন্তের একটা শেষ সীমায় পৌঁছেছি।

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) আমাদের ভরসা…

    চাকরি প্রার্থীরা বলেন, দালাল রাজনীতি, দালালদের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) আমাদের ভরসা দিয়েছিলেন। আমাদের খুঁটি হিসেবে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। আমাদের সমস্ত দিক থেকে প্রোটেকশন দিয়েছিলেন। তাঁরা বলেন, তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলে আমাদের কিছু করার নেই। বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। হাতজোড় করে আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীরা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কাছে আমাদের অনুরোধ, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে যেন স্বমহিমায় তাঁর দায়িত্বে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা বলেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্যই নিয়োগ দুর্নীতির সবটা প্রমাণ হয়েছে। একমাত্র তাঁর জন্যই এটা হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে সুবিচারের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। অনেকটা লক্ষ্যে পৌঁছেও গিয়েছি। আমরা চাই, এই মামলায় ওঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সমলিঙ্গ বিয়েতে কে বাবা, কে মা?’’ সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুষার মেহতার

    চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, আমরা যুব সমাজ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশে আছি। কাল থেকে আমরা রাস্তায় নামব। আমাদের ভগবান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই ষড়যন্ত্র করে ওঁকে সরানো হচ্ছে। স্বাধীন ভারতে প্রথম কালো বিচার ব্যবস্থা আজ প্রমাণিত হল। বেকার যুব সমাজ এই দিনটি মনে রাখবে। তাঁকে ফিরিয়ে আনতেই হবে। রাঘব বোয়ালের পেটে লাথি পড়েছে বলেই ষড়যন্ত্র করে সরানো হচ্ছে ওঁকে।

    তবে এখনও স্পষ্ট নয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) বেঞ্চ থেকে সব মামলা সরল, নাকি অভিষেক সংক্রান্ত মামলাটি সরল। কারণ এখনও আদালতের নির্দেশের কপি হাতে আসেনি। তবে আইনজীবী তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, যতটুকু বুঝেছি, তাতে শুধুমাত্র অভিষেকের মামলাটি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ মামলা সরানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Abhijit Ganguly: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ মামলা সরানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) বেঞ্চ থেকে সরানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। মামলার শুনানি এখনও চলছে, এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিতে হবে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোনও সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না কোনও বিচারপতি। তাই সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় বেঞ্চ বদল করা হল নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার বেঞ্চ পরিবর্তনের নির্দেশও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    সোমবারই দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুলে নিয়োগের দুর্নীতির মামলা শোনার সময় সেই মামলা নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। যা শুনে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, বিচারপতিরা কোনওভাবেই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। উনি যদি সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন। সেক্ষেত্রে নতুন কোনও বিচারপতিকে দায়িত্ব দিতে হবে।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছিলেন, তাঁদের একাংশ দ্বারস্থ হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। এঁদের আইনজীবী মীনাক্ষী অরোরা জানান, হাইকোর্টের বিচারপতি সেপ্টেম্বর মাসে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এ ব্যাপারে কী বিশ্বাস করেন। অর্থাৎ, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আগেই বিচার করে ফেলেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘সমলিঙ্গ বিয়েতে কে বাবা, কে মা’? সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুষার মেহতার

    শুক্রবার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার বেঞ্চ বদলের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এই নির্দেশ দেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) পাঠানো নোটও ভালভাবে পড়েন তিনি। প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি নোট পড়েছেন, সাক্ষাৎকারের ট্রান্সক্রিপ্টও শুনেছেন। তার পরেই এই নির্দেশ। এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারকরা খুব কঠিন দায়িত্ব পালন করেন। আমরা কেস পুনরায় বরাদ্দ করার জন্য জিজ্ঞাসা করছি একমাত্র কারণ হল ট্রান্সক্রিপ্ট, অন্য কোনও কারণ নেই।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এমনই পর্যবেক্ষণ ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই মামলার প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। সেই মামলা প্রসঙ্গেই সংবাদ মাধ্যমে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Same Sex Marriage: ‘‘সমলিঙ্গ বিয়েতে কে বাবা, কে মা?’’ সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুষার মেহতার

    Same Sex Marriage: ‘‘সমলিঙ্গ বিয়েতে কে বাবা, কে মা?’’ সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুষার মেহতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ (Same Sex Marriage) বিয়েতে কে বাবা হবেন, আর মা-ই বা হবেন কে। এটা পূর্বাভাসের মাধ্যমে বলা সম্ভব নয়। বিয়ের সময় বলা হয় স্ত্রীর বাসস্থান রয়েছে। তবে এখানে ঠিক করতে হবে কে স্ত্রী। উত্তরাধিকার আইনে বলা হয়, পিতা, মাতা, ভাই, বিধবা। দুজনের মধ্যে একজন মারা গেলে কাকে বিধবা বলা হবে? বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বললেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

    সমলিঙ্গ (Same Sex Marriage) বিয়ে নিয়ে শুনানি…

    সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে চলছে সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে শুনানি। দিন দুয়েক আগে সমলিঙ্গ বিয়েতে ইচ্ছুক এমন সন্তানদের প্রায় ৪০০ অভিভাবক এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চেই চলছে এই মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার এই শুনানি পড়ল ষষ্ঠ দিনে। বুধবার পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে অন্তত ১৫টি আবেদনের শুনানি করে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে ওঠা প্রশ্নগুলি বিবেচনা করতে সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আবেদনও করে।

    সলিসিটর জেনারেল বলেন, সর্বোচ্চ আদালত জটিল একটি বিষয় (Same Sex Marriage) নিয়ে কাজ করছে। যার গভীর সামাজিক প্রভাব রয়েছে। তিনি বলেন, আইন প্রণয়ন ও ব্যাখ্যার মধ্যে সীমানা নিয়ে আলোচনা দুটি বিষয়ের ওপর ফোকাস করার প্রবণতা রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘বন‍্‍ধ স্বতঃস্ফূর্ত ও অত্যন্ত সফল’’! সাড়া দেওয়ায় উত্তরবঙ্গবাসীকে ধন্যবাদ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এর আগেই সমলিঙ্গ বিয়েকে বৈধতা দেওয়ার আবেদনের বিরোধিতা করেছে। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় পরিবারের ধারনার মধ্যে এটা যায় না। কেন্দ্রের মতে, এসব শহুরে বড়লোকদের ধারণা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেওয়া হবে কিনা, সেই বিষয়টি পার্লামেন্টের ওপর ছেড়ে দেওয়া হোক। হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই মামলায় পার্টি করা হোক।

    বৃহস্পতিবার সলিসিটর জেনারেল দেশের শীর্ষ আদালতে বলেন, একটি উদাহরণের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধি দেখুন। ধারা (Same Sex Marriage) ১০-এ পুরুষ ও নারী সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। পুরুষ শব্দে সব পুরুষকে এবং নারী শব্দে সব মহিলাকে বোঝায়। স্পিনস্টার ও ব্যাচেলর সম্পর্কে বলতে গিয়ে তুষার মেহতা বলেন, এই সব শব্দ লিঙ্গ নিরপেক্ষ হতে পারে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LGBT: সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতি চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি অভিভাবকদের

    LGBT: সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতি চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি অভিভাবকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহের (Same Sex Marriage) দাবি উঠেছে দীর্ঘদিন ধরেই। এবার এই বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিলেন এলজিবিটিকিউআইএ (LGBT) গোষ্ঠীভুক্তদের ৪০০-রও বেশি বাবা-মা। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে তাঁরা লিখেছেন, তাঁদের সন্তানরা যাতে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় বিবাহের বৈধতা পায়, সেই বিষয়টি দেখে যেতে চান তাঁরা। সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এদিনের শুনানিতেও এই ধরনের বিবাহের পক্ষে সওয়াল করেছেন এই গোষ্ঠীর পক্ষের আইনজীবীরা।

    সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে শুনানি…

    সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে চলছে সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে শুনানি। মঙ্গলবার শুনানি পড়ল চতুর্থ দিনে। এদিন দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, যদি সমলিঙ্গের বিবাহকে আইনে রূপান্তরিত করতে হয়, তাহলে বহু আইন বদলাতে হবে। তার জন্য কি সুপ্রিম কোর্ট বসে রয়েছে? প্রশ্ন আদালতের। এদিন আইনজীবী গীতা লুথরা বলেন, জি-২০ গোষ্ঠীর ১২টি দেশ ইতিমধ্যেই সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই ভারতেরও পিছিয়ে থাকা উচিত নয়।

    প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে এলজিবিটিকিউআইএ (LGBT) গোষ্ঠীভুক্তদের বাবা-মায়েরা লিখেছেন, সন্তানদের জীবন ও যৌনতার ভাবনার কথা অনুভব করে একে গ্রহণ করেছেন তাঁরা। এখন এই বিবাহের আইনি বৈধতা চাইছেন। চিঠিতে লেখা হয়েছে, যাঁরা এই ধরনের বিবাহের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। কারণ এক সময় আমাদের মধ্যে অনেকে ওই পক্ষেই ছিলাম। তাঁরা লিখেছেন, কিন্তু শিক্ষা, আলোচনা আর ধৈর্যের মধ্যে দিয়ে আমরা বুঝেছি, আমাদের সন্তানদের ভাবনা ও অনুভূতি যথার্থ। আজ যাঁরা সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করেছেন, একদিন তাঁরাও আমাদের শরিক হবেন।

    আরও পড়ুুন: সিবিআই তলবে নিজাম প্যালেসে তাপস! জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বিষয় উঠে এল?

    মোদি সরকার সমলিঙ্গ বিবাহকে অভিজাত শ্রেণির ভাবনা বলেছে। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এলজিবিটিকিউআইএ (LGBT) গোষ্ঠী পক্ষের আইনজীবী মিনাক্ষী গুরুস্বামীকে প্রশ্ন করেন, ভারতে অনেক বৈচিত্র রয়েছে। আপনারা কি এই গোষ্ঠীর সবার কথা তুলে ধরছেন? হয়তো অনেকের কথা শোনা হচ্ছে না। মিনাক্ষীর জবাব, সম্পর্কের নতুন সংজ্ঞায় যাঁরা যোগ দিতে চান, তাঁরা যোগদান করবেন। যাঁরা চান না, তাঁদের এই পথে আসার প্রয়োজন নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguli: ইস্তফা নয়, যে লড়াই শুরু করেছেন, তার শেষ দেখে ছাড়বেন! কেন বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    Abhijit Ganguli: ইস্তফা নয়, যে লড়াই শুরু করেছেন, তার শেষ দেখে ছাড়বেন! কেন বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই, যে লড়াই শুরু করেছেন, তার শেষ দেখে ছাড়বেন, বলে জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। গত এক সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেশ কয়েকটি নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে টিভিতে বিচারপতির সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে হলফনামাও জমা দিতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার এ নিয়ে মুখ খুললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন দুপুর ২টোর সময় এজলাসে এসেছিলেন বিচারপতি। সেখানে বসেই তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘শুনছি কেউ কেউ রটাচ্ছে আমি নাকি ইস্তফা দিচ্ছি…! আমি পদত্যাগ করছি না। যে লড়াই শুরু হয়েছে। সেই লড়াই চলবে।’’

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিমত

    মঙ্গলবার প্রথমে বিচারপতি বলেন, ‘‘যে লড়াই শুরু হয়েছে, তা চলবে। যত মিথ্যা কথা বলা হয়েছে, সেগুলির ব্যাখ্যা দিতে হবে। আমি হয়তো সব দিন থাকব না। কিন্তু আমি থাকি বা না থাকি লড়াই বন্ধ হবে না।’’তাঁর টিভিতে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে  বিচারপতি বলেন, ‘‘ইন্টারভিউ যখন আমি দিয়েছি, তখন উত্তরও আমাকেই দিতে হবে।’’ তবে একই সঙ্গে বিচারপতি বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার কপি এখনও আপলোড হয়নি শুনলাম। অর্ডার আসুক। উত্তর দেব।’’

    সুপ্রিম নির্দেশ

    এদিন সকালে হাইকোর্টে পৌঁছলেও প্রথমার্ধ্বে এজলাসে যাননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরই হাইকোর্ট পাড়ায় রটে যায় যে তিনি ইস্তফা দিতে চলেছেন। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কিনা তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে শুক্রবার মধ্যে সর্বোচ্চ আদলতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টে শিক্ষা বিষয়ক মামলাগুলো দেখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, আদৌ কি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের এজলাসের মামলা নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন?

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট করে বলেছে, “কোনও বিচারপতি তাঁর এজলাসের মামলা নিয়ে কখনওই সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। এমনটা যদি সত্যি ঘটে থাকে তাহলে সেই সব মামলা তাঁর এজলাস থেকে অন্য এজলাসে সরিয়ে দেওয়াই ভাল।” এ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে বেশ কিছু আইনজীবী ভুল বোঝাচ্ছেন, যা কাম্য নয়”। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: কুন্তলের বিস্ফোরক চিঠিকাণ্ডে শুনানি হবে ‘সুপ্রিম’ রায়ের পর, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Kuntal Ghosh: কুন্তলের বিস্ফোরক চিঠিকাণ্ডে শুনানি হবে ‘সুপ্রিম’ রায়ের পর, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) বিস্ফোরক চিঠি মামলা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারাধীন। তাই এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর। বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের পক্ষ থেকে ৩টি হার্ড ডিস্ক ও অরিজিনাল ভিজিটর রেজিস্টার খাতা জমা দেওয়া হয় আদালতে। এইসব নথি সিল কভারে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ ছিল, সংশোধনাগারের সিসি টিভি ফুটেজ ও অরিজিনাল ভিজিটর রেজিস্টার খাতা পেশ করার।

    কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)…

    ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের এক সভায় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, সারদা মামলায় হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তলও (Kuntal Ghosh) একই অভিযোগ করেন। প্রেসিডেন্সি জেলে বসে ইডি এবং সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল। সেই চিঠির মূল বক্তব্য হল, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছেন ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। কুন্তলের অভিযোগ, অভিষেকের নাম না বলায় তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচারও চালিয়েছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু নেতাদের খুন করতে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল পিএফআই?

    কুন্তলের  (Kuntal Ghosh) বিস্ফোরক চিঠি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রয়োজনে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। সেই মামলায় হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছিলেন, ২১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারের প্রবেশ ও বাহিরপথের সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে কারা গিয়েছিলেন, তা জানাতে ভিজিটর্স রেজিস্টার খাতা জেল কর্তৃপক্ষকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এদিনই ছিল সেই মামলার শুনানি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশ মোতাবেক এদিন তিনটি হার্ডডিস্ক, ভিজিটর রেজিস্টার খাতা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেন প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Same Sex Marriage: ‘কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধু যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না!’ অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Same Sex Marriage: ‘কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধু যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না!’ অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন পুরুষ কিংবা একজন মহিলা বলতে ঠিক কী বোঝায়, তার সম্যক ধারণা আমাদের কাছে নেই। কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধুমাত্র যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না। ব্যাপারটা আরও অনেক জটিল। সমলিঙ্গ বিয়ে (Same Sex Marriage) নিয়ে মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে এমনই বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আপত্তির কথা আগেই শীর্ষ আদালতে জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সময় সাংবিধানিক বেঞ্চে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের উদ্দেশ্য হল, শারীরিকভাবে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা। এর জবাব দিতে গিয়েই প্রধান বিচারপতি বলেন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে পুরুষ ও মহিলার কথা বলা হয়েছে ঠিকই, তবে একজন পুরুষ বা একজন মহিলা বলতে কী বোঝায়, সেই ধারণা পুরোপুরি জননাঙ্গের উপর নির্ভর করে না।

    আরও পড়ুন: নাগরিকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে! সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপত্তি জানাল কেন্দ্র

    সেইসঙ্গে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, ব্যক্তিগত আইনের ক্ষেত্রে আপাতত কোনও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। ওই বিষয় নিয়ে আপাতত রাজ্যের বক্তব্য শোনার কোনও প্রয়োজন নেই। সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি প্রদানের জন্য একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেইসব মামলার শুনানির বিরোধিতা করে কেন্দ্রের প্রতিনিধি তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সওয়াল করেন, সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংসদ। প্রধান বিচারপতি অবশ্য জানিয়ে দেন, কোন বিষয়ে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তা আদালতকে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। আদালত সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে আর্জি শুনতে আগ্রহী। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের পরিধির মধ্যেই এই বিষয়টি বিচার-বিবেচনা করতে চাইছেন তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share